হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৫২) #Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

0
836

#হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৫২)
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

রাতের বেলা…..
সাগরিকা ড্রয়িং রুমে সোফায় বসে চিন্তিত মুখশ্রী নিয়ে একটু পর পর মূল দরজার দিকে লক্ষ্য করছে তার মেজো ছেলে বা ছোট ছেলে ফিরে কিনা। সেইসময় সাবরিনা ড্রয়িং রুমে আসলে সাগরিকা বললেন….

—“মেজো বউমা..! সায়মন আর রিজভী তো এখনও বাসায় ফিরলো না। তোমাকে কি কল করেছিলো? বড় খোকার আর বড় বউমার কি অবস্থা কিছু কি জানিয়েছে!”

সাবরিনা সাগরিকার পাশে বসে বললেন…
—“আম্মা…আপনি এতো বেশি উত্তেজিত হবেন না। এই উত্তেজনা আপনার শরীরের জন্য ভালো না। সায়মন আর রিজভী হাসপাতালে যখন গিয়েছে তখন পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেনো তা ওরা জানাবেই৷”

সাগরিকা সোফার সাথে পিঠ ঠেকিয়ে চোখ বন্ধ করলেন। সেইসময় কামিনীও ড্রয়িং রুমে এসে অন্যপাশের সোফায় বসে। সাবরিনা হাতে থাকা নিজের ফোন থেকে কামিনীর নাম্বারে একটা মেসেজ সেন্ড করে…

—“আমার নাম্বারে একটা কল কর ছোট..!”

নোটিফিকেশন এর শব্দ হতেই কামিনী নিজের ফোনস্ক্রিণে লক্ষ করতেই সাবরিনার এমন মেসেজ দেখে ভ্রু কুঁচকে তার দিকে তাকাতেই সাবরিনা চোখ ইশারায় কামিনীকে কল করতে বলে। পরক্ষণেই কামিনী সাবরিনাকে কল দিলে তার ফোন বেজে উঠলে সাবরিনা বললেন….

—“আম্মা..আপনার মেজো ছেলে কল করেছে।”

এই বলে সাবরিনা কামিনীর কল কেটে দিয়ে মি*ছে-মিছি ফোন কানে ধরে সাগরিকাকে শুনাতে কলে কথা বলার নাটক করতে শুরু করলো। সাবরিনা অবাক ভাব নিয়ে বললেন….

—“কি বলছো তুমি এসব! আল্লাহ…আচ্ছা ঠিক আছে দেখো কি করলে ভালো হয় সেটাই করো।”

এই বলে সাবরিনা কান থেকে ফোন সরিয়ে সাইডে রেখে দেয়। সাগরিকা উত্তেজিত স্বরে প্রশ্ন করলেন….

—“কি হয়েছে মেজো বউমা? কি বললো মেজো খোকা?”

সাবরিনা মি*থ্যে চিন্তা ভাব নিজের মুখশ্রীতে ফুটিয়ে বললেন……
—“আম্মা..বড় ভাইয়া বড় ভাবীকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন তারপর হয়তো ঘোরাঘুরি করার জন্য শহর থেকে কিছুটা দূরে যে পাহাড় চূড়া গ্রাম আছে সেখানে গিয়েছিলেন। ঐ রাস্তায় তো খাঁ*দে*র অভাব নেই। সেখানেই তাদের গাড়ির এ*ক্সি*ডে*ন্ট হয়েছিলো। গ্রামের আশেপাশের লোকেরা বড় ভাইয়াকে ক্লিনিকে নিয়ে এসেছিলেন তার পরপরই ক্লিনিক থেকে আপনার ছেলের কাছে ফোন এসেছে। বড় ভাইয়া মাথায় গু*রু*তর ভাবে আ*ঘা*ত পেয়েছেন। ডাক্তার বলেছেন যদি আগামী ৪৮ ঘন্টার ভিতর বড় ভাইয়ার সেন্স না ফিরে তাহলে তিনি কো*মা*য় চলে যাবেন।”

সাবরিনার এরূপ কথা শুনে সাগরিকা ‘আল্লাহ গোওও’ বলে আ*র্ত*নাদ করে উঠেন। কামিনী সাবরিনার সঙ্গ দিতে মিথ্যে উত্তেজনার নাটক করে বললেন…

—“বড় ভাবীর কি অবস্থা..!”

সাবরিনা বললেন….
—“বড় ভাবীকে নাকি খুঁ*জে পাওয়া যাচ্ছে না। যারা বড় ভাইয়াকে ক্লিনিকে নিয়ে এসেছিলেন তাদের সাথে সায়মন আর রিজভী কথা বলেছিলো তারা নাকি বলেছেন গাড়িতে বড় ভাবী ছিলেন না। পরে সায়মন আর রিজভী এ*ক্সি*ডে*ন্ট স্পটেও গিয়েছিলো। গাড়িটা পাহাড়ি রাস্তার কিনারে একটা গাছের সাথে আটকে ছিলো কোনোরকম ভাবে। আর ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটের দরজা খোলা ছিলো। গ্রামের লোকেরা আ*শং*কা করছেন বড় ভাবী হয়তো খা*দে পড়ে গিয়েছেন।”

পরমূহূর্তেই সাগরিকা এসব কথার প্রেসার আর নিতে না পেরে সেন্সলেস হয়ে সাবরিনার উপর ঢ*লে পড়ে গেলেন।

এভাবেই কেটে যায় কয়েকদিন…..
সাগরিকা নিজের রুমে আধশোয়া হয়ে বসে নিরবে চোখের পানি ফেলছেন। সেইসময় কামিনী ছুটে সাবরিনার রুমের দরজার সামনে এসে দাড়িয়ে হাঁ*পা*তে শুরু করেন। কামিনীকে এমন ভাবে হাঁ*পা*তে দেখে সাগরিকা বললেন…

—“কি হয়েছে ছোট বউ মা? এভাবে হা*পা*চ্ছো কেনো?”

কামিনী কোনো রকমে নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন…
—“আম্মা নিচে আসুন। মেজো ভাইয়া আর রিজভী পাহাড় চূড়া গ্রাম থেকে ৩-৪দিন আগে জন্ম এক বাচ্চা মেয়েকে নিয়ে এসেছে। আর বলছে বাচ্চাটি নাকি বড় ভাবীর৷”

কামিনীর মুখে এরূপ কথা শুনে সাগরিকা বেশ অবাক হলেন। পরমূহূর্তেই তড়িৎগতিতে বিছানা থেকে নেমে কামিনীর সাথে নিজের রুম থেকে বেড়িয়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নেমে আসতেই দেখলেন সাবরিনা সোফায় নিজের কোলে এক নবজাতক বাচ্চা শিশুকে নিয়ে বসে আছে। সোফার অন্যপাশে সায়মন আর রিজভীও বসে আছে। সাগরিকা আর কামিনী সাবরিনার পাশে এসে বসে। সাগরিকা সাবরিনার কোলে থাকা বাচ্চা শিশুটির দিকে শান্ত দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রয় কিছুসময়। পরক্ষণেই দৃষ্টি সরিয়ে সায়মন আর রিজভীকে উদ্দেশ্য করে প্রশ্ন করলেন….

—“বড় বউমা কোথায়? ওকে দেখছি না তো!”

সায়মন একবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললেন….
—“আম্মা…! বড় ভাবী আর এই দুনিয়ায় নেই। এ*ক্সি*ডে*ন্টে*র কারণে বড় ভাবী নিজেও অনেক খা*রা*প ভাবে আ*হ*ত হয়েছিলেন। আর সেইমূহূর্তেই তার পানি ভে*ঙে গিয়েছিলো। প্র*স*ব বে*দ*না ও শুরু হয়েছিলো। তবুও বড় ভাইয়ের অবস্থা ভালো না দেখে তিনি অনেক ক*ষ্টে হয়তো গাড়ি থেকে নামতে সক্ষম হয়েছিলেন। এ*ক্সি*ডে*ন্ট স্পট থেকে কিছুটা দূরে একটা বাড়িতে সাহায্য চাওয়ার জন্য গিয়েছিলেন। কিন্তু পুরো কথা শেষ করার পূর্বেই তিনি নাকি সেন্স*লে*স হয়ে গিয়েছিলেন। আর সেই বাড়ির মানুষরা বড় ভাইয়ের বিষয়ে কিছু জানতেও পারেন নি সেইসময়। সন্ধ্যা নাগাদ বড় ভাবী প্র*স*ব করলে তার মেয়ে সন্তান হয়। আর সঙ্গে সঙ্গেই বড় ভাবী এই দুনিয়ার মায়া ত্য*গ করেন। বড় ভাবীর শরীরে অত্যাধিক ক্ষ*ত থাকায় আর প্র*স*ব কালীন সময়ে অত্যাধিক র*ক্ত পা*ত হওয়ায় তারা বড় ভাবীর দা*ফ*ন কার্য সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন। আর সেদিন রাতেই তাদের গ্রাম থেকে কিছুটা দূরে একটা খোলা মাঠের পাশে বড় ভাবীর দা*ফ*ন কার্য সম্পন্ন করেন। আমরা যে বড় ভাবীকে খুঁজছি এই কথা গ্রামের অনেক মানুষই জানতে পেরেছিলেন। গত কাল গ্রামের একজন লোকের থেকে বড় ভাবীর খোঁজের কথা জানতে পেরে সেই পরিবারের একজন লোক আজ আমাকে কল করেছিলেন। ওনার কথা শুনে আমি আর রিজভী সঙ্গে সঙ্গে পাহাড় চূড়া গ্রামে সেই বাড়িতে গিয়েছিলাম। তারা আমার কোলে বড় ভাইয়া আর বড় ভাবীর শেষ চিহ্নকে উঠিয়ে দিলেন। এরপর আমরা বড় ভাবীর কবর জিরায়ত করে বাসায় ফিরে আসলাম।”

সায়মন এমন ভাবে মি*থ্যে কথাগুলো সাজিয়ে সাগরিকার সামনে তুলে ধরলেন যে সাগরিকার এই বিষয়ে সামান্য তম স*ন্দে*হ প্রকাশ করার ও অবকাশ রইলো না। তিনি সাবরিনার কোলে থাকা নবজাতক শিশুটির দিকে তাকিয়ে নিরবে চোখের জল ফেলতে ফেলতে বললেন….

—“পৃথিবীর আলো দেখতে না দেখতেই নিজের জন্মদানকারী পিতা-মাতার স্নেহ-ভালোবাসা পাওয়া থেকে ব*ন্ঞ্চি*ত হলি। কেমন কপাল নিয়ে জন্ম নিলি রে তুই অ*ভা*গী!”

সাবরিনা শান্ত স্বরে বললেন….
—“আম্মা..! যদি কিছু মনে না করেন তাহলে আমি কি আপনাদের সবার নিকট একটা প্রস্তাব এর কথা তুলে ধরতে পারি!”

সায়মন বললেন…
—“বলো তুমি কি প্রস্তাব তুলে ধরতে চাইছো, শুনছি আমরা।”

—“এ*ক্সি*ডে*ন্টের কারণে আমরা বড় ভাবীকে হা*রা*লাম। বড় ভাইয়াও কো*মা*য় চলে গিয়েছেন। বড় ভাইয়ার পুনরায় কবে সে*ন্স ফিরবে সেই বিষয়ে কোনো কিছুই বলতে পারেন নি ডাক্তার খালেকুজ্জামান ভাই। এই নবজাতক শিশু আর কুশলের পাশে এখন তাদের মা-বাবাকে ভিষণ প্রয়োজন। তাই আপনাদের কারোর কোনো আপত্তি না থাকলে আমি আর সায়মন বড় ভাইয়া-ভাবীর শেষ দুই চিহ্নকে নিজেদের সন্তানরূপে গ্রহন করতে চাই। আমাদের ছেলে কনক আমাদের কাছে যেমন প্রিয় ওরা দু’জন ও আমাদের কাছে তেমনই প্রিয় হয়ে থাকবে সবসময়। কুশলের বিষয়ে তো ডাক্তার বলেছিলেন কুশলের যেদিন সেন্স ফিরবে সেদিন থেকে সে ওর জীবনে পার করে আসা আগের বছর গুলোর সব স্মৃতি পুরোপুরি ভাবে ভু*লে যাবে। তাই আমাকে আর সায়মনকে ওর নিজের মা-বাবার রূপে গ্রহন করতেও কোনো স*ম*স্যা হবে না। ওরা দু’জন কখনও মা-বাবার অ*ভা*ব বোধ করবে না। আর তাদের কথা ভেবে যেনো কখনও ক*ষ্টও না পায় তাই ওদের কাছে ওদের জন্মদানকারী পিতা-মাতা বড় বাবা ও বড় মায়ের পরিচয় নিয়ে থাকবে। এই কঠিন সত্যগুলো আজীবন ওদের অজানাই থেকে যাবে।”

সাবরিনার মুখে এরূপ কথাগুলো শুনে সায়মন, রিজভী আর কামিনী অনেক অবাক হয়। ওরা তিনজনই হয়তো মনে মনে চিন্তা করছে….

—“কি নিখুঁত ভাবে পরিস্থিতি সামলে নিতে এতো বড় একটা পরিকল্পনা তৈরি করেছে সাবরিনা।”

সাগরিকা চৌধুরী একহাতে নিজের চোখের পানি মুছে নিয়ে বললেন….
—“বেঁচে থাকো মা। তোমার এতো উদার মনের চি*ন্তা সম্পর্কে জানতে পেরেই আমার বুকের উপর থেকে বিশাল বড় একটা পাথর যেনো সরে গেলো। আমার এই বিষয় নিয়ে কোনো আ*প*ত্তি নেই।”

সাবরিনাকে সঙ্গ দিতে সায়মন বললো…
—“আমাদেরও কোনো আ*প*ত্তি নেই এই বিষয় নিয়ে আম্মা।”

সাবরিনা বললো….
—“আম্মা..আমার ছোট মেয়ের একটা নাম ঠিক করে দিন।”

সাগরিকা শিশু মেয়েটির মাথায় আলতো ভাবে আদুরে হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বললেন….
—“আজ থেকে তোর নাম সন্ধ্যা..সন্ধ্যা চৌধুরী।”

এরপর কেটে যায় আরো ৩ বছর। দীর্ঘসময় পর কুশলও কো*মা থেকে সুস্থ হয়ে ফিরতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু ডাক্তারের আ*শং*কা অনুযায়ী কুশল ওর জীবনের পেরিয়ে আসা পূর্বের ৮ বছরের সকল স্মৃতি পুরোপুরি ভাবে ভু*লে গিয়েছে। সাবরিনা আর সায়মনকেই নিজের জন্মদানকারী পিতা-মাতার রূপে গ্রহন করে নিয়েছে৷

………………….বর্তমান (১)………………..

সাবরিনার মুখে পুরো অতীত সম্পর্কে জানতে পারার পর নিলাদ্র যেনো পুরোপুরি ভাবে স্ত*ব্ধ হয়ে গিয়েছে। সম্পূর্ক সত্যটাকে মেনে নিয়ে স্বাভাবিক হওয়ার পূর্বেই ডাক্তার খালেকুজ্জামান নিলাদ্রের ডান হাতের উপরের মাংসপেশিতে একটা ইনজেকশন পুশ করে দেয়। নিলাদ্রের চোখ জোড়া ঘো*লা*টে হয়ে আসতে শুরু হয়। সে ঘাড় ঘুরিয়ে ওদের দিকে তাকিয়ে বললো….

—“তোদের সবার মৃ*ত্যু এতোটাই য*ন্ত্র*ণা দা*য়*ক হবে যে তোদের রুহ পর্যন্ত কেঁ*পে উঠবে।”

এরপর নিলাদ্র আর কিছু বলার শ*ক্তি নিজের মধ্যে যুগিয়ে উঠতে পারলো না। সাবরিনা রিজভীকে উদ্দেশ্য করে বললেন…

—“এর হাত-পায়ের বাঁধন খুলে দাও। আর একে বাসার সামনের ব্যস্ত রাস্তার মাঝে ছেড়ে দাও। এরপর এ কতোটা ক*রু*ণ য*ন্ত্র*ণা সহ্য করে মা*রা যায় সেটাও জানতে পারবে সবাই।”

রিজভী নিলাদ্রের হাত-পায়ের বাঁধনগুলো খুলতে শুরু করে। সাবরিনা আবারও ডাক্তার খালকুজ্জামানকে উদ্দেশ্য করে বললেন…

—“ওর মৃ*ত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর ওর মুখ কিছু দ্বারা থে*ত*লে দেওয়ার ব্যবস্থা করবেন। এরপর ওর লা*শ এখান থেকে দূরে যে বড় ব্রিজটা আছে সেখানে ফে*লে রেখে আসবেন। আমরা ততোসময় আপনার বাসায় আপনার স্ত্রী ও বাচ্চার সাথে বসে আপনার ফেরার অপেক্ষায় করছি।”

……………………….…বর্তমান (২)………………………….

(১২৪)
জীবনের এই ক*রু*ণ সত্যগুলো জানার পর সন্ধ্যার কাঁদতে কাঁদতে হেঁ*চ*কি উঠে গিয়েছে। নিলাদ্র এক হাতে সন্ধ্যাকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে রেখেছে। কুশল সোফায় বসে দুই হাত দিয়ে মাথার দু’পাশ চে*পে ধরে নিচের দিকে দৃষ্টি স্থির করে রেখেছে। তরুনিমাও নিরব হয়ে কুশলের পাশেই বসে অশ্র*পা*ত করছে। পরমূহূর্তেই তরুনিমা কুশলের বাম কাঁধে হাত রাখতেই কুশল চোখ তুলে তরুর দিকে তাকায়। কুশলের চোখ জোড়ায় চোখ পড়তেই তরু ভ*র*কে যায়। কুশলের চোখের মনির চারপাশের সাদা অংশ জুড়ে লাল র*ক্ত যেনো জ*মা*ট বেঁ*ধে আছে। ছোট ছোট র*গে*র মতো রেখা ভেসে আছে। তরু সঙ্গে সঙ্গে কুশলকে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বললো….

—“আপনি কাঁদুন….দয়াকরে নিজের বুকের ভিতর জমে থাকা ক*ষ্ট গুলোকে বের করে ফেলুন। দয়াকরে কাঁদুন…এমন পাথরের মতো শক্ত হয়ে থাকবেন না।”

তরুর কথাগুলো হয়তো কুশলের কান পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম হলেও তার মস্তিষ্ক স্পর্শ করতে পারলো না। কুশল এখনও আগের ন্যয় শ*ক্ত হয়ে আছে। ওর চোখ জোড়া যেনো মরভূমির মতো পানি শূন্য হয়ে গিয়েছে। কুশলকে বুকে নিয়ে তরুনিমা নিজেই ডুকরে ডুকরে কাঁদছে কিন্তু কুশল কাঁদতে পারছে না।

#চলবে ইনশাআল্লাহ………..

(১৫২০+ শব্দ আছে এখানে। গতকাল ব্যস্ত ছিলাম তাই গল্প দিতে পারি নি। আগামী পড়শু থেকে আমার ফাইনাল পরীক্ষা শুরু। তাই আগামী ৩দিন গল্প আসবে না 🥹। আমার জন্য দোয়া করবেন, যেনো পরীক্ষা ভালোভাবে সম্পন্ন করতে পারি🤭)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here