#তোমার_হতে_চাই ২
part : 15
writer : Mohona
.
মেরিন : অলৌকিক ইঙ্গিত ।
তামিম : মানে ম্যাম?
মেরিন : অনেক কিছু। এখন আমাকে কাজ করতে দাও । প্লিজ। ।
তামিম : ওকে ম্যাম।
তখন রবিন এলো।
মেরিন : মামা তুমি! আসো বসো।
রবিন : বাবাই তুমি ওর কেইসটা ছেরে দাও ।
মেরিন : কিভাবে ছেরে দেই মামা? আমি জানি ক্ষীরবাদুর নিরপরাধ।
রবিন :ও নিরপরাধ? তুমি ভুলে গিয়েছো যে ও কি করেছে? ও কেমন তুমি জানোনা?
মেরিন : মামা আমার থেকে বেশি ক্ষীরবাদুরকে কেউ চিনেনা। তাই আমি লড়বো। লড়াই করবো।
রবিন : না তুমি লড়াই করবেনা। ও শাস্তি পেলে আমি সবথেকে বেশি খুশি হবো।
মেরিন : খুশি হবে?
রবিন : হামম।
মেরিন : যদি ও সর্বোচ্চ শাস্তি পায়?
রবিন : আরো ভালো হবে।
মেরিন : যাও ছেরে দিবো কেইসটা। কিন্তু…তুমি বুকে হাত রেখে আমার দিকে তাকিয়ে বলতে হবে যে ওর মৃত্যুদন্ড হলে তুমি খুশি হবে। খুব খুশি হবে।
রবিন : এটা কেমন কথা?
মেরিন : আমার মতো কথা।
রবিন : যা ইচ্ছা করো।
বলেই রবিন চলে গেলো। মেরিন হাসলো।
তামিম : ম্যাম আপনি নীড় চৌধুরীকে আগে থেকেই চেনেন?
মেরিন : ২২ বছর ধরে চিনি।
তামিম : কি?
মেরিন : হামম।
.
◇ : আমার তথ্য ভুল নয়। আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি যে এটা ওই মেরিন বন্যা খানের ১টা চাল। তোতা-ময়না জোরা ওদের। রাক্ষসের জান যেমন টিয়া পাখিতে আটকে থাকে তেমনি মেরিনের জান নীড়ে আর নীড়ের জান মেরিনে আটকে থাকে।
○ : কিন্তু বস তাহলে এই কথা বলল কেনো ওই উকিল?
◇ : সেটাইতো কোটি টাকার প্রশ্ন। কালকে ওর অফিসের নিচে ঘেরাও করে রাখবে। ১০টায় কোর্ট বসবেতো। তার আধাঘন্টা আগে কোর্টের আশেপাশে থাকবে। এটাই যেনো শেষ শুনানি হয়।
○ : জী স্যার।
.
পরদিন…
সকাল : ৮টা…
মেরিন স্টাফরুমে বসে আছে। তামিম ফোন করলো।
মেরিন : হ্যালো।
তামিম : ম্যাম আপনি এখনো এলেননা যে অফিসে ?
মেরিন : আমি আজকে আর অফিসে আসবোনা। আমি আদালতে পৌছে গিয়েছি।
তামিম : কি বলছেন ম্যাম?
মেরিন: হামম। তু্মিও বেরিয়ে যাও অফিস থেকে। মিস্টার জয়নুল আবেদিনের ওপর নজ রাখো।
তামিম :যে ম্যাম।
মেরিন ফোন রেখে দিলো। ১টা লম্বা নিশ্বাস নিলো।
.
সকাল ১০টা…
জাবির হুদা : আপনি অযথাই কেইসটা হাতে নিয়েছেন।
মেরিন : তাতে আপনার কি ?
তখন চিফ জাস্টিস রেজাউল করিম হাজির হলো। কবির-কনিকা , রবিন-সনি , প্রহর-নিহারিকা , নিহাল-নীলিমা , প্রনয়-পলক-নির্ঝর-নিরব, হিয়া এসেছে।
◇ মনেমনে : আমি ঠিক জানতাম যে এই মেরিনের মধ্যে ঘাপলা আছে।
রেজাউল করিম : আদালতের কার্যক্রম শুরু করা হোক।
নীড় : মহামান্য আদালতের কাছে আমার ১টা আরজি ছিলো।
রেজাউল : জী বলুন।
নীড় : আমিই অপরাধী । আমি স্বীকার করছি। আমাকে সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হোক ।
জাবির হুদা : ইউর অনার যেখানে অপরাধী নিজেই অপরাধ স্বীকার করে নিয়েছে তখন আর কি করার বলুন?
রেজাউল করিম : ডিফেন্স কিছু বলতে চায়?
মেরিন : ইয়েস ইউর অনার।
মেরিন উঠে এলো।
মেরিন : ইউর অনার আমার ক্লাইন্ট মিথ্যা কথা বলছেন। আর সেটা প্রমান করার জন্য আমি তার বাবা মিস্টার নিহাল আহমেদ চৌধুরীকে কাঠগরায় ডাকার অনুমতি চাইছি।
রেজাউল করিম : অনুমতি দেয়া হলো।
নিহাল এলো।
মেরিন : জনাব আপনি কি দয়া করে বলবেন আপনার ছেলে এমন কেনো বলছেন?
নিহাল : আমি বলতে বলেছি।
মেরিন : কেনো?
নিহাল : আমাদের জয়েন ফ্যামিলি। আমার নাতি মানে আমার বড় ভাইয়ে নাতি প্রান্তিককে কিডন্যাপ করা হয়। আর আমাদের বলা হয় যেনো আমরা নীড়কে বলি যেনো ও অপরাধ স্বীকার করে নেয়।
নীড় : কেনো মিথ্যা কথা বলছো বাবা? ইউর অনার বাবা মিথ্যা কথা বলছেন।
মেরিন নীড়ের দিকে গেলো। ওর হাতের ওপর হাত রাখলো।
মেরিন : চিন্তা করবেননা মিস্টার চৌধুরী প্রান্তিককে আমরা উদ্ধার করে নিয়েছি।
নীড় বুঝলোনা মেরিন এতো শক্ত করে ওর হাতের ওপর হাত রাখলো কেনো। মেরিন আবারো নিহালের দিকে গেলো। নীড় নিজের হাতের ওপর দেখতে পেলো ‘ভালোবাসির জবাবটা চাওনা?’
নীড় মেরিনের দিকে তাকালো।
মেরিন : নিহাল স্যার আপনি বলুন।
নিহাল : ওকে বাঁচানোর জন্য আমাদের আর কোনো উপায় ছিলোনা।
জাবির হুদা : তাহলে এখন বলে দিলেন কেনো শুনি? এখন নাতির জানের ভয় নেই?
মেরিন : না নেই তো। কারন আজক সকালেই আমার সহায়ক তামিম আর মিস্টার নিরব আহমেদ চৌধুরী ওকে উদ্ধার করেছেন।
নিহাল : হ্যা মা… মেরিন ঠিক বলছে।
মেরিন : আপনি এখন আসতে পারেন।
নিহাল চলে গেলো।
মেরিন : ইউর অনার যদি আমার ক্লাইন্ট সত্যিই অপরাধী হয়ে থাকেন তবে সেটা প্রমান করেই দেখানো সম্ভব। এমন ধরনের কাজ করার কি দরকার?
জাবির হুদা : আমি জবাব দিচ্ছি।
মেরিন : জী অবশ্যই ।
জাবির হুদা : ইউর অনার এই চৌধুরী পরিবার অনেক প্রভাবশালী এবং অর্থবিত্ত । কেই হয়তো ভেবেছে টাকার জোরে বেরিয়ে আসবে। তাই… হ্যা মানছি শিশু অপহরন জঘন্য অপরাধ । কিন্তু রেপ এন্ড মার্ডার তারথেকেও বড়। হয়তো নীড়ের অপরাধ স্বীকার করানোর জন্য এমনটা করেছে। আর তাছারাও নীড় চৌধুরীকে হাতেনাতে ধরা হয়েছে। ছুরি এবং গান ২টাতেই তার ছুরি পাওয়া গিয়েছে। কি নৃশংস ভাবে হ*ত্যা করা হয়েছে। তাই হয়তো এই কিডন্যাপিং।
মেরিন : যেকোনো অবস্থাতেই ভুল ভুলই হয়।
রেজাউল করিম : মেরিন ইজ রাইট জাবির। শিশু অপহরন সত্যিই জঘন্য। পুলিশকে নির্দেশ দেয়া হলো তদন্ত করার জন্য।
মেরিন : ধন্যবাদ । ইউর অনার আমি আমার অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ আদালতে উপস্থাপন করতে চাই।
জাবির হুদা : অবজেকশন ইউর অনার আমার প্রতিপক্ষ মহাশয়ার অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কি হবে ? না তো সেটা ক্রাইম সিন না তো অন্য কিছু।
মেরিন : ইউর অনার প্লিজ।
রেজাউল করিম : অনুমতি দেয়া হলো।
মেরিন : ধন্যবাদ।
মেরিন প্লে করলো গতকালের সেই ফুটেজটা যেখানে লোকগুলো এসেছিলো টাকা নিয়ে।
মেরিন : ইউর অনার দেখুন এবং শুনুন ‘আপনি কি করে জানলেন যে মিথ্যা কেইস?’ এই কথাটার মাঝে কিছু একটা আছে। তারা অবাক এটা জেনে যে আমি সত্যিটা জানি।
জাবির হুদা : এটা আপনাকে আমিও জিজ্ঞেস করতে পারি আপনি কি করে জানলেন যে মিথ্যা কেইস। তো? এরমানে কি দারায়? কিছুনা।
মেরিন : হয়তো দারাতোনা। কিন্তু আমার উত্তরটা শুনে তাদের প্রশান্তি দেখুন।
রেজাউল করিম : ডিফেন্সের দলিল খুব শক্ত না হলেও ফেলে দেয়া যায়না।
মেরিন : ইউর অনার আমি আপনার কাছে আমার , আমার পরিবার এবং চৌধুরী পরিবারের নিরাপত্তা চাইছি।
রেজাউল করিম : প্রশাসনকে নির্দেশ দেয়া হলো ব্যারিস্টার মেরিন বন্যা খান ও তার পরিবার এবং চৌধুরী পরিবারকে সম্পূর্নভাবে নিরাপত্তা দেয়া হোক।
মেরিন : ধন্যবাদ।
জাবির হুদা : ইউর অনার অাপনার অনুমতি থাকলে আমি কিছু দলিল উপস্থাপন করতে চাই এবং সাক্ষীদের একে একে হাজির করতে চাই।
রেজাউল করিম : অনুমতি দেয়া হলো।
জাবির হুদা নীড়ের বিরুদ্ধে বেশ শক্ত প্রমানই তুলে ধরলো। মেরিন সময় চেয়ে নিলো।
.
২দিনপর…
মেরিন তামিমকে নিয়ে নীড়দের বাগান বাড়ি অর্থাৎ ক্রাইম সিনে পৌছালো। ওদিকে নীড়ের সাথে দেখা করতে যায়নি। জানে ও গেলেই নীড় জবাব চাইবে । আর সেই জবাবটা ও কিভাবে দিবে? জবাব আছে ওর কাছে। কিন্তু কেমন করে বলবে! ক্রাইম সিন পর্যবেক্ষন করে রাতে মেরিন নীড়ের সাথে দেখা করতে গেলো।
নীড় : দুদিন ধরে তোমার ওয়েট করছি। আর তুমি আজকে এলে?
মেরিন : হামম। ক্ষীরবাদুর তোমার দিকের আমি কিছুই জানিনা। বলো তো কি কি হয়েছিলো সেদিন? তুমি ফার্মহাউজে কেনো গিয়েছিলে?
নীড় : যেই জবাবের প্রতিশ্রুতি দিয়েছো সেটা আগে দাও। আমিও দিয়ে দিবো তোমার জবাব।
মেরিন: তুমি বরাবরই আমার প্রিয় ছিলে , প্রিয় আছো এবং থাকবে। আমরা কোনো কনফ্লিক্টে না গিয়ে হ্যাপি থাকার চেষ্টা করি চলো। নীড়-মেরিনের মধ্যে থাকবে বন্ধুত্ব আর ক্ষীরবাদুর-লালঝুটি কাকাতুয়ার মধ্যে থাকবে ঝগড়া।
নীড় : খুব চালাক ভাবো নিজেকে?
মেরিন : এই মুহূর্তে আমি কেবল এটা ভাবছি যে তোমাকে কি করে বের করে আনবো?
নীড় চুপ করে রইলো।
মেরিন : প্লিজ ক্ষীরবাদুর। প্লিজ কো-অপারেট।
নীড় :হামম । বলো কি জানতে চাও?
মেরিন : তুমি ওখানে কেনো গিয়েছিলে?
নীড় : কেয়ারটেকার কাকা কল করেছিলো।
যা যা জানার মেরিন জেনে নিলো। এরপর চলে গেলো।
মেরিন গিয়ে দেখে ওর প্রতিপক্ষ জাবির হুদা বসে চা খাচ্ছে ওদের বাসায়।
মেরিন : মিস্টার হুদা আপনি এখানে কেনো?
জাবির হুদা : জিজ্ঞেস করার ছিলো কিছু। তাই এসেছি। তবে মিসেস চৌ… সরি মিস খান আমি জানতামনা যে আপনাদের এমন আলিসান একটা বাড়ি আছে এখানে আপনাদের।
মেরিন : জানা হয়ে গিয়েছে? এবার আসুন।
জাবির হুদা : জী অনেক কিছুই জানলাম। ভালো লাগলো। আসি ম্যাডাম।।
জাবির হুদা চলে গেলো।
মেরিন : ওই লোকটা কি বলছিলো? আমাদের পাস্টের কথা কিছু বলোনি তো তোমরা?
কনিকা : তিনি তোমাদের পাস্ট জেনেই এসেছেন ।
মেরিন : কি?
কনিকা : হামম।
মেরিন : ডিভোর্সের কথা কিছু জিজ্ঞেস করেছিল?
কনিকা : বলছিলো তোমার জন্য নাকি ডিভোর্স হয়েছিলো তুমি ধোকা দিয়েছো। তাই আমিও মুখের ওপর বলে দিয়েছি যে ধোকা তুমি না নীড় দিয়েছিলো তোমাকে।
মেরিন : ওহ ড্যাম। হ্যালো তামিম।
তামিম : জী ম্যাম!
মেরিন : আমার বরিশাল যাওয়ার টিকিট আর রিটার্ন টিকিট করো। এখনই।
তামিম : জী ম্যাম।।
কনিকা : বরিশাল কেনো যাবে?
মেরিন: দরকার আছে।
.
৩দিনপর…
জাবির হুদা : ইউর অনার গত শুনানীতে আমার প্রতিপক্ষ মহোদয়া বলছিলেন তার ক্লাইন্টের নাকি কোনো বাজে রেকর্ড নেই। কখনো নাকি কোনো মেয়ের সাথে উশৃঙ্খল আচরণ করেননি। আজকে আমি প্রমান করে দিবো যে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন একজন চরিত্রহীন লম্পট।
মেরিন : অবজেকশন ইউর অনার। মিস্টার হুদা এমন ধরনের কথা বলতে পারেননা।
রেজাউল করিম : জাবির আপনার কাছে কি কোনো সাক্ষ-প্রমাণ আছে?
জাবির হুদা : ইয়েস ইউর অনার। আমার প্রথম সাক্ষী অ্যাডভোকেট মেরিন বন্যা খান।।
জজ সহ সবাই অবাক হয়ে গেলো।
রেজাউল করিম : আপনি মেরিনকে উইটনেস বক্সে মেরিনকে ডাকতে চান?
জাবির হুদা : ইয়েস ইউর অনার। প্লিজ।
রেজাউল করিম : মেরিন তোমার কি কোনো আপত্তি আছে?
মেরিন : নো ইউর অনার।
মেরিন কালো কোটটা খুলে উইটনেস বক্সে গেলো।
জাবির হুদা :গুড মর্নিং মিস খান।
মেরিন : মর্নিং।
জাবির হুদা : আপনি আসামি নীড় …
মেরিন : অবজেকশন ইউর অনার। আমার ক্লাইন্ট এখনো আসামী প্রমানিত হননি।
জাবির হুদা : ওকে সরি। অভিযুক্ত নীড় চৌধুরীর সাথে আপনার পরিচয় কতো দিনের?
মেরিন : ২২ বছরের।
জাবির হুদা : ২২ বছরের। মানে বাল্য নো নো শিশুকাল থেকে। রাইট?
মেরিন : হামম।
জাবির : আপনার বাবা আর নীড়ের বাবার মধ্যকার সম্পর্ক কি?
মেরিন : তারা বেস্টফ্রেন্ড।
জাবির হুদা : তারা এখনো বেস্টফ্রেন্ড আছেন নাকি ছিলেন?
মেরিন : ছিলেন।।
জাবির হুদা : আচ্ছা আপনার আর নীড় চৌধুরীর ডিভোর্স হয়েছে কতো বছর?
রেজাউল করিম : হুদা তুমি এসব কি বলছো?
জাবির হুদা : এখনই জেনে যাবেন ইউর অনার। তো বলু মিস খান?ডিভোর্সের কতো বছর হলো?
মেরিন : ৫বছর ৯মাস।
জাবির হুদা : আপনারা দুজন একই স্কুলে পড়তেন এবং দুজন দুজনকে সহ্য করতে পারতেননা। সবাই আপনাদের দুজনের ঝগড়ার সাক্ষী । এতো শত্রুতার মধ্যেও একদিন নীড় আপনাকে ১টা কিস করে বসে। না তো আপনি না তো পরিবারকে কিছু বলেন আর না তো টিচারদের। আচ্ছা সেটা বাদ দিন। আপনাদের ডিভোর্সটা কেনো হলো?
মেরিন : ধোকা। আমি ধোকা দিয়েছি।
নীড় : মিথ্যা কথা ইউর অনার। লালঝুটি কাকাতুয়া তুমি মিথ্যা কথা কেনো বলছো? ইউর অনার ধোকাবাজ আমি। ও না। মিথ্যা কথা বলছে ।
জাবির হুদা : হি ইজ রাইট ইউর অনার। মিস খান মিথ্যা কথা বলছেন। ধোক নীড় ওর ওয়াইফ এবং ম্যাডাম তার হাজবেন্ড মানে নীড়কে দিচ্ছিলেন। এক্সেপ্ট নিহাল আহমেদ চৌধুরী দুই পরিবারের সকলের লিখিত বয়ান আপনার টেবিলে আছে। আপনি চাইলে আমি উইটনেস বক্সেও ডাকতে পারি । তারা এখানেই আছেন।
রেজাউল করিম : যদি আপনাদের এই লি়খিত বয়ান আপনারা পরিবর্তন করতে চান তবে বক্সে আসতে পারেন।
রবিন : ইউর অনার আমার ভাগনী কোনো ধোকা দেয়নি।
কবির : আমার মেয়ে কোনো ধোকা দেয়নি।
নিহাল মেরিনের দিকে তাকালো। মেরিন পলক ফেলে আশ্বাস দিলো।
রেজাউল করিম : অর্ডার অর্ডার। কিছু বলার থাকলে এখানে এসে বলুন।
জাবির হুদা : আপনি এখন আসতে পারেন মিস খান।
মেরিন নামছে তখন জয়নুল আবেদিন সাহেব দারিয়ে গেলো।
জয়নুল আবেদিন : এরা দুজনই চরিত্রহীন। তাই অ্যাডভোকেট ওই শয়তানের হয় লড়ছে।
নীড় রেগে তার দিকে তাকালো।
রেজাইল করিম : অর্ডার অর্ডার… আপনার কিছু বলার থাকলে বক্সে এসে বলুন।
জয়নুল এলো।
জয়নুল : আমি আমার আদরের ছোট মেয়ে কে হারিয়ে ইউ অনার। ওই মানুষরূপী পশুটা আমার মেয়ের… আর এই মেরিন বন্যা খান… ওই নীড়ের মতো এরও চরিত্রের ঠিক নেই।
নীড় : এই… মাইন্ড ইউর ল্যাংগুয়েজ। আমার লালঝুটি কাকাতুয়ার নামে কোনো বাজে কথা বললে এই আদালতে দারিয়ে তোকে জানে মেরে ফেলবো।
মেরিন : শান্ত হও।
জয়নুল আবেদিন : দেখুন ইউর অনার।
রেজাউল করিম : অর্ডার অর্ডার। নীড় চৌধুরী হুমকি দেয়ার জন্য আপনার নামে আলাদা চার্জ দেয়া হবে। আর জনাব জয়নুল আবেদিন আপনি কোনো নারীকে এমন ধরনের কথা বলতে পারেননা। বাংলাদেশের আইন এটা মেনে নিবেনা।
জয়নুল আবেদিন : ক্ষমা করবেন।
জয়নুল আবেদিন চলে গেলো।
জাবির হুদা : ইউর অনার যে লোকটার চরিত্র বরাবরই এমন । তার…
মেরিন : অনেক কথা তো বললেন। এবার আমাকেও বলার সুযোগ দিন।।
জাবির হুদা : প্লিজ।
মেরিন : ইউর অনার নীড় চৌধুরী এবং তার প্রাক্তনের ধোকাবাজীর টপিকে আমি একটু পরে যাচ্ছি। তারআগে তাদের বিয়ে নিয়ে কথা বলতে চাই। তাদের দুজনের বিয়ে দেয়া হয়েছিলো তাদের অমতে। জোর করে ।
জাবির হুদা : মাই লর্ড জোর করে বিয়ে দিলেই কি পরকীয়া করতে হবে?
মেরিন : ইউর অনার আমাকে বলতে দেয়া হচ্ছেনা।
রেজাউল করিম : লেট হার কমপ্লিট হুদা।
মেরিন : ইউর অনার তাদের দুজনের বিয়ে হয়েছিলো অমতে। আমি পরপর নিহাল আহমেদ চৌধুরী এবং কবির ফয়সাল খানকে ডাকার অনুমতি চাইছি।
নিহাল আর কবির পরপর এলো। যেহেতু নীড়-মেরিনের বিয়ে নিজেদের অমতেই হয়েছিলো তাই কোনো সংকোচ ছারাই নিহাল-কবির সত্য কথা বলে চলে গেলো।
জাবির হুদা : ইউর অনার কেইসটা এ্যানি হত্যার।
মেরিন : যেহেতু সুদীর্ঘ অতীত আপনি শুরু করেছেন তখন শেষটা আমিই করবো। এখন আসি ধোকাবাজীতে। নীড়-মেরিন ধোকা তো দিয়েছে বিয়েটা ভাঙার জন্য। চরম ধোকা। কিন্তু একে অপরকে নয়। ওরা দুজন ধোকে দিয়েছে নিজেদের পরিবারকে। ইয়েস ইউর অনার। নিজেদের পরিবারকে…
কথা শুনে সকলের মাথার তার ছিরে গেলো। নিহালতো সবটা জানে।
.
(১০টায় আরো ১টা পর্ব দিবো। ডিভোর্স টা ক্লিয়ার হবে।)
চলবে…