#_প্রেমের_সম্মোহন💞
#পর্ব_ ০৬
Writer_Nusrat_Jahan_Sara
এটাতো আবিরের ভয়েজ ছিলো৷ তারমানে আবিরই রোজ আমাকে দেখতে আসে শুধু তাই নয় আমাকে ভালোবাসে কিন্তু এটা কী করে সম্ভব৷ তাও একদিন দুইদিন ধরে না দুইমাস যাবত আমাকে ভলোবাসে৷ যেই ছেলের একটা সাইন নেওয়ার জন্য মেয়েরা পিছন পিছন ঘুরে ওর সাথে কথা বলার জন্য ব্যাকুল হয়ে থাকে এতো মেয়েকে পিছন ফেলে কী না আবির আমায় ভালোবাসে৷ আমার মতো একটা সাধারণ মেয়েকে এটা কী আদৌ সম্ভব নাকি সবই কাকতালীয়৷
অনু ব্যালকনির পর্দা টেনে রুমে চলে গেলো৷ বেচারির চোখ বেয়ে পানিও পরছে৷ অতিরিক্ত শক পেলে মানুষের যা হয় সেইরকম অবস্থা অনুরও হয়েছে৷ ফোন হাতে নিলো সামান্তাকে জানাবে বলে৷ ঠিক তখুনি নীল প্রজাপতির মেসেজ৷
“আমি জানি তুমি আমাকে চিনে ফেলেছো তোমার রিয়েকশন দেখে সেটাই বুঝা যাচ্ছিলো৷ ওতটুকু ক্লুই যথেষ্ট ছিলো আমাকে চেনার৷ হ্যাঁ আমি আবির৷ আমিই সেই নীল প্রজাপতি, নীলাদ্রি৷ আমি তোমাকে ভালোবাসি৷ এখন আপাতত তুমি কাউকে বিষয়টা জানিওনা৷আর আমি এটাও জানি যে তুমি আমাকে ভালোবাসোনা৷ আমাকে দেখলে তোমার যা মনে হয় সেটা নিতান্তই আবেগ ছাড়া আর কিছুনা৷ আর আবেগের বশবর্তী হয়ে এমন কিছু করবা না যাতে তোমার আর আমার উভয়েরই ক্ষতি হয়৷ আরেকটা কথা আমি কিন্তু আর তোমার বাড়ির পাশে আর যাবোনা৷ আমি নিজের কাছেই নিজে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম যেদিন তুমি আমার আসল পরিচয় জেনে যাবে সেদিন আমি আর তোমার বাড়ির পাশে যাবোনা৷ ভালো থেকো৷ গুড নাইট৷ লাভ ইউ জানপাখি৷
অনু মন খারাপ করে ফোনটা রেখে দিলো৷ আবির আর আসবেনা এটা ভেবেই ওর ভিষন কষ্ট হচ্ছে৷
মিতা কী করছে সেটা দেখার জন্য অনু মিতার রুমে গেলো৷ গিয়ে যা দেখলো তাতে ওর পায়ের রক্ত সব মাথায় উঠে গেছে৷
অনুঃহাউ ডেয়ার ইউ আকাশ৷ তুমি আমার বোনকে দিয়ে পা টিপাচ্ছো৷ তোমার ট্যাং আমি ভেঙে দিবো৷
.
আকাশঃকেনো শালিকা স্ত্রী বুঝি স্বামীর পা টিপে দেয়না৷
.
অনুঃদেওয়ায় দেওয়ায় ব্যবধান আছে আকাশ৷ দেখতে পাচ্ছোনা আমার আপু অসুস্থ৷ তাও তুমি তাকে দিয়ে তোমার সেবা করাচ্ছো৷
.
মিতাঃবোন আমিই টিপে দিচ্ছি ও বলেনি৷
.
অনুঃও যা বলবে তা তুমি শুনবেনা আপু৷ ও আসলে একটা চিপ,লুজার মনের মানুষ৷ মানুষের মন নিয়ে খেলা করাই ওর কর্ম ওর ধর্ম৷
.
মিতাঃএসব কী বলছিস তুই বোন৷
.
অনু রাগের মাথায় কী বলে ফেলছে সেটা ও নিজেই বুঝতে পারছেনা৷ কিছুক্ষণ মাথা ঠান্ডা করে বললো,,,
অনুঃনা তেমন কিচ্ছু না আমি আসছি৷
অনু রুম থেকে বেড়িয়ে গেলো৷আকাশ অনুর যাওয়া দেখে বাঁকা হাসছে৷
🍁
পরেরদিন~~~~~
অনু, আরুহি,সামান্তা,ছোঁয়া,রিংকি ওরা সবাই ভার্সিটির বট গাছের নিচে বসে আছে৷ওরা পাঁচজন সবার আগে ভার্সিটিতে আসে৷ আসার কারন ফার্স্ট ব্রেঞ্চে বসা৷অনু মন খারাপ করে আছে৷ আরুহি,সামান্তা,ছোঁয়া,রিংকি ওর মন খারাপের কারন জানতে চাইছে কিন্তু অনু কাউকে কিছু বলছেনা এক ধ্যানে শিমুল গাছের দিকে তাকিয়ে আছে
সামান্তাঃকী হোয়া তেরি৷
.
অনুঃনাথিং সামু৷
.
আবির ওকে ভালোবাসে এত বড় কথাটা নিজের বেস্ট ফ্রেন্ডদের বলতে পারছেনা তাই মন খারাপ করে বসে আছে৷ আরুহি নিজের ফোন কিছুক্ষণ ঘেটে বললো
আরুহিঃএই দেখ এক আকাশ ভালোবাসি নামক একটা আইডি থেকে মেসেজ এসেছে “হাই আরুহি৷
.
অনু আরুহির কথা শুনে ফট করেই বলে দিলো
অনুঃএটা আদিলের আইডি৷
.
আরুহিঃহুয়াট আদিলের৷ ওর আইডি নিজ নামে খোলা আর আইডির পাশে ব্লু টিক চিহ্ন দেওয়া৷ বাট এটারতো নেই৷
.
অনুঃকেনো আদিল বুঝি ফেক আইডি চালাতে পারেনা৷
.
আরুহিঃসেটা ঠিক বাট ও কেনো আমাকে মেসেজ করবে৷ ওয়াইট ওয়াইট তুই কী করে জানলি এটা আদিলের ফেক আইডি মানে তুই কী এখন এসব সিরিয়াসলি ধরে নিচ্ছিস৷ নাকি তোকেও কেউ ফেক আইডি থেকে মেসেজ করে স্পেশালি আবির৷
.
অনুঃদেখ রুহি তেমন কিচ্ছুনা৷
.
অারুহিঃতাহলে যে বললি৷
.
অনুঃআমার মনে হয়েছে তাই৷
.
আরুহিঃহুম৷ ধরে নিলাম এটা আদিল বাট ও আমার আইডি কী করে চিনলো আমার আইডি তো রুহি দিয়ে খোলা৷
.
অনুঃসেটাতো যে মেসেজ করেছে সেই ভালো জানে৷
অনু হাতে খাতা নিয়ে কিছু আঁকিবুঁকি করছে আর ওরা চারজন গল্প করছে৷ অনু কিছুক্ষণ আঁকিবুঁকি করে হাতে ফোন নিয়ে অনু,আরুহি,সামান্তা,ছোঁয়া,রিংকির একসাথে তুলা ছবিগুলো দেখতে লাগলো৷ হঠাৎ ফোনের স্ক্রিনে আবিরের কল দেখে কেঁপে উঠলো৷ আবির এখন একেবারে ওর আইডি থেকে ফোন দিয়েছে৷ অনু আরুহিদের দিকে একবার তাকিয়ে একটু দূরে সরে গিয়ে কাঁপা কাঁপা হাতে ফোন রিসিভ করলো৷
“হ,,,,হ্যালো
.
কেমন আছো অনু৷
.
ভালো৷
.
ফোন দেওয়াতে কী তোমার অস্বস্তি হচ্ছে নাকি৷
.
না তেমন কিছুনা৷
.
ভাবলাম আমার আসল পরিচয় তো জেনেই গেলে তাই আর ফেক আইডি থেকে মেসেজ ফোন করে কী লাভ৷ আচ্ছা কোথায় আছো তুমি?
.
ভার্সিটিতে৷
.
ও সরি৷ আচ্ছা যে কথাটা বলার জন্য ফোন করেছি কথাটা হলো তুমি তোমার বান্ধবীদের বলতে পারো৷ আদিল,আদনান,শ্রাবন,আহিল ওরাও জানে৷ আর আমি চাইছি তুমি আজ আমার সাথে দেখা করো তোমাদের ভার্সিটির বামপাশের যে একটা কফিশপ আছে সেখানে ৷ এটা আমার চাওয়া এখন তোমার কী চাওয়া সেটা তুমি ডিসাইড করবে৷আসবে কী না জানিও৷ আর এমন টাইমে ফোন দেওয়ার জন্য আবারো সরি৷
ওপাশ থেকে ফোন কেটে গেলো৷
.
সামান্তাঃকী রে কে ফোন দিয়েছে?
.
অনুঃআবির৷
.
ছোঁয়াঃওয়াট৷ মজা করিস৷
.
অনুঃনা
.
সামান্তাঃদেখি৷
সামান্তা অনুর ফোন নিয়ে দেখলো সত্যি আবিরই ফোন দিয়েছে৷ ৷
রিংকিঃআবির কেনো তোকে ফেন দিয়েছে৷
আবিরের পারমিশন যেহেতু অনু পেয়ে গেছে তাই সে কাল রাতের ব্যাপারে সব ওদের বলে দিলো৷
সামান্তাঃও এম জি৷ সিঙ্গার আবির রায়হান চৌধুরী তোকে ভালোবাসে৷ আমার যে কী আনন্দ লাগছে আমি বলে বুঝাতে পারবোনা৷ আবির আমাদের জিজু হবে ওয়াও৷
.
রিংকিঃকী বলেছে তোকে?
.
অনুঃকফিশপে দেখা করার জন্য৷
.
ছোঁয়াঃতাহলে তোর জন্যই আবির ভার্সিটিতে গান গাওয়ার জন্য এসেছিলো৷
.
আরুহিঃতুই কী আবিরকে কে ভালোবাসিস৷ আর ওর সাথে দেখা করতে যাবি না?
.
অনুঃআমার দুটোর উত্তরই না৷
.
সামান্তাঃকেনো৷ ওই আকাশকে কী এখনো ভালোবাসিস নাকি৷ আর এই জন্যই দেখা করতে যাবিনা৷
.
অনুঃসেটাআপ সামু৷আমি আকাশকে ভালোবাসি না৷ আর আবিরকে কেনো ভালোবাসবো ও সেলেব্রিটি বলে৷
.
সামান্তাঃসেরকমটা না অনু৷ ও তোকে দুই মাস ধরে ভালোবাসে৷ যে ভালোবাসে তার ভালোবাসার দাম দিতে হয়৷
.
অনুঃও তাই৷ তহালে রিফাত যে তোকে ভালোবাসে তার ভালোবাসার দাম দেসনা কেনো৷
.
আরুহিঃআমার মতে সামু ঠিক কথাই বলেছে তাকে ভালোবাসো যে তোমাকে ভালোবাসে৷
অনুঃতোরা সবকটা পাগল হয়ে গেছিস৷ সেলেব্রিটি পেয়ে পাগল হয়ে গেছিস৷ থাক তোরা আমি বাড়িতে চলে যাচ্ছি৷
অনু মুখ ফুলিয়ে ব্যাগ নিয়ে হনহনিয়ে চলে গেলো৷
🍁
বাসায় এসে খাটে ব্যাগ ছুড়ে মারলো অনু৷ এখনও তার রাগ কমেনি৷
“কী করে মানুষকে বিশ্বাস করবো আমি৷ আকাশের মতো সাধারন ছেলে যদি আমাকে ঠকাতে পারে আর আবির সেলেব্রিটি হয়ে ঠকাবেনা সেটা কী করে বিশ্বাস করবো৷ না আমি কাউকে বিশ্বাস করিনা৷ আবির ঠিকই বলেছে ওর প্রতি আমার যে ফিলিংস আছে সেটা শুধুই আবেগ৷
অনু কথাগুলো বলে কাঁদতে থাকলো৷
“আজ আকাশকে ভালোবেসে ঠকে ছিলাম বলে কাউকে বিশ্বাস করতে পারছিনা৷ আবিরও যদি আমাকে ঠকায় তাহলে আমি একেবারে শেষ হয়ে যাবো নিজের জীবন নিজের হাতে ধ্বংস করতে পারবোনা৷
🍁
চারটা হয়ে গেছে আবির কফিশপে এখনও অপেক্ষা করছে অনুর জন্য৷ বেলা দুইটায় এসেছিলো৷
আদনানঃআমার মনে হয়না অনু আসবে বলে৷
.
আদিলঃহ্যা আবির আমারও মনে হয়না৷ ভার্সিটি তো কখন ছুটি হয়েছে৷ আসলে কবেই এসে যেতো৷
.
শ্রাবনঃআবির তুই ওকে ফোন কর৷
.
আবিরঃকল দিয়েছি মেসেজ দিয়েছি বাট ও মেসেজও সিন করছেনা আর কলও রিসিভ করছেনা৷
.
আহিলঃতোদের কারও কাছে অনুর বান্ধবীদের কারও আইডি আছে৷
.
আদিলঃআছে আমার কাছে সামান্তার আইডি৷
.
আদিলের কথা শুনে আদনান ভ্রু কুঁচকে ফেললো৷
আদনানঃসামান্তার আইডি তোর কাছে কীভাবে এলো৷
.
আদিলঃসামান্তার সাথে আমি রিলেশনে আছি তাই৷
আদনানঃহুয়াট৷ দেখ আদি ওর দিকে চোখ তুলে তাকালে তোর চোখ আমি উপড়ে ফেলবো বলে দিলাম৷
.
আদিলঃআমাকে থ্রেট দেস আদিল খানকে থ্রেট দেস৷ কেনো তোকে আমি ভয় পাই নাকি৷ আর সামান্তা আমার গার্লফ্রেন্ড তাতে তোর কী৷ তোর জন্য তো মেয়ের অভাব নেই৷
.
আদনানঃমেয়ের অভাব নেই বাট সামান্তার মতো মেয়ের বড্ড অভাব৷ ওকে আমি লাইক করি৷
.
আদিলঃজাস্ট পছন্দ করিস ভালো তোর বাসিস না৷ তাহলে এতো লাফালাফি করিস কেনো৷
.
আদনানঃসত্যি করে বল ও তোর গার্লফ্রেন্ড৷
.
আদিলঃআরে হ্যাঁ রে ভাভা হ্যাঁ৷ তোকে মিথ্যা বলতে যাবো কেনো৷
.
আদনানঃনা এটা হতে পারেনা৷ সামান্তা শুধু আমার৷
.
আবিরঃসেটআপ গাইস৷ তোদের এখানে এনেছি আমার প্রবলেম সল্ভ করার জন্য আর তোরাই প্রবলেম সৃষ্টি করছিস৷
আদনানঃদেখনা আবির ও কী বলছে৷
.
আবিরঃও তোর সাথে মজা করছে রে গাধা৷
.
আদিল আদনানের পিঠে একটা চাপড় দিয়ে বললো,,
আদিলঃমানুষ ঠিক কথাই বলে গার্লফ্রেন্ড বা বউ পেলে মানুষ অন্যরকম হয়ে যায়৷ সেটা তোকে দেখে আজ প্রমান পেলাম৷ সামান্তার জন্য আমার চোখ পর্যন্ত উপড়ে নিতে চাইছিলিস৷ ওয়াও৷
.
আদনানঃআ’ম সরি আদি৷
.
আদিলঃহয়েছে৷আমার কাছে সামান্তার আইডি আছে সো,,,
আদিল আদনানের দিকে তাকিয়ে দেখলো আদনান আবারো ওর দিকে ভ্রু কুচকে তাকিয়ে আছে৷
আদিল একটু মেকি হেসে বললো,,,
আদিলঃআসলে কাল রাতে আমি আরুহির আইডি বের করতে চাইছিলাম বাট ওর আইডি আসেনি তারপর সামান্তার নাম লিখে দিতেই ওর আইডি চলে এলো৷ প্রোফাইলে নিজের ফটো দেওয়ায় বিধায় ওকে চিনেছি৷ আর তাই বলেছিলাম ওর আইডি আছে আমার কাছে৷
আদনান সামান্তার নাম লিখে সার্চ করলো৷
আদনানঃআদি দেখতো কোনটা সামান্তার আইডি৷
আদিল কিছুক্ষন খুঁজলো৷
আদিলঃএই দেখ এইটা সামান্তার আইডি৷
.
আহিলঃএবার ওকে মেসেজ দে আর জিজ্ঞেস কর অনু আসবে কী না?
.
আদিল সামান্তাকে মেসেজ না দিয়ে কল দিলো৷
রিং হওয়ার কিছুক্ষণ পর সামান্তা কল রিসিভ করলো৷
“হ্যালো৷
.
আমি আদিল৷৷বলছি৷
.
তা সেলেব্রিটি আবির রায়হান চৌধুরীর বন্ধু আদিল খান কেনো আমায় কল করেছে সেটা কী জানতে পারি৷
.
আসলে আবির আজ অনুকে দেখা করতে বলেছিলো৷ কিন্তু ও আসেনি৷ আমরা এখনও ওর জন্য ওয়েট করছি৷ আসবে কী না সেটাও জানিনা৷
.
ও আসবেনা৷
.
কেনো৷
.
আসলে ও একজনকে ভালোবেসে ঠকে গিয়েছিলে তাই আর কাউকে বিশ্বাস করতে চায়না৷
.
কিন্তু সবাই তো আর এক না৷
.
ওকে কে বুঝাবে৷ আমরা অনেক চেষ্টা করেছি ওকে বুঝানোর বাট ও বিশ্বাস করে যে ওর এক্স বয়ফ্রেন্ড যদি সাধারন মানুষ হয়ে ঠকাতে পারে তাহলে আবির সেলেব্রিটি হয়ে যে ঠকাবেনা সেটার সিওরিটি কী৷
.
ওকে থ্যাংক ইউ৷
.
আদিল ফোন রেখে আবিরের দিকে তাকালো৷
আবিরঃকী বলেছে সামান্তা৷
আদিল সামান্তা যা বলেছে সব আবিরকে বললো,,
আবির আদিলের কথা শুনে চেয়ারে জোড়ে লাথি মারলো৷
ড্যাম ইট৷ এই মেয়ের এতো ইগু৷ ওর জন্য আমি এই পুরু কফিশপ বুক করেছি ওর জন্য দুইটা থেকে অপেক্ষা করছি শুধু তাই নয় ওকে দেখার জন্য রাতে পাগলের মতো ছোটে যেতাম ওর বাড়িতে আর ও কী না আমাকে অবিশ্বাস করলো৷হুয়াই?
ও আসবেনা বলে দিলে কী হতো তাই বলে আমাকে এভাবে অপেক্ষা করাবে নাকি৷ কত টাইম আমার হাত থেকে চলে গেছে৷ তো মিস অনু তুমি বরং তোমার পথ নিয়ে থাকো আর আমি আমার পথ নিয়ে৷ আজ থেকে আমার মনে অনু নামের কোনো মেয়ের অস্তিত্বই থাকবেনা৷ আবির কাউকে ঠকায় না কেউ বিশ্বাস করলে তার বিশ্বাসের মর্যাদা রাখতে জানে৷আর ও কী না আমাকে অবিশ্বাস করলো৷ ভালোবাসে না ভালো কথা তাই বলে ও আমাকে অবিশ্বাস করবে৷ আমাকে ঠকবাজ মিন করেছে ও৷ ওকে আমি ক্ষমা করবোনা৷ ওর জন্য আমি একটা প্রোগ্রাম পর্যন্ত মিস করেছি৷
আবির সামনে যা পাচ্ছে সেসবেই লাথি ঘুষি মারছে৷
ওর রাগ যেনো বেড়েই চলছে৷ মুখ চোখ রক্তবর্ণ ধারন করেছে৷ আদনান,আদিল,শ্রাবন,আহিল ওরা চারজন গিয়ে আবিরকে ধরলো৷
আদিলঃপ্লিজ ইয়ার ঠান্ডা হ৷
.
আবিরঃআমাকে ঠান্ডা হতে বলছিস৷ অনু জানেনা ওকে আমি কতটা ভালোবাসি৷ সবাই ঠকবাজ হয়না এই কথাটা কী ও জানেনা৷ আমাকে জাস্ট একটা বার বিশ্বাস করতে পারতো৷ সেলেব্রিটিরা কী ভালোবাসতে জানেনা নাকি৷আমি ওকে বলেও দিয়েছি যাতে আসবে কী না সেটা আমাকে জানিয়ে দেয়৷
আদনানঃযা হওয়ার তা হয়ে গেছে আমার মনে হয় এখন আর ওর পিছনে টাইম ওয়েস্ট না করে বরং নিজের কাজ নিয়ে নিয়োজিত থাক৷ অনু একদিন ঠিক নিজের ভুল বুঝে তোর কাছে ফিরে আসবে৷
.
ও যদি ফিরে আসে তবুও ওকে আমি একসেপ্ট করবোনা৷কোনদিন না৷ চল এখান থেকে৷
আবির সবাইকে নিয়ে বেড়িয়ে গেলো৷ সাথে নিয়ে গেলো অসম্ভব পরিমানে রাগ৷
চলবে…….
[ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন]