অনুভূতিরা_শব্দহীন লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী চত্বারিংশ পর্ব (৪০ পর্ব)

0
380

#অনুভূতিরা_শব্দহীন
লেখনীতে: #ইসরাত_জাহান_তন্বী

চত্বারিংশ পর্ব (৪০ পর্ব)

শাফিনের ফাঁ°সির রা°য় কার্যকর হয়েছে। চিন্তিত মানুষগুলো স্বস্থির নিশ্বাস ফেলে। শাফিনের উপর অত°র্কি°ত হা°ম°লার জন্য মৃত্তিকাকে এসপির অফিসে রাখা হয়েছে৷ খবর পেয়ে ইমতিয়াজ ছুটে এসে অফিসারকে বুঝিয়ে সুঝিয়ে মৃত্তিকাকে নিয়ে আসে।

আহনাফের ফোনে একের পর এক কল করে যাচ্ছে সারাহ্। মধ্যরাত্রী চলছে অথচ আহনাফ বাসায় ফেরেনি, চিন্তা হওয়া তো অস্বাভাবিক নয়। অনেক লোকের ভীড়ে থাকায় ফোনের শব্দ আহনাফ শুনছে না।

ইমতিয়াজ মৃত্তিকাকে নিয়ে বাইরে আসে। আহনাফ ওকে দেখে হাত নাড়ে। ইমতিয়াজ এসে বলল,
“লা°শ বের করেছে?”
“উহু, সেই অপেক্ষাই করছি।”

মৃত্তিকা মাঝ থেকে বলে,
“ব°ডি তো ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাবে। এসপি তো তাই বলছিলো।”
“তবে আমিও সেখানে যাবো।”

ইমতিয়াজের কথায় আহনাফ মাথা নাড়ে। অবশেষে এ°ম্বু°লে°ন্সে করে শাফিনের দেহ বের করে আনা হয়। সুরভি বা দেলোয়ারা কেউই নেই। বাড়ির লোক বলতেই কেউ এখানে নেই। বাড়ির লোকের পরিচয় দিয়ে ইমতিয়াজ-মৃত্তিকা এ°ম্বু°লে°ন্সে উঠে যায়৷ আহনাফ অন্য পথে ঢামেকে পৌঁছায়। সেখানে দেহ গোসল করিয়ে, ক°ফি°নবন্ধী করা হয়। অনেকক্ষণ পর তানজিমের সাথে মমতাজ বেগম আসে আর তারপর লুৎফর রহমান সুরভি ও দেলোয়ারাকে নিয়ে আসে।

ইমতিয়াজের কানের কাছে ফিসফিস করে মৃত্তিকা বলে,
“ফাঁ°সির আ°সা°মীকে এতো সেবা করে বিডিতে?”

উত্তর জানা না থাকলেও ইমতিয়াজ একটা উত্তর দেয়,
“স্পেশাল কতগুলাকে করে বোধহয়।”

শাফিনের শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী দা°ফ°ন হবে খুলনায়৷ তার পিতৃ নিবাসে, পিতার কবরের পাশে। ব্যবস্থা করা হলো।

আহনাফ এসে কথাটা শুনে ইমতিয়াজকে বলে,
“আপনি কি যাবেন ভাইয়া?”
“হ্যাঁ।”

আহনাফ ঘড়িতে সময় দেখে বলল,
“আমি তো যেতে পারবো না, আপনি কি আমাকে আপডেটটা জানিয়ে দিতে পারবেন?”
“ওকে, নো প্রবলেম।”
“থ্যাংকস, তবে আমি বাসায় চলে যাই।”
“ওকে।”

দুজনে হ্যান্ডশেক করে। আহনাফ বেরিয়ে পড়ে বাসার উদ্দেশ্যে। মৃত্তিকা মিনমিনে স্বরে ইমতিয়াজকে বলে,
“আমিও (একটু থেমে) কি যেতে পারি?”
“না, যা করেছো তুমি তাই যথেষ্ট।”

মৃত্তিকা ওর হাত জড়িয়ে ধরে বাহুতে পরপর কয়েকটা চুম্বন করে৷ ইমতিয়াজ চমকে আশেপাশে তাকিয়ে হাত সরাতে চাইলে মৃত্তিকা বলে,
“ইজ্জত বাঁচাতে চাইলে সাথে নিয়ে চলেন।”
“আচ্ছা, আচ্ছা, যাবে। এখন ছাড়ো।”

মৃত্তিকা হাত ছেড়ে দেয়। ইমতিয়াজ অন্যদিকে তাকালে মৃত্তিকার চেহারা গম্ভীর হয়ে যায়। মৃত্তিকার মনে পড়ে শাফিনের বলা কথা,
“এখানে আরো অনেক কিছু আছে।”
______________________________________

রাত প্রায় দুইটায় আহনাফ বাসায় ফিরে আসে। শশুড়বাড়ির লোকজন কি ভাববে তার চেয়ে বড় চিন্তা সারাহ্ কেমন আছে। লোকজনের শোরগোল থাকায় জেল থেকে সে কোনো কল দেয়নি বা ফোন ধরে দেখেনি কোনো কল এসেছে কিনা। এখন যখন দেখছে সারাহ্ এতোবার কল দিয়েছে তার মানে মেয়েটা প্রচন্ড রেগে আছে।

বেল না বাজিয়ে সারাহ্-র নাম্বারে কল দেয় আহনাফ। সারাহ্ নামাজ পড়ছিল, সালাম ফিরিয়ে ফোন হাতে নিয়ে আহনাফের নাম্বার দেখে কল কে°টে দেয়। আহনাফ আবারো কল দেয়, সারাহ্ রিসিভ করে না। পরে ম্যাসেজ দেয়,
“ঐশী গো, দরজা খুলো।”

সারাহ্ রুম থেকে বের হয়। এখনো কেউ উঠেনি৷ নার্গিস পারভিন রান্নাঘরে আছেন, হয়তো উনি সেহরি প্রস্তুত করছেন।

সারাহ্ একটু জোরে বলে,
“আম্মু, দরজা খুলে দাও।”
“কেন?”
নার্গিস পারভিন বের হয়ে আসেন।

সারাহ্ মুখ বাঁকিয়ে বলল,
“তোমার গুণধর জামাই এসেছে।”

নার্গিস পারভিন কপাল কুঁচকে গিয়ে দরজা খুলে। আহনাফ দরজা খোলার শব্দে যতটা স্বাভাবিক হয়েছিল, নার্গিস পারভিনকে দেখে ততটাই অ°প্রস্তুত হয়ে যায়।

গলা ঝেড়ে বলল,
“মা?”
“আসো।”

আহনাফ বাসায় প্রবেশ করে। কেউ যাতে টের না পায় সেজন্য ও সারাহ্-কে ম্যাসেজ করে দরজা খুলতে বলেছিল আর সারাহ্ মাকে জানিয়েই দিয়েছে৷

আহনাফ একটু ইতস্তত করেই বলল,
“মা, আসলে একটা কাজ ছিল তাই দেরি হয়েছে। কিছু মনে করবেন না।”
“না না, সমস্যা নেই। তুমি ফ্রেশ হয়ে নাও।”

আহনাফ রুমে এসেই সারাহ্-কে বলল,
“মাকে জানানোর খুব প্রয়োজন ছিল?”

সারাহ্ একমনে জিকির করছে, এমন এক ভাব যেন আহনাফের কথা সে শুনতেই পাচ্ছে না। আহনাফ বিছানায় বসে বলল,
“মা কি জানলো? আমি রাতে দেরি করে বাসায় ফিরি, উনি ভাবছে প্রতিদিন আমি এমনই করি।”

সারাহ্ জিকির থামায়। শান্তভাবে জবাব দেয়,
“বাসায় না আসতেন, তবেই হতো।”

আহনাফ ওর থুতনিতে হাত দিয়ে বলল,
“রাগ করেছো?”
“না।”
বলেই সারাহ্ মুখ ফিরিয়ে নেয়।

আহনাফ একদৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো ওর দিকে৷ অবশেষে সারাহ্ তাকায় ওর দিকে। বলে,
“কোথায় গিয়েছিলেন?”

আহনাফ এই জবাবটাই দিতে চাচ্ছে না। চুপ করে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকেই দুজনে ওষ্ঠোধর জোড়া এক করে দিলো। সারাহ্-র বাধা তো সে সবসময়ই উপেক্ষা করে। সারাহ্ একহাতে আহনাফের চুল খা°ম°চে ধরে, অন্যহাতে আহনাফের হাতের মুঠোয় পড়ে রইলো।
______________________________________

সেহরিটা বাইরেই করেছে ইমতিয়াজ ও মৃত্তিকা। ফজরের নামাজটাও রাস্তায় পড়ে নিতে হয়েছে৷ ভোরের আলো ফুটে উঠছে একটু একটু করে। পুব আকাশে লাল সূর্য দেখা যাচ্ছে।

লা°শের গাড়িতে যাচ্ছে ওরা। পেছনে একটা গাড়িতে মমতাজ বেগম, লুৎফর রহমান, তানজিম, সুরভি আর দেলোয়ারা আছে।

মৃত্তিকা বারবার ক°ফি°নটা দিকে তাকাচ্ছে। ফ্রিজিং গাড়ি নয়, সাধারণ একটা এ°ম্বু°লে°ন্স দিয়ে পাঠানো হচ্ছে৷ মৃত্তিকার মনে হচ্ছে লা°শটা উঠে যাবে, শাফিন উঠে দাঁড়াবে আর ওকেও ওর মামের মতোই মে°রে ফেলবে।

সিটে হেলান দিয়ে ইমতিয়াজ ঘুমিয়ে গেছে৷ নিস্তব্ধ পরিবেশ, একটা গু°মোট ভাব। মৃত্তিকা ঢোক গিলে পিছনে ফিরে তাকালো। না, ক°ফি°ন বন্ধই আছে।

“ইমতিয়াজ, ইমতিয়াজ।”

দুবারের ডাকেই ইমতিয়াজ চোখ খুলে। মৃত্তিকার দিকে তাকিয়ে বলে,
“কি?”
“রাস্তা ফুরোয় না কেন?”

ইমতিয়াজ একটু হেসে ওকে একহাতে আগলে নিয়ে বলে,
“ঘুমাও, ফুরিয়ে যাবে।”
“তবে আপনি জেগে থাকুন।”
“হুম, জেগে আছি।”

মৃত্তিকা ওর কাঁধে মাথা রেখে চোখ বুজে। ইমতিয়াজ মৃত্তিকার হিজাবটা ঠিকঠাক করে দিয়ে বলল,
“ওই দুইটা হিজাবই ঘুরে ফিরে পড়তেছো। আলমারিতে তো আরো আছে, পড়তে পারো ওইগুলা।”

মৃত্তিকা ওর দিকে না তাকিয়ে বলে,
“এই দুইটা তাহমিনার তাই পড়ছি।”
“ওইগুলাই তাহমিনারই।”
“আমাকে নিউ কিনে দিয়েন, আর এই দুইটা পড়বো।”

ইমতিয়াজ একটু জোরপূর্বক হাসে৷ মৃত্তিকা বলে,
“আমি যখন তাহমিনার মতো চলে যাবো, তখন এই দুইটা হিজাব একবারে হাতে নিলেই দুজনের স্মৃ°তি পেয়ে যাবেন।”

মৃত্তিকার যুক্তির বহরও আছে। মৃত্তিকা বামহাতের তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে ইমতিয়াজের বুকে হাবিজাবি করে ঘুরাতে থাকে। ইমতিয়াজ ওর হাতে ধরে থামিয়ে দিয়ে বলে,
“ঘুমাও।”
______________________________________

ফজরের পর সারাহ্ ছাদে গিয়ে বসে৷ সারারাত নির্ঘুম মেয়েটার চোখেমুখে দুশ্চিন্তা। মায়ের বলা সেদিনের কথাগুলো নিয়ে ভাবছে সে৷ ও জানে না শাফিন কে? কোথায় আছে? তবে মায়ের একজন পূর্ব শত্রু আছে, যে এখন তাকেও মা°রতে পারে।

আহনাফ এসে ওকে ডাকে,
“ঐশী?”

সারাহ্ ফিরে তাকায় না। কোনো উত্তরও দেয় না। আহনাফ এসে ওর সামনে দাঁড়ায়।

“আজকে বাসায় ফিরে যাবো, এখন তবে একটু ঘুমিয়ে নাও।”
“আমি যাবো না আহনাফ, আপনি চলে যান।”

আহনাফ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“যেসব চিন্তা থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছি সেসব চিন্তাই তোমার আশেপাশে আসছে বারবার।”

সারাহ্ ফ্লোরে বসে পড়ে। আহনাফ পাশে বসে৷ সারাহ্ বলে,
“সবকিছু থেকে দূরে রাখতে চাচ্ছেন? কিন্তু জানেন তো অনেক ঘটনা আমার আশেপাশে হয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন। আমি দেখি কিন্তু কথা বলি না।”
“কি হয়েছে?”

সারাহ্ লাল হয়ে থাকা আকাশের দিকে তাকায়। কয়েক মুঠো মেঘে ভেসে বেড়াচ্ছে সেখানে। মেঘেদের সাথে দীর্ঘশ্বাসগুলো উড়িয়ে দিতে ইচ্ছা করছে তার।

বেশ খানিকক্ষণ চুপ থেকে সারাহ্ মায়ের বলা সমস্ত কথা আহনাফকে বলে দেয়। আহনাফ নিরব মনোযোগী শ্রোতার মতো সবকিছু শ্রবণ করে বলে,
“শাফিনের ফাঁ°সি হয়েছে মধ্যরাতে, আমি সেখানেই ছিলাম।”

একটা স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে সারাহ্। যেন বিশাল চাপমুক্ত হলো সে।
______________________________________

সকাল নয়টায় খুলনায় নিজের নানাবাড়িতে পৌঁছায় মৃত্তিকা। প্রথমবার এখানে এসেছে সে৷ পুরাতন জমিদার বাড়ি আর গো°র°স্থানের কিছু জায়গা ছাড়া আর কিছুই এখানে অবশিষ্ট নেই।

কবর খোঁড়া হয়েছে। ইমতিয়াজ কবরের কাছে ভিতরে দেখে, একটু গভীর করে কবরটা খোঁড়া হয়েছে৷ আশেপাশের দেয়ালগুলো একদম সোজা। ইমতিয়াজ নামতে নিলে মৃত্তিকা দূর থেকে ডেকে বলে,
“এই নামবেন না।”

মৃত্তিকা দৌড়ে ওর কাছে এসে বলল,
“একদম না। এমন একজন মানুষের কবরে আপনি কেন নামবেন?”

মৃত্তিকার বাধা ইমতিয়াজ মেনে নেয়। সময় গড়ায়, শাফিনের জা°নাযা হলো তারপর দা°ফন। এবারে ফিরে যাওয়ার পালা। মমতাজ বেগমের এক বি°লাপ,
“আমার ভাই নির্দোষ, নিষ্পাপ।”

পুরোনো জমিদার বাড়ির বারান্দায় যোহরের নামাজ পড়ে মৃত্তিকা। ইমতিয়াজ মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে একটু আগেই এসেছে।

পাশের বাড়ি থেকে দিয়ে যাওয়া প্লাস্টিকের চেয়ারে বসে ইমতিয়াজ আশেপাশে চোখ বুলায়। লতাপাতা জন্মে গেছে বাড়ির দেয়ালে৷ বহুবছর এখানে কেউ আসেনা, থাকেনা। ময়লা, ধুলাবালি আর শুকনা পাতায় ভরে গেছে জায়গাটা।

মৃত্তিকা নামাজ শেষে বলল,
“কখন রওনা দিবো আমরা?”
“একটু পর, মা শান্ত হোক একটু।”

মৃত্তিকা উঠে নিজের হিজাব ঠিক করে। হঠাৎ একটা শব্দ শুনে সে, মনে হলো কোনো বড় কিছু নাড়াচাড়া করা হচ্ছে। তবে শব্দটা খুব মৃদু হওয়ায় সে ভালোমতো কিসের শব্দ বুঝতে পারলো না।

“ইমতিয়াজ, আপনি কোনো শব্দ পেয়েছেন?”

ইমতিয়াজ আশপাশটা দেখতে ব্যস্ত৷ মৃত্তিকার কথায় মাথা নেড়ে বলল,
“না তো।”
“কিন্তু আমি তো কিছু শুনলাম।”

ইমতিয়াজ ভালো করে শুনতে চেষ্টা করে, তবুও কিছুই শুনে না।

“তোমার মনের ভুল, মৃত্তিকা।”
“হতে পারে।”
মৃত্তিকা মাথা নাড়ে৷

তানজিম ওদেরকে ডেকে বলল,
“ভাইয়া, আসো।”

ইমতিয়াজ উঠে দাঁড়িয়ে বলে,
“চলো।”

দুজনে বেরিয়ে আসে৷ ইমতিয়াজ একটু আগে আগে চলে যায়৷ মৃত্তিকা সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় ওর মনে হলো কেউ বাড়ির ভিতরে আছে। মৃত্তিকা ফিরে তাকায়। কোথাও কেউ নেই, কিন্তু ওর মনে হচ্ছে কেউ আছে৷ আবারো সেই শব্দ, কিছু একটা টে°নে নেয়ার শব্দ৷

“ইমতিয়াজ?”

ইমতিয়াজ ফিরে আসে। বলে,
“কি?”
“কেউ আছে ওখানে?”

ইমতিয়াজ তাকায় ভালো করে৷ বলে,
“তুমিই দেখো না কেউ আছে কিনা?”

ইমতিয়াজ ওর হাত ধরে বলল,
“চলো।”

মৃত্তিকা ধীরে ধীরে হেঁটে যাচ্ছে, আবারো পিছনে ফিরে চায়। কেউ নেই, কিন্তু বারবার শোনা সেই শব্দ কি সত্যি?

অপরূপা বাড়ির ভিতর থেকে ওদেরকে দেখে৷ তারপর পিছনে ফিরে ওর লোকদের বলে,
“শাফিনকে দ্রুত আনো।”
“আনছি তো।”

অপরূপা নিজের গোলাপী ঠোঁটগুলো বাঁকিয়ে হেসে আবারো জানলার ফাঁক দিয়ে তাকায়। বলে,
“তোমরা ভেবেছো শাফিন ম°রে গেছে? শাফিন কিভাবে ফিরে আসবে তা তোমরা টেরও পাবে না। হ্যাপি জার্নি।”

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here