হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৫১) #Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

0
838

#হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৫১)
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)

কামিনী সোফা ছেড়ে উঠে রুবিনার দিকে অগ্রসর হতে শুরু করে। পরক্ষণেই রুবিনার পায়ের কাছে এসে দাঁড়াতেই র*ক্তে মাখা সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাটির দিকে ভালোভাবে লক্ষ্য করতেই দেখে বাচ্চাটি ছেলে নয় মেয়ে বাচ্চা। কামিনী ওদের দিকে তাকিয়ে বললেন….

—“মেয়ে হয়েছে ভাবী….মেয়ে হয়েছে।”

মেয়ে হয়েছে শুনে ওদের ৩ জনের মুখেই হাসির রেখা ফুটে উঠে। অতঃপর ওরা তিনজন সোফা ছেড়ে উঠে কামিনীর পাশে এসে দাঁড়ায়। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর পরই রুবিনা নি*স্তে*জ হয়ে পড়েছে। অতিরিক্ত র*ক্ত*পা*ত হওয়ার কারণে ওনার শরীরের যেসব জায়গায় র*ক্ত ভরে নি ঐ জায়গাগুলো ফ্যকাসে বর্ণ ধারণ করেছে। সায়মন বললো….

—“মেয়ে হয়েছে যখন তখন এই বাচ্চাটিকে মে*রে পা*পে*র বোঝা বাড়ানোর কি দরকার! আর এই মেয়ে যতোই এই বংশের সদস্য হোক না কেনো এ তো আর এই বংশের সম্পত্তি থেকে কোনো ভাগ পাবে না। বিয়ের বয়স হয়ে গেলে বিয়ে দিয়ে দিবো। তখন এই আ*প*দ এমনিই আমাদের ঘর থেকে বিদায় হবে।”

সাবরিনাও সায়মনের কথায় সম্মতি জানিয়ে বললো….

—“হুম একে মা*রা*র দরকার নেই।”

ওদের কথপোকথন এর মাঝেই পিছন থেকে রায়হানুল চৌধুরীর কন্ঠস্বর ভেসে আসলে ওরা তিনজনই চমকে উঠে দরজার দিকে ঘুরে দাঁড়ায়। রায়হানুল চৌধুরী ড্রয়িং প্লেসের দিকে অগ্রসর হতে হতে বললেন….

—“তোমরা এই দুপুরবেলা সাউন্ড বক্সে এতো জোড়ে গান ছেড়ে দিয়ে রেখেছো কেনো? আমার তো মাথা ধরে যাচ্ছে।”

টি-টেবিলের পাশে এসে দাঁড়িয়ে সেখান থেকে রিমোটটা নিয়ে সাউন্ড বক্স বন্ধ করে রায়হানুল। গান বন্ধ হতেই রায়হানুলের কানে বাচ্চার কান্না করার আওয়াজ ভেসে আসে। রায়হানুল যেইনা পিছন ঘুরতে নিবেন সেই সময় সায়মন সোফার পাশে থাকা ভাড়ি ফুলদানীটা হাতে নিয়ে তা দিয়ে সর্বশক্তি প্রয়োগ করে রায়হানুলের মাথার পিছনে বা*রি দেন। সঙ্গে সঙ্গে রায়হানুল ড্রয়িং প্লেসের মেঝেতেই মুখ থু*ব*ড়ে প*ড়ে যান। রুবিনার সামনে থেকে সাবরিনা, কামিনী, রিজভী সরে দাঁড়াতেই রায়হানুল তার প্রিয়তমা স্ত্রীকে র*ক্তা*ক্ত অবস্থায় সিঁড়ির পাশে পড়ে থাকতে দেখতে পান। আর রুবিনার দুই পায়ের মাঝখান থেকেই বাচ্চার কান্নার আওয়াজ এখনও রায়হানুলের কানে ভেসে আসছে। রায়হানুল ওদের ৪জনকে এই হিং*স্র প*শু*র রূপে দেখে নিজের চোখকেই যেনো বিশ্বাস করে উঠতে পারছেন না। মাথার পিছনটা তার য*ন্ত্র*ণা*য় ছিঁ*ড়ে যাচ্ছে যেনো।

সেইসময় কামিনী লক্ষ্য করলো রুবিনা চোখ মেলে তাকিয়েছে। কামিনীর রাগে যেনো সর্বশরীর জ্ব*ল*ছে। কামিনী সাবরিনাকে উদ্দেশ্য করে বললেন….

—“ভাবী দেখো দেখো আবার চোখ মেলে তাকিয়েছে কেমন। এই মহিলা যে এতো সহজে ম*র*বে না তা বুঝতে আমার আর বাকি নেই। একে আমি আরো য*ন্ত্র*ণা দিয়ে দিয়ে মা*র*তে চাই।”

সাবরিনা বাঁকা হেসে বললেন….
—“মা*র তাহলে..! নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীকে নিজের চোখের সামনে একটু একটু করে মা*রা যেতে দেখার অনুভূতি কেমন হয় তাও বুঝুক আমাদের ভাসুর মশাই।”

সাবরিনার এরূপ কথা শুনে কামিনী হাসি দিয়ে আবারও রুবিনার পেটের কাছে এসে দাঁড়িয়ে নিজের পা থেকে জুতো খুলে স্বজোরে পেটের উপর একটা লা*থি প্রয়োগ করলেন। এতে যেনো রুবিনার দেহ*চিঁ*ড়ে তার জীবনখানা বেড়িয়ে যাওয়ার উপক্রম হলো। রুবিনা “ইয়া আল্লাহহহহহ” বলে আ*র্ত*না*দ করে উঠলেন। রুবিনার আ*র্ত*না*দে পুরো চৌধুরী মেনশন যেনো কেঁ*পে উঠলো। রায়হানুল এমন ক*রু*ণ দৃশ্য দেখে স*হ্য করতে না পেরে মেঝে থেকে উঠার চেষ্টা করলেন কিন্তু তার শরীর তাকে সায় দিলো না। রায়হানুলের বুকের ভিতরটা য*ন্ত্র*ণা*য় ছিঁ*ড়ে যাচ্ছে যেনো। হাত উঠিয়ে মেঝের উপর বা*রি দিতে শুরু করেন। রায়হানুলের চোখজোড়া দিয়ে অঝোর ধারায় অশ্রু*পা*ত হতে শুরু করেছে। কামিনী একপলক রায়হানুলের দিকে তাকিয়ে পরক্ষণেই আবারও নিজের পা অনেকটা উঁচুতে উঠিয়ে রুবিনার পেটের উপর লা*থি প্রয়োগ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে রুবিনা মুখ দিয়ে অনেক গুলো র*ক্ত বের হয়। তার কিছুটা কামিনীর পায়ের উপর এসেও পড়ে। কামিনী চোখ-মুখ কুঁচকে নিয়ে বললেন…..

—“দিলি তো র*ক্ত ব*মি করে আমার এতো সুন্দর পা টা ন*ষ্ট করে। আজ তোকে আমি এই পা দিয়েই গলা টি*পে মে*রে ফে*ল*বো।”

এই বলে কামিনী রুবিনার মাথার কাছে এসে দাঁড়িয়ে ওর গলার উপর নিজের পা চে*পে ধরেন। রুবিনার শরীর আর ওকে সায় দেয় না। অল্প সময়ের মধ্যেই রুবিনা পুরোপুরি ভাবে নিস্তেজ হয়ে যায়। রুবিনাকে নিস্তব্ধ হতে দেখে রায়হানুলের কান্নার বেগ আরো বেড়ে যায়। নিজের চোখের সামনে নিজের প্রিয়তমা স্ত্রীকে এতো য*ন্ত্র*ণা স*হ্য করে মা*রা যেতে দেখেও কিছু করতে না পারার এক হৃ*দ*য় চু*র*মা*র করে দেওয়ার মতো য*ন্ত্র*ণা অনুভব করছে রায়হানুল। সেইসময় সায়মন রায়হানুলের মাথার পিছনে পূর্বের আ*ঘা*ত করা জায়গাটিতেই পুনরায় নিজের সর্বশক্তি প্রয়োগ করে আ*ঘা*ত করে। রায়হানুল ২য় বারের এই আ*ঘা*ত আর সহ্য করতে পারেন না। তিনিও নিস্তব্ধ হয়ে যান। সাবরিনা ওদের তিনজনকে উদ্দেশ্য করে বললেন…..

—“রায়হানুলকে প্রা*ণে মে*রো না সায়মন। কামিনী, রিজভী তোমরা এই মহিলার লা*শ বাড়ি থেকে দূরে কোথাও নিয়ে যাও আর দা*ফ*নে*র ব্যবস্থা করো। সায়মন তুমি আমার সাথে এসো।”

সাবরিনার কথানুযায়ী কামিনী আর রিজভী রুবিনার লা*শ নিয়ে চৌধুরী মেনশন থেকে বেড়িয়ে যায়। সাবরিনা সায়মনকে নিয়ে রায়হানুলের গাড়ির সামনে এসে দাঁড়িয়ে বললেন…..

—“গাড়িটাকে এমন ভাবে ভা*ঙো যেনো দেখে মনে হয় খুবই গুরুতর এ*ক্সি*ডে*ন্ট হয়েছে।”

সাবরিনার কথার ধরণ বুঝতে পেরে সায়মন বাঁ*কা হেসে পাশে পড়ে থাকা একটা কাঠের লাঠি হাতে নিয়ে গাড়ির সামনের গ্লাসের অংশ টুকু ভে*ঙে ফেলে। এরপর নিচে পরে থাকা কাঁ*চ গুলোও পরিষ্কার করে ফেলে। অন্যদিকে রিজভী আর কামিনী চৌধুরী মেনশন থেকে বেশ অনেকটা দূরে একটা ফাঁকা মাঠে এসে গাড়ি থামায়। সেখানেই রুবিনার জন্য ক*ব*র খুঁ*ড়ে তাকে দা*ফ*ন দিয়ে বাসায় ফিরে আসে ওরা। সদ্য জন্ম নেওয়া বাচ্চাটি অনেক সময় ধরে কাঁদতে কাঁদতে নে*তি*য়ে পড়েছে। কামিনী বাচ্চাটিকে নিজের কোলে তুলে নেয়। সাবরিনা সায়মনকে উদ্দেশ্য করে বললেন…..

—“তুমি আর রিজভী রায়হানুলকে নিয়ে আমাদের পরিচিত ক্লিনিকে যাও। ডাক্তার খালেকুজ্জামানের আন্ডারে রাখার ব্যবস্থা করবে ওনাকে। এই বিষয়টাকে এ*ক্সি*ডে*ন্ট প্রমাণ করতে যতো টাকা ব্যয় করতে হয় করো। আর খালেককে একটা বিষয় খুব ভাবে বুঝিয়ে দিবে যে, রায়হানুলের যেনো কখনও সে*ন্স না ফেরে। জীবিত লা*শে*র মতো করে রাখতে হবে ওনাকে।”

সাবরিনার কথানুযায়ী রিজভী আর সায়মন রায়হানুলকে উঠিয়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে যায়। ওরা চলে যেতেই সাবরিনা কামিনীর কাছে গিয়ে বাচ্চা মেয়েটিকে কোলে নিয়ে বললেন….

—“আমি একে পরিষ্কার করিয়ে আমার বোনের বাসায় রেখে আসার ব্যবস্থা করছি। কিছুদিন ও আমার বোনের বাসাতেই থাকবে। তুই সিঁড়ির উপর ফেলে রাখা তেলগুলো আর মেঝেতে জায়গায় জায়গায় লেগে থাকা সব র*ক্ত গুলো ভালো ভাবে পরিষ্কার করে নে। তোর শাড়িতে অনেক র*ক্ত লে*গে আছে। ফ্রেশ হয়ে এই শাড়িটাও আগুন দিয়ে পু*ড়ি*য়ে ফেলবি৷ কেও যেনো বিন্দুমাত্র স*ন্দে*হ করতে না পারে।”

এই বলে সাবরিনা নিজের রুমের দিকে অগ্রসর হন। কামিনীও নিজ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

বেশ কয়েক ঘন্টা পর…….
নিজরুমে সাগরিকা চৌধুরীর ঘুম ভে*ঙে গেলে তিনি ধীর গতিতে শোয়াবস্থা থেকে উঠে বসেন। অত্যাধিক মাথা য*ন্ত্র*ণা করায় তিনি একহাতে মাথা চে*পে ধরে বললেন….

—“এতো মাথা য*ন্ত্র*ণা করছে যে কেনো! কোনোদিন তো এমন হয় না। আজ দুপুরের ঔষধ খাওয়ার পরই কেমন ঘুম পাচ্ছিলো কখন যে ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম তা বুঝতে পারি না।”

এই বলে সাগরিকা চৌধুরী বিছানা থেকে নেমে ধীরপায়ে হাঁটতে হাঁটতে রুম থেকে বেড়িয়ে আসেন। ড্রয়িং রুমে এসে দাঁড়াতেই দেখলেন সাবরিনা, কামিনী চি*ন্তি*ত মুখশ্রী করে সোফায় বসে কিছু একটা নিয়ে কথা বলছেন। সাগরিকা চৌধুরী শান্ত স্বরে বললেন….

—“মেজো বউমা…ছোট বউমা…কোন বিষয় নিয়ে কথা বলছো তোমরা! তোমাদের এমন চিন্তিতই বা দেখাচ্ছে কেনো? আর বড় বউমা কোথায়?”

আকস্মিক সাগরিকা চৌধুরীর উপস্থিতিতে ওরা ২জনেই কিছুটা ভ*র*কে যায়। পরক্ষণেই নিজেদের সামলে নেয় ওরা। সাবরিনা শান্ত স্বরে বললেন….

—“আম্মা…আপনি ঘুম থেকে উঠে গিয়েছেন! আসুন এখানে এসে বসুন।”

সাগরিকা চৌধুরী ধীরপায়ে সোফার কাছে এসে বসলেন। পরক্ষণেই কামিনী বললেন…
—“আম্মা….আপনার শরীর ঠিক আছে তো? মুখ-চোখ গুলো কেমন ফু*লে গিয়েছে।”

সাগরিকা চৌধুরী শান্ত স্বরে বললেন….
—“দুপুরে তুমি আমাকে ঔষধ খেতে দিলে! ঔষধ খাওয়ার পরপরই ভিষণ ঘুম পাচ্ছিলো আমার এরপর কখন ঘুমিয়ে পড়েছিলাম জানি না। একটু আগেই ঘুম ভা*ঙ*লো পর থেকেই মাথাটা ভিষণ য*ন্ত্র*ণা করছে। হঠাৎ এমন হওয়ার কারণ বুঝতে পারছি না।”

সাগরিকা চৌধুরীর কথা শেষ হতে না হতেই মূল দরজা দিয়ে রিজভী আর সায়মন বাসার ভিতরে প্রবেশ করলেন। ওদের দু’জনকে দেখে সাগরিকা চৌধুরী বললেন….

—“কি ব্যপার..মেজো খোকা, ছোট খোকা তোরা দু’জন আসলি বড় খোকা আসলো না!”

সায়মন আর রিজভী সোফায় বসলেন। সায়মন শান্ত স্বরে বললেন….
—“সে কি বড় ভাইয়া এখনও বাসায় ফেরেন নি! দুপুরের পরপরই তো বড় ভাইয়া বড় ভাবীকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়ে চেকআপ করাবেন বলেই অফিস থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলেন। এতোক্ষণে তো বাসায় ফেরার কথা৷”

সাগরিকা চৌধুরী কামিনীকে উদ্দেশ্য করে বললেন…
—“ছোট বউমা…বড় বউমার রুমে গিয়ে দেখো তো ও আবার এসে ঘুমিয়ে গিয়েছে কিনা।”

—“ঠিক আছে আম্মা।”

এই বলে কামিনী সোফা ছেড়ে উঠে সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় রুবিনার রুমের অগ্রসর হতে হতে মনে মনে বললেন….

—“রুমে তো তাকে পাওয়া আর সম্ভব হবে না আম্মা। অনেক আগেই তাঁকে সাড়ে তিন হাত মাটির নিচে চা*পা দিয়ে এসেছি।”

কিছুসময় পর কামিনী সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামতে নামতে বললেন…
—“আম্মা..বড় ভাবী তো তার রুমে নেই। তারমানে ওনারা এখনও বাসায় ফেরেন নি।”

সেইসময় সায়মনের ফোন বেজে উঠে। পকেট থেকে ফোন বের করতেই দেখলেন ডাক্তার খালেকুজ্জামান কল করেছেন। সায়মন তার কল রিসিভ করতেই ওপাশ থেকে খালেক বললেন….

—“সায়মন স্যার..রায়হানুল স্যারের অবস্থা আগের থেকে এখন অনেকটা বেটার হয়েছে। আমি আপনার কথানুযায়ী ওনার শরীরে কড়া ডোজের একটা ঔষধ ইনজেক্ট করে দিয়েছি। এই ঔষধ এর প্রভাবে উনি জীবন্ত লা*শে*র মতো হয়ে যাবেন। প্রতিদিন ওনার শরীরে একটা করে এই ঔষধ ইনজেক্ট করতে হবে। তাহলে উনি আর কখনই স্বজ্ঞানে ফিরতে পারবেন না। আর আমরা তখন এটা বলতে পারবো যে উনি গাড়ি এ*ক্সি*ডে*ন্টে*র কারণে মাথায় গু*রু*তর ভাবে আ*ঘা*ত পাওয়ায় কো*মা*য় চলে গিয়েছেন।”

খালেকের কথাগুলো শোনার পর সায়মন কল কেটে দিয়ে ওভাবেই ফোন কানে ধরে রেখে সকলকে শোনাতে বললেন…

—“কি বলছেন কি আপনি ডাক্তার! বড় ভাইয়ার এ*ক্সি*ডে*ন্ট হয়েছে! মাথায় গু*রু*তর ভাবে আ*ঘা*ত পেয়েছেন! আপনার ক্লিনিকেই ভর্তি আছেন বড় ভাইয়া! আচ্ছা আচ্ছা আমরা আসছি, এক্ষুণি আসছি।”

সায়মনের মুখে এরূপ কথা শুনে সাগরিকা চৌধুরী উত্তজিত হয়ে উঠে বললেন….
—“মেজো খোকা..কি বলছিস তুই এসব! আমার বড় খোকার এ*ক্সি*ডে*ন্ট হলো কি করে?”

সায়মন ওর কান থেকে ফোন সরিয়ে সোফার উপর রেখে বললেন…
—“আম্মা…আপনি টেনশন করবেন না। আমি আর রিজভী ক্লিনিকে যাচ্ছি। বড় ভাইয়ার অবস্থা আসলে কেমন তা দেখে তার চিকিৎসার ব্যবস্থাও করে আসবো আমরা।”

সাগরিকা চৌধুরী বসাবস্থা থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বললেন…
—“তোদের সাথে আমাকেও নিয়ে চল। না জানি আমার বড় খোকা, বড় বউমা কি অবস্থায় আছে। আমিও যাবো।”

এই বলে সাগরিকা চৌধুরী মাথা ঘুরে পরে যেতে নিলে সাবরিনা তাকে ধরে আবারও সোফায় বসিয়ে দিয়ে বললেন…
—“আম্মা..আপনি শান্ত হন। এতো বেশি উত্তেজিত হবেন না। আপাতত ওরা দু’জন গিয়ে পরিস্থিতি হাতের নাগালে নিয়ে আসুক। তারপর আমি আর কামিনী আপনাকে ওখানে নিয়ে যাবো। শান্ত হন আপনি আম্মা। তোমরা যাও আর পরিস্থিতি কেমন হয় তা জানাইও।”

সায়মন বললেন….
—“ঠিক আছে। রিজভী চল…!”

এই বলে সায়মন আর রিজভী বাসা থেকে বেড়িয়ে আসলেন। গাড়িতে উঠে বসতেই রিজভী বাঁ*কা হেসে বললেন….

—“আরে বাহ মেজো ভাইয়া… তুমি তো সুপার এক্টিং জানো। এমন ভাবে পরিস্থিতিটা সাজালে তুমি আর মেজো ভাবী যে কারোর শক্তিও হবে না আমাদের এক চুল পরিমাণ স*ন্দে*হ করার। বড় ভাইয়ের বিষয়টা তো সামলে নেওয়া গেলো কিন্তু বড় ভাবীর বিষয়টা সামলাবে কি বলে! তাকে তো অলরেডি দা*ফ*ন করে দিয়ে এসেছি।”

সায়মন গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বললেন….
—“সেই প্লান ও তৈরি করে রেখেছে তোর মেজো ভাবী।”

চলবে ইনশাআল্লাহ……

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here