#অনুভূতিরা_শব্দহীন
লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী
ত্রয়শ্চত্বারিংশ পর্ব (৪৩ পর্ব)
কোনো বস্তু পড়ার শব্দে ঘুম ভা°ঙে মৃত্তিকার। ইমতিয়াজ আলমারিতে কিছু একটা রাখছে। মৃত্তিকা ফোন হাতে নিয়ে দেখে মাত্র সাড়ে তিনটা বেজেছে৷ ইমতিয়াজ এখনো ওকে খেয়াল করেনি, সে মনোযোগ দিয়ে পড়ে যাওয়া কিছু তুলছে।
“কি করছেন?”
ইমতিয়াজ একপ্রকার চমকে উঠে বলল,
“ডিস্টার্ব হলো?”
“না না, তেমন কিছু না।”
মৃত্তিকা উঠে বসে। অনেকগুলো কাগজ ইমতিয়াজ নিজের ড্রয়ারে রেখে আলমারি বন্ধ করে। তারপর বিছানায় বসে বলে,
“এখনো ফজরের আজান দেয়নি। তুমি ঘুমাও।”
মৃত্তিকা কপালে এলোমেলো হয়ে থাকা চুলগুলো গুছিয়ে বলল,
“আর ঘুমাবো না। এই সময় ঘুম যখন ভে°ঙেছে, তখন তাহাজ্জুদ পড়াই ভালো।”
ইমতিয়াজ আলতো হাসে,
“ওকে, পড়ো তবে।”
মৃত্তিকা কপাল কুঁচকে বলে,
“আপনি পড়বেন না?”
“হ্যাঁ পড়া যায়।”
“তবে আপনি আগে অযু করে আসেন।”
ইমতিয়াজ মাথানেড়ে সম্মতি জানিয়ে উঠে ওয়াশরুমে চলে গেল। মৃত্তিকা দ্রুত উঠে আলমারি খুলে। ড্রয়ার থেকে অনেকগুলো কাগজ পায় সে, একটা ফিতা দিয়ে হালকা করে বাধা আছে৷ ফিতা খুলে কাগজগুলো বের করে মৃত্তিকা একটু অবাক হয়। তাহমিনাকে উদ্দেশ্য করে লেখা একেকটা চিঠি, হাতের লেখা যতদূর বুঝলো ইমতিয়াজের। এ চিঠি কোন অজানায় যাবে তা সেই জানে।
মৃত্তিকা একে একে সবগুলো চিঠি দেখতে লাগলো। কয়েকদিন পর পর হয়তো চিঠি লিখে। আজও একটা চিঠি লিখেছে,
“আজ হয়তো অন্যকারো হাতের পায়েস খেতে হবে। তোমাকে তো প্রতিদিন মিস করছি, আজ বোধহয় বেশি করবো। ইদ মোবারক মিনা, ভালো থেকো তুমি।”
অন্য একটা চিঠিতে লেখা,
“তুমি রাগ করেছো জানি, তবে জেনে রাখো তোমার স্থান কারো নয়। অলিন্দের ছন্দে মিশে গেছো তুমি। অন্যকেউ চাইলেও এ পর্যন্ত আসবে না।”
মৃত্তিকা জানে ইমতিয়াজ তাহমিনাকে আজও ভালোবাসে, তাহমিনার স্মৃ°তি হাতরে বেড়ায় আজও। তবুও মৃত্তিকার হিং°সা হলো। তাহমিনার স্থান সে পাবে না, চায় না সে স্থান। তাই বলে অন্যকারো হাতের পায়েস খেতে হবে, এভাবে তো না বললেও হতো।
মৃত্তিকা দ্রুত কাগজগুলো রেখে আলমারি বন্ধ করে৷ ইমতিয়াজ বেরিয়ে এসে গামছা দিয়ে মুখ মুছতে মুছতে বলে,
“যাও, অযু করে নাও।”
মৃত্তিকা মাথানিচু করে চলে যায়। কান্না পাচ্ছে তার প্রচুর। সে কেঁদেছে, নামাজে বসেই কেঁদেছে সে। ঠিক যে ভালোবাসা পেতে রিপা বেগম সারাজীবন কেঁদেছিলেন, আজ তার মেয়েও একইভাবে কাঁদছে। কিস°মত বড়ই কঠিন, মা-মেয়েকে একই সুতায় বেঁধে দিয়েছে। মা না জেনে অ°নলে পড়েছিল আর মেয়ে তো জেনেবুঝে পড়েছে৷
______________________________________
ফজরের আযানের আগেই উঠেছে সারাহ্। ড্রিম লাইটের আলোয় আহনাফের উ°ন্মু°ক্ত বুকে মেহেদীর আঁকিবুঁকি দেখে সারাহ্ হেসে উঠে। হাতের মেহেদী কিছু আহনাফের বুকেও লেগে গেছে, আবার তার রঙ হয়েছে।
সারাহ্ আহনাফের বুকে হাত দেয়, মাথানিচু করে চুম্বন দেয়। মাথা ঠেকিয়ে শুয়ে থাকে, একসময় ঘুমিয়ে যায়। আযানের ধ্বনি শুনে আহনাফ উঠতে নিয়ে বুঝে সারাহ্ ওর বুকেই শুয়ে আছে৷
আহনাফ ওর মুখে মাথায় হাত বুলিয়ে জড়িয়ে ধরলো। মুখে ধীরে ধীরে আযানের জবাব দিচ্ছে সে। আযান শেষ হলে সারাহ্-কে ডাকে,
“ঐশী, উঠো।”
সারাহ্ চোখ পিটপিট করে উঠে৷ সরে আসতে চেয়েও আসতে পারলো না। আহনাফ ওর মাথাটা আবারো বুকে রেখে বলে,
“কখন দখল করে নিছো?”
সারাহ্ কিছু বলে না। আহনাফ ওর গাল টে°নে বলল,
“কি হলো? কথা বলো।”
“মেহেদী লেগেছে এখানে।”
আহনাফ মাথা উঠিয়ে দেখে হেসে দিলো। বলল,
“বিয়ের পর এমন একটু আধটু লাগতে পারে৷”
সারাহ্ হেসে উঠে বসে। আহনাফও উঠে বসে সারাহ্-র কাছে এসে বলল,
“তারমানে সারারাত আমাকে জড়িয়ে ধরে ছিলে? একটু সরে টরেও তো থাকা যায়৷ (বড় নিশ্বাস নিয়ে) না, তোমার লজ্জা শরম কিচ্ছু নাই।”
সারাহ্ ওর বুকে ধা°ক্কা দিয়ে উঠে চলে যায়৷ মুখে লাজুক হাসি লেগে থাকে। আহনাফ হেসে নিজের বুকে মেহেদীর রঙ দেখে।
______________________________________
“আমি পাহাড় ভাই°ঙ্গা জাইগ্যা উঠা চান্দেরও বুড়ি
অন্ধকারের মেঘলা মনে জোছনা-পরি।
আমি পাহাড় ভাই°ঙ্গা জাইগ্যা উঠা চান্দেরও বুড়ি
অন্ধকারের মেঘলা মনে জোছনা-পরি।
না বা°ন্ধিলি তুই আমারে মনেরও ঘরে
না ভা°সা°ইলি তুই আমারে প্রেমের জো°য়ারে।
আমি নিশি রাইতের জংলা ফুল
ভা°ঙা নদীর ভাঙা কূল
মইধ্যেখানে জাইগা থাকা চর।”
সকালের নাস্তা সাজাতে সাজাতে গান গাইছে মৃত্তিকা। মনের সুখে না দুঃখে তা তো জানে না, তবে গতকাল থেকেই এই গান তার মনে বেজে যাচ্ছে। মৃত্তিকা তো গান তেমন শুনে না, তবে বাসার পাশে সাউন্ড বক্সে কাল এই গান বেজেছে৷ তার ভালো লেগেছে লিরিক্সটা।
তার জীবনের সাথে সে মিল পেয়েছে। সেও ইমতিয়াজের জীবনে একটা নিশি রাতের জংলা ফুল হয়েই এসেছে আর নাহয় কোনো একটা চর, রাত ফুরিয়ে গেলে ফুল ঝরবে আর জো°য়া°র আসলে চর ডুববে।
ইমতিয়াজ ইদের জামাতে যেতে তৈরি হয়ে এসে চেয়ারে বসতে বসতে বলল,
“কখন করলে এতোকিছু?”
সেমাই, পায়েস, হোয়াইট পাস্তা, ফ্রেঞ্চ টোস্ট আর কফি। বেশ ভারি নাস্তা।
মৃত্তিকা জবাব না দিয়ে সুরভির রুমে নক করে বলল,
“আপু, খেতে আসো। মামানী আসেন।”
“আসছি।”
সুরভির উত্তর পেয়ে মৃত্তিকা নিজে চেয়ার টে°নে বসে পড়ে। ইমতিয়াজের খাবার ওর সামনে সাজিয়ে দেয়, তবে তাকে খাইয়ে দেয় না।
ইমতিয়াজ একচামচ পায়েস নিয়ে ওর দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে,
“খাও।”
“আমার জন্য আছে এখানে।”
“আমি দিচ্ছি তো।”
মৃত্তিকা অল্প একটু মুখে নেয়, ইমতিয়াজ বাকিটুকু খেয়ে ফেলে। মৃত্তিকার চেয়ার টে°নে কাছে এনে বলল,
“এড়িয়ে যাচ্ছো কেন?”
মৃত্তিকা জিভ দিয়ে ঠোঁট ভিজিয়ে বলে,
“কোথায়? না তো।”
ইমতিয়াজ ওর গালে হাত দিয়ে বলল,
“আমি তো বুঝি না, তাই মনে করো?”
মৃত্তিকা ওর দিকে তাকিয়ে বলল,
“অন্যকাউকে কেন বুঝতে যাবেন আপনি?”
অভিমানের সুর, প্রচন্ড অভিমান। একগাদা অভিযোগ নেই, তবে অভিমান মেখেঝেখে আছে। ইমতিয়াজ বলে,
“চিঠিগুলো পেয়ে গেছো? (একটু থেমে) আমার পারমিশন ছাড়া ড্রয়ারে হাত দিয়েছো?”
মৃত্তিকা হ্যাঁ বোধক মাথা নাড়ে। ইমতিয়াজ বৃদ্ধাঙ্গুল দিয়ে ওর কপালে, গালে স্পর্শ করে বলল,
“অভিমান হয়েছে খুব?”
মৃত্তিকা চোখ নামিয়ে নেয়৷ ইমতিয়াজ বলে,
“অভিমান করো না প্লিজ। সবটা আমার জন্য এতো সহজ নয়।”
মৃত্তিকা একটু এগিয়ে এসে ইমতিয়াজের ঠোঁটে নিজের ঠোঁট স্পর্শ করায়। মৃত্তিকা সরে আসতেই ইমতিয়াজ হেসে মুখ ঘুরিয়ে নেয়৷ বলে,
“নামাজে যাবো আমি, দেরি হচ্ছে।”
সুরভি ও দেলোয়ারা রুম থেকে বেরিয়ে আসে। সকলে একসাথে নাস্তা করে৷ নাস্তা শেষে ইমতিয়াজ উঠে রুমে গিয়ে চুল আঁচড়ে আবারো ঠিক হচ্ছে। মৃত্তিকা পিছুপিছু আসে। আতরের শিশি নিয়ে ওর গলার কাছে, হাতে লাগিয়ে দেয়৷
“এখনো রেগে আছো?”
ইমতিয়াজের কথার জবাব মৃত্তিকা দিলো না। ইমতিয়াজ ওর মুখটা নিজের দিকে ঘুরিয়ে বলে,
“কথা তো বলো।”
মৃত্তিকা ওর চোখের দিকে তাকিয়ে বলে,
“তাহমিনার স্থান আমি কোনোদিন চাইনি আর চাইবোও না।”
ওকে পাশ কা°টিয়ে চলে যায়। মৃত্তিকার চোখের পানি সকলের অগোচরে ঝ°রে পড়ে৷ কেন কাঁদছে সে? কার জন্য?
______________________________________
আহনাফ আর আব্বাস সাহেব নামাজে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ব্যস্ততা যাচ্ছে সারাহ্-র। আহনাফকে খাইয়ে দিয়েছে, এখন আবার তৈরি হতেও সাহায্য করতে হচ্ছে।
আহনাফ পুরোপুরি তৈরি হয়ে গেলে সারাহ্ ওকে লম্বা করে একটা সালাম দেয়,
“আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।”
আহনাফ হেসে বলল,
“ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।”
আহনাফের সালাম পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই সারাহ্ হাত বাড়িয়ে বলে,
“সালামি দেন।”
আহনাফ ওয়ালেট বের করতে করতে বলল,
“সালামের জবাব পুরো শুনতে হয়৷ সূরা আন নিসায় বলা আছে, আর যখন তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয় (সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন কর অথবা ওরই অনুরূপ কর। (আল-নিসা ৪:৮৬)”
সারাহ্ একটু নিচুস্বরে বলল,
“আচ্ছা, এরপর থেকে খেয়াল রাখবো।”
আহনাফ ওর গাল টেনে দিয়ে হাতে দুইশত টাকার দশটা নোট ধরিয়ে দিলো। এমনভাবে নোটগুলো বের করলো যেন সে আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছে। সারাহ্ মুচকি হাসে৷
আহনাফ ওকে জড়িয়ে ধরে মাথায় চুম্বন করে বলল,
“ইদ মোবারক, অনেক ভালো দিন কাটুক।”
“আপনাকেও ইদ মোবারক, সাইদার পাপা।”
“সাইদা?”
আহনাফ চমকে উঠে ওর দিকে তাকায়। সারাহ্ হেসে বলল,
“আন্দাজ, সাদাবও আসতে পারে।”
______________________________________
“মৃত্তিকার কাছে ধরা দিও না, ইমতিয়াজও তোমাকে খুঁজছে হয়তো৷ শরীফ অস্ট্রেলিয়া যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করো, খেলা তারপর শুরু হবে।”
“আর কি করবে তুমি? তিন আঙ্গুল দিয়েই মেয়েটা তোমার কপাল ফা°টিয়েছে, সুযোগে ধরলে মে°রে ফেলবে।”
“এই শাফিনকে মা°রা এতো সহজ নয়। আরে আমাকে এখনো খুঁজেই পায়নি।”
“কিন্তু তুমি ধরা পড়েছো। অতিরিক্ত চ°তু°রতা করতে গিয়ে ধরা পড়েছো।”
শাফিন হাসলো। হো হো করে বেশ কিছুক্ষণ হাসার পর শান্ত হলো। মাথার উপরের চুলগুলো সরিয়ে বলল,
“অভিজ্ঞতায় আমি তাদের চারগুণ, অথচ মাথার একটা চুলও পড়েনি। আমাকে গ্রে হেয়ার হ্যান্ডসাম বললেও অবাক হবো না।”
“ভাব কম নেও।”
ধম°ক দিয়েই ফোন রাখে মমতাজ বেগম। ফোনটা খাটে ফেলে রান্নাঘরে যায়৷ সবকিছু গুছিয়ে রেখে এসে রুমে বসে মৃত্তিকাকে কল দেয়।
“আসসালামু আলাইকুম, ইদ মোবারক বড়মণি।”
মৃত্তিকার মিষ্টি কথায় মমতাজ বেগম হেসে বলল,
“ইদ মোবারক৷ আজকে কাকরাইল আসো।”
“ইমতিয়াজ ফিরলে আসবো।”
“হ্যাঁ, আসো। (একটু থেমে) কোথাও যাবে নাকি বেড়াতে?”
মৃত্তিকা একটু ভাবে। কোথায় যাবে ওরা? ইদে তো লোকে গ্রামে যায়। ইমতিয়াজের গ্রামের বাড়িতে কেউ নেই, মৃত্তিকার কেউ থেকেও নেই। মুখ বাঁকিয়ে বলে,
“না, কোথাও যাবো না।”
বেশ কিছুক্ষণ দুজনের কথা হয়। ফোন রাখারা কিছুক্ষণের মধ্যেই শরীফের নাম্বার থেকে কল আসে৷ মৃত্তিকা রিসিভ করে,
“হ্যালো।”
নি°ষ্প্রাণ একটা কন্ঠ পাওয়া গেল,
“ইদ মোবারক মা। কেমন আছো?”
“ভালো।”
“আজকে কি আমরা একসাথে লাঞ্চ করতে পারি?”
“না, দাওয়াত আছে।”
ঠা°স ঠা°স করে জবাব দিচ্ছে মৃত্তিকা। শরীফ একটু মন খারাপ করলো। মেয়ের এমন আচরণ মেনে নেয়া কষ্ট, যদিও দোষটা তো ওরই।
“আগামী সপ্তাহে আমি চলে যাবো, তাই চাচ্ছিলাম…”
কথা শেষ হওয়ার আগেই মৃত্তিকা কল কে°টে দেয়৷ এতো এতো চিন্তায় কেউ ভালো থাকতে পারে না। মৃত্তিকাও ভালো নেই, আবার নতুন চিন্তা সে আনতে চায় না।
ইমতিয়াজ ফিরে এসে জানালো ওরা কাকরাইল যাচ্ছে না, বরং কাকরাইলের সবাই এখানে আসবে। রান্নার জোগাড় শুরু হলো।
______________________________________
বেশ সুন্দর করে সেজেছে সামিহা। খয়েরী গাউন আর হালকা মেকআপে অসাধারণ লাগছে ওকে। তানজিম চোখ ফেরাতে পারবে না, ও তো এতে একদম শিউর।
টিএসসিতে এসেই তানজিমের সঙ্গে দেখা হলো৷ ঘুরতে যাবো দুজনে, তাইতো এখানে এসেছে।
ওর পা থেকে মাথা অব্দি দেখে তানজিম। সামিহা মুচকি হেসে গাউনটা ধরে দুদিকে মেলে দিয়ে বলল,
“কেমন লাগছে আমাকে?”
“ডার্ক ব্রাউন চকলেট কেকের উপর হোয়াইট গার্নিস, ওসাম।”
সামিহা চোখমুখ কুঁচকে ফেলে। বলল,
“এ কেমন প্রশংসা?”
“আমি তো তোর প্রশংসা করিনি।”
“যা, তোর সাথে কোথাও যাচ্ছি না।”
সামিহা চলে যেতে নিলে তানজিম ওর হাত ধরে একটা°নে কাছে নিয়ে আসে। সামিহা চোখ বড় করে একবার তানজিমের দিকে তাকায়, আরেকবার তাকায় হাতের দিকে৷
তানজিম বহুবার ওর হাত ধরেছে, তবে স্পর্শে পার্থক্য করতে সামিহা শিখে গেছে। তানজিম দুচোখ ভরে ওকে দেখে, প্রশংসা বাক্য ছুঁড়ে ফেলতে না পারলেও প্রতি পলকে ভালোবাসা ছুঁড়ে দিলো।
দূর থেকে ওদের দেখে অপরূপা। ডানকানে থাকা ব্লুটুথ নামক ডিভাইসে হাত দিকে বলল,
“তানজিম-সামিহা একত্রেই আছে।”
অপরদিক থেকে মমতাজ বেগম বলেন,
“শুধু নজর রাখো। সামিহাকে শুধু তানজিমের দিকেই ঠে°লে দাও, বাকিটা তানজিম বুঝে নিবে।”
চলবে…..