ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৪৭

0
388

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৪৭

আদি গালে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলছে,কি ভাবছো হুম। আস্তে করে দুজনের কপালে কপাল ঠেকিয়ে রাখলো।

প্রেমা কাঁপতে কাঁপতে বললো,কে প্রিয়। চোখে শুধু প্রিয়র সাথে কাটানো মুহূর্তগুলো আবছা ভাবে ধরা দিচ্ছে। শেষ দেখার দিন।ও চলে যাচ্ছিল তখন অসহায়ের মত প্রিয় তাকিয়ে ছিল সেই আজ বড্ড বেশি মনে পড়ে।

হঠাৎ প্রেমার প্রচন্ড শাঁস কষ্ট হতে শুরু করেছে । জোরে জোরে হিচকি টানছে। কেঁপে উঠছে।দম বন্ধ হয়ে আসছে।
Anxiety attack হতে শুরু করেছে। আদি ভিশন ভয় পেতে শুরু করেছে।কি করবে বুঝতে পারছে না। হঠাৎ এই টুকুই কথা তে কি হচ্ছে।আদি কোনো ভাবেই প্রেমাকে থামাতে পারছে। নার্স কে ডাকলো তিনি ডাক্তার নিয়ে আসলেন।

ডাক্তার,কি হয়েছে দেখি।

আদি, ভয়ে ভয়ে বললো অস্থির হয়ে বললো। আমি বুঝতে পারছি না। আপনি তারাতাড়ি ওকে সুস্থ করে দিন।ওর হিচকিতে কষ্ট হচ্ছে।

, আপনি বাইরে জান দেখছি।

, না আমি এখানেই থাকব।প্লিজ ডাক্তার আমার স্ত্রী কে সুস্থ করেদিন।

ডাক্তার প্রেমার বুকে কারেন্ট সক দিল।যাতে হিচকি চলে যায়। অনেক্ষণ চেষ্টার পরে কমে গেল।আদি শুধু পাশে ছিল।প্রেমার অনেক কষ্ট হচ্ছিলো anxiety attack এ।ওর মুখ থেকে ফেনাও একটু বের হয়েছিল।

ডাক্তার বললো এখন ঠিক আছে।পরে জ্ঞান ফিরবে। উনাকে সব সময় হেপি রাখার চেষ্টা করবেন। উনাকে কখনো কোনো মানসিক সমস্যার মধ্যে পড়তে দিবেন না।

, ওকে। আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করব।

ডাক্তার চলে গেল।প্রেমা অনেক ক্লান্ত হয়ে ঘুমিয়ে আছে।আদি আরো বেশি ভয় পেয়ে আছে। কেন যে ওর অতীত মনে করাতে গেল।যে অতীত এত যন্ত্রনা আছে যার জন্য আজ ও ভালো নেই।

আদি চেন্জ করে নিয়ে প্রেমার পাশে বসে আছে।জ্ঞান ফিরলে নিজের হাতে খাবার খায়িয়ে দিল।প্রেমার খুব কেয়ার করে।প্রেমার চেন্জ করা কাপড় ও নিজে ধুয়ে শুকাতে দিয়েছে।

প্রেমার মাথায় হাত বুলিয়ে।, আচ্ছা তোমার এখন কোনো কষ্ট হচ্ছে না ত। তুমি ঠিক আছো।

, হুম। বাড়ির সবাই কে দেখছি না যে কেউ আসেনি।

,এই যা আমি ত সব কিছু ভুলে গিয়েছিলাম। বাড়ির কোনো খোঁজ খবর নেওয়া হয় নি।

, কেমন মানুষ হ‌্যা। আলিশার এই অবস্থায় কোনো খবর রাখনি।
,সরি আমি এখনি ফোন দিচ্ছি।

আদি ফোন করলো। রিনা চৌধুরী কে। রিনা চৌধুরী ফোন তুলে, তুই কি হ্যা রেগে আমরা তোকে ফোন দিতে দিতে শেষ হয়ে যাচ্ছি।তোর কোন খবর নেই। জানিস সবাই কত তোকে নিয়ে চিন্তায় আছে। আমরা ত সবাই ভেবেছিলাম বলেই কেঁদে দিল।

পাশে সবাই ছিল। সবাই এক দিকে চিন্তা মুক্ত হলো। অজয় চৌধুরী অনেক কেঁদেছিল। নামাজ পড়ে শুধু ছেলের জন্য দোয়া করেছে।

, আসরাফ চৌধুরী, আদিকে কে পেলাম তোমার মেয়ে কোথায়। তার কোনো খবর নেই। ফোন বন্ধ আসছে এখনো।

রিনা চৌধুরী,আদি তুই জানিস তোর আপু র কোনো খোঁজ নেই।এখনো ফোন বন্ধ আছে। তুই তাড়াতাড়ি চলে আয়।

,আদি,বড় তুমি একদম চিন্তা করো না।ও একটু অসুস্থ আছে। আমি হাসপাতালে আছি।ও একদম ঠিক আছে। তোমরা চিন্তা করো না।ওর ফোন টা নষ্ট হয়ে গেছে ত তাই।

এই নাও ওর সাথে কথা বলো।
,প্রেমা, হ্যালো মা।

, তুই জানিস কি হয়েছে তোর কোন খোঁজ থাকে না।যখন যা ইচ্ছা তাই করিস। জানিস আমরা সবাই ভেবেছিলাম আদি আমাদের মাঝে নেই।

, কি বলছ তুমি।

,সব মিডিয়া বার বার এক কথাই বলছে।

, কি বলছ তুমি। এই সব। আচ্ছা তুমি রাখ পরে কথা হবে। বলেই কেটে দিল।

প্রেমা এক মনে শুধু ভেবে ই যাচ্ছে।এই এক্সিডেন্ট টা কেউ কি ইচ্ছে করে না কি শুধু দূর্ঘটনা।কে হতে পারে।চার রাস্তার মোড়ে তিনটে লরি একসাথে এসে ধাক্কা দিবে।এটা কোনো দুর্ঘটনা নয়। পরিকল্পিত মাডার। আমার মনে হচ্ছে এই কাচা কাজ টা ফারহান করেছে। ওকে এত নীচে নেমে যাচ্ছে।ওর পালানোর ঘন্টা শুরু হয়ে গেছে।

,আদি,এত কি ভাবছো। খাবার ত খেতে হবে।

,না কিছু না। মনে মনে, আমার উপর এটাক করা তাই না। তোদের এক এক জনের কি হাল করি শুধু দেখ।যে এই কাজ করেছে তাকে আমি ছাড়বো না।আমায় মারা তাই না।জাস্ট একটা কাজ বাকী তারপর শুরু হবে আসল খেলা। সবাই কে শান্তি পেতে হবে। একদিন সব শেষ করে দিব বলেই একে একে সবাই কে জরো করা। এখন শুধু আদির মা বাকি তারপর সব ফিনিশ করে দিব।বাকা হাসি দিয়ে।

আদি,

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here