#কাজল_কালো_ভ্রমর
#পর্ব১৭
#Raiha_Zubair_Ripte
মিহিকা আজ তার ফুপির বাড়ি এসেছে সাথে সামিরাও,আরুশি বেগম দুই ভাইয়ের মেয়েকে নিজ বাড়ি দেখে খুশিতে আত্মহারা হয়ে উঠে। মেয়ে দুটোকে জড়িয়ে নিয়ে আদর করতে থাকে,ছোট থেকেই মেয়ে দুটোর প্রতি তার আলাদা সুপ্ত অনুভূতি কাজ করে,তাদের সাথে ফুফু ভাইজির সম্পর্ক টা অনেক গভীর,
মিহিকা আর সামিরা আরুশি বেগমের পাশে বসে, আয়ুশ আর টিপু খান গেছে অফিসে এই সেই সুযোগ ফুপির কানে আয়ুশ ভাইয়ার বিয়ের কথ তোলার।
মিহিকা খানিকটা সময় নেয় কথাগুলো গোছানোর জন্য, আরুশি বেগমের হাতটা মুঠোয় নিয়ে বলে,,
_ ফুপি তুমি কি আয়ুশ ভাইয়ের ব্যাপার টা জানো,প্লিজ রাগ করো না,ভাইয়া সাদিয়া আপুকে খুব ভালোবাসে,তুমি রাজি হয়ে যাও না তাদের বিয়ে দিতে।
আরুশি বেগমের কথা গুলো কর্ণকুহর হতেই আকস্মিক চমকে উঠে,,
_ কি বলছিস,আমার আয়ুশ প্রেম করে? আমি তো কিছুই জানি না,আর মেয়েটা কে?
সামিরা হাতে থাকা ফোনটা নিয়ে সেদিন পার্কে তোলা সাদিয়ার সাথে সেলফি পিক টা আরুশি বেগম কে দেখা,
_ এই দেখো ফুপি আপু টা কতো কিউট না,একদম পরীর মতো,ভাইয়ার চয়েস আছে বলতে হবে।
আরুশি বেগম সামিরার হাত থেকে ফোনটা নিয়ে সাদিয়াকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে বলে,,
_ মাশা-আল্লাহ মেয়েটা তো অনেক সুন্দর, আমার পছন্দ হয়েছে এই মেয়ে কে, মেয়ের ঠিকানা দে আমি কাল ই যাবো ওদের বাসায়,
মিহিকা সাদিয়ার ঠিকানা দিয়ে দেয়,সেদিন পার্কে ফেরার পথে মিহিকা সাদিয়ার বাসার এড্রেস জিজ্ঞেস করেছিলো।
এমনসব টুকটাক কথার মাঝেই মিহিকার চোখ সিঁড়ির দিকে যেতেই আরশিয়া কে দেখে মুখটা চুপসে যায়।
আরশিয়া সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে এসে সোফায় বসে পড়ে।
আরশিয়ার সাথে সেদিনের ঘটনার পর আজ প্রথম দেখা। আরশিয়া মিহিকার পানে চেয়ে কিছু বলার জন্য হাসফাস করে,মিহিকা ব্যাপার টা বুঝতে পেরে শান্ত কন্ঠে শুধায়,,
_ আপু তুমি কি কিছু বলতে চাচ্ছো আমায়?
আরশিয়া মাথা নিচু করে হ্যাঁ জানায়,
মিহিকা তপ্ত শ্বাস ফেলে বলে,,
_ আমি জানি আপু তুমি কি বলতে চাচ্ছো, তবে তুমি নিজেকে নিয়ে আর গিল্টি ফিল করো না,আমি তোমার উপর রেগে নেই সেদিনের জন্য, তুমি তো পেয়েছো তোমার ভালোবাসার মানুষকে তুমি হ্যাপি থাকো সেটাই আমি চাই।
আরশিয়া আর কিছু বলতে পারলো না এর প্রেক্ষাপটে, কি-ই বা বলবে,ভালোবাসার মানুষটির সাথে কি আদৌও আমি সুখী আছি,সে কি একটু হলেও আমায় ভালোবাসে?আমার জন্য কি তার মধ্যে একটু ও ফিলিংস কাজ করে না,
হয়তো সে আমায় কখনো ভালোও বাসবে না,সে তে টাকার পাগল, কাশ এমনটা হতো সে আমায় ভালোবাসে আমায় চোখে হারায়, আমার অনুপস্থিতি তাকে ক্ষনে ক্ষনে মনে করিয়ে দিতো আমি ছাড়া সে অচল,আমায় প্রতিটি মূহুর্তে মিস করবে।
কথা গুলে ভেবেই দু ফোঁটা অশ্রু গড়িয়ে পড়লো,কেউ দেখার আগেই সেটা অতি গোপনে মুছে ফেললো।
_______________
আজ তিনদিন হলো আরশিয়া ও বাড়িতে গেছে,সাহিলের কিছুতেই ঘরে মন টিকছে না,বাড়ি ফিরলেই কিছু একটার অনুপস্থিতি রয়েছে এ বাড়িতে তা ক্ষনে ক্ষনে বুঝছে, ঘরে আসলে রুম টা ফাঁকা ফাঁকা লাগে মনে হয় কোনো একটা অতি কাছের কিছু তার সাথে নেই, কিন্তু কি সেটা?
সাহিলের এই অবুঝ মন কি বুঝতে পারবে তার এই অশান্ত হবার কারন টা কি,কেনো সে থাকতে পারছে না একদণ্ড ও ঘরে,কিসের অনুপস্থিতি তাকে এমন অসহায় করে তুলছে,না পারছে রাতে শান্তি তে ঘুমোতে আর না পারছে ঠিক মতো খেতে। রাতে ঘুমাতে গেলে বিছানার ওপর পাশে তাকালে হৃদয়ে চিনচিন ব্যাথা অনুভব হয়, মাঝ রাতে ঘুম ভেঙে যায়।
ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে চুল গুলে হাত দিয়ে নাড়াচাড়া করছে সাহিল, আজ একটা অফিসে ইন্টারভিউ দিবে,সে আর বসে বসে খেতে চায় না,আর না চায় কেউ তার দিকে দ্বুবার আঙুল তুলুক,সে এবার দেখিয়ে দিবে সে-ও পারে, সজিবের থেকে পাওয়া দশ লাখ টাকার মধ্যে মোট খরচ করেছিলো এক লাখ টাকা আর বাকি নয় লক্ষ টাকা গতকাল রাতে সজিবকে ফোন করে ডেকে এনে দিয়ে দেয়, আর বাকি এক লাখ টাকার জন্য সময় চায় সাহিল সে মাসখানেকের মধ্যে দিয়ে দিবে।
সাহিল অনেক ভেবে চিন্তে দেখলো এভাবে জীবন চলে না,টাকার লোভে হোক আর যে ভাবেই হোক বিয়ে তো আমি আরশিয়াকে করেই ফেলছি,তাকে তো আর এভাবে রাখা যায় না,আমাদের ভবিষ্যতের জন্য তো কিছু করতে হবে,আর মেয়েটা তো আমায় ভালোবাসে,আমি না হয় তার জন্য নিজেকে একটু পাল্টে ফেলি শুরু করি তার সাথে আগামী দিনের পথ চলা,ভালে না বাসলেও ভালোবাসর তো চেষ্টা করতেই পারি,জীবন কে আর জটিলতার মধ্যে রাখতে চাই না,এবার খুবই সাধারণ ভাবে বাঁচবো আরশিয়া কে নিয়ে।
বিছানা থেকে ফোনটা নিয়ে টাইম দেখে নিলে,কিছু একটা মনে করে ফোন গ্যালারিতে ঢুকলে,ঢুকে আরশিয়ার কয়েকটা ছবি দেখলো,আরশিয়া বাপের বাড়ি যাবার আগে এই ফোনে নিজের কয়েকটা ছবি তুলে রেখেছিলো,এই কয়েকদিনে যেনো ছবি দেখা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেছে।
ফোনটা পকেটে রেখে রুম থেকে বেড়িয়ে ডাইনিং টেবিলে গিয়ে বসে পড়লো।
আহিল আর শফিক সাহেব কিছু একটা বিষয় নিয়ে কথোপকথন করছিলো, সাহিল কে দেখে তারা কথা থামিয়ে সাহিলের দিকে তাকায়,
সাহিল তড়িঘড়ি করে খাবারটা খেয়ে নেয়,
সাহিলকে এমন পরিপাটি দেখে সাহিল জিজ্ঞেস করে,,
_ কি ব্যাপার কোথায় যাওয়ার জন্য রেডি হয়েছিস তুই।
সাহিল পানি টা খেয়ে বলে,,
_ একটা ইন্টারভিউ আছে সেটাই দিতে যাচ্ছি।
_ হঠাৎ ইন্টারভিউ, মানে তুই কি জব….
_ হ্যাঁ ঠিকই ধরছো আমি জবের ইন্টারভিউ ই দিতে যাচ্ছি।
শফিক সাহেব এবার মুখ খুলে বললেন,,
_ তোমার জব করার প্রয়োজন নেই, আমি তোমায় তেমার সম্পত্তির ভাগ দিয়ে দিচ্ছি তোমার দাদির ও আর অমত নেই এ বিষয়ে।
সাহিল চেয়ার ছেড়ে উঠতে উঠতে বলে,,
_ দুঃখিত আমি নিতে পারবো না এই সম্পত্তি, এই সম্পত্তিতে আমার কোনো অধিকার নেই,সম্পত্তির কথা বলে আর লজ্জা দিয়ো না বাবা আমায়। সম্পত্তি যেমন আছে তেমন ই থাকুক।
_ সেটা কি করে হয়,তুমি তো চেয়েছিলে তোমার ভাগের টুকু এখন দিতে চাচ্ছি নিবে না কেনো।
_ অতীতে চেয়েছিলাম আজ আর চাচ্ছি না,ইভেন আর কখনো সম্পত্তির কথা আমার মুখ থেকে বের হবে না,আমি নিজের চেষ্টায় গড়তে চাই কিছু। আমি আর একা না আমার স্ত্রী আছে তার চাওয়া পািয়া আমায় পূরন করতে হবে,আর তোমরা আমার বাবা,মা,সব তোমাদের প্রতি ও তো আমার কিছু রেসপনসেবলিটি আছে।
_ তাই বলে অন্য কারো হয়ে কাজ করবি কেনো, আমাদের অফিসে জয়েন হ, আমার আর বাবার সাথে যুক্ত হ।
_ না আমি জানি তুমি একাই পারবে এই এই ব্যাবসা টাকে পরিচালনা করতে আমি নিজ যোগ্যতায় কাজ পেতে চাই,এখন আসি ইন্টারভিউয়ের জন্য দেরি হয়ে যাচ্ছে, পরে কথা হবে।
কথাগুলো বলে সাহিল চলে যায়,সাহিলের যাওয়ার পানে শফিক আর আহিল চেয়ে রয়,আহিল তপ্ত শ্বাস ফেলে বলে,,
_ বাবা তাহলে এতোদিনে সাহিলের বুদ্ধি হলো, কি বলো।
_ হুম তাই তো দেখছি,আল্লাহ দেখো এভাবেই যেনো থাকে ছেলেটা।
____________________
মিহিকা ও বাড়ি থেকে চলে আসে বেশ কিছুক্ষণ গল্পগুজব করে, দুপুরে খাওয়া দাওয়া করে কিছু কেনাকাটার জন্য বাড়ির সামনে থাকা ছোট মার্কেট টায় যায়। মার্কেটের একটি দোকানে গিয়ে একটা ওড়না দেখে খুব পছন্দ হয়,ওড়নাটা গিয়ে ধরতে নিলে ওপর পাশ থেকে অন্য একটি মেয়ে ওড়নাটা নিয়ে নেয়। মিহিকা মেয়েটির দিকে চেয়ে দেখে মেয়েটি আর কেউ নয় আহিয়া। আহিয়া মিহিকা কে দেখে বলে,,
_ আরে মিহিকা তুমি, ওড়না টা বুঝি তোমার ও পছন্দ হয়েছে,আচ্ছা তুমিই তাহলে এই ওড়নাটা নাও।
_ এমা না না তুমি নাও আহিয়া আমি অন্য কিছু দেখছি,আমার জন্য তুমি কেনো দিয়ে দিবে।
_ আরে চুপ থাকো তো বলেই আবার দোকানদার কে জিজ্ঞেস করে এটার কি সেম কালার আর হবে নাকি,দোকানদার না করে এটার সেম কালার নেই।
আহিয়া ওড়নাটা প্যাক করতে বলে,প্যাক করা কলে টাকা পে করে মিহিকার হাতে ধরিয়ে দেয় ওড়নার প্যাক টা। মিহিকা প্যাক টা নিতে না চাইলে আহিয়া বলে উঠে,,
_ একদম না না করবে না এটা আমি তোমায় গিফট্ হিসেবে দিলাম,না নিলে মন খারাপ করবো,তুমি না হয় আমায় অন্য কিছু গিফট্ করো অন্য কোনোদিন।
_ তাহলে অন্য দিন দিবো কেনো আজই দিবো চলো।
বলেই আহিয়ার হাত টেনে নিয়ে যায় একটা ড্রেসের স্টলে, আহিয়া না করা সত্বেও মিহিকা নিজে পছন্দ করে একটা সুন্দর মেরুন রঙের টপস কিনে দেয় আহিয়া কে।
আহিয়া টপস টা নিয়ে আরো কিছুক্ষন ঘুরাঘুরি করে মিহিকা কে বিদায় জানিয়ে বেরিয়ে আসে মার্কেট থেকে। মিহিকা আরো কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে থাকে।
আহিয়া বাহিরে এসে দেখে আহিল এখনো গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে,তার মানে আহিল যায় নি,আহিয়া গাড়িতে এসে বসে বলে,,
_ ভাইয়া তুমি এখনো যাও নি,আমি তো ভেবেছি তুমি চলে গেছো।
_ না তোকে বাসায় দিয়ে তারপর যাবো,এতোক্ষণ লাগে কেনাকাটা করতে।
_ আর বলো না ভাইয়া মার্কেট মিহিকার সাথে দেখা হয়েছিলো,মার্কেটের সমস্ত ঘটনা আহিল কে খুলে বলে।
আহিল সবটা শুনে তড়িঘড়ি করে গাড়ি থেকে বেরিয়ে মার্কেটে ঢুকে এদিক ওদিক ঘুরে ঘুরে মিহিকা কে খুঁজে কিন্তু পায় না। অনেক খোঁজার পরেও যখন মিহিকা কে পায় না তখন অসহায়ত্ব হয়ে বেরিয়ে আসে মার্কেট থেকে। আহিয়া আহিল কে ফিরে আসতে দেখে বলে,,
_ কি হলো ভাইয়া ওভাবে ছুটে গেলে কেনো কিছু হয়েছে নাকি।
_ না তেমন কিছু না চল তোকে বাসায় দিয়ে আসি।
বলেই গাড়ি চালাতে শুরু করে আহিল।
_____________________
আরুশি বেগম একাই চলে এসেছে সাদিয়াদের বাসায় বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে। বাড়িতে সাদমান সাহেব ছিলেন না,সাদিয়ার মা ফোন করে সাদমান সাহেব কে বাসায় আসতে বলে,কথাবার্তা বলে সাদমান বিয়ে দিতে রাজি হয়। সাদিয়া দূর থেকে ভিলেনি হাসি দিয়ে রুমে চলপ যায়।
আরুশি বেগম প্রায় বিয়ে সব ঠিক করেই এসেছেন,আগামি শুক্রবারে বিয়ে, এ মেয়ে তার ভিষন পছন্দ হয়েছে,আয়ুশ যেমন আরুশি বেগমকে না বলে রেখেছিলে আরুশি বেগম ও না বলে বিয়ে ঠিক করে আয়ুশ কে সারপ্রাইজ দিবো।
আরুশি আরমান কে ফোন করে এ ব্যাপারে বললে আরমান জানায়,,তোর ছেলের যখন আগে থেকেই পছন্দ মেয়ে তাহলে আর আমি কি বলবো,বিয়ে দিয়ে পূর্নতা দেওয়াই শ্রেয় তাদের সম্পর্কের।
আরো টুকটাক কথাবার্তা বলে ফোন কেটে দেয় আরমান, মিহিকা সামিরা মমতাজ সবাইকে আরমান বলে দেয়,আয়ুশের বিয়ের ব্যাপারে। মিহিকা মার্কেট থেকে এসে এমন একটা নিউস পাবে ভাবতেই পারে নি তারা ফুপি যে এতো ফাস্ট জানতোই না,কালকের কথা বলে আজকেই চলে গেলো পাত্রীর বাড়ি বাহ!
সামিরা আয়ুশের বিয়ের কথা শুনে খুশি হয়ে অভিকে বলে দেয় বিয়ের কথা,
_বাহ এতো জলদি বিয়ে ও ঠিক করে ফেলো আয়ুশের, তোমরা দুই বোন মিলে তো ছক্কা মেরে দিছো। এবার তাহলে আয়ুশ আর সাদিয়ার বিয়ে খেতে পারবো কি বলো।
অভি বসার ঘরে বসে বসে কথা বলছিলে,রাফিয়া পানি খেতে বসার ঘরে আসলে অভির বলা কথা গুলো রাফিয়ার কর্ণকুহর হতেই থমকে যায়,পানি খাওয়া বাদ দিয়েই দৌড়ে অভির কাছে এসে বলে,,
_ এই ব্রো ব্রে আমার আয়ুশ ক্রাশের বিয়ে ঠিক হয়ে গেছে ওহ নো,এখন আমার কি হবে,এতো সুন্দর ছেলে আর কোথায় খুঁজে পাবো,
কথা গুলে বলেই অভির হাত ধরে বাচ্চাদের মতো কেঁদে উঠে।
রাফিয়ার এমন বাচ্চামো দেখে হতবিহ্বল হয়ে যায় অভি।
🍁
সজিব বারবার পেরেও পেরে উঠছে না,সাহিল ও তার হাত থেকে ফসকে গেলো,এবার কিভাবে কি করবে, এতোদিনের করা প্ল্যান ভেস্তে দিলো এই অপদার্থ সাহিল,মনে চাচ্ছে সাহিল কে খুন করতে।
#চলবে
(ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন, ফ্রেন্ড এর আজ গায়ে হলুদ বিকেলে ব্যাস্ত থাকবো আর কালকেও দিতে পারবো না গল্প, তাই এখন দিয়ে দিলাম বড় সড় একটি পর্ব,গল্পের নতুন মোড় কেমন লাগলো জানাবেন সবাই,হ্যাপি রিডিং)