#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৫৫
রেডি হয়ে নিল তখন ওকে নিতে আলিশা আসলো।
আলিশা, তোমার হয়েছে।চলো।
মুচকি হেসে,হ্যা হয়েছে।একি আলিশা আজ তুই একটু সাজিসনি। দেখতে ভালো লাগছে না।চল আমি তোকে সাজিয়ে দেই।
টেনে নিয়ে গেল আয়নার সামনে খুব সুন্দর করে সাজিয়ে দিল। এমন ভাবে সাজিয়েছে মনে হচ্ছে বিয়েটা প্রেমার নয় আলিশার।
আলিশা, আমাকে এমন ভাবে কেন সাজালে।
, কেন কি হয়েছে। থুতনিতে হাত দিয়ে। তোকে তো খুব সুন্দর লাগছে। একদম নতুন বউ এর মতো।
, আমি বিধবা। এসব আমায় মানায় না। আমার সাদাসিধে সাজই ভালো।
গয়না খুলতে গেল। তখন প্রেমা বাধা দিলো।, না আজ তোকে এগুলো পড়েই থাকতে হবে।তা না হলে বিয়ে হবে না। আমি চললাম। অভিমান করে বলে।
, কিন্তু সবাই কি ভাববে।
, কেউ কিছু ভাববে না। আমি আছি তো।দেখলি না তন্ময় আর আরুতার ব্যাপারটা আমি কিভাবে সামলে নিয়েছি।
, হুম। তাহলে তুমি শ্রাবনের খু নি কেও বার করে দাও।দু হাত জোর করে। কেঁদে।
,সব ঠিক হয়ে যাবে আলিশা। জানিস আল্লাহ যখন যা করে আমাদের ভালোর জন্য করে।যাকে নিয়ে যায় তা আমাদের ভালোর জন্য।যাতে আমাদের জীবন টা নষ্ট না হয়।সব কিছু একটু মানিয়ে নে বোন।এই অবস্থায় একটু নিজের কথা ভাব।যে আসছে তার কি হবে।সব ঠিক হয়ে যাবে কেমন। গালে হাত বুলিয়ে।আর সব সময় আমি আছি তো।
, আমি জানি তুমি শ্রাবনকে সহ্য করতে পারো না বলে এই কথা বলছ।ও তো এখন নেই। কেঁদে।
, কাঁদিস না। কিন্তু বাস্তবতা আমাদের মেনে নিতে হবে।চল যাই। খবর দার খুলবি না কিন্তু।
, ওকে।চলো
দুজনে রুম থেকে বেরিয়ে গেল।
হাঁটছে আর বলছে। আলিশা,একটা মেয়ে তোমাকে খুঁজছিল।
প্রেমা,কে
, জানি না। বললো ও তোমার খুব চেনা। ছোট থেকে বিদেশে থাকতো। বোধহয় বড় মার ফুফাতো ভাইয়ের মেয়ে।
, কি হহ। কোথায় ও।কখন এসেছে।
, জানি না।
প্রেমা অস্থির হয়ে গেল। কোথায় ও।এত কাছে ছিল কিন্তু বুঝতেই পারলো না।সেই কোন ছোটবেলায় হাড়িয়ে ফেলেছিল।প্রেমার প্রান ছিল। কিন্তু ওর বাবা মা ওকে তার থেকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।যার জন্য আজও ওর বাবা মা কে অপরাধী মনে করে।
দুজনে হলুদের জায়গায় চলে গেল। পাশে দেখলো প্রান্তিক ফোন টিপছে বসে।মাথায় দুষ্টু বুদ্ধি আসল। আলিশাকে রেখে দিল এক দৌড়। আলিশা অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।প্রেমা দৌড়ের ফাঁকে সামনে দিয়ে যাচ্ছিল।প্রিয়তার হাতে হলুদের ডালা।ডালা থেকে হলুদ বাটি টা ছো মেরে নিয়ে গেল। হলুদ লাগিয়ে দিল প্রান্তিকের গায়ে।গালে মুখে এমনকি জামা হাতে।সব জায়গায় হলুদ লেপ্টে আছে।
প্রান্তিক,একি করলে।বিয়ের হলুদ প্রথমে বর কনেকে দিতে হয়। তুমি আমার গায়ে কেন লাগিয়ে দিয়েছো। পাগল নাকি। অবাক হয়ে।
সবাই ছুটে আসলো। বলতে লাগলো,প্রেমা তুই কি করেছিস হলুদ তোর গায়ে লাগানো জন্য আনা হয়েছে।এই হলুদ ফারহানের বাড়ি পাঠানো হবে।আর তুই কি না।এটা প্রান্তিকের গায়ে লাগিয়ে দিলি।
প্রেমা চুপ করে দাঁড়িয়ে ছিল মাথা নিচু করে।আর সবাই ওকে বকে যাচ্ছে। যখন আলিশা ভির ঠেলে ওদের মাঝে ঢুকলো।প্রেমা সবার বোঝার আগেই আলিশার গায়ে সেম হলুদ লাগিয়ে দিল। সবাই আশ্চর্যের চরম পর্যায়ে চলে গেল। আসলে সবার সামনে প্রেমা কি শুরু করেছে।
প্রেমা তো একে বিয়ে করবে না বলে এখন রাজি হয়ে এই কান্ড ঘটিয়ে দিয়েছে। আসলে ও চাচ্ছে টা কি।
আলিশা, এটা তুমি কি করলে উনার গায়ে লাগানো হলুদ আমার গায়ে কেন লাগিয়ে দিয়েছো।
, প্রান্তিক,হ্যা প্রেমা এগুলোর মানে কি। কেন এমন করছ।
প্রেমা ডোন্ট কেয়ার ভাব নিয়ে।, আমার ইচ্ছা। এবার তোমরা আমার গায়ে যত ইচ্ছা হলুদ লাগাতে পারো।
আদি দুরে দাঁড়িয়ে দেখে যাচ্ছে পাগলের কান্ড। এখন বুঝতে পারছে সেই এই সারপ্রাইজ এর কথাই বলছিল।
যাক এত দিনে ওর বোনটা ত সুখে থাকতে পারবে।আদি ও বুঝতে পেরেছে প্রান্তিক একজন খুব ভালো মনের মানুষ।ওর বোনকে খুব সুখেই রাখবে। কিন্তু শ্রাবনের ফোনে কি ছিল।
প্রেমার চোখ আদির চোখে পড়লো কথার ফাঁকে। অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।আর কিছু ভাবছে। সেদিকে কিছু না ভেবে আবার সবার কথায় মন দিল।
সবার সাথে কথা বলছে।প্রেমা, শুনলাম রনিত আংকেল এসছে।
অনিন্দিতা চৌধুরী,হ্যা।
, কেন এসছে। এখানে। আমার দামী জিনিস টা কেরে নিয়েও কি তার শান্তি হয়নি।
, এভাবে বলে না। উনারা তোকে খুব ভালো বাসে।আর তুই সেই ছোট থেকে উনাদের সহ্য করতে পারিস না।
, আগে ও পারতাম না এখনো পারি না। আমি একটু আসছি।
বলেই চলে গেল।প্রেমার মা বাবার রুমে ঢুকে দেখে একজন মহিলা আর পুরুষ।তারাই রিনা চৌধুরীর ফুফাতো ভাই ও তার বউ।
তারাও অবাক হয়ে তাকিয়ে আছে।প্রেমার দিকে।প্রেমা উনাদের সহ্য করতে পারে না।
রিনা চৌধুরী ভেতরে ঢুকলো, তুই এখানে।
প্রেমা,হ্যা আমি উনারা এখানে কেন। আবার কি নিতে এসছে।
রনিত খান,আপা ও কে।
, তুই চিনতে পাসনি ও তো প্রেমা।
, তাই কেমন আছিস মা তুই। আমাদের উপর এখনো রেগে আছিস।
প্রেমা, রাগে ফুঁসছে, এইসব নাটক বন্ধ করো।অসহ্য যতসব বলেই চলে যাচ্ছিল তখন একটা মেয়ে এসে আপু বলে জরিয়ে ধরলো।প্রেমা স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
মেয়েটি প্রিয়তা।রনিত খান ও তার স্ত্রীর দত্তক নেওয়া সন্তান।রনিত খান ও তার স্ত্রীর কোনো দিন সন্তান জন্ম দিয়ে পারবে না বলে তারা তার বোন রিনা চৌধুরী ও আসরাফ চৌধুরীর ছোট মেয়ে কে দত্ত নেয়।যার জন্য প্রেমা তার ছোট বোন কে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ।প্রেমা তার ছোট বোন কে হারিয়ে অনেক কষ্ট পেয়েছিল। তার জন্য বাবা মায়ের থেকে নিজেকে ও গুটিয়ে নিয়েছিল। দত্তক দেওয়ার কারণ ছিল রিনা চৌধুরী বাচ্চা জন্ম দেওয়ার সময় অনেক অসুস্থ ছিল। তার পক্ষে বাচ্চা পালন ও তার যত্ন নেওয়া কোনো ভাবেই সম্ভব ছিল না। তাই ওকে দিয়ে ছিল।প্রেমা অনেক কান্নাকাটি করেছিল ওর বোন কে ও মানুষ করবে কিন্তু কেউ ওর কথা শুনেনি।যখন ও ওর এগুলো ছোট ভাই বোন কে দেখে রাখতে পেরেছিল তখন ওর নিজের ছোট বোন কে কেন পারবে না। সেটা হাজার বোঝালেও কেউ শুনে নাই। প্রিয়তা প্রেমার থেকেও অনেক ছোট।১৫ বছরের ছোট।সবে অনার্সে পড়ে।ফল সরুপ দুই বোন কে আলাদা হতে হয়েছে।
যখন প্রিয়তা জরিয়ে ধরলো প্রেমা কে।প্রেমার মাথায় আবার বুদ্ধি চাপলো। নিজের বোনকে কিভাবে নিজের কাছে রাখা যায়।প্রেমা জরিয়ে ধরে বাকা হাসি দিল।
,প্রিয়তা, কেমন আছো আপু তুমি।
আজ মনের সব বাসনা পূরণ হয়ে গেল ছোট বোনের মুখ থেকে আপু ডাক শুনে।
কিছু না বলেই হন হন করে চলে গেল।প্রিয়তা তাকিয়ে রইল ।
রিনা চৌধুরী, মেয়ে টা এমন করে কেন।
প্রিয়তা, আম্মু তুমি চিন্তা করো না আমি আপুর রাগ ভাঙামো।
প্রেমা এসে দেখে সবাই হই হুল্লোড় করেছে। এরমধ্যে ফারহানের বাড়ি থেকে হলুদের ডালা নিয়ে যাচ্ছিল। ওদের সাথে মুচকি হেসে কথা বলে বাটি টা রেখে দিল। এমন ভাব ওর ই বিয়ে।
পেছনে প্রিয়তা হাঁপাতে হাঁপাতে এসে পাশে দাঁড়ালো।
পেছন ফিরে গম্ভীর মুখে, তুই হাঁপাচ্ছিস কেন।
, তোমার পিছু নিয়ে আসতে আসতে।এত জোরে হাটো তুমি। আমি আমার এই এই টুকুনি পা নিয়ে কিভাবে আসবো বলো। তোমার পা তো নয় যেন গন্ডারের পা।
চোখ গরম করে,কি
,সরি সরি।এই কান ধরছি সরি।প্লিজ সরি।
, ওকে
বলেই পিছনে লুকানো হলুদ বাটি থেকে হলুদ গালে মুখে লাগিয়ে দিল। প্রিয়তার।
, তুমি কি করলে।
, কিছু না যা তুই।
বলেই হলুদের জায়গায় চলে গেল।ডালায় বাটি রাখলো। এবার ফারহান কে ফোন দিল দোলনায় বসে দোল খাচ্ছে আর কথা বলছে।
ফারহান,কি হবু মিসেস। এখন ফোন সবে হলুদ গোসল করে বের হলাম।আর তুমি।যে আমাকে চাইতো না সে আমাকে বিয়ে করার জন্য রাজি।হা হা হা হা।
, অবশ্যই। তুমি তো বিয়ের জন্য পাগল তাই ভাবলাম বিয়ে হয়ে ই যাক তোমার।না এখনো হয়নি কারণ সন্ধ্যায় তো পুরো হলুদ গোসল করতে হবে। তুমি দুই বার হলুদ গোসল করবা। আমি একবার বুঝলা।
, হুম। সন্ধ্যায় অনুষ্ঠান। শেষ পর্যন্ত আমি ই তোমার সাম্রাজ্য জয় করে ফেললাম।হা হা হা হা।
,করনি এখনো সময় আছে।
,খালি ভয় দেখাও কেন। আমি তোমাকে ভালোবাসি তা তুমি জানো।
, জানি তুমি কত ভালোবাস। আমি জানি তুমি অনেক সুখে রাখবে। তুমি মানুষ টা যেমনি হওনা কেন। একজন স্বামী হিসেবে একজন শ্রেষ্ঠ মানুষ হবে।
, তুমি ও না। আগে আসো কালই দেখাবো তোমাকে ভালোবাস দিয়ে তোমাকে পাগল করে ফেলবো।
,তাই না কি দেখা যাবে সময় আসলে কতো ভালোবাসো।
হে হে হে।
পাশে হঠাৎ প্রিয়তা বসে পড়লো।প্রিয়তা, আপু তুমি দুলাভাই এর সাথে কথা বলছিলে। আমাকেও একটু দাও না। আমি দুলাভাই এর সাথে কথা বলবো। টেনে দাও না।
, কি হচ্ছে ধমক দিয়ে।
ফারহান,কে প্রেমা। তুমি এভাবে কাকে ধমকাচ্ছ।
, কেউ না পরে কথা বলছি। এখন রাখ।বাই
কেটে দিল। ফারহান প্রচন্ড খুশি প্রেমা সত্যি বিয়ে করবে। এবার প্রেমা ফারহানের হবে। আদির নয়। বাজিতে ফারহান জিতে গেল।প্রেমা শুধু ওর।
প্রিয়তা প্রেমাকে জ্বালিয়ে যাচ্ছে বিরক্ত হয়ে চলে গেলো।
আদি আসলো, তুমি প্রেমাকে ডিসটাব কেন করছিলে। তোমাকে তো আগে দেখিনি।কে হও তুমি প্রেমার।
অভিমানের সুরে বলল প্রিয়তা,আপু যখন বলেই নি আমি কেন বলবো। ভেংচি মেরে চলে গেল। আদির সামনে দিয়ে।
আদি ভাবলো,এ কেমন মেয়ে।প্রেমা আসা থেকে ওর পিছনে ঘুর ঘুর করে ই যাচ্ছে। দেখে ত মনে হচ্ছে অনেক ছোট।আর প্রেমা ওকে সহ্য করতে পারছে না। কেন।
সন্ধ্যায়
সব আয়োজন হয়ে গেছে। ঘন্টা খানেক পর হলুদ অনুষ্ঠান শুরু হবে। সবাই গান বাজনায় ব্যস্ত। কিন্তু প্রেমা কোথায়ও নেই।
এদিকে প্রেমা একটা রেস্টুরেন্টে এসছে। একটা মেয়ে কিছু বন্ধুদের সাথে কথা বলছিল ।সবাই উঠে গেল। মেয়েটি ব্যাগ গুছিয়ে উঠতে যাবে তখন প্রেমা মেয়েটির সামনে বসলো। মেয়েটি সম্ভাবত প্রেগন্যান্ট ছিল।
প্রেমা দুজনের জন্য কফি অডার করে। মেয়েটি অবাক হয়ে তাকিয়েছিল। অচেনা অপরিচিত কেউ এভাবে সামনে আসলো।
প্রেমা,হাই।হ্যানসেফ করার জন্য হাত বাড়ালো।
মেয়েটি, আপনি কে। মেয়েটি ও হ্যানসেফ করলো।
, আগে আমরা পরিচিত হয়ে নি।আমরা খুব কাছের। মনে মনে আমার মুখোমুখি হওয়া তোর জন্য কতটা ভয়ংকর তা তুই নিজেও জানিস না।আজ তোর শেষ দিন। মুচকি হেসে।, তুমি প্রেগন্যান্ট।
,হ্যা কিন্তু আপনার নাম।
, শুভাকাঙ্ক্ষী।
, শুভাকাঙ্ক্ষী কারোর নাম হয়।
,হয় না তো।ধরে নাও। তোমার নাম টা যেন কি।
, আফসানা কিন্তু আপনার নাম বললেন না কিন্তু।
,শেষে বলি এখন কফি খাও নাও।নাম শোনার সাথে সাথে প্রেমার শরীরে আগুন জ্বেলে উঠলো।কি করবে বুঝতে উঠতে পারছে না।ওর মন চাই ছে এখুনি টুকরো টুকরো করে ফেলি। মাথায় রক্ত চেপে গেছে।
কফি চুমুক দেওয়ার সময় প্রেমার হাতের চাপে কাপটা ভেঙ্গে গেল হাতের মুঠোর মধ্যে। রক্ত একটু বেরোলো।
আফসানা,আপনি ঠিক আছেন।
একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে, হুম ঠিক আছি।ওয়েটার আর এককাপ কফি দাও আর এগুলো পরিস্কার করে ফেল।
ওয়েটার, ওকে ম্যাডাম।
, আপনার কি হয়েছে।
,কই না তো কিছু না। তা তোমার হাজব্যান্ড কোথায়।
,উনি কাজে গেছেন cid অফিসার তো।
, তুমি খুব ভালো বাসো।তাকে।
, হুম কেন বাসবো না বলুন উনি আমার স্বামী।উনি ছাড়া আর কে আছে আমার।উনি আমাকে খুব ভালো বাসে।
প্রেমা মনে মনে এই ভালোবাসা ই তোর জীবনে কাল হবে।,তাই।
, হুম। আপনি বিয়ে করেননি।
,কফি খেতে খেতে, এবার প্রেমা আসল রূপে আসলো,সেটা আর তুই হতে দিলি কোথায়। চোখে চোখ রেখে।
, আপনি এভাবে কেন কথা বলছেন কে আপনি।
,হু আমি কে। আমি কে সেটা তোর না জানা চরম ভুল। তোর cid স্বামী তোর লা শ টাও ঠিক করে পাবে না।যদি না তোর ভাগ্য সঙ্গ দেয়।হা হা হা হা।
ভয় পেয়ে,কে তুমি।কে কাঁপতে কাঁপতে।
,যার কাছ থেকে প্রিয়কে কেরে নিয়েছিস। সেই প্রেমা আমি।প্রিয়র ভালোবাসা প্রেমা বলছি।
,কি হহ। আমি উনাকে বলে দিব আপনি আমাকে বলেই দৌড় দিল।
প্রেমা হাসছে।
,,
আর এদিকে আদি সেই চাবি খুঁজে বেরাচ্ছে।চাবি পেয়ে গেল কিন্তু তা দিয়ে হবে না। পাসওয়ার্ড লাগবে। সেটা কি হতে পারে। ভাবতে লাগলো। সবার থেকে লুকিয়ে প্রেমার ঘরে ঢুকেছে।যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুলতে হবে কেউ এসে পড়লে কি হবে। অনেক ভাবলো কি হতে পারে।প্রেমার সব থেকে পছন্দের জিনিস টা প্রিয় আহমেদ কিন্তু সেই পাসওয়ার্ড কাজ করলো না।আদি শুনেছিল প্রেমা র একটা আদরের বোন আছে তার নাম প্রিয়তা সেই প্রিয়তাকে বার বার ইগনোর করছে।প্রিয়তার নামে পাসওয়ার্ড দিল খুলে গেল। ভেতরে শুধু ফোনটা।এটা সেই ফোন যে সময় প্রেমা ওকে কিস করে লুকিয়েছিল।
অনেক গাটাগাটি করে একটা ভিডিও পেল। শ্রাবন সেই ব্যাক্তির মুখোশ খুলবে বলে ভিডিও করে ছিল। ভিডিও তে মুখ দেখা যাচ্ছে না। অনেক্ষণ দেখার পর আদি অবাক হয়ে বলে উঠলো , hunter ।হাত থেকে ফোন পড়ে গেল।
,,
এদিকে প্রেমা হেসে ই যাচ্ছে মেয়েটি বার বার পিছন ফিরে তাকিয়ে সামনে চলে যাচ্ছে।
একসময় গাড়ি থামিয়ে। গাড়িতে উঠার জন্য পা বাড়িয়ে দিবে তখন একটা লরি এসে ।সব কিছু ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে ফেলে দিয়ে চলে যায় ।
চলবে,