#হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৫৬)
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)
(১৩০)
কুশল ও তরু, ঝর্ণা-রাসেল আর মফিজুরের সাথে ওদের বাড়ির দিকে অগ্রসর হতে শুরু করেছিলো। বেশ কিছুসময় পর ওরা সকলেই সঠিক গন্তব্যস্থলে পৌঁছে যায়। মফিজুর ওর বাড়ির মূল দরজার সামনে দাঁড়িয়ে পিছন ঘুরে ওদের উদ্দেশ্য করে বললো….
—“সাহেব-ম্যম কিছু মনে কইরেন না। আপনেরা কিছুক্ষণ এইখানেই দাঁড়াইয়া থাকেন। আমি ঝর্ণা আর রাসেলকে নিয়া বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে দেখি বাড়ির কি অবস্থা।”
তরু কিছু বলতে নিবে সেইসময় কুশল তরুর হাত ধরে ওকে থামিয়ে দেয়। মফিজুর একবার লম্বা করে নিঃশ্বাস ফেলে টিনের দরজাটা ঠেলে খুলে ঝর্ণা আর রাসেলকে নিয়ে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। কয়েকসেকেন্ড পুরো পরিবেশে পিন-প*ত*ন নিরবতা বিরাজ করে। পরমুহূর্তেই বাড়ির ভিতর থেকে একজন মহিলার রূ*ক্ষ্ণ-রাগী কন্ঠে বলা কিছু কথা বাহির পর্যন্ত ভেসে আসে, যা কুশল-তরুর কানকে এড়োয় না। মহিলাটি বলছেন….
—“আগের বউটা যখন নিজে ম*র*ছিলো তখন নিজের সাথে এই আ*প*দ দুইটারে মা*ই*রা ফে*ল*তে পারে নি! প্রত্যেকদিন প্রত্যেকটা বেলা এই আ*প*দ দুইটার জন্য আমার সংসারে অ*শান্তি ছাড়া ভালা কিছুই হয় না। কি লো মু*খ*পুড়ি এতো কম বয়সেই নিজের লাইগা না*গ*র জুটানোর ধা*ন্দা*য় নাইমা পড়ছোস নাকি! আর নিজের ভাইটারে সাথে নিছোস কি লাইগা? রাইতের আন্ধারে তুই তোর নাগরের লগে রা*শ*লী*লা করবি আর তখন তোর এই দা*ম*ড়া ভাই পাহাড়া দিবো নাকি!”
মহিলাটি এরূপ কথা বলা মাত্র খুব জোড়ে একটা থা*প্প*ড়ে*র শব্দ ভেসে আসে। তরু কুশলকে উদ্দেশ্য করে বললো….
—“ঝর্ণা-রাসেলকে আজকের পর আর মা*র খেতে হবে না এমনটাই তো বলেছিলেন আপনি! ওদের সৎ মা যে একজন ভিষণ খা*রা*প মানসিকতার মহিলা তা ওনার কথা গুলো শুনেই বোঝা শেষ হয়েছে আমার। একটু আগেই তো থা*প্প*ড়ের শব্দ শোনা গেলো, নিশ্চয়ই ঐ মহিলা ওদের শরীরে আবার আ*ঘা*ত করছে। আপনি ভিতরে চলুন। আমি আর এখানে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবো না।”
তরুকে অস্থির হতে দেখে কুশল শান্ত স্বরে বললো…
—“শান্ত হও তরুনিমা। থা*প্প*ড়ে*র শব্দ ভিষণ জোড়ে হয়েছে। যদি এই থা*প্প*ড় ঐ মহিলা ঝর্ণা বা রাসেলকে দিতো তাহলে পুরো পরিবেশ এখন এতোটা নিরব হতে থাকতো না। মফিজুরকে তার নিজ দায়িত্ব এবার সঠিক ভাবে পালন করার সুযোগ দাও। আজ যদি মফিজুর নিজে ঐ মহিলাকে উচিত শিক্ষা না দেয় তাহলে বোঝা যাবে সে ঝর্ণা আর রাসেলকে সুরক্ষিত রাখতে পারবে না। তখন যে পদক্ষেপ গ্রহন করা সঠিক হবে সেটাই গ্রহন করবো আমি। নিশ্চিন্ত থাকো।”
কুশলের এরূপ কথাগুলো শুনে তরু শান্ত হয়ে যায়। পরক্ষণেই ওরা ভিতর থেকে মফিজুরের বলা কথাগুলো শুনতে পারে আর এইসব শব্দ শুনে শুনেই পুরো পরিস্থিতিকে আন্দাজ করে নিতে শুরু করে ওরা। মফিজুরের সর্ব শক্তি দিয়ে প্রয়োগ করা একটা থা*প্প*ড় খেয়েই মফিজুরের ২য় স্ত্রী রুমানা মাটির বারান্দা থেকে ছি*ট*কে আঙিনার উপর এসে পড়ে৷ থা*প্প*ড়ে*র বেগ এতোটাই জোড়ে ছিলো যে কিছুসময়ের জন্য রুমানার কান ও মাথা একসাথেই যেনো তালি লেগে গিয়েছিলো। রুমানার ঠোঁটের কোনায় দাঁত লেগে কে*টে গিয়ে র*ক্ত ঝরতেও শুরু করেছে। রুমানা নিজের ডান হাতের শাহাদত আঙুল ঠোঁটের সেই কাঁ*টা স্থানে স্পর্শ করতেই মুখ দিয়ে ‘আহহ’ শব্দ উচ্চারণ করে ঘাড় বাঁ*কি*য়ে মফিজুরের দিকে বললো….
—“তুমি আমাকে মা*র*লে?”
মফিজুর রাগী স্বরে বললো…
—“তোর মতো ঘৃ*নি*ত মানসিকতার মহিলাকে যে এখনও আমি জিবীত রেখেছি এটা ভেবেই তুই শুকুর আদায় কর।”
—“কি হলো তোমার এই টুকু সময়ের ভিতর বুঝতে তো পারছি না। একটু আগেই তো ওদের বাড়িতে দেখতে না পেয়ে ক্ষি*প্ত হয়ে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে গিয়েছিলে। এই আ*প*দগুলো তোমার উপর কি এমন জাদু-টো*না করলো যে তুমি আমার শরীরে হাত উঠালে আর আমাকে এমন খা*রা*প কথা শুনাচ্ছো!”
মফিজুর রাগে রিরি করতে করতে রুমানার কাছে এসে ওর মাথার পিছনের অংশের চুলগুলো নিজের পাঁচ আঙুলের ভাঁ*জে নিয়ে ঝাঁ*কা*তে ঝাঁ*কা*তে বললো….
—“খবরদার…আর একবার যদি আমার ছেলে-মেয়েদের আ*প*দ বলে সম্বোধন করেছিস তাহলে এই হাত দিয়ে তোর মাথায় থাকা সব চুল আমি টে*নে টে*নে উ*প*রে ফেলবো। তোর এই নোং*রা মুখ বস্তা সেলাই করার মুরাল দিয়ে আজীবনের মতো সেলাই করে দিবো।”
মফিজুর এতোটাই জোরে জোরে রুমানার মাথার চুলগুলো টে*নে টে*নে কথা বলছে যে রুমানার মাথা য*ন্ত্র*ণা*য় ছিঁ*ড়ে আসছে যেনো। ওদের থেকে কিছুটা দূরে গুঁ*টি-সু*টি হয়ে রাসেলের একহাত ধরে দাড়িয়ে আছে ঝর্ণা। রুমানা আ*র্ত*না*দে*র স্বরে বললো…
—“আমার ভিষণ ব্য*থা লাগছে গো…ছাইড়া দাও আমারে।”
মফিজুর বললো…
—“সামান্য এইটুকু সময়ের ব্য*থা*ই সহ্য করতে পারছিস না! এতোগুলো বছর ধরে যে তোর উ*ষ্কা*নী মূলক কথাগুলো শুনে আমি আমার ঐ নিষ্পাপ ছোট ছেলে-মেয়ে দু’টোর শরীরে অগনিত আ*ঘা*ত করে এসেছিলাম ওরা সেগুলো কিভাবে সহ্য করেছে হ্যা! আজ তোরে মা*র*তে মা*র*তে আমি শেষ করে ফা*লা*মু। আর এতেই তোর উচিত শিক্ষা পাওয়া হইবো।”
এই বলে মফিজুর রুমানার চুলগুলো ছেড়ে দিয়ে বারান্দার পাশে থাকা কাঠ-খড়ির মাচা থেকে একটা কিছুটা মোটা ও আকারে লম্বা কাঠ হাতে উঠিয়ে নিয়ে আবার রুমানার দিকে তেঁ*ড়ে আসতে নিলে ঝর্ণা কিছু না ভেবে একছুটে ওর বাবার পায়ের কাছে গিয়ে বসে তার একপা নিজের ছোট ছোট হাত জোড়া দিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করতে করতে মি*ন*তি*র স্বরে বললো….
—“মা*ই*রো না বাবা…এই লাঠি খান দিয়া মা*র*লে ভালো মা ম*ই*রা যাইবো। এহন থাইকা কেও কাওরে আর মা*রা চলবো না বাবা। আমরা একলগে মিলেমিশে থাকবার চাই৷ দোহাই বাবা…মা*ই*রো না তুমি ভালো মায়েরে। তারে বরং বুঝাইয়া কও, দেখবা ভালো মা ঠিক বুঝবো। আমাগো উপর আর কোনো অ*ত্যা*চা*র করবো না কখনও।”
ঝর্ণাকে এভাবে নিজের বাবার পায়ে পড়ে না মা*রা*র জন্য মি*ন*তি করতে দেখে রুমানা যেনো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। সে মনে মনে হয়তো ভাবছে….
—“যে বাচ্চা মেয়েটাকে একটু আগেও আমি অনেক বা*জে ভা*ষা*য় কথা শুনাইলাম। তার চরিত্রে পর্যন্ত ক*ল*ঙ্কে*র দা*গ লাগানোর চেষ্টা করলাম। এতো গুলো বছর ধরে দিন নাই রাত নাই খা*রা*প ব্যবহার আর অ*ত্যা*চা*র করে আসলাম আজ কিনা সেই মেয়েটাই আমাকে মা*রে*র হাত থেকে বাঁচাতো তার বাপের পা ধইরা মি*ন*তি করতেছে!”
মফিজুরের কন্ঠে ভেসে আসা কথা রুমানার কান পর্যন্ত পৌঁছাতেই সে ভাবনার জগৎ থেকে বেড়িয়ে আসে। মফিজুর উচ্চস্বরে রুমানাকে উদ্দেশ্য করে বললো….
—“দেখ.. ভালো করে দেখ এই দৃশ্য। যে তুই এ বাড়িতে পা রাখার পর থেকে একটা বেলা এই মাসুম বাচ্চাগুলোকে শান্তিতে থাকতে দিস না আজ সেই মাসুম বাচ্চাই তোকে বাঁচানোর জন্য আমার পা ধরে মি*ন*তি করছে। তোর মন ও মস্তিষ্কের উপর থাকা নি*কৃ*ষ্ট মানসিকতার কালো চাদরটা সরিয়ে ফেল। আর তওবা পাঠ কর৷ নিজের এ যাবতে করে আসা সকল পা*প কর্মের জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভি*ক্ষা চা। আর এই নিষ্পাপ শিশু দু’টোকে অমানুষের মতো অ*ত্যা*চা*র করার ষ*ড়*য*ন্ত্র করে আসার জন্য ওদের থেকেও ক্ষমা চেয়ে নে। আর কখনও ওদের কোনোরূপ ক*ষ্ট যদি দিয়েছিস তাহলে আজ যেই জীবন তুই ভি*ক্ষা পাইলি এরপর আর তা পাবি না। এরপর এই দুনিয়ার কোনো শক্তি তোকে আমার হাতে খু*ন হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবে না। এই কথা নিজের মাথার ভিতর খুব ভালো করে ঢুকিয়ে নে।”
রুমানা ওর নিজের করা ভু*ল গুলোর জন্য ইতিমধ্যেই অনুতপ্ত বোধ করতে শুরু করেছে। বেশ কিছুসময় পেরিয়ে যায়। রুমানা মাথানিচু করে রেখে ওভাবেই বসে আছে আঙিনায়। মফিজুর জোরে জোরে নিঃশ্বাস ফেলে নিজের রাগকে অনেকটাই কন্ট্রোলে এনেছে। ঝর্ণা মফিজুরের বাম পায়ের পাশে নিজের দুই হাঁটু একত্র করে তারউপর থুতনি ঠেকিয়ে বসে রুমানার উপর দৃষ্টি স্থির করে রেখেছে। পরক্ষণেই রুমানা কাঁদতে কাঁদতে নিজের দু’হাত দু’দিকে মেলে ধরে বললো….
—“বুকে আমার মানিকরা! আয় বুকে আয়!”
ঝর্ণা আর রাসেল রুমানার ডাক শুনে ওদের বাবা মফিজুরের দিকে তাকায়। মফিজুর স্মিত হেসে ইশারা করলেন রুমানার কাছে যাওয়ার জন্য। মফিজুরের ইশারা বুঝতে পেরে রাসেল আর ঝর্ণা আর ২য় কিছু না ভেবে যে যেখানে যে অবস্থায় বসে বা দাঁড়িয়ে ছিলো না কেনো সেখান থেকেই এক ছুটে রুমানার বুকের উপর হা*ম*লে পড়ে। রুমানা দু’হাতে ওদের দু’জনকে জড়িয়ে ধরে ওদের থেকে ক্ষ*মা চায়। আর কখনও ওদের সাথে কোনরূপ খা*রা*প আচারণ করবে না। ওদের কখনও ক*ষ্ট পেতে দিবে না, মায়ের আদর-স্নেহ দিয়ে আগলে রাখবে সবসময় এইসব বলে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়। পরিস্থিতি শিথিল হয়েছে দেখে মফিজুর হাসিমুখে মূল দরজার কাছে গিয়ে দরজা খুলে কুশল আর তরুকে উদ্দেশ্য করে বললো….
—“সাহেব-ম্যম আপনেরা এখন ভিতরে আসুন। আমাদের পারিবারিক যা ঝামেলা ছিলো সব মিটাইয়া নিছি আমরা। এখন আর কোনো স*ম*স্যা হইবো না। আসেন ভিতরে আসেন।”
মফিজুরের এরূপ কথা শুনে তরু কিছুটা অবাক হওয়ার পাশাপাশি খুশিও হয়। কুশল তরুর দিকে তাকিয়ে হাসি দিয়ে বললো….
—“ভিতরে যাওয়া যাক তাহলে।”
কুশলের ঠোঁটে হাসির রেখা ফুটে উঠতে দেখে তরুর ঠোঁটেও হাসির রেখে ফুটে উঠে। অতঃপর ওরা দু’জনে একসাথে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে। আঙিনার উপর দু’হাটু ভাজ করে বসে ঝর্ণাকে নিজের এক পায়ের উপর বসিয়ে রেখেছে রুমানা। আর রাসেল অন্যপাশে বসে আছে। সেইসময় কুশল আর তরুকে মূল গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখে রুমানা নিজের মুখশ্রী জুড়ে কিছুটা অবাক ভাব স্পষ্ট রেখে ওদের দিকে তাকায়। ঝর্ণা রুমানার কোল থেকে উঠে দাঁড়িয়ে একছুটে তরুর কাছে গিয়ে তার পেট জড়িয়ে ধরে হাসিমুখে বললো….
—“সুন্দর চাচ্চু-সুন্দর চাচ্চী..! আমাদের মা এখন ভালো হয়ে গিয়েছে। আমাদের এখন থেকে আর মা*র*বেন না, আমাদের অনেক অনেক আদর-যত্ন করবেন বলে প্রতিজ্ঞাও করেছেন। তোমার ঐ যন্ত্রটা আমার আর লাগবে না গো সুন্দর চাচ্চু।”
তরু ঝর্ণার কথা শুনে হাসিমুখে ওর মাথায় হাত বুলিয়ে দেয়। মফিজুর বললো….
—“রুমানা…আজ আমার আর তোমার ভু*ল ভা*ঙা*নোর পিছনে সবথেকে বড় অবদান যারা রেখেছেন তারা হলেন এই সাহেব আর ম্যম। আজ ওনাদের সম্মুখীন যদি না হতাম তাহলে হয়তো কখনও আমাদের ভু*ল গুলো আমাদের চোখে ধরা পড়তো না। আর আমরা আজীবন এই নিষ্পাপ শিশু দু’টোকে অ*মানুষের মতো অ*ত্যা*চা*র করে যেতাম। তখন আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাওয়ার ও কোনো মুখ আমাদের থাকতো না।”
তরু বললো….
—“ছি: ছি: এভাবে বলে আমাদের লজ্জায় ফেলবেন না। আপনারা আপনাদের ভু*লগুলো বুঝতে পেরেছেন বাচ্চা দু’টোকে আপন করে নিয়েছেন এটা দেখেই আমাদের মনে ভিষণ শান্তি কাজ করছে৷”
মফিজুর হাসিমুখে রুমানাকে বললো….
—“কি গো..এখনও ঐখানে বইসা রইছো যে! যাও রান্নাঘরে যাও। ভালো ভালো কিছু খাবার রান্না করবো। সাহেব আর ম্যম কি না খাইয়া আমাদের বাড়ি ছাড়বো নাকি!”
রুমানা বললো….
—“এ মা…না..না..কি যে বলো তুমি! আমি এক্ষুণি যাচ্ছি রান্নার ব্যবস্থা করতে।”
এই বলে রুমানা আঙিনা থেকে উঠে রান্নাঘরের উদ্দেশ্যে চলে যান। মফিজুর বললো….
—“ঝর্ণা-রাসেল যাও সাহেব-ম্যমরে ঘরের ভিতরে নিয়া যাইয়া বসতে দাও। আমার একটু বাহির যাওন লাগবো। আইসা পড়মু একটু পরই আবার।”
এই বলে মফিজুর বাহিরে চলে যায়। ঝর্ণা আর রাসেল তরু ও কুশলকে নিয়ে ভিতরে চলে যায়।
#চলবে ইনশাআল্লাহ……..
(গত কাল পরীক্ষা ছিলো। তাই পড়াশোনার প্রেসার থাকায় গত ৩দিন গল্প দিতে পারি নি। আগামী ২ তারিখে আমার পরবর্তী পরীক্ষা আছে। গল্প আজ দেওয়াটা জরুরী ছিলো তাই সময় বের করে কষ্ট করে লিখলাম। ছোট বলবেন না কেও। ১৫০০+ শব্দ আছে এখানে।)