প্রিয়াঙ্গন #পার্ট_১৫ জাওয়াদ জামী জামী

0
214

#প্রিয়াঙ্গন
#পার্ট_১৫
জাওয়াদ জামী জামী

” নানিমা, তারাতারি খেয়ে নিন। আজকে আমি চিংড়ির মালাইকারি করেছি। খেয়ে আমাকে ইশারায় বলুন কেমন হয়েছে। ” কুহু ফাতিমা খানমকে খাইয়ে দিচ্ছে আর কথা বলছে।

ফাতিমা খানম তৃপ্তি সহকারে খাচ্ছেন। তার চোখেমুখে তৃপ্তির বহিঃপ্রকাশ দেখে কুহুর বেশ ভালো লাগছে।

” নানিমা, আপনাকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে চাই। অনুমতি দেবেন? ” কুহু নানিমার অনুমতির অপেক্ষায় তার দিকে তাকিয়ে আছে।

ফাতিমা খানম মাথা ঝাঁকিয়ে অনুমতি দিলেন।

” আপনার ঐ হ্যাংলা, ছ্যাঁচড়া নাতি আর কতদিন থাকবে বলুনতো? নির্লজ্জ, বেহায়া লোক একটা। আমার সাথে শুধু অসভ্যতামি করার তালেই থাকে। তাকে দেখলে মনে হয় কোন গহীন জঙ্গল থেকে শেকল পরা উজবুক উদয় হয়েছে। ” বৃদ্ধা ফ্যালফেলিয়ে তাকিয়ে আছেন কুহুর দিকে।

এদিকে কুহু বৃদ্ধাকে খাওয়াচ্ছে আর কথা বলছে।

” আপনার দুই নাতিই চিজ মাইরি। একজন ছ্যাঁচড়া, আর আরেকজন খোঁ’চা কুমার। এই যে আমি কত যত্ন করে চিংড়ির মালাইকারি রান্না করলাম। আর সে কিনা আমাকে বলে টেস্ট করে দেখতে! আমি যদি লবন দিয়ে তরকারি তিতা করে ফেলি! আমি কি ইচ্ছে করে তরকারি নষ্ট করব, বলুন? আবার আমাকে গা’ধা, গা’ধী বলে ডেকেছে। কথায় কথায় আমাকে ধমকায়। যার নিজের স্বভাব শাখামৃগের ন্যায়, আর সে কিনা আমাকে গা’ধা বলে! আমি নেহাৎ ভদ্র মেয়ে তাই ঐ খোঁ’চা কুমারকে কিছু বলিনা। তাই বলে কিন্তু ঐ ছ্যাঁচড়া, লালমুখো হ’নু’মা’ন’কে ছেড়ে কথা বলবনা। সে আমাকে বলে তার সাথে ডেটিংএ যেতে! ”

কুহুর কথা শুনে ফাতিমা খানম চমকে তাকান। কুহু যে শেষের কথাগুলো যে জয়কে উদ্দেশ্য করে বলেছে, সেটা তার বুঝতে বাকি থাকেনা।

তাহমিদ রা’গে হাতের মুঠো শক্ত করে দাঁড়িয়ে থাকে। জয়ের সাহস দেখে ও অবাক হয়ে গেছে। এতক্ষণ ও দরজার বাহিরে হেলান দিয়ে কুহুকে পাহারা দিচ্ছিল। ও যখন দেখল কুহু খাবার নিয়ে নানিমার কাছে যাচ্ছে, তার কিছুক্ষণ পরই ও এখানে এসে দাঁড়িয়েছে। জয় এখন বাসায় আছে। কুহুকে এই রুমে দেখলেই ও নিশ্চয়ই এসে মেয়েটাকে বিরক্ত করবে। তাই নিজের অস্তিত্ব কুহুকে বুঝতে না দিতে চুপচাপ দেয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। এদিকে কুহু নানিমাকে খাওয়ানোর সময় কথাগুলো বলছিল।

তাহমিদ উঁকি দিয়ে দেখল নানিমার খাওয়া প্রায় শেষের দিকে। এবার মেয়েটাকে জব্দ করাই যায়।

” নানিমা, তোমার এই টেপরেকর্ডার সময়ে-অসময়ে এভাবে বাজে কেন বলত? তার মুখ যদি এভাবে মেশিনগানের মত চলতে থাকে, তবে যে কোন সময় সার্কিট ডাউন হয়ে যেতে পারেনা কি? তাকে দেখলে মনে হয়, ভাজা মাছটি উল্টে খেতে জানেনা। কিন্তু এখন দেখছি, ভাজা মাছ উল্টে না খেয়ে সরাসরি চিবিয়ে খায়। আমাক যেন কি উপাধি দিয়েছে? ও হ্যাঁ, শাখামৃগ আর খোঁ’চা কুমার। এই টেপরেকর্ডার তোমার মাথার উকুন বাছতে হবে নাকি? শাখামৃগ কিন্তু এই কাজটা খুব ভালো পারে। তবে নড়াচড়া করা চলবেনা মোটেও। একটু নড়েছ তো ফ্রিতে মিলবে কা’ম’ড় আর আঁ’চ’ড়। লাগবে নাকি কা’ম’ড়? ” তাহমিদ কুহুর দিকে তাকিয়ে বাম চোখ টিপল।

হঠাৎ রুমে তাহমিদের আগমনে কুহু চমকে গেছে। তারপর আবার ওর উল্টাপাল্টা কথা শুনে বেশ ভড়কে যায়। দ্রুত হাতে নানিমার মুখ মুছে দেয়। ও বেশ বুঝতে পারছে, তাহমিদের কাছে ও আচ্ছামত ধরা খেয়েছে।

” নানিমা, আমি এখন যাই। ” ও রুম থেকে বেরিয়ে যেতে পারলেই বাঁচে।

” কোথায় যাচ্ছ, ভদ্র মেয়ে! খোঁ’চা কুমারের খোঁ’চা শরীরে না মেখেই পালাই পালাই করছ কেন? আগে তার খোঁ’চায় নিজেকে জর্জরিত কর। তারপর যাও। ”

কুহু আপাতত তাহমিদের কথা শোনার মুডে নেই। ও রুম থেকে বেরিয়ে যেতে পারলেই বাঁচে। তাই কোনদিকে না তাকিয়ে হুড়মুড় করে রুম ছেড়ে বেরিয়ে যায়।

কুহুর এভাবে পালানো দেখে তাহমিদ হো হো করে হেসে উঠল।

” কি বুঝলে, নানিমা? ভীতু মেয়ে। ওকে জ্বা’লি’য়ে মজা আছে। তবে জয় ওর সাথে বাড়াবাড়ি করছে। ওকে থেরাপিতে দিতেই হবে। আমার কাছে ওর লাঠি থেরাপি পাওনা হয়েছে। দুই একেই ওর পাওনা মিটিয়ে দিতে হবে। ওর কতবড় সাহস আমার শখের নারীর দিকে নজর দেয়! ঐ ভীতু হরিণীর ভীতু চোখ, কম্পমান ঠোঁট, ওর ভয়ে কুঁকড়ে যাওয়া, ভয়ে চুপসানো মুখ শুধুই আমি দেখব। আমি ওর হাজার রূপে মুগ্ধ হতে চাই। এমনকি ওর সাথে ফ্লার্টও আমিই করব। কিন্তু মাঝখানে জয় এসে আমার সব স্বপ্ন ভেস্তে দিচ্ছে। আমার সব অধিকারগুলো ও কেড়ে নিচ্ছে। ”

ফাতিমা খানম এক দৃষ্টিতে তার নাতির দিকে তাকিয়ে আছেন। ছেলেটার চোখের দ্যুতি তার নজর এড়ায়নি। ঐ স্বচ্ছ চোখের ভাষা তিনি পড়ত পারছেন। কুহুর কথা বলার সময় ছেলেটার চোখেমুখের আলাদা উজ্জ্বলতাও তার দৃষ্টি কেড়েছে। ছেলেটা সত্যি কুহুকে ভালোবাসে। তারও কুহুকে বেশ পছন্দ হয়েছে। মেয়েটা যেমন নম্র, শান্ত তেমনি মিষ্টভাষী। তার নাতির সাথে কুহুকে বেশ মানাবে। তার আজ হঠাৎ করেই আর কিছুদিন বাঁচার সাধ জাগল। এতদিনে ছেলেটা মত পাল্টেছে। কাউকে কাছে পেতে চাইছে। তিনি নিজের তার নাতির প্রাপ্তির খাতা পূর্ণ দেখতে চান। এই নাতি তার কাছে সবচেয়ে প্রিয়। নিজের সন্তানদের থেকেও প্রিয় এই ছেলেটা। এই ছেলের সুখ দেখে ম’র’তে পারলে, তার সব চাওয়া পূর্ণ হবে। তিনি মনে মনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে থাকলেন।

তাহমিদ ওর নানিমার মুখ দেখে কিছু আন্দাজ করতে পেরেছে। বৃদ্ধা মাঝেমধ্যে হাত নাড়িয়ে কিছু বলতে চাইছেন। তাহমিদ সেটা দেখে হাসল।

” ধৈর্য্য ধর, নানিমা। আগে সে বুঝুক আমি তাকে কতটা ভালোবাসি। তারপর সে আমার ভালোবাসায় ধরা দিক। তাকে আগে বুঝতে হবে আমার ভালোবাসার গভীরতা। আমি ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা আদায়ে বিশ্বাসী। যে ভালোবাসার মাঝে কোন খাঁদ থাকবেনা, সে ভালোবাসা আমি দিতে চাই আবার নিতেও চাই। ”

বৃদ্ধার চোখে খুশিতে পানি এসেছে। তিনি নাতির মাথায় পরম আদরে হাত বুলিয়ে দিতে থাকেন।

কুহু তাহমিদের কাছ থেকে লুকিয়ে আছে। ও তাহমিদের সামনে পরতে চায়না। আর না শুনতে চায় লোকটার খোঁ’চা মা’রা কথা। সেদিন রাত, পরদিন সকাল, দুপুর তাহমিদের কাছ থেকে লুকিয়ে রইল। বিকেলে যথারীতি কোচিং-এ গেছে। এরমধ্যে জয় ওকে বিরক্ত করার চেষ্টা করেছে কিন্তু রাজিয়া খালার হস্তক্ষেপে ওকে থেমে যেতে হয়।

কোচিং থেকে বেরিয়ে অটোরিকশার জন্য দাঁড়িয়ে আছে কুহু। এমন সময় কোথায় থেকে ওর সামনে উদয় হয় তাহমিদ। ও রিক্সায় এসেছে।

” উঠে পর, ভদ্র মেয়ে। ”

” আমি একাই যেতে পারব। ” কুহু গোমড়ামুখে উত্তর দেয়।

” ওহ্ বুঝেছি। তোমার জয়ের সাথে যাওয়ার সাধ জেগেছে। ওকে, আরেকটু সামনে যাও। ওকে পেয়ে যাবে। এরপর দু’জন একসাথে রিক্সা বিলাস কর। এমনিতেই তোমার পাশে ওকে ভালো মানায়। ”

জয়ের কথা শুনে কুহু ভয় পেয়ে গেছে। ও আর কোন কথা বাড়ায়না। রিক্সায় উঠে বসল। জয়ের সামনে পরার থেকে এই মানুষটার সাথে যাওয়া নিরাপদ।

রিক্সা উল্টাদিকে ঘুরতে দেখেই কুহুর পিলে চমকে যায়। বাসার রাস্তা তো এদিকে নয়!

” একি! কোথায় যাচ্ছেন! বাসাতো এদিকে নয়? রিক্সা পেছনে ঘোরাতে বলুন। আমি বাসায় যাব।”

” কথা না বলে চুপচাপ বসে থাক। ”

” আমাকে কোথায় নিয়ে যাচ্ছেন? ”

” বিক্রি করে দিতে। ”

” কিহ্! মামা, রিক্সা থামান। আমি নেমে যাব। ” কুহু এবার উপায় না দেখে রিক্সাওয়ালার শরণাপন্ন হয়।

” তোমার মামাকেসহ রিক্সা আমি ভাড়া করেছি, তাই তোমার মামা শুধু আমার কথাই শুনবে। তাই চুপচাপ কোন কথা না বলে বসে থাক। অযথা চিৎকার করে গলা ব্যথা করার প্রয়োজন নেই। ”

তাহমিদের এহেন কথা শুনে কুহু এবার ভয় পেয়ে গেছে। ও আকুতি নিজেকে তাহমিদের দিকে তাকায়। কিন্তু তাহমিদকে নির্বিকার বসে থাকতে দেখে ভয়ের মাত্রা বেড়ে যায়।

বেশ কিছুক্ষণ পর রিক্সা এসে একটা দোতলা বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়ায়। তাহমিদ ভাড়া মিটিয়ে কুহুকে নামতে বললে কুহু গাঁট হয়ে বসে রয়।

” আপনি যান। আমি এই রিক্সাতেই বাসায় যাব। ”

” ওহ্ বুঝেছি, আমার কোলে উঠতে ইচ্ছে করছে। আগে বললেই পারতে। মামা, একটু সাইড দিন আর আমার দিকে নজর রাখুন। ম্যামকে কোলে নিই। এই কাজে আমার আবার অভিজ্ঞতা নেই। আপনার ভাগ্নীর ওজন সম্পর্কেও আমার ধারনা নেই। পরে যেতে লাগলে ধরবেন, কেমন? ” তাহমিদ শার্টের হাতা গুটিয়ে এগিয়ে যায় কুহুর দিকে। কুহু তাহমিদকে এগোতে দেখে এক লাফে রিক্সা থেমে নেমে যায়।

” চলুন, আমি হেঁটেই যাচ্ছি। ”

তাহমিদ কুহুর চুপসানো মুখ দেখে মজা পায়। রিক্সাওয়ালাও ওদের কান্ড দেখে হেসে ফেলে।

দোতলায় এসে কলিংবেল বাজিয়ে অপেক্ষা করছে ওরা। কুহু এতক্ষণে লক্ষ্য করল তাহমিদের হাতে তিনটা প্যাকেট।

দরজা খুলে তাহমিদকে দেখে অবাক হয়ে গেছে সজল। তার থেকেও বেশি অবাক হয়েছে ওর সাথে অচেনা একটা মেয়েকে দেখে।

” দোস্ত তুই! আমাকে চমকে দিয়েছিস কিন্তু । আয় ভেতরে আয়। ” সজল দরজা থেকে সরে দাঁড়ায়।

তাহমিদের পেছন পেছন কুহুও ভেতরে ঢোকে।
তাহমিদ সজলের হাতে প্যাকেটগুলো ধরিয়ে দিতেই সজল খেঁকিয়ে উঠল।

” শা’লা, এসব কি নিয়ে এসেছিস? তোর জিনিস তুইই নিয়ে যাস। রাতে বসে বসে খাবি। এতে তোর খাওয়ার খরচ কমবে। আমার সাথে তোর ফর্মালিটির সম্পর্ক তাইনা? শা’লা ঘাড়ত্যাড়া পাব্লিক। ”

” নতুন একটা মানুষের সামনে আমাকে এভাবে বলিসনা। এই মেয়ে এমনিতেই আমাকে ইজ্জত দেয়না। এখন তোর কথা শুনে আমাকে আর জীবনেও দাম দেবেনা। একে দেখতে যতই বোকাসোকা লাগুকনা কেন, আদতে এই মেয়ে কিন্তু তা নয়। ”

এবার সজল একটু শান্ত হয়। কুহুর দিকে তাকিয়ে জোর করে হাসার চেষ্টা করল।

” তা এই বাচ্চা মেয়েকে কোথায় থেকে ধরে এসেছিস? আজকাল অন্যকোন ব্যবসাও শুরু করেছিস নাকি! কই আমিতো জানতামনা। ”

” তুই চুপ করবি নাকি আমি বেরিয়ে যাব? শোন এই বাচ্চা মেয়ে তালুকদার সাহেবের ভাতিজী। তবে এ দেখতে যতই বাচ্চামত হোকনা কেন মেয়ে কিন্তু সেয়ানা। ”

এবার কুহুর চরম রা’গ হয়। ঠোঁটে ঠোঁট চেপে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করছে।

” আপনি যতই যাই বলুন না কেন, মেয়েটা কিন্তু কিউট আছে। তোমার নাম কি কিউটি? ” সজলের বউ মায়া এসে দাঁড়ায় ওদের মাঝে।

” আমার নাম কুহু। ”

” বাহ্ সুন্দর নাম। দাঁড়িয়ে আছ কেন বস। আর ওদের কথায় কান দিওনা। ওরা এমনই। তাহমিদ ভাই, আপনি মানুষ কিন্তু সুবিধার নন। কালকে আমি কতগুলো রান্না করলাম কিন্তু আপনি আসলেননা। আর আজ সাথে করে এই কিউটিকে নিয়ে আসলেন কিন্তু খবর দিলেননা। ”

” তোমার এই কিউটিকে নিয়ে আসব জন্যই কাল আসিনি। তোমার খাবার নিয়ে এত টেনশন করতে হবেনা। শুধু চা খাওয়ালেই চলবে। দুপুরে পেটপুরে খেয়েছি। তাই এখন অন্যকিছু না খেলেও চলবে। ”

” দুপুরে কি খেয়েছিস, দোস্ত? আগে কখনোই শুনিনি তুই পেটপুরে খাস। ” সজলের চোখে সন্দেহ। যে ছেলে মেয়েদের আশেপাশে ভিড়েনা হঠাৎ সেই ছেলে একটা বাচ্চা মেয়েকে সাথে করে ওর বাসায় এসেছে। বিষয়টা বেশ ভাবাচ্ছে সজলকে।

” বিফ বিরিয়ানি, ভাত, রোস্ট, ইলিশের দোপেঁয়াজা সবই খেয়েছি। এখন কি তোর এসব খেতে ইচ্ছে করছে? তবে অফ যা। তোকে কিছুই দেয়া হবেনা। এই যে ভদ্র মেয়ে? এটাকে দেখ। এটা কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিজিক্সের মাস্টার। ভালো করে চিনে রাখ। তুই একে চিনে রাখ, মাস্টার। তোর বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্যই এ কোচিং করছে। ”

এবার সজল কুহুর সাথে কথা বলতে শুরু করে। কুহুও কিছুক্ষণ পর থেকে স্বাভাবিক হয়ে গেছে। মায়াকে ওর ভিষণ পছন্দ হয়েছে। সেই সাথে সজলকেও। ওরা বেশ মিশুক।

মায়া সজল ওদের রাতো খাবার খেয়ে যাওয়ার জন্য অনেক জোরাজুরি করলেও ওরা থাকলনা। কারন তাহমিদ জানে কুহুর ফিরতে দেরি হলে ওর খালা কি করতে পারে। তবে ওকে কথা দিতে হল আরেকদিন কুহুকে নিয়ে আসতে হবে।

বাসায় ফেরার পথে কুহু কোন কথা বললনা। চুপচাপ রাস্তার চারপাশ দেখতে থাকল।

তাহমিদ গতকালের মত আজকেও রিক্সার পেছনে হাত রেখে বসেছে। বিষয়টা খেয়াল করে কুহু আনমনে হেসে ফেলল।

” মামা, রাজশাহীতে কোন পা’গ’লা গারদ আছে? থাকলে রিক্সা সেদিকে নিন। আমার পাশে বসা মেয়েটা একা একা হাসছে। এর ভাবগতিক সুবিধার লাগছেনা। ” রিক্সাওয়ালা তাহমিদের ইয়ার্কি বুঝতে পেরে জোরে হাসল।

কুহু কটমটিয়ে তাহমিদের দিকে তাকাতেই, তাহমিদ বুকের বাঁ পাশ চেপে ধরে পরে যাওয়ার ভান করল।

চলবে….

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here