খোলা_জানালার_দক্ষিণে #পর্ব_৩০ #লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

0
315

#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_৩০
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu

অন্ধকারের আচ্ছন্ন চার দেওয়ালের আবদ্ধ কক্ষ। ষড়যন্ত্রের শিকার যেন হচ্ছে ঘরের প্রতিটি দেওয়াল। না পারছে স্বৈরাচারী সব ষড়যন্ত্র ফাঁস করে দিতে আর না পারছে সহ্য করতে। তাদের নিকৃষ্ট ষড়যন্ত্র দেখে প্রকৃতিও তাদের থেকে ঘৃণায় দৃষ্টি ঘুরিয়ে নিয়েছে। সেজন্য প্রভাতের আলোও তাদের স্পর্শ করছে না। অন্ধকার ঘরের মধ্যে নিজেদের আলাপ আলোচনায় ব্যস্ত। থমকে রয়েছে ভোরের সকাল শরীর বিন্দু ঘাসের ডগায় জমতে ব্যস্ত। পাখিরা মগডালে বসে তার সুর তুলতে ব্যস্ত। কম্বলের উষ্ণতায় অলসতা ধরেছে বেশ। এই কনকনে ঠান্ডার মধ্যে ষড়যন্ত্রের বৈঠক বসেছে। পুরুষালী গম্ভীর কণ্ঠ স্বর ভেসে এল।

–এভাবে আর কতদিন মুখ লুকিয়ে থাকব? আমাকে হুকুম কেন দিচ্ছেন না! আমি আপনার কথা মতো বসে থাকতে পারব না৷ ঐ মুনতাসিম আমার পুরো জীবন নষ্ট করে দিয়েছে। আমি তাকে ধংস করে দিয়ে ক্ষান্ত হব। যুবকের রক্তে রক্তে যেন প্রতিশোধের নেশা ঘুরে বেড়াচ্ছে। জমে যাওয়া হিম শীতেও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘামের কণা তৈরি হয়েছে। ক্রোধে মস্তিষ্ক টগবগ করছে। দেহের সমস্ত রক্ত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। ললাটের দু’টি রগ ফুলে উঠেছে। ভাইয়ের এমন চেহারার সাথে পরিচিত রমনী। সে আদুরে ভাবে ভাইয়ের কাধে হাত রাখল।

–তুমি তীরে এসে নৌকা ডুবিয়ে দিতে পারো না ভাইয়া। মুনতাসিম আমাকে ধরে ফেলছে। ঐ বাড়িতে থাকা আমার জন্য কতটা বিপদজনক সেটা তুমি আন্দাজ করতে পারছ? আমার এক একটা দিন আতঙ্ক নিয়ে বাঁচতে হয়। এই মনে হয় মুনতাসিম মৃত্যু নিয়ে আমার সামনে হাজির হবে৷ সে শান্ত মস্তিষ্কের মানুষ তোমার থেকে দ্বিগুন ক্রোধ তার৷ সে তোমার মতো কথায় কথায় জ্বলে উঠে না। মানুষকে কিভাবে কথার যন্ত্রনায় রক্তাক্ত করে দিতে হয়৷ সেটা মুনতাসিমের থেকে শিখতে পারো না। বোনের কথায় জ্বলে উঠল যুবক। দুই ভাই বোনের বিতর্ক দেখে বেশ বিরক্ত জাফর ইকবাল। সে রাগান্বিত হয়ে বলল,

–আমি তোমাদের ফালতু ড্রামা দেখার জন্য কনকনে ঠান্ডার মধ্যে আয়শী নিদ্র থেকে বেড়িয়ে আসিনি। আমার এত বছরের সাধ্য সাধনার ফল সব মুনতাসিম নিয়ে গেছে। আমার ভেতরটায় কি হচ্ছে তোমরা একবার ভেবছ? প্রতিশোধ আগুনে আমি শতবার মৃ’ত্যু বরন করি। মুনতাসিম কে চাইলেই মা’রা যায়। তাকে মা’রা’র পরে যদি ধরা পড়ে যাই। সে হ’ত্যা’র কোনো মূল্য থাকবে না। তাকে মারতে হলে এমন ভাবে মারতে হবে। যেন সাপও না ম’রে আর লাঠিও না ভাঙে৷ জাফর ইকবালের কথায় রক্তিম চোখে জাফর ইকবালের দিকে দৃষ্টিপাত করল যুবক। সে বজ্র কণ্ঠে বলল,

–আমি ধরা পড়ে গেলে যাব। তবুও মুনতাসিমের মৃত্যু আমি দেখতে চাই। প্রতিটি সেকেন্ড আমি যেমন যন্ত্রনায় ছটফট করি। তার থেকে দ্বিগুন যন্ত্রণা দিয়ে আমি মুনতাসিমকে মারব। সে বাঁচার জন্য ছটফট করবে পাশে কাউকে চাইবে। পানির জন্য আহাজারি করবে৷ কিন্তু সে কিছু পাবে না কিছু না। আমার থেকে আমার ভালোবাসার মানুষকে করেছে আলাদা। একটা জঙ্গল আমার কাঁধে দিয়েছিল ঝুলিয়ে, আমি সেই জঙ্গলকে খু’ন করে লা’শে’র ফ্রিজিং ড্রয়ারে রেখে আসছি। আমার মন যখন থেমে যায়। তখন আমি গিয়ে তার কুৎসিত মুখশ্রী দেখে আসি ভেতরে দমে যাওয়া আগুন টা আবার দাউদাউ করে জ্বলে উঠে। ভাইয়ের কথায় রমনীর অন্তর আত্মা কেঁপে উঠল। তার চেনা ভাইটা কিভাবে অপরিচিত হয়ে গেল। সবকিছুর জন্য তার মুনতাসিমকে দায়ী মনে হয়। সে যদি তার ভাইয়ের ভুল গুলো মাফ করে দিয়ে, একটা সুখী পরিবার উপহার দিতে পারতো। তাহলে আজ চৌধুরী ভবন হয়ে উঠল আনন্দের রাজত্ব। সেখানে সুখ আর শান্তি বসবাস করতো। রমনীর ভাবনার মাঝেই জাফর ইকবাল বলল,

–তুমি তো চৌধুরী বাড়িতে থাকো তোমাকেই কাজটা করতে হবে। যদি-ও বাসার চারপাশে সিসি ক্যামেরার অভাব নেই। তবুও তোমাকে একটা রিস্ক নিতেই হবে। তুমি যেদিন কাজটা করবে সিসি ক্যামেরা গুলো অফ করে দেওয়ার চেষ্টা করবে। মুনতাসিমের গাড়ির ব্রেক অকেজো করে দিবে। আর না হলে যেদিন মুনতাসিম কম গার্ড নিয়ে বের হবে। সেদিন আমাকে ইনফর্ম করবে বাকিটা আমি বুঝে নিব। জাফর ইকবালের কথা শেষ হবার সাথে সাথে যুবক বলল,

–তাহলে আমি কি করব?

–ভোটের আগে যেমন আড়াল থেকে মা’রা’র চেষ্টা করেছ। কিন্তু মা’র’তে ও পারোনি আবার তোমায় ধরতেও পারেনি। জাফর ইকবালের কথায় রমনী তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলল,

–এই জন্যই বোধহয় জনগণ আপনাকে ভোট প্রদান করা ছেড়ে দিয়েছে। মস্তক ভর্তি ক্রিমিনালি বুদ্ধি থাকলে-ও কাছের মানুষদের সাথে যুদ্ধ করার ক্ষমতা আপনার নেই। সে সবকিছু জানে জেনেও চুপ আছে। পরিবারের লোক বলে সুযোগ দিচ্ছে নিজেকে শুধরে নেওয়ার এখানেই আপনার আর তার মধ্যে পার্থক্য। এতটুকু বাচ্চা মেয়ে তাকে শান্ত মস্তিষ্কে অপমান করে দিল। এটা তার সহ্য হলো না সে রাগান্বিত হয়ে বলল,

–আমাকে একদম জ্ঞান দিতে আসবে না। তোমার বহুত আগে ধমনীর বুকে এসেছি৷ বুদ্ধি হওয়া বয়স থেকে মানুষ চিনতে শিখেছি। মুনতাসিমকে নিয়ে এতটা গলাবাজি করো না। কখন ছোবল দিয়ে বসবে তা গুনাক্ষরে ও টের পাবে না। দরকার পড়লে ভাতের সাথে বি’ষ মিশিয়ে দাও। এত সহজে কেউ ধরতে পারবে না। বাহিরের লোকের সাথে লড়াই করা যায়। কিন্তু ঘরের লোক শত্রুতা শুরু করলে মৃত্যু অনিবার্য। জাফর ইকবালের কথা কর্ণকুহরে আসতেই যুবক টি ক্রোধে কক্ষ ত্যাগ করল। সময় অতিক্রম হতে শুরু করেছে। সে-ও বিদায় জানিয়ে গৃহের উদ্দেশ্য রওনা দিল।

মেহেভীন এত বুদ্ধি খাটিয়ে ও সঠিক তথ্য সংগ্রহ করতে পারল না। মাথায় হাত দিয়ে নিজের কক্ষে বসে ছিল মেহেভীন। মস্তিষ্কের সাথে থেমে গিয়েছে সমস্ত শরীর বুদ্ধি গুলো সব লোপ পেয়েছে। চিন্তা গুলো অকেজো হয়ে গিয়েছে। মস্তক টা হালকা হতে চাইছে। মেহেভীনের ভাবনার মাঝেই কলিং বেল বেজে উঠল। রুপা কাজের জন্য বাহিরে গিয়েছে। মেহেভীন উঠে এসে নিয়েই দরজা খুলে দিল। মেহেভীনের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যুবক টি নিজের পরিচয় মেহেভীনকে দিল। সে মেহেভীনকে উদ্দেশ্য করে বলল,

–আপনার কেসের তদন্তের দায়িত্ব যেহেতু আমি পেয়েছি। আশা রাখছি আপনি আমার কাজে ব্যাঘাত ঘটাতে আসবেন না। আমি আপনার পুরো বাড়ি তল্লাসি করতে চাই। নেহালের কথা শুনে মেহেভীন সরে দাঁড়াল। নেহাল পুরো বাড়ি তল্লাসি করল। সে বাড়ির মধ্যে সন্দেহজনক কিছুই পেল না। সে মেহেভীনের সামনে আসলো। গম্ভীর কণ্ঠে প্রশ্ন করল,

–আপনি কি আসলেই অপরাধটা করেছেন?

–আমি করিনি।

–যদি করে থাকেন আমার কাছে স্বীকার করতে পারেন। আমি আপনার শাস্তি কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

–যে কাজ আমি করিনি। আমি কেন সে কাজের মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিব?

–আপনি যা বলছেন বুঝে শুনে বলছেন তো?

–আমি মিথ্যা কথা বলি না।

–আপনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণও করতে পারেননি। এর জন্য আপনার কিন্তু জেল হবে।

–জেল হলে হবে। তবুও আমি মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিব না।

–আমার কাজ হয়ে গিয়েছে আমি আসছি। কথা গুলো বলেই নেহাল গৃহ ত্যাগ করল৷ মেহেভীন নেহালের যাওয়ার দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। ভেতরটা ভারি হয়ে আসতে শুরু করেছে। মিথ্যার বোঝা এতটা ভারি হয় কেন? দম বন্ধ হয়ে আসছে তার এমন শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থায় সে আগে কখনো পড়েনি। বাবার কথা স্মরন করে ভিষণ কষ্ট হচ্ছে। এই সময় টাতে তার পাশে থেকে তাকে আগালে রাখতে পারতো। নিজের ভাবনাকে নিজেই ধিক্কার জানালো মেহেভীন। পরের দিনই মেহেভীনকে থানায় নিয়ে আসা হয়। অন্ধকার জেলের মধ্যে বসে অশ্রুকণা গুলো যেন বাঁধ মানছে না। সে নিঃশব্দে অশ্রু বিবর্জন দিচ্ছে। ভেতর থেকে একটা বাক্যই আসছে। আমার কেউ নেই। নিশ্চই নিঃশব্দে কান্না ভিষণ ভয়ংকর মানুষের দুঃখ কষ্ট গুলো যখন শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। দুঃখ গুলোর ভাগ নেওয়ার মতো কেউ থাকে না। পাশে এসে বসে বলে না এত চিন্তা কিসের আমি তো আছি। পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হচ্ছে নিজেকে সামলানো আর নিজেকে বোঝানো। যেটা মেহেভীনের নিজের সাথে করে যাচ্ছে। দুঃখের বোঝা ভারি হয়ে গেলেই মানুষ নিঃশব্দে কান্না করে। মেহেভীন সেটা হারে হারে উপলব্ধি করতে পারছে।

দু’টো দিন কে’টে গিয়েছে মেহেভীন জেলার অন্ধকার কুঠুরিতে বন্দী হয়ে আছে। কেউ আসেনি মেহেভীনের খোঁজ নিতে। রুপা এসেছিল খাবার নিয়ে তাকে বেশিক্ষণ থাকতে দেওয়া হয়নি৷ মেহেভীনের মা মেয়ের জন্য পাগল প্রায় ফরিদ রহমান রাইমা বেগমকে দু’দিন ধরে ঘর বন্দী করে রেখেছে। সে চাইলেও আসতে পারছে না। ভেতরটা তার জ্বলে পুড়ে ছারখার হয়ে যাচ্ছে। ক্রোধে বশিভূত হয়ে গা’লি দিতেও দু’বার ভাবেনি। মায়ের দোয়া ধরনীর সমস্ত বিপদকে গ্রাস করে ফেলে। রাইমা মেয়ের জন্য অনবরত দোয়া করেই যাচ্ছেন।

দুই হাঁটু ভাজ করে মেহেভীন বসেছিল। তখনই পরিচিত কণ্ঠ স্বর কর্ণকুহরে এসে পৌঁছাল। মানুষটাকে দেখে ভেতরটা উথাল-পাতাল শুরু করে দিয়েছে। মুহুর্তের মধ্যে মনটা নিস্তেজ হয়ে গেল। সে ধীর গতিতে উঠে এসে মুনতাসিমের সামনে দাঁড়াল। মুনতাসিম সহজ সরল প্রশ্ন করল,

–কেমন আছেন? মেহেভীন মুনতাসিমের দিকে কিছুক্ষণ চেয়ে থাকলো। একটা দীর্ঘশ্বাস নিয়ে নিস্তেজ কণ্ঠে বলল,

–আমাকে এই অবস্থায় দেখে আনন্দ লাগছে না আপনার? কত অপবাদ, কত আপমান, কতই না দুঃখ দিয়েছি আপনাকে। আমি পাপ করেছিলাম আল্লাহ তায়ালা আমার পাপে শাস্তি দিচ্ছে। আমার করুন অবস্থা দেখে এই অধমের প্রতি দয়া জাগল বুঝি? মেহেভীনের কথায় মুনতাসিম হাসলো। সেই হাসিটা মেহভীনের হৃদয়টা রক্তাক্ত করে দিল। এই হাসি মুখটার হাসি সে কেঁড়ে নিয়েছে। মেহেভীনের ভাবনার মাঝেই মুনতাসিম বলতে শুরু করল।

–আমি কখনোই আজ অব্দি আমার জন্য কাউকে নিজের সবটুকু বিলিয়ে দিতে দেখিনি। কাউকে বলতে শুনিনি আপনি আমার চোখে সবচেয়ে সুন্দর একটা মানুষ। আপনার থেকে সুন্দর মানুষ আমি কাউকে দেখিনি। আমি আজীবন তিরস্কার নিয়েই বেড়ে উঠেছি। স্পেশাল হবার জন্য আমার মধ্যে কোনোকিছুই ছিল না। আমার যা কিছু আছে সেটুকু দিয়েই সবাইকে স্পেশাল বানানোর চেষ্টা করি। আমার জন্য কেন জানি এতটুকুও কেউ করে না। মুনতাসিমের কথায় বাকরূদ্ধ হয়ে গেল মেহেভীন। অপরাধীর ন্যায় মাথা নুইয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মেহেভীনের মলিন মুখশ্রীর দিকে তাকিয়ে মুনতাসিমের ভেতরটা রক্তাক্ত হয়ে যাচ্ছে। এই মায়াবী মুখশ্রীতে শুধু হাসি মানায় কান্না নয়। মেয়েটা কি জানে না তার এক একটি অশ্রুবিন্দু মুনতাসিমের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ বাড়িয়ে তুলছে। দু’জনের মাঝে পিনপতন নীরবতা চলছে। মুনতাসিমকে দ্রুত কথা বলতে বলা হয়েছে। মেয়ে টার সামনে একদম দুর্বল হওয়া চলবে না। সে একটু গম্ভীর ভাব ধরে ফিসফিসিয়ে বলল,

–ঘুষ খেয়েছেন ভালো কথা এত অল্প টাকা কেউ খায়! একটু বেশি করে খেতে পারতেন৷ একা একা ঘুষ খেলে এমনই হয়৷ আমাকে যদি ভাগ দিতেন তাহলে আজ আপনার এই দিন দেখতে হতো না। ভাববেন না আপনার সাথে দেখা করতে এসেছি৷ আমার এক বন্ধুকে এখানে ধরে নিয়ে আসা হয়েছে। তার জামিন করাতেই এখানে এসেছি৷ আপনাকে কিন্তু এখানে বেশ মানাচ্ছে। কথা গুলো বলেই চলে গেল মুনতাসিম। পেছনে ফেলে গেল চূর্ণবিচূর্ণ করে দেওয়া মেহেভীনকে। মুনতাসিমের কাছে সে ভালো কিছু আশা করেছিল৷ কিন্তু মানুষটা তাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিয়ে গেল। কণ্ঠ নালি দিয়ে কোনো শব্দ বের হলো না। নিঃশব্দে দাঁড়িয়ে রইল মেহেভীন। তাকে মানসিক ভাবে অসুস্থ করে দিয়ে চলে গেল মানুষটা। মানসিক ভাবে শান্তি না পেলে মানুষ দিন দিন পুরোপুরি অসুস্থ হয়ে যায়। যে অসুস্থতার দুর্বলতা নিজে ছাড়া অন্য কেউ অনুভব করার ক্ষমতা রাখে না। মেহেভীন দেখল একজন হাসিখুশি মানুষ একটি ছেলের হাত ধরে বের হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু মানুষটা যে তার জান ফেলে রেখে যাচ্ছে। ভেতরটায় যে রক্তক্ষরণ বয়ে যাচ্ছে। হাহাকার করে উঠছে বুকটা, মানুষটা দিন-রাত যন্ত্রনায় ছটফট করছে। সেটা মেহেভীন দেখল না। তা কালো মেঘের ন্যায় আড়ালে ঢেকে গেল।

চলবে…..

(রেসপন্স করলে কালকে আরেকটা পর্ব দিতে পারি।)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here