#তুমি_আমার_স্নিগ্ধ_ফুল
#নুসাইবা_ইসলাম_হুর
#পর্বঃ১৪
পারফি প্রীতির রুমে এসে আস্তে আস্তে এগিয়ে গেলো ইয়ানার কাছে। বিড়াল ছানার মতে গুটিশুটি হয়ে ঘুমিয়ে আছে। পারফি ইয়ানার পাশে বসে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো স্নিগ্ধ মুখ পানে। কপালের কাছে আসা চুলগুলো আলতো করে কানের পিছে গুঁজে দিয়ে আস্তে করে বললো যারা যারা আমার স্নিগ্ধ ফুলকে কষ্ট দিয়েছে তাদের কাউছে ছাড়বো না। হ্যা আমারি স্নিগ্ধ ফুল, একান্ত আমার ফুল। এই ফুলের গায়ে কারো টাচ কররার অধিকার নেই। যারা আমার ফুলকে কষ্ট দিয়েছে তাদের এর থেকে দ্বিগুন কষ্ট পেতে হবে। এ বলে আরো কিছুক্ষণ ইয়ানার স্নিগ্ধ মুখপানে তাকিয়ে থেকে নিজের রুমে চলে গেলো। ফ্রেশ হয়ে বেডে শরীর টা এলিয়ে দিলো। প্রচন্ড মাথা ব্যথা করছে এখন একটু রেস্টের প্রয়োজন।
——————
ইসহাক আহমেদ এসেছে অনেক সময় হলো। ইসহাক আহমেদ আসার পর থেকে ইয়ানা তাকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে।
ইসহাক আহমেদ ইয়ানাকে খুঁজে পাওয়ার খবর পেয়ে যেনো প্রাণ ফিরে পেয়েছিলো৷ অসুস্থ শরীর নিয়ে ছুটে এসেছেন মেয়েকে নিতে। আাসার পর থেকে ইয়ানা তাকে একপাশ থেকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে।
ইসহাক আহমেদ এবার সবার থেকে বিদায় নিয়ে ইয়ানাকে নিয়ে বের হতে যাবে তখন বাহিরে হট্টগোলের শব্দে সবাই বাহিরে আসলো। বাহিরে আসতে সবাই হতভম্ব হয়ে গেলো। মিডিয়ার লোকজন বাসার চারপাশে ঘেরাও করে ফেলেছে। গার্ডরা অনেক চেষ্টা করেও তাদের আটকাতে পারলো না। তাদের থামানোর জন্য পাভেল চৌধুরী বললো কি চাই আপনারা এখানে কেনো এসেছেন?
মিডিয়ার এক এক জনে এক এক কথা বলতে লাগলো। বললো শুনলম আবরার পারফি চৌধুরীকে খুঁজে পাওয়া গেছে। তারা ফিরে এসেছে আমরা আবার পারফিকে কিছু প্রশ্ন করতে চাই তাকে ডাকুন।
শাফিন এগিয়ে এসে বললো আপনারা কোনো ঝামেলা না করে চুপচাপ বেড়িয়ে যান আর নাহলে পুলিশ ডাকতে বাধ্য হবো আমরা।
কিন্তু এ কথা কি আর মিডিয়ার কানে যায়? তাদের একটা কথাই আবরার পারফির সাথে কথা বলবে। কথা না বলা পর্যন্ত তারা কোথাও যাবে না।
এদিকে বাহিরে চেচামেচি শব্দে পারফির ঘুম ভেঙে গেলো। এতো শব্দ কেনো হচ্ছে দেখার জন্য বেলকনিতে যেয়ে নিচে মিডিয়ার মানুষ দেখে দ্রুত নিচে নেমে গেলো।
পারফিকে দেখে এক এক জনে হামলে পড়তে লাগলো। গার্ডরা ঘেরাও দিয়ে তাদের আটকালো পারফির কাছে আসা থেকে।
পারফি শান্ত গলায় বললো আপনারা এখানে কেনো? কে পাঠিয়েছে আপনাদের? কি চান এখনে?
তখন একজন সাংবাদিক বলে উঠলো আপনি আর মিস ইয়ানা দুদিন মিসিং ছিলেন। কোথায় ছিলেন? কারা কিডন্যাপ করেছে আপনাদের?সেখান থেকে ফিরে আসলেন কিভাবে?
আরেকজন বলে উঠলো সত্যি কি আপনাদের কিডন্যাপ করা হয়েছে নাকি আপনাদের মধ্যে অন্য কোনো সম্পর্ক আছে যার জন্য দুজন এক সাথে সময় কাটানো জন্য অন্য কোথায় গিয়েছেন? কি সম্পর্ক আপনাদের মাঝে?
আরেকজন বললো দুদিন আপনারা এক সাথে ছিলেন? কোথায় ছিলেন? দুদিন পর আবার হঠাৎ এভবে ফিরে কেনো এসেছেন? আপনারা কি রিলেশনে আছেন? কবে থেকে আপনাদের সম্পর্ক? যে সম্পর্কের জোরে আপনারা বিয়ে না করেই আলাদা সময় কাটাচ্ছেন তাও দূরে কোথাও যেয়ে।
মিডিয়ার কথা শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলো ইয়ানা। পুরো দুনিয়াটা ঘুরে উঠলো। মিডিয়ার মানুষ যে ওদের নিয়ে নেতিবাচক কথা বলছে তাতে মুহূর্তে মাঝে চরিত্রের দাগ কেটে আনলো। চোখ দিয়ে অঝোর ধারা পানি পড়তে লাগলো। এভাবে চরিত্রে কলঙ্কের দাগ লেগে যাবে কখনো কল্পনাও করে নি। এখন এ সমাজে এ চরিত্রের দাগ নিয়ে বেঁচে থাকবে কিভাবে? সমাজের মানুষ যে বাঁচতে দিবে না। কেউ সত্যিটা যাচাই করবে না সবাই যে খুবলে খাবে ভাবতে ইয়ানার শরীর শিউরে উঠলো। মাথা শূন্য লাগছে কি করবে কিছু বুঝতে পারলো না। পুরো দুনিয়াটা কেমন অন্ধকার হয়ে আসছে।
তখন আরেকজন বলে উঠলো আপনাদের ভিতর কোনো অবৈধ সম্পর্ক চলছে নাতো?
পারফি আর সহ্য করতে না পেরে লাস্ট কথাটা যে বলেছে তার নাক বরাবর ঘুষি মেরে দিলো। লোকটা ছিটকে দূরে পড়ে গেলো। এতক্ষণ হৈ-হুল্লোড় পরিবেশ টা মুহুর্তে শান্ত হয়ে গেলো।
পারফি এবার হুংকার দিয়ে বললো জাস্ট শাট আপ। কারো মুখ দিয়ে যদি আর একটা বাজে কথা বের হয় তাহলে তাকে এখানে জ্যন্ত পু/তে দিবো। বেড়িয়ে যান এই মুহূর্তে সবাই এখান থেকে আর নাহলে আমি কি করে বসবো আমি নিজেও জানিনা।
মিডিয়ার সবাই ভয় পেয়ে গেলো। কারো আর সাহস হলো না মুখ দিয়ে কোনো কথা বের করার। জানের মায়া সবারি আছে তাই সবাই চুপচাপ কেটে পড়লো সেখান থেকে।
মিডিয়ার মানুষ যেতে সবাই স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলো কারো মুখে কোনো কথা নেই। পরিস্থিতি যে খারাপ দিকে যাচ্ছে তা বুঝতে আর কারো বাকি নেই।
পারফি ইসহাক আহমেদের কাছে যেয়ে মাথা নিচু করে বললো আঙ্কেল আমাদের ক্ষমা করবেন, না চাইতেও আমাদের ঝামেলার জীবনে আপনাদের জীবন জড়িয়ে গেলো। আপনি প্লিজ টেনশন করবেন না মিডিয়ার মুখ বন্ধ করার ব্যবস্থা করে ফেলবো। আপনার মেয়ের গায়ে কোনো কলঙ্কের দাগ লাগতে দিবো না এইটুকু ভরসা করতে পারেন।
ইসহাক আহমেদ ভাঙা গলায় পারফির দিকে তাকিয়ে বললো আমি তোমাদের বিশ্বাস করি বাবা। তোমরা যে পরিস্থিতি শিকার সেটা আমরা জানি কিন্তু এটা মিডিয়া বুঝবে না। তারা আমার মেয়েকে সুস্থ ভাবে বাঁচতে দিবে না বাবা। আমার মেয়েটা যে শেষ হয়ে যাবে বলতে বলতে তার চোখ ছলছল করে উঠলো।
পারফি তাকে অভয় দিয়ে বললো কিছু হবে না আমরা আছি পাশে। যারা যারা এই সরযন্ত্রের পিছে আছে তাদের সবাইকে এর উপর্যুক্ত শাস্তি পেতে হবে।
তারপর পারফি ইয়ানার কাছে এগিয়ে গিয়ে বললো বিড়াল ছানা ভেঙে পড়ো না সব ঠিক হয়ে যাবে। আর কেউ না জানুক তুমিতো জানো তুমি লয়াল। সব ঠিক করে দিবো প্রমিজ করছি তোমায়। ভেঙে না পড়ে মনে একটু সাহস যোগাও কারণ সামনের জীবনটা খুবি কঠিন হতে চলেছে। সব কঠিনতার মাঝে আমাদের সবাইকে তুমি পাশে পাবে তাই ভয় পেও না।
ইয়ানা কিছু বললো না শুধু ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো পারফির দিকে।
পারফি ফের শাফিনকে বললো ওদের সাবধানে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আয় এদিকটা আমি সামলাচ্ছি।
শাফিন সম্মতি দিয়ে ইয়ানা আর ইসহাক আহমেদ কে নিয়ে গেলো। তারা যেতে সবাই ধীর পায়ে এসে ড্রয়িংরুমে বসলো। পারফি চুল খামছে ধরে কিছুক্ষণ চোখ বুঁজে বসে রইলো।
তখন টিভিতে কিছু নিউজ ভেসে উঠলো তা দেখে প্রীতি কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বললো ভাইয়া দে..দেখো।
প্রীতির কথায় সবাই টিভির দিকে তাকালো যেখানে এক এক জন সাংবাদিক এক এক কথা বলে যাচ্ছে। বলছে বিখ্যাত জার্নালিস্ট পাভেল চৌধুরীর একমাত্র ছেলে টপ বিজনেসম্যন আবরার পারফি চৌধুরীর সাথে ইসহাক আহমেদের মেয়ে মিস ইয়ানার অবৈধ সম্পর্ক আছে। সত্যি কথায় উঠাতে আবরার পারফি একজন সাংবাদিকের উপর অ্যাটাক করেছে। আবরার পারফি আর মিস ইয়ানা দুদিন নিখোঁজ ছিলো আর এই নিখোঁজের পিছে কারণ এখনো সঠিক ভাবে জানা যা নি। এমন আরো নানা ধরনের কথা বলতে লাগলো। যা দেখে পারফি দ্রুত বাসা থেকে বেড়িয়ে গেলো। পিছে পিছে পাভের চৌধুরী আর শরীফ শিকদার ও গেলো।
——————————————-
শাফিন ইয়ানাদের পৌঁছে দিয়ে চলে গেছে। ইয়ানারা বাসার ভিতর প্রবেশ করতেই ইতি বেগম চেচিয়ে বলে উঠলো ওকে বাসায় এনেছো কোন সাহসে তু্মি? মান সম্মান সব ধুলোয় মিশিয়ে দিয়েছে। আমি জানতাম ওই ছেলের সাথে ওর ফোস্টিনস্টি চলছে। সেদিন ওই ছেলেকে বাসায় এনেছিলো আর এখন কাউকে কিছু না বলে ওই ছেলের সাথে পালিয়ে গেছে৷ পালিয়ে গিয়ে মান সম্মান তো ডুবিয়েছিস তাহলে এখন আবার কোন সাহসে ফিরে এসেছিস। এই মুহূর্তে বেড়িয়ে যাবি বাসা থেকে।
ইসহাক আহমেদ ইতি ধমক দিয়ে বললো চুপ করবে তুমি? না জেনে না শুনে আন্দাজে কথা বলবা না তাহলে আমার চেয়ে বেশি খারাপ আর কেউ হবে না।
ইতি বেগম ও তেতে গিয়ে বললো ওর মতো চরিত্রহীন মেয়ের জায়গায় আমি এ বাসায় দিবো না। এই এখনি তুই বেড়িয়ে যাবি তোর মুখ ও দেখতে চাই না আমি।
ইসহাক আহমেদ আর সহ্য করতে না পেরে ইতি বেগমের গালে সজোরে চর বসিয়ে দিলো।
ইতি বেগম অবাক হয়ে তাকালো স্বামীর দিকে। এই প্রথম তিনি গায়ে হাত তুললো।
এদিকে ইয়ানা বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। মায়ের মুখে এমন জঘন্য কথা শুনে নিঃশ্বাস ক্রমশ আঁটকে আসছে। নিজেকে সামলাতে চেয়েও সামলাতে ব্যর্থ হলো। চারপাশ অন্ধকার হয়ে আসলো। বেঁচে থাকার ইচ্ছেটা ক্রমশ হারিয়ে ফেলছে। আস্তে আস্তে সেই অন্ধকারে হারিয়ে গেলো ইয়ানা। এতো এতো আঘাত এই ছোট্ট শরীর এ আর নিতে পারলো না।
ইয়ানা জ্ঞান হারিয়ে নিচে পড়ে যেতে নিলে ইসহাক আহমেদ তারাতাড়ি ইয়ানাকে ধরে সোফায় শুইয়ে দিলো। বিচলিত হয়ে ইয়ানাকে ডাকতে লাগলো কিন্তু কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে ইতি বেগমের দিকে তাকিয়ে হুংকার দিয়ে বললো আমার কলিজার কিছু হলে ছাড়বো না তোমাকে আমি। জানো তুমি ওর সাথে কি হয়েছিলো? মেয়েটা মরতে মরতে বেঁচে ফিরে এসেছে আর তুমি সত্যি যাচাই না করে মিডিয়ার কথায় নেচে যাচ্ছো। এতোটা নিষ্ঠুর কি করে মানুষ হতে পারে সেটা তোমাকে না দেখলে জানতাম না। জঘন্য একটা মা তুমি, আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিলো তোমাকে বিয়ে করা। ভালোবাসে বিয়ে করেছি কিন্তু বুঝি নি এমন নিষ্ঠুরতম একটা মানুষকে আমি ভালোবেসেছি ভাবতেই ঘৃণা হচ্ছে আমার। সহ্য হচ্ছে না আমার তোমাকে, আমার চোখের সামনে থেকে সরে যাও আর নাহলে আমি কি করবো আমি নিজেও জানিনা।
ইসহাক আহমেদের কথায় ইতি বেগম ছলছল চোখে তাকিয়ে রইলো তার দিকে। আর যাইহোক স্বামীকে তিনি অনেক ভালোবাসেন। আজ স্বামীর চোখে নিজের জন্য এতো এতো ঘৃণা দেখে তার ভিতরটা কেঁপে উঠলো। মস্তিষ্কে হানা দিলো আমি এতোটাই জঘন্য? যার জন্য নিজের ভালোবাসার মানুষের চোখে আজ ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই দেখতে পারছেন না। ভাবতে ভাবতে গড়িয়ে পড়লো চোখ থেকে অশ্রু।
তাকালো সোফার শুয়ে থাকা অবচেতন ইয়ানার দিকে। শরীর এ বিভিন্ন জায়গায় ক্ষতর চিন্হ সাথে ব্যান্ডেজ ও করা কিছু কিছু জায়গায়। বুঝলো যে এই মেয়েটার সাথে খারাপ কিছু ঘটেছে আর যাইহোক তিনিতো ভালো করে জানে ইয়ানা কেমন মেয়ে। ফের তাকালো ইয়ানার দিকে কি নিষ্পাপ সেই মুখশ্রী। এই নিষ্পাপ ফুলটাকে আমি বছরের পর বছর কষ্ট দিয়ে এসেছি আর আজ তো সীমা অতিক্রম করে ফেলেছি। সত্যি খুব জঘন্য আমি আর নাহলে নিষ্পাপ মেয়েটার সাথে এতোটা অন্যায় করতে পারতাম না। নিজেকে আজ খুব অপরাধী লাগছে সেখানে আর দাঁড়িয়ে না থেকে ধীর পায়ে রুমে এসে দরজা লাগিয়ে দিলো।
———————————
সন্ধ্যা ৬ টা বাজে। চৌধুরী বাড়ির সবাই ড্রয়িংরুমে চুপচাপ বসে আছে। কারো মুখে কোনে কথা নেই। কিছুক্ষণ হলো পারফি,শাফিন,পাভেল আর শরিফ শিকদার এক সাথে বাসায় আসলো। আসার পর থেকে চুপচাপ বসে রইলো সবাই কেউ কোনো কথা বলছে না দেখে পিয়াসা বেগম বললো কি হয়েছে এভাবে চুপ হয়ে আছো কেনো তোমরা?
কিছুটা সময় নিয়ে পাভেল চৌধুরী বললো মিডিয়ার মুখ বন্ধ করে এসেছি। যেই যেই ভিডিও টিবিতে ছাড়া হয়েছে সব ডিলিট করা হয়েছে। এখন সমস্যা নেই কেউ আর এই ব্যাপার নিয়ে মিডিয়ায় কিছু বলবে না।
সব শুনে পিয়াসা বেগম বললো মিডিয়ার মুখ নাহয় বন্ধ করলে কিন্তু এই সমাজের মানুষের মুখ কিভাবে বন্ধ করবে? একবার ইয়ানার কথা ভেবে দেখেছো? ওই মেয়েটার কি হবে? এই সমাজ ওকে খুবলে খাবে সেটা কিভাবে আটকাবে? পারফি নাহয় ছেলে মানুষ তাই ওর দিকে কেউ আঙুল তুলবে না কিন্তু ওই নিষ্পাপ মেয়েটার কি হবে? আজ আমাদের জন্য ওই মেয়েটার জীবনটা এভাবে শেষ হয়ে যাবে?
পিয়াসার কথায় পাভেল চৌধুরী বলার মতো কিছু পেলো না। ক্ষমতার জোরে মিডিয়ার মুখ নাহয় বন্ধ করেছে কিন্তু এই সমাজের মানুষ এর মুখ বন্ধ করবে কিভাবে? এ যে অসম্ভব কাজ।
সবাই নীরব হয়ে ভাবতে লাগলো এখন কি করবে, কিভাবে এই সমাজ থেকে ওই নিষ্পাপ মেয়েটাকে রক্ষা করবে।
তখন নীরবতা ভেঙে পারফি বললো আমি একটা ডিসিশন নিয়েছি।
পারফির কথায় সবাই তাকালো পারফির দিকে।
#চলবে?
ভুলত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
হ্যাপি রিডিং….