#অনুভূতিরা_শব্দহীন
লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী
সপ্তদশ পর্ব
মাগরিবের নামাজের পর সুরভির রুমে যায় মৃত্তিকা। সুরভি চারমাসের অন্তঃসত্ত্বা, ওর স্বামী কাউসার আহমেদ দেশের বাইরে থাকেন। তাই তো এ অবস্থায় সুরভিকে বাসায় নিয়ে এসেছেন শাফিন সাহেব।
“আপু, আসবো?”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ, আসো।”
মৃত্তিকা ভিতরে গিয়ে বিছানার একপাশে বসে। সুরভি ইন্দুবালা ভাতের হোটেল নামে একটা বই পড়ছিল। বইটা পাশে রেখে মৃত্তিকাকে বলল,
“মামের সাথে কথা বলে এসেছো?”
মৃত্তিকা আলতো হেসে বলে,
“হুম, ওখানে না গেলেও আমি মামের সাথে সবসময় কথা বলি।”
সুরভির কাছ থেকে বইটা নিয়ে পাতা উল্টায় মৃত্তিকা। সুরভি সেদিকে একটু তাকিয়ে বলে,
“বাংলা উপন্যাস পড়েছো কখনো?”
মৃত্তিকা একটু ভেবে বলে,
“চোখের বালি নামে একটা বই ছিল মামের কাছে, ওইটা পড়েছি।”
সুরভি হেসে বলল,
“বাংলা সাহিত্যে শুধু ডু°ব দাও, ভা°সিয়ে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব সেই নিবে। (একটু থেমে) চা খাবো, একটু বানিয়ে আনতে পারবা?”
“হ্যাঁ, হ্যাঁ, অবশ্যই।”
মৃত্তিকা দ্রুত পায়ে উঠে রান্নাঘরে যায়। চা বসিয়ে দিয়ে গুড়াদুধের কন্টেইনারটা হাতে নিয়ে শুনতে পায় একটা কন্ঠ। ভালো করে কান পাতে, কন্ঠটা মমতাজ বেগমের।
সব ছেড়েছুড়ে ড্রইংরুমে এসে দেখে মমতাজ বেগম আর লুৎফর রহমান মাত্রই বাসায় এসেছে। বড়মণিকে দেখেই মৃত্তিকা জড়িয়ে ধরে। কাঁদোকাঁদো মৃত্তিকাকে আদর করেন মমতাজ বেগম, কপালের স্নেহের পরশ এঁকে দেন।
সুরভিও বেরিয়ে আসে।
“সব আদর মিউকোর আর আমি ফ°ক্কা?”
মমতাজ বেগম হেসে ওকেও আদর করে। তানজিমও এসেছে উনাদের পৌঁছে দিতে, সে থাকবে না। তাই একটু তাড়া দিচ্ছে।
মৃত্তিকা তানজিমকে টেনে বাসার বাইরে নিয়ে গেল,
“ইমতিয়াজের নাম্বার আছে তোমার কাছে?”
তানজিম চোখ বড় করে তাকায়। ইমতিয়াজকে সবসময় “তোমার ইমতিয়াজ ভাইয়া” বলে মৃত্তিকা, সেখানে আজ সোজা ইমতিয়াজ। মৃত্তিকার ছটফটানি দেখে তানজিমের মনে হলো ইমতিয়াজের নাম্বারটা এই মুহূর্তে ওর জীবন বাঁচাবে৷
“নাম্বার দেও।”
মৃত্তিকার কথায় তানজিম চো°য়া°ল শক্ত করে বলে,
“আমার কাছে উনার নাম্বার নেই।”
মৃত্তিকা তানজিমের চেহারার দিকে তাকায়। ছেলেটা মৃত্তিকার চেয়ে প্রায় ৪-৫ বছরের ছোট হবে, এই ছেলে মৃত্তিকাকে চোখ রা°ঙাচ্ছে।
তানজিম বলল,
“আমার বোন হয়তো এই পৃথিবীতে নেই, কিন্তু তার শূণ্যস্থান তোমাকে দিয়ে পূরণ হবে না।”
“কিসব বলছো তুমি, তানজিম?”
তানজিমের চোখমুখ, কপাল কুঁচকে আসে।
“বুঝো না তুমি আপু? ইমতিয়াজ ভাইয়াকে তুমি কোন নজরে দেখো তা আর কেউ নোটিশ না করলেও আমি করেছি। যা করছো খারাপ হচ্ছে। তুমি অন্যকারো বাগদত্তা আর ভাইয়া বিবাহিত।”
মৃত্তিকা চুপ থাকে। ওর চঞ্চল চোখের দৃষ্টি যার বোঝার সে না বুঝলেও তানজিম ঠিকই বুঝেছে।
ভিতরে যাওয়ার আগে তানজিম বলে,
“তাহমিনা আপু বেঁচে থাকলেও কি তুমি এমনটাই করতে? লজ্জা হওয়া উচিত তোমার।”
তানজিম ভিতরে চলে গেছে। সত্যি মৃত্তিকার লজ্জা কমে গেছে। শান্ত, ভদ্র মেয়েটা একটা বিবাহিত ছেলের প্রেমে মাতোয়ারা হয়েছে। তানজিম তো ঠিকই বলেছে তাহমিনা থাকলে কি করতো সে? সবটা মেনে নিতো, নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতো। কিন্তু তাহমিনা যে নেই আর প্রকৃতি তো শূণ্যস্থান রাখে না।
______________________________________
আহনাফ-সারাহ্ বাসায় এসেছে কিছুক্ষণ আগে। সারাহ্ ফ্রেশ হয়ে এসে প্রতিদিনের মতোই দেখে খাবার তৈরি। আহনাফ ওর অপেক্ষা না করে খাবার গরম করে ফেলে। সারাহ্ ভেজা কাপড় বারান্দায় মেলে দেয়। বাইরে এখনো বৃষ্টি পড়ছে।
আহনাফের দিকে বারবার তাকাচ্ছে আর লজ্জায় কুঁচকে যাচ্ছে সে। আহনাফ বিষয়টা খেয়াল করেনি। সে স্বাভাবিকভাবে ফ্রেশ হয়ে আসে।
“ঐশী, খাবে না? চলো।”
আহনাফের প্রশ্নে সারাহ্ কিছু না বলে রুমে এসে চুল ঝা°ড়তে থাকে। আহনাফ ওকে একটু দেখে ডাইনিং এ চলে যায়।
ডাইনিং এ চেয়ার টেনে বসতেই কল এলো আফরোজার। আহনাফ বি°র°ক্তি নিয়ে রিসিভ করে,
“হুম।”
“কেমন আছিস, আহনাফ?”
“ভালো।”
“সারাহ্ কেমন আছে?”
“ভালো।”
“সারাহ্ কোথায়? কি করে?”
“রুমে।”
আহনাফ একশব্দে ছোট ছোট করে উত্তর দিচ্ছে। আফরোজা বুঝে তার ভাই এখন কোনো কারণে তার উপর রেগে আছে।
একটু খারাপ লাগলেও কন্ঠ নরম করে সে,
“আহনাফ, কি হয়েছে?”
আহনাফ উঠে বাসার বাইরে চলে যায়। সারাহ্ মাত্রই ডাইনিং এ এসে আহনাফকে বাইরে যেতে দেখে ডাক দিতে নিয়েও ডাক দেয় না।
মেইন দরজার বাইরে গিয়ে আহনাফ বলে,
“র°ক্তের সম্পর্কের মানুষগুলো, হ্যাঁ তোমাদের কথাই বলছি। তোমরা এক ছটাক আমাকে বুঝো না আর বাইরের একটা মেয়েকে দিয়ে গেছো আমাকে বোঝার জন্য।”
“বাইরের একটা মেয়ে” কথাটা সারাহ্ বুঝতে পারে। আহনাফ যে ওকেই বোঝাচ্ছে, নাহলে আর কাউকে তো এখানে দিয়ে যায়নি। সারাহ্ দরজার কাছে চলে যায়।
“আহনাফ, তুই কি সারাহ্-র সাথে মিসবিহেভ করিস? কিছু উল্টাপাল্টা বলিস ওকে?”
একটু চুপ থেকে আহনাফ বিপরীত পাশের কথাটা শুনে, আফরোজার কথা সারাহ্ না শুনলেও আহনাফের কথা ঠিকই শুনে।
“না, ওই মেয়েকে আমি কি বলবো? দোষ তো আমার যে এই রাগের মাথায় বিয়েটা করেছি। মেয়েটার জীবনটা জেনেবুঝে নষ্ট করছি। (একটু থামে) সম্পর্ক? তার কাছে এখন আমরা পারফেক্ট হাসবেন্ড-ওয়াইফ। আমি যেভাবে নিজেকে প্রেজেন্ট করবো, মানুষ আমাকে সেভাবেই বুঝবে।”
চমকে উঠলো সারাহ্। আহনাফ নিজের একটা মি°থ্যা রূপ ওকে দেখাচ্ছে। যে রূপে ওর মনে হচ্ছে আহনাফ ওকে ভালোবাসে, প্রচন্ড রকম ভালোবাসে।
সারাহ্ দরজার পাশ থেকে সরে রুমে আসে। আহনাফকে ও এখনো বুঝতে পারেনি। আহনাফ ঠিক বলে ওকে কেউ বুঝে না।
কিছুক্ষণ আগের লজ্জাটা উধাও হলো তার। মেকি মূহুর্তেগুলো মনে রাখতেই চাচ্ছে না সারাহ্। সারাহ্ মজবুত নারীর মতো নিজেকে বোঝাতে থাকে বারবার।
আহনাফ এখনো ফোনে কথা বলছে,
“রাগের মাথায় বিয়ে করি আর যেভাবেই করি না কেন বিয়ে হয়েছে আর এটা আমি অস্বীকার করতে পারবো না। নিজের স্ত্রীকে আগলে রাখতে হয় তা আমি জানি। (একটু থেমে) কিন্তু এই আগলে রাখায় ভালোবাসাও থাকতে হয়।”
আফরোজা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
“কি কম আছে সারাহ্-র মধ্যে?”
আহনাফ বি°র°ক্ত হয়। বলল,
“কম আছে। সবকিছুতে অতিরিক্ত বুঝে সে, বাড়াবাড়ি করে। যখন আমি যেরকম চাই সেরকম কিছুই হয় না। আবার…”
আহনাফ থেমে যায়। সারাহ্ তাকে প্রতি মূহুর্তে আর্কষণ করে। একটা অব্যক্ত, বেনামি সম্পর্কের টা°নে যেন বারবার সে সারাহ্-র দিকে যায়। একে সে ভালোবাসা বলতে নারাজ।
আফরোজা বলে,
“আবার কি?”
“কিছু না।”
আহনাফ কল কে°টে ফোন সাইলেন্ট করে দেয়। কে দোষী, কে নির্দোষ আর এসব নিয়ে এখন আর ভাবনার সময় নেই।
আহনাফ এসে সারাহ্-কে ডাকে,
“কি হলো? এখনো খেতে আসোনি?”
সারাহ্ চমকে উঠে বলে,
“আসছি।”
খেতে বসে আবারো সে আড়চোখে আহনাফকে দেখে। আহনাফ নিরবে খাচ্ছে। সারাহ্ ঠিকমতো খেতে পারছে না। ওর মনে হচ্ছে আহনাফ ওকে ঠকাচ্ছে, অভিনয় করছে ওর সাথে।
“কি হয়েছে, ঐশী? খাচ্ছো না কেন?”
সারাহ্ মাথানিচু করে খেতে খেতে বলে,
“এইতো শুরু করেছি।”
এইযে মাত্রই সারাহ্ও পেরেছে নিজেকে লুকাতে, নিজের মিথ্যা চেহারা দেখাতে। কিন্তু এই মিথ্যা চেহারা নিয়ে সংসার কিভাবে বাঁচিয়ে রাখবে সারাহ্? চিন্তায় পড়ে সে।
______________________________________
একসপ্তাহ পেরিয়ে গেল। কলরব নিয়ম করে প্রতিদিন মৃত্তিকাকে কল দেয়, এটাসেটা কথা বলে। আজ একদম দেখা করতে চলে এসেছে। এই বিষয়গুলো মৃত্তিকার কাছে একটু অস্বস্থির।
মামী দেলোয়ারার সাথে কথা বলছে কলরব। মৃত্তিকাকে তৈরি হতে বলেছে, দুজনে শপিংয়ে যাবে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে, মনের বিরুদ্ধে গিয়েই তৈরি হলো সে।
ড্রইংরুমে আসতেই দেলোয়ারা আদুরে কন্ঠে বললেন,
“মাশাল্লাহ, মিউকো। কি সুন্দর লাগছে।”
মৃত্তিকা মাথানেড়ে জোরপূর্বক মুচকি হাসে। কলরব ওর দিকে তাকায়। মৃত্তিকা মাথানিচু করে।
সকাল ১০ টায় কলরবের সাথে বের হয় মৃত্তিকা। কলরবের নিজের গাড়ি আছে, সেটাতে করেই যাচ্ছে ওরা। এসি গাড়ি, ঘন্টার পর ঘন্টার জ্যামে যেখানে অস্বস্তি কম হবে। তবুও এসব বিলাসিতা ভালো লাগছে না মৃত্তিকার। ইমতিয়াজের মতো সাদাসিধা জীবন ওর ভালো লাগে। অতিরিক্ত চাওয়া নেই ওর।
শপিংমলে পৌঁছে কলরব ওকে বলে,
“একটু দাঁড়াও, আমি গাড়িটা পার্ক করে আসি।”
সরাসরি তুমি করে ডাকায় মৃত্তিকার অস্বস্তির পরিমাণ বাড়ে। তবুও মাথানেড়ে সম্মতি জানায়।
কলরব গাড়ি রেখে এসে বলে,
“চলো, আগে কোথায় যাবে? শাড়ির দোকানে?”
“চলুন।”
হাঁটতে হাঁটতে কলরব বলল,
“তুমি এতো চুপচাপ কেন? একটু কথা বলে ফ্রি হও।”
“দুনিয়ায় সকল মানুষ একরকম হয় না। ভিন্ন কিছু মানুষ থাকে, সেরকম ভিন্ন মানুষ আমি।”
কলরব শব্দ করে হেসে বলল,
“ইতালিতে এমনভাবেই থাকতে? বয়ফ্রেন্ডের সাথেও এমনই ছিলে?”
মৃত্তিকা চমকে উঠে। ইতালিতে থাকতে হলে কি বয়ফ্রেন্ড থাকাটা বাধ্যতামূলক? একজন শিক্ষিত মানুষ এমন নিচু চিন্তা কিভাবে করতে পারে বুঝতে পারে না মৃত্তিকা।
“আমার বয়ফ্রেন্ড ছিল না।”
কলরব আবারো হাসলো। বলল,
“বিদেশের বয়ফ্রেন্ড বিডিতে আসবে না। সো, নো টেনশন। (একটু থেমে) আমারো গফ ছিল, কয়েকমাস লিভ ইন রিলেশনশিপে ছিলাম। দ্যাটস নরমাল।”
মৃত্তিকা চোখ ছোট করে তাকায়। এমনভাবে কথাটা বলল যেন লিভ ইন রিলেশনশিপ খুবই সহজলভ্য বিষয়। কলরবের আচরণ খারাপ লাগে তার, কেমন যেন প্লে°বয় টাইপ আচরণ। এই ছেলের সাথে সারাজীবন কিভাবে কাটানো যেতে পারে?
ওদের থেকে কিছুদূরে শরীফকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে মৃত্তিকা। একবার কলরবের দিকে তাকিয়ে দ্রুত একটা দোকানে চলে যায়। পিছন ফিরে আবারো শরীফকে দেখে একটা ঢোক গিলে।
______________________________________
কলেজে আজ পিঠা উৎসব হচ্ছে। অক্টোবরের এই সময়টা পিঠা উৎসবের জন্য শ্রেষ্ঠ সময়। কলেজের মাঠে প্যান্ডেল করে সারি সারি পিঠার পশরা সাজানো হয়েছে। বিভিন্ন এলাকার বিভিন্ন রকমের পিঠা।
কয়েকদিন ধরেই সারাহ্-র মন মানসিকতা বা শরীর কোনোটাই ভালো নেই। দূর থেকেই এসব দেখছে সে। অতিরিক্ত টেনশনের ফলে তার র°ক্ত°চাপ কমেছে, সাথে বমি বমি ভাব হচ্ছে। পিঠার ঘ্রাণে সারা কলেজ মৌ মৌ করলেও সারাহ্-র বমি পাচ্ছে এসব গ°ন্ধে।
কেমিস্ট্রির একজন সিনিয়র ম্যাডাম এসে বলল,
“আরে সারাহ্, এখানে দাঁড়িয়ে আছো যে। চলো, কোনো একটা পিঠা খাবে।”
সারাহ্ মৃদু হেসে বলল,
“না ম্যাম, আমার ইচ্ছা নেই।”
“ওমা, কতশত পিঠা এখানে, ইচ্ছা নেই কেন?”
“এমনিই।”
“তুমি ইদানীং এমন গু°মো°ট কেন?”
“শরীর ভালো নয়।”
“ওহ।”
ম্যাডাম চলে গেলেন। সারাহ্ খানিক দূরে আহনাফকে এদিকে আসতে দেখে টিচার্স রুমে যাওয়ার জন্য পা বাড়াতে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে যায়। পড়ে যাওয়ায় পায়েও বেশ ভালোই ব্য°থা পেয়েছে।
আহনাফ দৌড়ে এসে ওকে ধরে বলে,
“ঐশী, কি হলো?”
কয়েকজন ম্যাডাম আর স্টুডেন্ট চলে আসায় আহনাফ ওকে কোলে তুলে একটা ক্লাসে নিয়ে যায়। বেঞ্চে শুইয়ে দিয়ে মুখে পানির ছিটা দিতেই সারাহ্-র জ্ঞান ফিরে।
কেমিস্ট্রির সেই ম্যাডাম এসে বলে,
“লাস্ট কয়েকদিন ওর এ অবস্থা ছিল। প্রেগন্যান্ট নাকি?”
“কি?”
আহনাফ একটু জোরেসোরেই কথাটা বলে।
আহনাফ সকলকে বলে,
“ভীড় কমান। সারাহ্ ম্যাডাম ঠিক আছে।”
ধীরে ধীরে ভীড় কমে। সবাই বেরিয়ে গেছে, রুমে আহনাফ আর সারাহ্ ছাড়া আর কেউ নেই।
সারাহ্ ধীরে ধীরে উঠে বসে। আহনাফের দিকে তাকিয়ে বলে,
“আমি বাসায় যাবো।”
“কি হয়েছে তোমার?”
সারাহ্ হিজাব টে°নে°টু°নে ঠিক করে বলল,
“প্রেশার ডাউন।”
আহনাফ ওর দিকে তাকিয়ে থেকে বলে,
“তোমার আচরণে পরিবর্তন এসেছে, ঐশী। কলেজের ম্যাডামরাও নোটিশ করছে।”
সারাহ্ উঠে দাঁড়িয়ে বলল,
“বাসায় গিয়ে আমরা আমাদের পার্সোনাল কথাগুলো বলি? এটা কলেজ।”
আহনাফ মাথা নেড়ে ওর দিকে পানির বোতল এগিয়ে দেয়। সারাহ্ পানি পান করে বেরিয়ে যায়।
আহনাফ একটু চিন্তায় পড়ে। সারাহ্ যে কিছু নিয়ে অনবরত ভাবছে তা সে বুঝেছে। গভীরভাবে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে।
চলবে…..