#হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৪৮)
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)
(১২০)
নিলাদ্রকে ভর্তিকৃত ক্লিনিকের সামনে এসে গাড়ি থামায় কুশল। তরুনিমা আর সন্ধ্যার মনে অজস্র প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। কুশল শান্ত স্বরে বললো…
—“গাড়ি থেকে নেমে এখানেই দাঁড়াও তোমরা। আমি গাড়ি পার্ক করে আসছি।”
কুশলের কথায় সন্ধ্যা আর তরু নিঃশব্দে গাড়ি থেকে নেমে দাঁড়ায়। পরক্ষণেই কুশল গাড়ি পার্ক করে ওদের সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললো….
—“ভিতরে চলো।”
সন্ধ্যা ভিতরে যাওয়ার কারণ জানতে কুশলকে প্রশ্ন করতে উদ্যত হলে তরু সন্ধ্যাকে থামিয়ে দেয়। অতঃপর তরু একবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে সন্ধ্যাকে নিয়ে কুশলের পিছন পিছন ক্লিনিকের ভিতরে যেতে শুরু করে। কিছুটা পথ অগ্রসর হতেই কুশলের সামনে নিলাদ্রের চিকিৎসায় নিয়জিত ডাক্তার আকরাম সাহেব এসে পড়েন। আকরাম সাহেব শান্ত স্বরে কুশলকে উদ্দেশ্য করে বললেন….
—“এসেছেন মি.কুশল চৌধুরী! আপনার অপেক্ষাতেই ছিলাম আমি। চলুন এবার আসল কাজের উদ্দেশ্যে পেশেন্টের কেবিনের ভিতরে যাওয়া যাক।”
কুশল ঘাড় ঘুরিয়ে তরু আর সন্ধ্যাকেও ওর সাথে কেবিনের ভিতরে আসার জন্য ইশারা করে। পরক্ষণেই ওরা তিনজন কেবিনের ভিতরে প্রবেশ করতেই দেখে বেডের উপর একজন প্রাপ্ত বয়সের সুঠাম দেহী পুরুষ শুয়ে আছেন যার সম্পূর্ণ মুখশ্রী সাদা পট্টি দিয়ে বাঁধানো রয়েছে। পুরুষটির পাশে ২ জন পুরুষ নার্স ও দাঁড়িয়ে আছেন। সন্ধ্যা আর তরুনিমার কাছে পুরুষটি অপরিচিত হলেও কুশল জানে এই পুরুষটি আসলে নিলাদ্র যার বর্তমান নাম সৌহার্দ্য ইশরাক।
ডাক্তার আকরাম সাহেব শান্ত স্বরে বললেন…..
—“আপনারা কিছুসময় এখানেই বসে অপেক্ষা করুন। পেশেন্টের ঘুম ভাঙার সময় হয়ে গিয়েছে। উনার ঘুম ভাঙলেই আমি উনার মুখ থেকে পট্টিগুলো খুলে দিবো।”
কুশল শান্ত স্বরে বললো…
—“ঠিক আছে, ডাক্তার সাহেব।”
এই বলে কুশল কেবিনের ভিতরেই রাখা সোফার উপর গিয়ে বসে পড়ে। ডাক্তার আকরাম সাহেব নার্স দু’জনকে উদ্দেশ্য করে বললেন….
—“তোমরা এখন বাহিরে যাও। পরে কোনো প্রয়োজন পড়লে আমি ডেকে নিবো।”
নার্স দু’জন কেবিন থেকে বেড়িয়ে যেতেই তরুনিমা কুশলের হাতের বাম পার্শে এসে সোফায় বসে। সন্ধ্যা নিলাদ্রের হাতের দিকে লক্ষ্য করতেই দেখে ওর বাম হাতের অনামিকা আঙুলে একটা স্বর্ণের আংটি চিকচিক করছে। সন্ধ্যা ধীরপায়ে নিলাদ্রের দিকে অগ্রসর হয়। নিলাদ্রের পাশে এসে দাঁড়িয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে নিলাদ্রের বাম হাত স্পর্শ করে। সন্ধ্যার স্পর্শে নিলাদ্রের হাত কিছুটা কেপে উঠে। সন্ধ্যা নিলাদ্রের হাত ধরে ওর হাতে থাকা আংটিটা ভালোভাবে দেখে ছলছল দৃষ্টি নিয়ে কুশলের দিকে তাকিয়ে আধভাঙা স্বরে বললো……
—“নি..নিলাদ্র…..! ম..মেজো ভাইয়া উনি আমার নিলাদ্র! ওনার হাতে তো নিলাদ্র নামে খোদাই করা আংটিটাও আছে।”
তরু একবার সন্ধ্যাদের দিকে তাকায় আরেকবার কুশলের দিকে তাকিয়ে বললো…
—“উনি সত্যিই নিলাদ্র ভাইয়া! আপনি তো বলেছিলেন নিলাদ্র ভাইয়ার প্লাস্টিক সা*র্জা*রি করা হবে। তবে কি নিলাদ্র ভাইয়ার অপারেশন সাকসেসফুল হয়েছে! আজ নিলাদ্র ভাইয়াকে নতুন রূপে দেখতে পারবো আমরা!”
কুশল শান্ত স্বরে বললো….
—“হুম ও নিলাদ্র৷ আমাদের নিলাদ্র। তবে আজ থেকে আমরা ব্যতিত পুরো পৃথিবী ওকে সৌহার্দ্য ইশরাক নামেই চিনবে। সম্পূর্ণ নতুন চেহারা, নতুন পরিচয় লাভ করবে সে। সন্ধ্যা তোকে অধৈর্য হয়ে পড়লে চলবে না। মুখের পট্টিগুলো খুলে ফেলার পর নিলাদ্র যখন নিজের নতুন রূপ দেখবে তখন এই কঠিন সত্যটাকে মেনে নিতে না পেরে ওর ভিতর উত্তেজনাও কাজ করতে পারে। যা ওর শরীরের জন্য একদমই ভালো হবে না। তাই সেইসময় তোকেই নিলাদ্রের পাশে থাকতে হবে। ওকে ভরসা দিতে হবে। ওর এমন অবস্থা করার পিছনে আসলে কারা জড়িত তা জানাটা আমাদের জন্য অনেক বেশিই জরুরী।”
কুশলের কথা বলার মাঝেই নিলাদ্রের ঘুম ভে*ঙে যায়। নিলাদ্রকে নড়তে দেখে ডাক্তার আকরাম সাহেব নিলাদ্রের কাছে গিয়ে বললেন……
—“সাবধানে উঠে বসুন নিলাদ্র।”
সন্ধ্যার সাহায্য নিয়ে নিলাদ্র শোয়াবস্থা থেকে উঠে বসে। সন্ধ্যা শান্ত স্বরে বললো…
—“নিলাদ্র! আপনি উত্তেজিত হবেন না। আমি, মেজো ভাইয়া আপনার কাছাকাছিই আছি৷ আপনার মুখে থাকা পট্টিগুলো এখন খুলে দেওয়া হবে। তারপর আপনি সম্পূর্ণভাবে সুস্থ বোধ করবেন।”
নিলাদ্র সন্ধ্যার এরূপ কথা গুলো শুনে ওর হাত শক্ত ভাবে মুষ্টিবদ্ধ করে ধরে। ডাক্তার আকরাম নিলাদ্রের মুখে থাকা পট্টিগুলো ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করেন। কিছুসময়ের মধ্যেই সম্পূর্ণ ভাবে পট্টিগুলো খোলা শেষ হলে ডাক্তার আকরাম নিলাদ্রের সামনে থেকে সরে দাঁড়ান। নিলাদ্রকে নতুন রূপে দেখে সন্ধ্যার চোখযুগল স্বাভাবিক এর তুলনায় বেশ বড় হয়ে যায় ওর মুখ অটোমেটিক হা হয়ে যায়। ডাক্তার আকরাম শান্ত স্বরে বললেন….
—“এবার ধীরে ধীরে চোখ খুলুন।”
নতুন রূপে নিলাদ্রকে দেখে কুশল আর তরুনিমার চোখে মুখে তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠেছে৷ নিলাদ্র ধীরে ধীরে ওর চোখ জোড়া খুলতে শুরু করে। চোখ জোড়া খুলে নিলাদ্র নিজের সামনে কুশল আর তরুকে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখতে পায়। নিলাদ্রের ঠোঁটেও তৃপ্তির হাসি ফুটে উঠে। পরক্ষণেই ঘাড় ঘুরিয়ে নিজের পাশে সন্ধ্যাকে বড় বড় চোখ করে মুখ খুলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে বললো….
—“কি রে চোখ গুলো রসগোল্লার মতো বড় করে এভাবে মুখ খুলে আমার দিকে তাকিয়ে আছিস কেন? তোর ঐ ছোট মুখে আমার এতো বড় মাথা ঢুকবে না। মুখ বন্ধ কর ই*ডি*য়ে*ট।”
নিলাদ্রের এমন কথায় সন্ধ্যা কিছুটা লজ্জা পেয়ে মুখ বন্ধ করে মাথানিচু করে বিরবিরিয়ে বললো….
—“এই লোক নাকি নিজের নতুন রূপ দেখে উত্তেজিত হয়ে পড়বে হাহ্! চোখ মেলার সাথে সাথেই আমাকে পঁ*চি*য়ে জৈব সার বানিয়ে দিলো সবার সামনে। সে যাই হোক…উনি তো আগের থেকেও আরো বেশি হ্যন্ডসাম হয়ে গিয়েছেন। আমার তো ওনার উপর থেকে চোখ ই সরাতে মন চাইছে না। আল্লাহ আমাকে ধৈর্য দিন।”
কুশল আর তরুনিমা নিলাদ্রের বেডের কাছে এসে দাঁড়ায়। কুশল নিলাদ্রকে জড়িয়ে ধরতেই নিলাদ্র বললো…
—“কতোদিন পর আমার প্রাণ প্রিয় ভাই সমতুল্য বন্ধুকে বুকে জড়িয়ে ধরতে পারলাম। আমার বুকটা জুড়িয়ে গেলো।”
—“আল্লাহর অশেষ রহমত যে তুই পুরোপুরি ভাবে সুস্থ হয়ে গিয়েছিস নিল।”
নিলাদ্র কুশলকে ছেড়ে দিয়ে সোজা হয়ে বসে বললো…
—“আমার সামনে একটা আয়না আনার ব্যবস্থা কর আমি আমার নিজের নতুন রূপ দেখার জন্য অনেক বেশিই এক্সাইটেড হয়ে আছি গত দু’দিন যাবৎ।”
নিলাদ্রের এরূপ কথা শুনে ডাক্তার আকরাম কেবিনের ভিতরে থাকা ছোট বেলটিতে ক্লিক করে। পরমুহূর্তেই একজন পুরুষ নার্স কেবিনের দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে। ডাক্তার আকরাম নার্সটিকে একটা মাঝারি সাইজের আয়না আনার কথা বললেন। কিছুসময় পর নার্সটি আয়না নিয়ে আবারও কেবিনের ভিতর প্রবেশ করে। কুশল আয়নাটি নিজের হাতে নেয়। নার্সটি চলে যায়। কুশল আয়নাটি নিলাদ্রের সামনে ধরে। নিলাদ্র আয়নায় পড়া নিজের প্রতিচ্ছবি খুব ভালো ভাবে দেখতে থাকে। পরক্ষণেই নিলাদ্র ডাক্তার আকরামকে উদ্দেশ্য করে বললো…..
—“ডাক্তার সাহেব আপনার হাতে তো জাদু আছে দেখছি। আমার চেহেরা পুরোপুরি ভাবে পরিবর্তন করে দিয়েছেন। কিন্তু আমার চেহারার সাথে আবার অন্য কারোর চেহারার মিল রাখেন নি তো! এমনিই জীবনে স*ম*স্যার শেষ নেই। পরে আবার এই চেহারার আসল মালিকের পরিবারের কারোর সাথে দেখা হয়ে গেলে চিনতে না পারার দো*ষে সকলের সামনে গণপি*টু*নি খেতে না হয়।”
নিলাদ্রের এমন কথা শুনে ওরা সকলেই স্বশব্দে হেসে উঠে।
(১২১)
নিজের কেবিনে বেডে আধোশোয়া হয়ে কপালের উপর একহাত ভাঁজ করে চোখ বন্ধাবস্থায় বসে আছে তাহির। তাহিরের বেডের পাশে থাকা চেয়ারটিতে অনেক সময় হলো গুটিসুটি হয়ে বসে আছে হুমায়রা। তাহিরের চোখে-মুখে রাগের ছাপ এখনও স্পষ্ট থাকতে দেখে হুমায়রা নিজের মুখ থেকে একটা টু শব্দ ও বের করার সাহস জুগিয়ে উঠতে পারছে না। সেইসময় ওদের কেবিনের দরজায় কারোর নক করার পাশাপাশি “আমি কি ভিতরে আসতে পারি স্যার?” এরূপ বাক্য উচ্চারণের আওয়াজ ভেসে আসে। তাহির শান্ত স্বরে বললো…
—“ভিতরে এসো, হাশেম।”
তাহিরের অনুমতি পাওয়া মাত্র দরজা খুলে হাশেম নামের একজন প্রাপ্ত বয়সের পুরুষ কেবিনের ভিতর প্রবেশ করে। তাহির চোখ মেলে হাশেমের দিকে তাকিয়ে বললো…..
—“তোমাকে একটা বিশেষ কাজ সম্পন্ন করার জন্য আসতে বলা হয়েছে হাশেম।”
—“হুকুম করুণ, স্যার।”
—“এই ক্লিনিকে নিলয় নামে একজন প্রাপ্ত বয়সের ডাক্তার আছেন। তুমি ক্লিনিকের হেড অফিসারের সাথে কথা বলে ডাক্তার নিলয় এমন জায়গায় ট্রান্সফার করার ব্যবস্থা করো যেনো সেখান থেকে তার নিজ শহরে আসতে অনেক বেশিই বেগ পেতে হয়। আর এই কাজ সম্পন্ন করার জন্য যতো টাকা ব্যয় করতে হয় করো। কিন্তু কাজটা আজকের ভিতরে সম্পন্ন হতে হবে।”
তাহিরের মুখে এমন কথা হুমায়রার মুখ অটোমেটিক হা হয়ে যায়। হাশেম শান্ত স্বরে বললো….
—“আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন স্যার। আমি আজকের ভিতরেই ডাক্তার নিলয়কে আর উচিত ঠিকানায় পাঠানোর সম্পূর্ণ ব্যবস্থা করে ফেলবো।”
—“এখন তুমি আসতে পারো।”
অতঃপর হাশেম তাহিরের কেবিন থেকে বেড়িয়ে যায়।
(১২২)
কুশল ডাক্তার আকরামকে উদ্দেশ্য করে বললো….
—“ডাক্তার সাহেব নিলাদ্রকে ক্লিনিক থেকে রিলিজ করতে আর কতোদিন সময় লাগবে?”
—“নিলাদ্রের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় থাকা ক্ষ*ত গুলো সব শুকিয়েই এসেছে চৌধুরী সাহেব। আপনারা চাইলে আজই ওনাকে রিলিজ করে বাসায় নিয়ে যেতে পারবেন। তবে চিন্তার কোনো কারণ নেই আর কিছুদিন ওনাকে বেডরেস্টে রাখলে ওনার শারীরিক দূর্বলতা পুরোপুরি ভাবে সেরে যাবে।”
এই বলে ডাক্তার আকরাম কেবিন থেকে বেড়িয়ে যায়। কুশল নিলাদ্রের পাশে বসে শান্ত স্বরে বললো…..
—“ভাই…এবার আমাদের বল তো তোর এই অবস্থার পিছনে আসলে কারা দায়ী! তোর সেদিনের হওয়া এ*ক্সি*ডে*ন্টটি যেনো সাধারণ কোনো এ*ক্সি*ডে*ন্ট ছিলো তা বুঝতে আমার বাকি নেই। সম্পূর্ণ সত্য ঘটনাগুলো খুলে বল আমাদের কাছে, কিছু লুকাস না।”
নিলাদ্র ওদের তিনজনের দিকে একপলক তাকিয়ে নিজের দৃষ্টি নিচের দিকে স্থির করে একবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো….
—“জীবনে কখনও এতো বড় কঠিন সত্যের সম্মুখীন হতে হবে তা আমার কল্পনারও বাহিরে ছিলো কুশল। সেই কাল রাত্রীর পর আমার বেঁচে যাওয়ার হয়তো একটাই কারণ আছে তা হলো তোদের সবার সামনে মি*থ্যা*র জাল বুননকারীদের মু*খো*শ উন্মোচন করে তাদের আসল রূপ দেখানো। সেই কঠিন সত্যের সম্মুখীন হওয়ার পর নিজেকে শক্ত রাখিস তুই এবং সন্ধ্যা দু’জনেই। জানি তোদের মনের অবস্থা ভালো হবে না সম্পূর্ণ সত্যটা জানার পর। কিন্তু সত্য যতো কঠিন ই হোক না কেনো তা মেনে নেওয়ার ক্ষমতা আমাদের মাঝে সর্বক্ষণ রাখা উচিত।”
#চলবে ইনশাআল্লাহ………
(বি-দ্রঃ আগামীপর্বে গল্পের সব রহস্য খোলাশা হয়ে যাবে। কে আসল শ*ত্রু তা সম্পর্কেও অবগত হবেন আপনারা। আর গল্পও শেষের পথে চলে এসেছে। আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ায় আমার আম্মু এখন অনেকটাই সুস্থ হয়ে উঠেছেন আলহামদুলিল্লাহ। কাজ শেষ করে পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করা সব সামলাতে গিয়ে আমি রাইটিং ব্লকে পড়ে গিয়েছি যেনো। লেখতে বসলে শব্দ খুঁজে পাই না, শব্দ খুঁজে পেলেও হাত চলতে চায় না৷ আল্লাহ আমাকে ধৈর্য দিক। এতো অনিয়ম করে গল্প লিখতে গিয়ে আমি নিজেও বিরক্ত বোধ করছি আপনাদের ও ধৈর্যের বাঁধ ভে*ঙে ফেলছি। তবুও আপনাদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।)