#তোমার_হতে_চাই ২
part : 14
writer : Mohona
.
নীর : পরে যাবে যে…
হিয়া : ইউ…
নীর : হাহাহা।
নীর হিয়াকে সোজা করে দার করালো।
হিয়া : তুমি আমার কোমড় ধরলে কোন সাহসে?
নীর : এক্সকিউজ মি মিস বিউটিফুল। আমি না ধরলেনা পরে যেতেন। যে হিল আর যে হাজার কিলোর লেহেঙ্গা পরেছেন । একবার যদি পরতেননা আর উঠতে পারতেননা এই জনমে।
হিয়া : শাট আপ ইউ ইডিয়ট।
নীর : ওকে। বাই দ্যা ওয়ে আজকে কি আপনার বিয়ে? কিন্তু বরের নাম তো দেখলাম প্রহর মাহমুদ। আর আপনি তো ‘এন’ ‘আই’ ‘আর’ নীড়কে ভালোবাসতেন। ব্রেকআপ হয়ে গিয়েছে?
হিয়া : শাট আপ। আজকে আমার ননদের বিয়ে।
নীর : ওহ। তো নিহারিকা আপনার ননদ। বাই দ্যা কংগ্রেচ্যুলেশন।
হিয়া : বিয়েটা আমারনা আমার ননদের। তাই আমাকে কংগ্রেচ্যুলেশন দেয়ার কারন কি?
নীর : কারন এটাই যে আপনার সাথে আপনার ‘এন’ ‘আই’ ‘আর’ নীড়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
হিয়া : ওহ হ্যালো আমাদের বিয়ে হয়নি। হতে চলেছে। সেটাও খুব শীঘ্রই।
নীর : তাহলে আমার একটু একটু চান্স আছে।
হিয়া : শাট আপ।
বলেই হিয়া চলে গেলো।
নীর : বিউটিফুলের বারবার শাট আপ বলার রোগ আছে দেখছি। যাই হোক এখানে তবে সেই লাকি ‘এন’ ‘আই’ ‘আর’ নীড়ের সাক্ষাত পাওয়া যাবে। আরে এ কাকে দেখছি আমি? মেরিন বন্যা খান! বাহ আল্লাহ বাহ। আল্লাহ তুমি যখন দাও সবকিছু ফাটিয়ে দাও।একে দেখি পুরো একটা পুতুল লাগছে। ঠিক যেনো পুতুল বউ। আহাহা… কি দারুন। একি কোথায় গেলো! কাকে রেখে কাকে খুজবো এখন? ধ্যাত মম-ড্যাডের সাথে আগে আসলেই ভালো হতো । ঐতিহাসিক তিন ব্যাক্তিকে দেখতে পারতাম। বেশি বুঝলে যা হয় আর কি! চলো ভাই নীর ভীরের মধ্যে থেকেই খোজো এখন।
.
নীড়-মেরিন মুখোমুখি হলো। দুজন দুজনকে ইগনোর করে যেতে নিলো। কিন্তু যেতে পারলোনা। কারন মেরিন বামদিকে গেলে নীড়ও বামদিকে যাচ্ছে আবার নীড় ডানদিকে গেলে মেরিনও ডানদিকে যাচ্ছে।
মেরিন : সাইড দাও আমি যাবো।
নীড় : তুমি সাইড দাও আমি যাবো।
মেরিন : আমি আগে যাবো।
নীড় : না। আমি আগে যাবো।
মেরিন : লেডিস ফার্স্ট ।
নীড় : নট হেয়ার।
মেরিন : হুয়াই নট?
নীড় : কারন আমি বলেছি।
মেরিন : তুমি কি দেশের প্রধানমন্ত্রী?
নীড় : আমি নীড় দ্যা গ্রেট।
মেরিন : অ্যা হ্যা… নীড় দ্যা গ্রেট। নিজের চেহারা আয়নায় দেখেছো? হনুমানরা দেখলেনা নিজেদের প্রজাতী মনে করে সাথে নিয়ে যাবে।
নীড় : আর তোমাকে বাদরেরা নিজেদের রাজ্যে নিয়ে যাবে।
মেরিন : হুহ।
নীড় : হুহ হুহ হুহ। এখন সরো।
মেরিন : তুমি সরো ।
নীড় : তুমি।
মেরিন : তুমি অযথা পাঙ্গা নিচ্ছো।
নীড় : একশো বার নিবো। তোমার কি?
মেরিন : তুমি পাঙ্গা নিলে আমি লাগে তোমাকে ছেরে দিবো মিস্টার ক্ষীরবাদুর? তোমার মাথার চুলগুলো টেনে ছিরে ফেলবো।
নীড় : ওরে বাবা আমি তো ভয় পেয়ে গেলাম। হুহ। হাইট দেখে কথা বলো। তোমার মতো চাইনিজ ডল আমার মাথা ধরতে পারে কেবল মাত্র স্বপ্নে।
মেরিন : কি ? কি বললা তুমি আমাকে?
নীড় : খাটো। শর্ট। শর্ট বললাম তোমাকে মিস শর্টি। ১০ইঞ্চি হিল পরেও আমার ঠোঁট পর্যন্ত উঠতে পারলেনা।
মেরিন : কোথায় থেকে এলেন অমিতাভ বচ্চন । হুহ।
দুজনের মধ্যে মোটামোটি লেগে গেলো। নীর-হিয়া মোটামোটি কাছে পিঠেই ছিলো। ওর শুনতে পেয়ে চলে এলো।
নীর : আরে এই তো দেখি মিস খান । আরে মিস বিউটিফুল আপনি দেখি আবার হাজির।
হিয়া : শাট আপ। এই দুজন আবার শুরু হয়ে গেলো!
নীর : আপনি গিয়ে থামাচ্ছেননা কেনো?
হিয়া মনেমনে : পাগল নাকি আমি যে এই দুজনের ঝগড়ার মধ্যে যাবো? এক কাজ করি এই চিপকুকে পাঠাই।
হিয়া : আপনার মন চাইলে আপনি যাননা।
নীর : ওকে।
নীর ওদের দিকে এগিয়ে গেলো।
নীর : এক্সকিউজ মি… এটা বিয়ে বাড়ি।
ওর কথা দুজনের একজনের কানেও ঢুকেনি।
নীর : এই যে হ্যালো। আমি আপনাদেরকে বলছি । এটা বিয়ে বাড়ি। ঝগড়া বন্ধ করুন। লোকে কি বলবে?
এবারও দুজন পাত্তা দেয়নি। নীর দুজনের মাঝখানে দারিয়ে গেলো। নীড়-মেরিন ওর চুল ধরে সরিয়ে দিলো। হিয়া হেসে দিলো।
নীর : দে আর ডেঞ্জারাস পিপল।
নীর আবার হিয়ার কাছে ফিরে এলো।
হিয়া : এখন বুঝলেন যাইনি কেনো?
নীর : আমাকে ডেঞ্জার জোনে কেনো পাঠালেন! ওই ছেলেটা কে?
হিয়া : দ্যাটস মাই নীড়।
নীর : ওহ। আচ্ছা এই ক্ষীরবাদুর আপ লালঝুটি কাকাতুয়া কি?
হিয়া : ইটস দেম?
নীর : হুয়াট? ওটা তো ব্যারিস্টার মেরিন বন্যা খান। এনার কথা বললোন আপনার নীড়। তাহলে এই ক্ষীরবাদুর আর লালঝুটি কাকাতুয়া কি? এদের কি সম্পর্ক!
হিয়া : এদের কি সম্পর্ক সেটা আল্লাহ ছারা কেউ জানেনা।
মেরিনকে খুজতে খুজতে রবিন এলো। কারন কিছুক্ষনের মধ্যেই বিয়ের উৎসব শুরু হবে।
রবিন : তোমাদের আবার শুরু হয়ে গিয়েছে!
নীড় গিয়ে মেরিনের পিছে লুকালো । মেরিন সরে গিয়ে নীড়ের পেছনে।
রবিন : চলো বাবাই ।
মেরিন চুপটি করে লক্ষি মেয়ের মতো চলে গেলো ।
নীর : তোমার নীড় দেখি ভীতুর ডিম।
হিয়া : সারা পৃথিবীতে নীড় যদি কোনো মানুষকে ভয় পায় সেটা হলো এই রবিন মামা। হি ইজ ভেরি ডেঞ্জারাস আই থিংক।
.
নীর : হ্যালো ম্যাডাম।
মেরিন : হ্যা… আপনি!
নীর : হামম আমি। প্লিজ টু মিট ইউ।
মেরিন : আপনি এখানে কেনো!
নীর : এই মনে করুন আপনার টানে।
মেরিন : এক্সকিউজ মি।
নীর : সরি। আসলে আমার ড্যাড আমজাদ আংকেলের বিজনেস পার্টনার ।
মেরিন : ওহ।
মেরিন যেখানেই যাচ্ছ নীর সেখানেই গিয়ে ওকে বিরক্ত করছে।
নীড় : তখন থেকে দেখছি ওই ইডিয়টটা লালঝুটি কাকাতুয়ার সাথে চিপকাচ্ছে কেনো? একে তো…
মেরিন : আপনি কি প্লিজ এক জায়গায় স্থির হয়ে দারাবেন?
নীর : আপনি এক জায়গায় দারালেই তো আমিও দারাই।
মেরিন : দেখুন আপনি কিন্তু আমার মেজাজ গরম করছেন।
নীর : ওহ হো ম্যাডাম রুড এখানে আপনাকে ছারা আমি কাউকে চিনিনা। আরেকজনকে যাও একটু চিনি সে তো আবার। যাইহোক কথা বলার জন্য কাউকে তো চাই। তাইনা?
নীড় : দেন টক টু মি?
নীর : আপনা ভয়েস চেইঞ্জ হলো কেমন করে?
নীড় : টার্ন ।
নীর পেছনে ঘুরলো।
মেরিন মনেমনে : এখন এর খবর আছে। আমি কেটে পরি।
মেরিন সরে গেলো।
নীর : ওহ হাই মিস্টার নীড়।
নীড় : হাও ডু ইউ নো মাই নেইম?
নীর : আপনার ফিওনসে হিয়ার কাছ থেকে।
নীড় : ইউ নো হিয়া?
নীর : ইয়েস।
নীড় : তাহলে ওর সাথে গিয়ে কথা বলোনা । লালঝুটি কাকাতুয়ার পেছনে পরে আছেন কেনো?
নীর : শি ইজ মাই কলিগ। বাই দ্যা ওয় নাইস টু মিট ইউ।
বলেই নীর নীড়ের দিকে হাত বারিয়ে দিলো। বেচারাকে এক মিনিট অপেক্ষা করিয়ে নীড় হাত মিলালো। আর নীরের হাত এমন করে ধরলো যে ওর জান যায়যায় ।
নীড় : স্টে অ্যাওয়ে ফ্রম মাই লালঝুটি কাকাতুয়া।
বলেই নীড় চলে গেলো।
নীর : জিন্দেগী তে এমন মানুষ প্রথমবার দেখলাম যে কিনা নিজের ফিওনসের সাথে কথা বলতে বলছে আর যার সাথে ঝগড়া করে তারথেকে দূরে থাকতে বলছে! এটা বিয়েবাড়ি নাকি পাগলাগারদ?
মেরিন লুকিয়ে নীড়কে খুজছে।
মেরিন : গেলো কোথায় ক্ষীরবাদুরটা!
নীড় : ঠিক তোমার পেছনে।
মেরিন ঝড়ের বেগে পেছনে ঘুরলো।
নীড় : তুমি ওই চিপকু নীরের সাথে কথা বলছিলে কেনো?
মেরিন : আমার ইচ্ছা। তারছারাও নীর আমার কলিগ।
নীড় : কি বললে?
মেরিন : নীর আমার কলিগ।
নীড় : তুমি ওর নাম ধরে কেনো ডাকছো?
মেরিন : তো কি ধরে ডাকবো?
নীড় : সারনেইম ধরে ডাকবে। নীর বলেনা।
মেরিন : কেনো?
নীড় : তুমি আমাকে নীড় বলে ডাকোনা তাই অন্যকাউকেও ডাকবেনা।
মেরিন : ওর নাম নীড় নয় নীর। পানি।
নীড় : প্রোনানসিয়েশন তো একই।
মেরিন : তো?
নীড় : হুয়াট তো? ওকে নীর বলে ডাকবেনা মানে ডাকবেনা।
মেরিন : ডাকবো। আর তুমি কেনো অযথা জেলাস হচ্ছো?
নীড় : বিকজ আই লাভ ইউ।
মেরিন : ওহ প্লিজ স্টপ ইট ক্ষীরবাদুর। অনেক হয়ে গিয়েছে। সবকিছুর ১টা লিমিট থাকে। কেনো বুঝতে পারছোনা।
নীড় : দেখো…
মেরিন : ডোন্ট টাচ।
নীড় তবুও মেরিনের হাতটা ধরলো। মেরিন হাত ছারানোর চেষ্টা করলো। পারলোনা।
মেরিন : আমার হাত ছারো ক্ষীরবাদুর।
নীড় : না ছারবোনা।
মেরিন : ছারো বলছি।
নীড় : না।
মেরিন : ছারো।
নীড় : না।
মেরিন : লিভ।
নীড় : নো।
এবার মেরিন চেচিয়ে বলে উঠলো ‘আই সেইড লিভ মা হ্যান্ড।’ মেরিনের চিৎকারে অনেকে ছুটে এলো।
মেরিন : শোনোনি?
নীড় নিরবে মেরিনের হাতটা ছেরে দিলো ।
মেরিন : আর কখনো এমন করলে আমি পুলিশে কমপ্লেইন করবো।
নীড় : লালঝুটি কাকাতুয়া সবাই দেখছে।
মেরিন : দেখুন। বিষয়টা সবার জানা উচিত ।
নীড় চলে গেলো ওখান থেকে । আর মেরিনও। দুদিন পর সবাই ঢাকায় ফিরে এলো। ঢাকাতে একদিন থেকে মেরিন মা বাবাকে নিয়ে চট্টগ্রাম ফিরে গেলো। রবিনরা ঢাকাতেই রয়ে গেলো ।
.
১৫দিনপর…
কবির খবরের কাগজটা হাতে নিলো। সেটাতে ১টা খবর দেখে ও অবাক হয়ে গেলো।
কবির : কনা … কনা…
কনিকা আর মেরিন এলো।
কনিকা : কি হয়েছে? এভাবে ডাকছো কেনো?
কবির : দেখো খবরের কাগজে কি এসেছে?
মেরিন : কি এসেছে?
কবির : বিশিষ্ট শিল্পপতি জয়নুল আবেদিনের ছোটমেয়ের রেপ করে তার মার্ডার করেছে নিহাল আহমেদ চৌধুরীর একমাত্র ছেলে নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন।
মেরিন : হুয়াট ননসেন্স !
কবির : ননসেন্স না। এই দেখো।
মেরিন দ্রুত পড়তে লাগলো।
কবির : ছেলেটা এতো খারাপ? ছিঃ ছিঃ। ভেবেছিলাম পাল্টে গিয়েছে হয়তো এতো বছরে। ছিঃ।
মেরিন রবিনকে ফোন করলো। নীড়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই রবিন
বলল : কয়লার ময়লা কোনোদিনো যায়না।
মেরিন ছুটে রুমে গিয়ে গাড়ির চাবি নিয়ে এলো।
কবির : কোথায় যাচ্ছো মেরিন : ঢাকা।
কনিকা : কেনো?
মেরিন : সত্য জানতে।
কবির : কিসের সত্য?
মেরিন : ক্ষীরবাদুরের।
কনিকা : কিসের স… দারাও মেরিন। দারাও।বাহির প্রচুর বৃষ্টি পরছে। মেরিন।
মেরিন বেরিয়ে গেলো।
.
৮ঘন্টাপর…
নীড় সেলে বসে আছে। তখন শুনতে পেলো ‘ক্ষীরবাদুর।’ নীড় দ্রুত মাথা তুলল। দেখলো মেরিন দারিয়ে আছে। নীড়ে মুখে হাসি ফুটলো। ছুটে সামনে গেলো।
নীড় : তুম…
তখন নীড়ের সেদিনের অপমানে কথা মনে পরলো। ঘুরে গেলো।
নীড় : তুমি কেনো এসেছো এখানে?
মেরিন : তোমার জন্য।
নীড় : কেনো আমার জন্য আসবে কেনো? কে আমি তোমার?
মেরিন : কি যা তা বলছো ক্ষীরবাদুর?
নীড় : যা তা না। ঠিকই বলছি। চলে যাও তুমি। ফিরে যাও চট্টগ্রাম।
মেরিন : আমি তখনই চট্টগ্রাম ফিরবো যখন তোমাকে এখান থেকে বের করতে পারবো।
নীড় : তুমি তো আমাকে এখান থেকে বের করতে পারবেনা। আমি রেপিস্ট প্লাস মার্ডারার।
মেরিন : ওহ স্টপ ইট ক্ষীরবাদুর।
নীড় : ইটস দ্যা ট্রুথ।
মেরিন : ইমপসিবল।
নীড় : পসিবল। ১টা কথা বলো তো। আমার গুনাহ প্রমান হলে নিশ্চয়ই আমার ফাসি হবে।
মেরিন : শাট আপ।
নীড় : ভালোই হবে ফাসি হলে। এই জীবন থেকে মুক্তি পাবো। যে জীবনে তুমি নেই সে জীবন থাকলেই কি আর না থাকলেই কি?
মেরিন : যতোদিন লালঝুটি কাকাতুয়ার জীবন আছে ততোদিন তার ক্ষীরবাদুরকে বিনা অপরাধে কোনো শাস্তি পেতে দিবেনা। সবাই জানে এই পৃথিবীতে আমি সবথেকে বিশ্বাস আমার মামাকে করি। কিন্তু আমি আর আমার আল্লাহ জানে মামার থেকেও বেশি বিশ্বাস আমি তোমাকে করি ক্ষীরবাদুর।
নীড় মেরিনের দিকে ঘুরলো। তখন পুলিশ এসে বলল দেখা করার সময় শেষ।
মেরিন : বাই…
মেরিন চলে গেলো।
.
চৌধুরী বাড়িতে…
প্রনয় : কোনো ল’য়ার কেইস হাতে নিচ্ছেনা । অথচ পরশু ফার্স্ট হেয়ারিং। কি করবো? কে নিবে নীড়ের কেইস!
মেরিন : আমি নিবো।
সবাই দরজার দিকে তাকালো । মেরিন চৌকাঠের ওপাশে দারিয়ে আছে।
নিহাল : মামনি…
নিহাল ছুটে গেলো মেরিনের কাছে।
নিহাল : মামনি… তুমি। আসো মামনি ভেতরে আসো।
মেরিন : না বাবা । আমি এখানেই ঠিক আছি। ভেতরে যেতে বলোনা প্লিজ।
নিহাল : কিন্তু …
মেরিন : প্লিজ বাবা ফোর্স করোনা। ছোট্ট ১টা কাজ করে দিতে হবে তোমাকে।
নিহাল : কি কাজ করতে হবে মামনি ?
মেরিন : এই পেপারগুলোতে ক্ষীরবাদুরর সিগনেচার লাগবে। ওর পারমিশন ছারা আমি ওর হয়ে লড়তে পারবোনা। প্লিজ।
নিহাল : হামম মামনি।
মেরিন : আসছি। চিন্তা করোনা।
মেরিন চলে গেলো।
প্রনয় : কাকা। ওকে বিশ্বাস করা কি ঠিক হবে?
নিহাল : যদি নীড়কে কেউ বের করিয়ে আনতে পারে তবে সেটা এই মেরিন।
নাহিদ : ভাইয়া কেনো এই বিশ্বাস?
নিহাল : যদি তোদের বলতে পারতাম। তবে আমি এবার বলবো। নিশ্চয়ই বলবো। আগে এই বিপদ থেকে বের হতে দে।
.
পরদিন…
মেরিন ওর অফিসে বসে আছে। তখন কিছু মানুষ হাজির হলো।
মেরিন : আপনারা কারা? কিভাবে সাহায্য করতে পারি আপনাদের?
○ : কেইসটা ছেরে দিয়ে।
মেরিন : বুঝলামনা।
○ : এতোটা বোকা তো মনে হয়না। তবুও ভেঙেই বলি। নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষনের কেইসটা ছেরে দিন। বিনিময়ে এক কোটি টাকা আপনার ।
মেরিন : ঘুষ দিয়ে আমাকে কিনে নিতে আসছেন? মেরিন বন্যা খান বাবার বিজনেস ফেলে ব্যারিস্টারি করছে মন চায় বলে। আর তাকে টাকার লোভ দেখাচ্ছেন? বাই দ্যা ওয়ে পৃথিবীতে একটা নামকে আমি সবথকে বেশি ঘৃণা করি। আর সে নামটা হলো নীড় আহমেদ চৌধুরী বর্ষন ।
○ : কি?
মেরিন : হামম।
○ : তাহলে কেইসটা নিলেন কেনো?
মেরিন : ধোকা দেয়ার জন্য। শাস্তি দেয়ার জন্য। যখন জানলাম কেউ চৌধুরী সাহেবকে ফাসিয়ে জেলে পাঠিয়েছে তখনই আমি আমার প্ল্যানটা বানিয়ে ফেলি।
○ : আপনি কি করে জানলেন যে মিথ্যা কেইস?
মেরিন : সেটা জানার দরকার নেই। আম খান। গাছের খবর নিয়ে লাভ নেই। চিন্তার কোনো কারন নেই। কালই প্রথম আর কালই শেষ শুনানি। কারন ডিফেন্স তো আদালতে পৌছাবেইনা। কার অ্যাক্সিডেন্ট করে হসপিটালে থাকবে।
○ : মানে ?
মেরিন : এতোবোকা তো আপনারা নন।
○ : বেঁচে থাকুন ম্যাডাম। আসছি।
মেরিন : দারান।
○ : কি হলো?
মেরিন : টাকাটা তো নিয়ে যান।
তারা চলে গেলো।
তামিম : ম্যাডাম কি বলছিলেন আপনি এসব?
মেরিন : সত্যি কথা।
তামিম : নীড় চৌধুরীর সাথে আপনার কিসের শত্রুতা?
মেরিন : সেটা না জানলেও চলবে। সিসিটিভি ফুটেজটা বের করে ফেলো।
তামিম : কোন জায়গার ম্যাম ?
মেরিন : আমার এই অফিসের।
তামিম : ম্যাম আপনি তো ভারী দুষ্টু।
মেরিন : আই নো। ডু ইট।
তামিম : জী ম্যাম। হয়ে গিয়েছে মনে করুন ।
মেরিন : তোমাকে যা আনতে বলেছি এনেছো?
তামিম : জী ম্যাম এই যে।
মেরিন : হামম।
তামিম : ম্যাম ১টা প্রশ্ন ছিলো।
মেরিন : করো।
তামিম : কোনো খোজখবর না নিয়ে আপনি কেনো কেইসটা হাতে নিয়ে নিলেন? কোন ইঙ্গিত পেলে নীড় চৌধুরীর নির্দোষ হওয়ার?
মেরিন : অলৌকিক ইঙ্গিত…
.
চলবে…