ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৬১ইয়াসমিন_রিমা #অসম_প্রেম #পর্ব_৬১

0
454

#ইয়াসমিন_রিমা
#অসম_প্রেম
#পর্ব_৬১

আদি ছুটে গিয়ে বুকের সাথে জরিয়ে ধরলো আর কাঁদছে।প্রেমা আদির চোখের পানি মুছিয়ে দিয়ে বলল, আমি খুব খারাপ তাই না। আমায় কখনো ক্ষমা করো না ‌।আমায় কখনো ক্ষমা করো না। বলেই কেঁদে দিল। আমি ক্ষমার অযোগ্য। পৃথিবীর নিকৃষ্টতম পাপী আমি।দম বন্ধ হয়ে আসছে।প্রেমা আস্তে আস্তে নিস্তেজ হয়ে পড়লো।

সব কিছু এক নিমিষেই যেন থমকে গেল।

প্রিয়র জীবনের প্রথম সেই ভালোবাসার নারী যাকে সে খুব কম বয়সে ই অনেক টা ভালোবেসে ছিল। এমনকি নিজে আত্ম ত্যাগের চেষ্টা করেছিল কিন্তু পারেনি নিজের বাবা মায়ের জন্য। তাদের যে আর কোন সন্তান নেই কে দেখবে ওর বাবা মাকে।বাবা মায়ের মুখের দিকে চেয়ে নতুন জীবন শুরু করেছিল কিন্তু সেই প্রথম প্রেম তা কি ভোলা এতই সহজ। ছোট বেলায় খুব সহজেই অনেক কিছু ভুলে যাওয়া যেত কিন্তু বড় হওয়ার পর সেই ভুলতে না পারার স্মৃতি নিয়েই বাঁচতে হয়।আজ সে তার খু নি।কি করবে প্রিয় আজ সে পরিস্থিতির শিকার। কেন এত ভালোবেসে ছিল।প্রেমা ওর জীবনে না আসলে ই ভালো হতো।আজ নিজেকে অপরাধী ভাবতো না।প্রেমা কখনোই এত খারাপ হতো না যদি না প্রিয় ওর জীবনে আসতো।এ কেমন প্রকৃতির খেলা।যখন চেয়েছিল তখন ওর থেকে কেরে নিয়ে ছিল। কিন্তু আজ যখন সেই উচ্চতায় এসছে তখন প্রেমা ওর থেকে অনেক দূরে। ধনী গরীবের ভালোবাসা কি সব সময় পার্থক্য থাকে।

আদি প্রেমা কে হাসপাতালে নিয়ে গেল।

বাড়ির সবাই খুব টেনশন এ আছে।প্রেমা কেন পাগলামী করছে। ওকে এই যন্ত্রনা থেকে বার করতেই হবে।তা না হলে হয়তো প্রেমা পাগল হয়ে যাবে।

সবাই এক প্রকার হাসপাতালে জরো হয়ে আছে। আয়ান, সায়ান,সাইফ, নাইম কখনো বুঝতে পারেনি এই হাসি মুখের আরালে প্রিয় বন্ধু টা কতটা ভয়ংকর যন্ত্রনা লুকিয়ে রেখেছিল।এত গুলো বছরে বুঝতে পারছে নি।কেউ ক্ষুন্নাক্ষরে ও‌ টের পায়নি কতটা ভয়ংকর কষ্ট চেপে রেখেছে।

কয়েক ঘণ্টার পর

প্রেমা চোখ মেলে দেখলো। হাসপাতালে বেডে শোয়া অবস্থায় আছে। চারিদিকে তাকিয়ে দেখে কেউ নেই। হঠাৎ চোখ পড়ে হাতের উপর সেখানে আদি হাত টা জরিয়ে ধরে শুয়ে আছে। মনে হয় অনেক ক্লান্ত।প্রেমা অস্থির হয়ে গেল। ছটফটানিতে আদির ঘুম ভেঙ্গে যায়।

আদি দেখে প্রেমার জ্ঞান ফিরেছে।

দুহাত হাত দিয়ে বলে, ছলছল চোখে, তুমি কেন একটি বার ও আমার কথা ভাবো না। আমি তোমাকে ভালোবাসি সেটা কেন বোঝনা।হ্যা। তুমি একবার আমার জীবন থেকে হারিয়ে গেছিলে জানো তখন আমি কত কষ্ট পেয়েছি।খালি স্বার্থপরের মতো নিজের কথা টাই ভাবলে।

, আমি বেঁচে আছি কেন। কেন আমি বেঁচে আছি। কেঁদে। আমি বাঁচতে চাই না। আমি একটা খু নি। আমি একটা মেয়ে হয়ে একটা নিষ্পাপ শিশুর খু ন করেছি। ভালোবাসা আমাকে অন্ধ করে দিয়েছে। আমায় কেন এত ভালোবাসো। আমায় ভালোবাসা ঠিক না। আমি বাঁচতে চাই না। আমি পাপী হয়ে এই সুন্দর পৃথিবীতে বাঁচতে চাই না। আমি হাজারো খু নের অধিকারী । আমার শাস্তি হওয়া উচিত। আমি বাঁচতে চাই না। আমি হেরে গেছি। আমি হেরে গেছি। ভালোবাসা পাওয়ার গল্পে রাজা হারানো রানি আমি। কেঁদে কেঁদে।

আদি প্রেমার হাতটা ওর পেটের উপর রাখলো।প্রেমা অবাক হয়ে তাকিয়ে। চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছে। খুব আশ্চর্য হলো। আদি কান্ডে।

, তোমাকে বাঁচাতে হবে। হুম।তোমাকে বাঁচাতে হবে।যে আসছে তার জন্য। আমার জন্য। আমাদের সন্তানের জন্য।

শুনেই বুকটা ছ্যাত করে উঠলো।

, কি। আমি মা হতে চলেছি। অবাক হয়ে।সেই দিন ড্রিং করা অবস্থায় কে ছিল।

আদি মুখটা কানের কাছে নিয়ে এসে আলতো করে বললো, আমি ই। বলেই একট গালে কিস করলো।
তুমি একটু আগে বললে না ভালোবাসা পাওয়ার গল্পে রাজা হারানো রানি।হে হে হে । কিন্তু তুমি তো আমার গল্পে আমার সাম্রাজ্যে রাজ করা মহারানী। তুমি সে সময় বললে পুরুষ তার প্রথম নারী থেকে বেশি ভালো বাসে দ্বিতীয় নারীকে তাহলে তুমি আমার জীবনে কত নম্বর নারী। কোন উত্তর আছে। তোমার কাছে। হুম। ছলছল চোখে দুজনে দুজনের দিকে তাকিয়ে আছে।প্রেমা বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছে।

হঠাৎ টুপ করে জল গড়িয়ে পড়লো।

আদি, নারী তার বাবার কাছে রাজকন্যা হয়ে থাকে।কথা কিছুটা সত্য।যদি জীবনে একজন সঠিক মানুষের আগমন ঘটে । তবে আপনি ই হলেন ওই পুরুষের মহারানী।যেকোন পরিস্থিতে রানী হয়ে থাকবেন আজীবন। সঠিক পুরুষের ভালোবাসা সুন্দর। শখের নারীর প্রতি খুব যত্নশীল হয়।

প্রেমা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে।

প্রেমা, আমি যে ক্ষমার অযোগ্য। ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস দেখো আমি এক নিষ্পাপ সন্তানের খু নি।আর আমি ই সেই একই নিষ্পাপ সন্তানের জন্ম দায়ী হতে চলেছি। কেঁদে। আমার ভাগ্য এমন কেন হলো। আমি তো চাই নি। শুধু চেয়েছি আমার ভালোবাসার মানুষটির আমার হোক।ভাগ্য টা তো আমার দেখো ভালোবাসা সেই তার সঙ্গে হলো। তাকে আমি মন থেকে প্রচুর ভালোবাসতে পারবো।
কিন্তু আমার করে কখনো পাবো না।

এমন সময় প্রিয় এসে দরজায় দাঁড়িয়ে শুনছিল। কথা গুলো। প্রিয় র খুব খারাপ লেগেছিল ওর সন্তানকে মারার জন্য। তাই রাগে অনেক কথা শুনিয়েছে। তখন ও ভয় পেয়ে সুট করেছে।যদি আবার আফসানর ক্ষতি করে ফেলে। প্রিয় নিজেকে সব থেকে বড় অপরাধী মনে করছে। কারন প্রেমা খারাপ হওয়ার পেছনে প্রিয় নিজেই দায়ী।ও চায়নি আর অন্যয় করুক। একজন আইনের লোক হয়ে কিভাবে নিজের ভালোবাসার মানুষ কে অপরাধের জন্য শাস্তি পেতে দেখুক তা চায় নি।প্রিয় আফসানা কে বিয়ে করলেও কিন্তু এখনো ও প্রেমার জায়গা মনে লুকিয়ে আছে।কি করবে আফসানা কে ছেড়ে প্রেমাকে গ্রহণ করবে।আদৌ কি সম্ভব। কখনো না।

যখন টিভি চ্যানেল এ ভিন্নি পত্রিকায় প্রেমাকে দেখতো।বড় মন চাইতো আবার ফিরে পেতে কিন্তু ওদের ভালোবাসা যে সমাজ ,পরিবার মেনে নেয়নি।যখন দুজনে মেনে নেয়। তখন পরিবার মানে না।যখন পরিবার মেনে নেওয়ার সময় আসে। তখন প্রকৃতি আলাদা করে দেয়। জীবন বরই অদ্ভুত।

প্রিয় যখন আদি ও প্রেমাকে একসাথে দেখছে। হঠাৎ মনে হল দুজনকে খুব ভালো মানায় ওকেই বেশি বেমানান লাগে‌। তোমাকে আমার আপন করে কখনোই পাওয়া হলো না। কিন্তু প্রেমা কে যে শাস্তি পেতে হবে। কারন ও Hunter.

আদি আরো বললো,আমি তোমাকে এতটা ভালোবাসি যে তোমাকে নিয়ে ভাবতে ভাবতে হুট করেই আমার phone wallpaper থাকা তোমার ছবি জরিয়ে ধরে কেদে ফেলি । তোমাকে এতটা ই ভালো বাসি যে ঘুমের মধ্যে তোমাকে নিয়ে চিন্তা করতে করতে কেঁদে ফেলি। শুধু তুমি বুঝলা না আমার ভালোবাসা।
এই ছেরে যাওয়ার যুগেও আমি তোমার হয়ে থাকার জন্য কতই না ছটফট করি ।কতোই না তোমার মনে নব্বই দশকের ভালোবাসা জন্ম দেওয়ার চেষ্টা করি ।ইস তুমি যদি বুঝতা।

প্রেমার চোখে পানি ঝরছে।

আচ্ছা আমি কি খুব খারাপ যে আমার ভালোবাসা টা বুঝো না হ্যা। আমি যে কতটা ভয়ংকর ভালোবাসি বুঝনা।
তুমি প্রিয়কে যতটা না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছ। আমি ও তো তোমায় না পেয়ে কষ্ট পাচ্ছি। সেদিন খুব বকেছি তাই ।সোনা I’m sorry ।আর বকবো না।

হঠাৎ ফোন আসায় আদি বাইরে চলে গেল।, আমি একটু কথা বলে আসছি। গালে হাত বুলিয়ে।

প্রেমা ভাবছে,
রাত জাগি রাত জেগে কান্না করি চেহারার বারোটা বাজাই ঘুম নষ্ট করি। নিজেকে কষ্ট দিয়ে অন্য মানুষের জন্য নিজের উপর অবিচার করি । কিন্তু তারা ঠিকই ভালো থাকে আমাদের ছাড়া আনন্দে থাকে আরামে ঘুমায়।আস্তে আস্তে সব কিছুই হারিয়ে যাচ্ছে হারিয়ে যাচ্ছে আমার হাসি। হারিয়ে যাচ্ছে আনন্দ ভালোবাসা বিশ্বাস।
আগে একাকিত্ব দেখে ভয় লাগতো এখন একাকিত্ব বেশি শান্তি।
জীবনে কঠিন সময় পার করেছি । তবে এখন যে সময়টা পার করতেছি সেটা কখনো কল্পনাও করতে পারিনি। জীবন এতটা নিষ্ঠুর হবে ধারনার বাইরে ছিল। মাঝে মাঝে নিজের ভাগ্য টাকে নিয়ে অনেক আফসোস হয়। জীবনটা তো এমন হওয়ার কথা ছিল না । মাঝে মাঝে এমন মনে হয় জীবন টা আরেকটু সুন্দর হলে কি বা ক্ষতি হতো।
আমি এই সব কিছু যোগ্য নই। সবার থেকে দূরে চলে যাওয়া উচিৎ।

প্রিয় আসলো,প্রেমার পাশে বসলো,একে অপরের দিকে তাকিয়ে আছে।এই তাকানো যেন হাজার বছরের তৃষ্ণা।

, প্রিয়, তুমি কেন নিজেকে শেষ করে দিয়েছ। কেন আমার জন্য অপেক্ষায় থেকেছো। আমাদের সম্পর্ক কেউ মেনে নেয় নি। তবুও তুমি। কেন আমাকে ই ভালোবাসালে।

একজন পুরুষের শখের নারী হতে পারলে । কখনোই তোমাকে তার সাথে কথা বলার জন্য জোর করতে হবে না। তোমার সাথে কথা বলার আগ্রহ এমনিতেই বাড়বে। তাকে বুঝাতে হবে না তুমি অভিমান করছো।সে এমনিতেই বুঝে যাবে আর বুঝাতে পেরে নিজেই থেকে তোমার অভিমান ভাঙ্গা বে । পুরুষ তার শখের নারীকে অসম্ভব যত্ন করে। তাই কোরোর সাথে জোর করতে নেই। তুমি তার শখের হলে সে এমনিতেই তোমাকে খুঁজে নিবে।
আদিত্য ও তোমার সেই পুরুষ। নিজের স্বামীর উপর কেন এমন অবিচার করছো।ও তোমায় আমার থেকেও বেশী ভালো বাসে।

তোমাকে নিয়ে সংসার করবো। তোমার বাচ্চার বাবা হবো। তোমাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে দিন কাটাবো। তোমাকে নিজের কাছে খুব যত্ন করে আগলে রাখবো। তোমাকে আজীবন ভালোবাসব। সেটা আর হলো কই।

পর জন্ম বলে কিছু আছে জানা নেই । ছোট্ট এক জন্মে তোমাকে ভালবেসে । আমার সাধ মিটেনি । সত্যি পর জন্ম বলে কিছু থাকে শত রূপে জন্ম নিয়ে তোমার হতে চাই।

এমন সময় আদি আসলো।

আদি,ভালোবাসা তাদের জন্য শ্রেষ্ঠ
যারা শত বাধার পরেও একজন আরেকজনের প্রতি আসক্ত।

প্রেমা বলে উঠলো,কথাটা মিলিয়ে নিও ।যেদিন তুমি আমাকে পুরো পুরি ভাবে হারিয়ে ফেলবে।অন্যকারোর হয়ে যাবে একে বারে। তুমি সেই দিন আমার ভালোবাসা উপলব্ধি করতে পারবে। জীবনের সেই দিন কারো কাছ থেকে ঠকে যাবে । সেই দিন আমার কথা মনে পড়বে। তোমাকে হারানোর ভয়ে কান্না করা মুহূর্ত গুলো সে দিন চোখের সামনে ভেসে উঠবে। হয়তো সেই দিন তুমি আমাকে চাইলেও আবার ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো সুযোগ থাকবে না।
আমি জানি তুমি আমাকে ছেড়ে চলে যাবা। বিচ্ছেদ এর দ্বারপ্রান্তে আমরা। ঘন্টার পর ঘন্টা কথা বলার অভ্যাস আমাদের দু এক মিনিট এ এসে পৌঁছেছে।সব কিছু এমন দুরত্ব এ পৌঁছেছে যে এখন মনে হচ্ছে একে অপরকে এড়িয়ে যেতে পারলেই শান্তি। তাই না প্রিয়।

প্রিয়, কখনো নয়। আমি তোমার জীবনে আজও আছি কালো থাকবো। কিন্তু একজন বন্ধু হয়ে। তুমি কখনো আদির প্রতি অবিচার করতে পারবে না।ও তোমায় অনেক ভালবাসে।

তুমি জানো প্রেমা পৃথিবীর সব থেকে বিশ্রী কি জিনিস। সেটা পুরুষ মানুষের কান্নার দৃশ্য। পুরুষের মন খারাপের দৃশ্য যা সচরাচর দেখা যায় না। তবে তারাও কাদে তাদেরও মন খারাপ হয় । তবে আড়ালে একাকিত্বে গভীর রাতে যেটা শুধুমাত্র সৃষ্টিকর্তা জানে আর কেউ নয়।এই দৃশ্য দেখার সৌভাগ্য সবার হয় না।

তবুও আদির ভালোবাসা বুঝনা।

আদি,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কথা
তুমি যদি কাউকে ভালোবাসো তাহলে তাকে মুক্তি দাও।ডানা ঝাপটে উরতে দাও। খুলে দাও তোমার করা অভিমানের বেড়ি যদি সে তোমার হয় তাহলে দিন শেষে ঠিকই তোমার কাছে ফিরে আসে।আর যদি না আসে তাহলে ভেবে নিও সে তোমার কখনোই ছিল না। কোনো দিন তোমার ছিল না।

হ্যা প্রিয় আমি ওকে ওর মতো থাকতে দিয়েছি সেটা আমার ভুল ছিল।

প্রিয়,মন খারাপ করো না।আদি তোমায় থেকে অনেক সুখে রাখবে।পুরুষের ভালোবাসা ভয়ংকর
পুরুষ মানুষ সহজে কাওকে ভালোবাসে না!
আর ভালোবাসলে সহজে কাউকে ঘৃণা করে না,
পুরুষ মানুষের ভালোবাসা হচ্ছে গুপ্ত খাজনার মতো।পিছন ফিরে তাকিয়ে না যা পাওনি তা তোমার ছিল না সামনে যা আসছে তাকে গ্রহণ কর না পাওয়া গুলো ই ভরিয়ে দিবে তোমার জীবন।

আফসানা আমার স্ত্রী ও আমার সন্তানের মা। আমি ওকে কখনোই ছাড়তে পারবো না।ওই যে সম্পর্কের বাঁধন।

ঠিক সেই সম্পর্কে বাধা তুমি ও আদি।কি হয়েছে তোমাদের বয়সে একটু খানি পার্থক্য। কিন্তু ভালোবাসা তো মিথ্যা নয়।

প্রেমার কাছে এসে আদি প্রেমার মাথায় হাত বুলিয়ে।

,আদি, তুমি ছাড়া আমি অপূর্ন । তুমি আমার রাজ্যে মহারানী। তোমাকে আমার জন্য বাঁচতে হবে। আমাদের সন্তানের জন্য বাঁচতে হবে। আমার সন্তান কে আমায় দিতে হবে। তোমার মুক্তি নেই আমার থেকে।

প্রেমা মনে মনে ভাবছে, আমি ওর সন্তানকে দিয়ে চলে যাব। আমি ক্ষমার অযোগ্য। আমাকে শুদ্ধ হতে হবে। পবিত্র হতে হবে। আমি আদির সাথে অনেক অন্যায় করে ছি। আমি ওর যোগ্য নই।আমি সবার থেকে অনেক দূরে চলে যাব।

চলবে,

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here