কাজল_কালো_ভ্রমর #পর্ব৪ #Raiha_Zubair_Ripte

0
511

#কাজল_কালো_ভ্রমর
#পর্ব৪
#Raiha_Zubair_Ripte

প্রিন্সিপালের কক্ষের বাহিরে দাঁড়িয়ে আছে মিহিকা, রাফিয়া আর তাদের সাথে রয়েছে সামিরা,মেঘলা। প্রিন্সিপাল তাদের বাহিরে দাঁড় করিয়ে রেখে রাফিয়ার ভাই আর মিহিকার বাবার সাথে কথা বলছে। রাফিয়া মিহিকাকে কলেজ থেকে বের করে দেবার জন্য মিথ্যা কান্নার নাটক করে প্রিন্সিপালের কাছে মিহিকার নামে বিচার দেয় এই বলে যে,” মিহিকা তাকে বিনা কারনে ক্লাসের সবার সামনে চ’ড় মেরেছে, তৎক্ষনাৎ প্রিন্সিপাল মিহিকাকে ডেকে আনায়। মিহিকা আসলে তার থেকে সমস্ত ঘটনা শুনে মিহিকার থেকে তার বাবার নাম্বার ও রাফিয়ার থেকে তার ভাইয়ের নাম্বার নিয়ে তাদের কলেজে আসতে বলে।

বেশ কিছুক্ষণ পর আলোচনা শেষে প্রিন্সিপাল তাদের কক্ষে ঢুকতে বলে,রাফিয়া আর মিহিকা পারমিশন নিয়ে কক্ষে ঢুকে। মিহিকা প্রিন্সিপালের রুমে ঢুকতেই এক ঝাটকা খায়।” একি তার বাবার পাশের চেয়ারটাতে তো সকালের সেই ছেলেটা যে কিনা আইসক্রিম ধরিয়ে দিয়ে চলে গেছিলো রাফিয়া তার মানে এই লোকটার বোন। কথা গুলো মনে একবার আওড়িয়ে বাবার পাশে গিয়ে দাঁড়ায়।

অভি একবার মিহিকার পানে চেয়ে রাফিয়ার দিকে তাকায়। চেয়ার ছেড়ে উঠে রাফিয়ার সামনে দাঁড়ায়।

_ রাফিয়া যাও গিয়ে মিহিকার থেকে ক্ষমা চাও।

_ আর ইউ ম্যাড ব্রো! আমি কেনো ঐ মেয়ের কাছে ক্ষমা চাইবো দোষ করেছে ঐ মেয়ে ক্ষমা চাইলে ঐ মেয়ে চাইবে আমি না।

_ বেশ তুমি যখন ক্ষমা চাইবেই না তাহলে স্যার আপনি ওর যা করার করুন, আপনি চাইলে ওকে কলেজ থেকে টিসি দিয়ে বের করে দিতে পারেন।

_ ব্রো এসব কি বলছো তুমি আমায় কেনো কলেজ থেকে টিসি দিয়ে বের করবে। তুমি জানো এই মেয়েটা আমার গালে থাপ্পড় মেরেছে,ওর সাহস কতো বড়।

অভি এবার মিহিকার দিকে ফিরে, মিহিকার উদ্দেশ্যে বলে,,

_ মিস মিহিকা আপনি কিন্তু ভুল করেছেন।

মিহিকা কিছু না বুঝায় ভ্রু কুঁচকে জিজ্ঞেস করে,,

_ মানে কি বলতে চাইছেন, আপনার বোন অন্যায় করবে আর আমি মুখ বুঝে সহ্য করবো তাই বুঝাতে চাইছেন।

_ আমি সেটা কখন বললাম,আমি বলতে চাইছি আপনি রাফিয়াকে একটা চড় দিয়ে ভুল করছেন, আপনার উচিত ছিলো আরো দু তিনটা দেওয়ার।

_ ব্রো তুমি ঐ মেয়ের সাইড নিয়ে কথা বলছো কেনো।

_ চুপ একদম চুপ আর একটা কথা বলবে তো চড়িয়ে গাল লাল করে ফেলবো ফা’জিল মেয়ে, তুমি একটা মেয়ে হয়ে কি করে আরেকটা মেয়ের পার্সোনাল বিষয় নিয়ে তাকে হ্যারাস করো। তোমার তাকে পছন্দ না ভালো কথা মিশবা না তার সাথে, কেনো তাকে আঘাত দিয়ে দিয়ে কথা বলবা তুমি। তুমি যদি এখনই মিস মিহিকার কাছে ক্ষমা না চাও তাহলে আমি চাচা কে তোমার ব্যাপারটা জানাতে বাধ্য হবো, নাও ইউর চয়েস তুমি তার কাছে ক্ষমা চাইবে নাকি তোমার বাবার কাছে গিয়ে জবাবদিহি করবে।

_ প্লিজ ব্রো পাপা কে কিছু বলো না আমি এখনই ক্ষমা চাচ্ছি ঐ মেয়ের কাছে।

কথাটা বলেই রাফিয়া গিয়ে মিহিকার সামনে দাঁড়িয়ে সরি বলে।

_ শোনো মেয়ে তুমি আমার মেয়ের বয়সই তাই বলে রাখি ফারদার যদি দেখেছি তুমি আমার মেয়ের পিছনে লেগেছো বা তার ব্যাক্তিত্ব কে নিয়ে কটু কথা বলেছো তো সেদিনই তোমার এই কলেজে শেষ দিন। যেখানে আমার মেয়েকে আমি ফুলের টুকাও লাগতে দেই না সেখানে তুমি কিনা আমার মেয়েকে কথা শোনাও। তাই ভালোভাবে বলছি তোমরা ক্লাসমেন্ট মিলেমিশে থাকবে এই বয়সেই মনের ভেতর এতো হিংসা পুষে রাখো কেনো। চল মিহিকা, আসি মাহমুদুল আবার দেখা হবে,আমাদের বাসায় যাস সময় পেলে। প্রিন্সিপালের থেকে বিদায় নিয়ে কক্ষ ত্যাগ করে মিহিকা আর আরমান সাহেব।

রাফিয়া রাগে একবার অভির দিকে চেয়ে রুম থেকে বেড়িয়ে যায়। অভি ও এবার প্রিন্সিপাল মাহমুদুলের নিকট থেকে বিদায় নিতে গেলে মাহমুদুল বলে উঠে,,

_ অভি তুমি আমার পুরানো স্টুডেন্ট তোমায় আমি ছেলের নজরেই দেখি। রাফিয়াকে সামলাও সময় থাকতে এর আগেও আমি দেখেছি মিহিকার সাথে তাকে বাজে ব্যাবহার করতে। আমার বন্ধুর মেয়ে মিহিকা কখনো নালিশ করতে দেখিনি তোমার বোনকে নিয়ে। ও জানে একবার নালিশ করলে ব্যাপারটা তার বাবা আরমানের কানে যাবে আর তার কানে গেলে তোমার বোনের পড়ালেখার শেষ এই কলেজে। তাই বলছি ওকে বোঝাও ও যেনো মিহিকার সাথে লাগতে না যায়।

_ ঠিক আছে স্যার এই ব্যাপারটা আমি দেখবো।

কথাটা বলেই অভি চলে যায়।

____________________🍂

আরমান সাহেব গাড়ি চালাচ্ছেন তার পাশেই বসে আছে মিহিকা আর পেছনের সিটে বসে আছে সামিরা আর মেঘলা। সবাই চুপচাপ বসে আছে কেউ কোনো কথা বলছে না দেখে নিরবতা ভেঙে এবার আরমান সাহেব বলে উঠলো,,

_ মিহিকা তোমায় বলেছিলাম না কলেজে কেউ বাজে ব্যাবহার করলে আমায় বলে দিতে, আজ আমায় মাহমুদুলের থেকে শুনতে হলো কেনো সেটা।

_ আসলে বাবা তুমি শুনলে শুধু শুধু কলেজে এসে মেয়েটাকে বকতে আর আমার কলেজও চেঞ্জ করে ফেলতে তাই বলি নি।

_ কিন্তু তোমার তো উচিত ছিলো আমায় বলার তাই না। আর সামিরা তুই কেনো বলিস নি আমায়।

চাচার কথাশুনে চমকে উঠে সামিরা।

_ চাচা আমি তো তেমন কিছু জানতাম না এই ব্যাপারে আজ সকালেই জেনেছি, আমি বলেছিলাম তোমায় এই ব্যাপারে জানাতে।

_ আঙ্কেল গাড়ি টা এখানে রাখেন আমার বাসা এখানেই।

পেছন থেকে মেঘলা বলে উঠলো। মেঘলার কথা মতো আরমান গাড়ি সাইড করে থামায়। মেঘলা গাড়ি থেকে নেমে সবার থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। মেঘলা চলে গেলে আরমান আবার গাড়ি চালাতে শুরু করে।

_ হ্যাঁ রে সামিরা ভাবির এখন শরীর কেমন আছে।

_ আগের চেয়ে অনেকটাই ভালে আজ মা’কে বাসায় নিয়ে যাবো।

_ এখন তো হসপিটালে যাবি তাই তো।

_ হুম।

_ সামিরা আপু চাচিকে নিয়ে আমাদের বাসাতেই চলো না। এমনিতে তো সারাদিন আমি একাই থাকি বাসায় আর তুমিও একা থাকো চাচি কে নিয়ে,আমাদের বাসায় থাকলে আমার ও ভালো লাগবে আর চাচির ও ভালো লাগবে।

_ দূর তাই হয় না-কি।

_ এতে না হওয়ার কি আছে, তুই আর ভাবি আমাদের বাসাতেই যাচ্ছিস এটাই ফাইনাল।

_ কিন্তু চাচা মা তো মনে হয় যাবে না।

_ সেটা আমার উপর ছেড়ে দাও আপু আমি চাচিকে ঠিক ম্যানেজ করবো।

_ আচ্ছা দেখ তাহলে পারিস নাকি রাজি করাতে।

________🥀

বাসায় এসে নিজের ঘরে গিয়ে ড্রেসিং টেবিলের সামনে থাকা ফুলদানি সজোরে মেঝেতে ফেলে দেয় রাফিয়া সাথে সাথে ফুলদানি ভেঙে কয়েক টুকরো তে পরিনত হয়। রাগে নিজের চুল গুলো খামচে ধরে, রাফিয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না ঐ মেয়ের কাছে কিনা তার ক্ষমা চাইতে হলো।

_ মিহিকা তোর জন্য অভি ব্রো আজ আমায় বকলো
তোকে আমি কিছুতেই শান্তিতে থাকতে দিবো না। এবার কৌশলে তোরই বন্ধু হয়ে তোরই পিঠ পিছে ছুড়ি মারবো জাস্ট দেখতে থাক এই রাফিয়া কি করে তোকে।

ড্রেসিং টেবিলের আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে কথা গুলো বলে রাফিয়া।

ওয়ারড্রব থেকে জামাকাপড় নিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায় ফ্রেশ হতে। ফ্রেশ হয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে অভির রুমের মধ্যে উঁকি ঝুঁকি দেয়। অভি আয়নার সামনে।দাঁড়িয়ে চুলগুলো ঠিক করছিলো,আয়না দিয়ে দেখা যাচ্ছিলো যে রাফিয়া তার ঘরে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে তাই গলা ছেড়ে রাফিয়াকে ভেতরে আসতে বলে।

রাফিয়া অভির ডাক শুনে রুমের ভেতরে প্রবেশ করে।

_ কিছু বলবি নাকি যে ওভাবে উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছিলি।

_ আসলে ব্রো আ’ম এক্সট্রিমলি সরি তখনকার ঘটনার জন্য। আমি আমার ভুল বুঝতে পারছি। আচ্ছা ব্রো মিহিকা কি আমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করতে চাইবে যদি আমি করতে চাই।

_ তুমি যে নিজের ভুল বুঝতে পারছো তার জন্য আমি মন থেকে অনেক খুশি হয়েছি কিন্তু মিহিকার ব্যাপারটা আমি বলতে পারলাম না সে তোমার সাথে ফ্রেন্ডশিপ করবে কি করবে না। তুমি ফ্রেন্ডশিপের হাত তার দিকে বাড়িয়ে দেখতে পারো হয়তো সেও হাত বাড়িয়ে দিবে। আচ্ছা থাক আমহ একটু বেরোবো।

_ আচ্ছা যাও।

অভি রুম থেকে বেরিয়ে গেলে রাফিয়া কিছুক্ষণ অভির রুমে বসে কিছু একটা ভেবে শয়’তানি একটা হাসি দিয়ে বেড়িয়ে যায় রুম থেকে।

অভি বাসা থেকে বেরিয়ে সোজা আহিলদের বাসায় যায়। বাসা থেকে বেরোনোর সময় আহিলকে ফোন করলে জানায় তারা শফিক সাহেবকে নিয়ে বাসায় ফিরেছে। অভি আহিলদের বাসায় ঢুকে দেখে ড্রয়িং রুমে বসে আছে আহিল,সাহিল,আহিয়া,সাইফা বেগম, আসমানী আর সাহিলের পাশে দাঁড়ানো একটা নতুন মুখ দেখতে পায়। অভির কুব একটা বুঝতে সমস্যা হয় না যে এটা সহিলের বউ। আহিল অভিকে দেখতে পেয়ে অভিকে হাতের ইশারায় তার পাশে বসতে বলে।

_ বাবা এখন তুমি কি বলো, তোমার ছেলে যা করেছে তা কিন্তু ফেলে দেওয়ার মতো না। ওর সাহস হয় কি করে বিয়েতে রাজি হয়ে আবর সেই বিয়েতে পাত্রী কে রিজেক্ট করে তারই ফুফাতো বোন কে বিয়ে করে।

_ আহিল ভাই আমার জায়গায় তুমি থাকলে তুমি কি করতে ওমন কালো মেয়েকে কি বিয়ে করতে তুমি। আর আমি আরশিয়া কে ভালোবাসি তাকে রেখে মিহিকাকে কি করে বিয়ে করতাম।

_ মানে কি বোঝাতে চাইছিস তুই। আমি তোর মতো রূপের পাগল সেটাই বোঝাচ্ছিস। নাকি তোর মতো একাধিক মেয়ের সাথে আমার চক্কর ছিলো কোনটা।

_ ভদ্র ভাবে কথা বলে আহিল ভাই, আমার কারো সাথেই তেমন চক্কর ছিলো না। আর তোমরাই বা আমায় এতো কথা শোনাচ্ছ কেনো আমি কাকে বিয়ে করবো না করবো সেটা আমার ব্যাপার।

_ তোর ব্যাপার যেহেতু তাহলে তুই বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যা, এই বাড়ির ত্রিসীমানায় যেনো তোকে না দেখি।

_ তাহলে আমায় আমার সম্পত্তির ভাগ আমায় দিয়ে দাও আমি চলে যাই। সম্পত্তির ভাগ দিবে আর তা না হলে আমাদের এই বাড়িতে থাকতে দিবে।

শফিক সাহেব এতোক্ষণ চুপ থাকলেও এবার আর চুপ থাকলেন না।

_ আদৌও তোমার কোনো সম্পত্তি নেই,তোমায় রাস্তা থেকে তুলে এনে এই আরাম আয়েশে রেখে মানুষ করাটাই ভুল হয়েছে। তবুও তোমায় তো ছেলে হিসেবে মেনে এসেছি তুমি যেহেতু সম্পত্তি চাচ্ছো আমি তোমায় তোমার ভাগ দিয়ে দিবো তুমি আর এই বাড়ি মুখো হবে না কোনোদিন।

_ তোর সাহস দেখে আমি আচার্য হচ্ছি শফিক, আমি বেঁচে থাকতে তুই সম্পত্তি ভাগ করতে চাচ্ছিস, আর ভুলে যাস না সম্পত্তি আমার নামে আমি কাকে দিবো না দিবো সেটা আমি বুঝবো। আর এ বাড়ি ছেড়ে সাহিল কোথাও যাবে না, এ বাড়িতেই থাকবে ও আর ওর বউ। এটাই আমার শেষ কথা।

বলে সাইফা বেগম নিজ ঘরে চলে গেলেন। সাহিল একটা মুচকি হাসি দিয়ে আরশিয়া কে নিয়ে উপরে চলে গেলো।

আহিল রাগে সামনে তাকা টি-টেবিলে সজোরে একটা ঘুষি মা’রে। কাউকে কিছু না বলে বেরিয়ে যায় বাসা থেকে। আহিলের যাওয়া দেখে অভিও আহিলের পেছন পেছন যেতে থাকে।

_________

টিপু খান এক হাত কপালে দিয়ে শুয়ে আছেন। চোখে নেই ঘুম যতোই মুখে বলুক আরশিয়া কে মেয়ে হিসাবে মানে না তবুও বাবা তো কি দিয়ে কি করছে তার মেয়েটা সেই চিন্তায় তার ঘুম সব বেপাত্তা। বালিশের নিচে থাকা ফোনটা বেজে উঠলে টিপু খান বালিশের নিচ থেকে ফোন টা নিয়ে সামনে ধরে। ফোনের স্কিনে আয়ুশ নাম টা দেখে শত চিন্তার মাঝেও মুখে হাসি ফুটে উঠে। ফোনটা রিসিভ করে টিপু খান।

_ হ্যালো বাবা কেমন আছো।

_ আলহামদুলিল্লাহ ভালো তুমি কেমন আছো আয়ুশ।

_ আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভালো আছি। মা,আরশিয়া কেমন আছে।

মূহুর্তেই টিপু খানের মুখ কালো হয়ে যায়। মুখটা কঠোর রেখে জবাব দেয়,,

_ ভালো আছে তারা। তা তুমি কি আর দেশে ফিরবে না, তোমার মা যে তোমার চিন্তায় নাওয়া খাওয়া বাদ দিয়ে দিছে। আমারও তে বয়স হচ্ছে। তোমার বিয়ের ও তো বয়স হলো। আমাদের তো শখ করে ছেলের বিয়ে দিবো নাতি নাতনির মুখ দেখবো।

_ চিন্তা করো না বাবা আমি খুব শীগ্রই দেশে ফিরছি। আর এবার দেশে ফিরে বিয়ে করে তোমার ব্যাবসায় হাত দিবো। তোমার ইচ্ছে পূরন করবো, এখন রাখি পরে কথা হবে।

টিপু খানের যেনো বিশ্বাস ই হচ্ছে না তার ছেলে দেশে আসবে আর তার ব্যাবসার ও হাল ধরবে।

#চলবে

( ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। হ্যাপি রিডিং)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here