তোমার_হতে_চাই season : 2 part : 1 writer : Mohona

0
920

#তোমার_হতে_চাই
season : 2
part : 1
writer : Mohona

.

সাল ২০২২…
আমেরিকাতে।
বছরের শুরুর দিক।

🎵🎶🎵
সে ছিলো বড়োই আনমনা
আর ছিলো আমার কল্পনা আল্পনা
সে যে পূর্ণিমা রাত ছিলো
সে যে ভালোবাসার গান ছিলো…
সে ছিলো বড়োই আনমনা
আর ছিলো আমার কল্পনা আল্পনা।

লিখেছিলো সে এক কবিতা,
নাম তার নীলাঞ্জনা
তার সেই পেমের ভাষা,
চিরদিনই ছিলো অচেনা

সে যে প্রদীপের সিখা ছিলো
সে যে জিবনে এক আশা ছিলো
সে যে পূর্ণিমা রাত ছিলো
সে যে ভালবাসার গান ছিলো
সে ছিলো বড়োই আনমনা
আর ছিলো আমার কল্পনা আল্পনা।

ভরেছিলো আমার পৃথিবী,
তার ভালবাসার ছোঁয়ায়
মনে পড়ে কত কথা,
কোনোদিনি সে কি ভোলা যায়

সে যে সুখের এক স্মৃতি ছিল
সে যে চিরদিনের সাথি ছিল
সে যে পূর্ণিমা রাত ছিলো
সে যে ভালবাসার গান ছিল
সে ছিলো বড়ই আনমনা
আর ছিলো আমার কল্পনা আল্পনা
হে.. সে ছিলো বড়ই আনমনা
আর ছিলো আমার কল্পনা আল্পনা।
🎵🎶🎵

চকলেট : তালি… ইয়ে। থ্যাংক ইউ নীড় ভাইয়া। লাভ ইউ। এখন আমি তোমার সব কথা শুনবো। সব মেডিসিন খাবো। কোনো ড্রামা করবোনা। তুমি খুব সুন্দর গান গেয়েছো। ও নীড় ভাইয়া… নীড় ভাইয়া…📢
নীড় : হ্যা… কিছু বলছিলে তুমি?
চকলেট : তুমি কিছু শুনতে পাওনি!
নীড় : না আসলে আমি…
চকোলেট : আসলে তুমি তোমার লালঝুটি কাকাতুয়ার কথা ভাবছিলে। তাইনা?
নীড় : তুমি তো ভারী দুষ্টু। আর নাম্বার ওয়ান পাকুন্নি।
চকলেট : আমি ছোটবেলা থেকে হিন্দি মুভি দেখি। বুঝলে।
নীড় : এখন বুঝি খুব বড়?
চকলেট : অফকোর্স। আম নাইন ইয়ার্স ওল্ড।
নীড় : হামম দাদী আম্মা। এখন চলো হসপিটালে ব্যাক করতে হবে। অথোরিটির স্পেশলার পারমিশন নিয়ে তোমাকে এনেছি। আর ১৫মিনিটের মধ্যে না পৌছালে আমার চাকরী থাকবেনা।
চকলেট : এনেছো কেনো আমাকে হসপিটাল থেকে এতো দূরে? লজ্জা করলোনা ১টা বাচ্চা ক্যান্সার পেশেন্টকে হসপিটাল থেকে এতো দূরে আনতে?
নীড় : ওরে যারজন্য করি চুরি সেই বলে চোর?
চকলেট : এই যে হ্যালো আমি তোমাকে কাকাতুয়ার কথা বলতে বলেছিলাম , আর ওকে নিয়ে ১টা গান গাইতে বলেছিলাম। বলিনি হসপিটাল থেকে দূরে গিয়ে শোনাও। হসপিটাল থেকে তুমি দূরে এনেছো কারন হসপিটালে তুমি তোমার অ্যাংরি ইয়াংম্যান ইমেজ মেইনটেইন করার জন্য আমাকে এখানে এনেছো। আমার দোষ দিয়ে লাভ নেই মিস্টার ক্যান্সার স্পেশালিস্ট।
নীড় : হয়েছে দাদীআম্মা। আর কোনো কথানা। গেট ইন দ্যা কার।
চকলেট গাড়িতে বসলো । নীড় ড্রাইভ শুরু করলো।
নীড় : তুমি কিন্তু কাউকে এসব কিছু বলবেনা। গট ইট?
চকলেট : ইয়েস বস।
নীড় : কালকে থেকে কিন্তু কেমো সেশন শুরু। আমি তোমার কথা রেখেছি । নাও ইউর টার্ন।
চকলেট : ওকে বস।
নীড় : স্টপ কলিং মি বস।
চকলেট : তো কি ডাকবো? ক্ষীরবাদুর বলে ডাকবো!
নীড় : আই থিংক বস ইজ বেটার।
চকলেট : ওয়ান লাস্ট কোয়েশ্চেন।
নীড় : আবার কি?
চকলেট : তুমি কি আগে থেকেই ওকে ভালোবাসতে? আর ভালোবাসলে বললে না কেনো যে ভালোবাসো?
নীড় : আমরা হসপিটালে পৌছে গিয়েছি। বসো আমি স্ট্রেচারের ব্যাবস্থা করছি।
চকলেট মনেমনে : শেষ উত্তর তো পেলামই না। ওহ আল্লাহ মাই ডিয়ার পার্টনার। ডু সামথিং। আই ওয়ান্ট দেম টুগেদার।

.

ডক্টর জোসেফ : ডক্টর নীড় আপনি এতো কেয়ারলেস কেমন করে হতে পারেন? আপনার কাছে এটা আশা করিনি। কেনো বাচ্চাটাকে হসপিটালে নিয়ে গিয়েছিলেন?
নীড় : আই নো মাই ডিউটি। এন্ড দ্যাট কিড ইজ ফাইন। এক্সকিউজ মি।
ডক্টর জোসেফ : হুয়াট এক্সকিউজ মি। আম নট ডান ইয়েট। এমন করলে আমি অ্যালাউ করবোনা।
নীড় : ব্যান মি।
ডক্টর জোসেফ : ইউ আর রুড।
নীড় : ইউ নো হুয়াট ইউ কান্ট ডু দ্যাট। বিকজ আই অ্যাম নেসসারি ইভিল।
বলেই নীড় বেরিয়ে গেলো।
ডক্টর জোসেফ : হি ইজ হার্টলেস।
ডক্টর আলফা : কেনো মেনে নেন ওর এমন আচরণ ? সাসপেন্ড করলেই তো পারেন।
ডক্টর জোসেফ : হি ইজ নেসেসারি ইভিল। হি ইজ অ্যা জিনিয়াস। অ্যা জেম । ক্যান্সার যদি হয় রাশিয়া দ্যাট পার্সোন ইজ আমেরিকা। ইউ নিড হিম।

.

বাংলাদেশে…
সিলেটে…
এতোগুলো অ্যালার্ম বাজলো। তবুও মেরিনের ঘুম ভাঙলোনা। যখন ঘুম ভাঙলো তখন চোখ কপালে। কারন ১১টা বাজে।
মেরিন : আ…📢। আজকে আমার ঢাকা ব্যাক করার ফ্লাইট ছিলো ১০টায়। আর ১১টা! লাঞ্চের পর হেয়ারিং। আ…📢। ভাগ মেরিন ভাগ। ওহ নো ব্রাশ করিনি।
৫মিনিটের মধ্যে ফ্রেশ হয়ে বের হয়ে গেলো ব্যাগ নিয়ে মেরিন। চেঞ্জ পর্যন্ত করেনি। ছুটে এয়ারপোর্ট পৌছালো।
মেরিন : ঢাকা যাওয়ার নেক্সট ফ্লাইট কয়টায়?
○ : ১২টা ২০ এ ম্যাম।
মেরিন : অ্যা বিজনেস ক্লাস টিকিট প্লিজ
○ : সরি ম্যাম বিজনেস ক্লাস তো ফুল। ইকোনমিক ক্লাস আছে।
মেরিন : আমি মেরিন ইকোনমিকে যাবো!
○ : সরি ম্যাম। নাথিং টু ডু।
মেরিন : হ্যালো আই নিড অ্যা হেলিকপ্টার রাইট নাও।

মেরিন : টু আওয়ারস মানে!

মেরিন : হ্যা তাও তো ঠিক ঢাকা থেকে আসতে টাইম তো লাগবে। ওকে ওকে লাগবেনা। এক্সকিউজ মি ওয়ান ইকোনমিক ক্লাস টিকিট প্লিজ ।
○ : সিওর ম্যাম।
মেরিন মনেমনে : জাস্ট রিডিকিউলাস। আমি জানি এই মহিলা আমাকে ইচ্ছা করে বিজনেস ক্লাস টিকিট দিলোনা। আমি একে দেখে নিবো । হুহ।

.

ঢাকাতে…
হাইকোর্টে…
বিকাল ৩:১৫…
ব্যারিস্টার জাবির হুদা : ইউর অনার আমার মনে হয়ে ডিফেন্স ল’য়ার ম্যাডাম নিশ্চয়ই কোনো প্রমান জোগার করতে পারেননি। তাই তিনি এখনো এসে পৌছাননি। তাই আমি আদালতের কাছে আবেদন করছি যে এই মামলার রায় ঘোষনা করা হোক। এই খুনী জাদরেল পুলিশ অফিসারকে সর্বোচ্চ সাজা দেয়া হোক।
তখন মেরিনের অ্যাসিস্টন্ট তামিম দারালো।
তামিম : ইউর অনার ম্যাম ১টি গুরুত্বপূর্ন প্রমান আনতে গিয়েছেন। হয়তো তিনি কোনো বিপদে আছেন। আমি কিছু সময়ের আবেদন করছি।
জাবির হুদা : আর কতো সময় নিবেন আপনি।
জাস্টিস মিজানুর : হি ইজ রাইট হুদা। ডিফেন্স ডিজার্ভস সাম টাইম। আদালত ডিফেন্স ল’য়ার মেরিনের জন্য আরো ১৫ মিনিট অপেক্ষা করবে।
তামিম বেরিয়ে মেরিনকে কল দিতে লাগলো। বন্ধ বলছে।৯মিনিট পর মেরিনই কল করলো তামিমকে।
তামিম : হ্যালো ম্যাম আপনি কোথায় ?
মেরিন : আমার চেম্বার থেকে ছুটে গিয়ে আমার কোটটা নিয়ে আসো । এক দৌড় লাগাও। তামিম ছুটে গিয়ে নিয়ে এলো। দেখে মেরিনও কোর্টে ঢুকলো। মেরিন তারাতারি কালোকোট গায়ে দিয়ে কোর্টরুমে প্রবেশ করলো । উপযুক্ত প্রমান উপস্থাপন করে অভিযুক্তকে ছারিয়ে নিলো।।
জাবির হুদা : অভিনন্দন মেরিন আরো ১টা জয়ের জন্য।
জাবির হাত বারিয়ে দিলো। মেরিন হাত মিলালোনা।
মেরিন : ধন্যবাদ। জয়টা হওয়ারই ছিলো।
বলেই মেরিন বেরিয়ে গেলো।
জাবির : সো রুড।

তামিম : ম্যাম আপনারযে এতো লেইট হলো? কোনো সমস্যা হয়েছিলো? কোনো বিপদ হয়েছিলো?
মেরিন মনেমনে : ভাই তোকে কি করে বলি যে আমি ঘুমানোর জন্য ফ্লাইট মিস করেছিলাম।
তামিম : কি হলো ম্যাম।
মেরিন : ফ্লাইট মিস করেছিলাম। হাতে কোনো কেইস আছে এখন ?
তামিম : না ম্যাম এখন নেই।
মেরিন : তাহলে টুম্পাকে বলো আমার চট্টগ্রাম যাওয়ার টিকিট বুক করতে। লাঞ্চ করে আমি বাসায় ফিরবো।
তামিম : ম্যাম এই চট্টগ্রাম টু ঢাকা , ঢাকা টু চট্টগ্রাম করতে তো আপনার ভীষন কষ্ট হয়। কোনো কেইস নিলে ঢাকায় আসেন। কতো দৌড়াদৌড়ি হয়। দৌড়াদৌড়ি না করে ঢাকায় শিফ্ট হলেই তো পারেন।
হাটতে হাটতে মেরিন দারিয়ে গেলো ।
মেরিন : আই ডোন্ট লাইক ঢাকা।
বলেই মেরিন বেরিয়ে গাড়িতে উঠলো। এয়ারপোর্টে যাওয়ার সময় বন্ধ হয়ে পরে থাকা চৌধুরী মঞ্জিলের সামনে দিয়ে গেলো। ইচ্ছা করেই এই পথটা বেছে নিলো আজকে।

.

আমেরিকাতে…
ভোর হতে চলল। পিচ্চি চকলেট গতদিন নীড়কে নতুন করে নারিয়ে দিয়েছে। আরামের ঘুমটা রাতে আর হলোনা। বেডে বসে বসে মেরিনের কথাই ভাবছিলো। একসময় ভাবনা বন্ধ করে নিজের বা পাশে তাকালো। চোখ বুলিয়ে নিয়ে উঠে ফ্রেশ হতে গেলো। ফ্রেশ হয়ে নিয়ে জগিং এ গেলো।

রুপা : কিভাবে কিভাবে আজকে ৮টা বেজে গেলো।
প্রান্তিক : বড় দীদা বাঁচাও বড় দীদা বাঁচাও…
রুপা : কি হলো দাদুভাই ছুটছো কেনো?
প্রান্তিক : মামনি বকছে।।
রুপা : নিলা বকছো কেনো গো দাদুভাইটাকে?
নিলা : বকবোনা মা? কি বলছে জানো? বলছে স্কুলে যাবেনা।
রুপা : ও দাদুভাই সেটা তো পঁচা কথা। স্কুলে তো যেতেই হবে ।
নিপা : হ্যা গো বন্ধু স্কুলে না গেলে বাবা আর চাচ্চুদের মতো গ্রেট কিভাবে হবে ?
প্রান্তিক :আমি নীড় চাচ্চুর মতো ডক্টর হবো। অ্যাংরি ইয়াংম্যান হবো।
পলকের স্ত্রী রিসা ছেলে নিবিরকে কোলে নিয়ে এলো।
রিসা :তুমি না নিবিরের দাদাভাইয়া হামম?
প্রান্তিক : হামম হামম।
রিসা : দাদাভাইয়াকে দেখেই তো ছোট ভাইয়ারে শেখে তুমিই যদি এমন করো তাহলে নিবির বড় হলে ওকে শাসন করবে কি করে শুনি?
প্রান্তিক : তাইতো । মামনি আমি এখনই রেডি হবো।
নিলা : গুড বয়।
প্রান্তিক :আমি কিন্তু টিফিনে ফ্রেঞ্চ টোস্ট নিবো।
নিলা :কিন্তু আমি তো স্যান্ডুইচ করেছি।
নীলিমা : ডোন্ট ওয়ারি দীদা ডার্লিং ফ্রেঞ্চ টোস্ট রেডি হয়ে যাবে।
প্রান্তিক : থ্যাংক ইউ ডার্লিং দীদা ।
নীলিমা :ওয়েলকাম ডার্লিং।
তখন নীড় জগিং সেরে ফিরলো।

রিসা : গুড মর্নিং ভাইয়া।
নীড় : মর্নিং।
বলেই নীড় কিচেনে গিয়ে নিজেই নিজের অরেঞ্জ জুসটা বানিয়ে নিয়ে ওপরে চলে গেলো।
রিসা : এদের ভাইদের মধ্যে আসলেই নীড় ভাইয়া বেস্ট। কাউকে কখনো অর্ডার দেয়না। একটু রাগী কিন্তু অনেক গুলো ভালো।

.

একটুপর…
নীলিমা নীড়ের রুমে গেলো। দেখলো নীড় উপুর হয়ে ঘুমিয়ে আছে। দেখলো রুমটা খানিকটা অগোছালো । মাঝে মাঝে নীলিমার মনে হয় যে ওর ছেলে পুরো পাল্টে গিয়েছে। আবার মাঝে মাঝে মনে হয় এক বিন্দুও পাল্টায়নি। সেই আগের মতোই পাগলটা আছে। সবকিছুতে অগোছালো আর ঘুমকাতুরে। দেখে আবার বেরিয়ে গেলো । নীলিমা যথেষ্ট পাল্টে গিয়েছে। আগের মতো ড্রামা কুইন আর নেই।
নিরব : ছোট কাকীমা।
নীলিমা : হ্যা বাবা?
নিরব: নীড় ভাইয়া কি ঘুম?
নীলিমা :হ্যা বাবা।
নিরব : ওহ। তাহলে আমি বরং হসপিটালে গিয়েই দেখা করে নিবো। ইশিতা আমার মোবাইলটা নিয়ে আসতে ভুলে গিয়েছি। একটু আনোতো।
ইশিতা :হ্যা আনছি।
নিরব : আসি কাকীমা ।
নীলিমা : আচ্ছা বাবা।
নিরব অফিসে গেলো ।
নীলিমা : সকলের সংসারই ভরা। কেবল আমারটাই খালি। পোড়া কপাল আমার। তা না হলে কি আর এসব ঘটে? অমন বউ জোটে।
নীড় : মামনি।
নীলিমা : হামম।
নীড় : প্রান্তিক পিকনিকের কথা বলছিলো। সবাইকে জিজ্ঞেস করে দেখো যে এই উইকেন্ডে ফ্রি আছে কিনা!
নির্ঝর : আই ডোন্ট থিংক বাবা-কাকা আর দাদাভাইয়ার সময় হবে। ১টা প্রজেক্ট নিয়ে সবাই ভীষন ব্যাস্ত। এই উইকেন্ড কেনো নেক্সটের নেক্সট উইকেন্ডেও আশা নেই।
নীড় : দ্যাটস স্যাড। নেক্সট মান্থ আমি ইউপোপ যাচ্ছি।এই মাসে না গেলে তো আমার কাছে আর সময় নেই।
নির্ঝর : হঠাৎ ইউরোপ!
নীড় : কাজ আছে।
নীলিমা : কতোদিন পর আসবে?
নীড় : বেশিনা। ২-৩মাস।
নীলিমা : হিয়া জানে যে তুমি ইউরোপ যাচ্ছো ?
নীড় : ও আমার বিয়ে করা বউ নয় যে সব জানবে। ও আমার জাস্ট ফিওনসে।
নীলিমা : জাস্ট ফিওনসে মানে কি?
নীড় : জাস্ট মিনস জাস্ট।
বলেই নীড় চলে গেলো।
নীলিমা : নীড় শোনো ন…
নির্ঝর : কাকিমা কাকিমা লেট হিম গো। দেখো ভাইয়া বিয়ের জন্য রাজী হয়েছে সেটাই অনেক।
নীলিমা : যে মেয়েটা ওর বউ হয়ে আসবে সে মেয়েটা কোনো বস্তু নয় নির্ঝর। মানুষ।
নির্ঝর : আই নো কাকিমা ।আরেকটু সময় দাও।
নীলিমা : আর কতো …

.

বাংলাদেশে…
চট্টগ্রামে…
রবিন : বাবাই।
মেরিন : হ্যা মামা।
রবিন : ঢাকাতে শিফ্ট হয়ে যাও। এতো কষ্ট করা যায়?
মেরিন : না মামা। সমুদ্রের প্রেমে পরে গিয়েছে। সমুদ্র ছারা থাকতে পারবোনা।
রবিন আর কিছু বললনা। সেই ঘটনার পর দুই বছর মেইলবোর্নে ছিলো ওরা সবাই। তিন বছর আগে চট্টগ্রাম এসে শিফ্ট হয়েছে। ঢাকার বাড়িতে পা পর্যন্ত রাখেনি। কারো সাথে কোনো যোগাযোগও রাখেনি। রবিনরাও আর ফিরেনি ঢাকা। ওরা এখন সবাই একসাথেই থাকে ।

.

রাতে খাবার টেবিলে…
প্রহর : ফুপ্পা এবারের কনট্র্যাক্টটা এবার আমাদের ছারা কারোনা।
কবির : দ্যাট ক্রেডিট ইজ ইউরস।
প্রহর : আপি হেল্প না করলে আমি কিছুই করতে পারতামনা।
মেরিন : নাথিং লাইক দ্যাট ভাইয়া।
প্রহর : ওহ প্লিজ আপি কিছু বলোইনা। আগামী ৬মাস বিজনেস সামলাতে হিমশিম খেতে হবে। আপি তো নেক্সট উইকই লন্ডন চলে যাচ্ছে। কোর্স কমপ্লিট করে আর দেরি করবেনা কিন্তু।
মেরিন : ওকে ভাইয়া।
কবির : মামনি…
মেরিন : বাবা আমি মিটিংটা করে নিবো।ভুলিনি।
কবির : থ্যাংক ইউ মামনি।
খাওয়া দাওয়া করে মেরিন রুমে গেলো। ওর রুমটার বারান্দা থেকে সমুদ্র দেখা যায়। নীড়ের সেই সাদা শার্টটা গায়ে দিয়ে মেরিন বারান্দায় গিয়ে দারালো। চোখের সামনে সব পুরোনো স্মৃতি।

🎶🎵🎶
কি ছিলে আমার
বলোনা তুমি
আছিতো আগেরই মতো
এখনো আমি…

ভুলে কি গেছো তুমি
বাসরেরই কথা
জআজও তো রয়েছে আমার স্মৃতিতে গাথা

তুমি কি আগেরই মতো
এখনো হাসো…
তুমি কি তেমনই করে
আমায় ভালোবাসো

কি ছিলে আমার
বলোনা তুমি
আছি তো আগেরই মতো
এখনো আমি…
🎶🎵🎶

.

১মাসপর…
লন্ডনে…
নীড় হাটছে আর ডক্টর কেইনের সাথে কথা বলছে।
নীড় : নো নো ডক্টর কেইন। আই ডোন্ট থিংক সো। যদি একবার ডিএনএ চেঞ্জ হয়ে যায় তাহলে কিন্তুত এতোগুলো পেশেন্টের জীবন যেতে পারে। আবারো ল্যাব টেস্ট করান। তা না হলে আমি ইউরোপ কেনো এলাম?
ওদিকে মেরিনও কবিরের বন্ধুর ছেলে হাসনাত নিশান সংক্ষেপে হানির সাথে কথা বলতে বলতে হেটে আসছে।
মেরিন : ওহ হানি এখনো সময় আছে।
হানি : একটু আগে যাওয়া ভালোনা বলো। কাটায় কাটায় গেলে ইমপ্রেশনটা কি ভালো হয়।
মেরিন : যাচ্ছিই তো। চলো।
নীড়-মেরিন দুজনই কথা বলায় এতো ব্যাস্ত যে দুজন দুজনকে দেখতেই পায়নি। মেরিন হোচট খেয়ে ধপাশ করে পরে যেতে নিলো নীড়ের ওপর। নীড় খেয়াল করেনি কে পরছে ওর ওপর। নিজেকে বাঁচানোর নীড় ওর দিকে আসা মেয়েটাকে ধরলো।
নীড় : আর ইউ ব্লাইন্ড?

.

চলবে!!!

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here