মায়াবিনী_(২) #Ayrah_Rahman #পর্ব_২৯

0
508

#মায়াবিনী_(২)
#Ayrah_Rahman
#পর্ব_২৯

_____________
” I am sorry Aruhi, I am so sorry!
প্লিজ ক্ষমা করে দে না পাখি! আমি আর কক্ষনো তোকে কষ্ট দেবো না আরু, কক্ষনো তোর চোখে পানি আসতে দেবো না আরু, গড প্রমিস আরু, ট্রাস্ট মি! আমাকে ছেড়ে যাস না পাখি মরে যাবো আমি! ”

কথা গুলো বলতে বলতে চোখ থেকে পানি গড়িয়ে পড়লো আরুশ খানের। আরুহী অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তার সামনে থাকা পুরুষটির চোখের দিকে। চোখ নাকি কখনো মিথ্যা বলে না! তাহলে কি আরুশ অনুতপ্ত?

পরবর্তী তে মন কে ধমকে চুপ করিয়ে মুখে খানিকটা কাঠিন্য ভাব এনে আরুহী থমথমে গলায় বলল,

” চোখের পানি তো আমার এমনি তেই আর আসে না ডক্টর আরুশ খান! আপনি আর কি আসতে দেবেন আর না দেবেন! মানলাম আপনি আমায় ভালোবাসেন! বাই এনি চান্স আমি আপনাকে ক্ষমা করেই দিলাম, তা কি গ্যারান্টি যে পরবর্তী তে আবার একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না! ”

আরুশ করুন দৃষ্টিতে আরুহীর দিকে তাকালো, থেমে থেমে উত্তর দিলো,

” বল কি করবো? কি করলে তুই ক্ষমা করবি আমাকে? ”

” ফিরিয়ে দিন আমার ন’ টা বছর! ফিরিয়ে দিন আমার এই নয় বছরের মা বাবার ভালোবাসা, ফিরিয়ে দিন আমার সেই লাইফ টাকে যাতে ছিলো না কোন জটিলতা। পারবেন দিতে? পারবেন না জানি! আর ভালোবাসা? ঠিক কবে থেকে মনে হলো আপনি আমাকে ভালোবাসেন ডক্টর আরুশ খান? ”

আরুশ চোখ বন্ধ করে লম্বা শ্বাস নিয়ে মুচকি হেসে বলল,

” ঠিক যখন থেকে ভালেবাসার মানে বুঝেছি ঠিক তখন থেকে! ”

আরুহী ভ্রু কুঁচকালো,

” মানেহ?”

আরুশ খানিকটা এগিয়ে এসে আরুহীর চোখে চোখ রেখে বলল,

” সেই ছোট্ট বেলা থেকে আমার এই পুতুল বউটাকে ভালোবাসি, শুধু ভালোবাসি না অনেক বেশি ভালোবাসি ”

আরুহী পিছিয়ে গেলো,

” মিথ্যে কথা। আপনি কখনো আমাকে ভালো বাসেননি আরুশ খান। ভালোবাসলে কেউ অন্য একটা মেয়ের সামনে ভালোবাসার মানুষ কে অপমান করতে পারে না। ভালোবাসার মানুষ কে পাগল বলে সম্বোধন করতে পারে না, আরে ভালোবেসে যদি পাগল বলতেন আমি মেনে নিতাম কিন্তু আপনি তো টোটালি না বলেছেন, আপনি আমাকে ভালোবাসেন না, আর কিই বা শোনার থাকতে পারে আমার? চলে গিয়েছিলাম তো আমি, সব ছেড়ে, এখন আবার কি নতুন নাটক শুরু করেছেন, ভালোবাসি ভালোবাসি করে মাথার পোঁকা বের করে দিচ্ছেন, ভালোবাসা কি এতোই সস্তা? বিশেষ করে আরুহী চৌধুরীর ভালোবাসা এতো সস্তা না! ”

আরুহী পিছন ফিরে চলে আসতে নিলে আরুশ পিছনে থেকে বলে উঠলো,

” আরুহী আমার কথা শোন, ভুল বুঝছিস আমাকে তুই! এক্সপ্লেইন করার সুযোগ দে আমাকে! প্লিজ আরু! ”

আরুহী আর শুনলো না, চলে এলো নিজের রুমে। ওখানে আরেকটু থাকলে নিশ্চিত তার মন গলে যাবে। এই মন টাও হয়েছে একটা, যতই বলে শক্ত থাক শক্ত থাক, কথায় শুনে না, বেয়াদব মন।

আরুহী খাটের ওপর বসে ভাবতে লাগলো আরুশের শেষ কথা গুলো, সে কি আসলেই ভুল বুঝছে? আরুশকে কি এক্সপ্লেইন করার সুযোগ দেওয়ার উচিত ছিলো?

” আসতে পারি? ”

পরিচিত কন্ঠ শুনতে পেয়ে ভ্রু কুচকে দরজার দিকে তাকালো আরুহী, থমথমে গলায় বলল,

” না আসতে পারেন না ”

তিহান মুচকি হেসে ভেতরে ঢুকতে ঢুকতে বলল,

” আমি তো ঢুকবই মায়াবতী! ”

আরুহী ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করল,

” তাহলে অনুমতি নিলেন কেন? মানা করা সত্যেও যদি ঢুকবেন ই?”

” মনে হচ্ছে মেজাজ টা আজকাল বেশিই হট থাকে? এই যে শীত কাল এসে পড়েছে ওখান থেকে একটু ঠান্ডা ধার নিলেও তো পারো! বড্ড শীত শীত লাগে! ”

আরুহী কটমট দৃষ্টিতে তিহানের দিকে তাকিয়ে বলল,

” ফালতু প্যাচালের জন্য এসেছেন? এক্ষুনি বের হোন হয়তো নাক বরাবর একটা ঘুষি দিয়ে মুখের মানচিত্র বদলে ফেলবো ”

আরুহীর কথা শুনে তিহান হো হো করে হেসে উঠলো , মনে হচ্ছে আরুহী কোন মজার জোক্স শোনালো।

আরুহী ভ্রু কুঁচকে তাকিয়ে আছে তিহানের দিকে, এভাবে হাসার কি হলো? সে তো হাসার মতো কিছু ই বলে নি, পরবর্তী তে মনে হলো, পাগলে কি না করে!

তিহান হাসি থামিয়ে কিছু ক্ষন আরুহীর মুখের দিকে তাকিয়ে সিরিয়াস হয়ে বলল,

” সত্যিকারের ভালেবাসাকে এভাবে পায়ে ঠেলে দেওয়া টা ঠিক না আরুহী! সবাই সত্যি কার ভালোবাসা পায় না, পৃথিবীতে সবচেয়ে অভাগা তো সে যে সত্যি কার ভালোবাসা পেয়ে ও পায়ে ঠেলে দেয়, তুমি সেই হতভাগা দের দলে নাম লিখিও না! ”

আরুহী ভ্রু কুঁচকে তিহানের দিকে তাকালো,

” মানেহ? ”

তিহান মুচকি হেসে বলল,

” মানে টা তুমি বুঝতে ই পারছো আরুহী। আরুশ তোমাকে সত্যি ই নিজের জীবনের থেকে বেশি ভালোবাসে! তুমি অনেক কিছু ই জানো না, অনেক কিছু ই তোমার আড়ালে রয়ে গেছে, অনেক কিছু আজও তোমার অজানা! ”

” ঠিক কোন জিনিসটার কথা বলছেন? ”

তিহান খাটের ওপর আসন পেতে আরুহীর মুখোমুখি বসলো, জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলতে লাগলো,

” তুমি কি ভাবছো? আরুশ খান কে আমি এই কয়দিন হলো চিনেছি? নাহ একদম না, আরুশ খানকে আমি চিনি, জানি সেই স্কুল লাইফ থেকে, ওর সাথে আমার পরিচয় স্কুল লাইফে, প্রথমে পরিচয়, বন্ধুত্ব তারপর হয়ে উঠলাম একে অপরের জানে জিগার দোস্ত, আই মিন বেস্ট ফ্রেন্ড! আরুশের এমন কোন কথা নেই যা আমি তিহান জানি না। তোমাকে কিন্তু আমি প্রথম দেখেছি রৌদসী ভাবির বিয়েতেই কিন্তু তোমাকে আমি চিনি সেই স্কুল লাইফ থেকে। কিভাবে বলো তো? ”

আরুহী ভ্রু কুচকে বলল,

” কিভাবে? ”

তিহান মুচকি হাসলো,

” একটা ছেলে এক মেয়েকে ঠিক কতটা ভালোবাসলে মেয়েটার এতো নিঁখুত বর্ননা দিতে পারে বলে আমার ঠিক জানা নেই, আরুশ সবে নাইনে ভর্তি হয়েছে, তখন বয়স ওর ১৫ আর তোমার বারো। ছেলেটা একদম চুপচাপ থাকতো, কথায় বলতো না, বোম মারলেও পেট থেকে হুম আর আচ্ছা ছাড়া কোন কথায় বের হতো না, যেন কথা বললে তার ডিকশনারীর শব্দ কমে যাবে তবে ও খুব ভালো শ্রোতা ছিলো আর আমি ছিলাম ভাঙা টেপ রেকর্ডার, সারাদিন ই বাজতে থাকতাম তাই আমার কাছে আরুশ থেকে ভালো বন্ধু আর কেউ হতেই পারতো না। কিন্তু যখন ই সে তোমার কথা বলতো! তখন আমি আর আরুশ পুরো উল্টো হয়ে যেতাম, ও বলতো আর আমি শুনতাম, বলতো, জানিস তিহ, আমার আরুহী এটা করে, আমার আরুহী ওটা করে, আমার আরুহী এরকম, আমার আরুহী ওরকম, মানে আমার সাথে যদি একশত টা কথা বলতো তাহলে একশটার মাঝেই আরুহীর নাম। মাঝে মাঝে খুব বিরক্ত হতাম কিন্তু ওর মাঝে কোন বিরক্তির রেশ টুকুও পেতাম না। ও যখন তোমার কথা বলতো ওর চোখে মুখে আলাদা উজ্জ্বলতা কাজ করতো ”

তিহান হাসলো। আরুহী অবাক চোখে তাকিয়ে আছে তিহানের দিকে, তিহান কি আদোও সত্যি বলছে তো!

” এভাবেই চলছিলো আমাদের দিনকাল। তখন আমাদের পুরো দমে এসএসসির প্রস্তুতি চলছে, হঠাৎ একদিন আরুশ স্কুলে আসলো কিন্তু তার মন টা খারাপ। জিজ্ঞেস করতেই বলল তোমার নাকি খুব জ্বর। তার আরুহী তার জন্য খুব বেশি পসেসিভ। আরুশের একটু জ্বর হলে নাকি তুমি সারাদিন পানির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে শুধু মাত্র ওর কষ্ট টা উপলব্ধি করার জন্য, আরুশ একটু ব্যাথা পেলে তুমি ও সেই একই জায়গায় নিজেকেই ব্যাথা দিতে মানে পুরো সাইকো দের মতো বিহেভ করতে, আরুশের পাশে অন্য কোন মেয়েকে দেখলেই মারামারি করতে, যা আরুশকে চিন্তায় ফেলে দিলো, আরুশ তোমার চোখে ওর জন্য ভালোবাসা দেখতে চেয়েছে কিন্তু নিজের ক্ষতি করে না, নিজেকে কষ্ট দিয়ে না, তোমার সাইকো বিহেভ দিন কে দিন বাড়তেই লাগলো, কারো কথা তো শুনতেই না, জেদ করতে। তখন আমি আরুশকে বুদ্ধি দিলাম তোমার থেকে দুরে থাকার। কিন্তু তাতেও তুমি আরোও বেশি উশৃঙ্খল হয়ে গেলে তাই আমিই আরুশ কে বলেছিলাম আমাদের ক্লাসের ই একটা মেয়েকে নিয়ে ওই নাটক টা করার জন্য, আরুশ সে দিন তোমাকে যেই যেই কথা গুলো বলেছিলো ট্রাস্ট মি একটাও ওর মনের কথা ছিলো না, আমিই বলেছিলাম ওভাবে বলতে নয়তো পরিস্থিতি আরোও খারাপ হতো। প্রথমে তো আরুশ রাজি হয় নি কারণ তুমি ভীষণ কষ্ট পাবে কিন্তু পরবর্তী তে রাজি হয়েছে। কিন্তু আমি বা আরুশ ঘুনাক্ষরে ও বুঝতে পারি নি ওই ঘটনায় তুমি এতো বেশি রিয়েক্ট করবে, এমনকি তোমার সেদিন মারার কারণে মেয়েটাকে হসপিটালে ও এডমিট করা লেগেছে। যার কারণে আয়াত আন্টিও রেগে তোমাকে থাপ্পড় দিয়েছিলো আর কথা শুনিয়েছেন, এটা কিন্তু যেকোনো মা ই করতো। কিন্তু তুমি তো ছিলে বেশ জেদি, মায়ের উপর অভিমান আর আরুশের উপর রাগ করে চলে গেলে সেদিন ই। গিয়ে টোটালি যোগাযোগ অফ করে দিলে , একবার ও কি মনে হয় নি আরুশের কথা! সে কেমন আছে? ”
আরুহী চুপ করে তিহানের কথা শুনছে আর ক্ষনে ক্ষনে অবাক হচ্ছে। তিহানের করা প্রশ্নে আরুহী স্বাভাবিক দৃষ্টিতে তিহানের দিকে তাকালো,

আরুহীর দৃষ্টি লক্ষ্য করে তিহান হাসলো, মেয়েটা আসলেই অদ্ভুত।

” তুমি যাওয়ার পর এই আরুশ খান কে কিভাবে সামলেছি শুধু মাত্র আমি জানি। এতো পরিমান কান্না করতে আমি কোন মেয়েকেও দেখি নি, একটা ছেলে ঠিক কত খানি ভালোবাসলে দিনের পর দিন এভাবে কান্না করতে পারে আমার জানা ছিলো না। ঠিক ভাবে খেতো না, কথা বলতো না শুধু বিরবির করে সারাক্ষণ বলতো আমার জন্য আরুহী চলে গিয়েছে, আমার জন্য আমার আরুহী কষ্ট পেয়েছে। ওকে আমি আমার সাথে রাখতাম সবসময়। এভাবে এসএসসি পরীক্ষা দিলাম, ভালো স্টুডেন্ট তো এতো চাপে গোল্ডেন আসেনি তবে প্লাস পেয়েছিলো। ওকে ঠিক করতে আমার ৩ বছর সময় লাগলো। তবে ও ডাক্তার হবে এই টা ওর মধ্যে ছিলো কারণ কি জানো? ”

আরুহী ভ্রু কুচকে জিজ্ঞেস করল,

” কি?”

” কারণ তুমি নাকি বলেছিলে আরুশকে ডাক্তার হতে তাই ও ডাক্তার হয়ে তোমাকে দেখিয়ে দেবে, বলতো একটা ছেলে কতটা পাগল হলে একটা মেয়ের জন্য এমন পাগলামী করতে পারে? অন্য কেন মেয়েকে ধারেও ঘেষতে দিতো না, যদি তুমি হঠাৎ এসে আবার ঝগড়া করো! এই ভয়ে ”

বলেই তিহান শব্দ করে হেসে উঠলো,

“কলেজ লাইফ শেষ করে ও চান্স পেলো মেডিক্যাল আর আমি ভার্সিটির আইন বিভাগ। তবে আমাদের মাঝে প্রতিনিয়ত ই যোগাযোগ হতো। আমরা কিন্তু একসাথে ই থাকতাম। ও বাড়ি তে থাকতো না। ছেলেটা খুব ভালো আরুহী আর পাগলের মতো ভালোবাসে তোমায়, ওর প্রতিটা পাগলামির সাক্ষী আমি নিজে, মাঝে মাঝে ঘুমের মাঝে ও আরুহী বলে চিৎকার করে উঠতো। ওকে দেখে শুধু মনে হতো ভালোবাসা বুঝি একেই বলে, ওকে দেখেই আমি ভালোবাসার সঙ্গা শিখেছি। ”

কিছু টা থেমে আরুহীর দিকে তাকালো তিহান। মুচকি হেসে বলল,

” আরোও অনেক কথা আছে তবে আজ আর না, যতটুকু বলার প্রয়োজন ছিলো বললাম আর এটা আমার দায়িত্ব ছিলো তোমাকে জানানো। এবার ডিসিশন তোমার! আমি জানি তুমি ঠিক ডিসিশন ই নেবে মায়াবতী! ”

বলেই তিহান উঠে চলে যেতে নিলে আরুহী পিছনে থেকে বলে উঠলো,

” দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা ঠিক না মিস্টার তিহান রাহমান! আমার সাথে ফ্লার্ট করে আমার বোনের সাথে প্রেম করাটা মোটেও ঠিক কাজ না ”

তিহান থমকে দাঁড়ালো, চোখ বড়ো বড়ো করে আরুহীর দিকে তাকালো, আরুহী নিচের দিকে ঝুঁকে মুচকি মুচকি হাসছে,

” এটাও জানো? ”

” চোখ কান যে খোলা রাখতে হয়!”

তিহান গাল ফুলিয়ে বলল,

” দেখো আরুহী, এক বছর পিছনে পিছনে ঘুরে নতুন নতুন প্রেম টা শুরু করলাম, কাবাব মে হাড্ডি যেন হয়ে যেও না ”

আরুহী মুচকি হেসে তিহানের দিকে তাকালো,

” আমি বড়ো বোন হই ভুলে যান কেন? কাবাব মে হাড্ডি নাই বা হলাম, ভিলেন তো হওয়াই যায় তাই না? ”

বলেই আরুহী মুখ টিপে হাসলো,

তিহান অসহায় দৃষ্টি নিক্ষেপ করলো, বেচারা সত্যি সত্যি টেনশনে পড়ে গেলো, এই মেয়েকে বিশ্বাস নেই যদি সত্যি সত্যি ভিলেন হয়ে পথ আটকে বসে থাকে তবে? আর রুশা যেই মেয়ে বোন যা বলবে তাই!

তিহান কাঁদো কাঁদো দৃষ্টি নিক্ষেপ করে বেরিয়ে গেলো রুম থেকে যা দেখে আরুহী আবারো হাসলো, ছেলেটা মন্দ না। আরুহী আরোও ছ’মাস আগে থেকে ই জানতো তিহানের ব্যাপারে সে যে রুশা কে ভালোবাসে তবে সব বিষয়ে ইন্টারফেয়ার আরুহীর পছন্দ না। রুশা যথেষ্ট ম্যাচিউর!

হঠাৎ আরুহীর তিহানের বলা কথা গুলো মাথায় এলো, মাথার ভেতরে যেন কথা গুলো বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে! কি করবে সে?

চলবে…

[ আজকের পর্ব টা কেমন হয়েছে? জানাবেন প্লিজ!]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here