#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_২২
কিছু মানুষ আছে যারা এক নিমিষেই ভালোবেসে ফেলে আদিত্য ঠিক সেই কাজটাই করে ফেলেছে।
আদিত্য রোজ প্রেমার একই চিঠি পড়ে।এর মাঝে নিজের সুখ খুঁজে নিয়েছে।
আদিত্যর জীবন থেকে প্রেমা চিরজীবনের জন্য চলে গেছে।আদিত্য প্রহর গুনছে প্রেমাকে ফিরে পাওয়ার কিন্তু আদৌ কি সম্ভব। দিনের পর দিন চলে যায়। রাতের পর রাত কেটে যায়। মাসের পর মাস কেটে যায়।কিন্তু প্রেমার আর ফিরে আসে না। হঠাৎ মেয়েটি কোথায় উধাও হয়ে গেল।আদিত্য প্রেমার সৃতি ভূলতে পারছে না।
প্রেমা ঠিকই বলছিল।শেষ আছে বলেই শুরু করার এতো আয়োজন। মৃ ত্যু আছে বলেই জীবনের এতো মায়া!উপসংহার আছে বলেই সবকিছু এতটা পুর্ণাঙ্গ।সময় আমাদের কত অদ্ভুতভাবে প্রস্থানের কথা ভুলিয়ে দেয়।
উপসংহারে যদি বিচ্ছেদ লেখা থাকবে সূচনা এত রংঙিন কেন?🥺
প্রেমাকে আদিত্য হারিয়ে আজ নিঃস্ব।এই জন্যই বলে থাকতে মূল্য দিতে হয় 😥চলে যাওয়ার পর আর কিছুই বাকি থাকে না।
প্রেমা আসলে কিছুই না শুধু ভ্রম মরীচিকা।।।।
আজ গুনতে গুনতে ৬ টা মাস পার হয়ে গেল কিন্তু প্রেমা আর ফিরল না।😢 হয়তো আর সম্ভব নয়। বাড়ির সবাই সময়ের সাথে সাথে স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
আজ, সন্ধ্যা বেলা সবাই ড্রইং রুমে চা খাচ্ছিল আর টুকটাক কথা বলছে। হঠাৎ বাড়ির ভিতরে দুজন মানুষ প্রবেশ করল। একজন ভদ্র মহিলা আর একজন ভদ্র লোক । একটু ষাটঊর্ধ্ব মানুষ। সবাই অবাক নয়নে তাকিয়ে আছে।
,নানী,কারা আপনারা ?
, ভদ্র লোক, আপনি আমাদের চিনবেন না।
, মামী, আপনারা আমাদের বাড়িতে এসেছেন বসুন। আপনাদের পরিচয় কি।
, ভদ্র মহিলা, আপনারা চিনবেন না। আমরা আপনাদের খুব ই কাছে র। আমি রিনা চৌধুরী।
, ভদ্র লোক, আমি আসরাফ চৌধুরী। অজয়ের ছেলে মেয়ে রা কোথায়। আমরা ওদের নিয়ে যেতে এসেছি। বাড়ির ছেলে মেয়ে বাড়ি থাকবে না। ভালো দেখায় না।
সবাই অবাক হয়ে গেল। এই বাড়িতে এই নামটা কেউ নেয়নি। তাদের কে চা নাস্তা দিল।
, আলিশা, আপনরা কার কথা বলছেন।
, রিনা চৌধুরী, তুমি কে মা। মাশাআল্লাহ বলে মাথায় হাত বুলিয়ে দিল।
, আন্টি আমি আলিশা।
, ওহ্ নাম টা খুব সুন্দর। তুমি ই তাহলে আমাদের আলিশা।
সবাই অবাক হয়ে একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে।
, কিন্তু
, আমি তোর বড় মা হই। আমরা তোর চাচা চাচী হয়ই।তোদের কম খুঁজে ছি পাইনি। আচ্ছা তোর বাবা মা কোথায়।তোর বাবা অনেক শাস্তি বাকি আছে। আমাদের থেকে তোদের দূরে রেখেছে।আমরা কি এতোই পর।
,আসরাফ চৌধুরী,আহা তুমি কি শুরু করলে। মেয়েটাকে নিয়ে পড়ে আছ । আমাদের বাড়ির ছেলে কোথায়।কত অপেক্ষা করে আছি।দেখব আমার ভাতিজা কে ।
এরি মধ্যে আদিত্য কাঁধে কোট ঝুঁলিয়ে জরাজীর্ণ অবস্থায় আসছে। এই কদিনে ছেলে টা এক গাল দারি বাঁধিয়ে রেখেছে। কোনো কাজেই মন দেয় না। ঠিক মত খায় না ঘুমোয় না। চিন্তায় বিভোর থাকে। নিজের মত আসে আবার চলে যায়।
, মামী,ওই তো আদি এসেছে।
ওনারা দুজনে অবাক হয়ে দেখছে জরাজীর্ণ মানুষটাকে। সবাই কে এড়িয়ে আদি চলে যাচ্ছিল সিরির দিকে। পিছনে ডাক পরল।
, রিনা চৌধুরী, আদিত্য বাবা।আদি পিছন ফিরে তাকালো। দুজন অপরিচিত মানুষ।
, নানী,আদ দেখ কারা এসেছে।
,আদি, শান্ত গলায়,কারা নানু।
, মামী,তোর চাচা চাচী এসেছে।
,কি বলছো
আসরাফ চৌধুরী এসে ভাতিজা কে বুকে আলিজ্ঞন করে নিলেন।তার বাড়ির বংশধর। রিনা চৌধুরী আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।
,রিনা চৌধুরী,একি বাবা একি হাল করেছিস।গালে হাত বুলিয়ে।আলিশা মা একি হয়েছে ওর।
, আলিশা, আসলে বড় মা কি হয়েছে,,,,
চলবে,