#খোলা_জানালার_দক্ষিণে
#পর্ব_২৯
#লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
শীতের মাঝে-ও পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। চারদিকে মেহেভীনের নামে কানাঘুষা শুরু হয়ে গিয়েছে। খবরের কাগজে বড় বড় করে মেহেভীনকে নিয়ে লিখা হয়েছে। মেহেভীনের নামে দুই কোটি টাকা ঘুষ খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। অন্যান্য জায়গায় খবরটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ না হলে-ও মেহেভীনদের এলাকা এখন গরম। কটু কথা শোনাতে এক চুল পরিমাণ ছাড়ছে না কেউ। রাইমা বেগম মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। তার মেয়ে এমন জঘন্যতম কাজ করতেই পারে না৷ ফরিদ রহমান পাশেই বসে ছিল। রাইমা বেগমকে কথা শোনানোর দারুণ একটা রাস্তার সন্ধান মিলেছে। এই সুযোগ তো তিনি কিছুতেই হাত ছাড়া করবেন না। সে তাচ্ছিল্য করে বলল,
–তোমার মেয়ে এতদিন এই ঘুষের টাকায় গরম দেখাতো। রাইমা আমাকে আজ একটা সত্যি কথা বলো তো। এই মেয়ে আদৌও আমার মেয়ে তো নাকি অন্য কারো? আমার সন্দেহ হয় জানো।
–মুখ সামলে কথা বলবে। তুমি কিন্তু দিনদিন ধৈর্যের সীমা পেরিয়ে যাচ্ছ। আমার হাতেই তুমি খু’ন হবে বলে দিলাম।
–পুরোনো প্রেম বুঝি জেগে উঠেছে। মেয়ের কাছে পুরোনো প্রেমিক আসে। সে খবর পেয়ে মেয়েকে হাতে রাখছো। তুমি কি ভেবেছো। আমি এসব কথা বুঝি না। কে কোন মতলবে কোন পয়েন্টে হাঁটছে। সে-সব খবর আমার হাতে আছে। যার আশায় আমাকে ছাড়ার চিন্তা করছো। আমি তাকেই ধরনীর বুক থেকে গায়েব করে দিব। নিজে তো নষ্ট ছিলে মেয়ে টাকে ও নষ্ট বানিয়ে ফেলছো। নষ্ট মায়ের নষ্ট মেয়ে তৈরি হয়েছে। কথা গুলো বলেই দ্রুত পায়ে স্থান ত্যাগ করল। রাইমা বেগম শীতল দৃষ্টিতে ফরিদ রহমানের যাওয়ার দিকে চেয়ে আছে। দৃষ্টি যেন মনের কথা বলে দিচ্ছে। সামনে ভয়ংকর কিছু হতে চলছে। শান্ত নদীর মতো স্থীর হয়ে গেল রাইমা বেগম। কিছুক্ষণ বসে থাকার পরে মেয়েকে ফোন দিলেন। মেহেভীন উত্তেজিত হয়ে বলছে,
–আমি এমন জঘন্যতম কাজ করিনি আম্মু। সবাই আমাকে অবিশ্বাস করছে। তুমি অন্তত আমাকে বিশ্বাস করো।
–আমি জানি আমার মেয়ে কেমন। তুই উত্তেজিত হোস না। ঠান্ডা মাথায় ভাবতে থাক কে তোর নামে এমন অভিযোগ করতে পারে। আমার থেকে তোর শ্রবণ শক্তি প্রখর। তুই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পুনরায় স্মরন কর। তাহলেই নিজের উত্তর পেয়ে যাবি।
–আমার একজনকে সন্দেহ হয় আম্মু। আমি অবশ্যই তার সাথে দেখা করব। কিন্তু আমার মান সন্মান যে সব নষ্ট হয়ে গেল। আল্লাহ সব সময় আমার সাথেই কেন এমন করেন। আমি কি খুব বেশি পাপ করে ফেলছি?
–এসব কথা বলতে হয় না। আল্লাহ তায়ালা আমাদের দুঃখ কষ্ট দিয়ে পরীক্ষা করেন। কখনো আল্লাহ তায়ালার ওপরে নিরাশ হবি না। তার ওপরে ভরসা রাখ। সে তোর থেকে যতটুকু কেঁড়ে নিবে। তার থেকে দ্বিগুন ফিরিয়ে দিবে অপেক্ষা শুধু সময়ের। তোর বাবা ফোন দিলে একদম ধরবি না। নিজের কাজে মনযোগ দে। আমি তোর ওপরে আশা রাখছি। তুমি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবি। রাইমা বেগম মেয়েকে ভরসা দিয়ে ফোন রেখে দিলেন। মেহেভীন গভীর চিন্তা মগ্ন হয়ে উঠল। কে তার সাথে এমন কাজ করতে পারে। সেটাই তার ভাবনাতে আসছে না। তখনই তার খেয়াল আসলো ইউএনও সাহেবের সাথে তার একটু কথা কাটাকাটি হয়েছিল। সে বলেছিল মেহেভীনকে দেখে নিবে। মেহেভীনকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করবে। তবে সে-ই কি কিছু করল। কিন্তু প্রমাণ ছাড়া তো এমনি এমনি অভিযোগ উঠবে না। সবকিছু মাথার ওপরে দিয়ে যাচ্ছে মেহেভীনের। সে মাথায় হাত দিয়ে বসে আছে। ঠান্ডা মস্তিষ্কে ভাবতে হবে। এভাবে ঘাবড়ে গেলে চলবে না। সমস্যা যখন এসেছে সমস্যার সমাধান তাকেই করতে হবে। সে মনস্থির করে নিল বিকালে ইউএনও সাহেবের সাথে দেখা করতে যাবে।
গোধুলি আলোয় ধরনীর সৌন্দর্য দ্বিগুন বেড়ে গিয়েছে। এই মনোমুগ্ধকর কর পরিবেশ কেউ উপভোগ করতে ব্যস্ত। কেউ বা নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করার জন্য ছুটে চলেছে শহরের অলিতে-গলিতে। চারদিকে এত মানুষ তবুও মেহেভীনের নিজেকে ভিষণ একা মনে হচ্ছে। সবকিছু থেকে-ও সে আজ শূন্য। ভেতরটা ফাঁকা ফাঁকা লাগছে ভিষণ। এই মুহুর্তে কারো একটু সঙ্গ ভিষণ ভাবে প্রয়োজন তার। কথা গুলো ভাবতে ভাবতে ইউএনও সাহেবর গৃহের সামনে চলে আসলো। গাড়ি থেকে নেমে দরজায় কলিং বেলে চাল দিল। একটা মেয়ে এসে দরজা খুলে দিল। মেয়েটি নরম কণ্ঠে বলল,
–কাকে চাই? মেহেভীন নিজের পরিচয় দিল। তারপর মেয়েটি মেহেভীনকে বসিয়ে রেখে উপরে চলে গেল। একটু পরেই রেহান আঁখিযুগল ডলতে ডলতে ড্রয়িং রুমে আসলো। সবে মাত্র বাসায় এসে বিছানায় গা এলিয়ে দিয়েছিল। তখনই কাজের মেয়ের ডাক শুনে বিরক্ত হয় সে। কিন্তু যখন মেহেভীনের নাম শুনে, তখনই ধড়ফড়িয়ে উঠে বসে। শরীরে কাপড় পরিধান করেই নিচে আসলো। হাসোজ্জল মুখশ্রী করে মেহেভীনের সামনে বসলো।
–আকাশের চাঁদ টা আমার গৃহে তার চরণ ফেলল। আমার গৃহেটা পবিত্র হয়ে গেল। এত সুন্দর ফুল যদি সারাজীবন আমার গৃহে বাস করত। তাহলে আমার জীবনটা সার্থক হয়ে যেত। তা কি মনে করে সুন্দরী রমনী আমার গৃহে পদচারণ করল। মেহেভীন ঘৃণা ভরা দৃষ্টি নিক্ষেপ করল রেহানের দিকে। মেহেভীন শান্ত কণ্ঠে বলল,
–আপনি আমার সাথে এমনটা না করলে-ও পারতেন স্যার। মেহেভীনের কথায় রেহান বিস্ময় নয়নে মেহেভীনের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। মেহেভীনের বলা একটি বাক্যও তার বোধগম্য হলো না। সে চিন্তিত হয়ে মেহেভীনকে প্রশ্ন করল,
–আমি কি করেছি তোমার সাথে?
–ব্যক্তিগত সমস্যা ব্যক্তিগতই রাখা ভালো ছিল। হিংসা মানুষকে ধংস করে দেয়। সাথে নষ্ট করে দেয় মানুষের মনকে। আপনি আমার এত বড় ক্ষতি না করলেও পারতেন। এবার রেহান বুঝল মেহেভীন কিসের কথা বলছে। তার মুখশ্রীতে তাচ্ছিল্য ফুটে উঠল। সে বিরক্তিকর মুখশ্রী করে বলল,
–আগেই বলেছিলাম। আমার সাথে লাগতে এসো না৷ ফলাফল ভালো হবে না। কিন্তু তোমার কাছে মন্ত্রী সাহেবের টেস্ট বেশি ভালো লাগে। একটা বার আমায় টেস্ট করে দেখতে পারতে। মন্ত্রী সাহেবের থেকে আমার টেস্ট ভালো ছিল৷ হীরা ফেলে কয়লার পেছনে ছুটলে এমনই হয়। রেহানের কথায় মেহেভীনের চোয়াল শক্ত হয়ে এল। সে ক্রোধে দু-হাত মুষ্টিবদ্ধ করে আছে। এর আগেও রেহান তাকে নোংরা নোংরা কথা বলেছে। মেহেভীন সেগুলো এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। রেহান দিন দিন তার সীমা অতিক্রম করে ফেলছে। মেহেভীন শীতল কণ্ঠে বলল,
–আপনি আমার বিরুদ্ধ করা অভিযোগ গুলো তুলে নিন।
–তুমি আমার হয়ে যাও। শুধু অভিযোগ কেন তোমাকেও তুলে নিয়ে আসব। মেহেভীনের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেল। সে উঠে দাঁড়াল। রাগান্বিত হয়ে চিৎকার করে বলল,
–আমি যদি ফেঁসে যাই স্যার। তাহলে আপনাকেও আমি ফাঁসিয়ে দিব। জেলের ভাত আমি একা কেনো আপনাকেও খাওয়াব। কথা গুলোই বলেই মেহেভীন বিলম্ব করল না। দ্রুত পায়ে মেহেভীন গৃহ ত্যাগ করল। মেহেভীন চলে যেতেই দু’জন আগন্তুক বের হয়ে আসলো। তিনজনের মুখশ্রীতে রহস্যময় হাসি। রেহান দু’জনকে উদ্দেশ্য করে বলল,
–শান্ত মস্তিষ্কে মেয়েটা আমাকে হুমকি দিয়ে গেল। এখন মেয়ে টাকে আমার কি করা উচিৎ? একজন আগন্তুক বলল,
–মে’রে দিন শা’লী’কে বহুত জ্বালিয়েছে। এবার ওর ম’রা’র সময় এসে গিয়েছে। সামান্য একটা মেয়ের হুমকিতে ভয় পেয়ে গেলেন ইউএনও সাহেব।
–আমাকে জ্ঞান না দিয়ে তুমি তোমার চিন্তা করো। ধরা পড়ে গেলে বাঁচতে পারবে তো।
–আমাকে ধরা এত সহজ নয়। দ্বিতীয় আগন্তুক বলল,
–নিজেকে নিয়ে এতটা গর্ব করা উচিৎ নয়। আমার মনে হয় তোমার এখন যাওয়া উচিৎ। নয়তো তুমি ধরা পড়ে যাবে। দ্বিতীয় আগন্তুকের কথায় সায় মেলালো রেহান। প্রথম আগন্তুক বিলম্ব করল না। দ্রুত পায়ে গৃহ ত্যাগ করল। প্রথম আগন্তুক চলে যেতেই দ্বিতীয় আগন্তুক বলল,
–ওকে সরিয়ে না দিলে আমরা ধরা পড়ে যাব। মেহেভীনের সাথে ওকে ও আমরা গায়েব করে দেই স্যার? রেহান কিছুটা চিন্তিত হয়ে বলল,
–এখানো সময় হয়নি ওকে শেষ করে দেওয়ার। ওর থেকে এখনো আরো তথ্য নেওয়া বাকি আছে। তুমি এখন আসতে পারো। আমি তোমাদের আবার পরে ডেকে নিব। রেহানের কথায় দ্বিতীয় আগন্তুক গৃহ ত্যাগ করল।
বেলকনির গ্রীল ভেদ করে শীতল হাওয়া এসে মুনতাসিমের শরীর স্পর্শ করে যাচ্ছে। পরম আদুরে ভাবে শীতল আলিঙ্গনে কাঁপিয়ে তুলছে সমস্ত দেহ। নিজেকে এলোমেলো রাখতেই বেশি ভালোবাসে সে। তাইয়ান কফির মগ হাতে নিয়ে মুনতাসিমের কক্ষে আসলো। কক্ষে না পেয়ে বেলকনিতে আসলো মুনতাসিমের হাতে কফির মগটা ধরিয়ে দিয়ে বলল,
–স্যার ম্যাডামের বিষয়ে কিছু শুনেছেন?
–এসব বিষয়ে খবর রাখা কি আমার কাজ তাইয়ান?
–স্যরি স্যার আসলে ম্যাডামের নামে ঘু’ষ খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
–তো আমি কি করব তাইয়ান?
–এই সময়টা আপনি ম্যাডামের পাশে থাকলে ম্যাডাম মনে জোড় পেতো।
–তোমার ম্যাডামের পাশে থাকাই কি আমার কাজ? আমার আর কোনো কাজ নেই? তুমি যাও আমি একা থাকতে চাই। বাসার সবাইকে ড্রয়িং রুমে আসতে বলো। আমার সবার সাথে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে। মুনতাসিমের কথা শেষ হবার সাথে সাথে তাইয়ান অনুমতি নিয়ে বিদায় নিল। মুনতাসিম দীর্ঘশ্বাস ফেলে আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করে আছে। মেহেভীনের সাথে বোধহয় আকাশ টারও মন খারাপ। কালো মেঘে ঢেকে আছে আকাশটা। অন্য দিন চন্দ্রের আলোয় আলোকিত করে আঁধারে ঘেরা ধরনীকে। মুনতাসিম কফি খাওয়া শেষ করে নিচে আসলো। সবাই মুনতাসিমের জন্য অপেক্ষা করছিল। মুনতাসিম আসতেই পুরো পরিবেশ নিস্তব্ধ হয়ে গেল। মুনতাসিম এসে সোফায় বসলো। তার ফুপিকে উদ্দেশ্য করে বলল,
–এবার বলুন ছেলে হিসেবে আমাকে আপনার কেমন লাগে? মুনতাসিমের কথায় সুফিয়া চৌধুরীর মুখশ্রীতে আঁধার ঘনিয়ে এল। সে মুখশ্রী কালো করে বলল,
–তুই হচ্ছিস চাঁদ। আর চাঁদ হয়ে বামুনে হাত দেওয়ার ক্ষমতা আমার আছে। আমি আমার ভুল স্বীকার করছি। আমার ক্ষমা করে দে বাজান। আমি আর কখনো এমন জঘন্যতম অপরাধ করব না। কি করব বল। আমি তো একজন মা। আর একজন মা কখনো তার মেয়ের চোখের পানি সহ্য করতে পারবে না। আমিও মেয়ের জন্য নিকৃষ্ট মন মানসিকতার পরিচয় দিয়েছি৷ আমার মেয়ে তোকে চাইলেই তো হবে না। তোকে ও আমার মেয়েকে চাইতে হবে। এটা আমি ভালো মতোই বুঝে গিয়েছি। তুই যদি না চাস আমরা এ বাড়িতে থাকি। তাহলে কালকেই এ বাড়ি ত্যাগ করব।
–আপনি আমার ফুপি জন্য এখনো কথা বলতে পারছেন। এমন ভুল দ্বিতীয় বার হলে ভুল যাব আপনি আমার ফুপি। জ্যা’ন্ত পুঁ’তে ফেলব একদম। আমার চরিত্রে দাগ লাগানোর অধিকার আমি আপনাদের দেইনি। আর আপনাদের পেছনে যে কলকাঠি নাড়ছে। আমি তাকে-ও সাবধান করে দিচ্ছি। মুনতাসিমকে যেন সে এতটা দুর্বল না ভাবে। কে কোথায় যাচ্ছে কার সাথে মিশে আমাকে মা’রা’র পরিকল্পনা করছে। সবকিছু মুনতাসিমের মস্তিস্কে নোট করা আছে। আমার রক্ত বলে সে পার পেয়ে যাবে। এমনটা ভাবার দরকার নেই। আজ আমি শান্ত আছি। আমাকে শান্ত থাকতে দিন। আমি যেদিন ধরব। সেদিন কেউ বাঁচতে পারবে না বলে দিলাম। কথায় আছে না। চোরের দশ দিন আর সাধুর একদিন। ভালোবাসি বলে আমাকে এত তুচ্ছতাচ্ছিল্য করার কারন নেই। ভালো যেমন বাসতে পারি। ঠিক তেমনই ঘৃণা করে রক্তাক্ত করে দিতে-ও জানি। ঠান্ডা মাথায় সাবধান করে গেলাম। আমার সাথে গেম খেলতে হলে পাকাপোক্ত খেলোয়াড় হতে হবে। গোবর ভরা মাথা নিয়ে মুনতাসিমকে শেষ করা যাবে না। কথা গুলো বলেই স্থান ত্যাগ করল। পুরো পরিবেশে নিস্তব্ধতা ঘিরে ধরলো। একে অন্যের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছে। মুনতাসিম কাকে হুমকি দিয়ে গেল। এখানে সবাই পরিবারের আপন জন। আপন মানুষ কি কখনো মুনতাসিমের ক্ষতি করতে পারে। হ্যাঁ পারে তাইয়ানের মুখশ্রীর দিকে দৃষ্টিপাত করলে, যে কেউ সহজেই ধরে ফেলতে পারবে। তাইয়ান মুনতাসিমের বলা কথা গুলো বুঝতে পেরেছে৷ সেজন্যই বোধহয় তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বেড়েছে। আঁখিযুগল রক্তিম বর্ন ধারণ করেছে। সমস্ত মুখশ্রীতে আঁধার ঘনিয়ে এসেছে। ভেতরটা চূর্ণবিচূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। মনটা হাহাকার করে উঠছে।
চলবে…..
(মেহেভীনের ওপরে কিছু পাঠক রাগ করে আছেন। আচ্ছা আপনারাই বলুন। মেহেভীনকে মে’রে ফেলব? নাকি মুনতাসিমের সাথে বিয়ে দিব? সবাই রেসপন্স করবেন। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। তুসি কালকে পাবেন)