#হৃদকোঠোরে_রেখেছি_তোমায়🖤(৫৯)
#Maisha_Jannat_Nura (লেখিকা)
(১৩৮)
পরেরদিন সকালবেলা….
কুশল আর তরুনিমা ঝর্ণাদের থেকে বিদায় নিয়ে পাহাড়তলী গ্রাম থেকে বেড়িয়ে পরে। গাড়ি চলছে তার আপন গতিতে। তরুনিমা শান্ত স্বরে বললো…
—“নিলাদ্র ভাইয়াকে বাড়িতে নিয়ে যাবেন কিভাবে? তার পরিচয় বা কি দিবেন সে বিষয়ে কিছু ভেবেছেন কি!”
কুশল গাড়ি চালাতে চালাতেই প্রতিত্তুর করলো…
—“নিলাদ্রকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার একটাই রাস্তা খোলা আছে।”
—“কি রাস্তা!”
—“সন্ধ্যার বিয়ের সম্বন্ধ নিয়ে নিলাদ্র ওর নতুন পরিচয় নিয়ে নতুন পরিবারের সাথে বাড়িতে আসবে। আর এই সম্বন্ধ পাঁকা করে দ্রুত সন্ধ্যা আর নিলাদ্রের বিবাহকার্য সম্পন্ন করতে হবে।”
—“নতুন পরিবার মানে!”
—“আমাদের দুইজন মধ্যবয়সের পুরুষ-মহিলা ও ২জন আমাদের বয়সী পুরুষ-মহিলার প্রয়োজন। যাদের নিলাদ্রের পরিবারের সদস্য হিসেবে বাড়ির সকলের সামনে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাবে।”
—“কিন্তু এমন বিশ্বাসযোগ্য মানুষদের হুট করেই কোথায় পাবেন!”
—“সেটাই তো চিন্তার বিষয়।”
তরু কিছুসময় নিরব থেকে চিন্তা করে বললো….
—“আচ্ছা তাহির আর হুমায়রার সাথে যদি এই বিষয়ে কথা বলি তাহলে কেমন হয়!”
তরুর মুখে এরূপ কথা শুনে কুশল ঘাড় বাঁকিয়ে তরুর দিকে একপলক দেখে বললো…
—“মন্দ বললে না তো কথাটা। কিন্তু ওরা কি এমনটা করতে রাজি হবে!”
—“কথা বলার পর কি সিদ্ধান্ত নেয় ওরা দেখা যাক তা।”
—“আচ্ছা।”
লম্বা সময় ধরে ড্রাইভিং করার পর গাড়ি তার নিজ গন্তব্যে অথ্যাৎ কুশল নিলাদ্রকে ভর্তিকৃত ক্লিনিকের সামনে এসে গাড়ির ব্রেক কষে। কুশল শান্ত স্বরে বললো…
—“তুমি ভিতরে যাও, আমি গাড়ি পার্ক করে আসছি।”
তরু গাড়ি থেকে নেমে ক্লিনিকের ভিতরে চলে যায়। কুশল গাড়ি পার্ক করতে যায়।
(১৩৯)
তালুকদার ভিলার ড্রয়িংরুমের আসবাবপত্র পরিষ্কার করছিলো কাজের মেয়ে মিনু। সেইসময় মূল দরজা দিয়ে হুমায়রার সাহায্য নিয়ে তাহিরকে ভিতরে প্রবেশ করতে দেখে মিনু ওর হাত থেকে কাপড়টা ফেলে দিয়ে বললো…
—“ওরে আল্লাহ..ছোট মালিকের এ কি দ*শা হইছে! বড় মালকিন…বড় মালিক দেইখা যান ছোট মালিকের কি স*ব্বো*না*শ হইয়া গেছে।”
মিনুকে এভাবে চিল্লিয়ে তাহিরের বাবা-মাকে ডাকতে শুনে তাহির মিনুকে ধ*ম*ক দেয়। সঙ্গে সঙ্গে মিনু চুপ হয়ে যায়। নিচতলায় নিজ কক্ষে বিছানায় বসে ছিলো তমিজ ও রেবেকা তালুকদার। মিনুর উচ্চস্বরে বলা কথাগুলো শোনামাত্র হ*ন্ত*দ*ন্ত হয়ে তাহিরের বাবা-মা দু’জনেই তাদের রুম থেকে ড্রয়িংরুমে এসে দাঁড়ান। হুমায়রা তাহিরকে সোফায় বসিয়ে দিয়ে ওর পাশেই বসেছে মাত্র। রেবেকা তাহিরের দিকে অগ্রসর হতে হতে অস্থির স্বরে বললেন….
—“কি হয়েছে আমার সোনা মানিকের! কি স*র্বো*না*শ হলো!”
রেবেকা তাহিরের হাতের বাম পার্শে এসে বসতেই তাহির বললো….
—“আহহ..মা! শান্ত হও, এতো অস্থির হওয়ার মতো কিছু হয় নি আমার।”
—“অস্থির হবো না মানে! তোর বুকের বাম পার্শে এমন ব্য*ন্ডে*জ করা কেনো! কি হয়েছে সত্যি করে বল আমায়।”
—“তেমন কিছুই না মা। ছোট একটা গু*লি এসে লেগেছিলো বুকের বাম পার্শে।”
গু*লি লাগার কথা শুনে রেবেকা বেগম স্ত*ব্ধ হয়ে যান কয়েক সেকেন্ড এর জন্য৷ তমিজ তালুকদার বললেন….
—“গু*লি! গু*লি লাগলো কিভাবে?”
রেবেকা তালুকদারের চোখজোড়া ইতিমধ্যেই নোনাজলে টইটম্বুর পুকুরের মতো হয়ে গিয়েছে। তিনি ছলছল দৃষ্টি নিয়ে তাহিরের দিকে তাকিয়ে বললেন….
—“এতো বড় একটা দূ*র্ঘ*ট*না ঘটে গেলো আর তোরা আমাদের কিছু জানানোর প্রয়োজন মনে করলি না! হুমায়রা বললো তোরা শহর থেকে কিছুটা দূরে একটা গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিস। সেখানেই ২-৩ দিন থাকবি, ঘোরাঘুরি করবি। নেটওয়ার্ক প্রবলেম অনেক তাই কল দিলে তোদের না পেলে যেনো চিন্তা না করি। সেইসব তাহলে মি*থ্যে ছিলো! তুই সেইসময় জীবন-মৃ*ত্যু*র সাথে লড়াই করছিলি!”
তাহির একপলক হুমায়রার দিকে তাকায়। হুমায়রা বি*ষ*ন্ন মুখশ্রী করে বসে আছে। তাহির শান্ত স্বরে বললো…
—“হিমু মি*থ্যে বলে নি মা৷ আমরা শহর থেকে কিছুটা দূরে একটা গ্রামে ঘুরতে গিয়েছিলাম ঠিকই। সেখানে কিছু দ*স্যু*র দল গ্রামের মানুষদের উপর হা*ম*লা করেছিলো। আর সেসব ঝা*মে*লা মিটাতে গিয়েই আমি গু*লি বি*দ্ধ হয়ে যাই। এরপর হিমু সহ গ্রামের মানুষরাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। অপারেশন করে গু*লি টা বের করা হয়েছে। এখন আমি সুস্থ আছি, শুধু ক্ষ*ত স্থানে হালকা ব্য*থা আছে। কয়েকদিন এর ভিতর সেটাও সেরে যাবে।”
তাহিরকে এতো সুন্দর ভাবে বানিয়ে মি*থ্যে বলতে দেখে হুমায়রা বেশ অবাক হয় কিন্তু মুখে কিছু বলে না। অতঃপর আরো বেশ কিছু সময় বাবা-মায়ের সাথে সময় কাটিয়ে হুমায়রার সাহায্য নিয়ে তাহির নিজের রুমে চলে আসে। রুমে প্রবেশ করতেই হুমায়রা বললো….
—“মি*থ্যে বললে কেনো?”
—“সত্য বলে ঝা*মে*লা বাড়ানোর থেকে মাঝেমাঝে মি*থ্যে বলে পরিস্থিতি সামলে নেওয়াই ভালো।”
তাহির এর কথায় হুমায়রা হালকা ভাবে ভেং*চি কা*টে।
(১৪০)
তরুনিমা নিলাদ্রের কেবিনে প্রবেশ করতেই দেখে নিলাদ্র আর সন্ধ্যা বেডের উপর পাশাপাশি বসে আছে। তরুনিমাকে দেখামাত্র সন্ধ্যা বেড থেকে নেমে দাঁড়িয়ে বললো…
—“মেজো ভাবী তুমি একা আসলে যে মেজো ভাইয়া কোথায়? আর তোমরা আমাদের কাওকে কিছু না বলে হুট করে কোথায় চলে গিয়েছিলে গত কাল রাতে!”
তরুনিমা সন্ধ্যার দিকে অগ্রসর হতে হতে চিন্তা করে…
—“এখন যদি সন্ধ্যাকে বলি যে আমরা মায়ের কবর জিয়ারত করতে গিয়েছিলাম তাহলে মেয়েটার মন আবারও বি*ষ*ন্ন হয়ে যাবে। সেখানে যাওয়ার জন্য ছ*ট*ফ*ট ও করতে পারে। তাহলে কি বলবো ওকে এখন!”
তরু সন্ধ্যার সামনে এসে দাঁড়াতেই সন্ধ্যা আবারও একই প্রশ্ন করলে তরু বললো….
—“তোমার ভাইয়াকে নিয়ে ক্লিনিক থেকে কিছুটা দূরে একটা নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানেই সারারাত কাটিয়ে দিয়েছি। তোমার ভাইয়াও এসেছেন। পার্কিং সাইডে গাড়ি রাখতে গিয়েছেন। আচ্ছা এখন এসব কথা ছাড়ো। আমি আর তোমার মেজো ভাইয়া মিলে একটা পরিকল্পনা করেছি৷”
সন্ধ্যা অবাক স্বরে বললো…
—“কিসের পরিকল্পনা!”
নিলাদ্র ওদের দিকেই দৃষ্টি স্থির করে রেখেছে। তরুনিমা নিলাদ্রকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে করা পরিকল্পনার কথা ওদের জানায়। সন্ধ্যা বললো…
—“তাহির ভাইয়ার গু*লি লেগেছিলো। উনি তো এখনও সুস্থ হন নি। আর সুস্থ হলেও আবারও আমাদের জন্য এতো বড় রি*স্ক নিতে কি ওনারা কেও রাজি হবেন!”
তরুনিমা একবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো…
—“তাহির আর হুমায়রার সাথে একবার সামনা-সামনি এই বিষয় নিয়ে কথা বলে দেখি। যদি একান্তই ওরা রাজি না হয় তাহলে আমাদের অন্য কোনো ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সেইসময় কুশল নিলাদ্রের কেবিনে প্রবেশ করলে তরুনিমা কুশলকে উদ্দেশ্য করে বললো….
—“তাহিরকে এখুনি কি একবার কল করবো!”
কুশল শান্ত স্বরে বললো…
—“না এখুনি না। কয়েকদিন যেতে দাও, তাহির কিছুটা সুস্থবোধ করুক। এরপর এই বিষয়ে ওর সাথে কথা বলা যাবে। আপাতত নিলাদ্রের থাকার জন্য আমি শহর থেকে কিছুটা দূরে একটা হোটেলে রুম বুক করে দিয়েছি। সেখানেই ও সৌহার্দ্যের পরিচয়ে থাকবল কিছুদিন।”
কুশলের কথায় ওরা তিনজন ই সম্মতি জানায়। কুশল আবারও বললো….
—“এবার আমাদের বাড়িতে ফেরা দরকার। আর তোমরা দু’জন একটা বিষয় খুব ভালো ভাবে মাথায় ঢুকিয়ে রাখো। বাড়ির কারোর সামনে সন্দেহজনক কোনো আচারণ করবে না তোমরা। আগে যেমন ভাবে চলাচল করতে সবার সাথে নরমালি কথা বলতে তেমন ই থাকবে। ওরা যদি একবার বুঝতে পারে যে আমরা ওদের সব সত্য জেনে গিয়েছি তাহলে ওরা যখন তখন আমাদের যে কারোর বড় ধরণের ক্ষ*তি করে বসবে। আমি চাই না আমাদের সামান্য তম বো*কা*মী*র জন্য পা*পী*রা সতর্ক হয়ে যাক।”
সন্ধ্যা একবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো….
—“ঠিক আছে।”
কুশল নিলাদ্রকে উদ্দেশ্য করে বললো…
—“নিলাদ্র তুইও চল আমাদের সাথে। তোকে হোটেলের সামনে নামিয়ে দিয়ে আমরা বাড়ি ফিরবো।”
এরপর সন্ধ্যা নিলাদ্রের হাতে হাতে ওর প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ব্যগে গুছিয়ে দেয়। গোছগাছ শেষ করে কুশল নিলাদ্রকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ করার সব ফর্মালিটি সেরে নেয়। অতঃপর ওরা হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে পরে।
(১৪০)
চৌধুরী মেনশনে ড্রয়িংরুমে সোফায় রিজভী, কামিনী, সাবরিনা, সায়মন বসে থাকা কালীন সময়ে মূল দরজার দিক করে পুরুষালী কন্ঠে ‘মামনি’ ডাক শোনামাত্র ওরা সবাই সেদিকে তাকায়। দীর্ঘ ৫ বছর পর কামিনী ও রিজভীর ছেলে রাজবীরকে নিজেদের চোখের সামনে দেখামাত্র ওরা সবাই অনেক বেশিই অবাক হয়ে যায়। ওরা সবাই সোফা ছেড়ে উঠে দাঁড়ায়। কামিনী হাসিমুখে দুই হাত বাড়িয়ে রাজবীরের দিকে অগ্রসর হতে হতে বললো….
—“আরে আমার সোনা ছেলে…কতোবছর পর দেশে ফিরলি বাবা! আয় আমার বুকে আয় মানিক আমার।”
এই বলে কামিনী রাজবীরকে দু’হাতে নিজের বুকের সাথে জড়িয়ে নেয়। কিছুসময় পর রাজবীরকে ছেড়ে ওর পাশেই দাঁড়ায় কামিনী। সাবরিনা হাসিমুখে রাজবীর এর সামনে এসে দাঁড়িয়ে দু’হাতে ওর নজর কাটিয়ে দেওয়ার মতো ভ*ঙ্গি*মা করে বললেন….
—“বাড়ির রাজপুত্র অবশেষে বাড়িতে ফিরলো। কিন্তু তুই এভাবে সারপ্রাইজ দিবি তা তো আমরা কেও ভাবতেই পারি নি।”
রাজবীর ওর শার্টের কলার্ট দু’হাতে টেনে দিয়ে বললো…
—“ভাবনার বাহিরে কাজ করাই তো রাজবীর চৌধুরীর বিশেষ ট্যলেন্ট মামনি।”
রিজভী বললো…
—“হয়েছে..হয়েছে..রাজবীর বাবা তুমি অনেকটা পথ জার্নি করে এসেছো। তাই এখন রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে রেস্ট করো কিছুসময়। তোমার মা আর মামনি সেইসময়ের ভিতর তোমার পছন্দের সব খাবার তৈরি করে ফেলবেন।”
—“ঠিক আছে বাবাই।”
এই বলে রাজবীর সিঁড়ি বেয়ে উপরে নিজের রুমের উদ্দেশ্যে হাঁটা ধরে।
কয়েক ঘন্টা পর………
সবেমাত্র খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ করে ড্রয়িং রুমে সোফায় বসে গল্পের আসর নিয়ে বসেছে সাগরিকা, সাবরিনা, কামিনী, সায়মন, রিজভী আর রাজবীর। সেইসময় কুশল, তরু আর সন্ধ্যা মূল দরজা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে। কুশলকে দেখা মাত্র রাজবীর সোফা ছেড়ে উঠে কুশলের কাছে এসে ওকে জড়িয়ে ধরে বললো….
—“হেই ব্রো..কেমন আছো তুমি!”
কুশল শান্ত স্বরে বললো…
—“ভালো আছি, তুই কেমন আছিস।”
—“এই তো বিন্দাস আছি।”
এই বলে রাজবীর সন্ধ্যার দিকে কেমন দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে ওর গাল টেনে দিয়ে বললো…
—“কি রে তুই তো দেখছি অনেক বড় হয়ে গিয়েছিস। আর অনেক সুন্দর ও হয়ে গিয়েছিস।”
রাজবীরের এমন দৃষ্টি ও কাজ সন্ধ্যার একদমই ভালো লাগে না। সন্ধ্যা জোর পূর্বক হাসি দিয়ে বললো…
—“আমি অনেক ক্লান্ত বোধ করছি। রুমে গিয়ে ফ্রেশ হবো। পরে তোমার সাথে কথা হবে ভাইয়া।”
এই বলে সন্ধ্যা রাজবীরকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে দ্রুত কদমে নিজের রুমের দিকে পা বাড়ায়। বাকিরাও সন্ধ্যার এমন আচারণকে তেমন গুরুত্ব দেয় না। রাজবীর তরুনিমাকে দেখে বললো…
—“উনিই বুঝি আমাদের ভাবী! তো ভাবীর সাথে পরিচয় করিয়ে দিবে না ব্রো!”
কুশল স্মিত হাসি দিয়ে বললো…
—“ও তোর মেজো ভাবী তরুনিমা চৌধুরী। আর তরুনিমা ও রিজভী চাচার একমাত্র ছেলে রাজবীর চৌধুরী।”
তরুনিমা শুরু থেকেই রাজবীরকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে দেখছে। রাজবীর শহুরে স্টাইলে হ্যন্ডশেক তরুর দিকে ডান হাত বাড়িয়ে বললো….
—“হ্যলো ভাবী!”
তরু তা উপেক্ষা করে হাসি দিয়ে বললো…
—“আসসালামু আলাইকুম ভাইয়া।”
তরুর এমন কাজে রাজবীর কিছুটা লজ্জার মাঝে পরে যায়। পরক্ষণেই নিজের হাত গু*টিয়ে নিয়ে সালামের উত্তর দেয় সে। তরু মনে মনে চিন্তা করে….
—“এনাকে কোথায় যেনো দেখেছি আমি। কিন্তু কোথায় দেখেছি কিছুতেই মনে করতে পারছি না।”
#চলবে ইনশাআল্লাহ…….