_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি । #_পর্ব = ২৫

0
262

#_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি ।
#_পর্ব = ২৫

অফিস থেকে বেরিয়ে সাথে সাথে সজীব মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে , বেতন পেয়েছে দশ হাজার তিনশ সত্তর টাকা । ইপিজেড রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সে ফ্রী পোর্ট মোড়ে এসে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কিছুক্ষণ ব্যস্ত শহরের মানুষের আনাগোনা দেখলো । মনটা খারাপ থেকে আরো খারাপতর হয়ে গেল কিন্তু দাঁত বের না করে ঠোঁটের কোনে মিষ্টি হাসি এনে মনে মনে বললো প্রকৃতি তুমি কত সুন্দর । তোমার খেলা বোঝা বড় দুষ্কর তাই আমরা প্রতিনিয়ত তোমার কাছে হেরে গিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছি ।

নিউমুরিং এর রাস্তা দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সজীব ভিতরের দিকে যেতে লাগলো । পানির টাংকির একটু আগেই একটা ফার্মেসি আছে সেই ফার্মেসিতে প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডাক্তার মুনিরুল মান্নান বসে । কিন্তু সজীব কাজ নেই ডাক্তারের কাছে , কিন্তু তার কাজ হচ্ছে ফার্মেসির বিপরীত পাশে একটা বড় “সাগরিকা জুয়েলার্স” নামের জুয়েলার্সের দোকান ।

সজীব জুয়েলার্সের দোকানে গেল কারণ সজীব অনেক দিন ধরে লক্ষ্য করেছে বৃষ্টির পায়ে কোন নুপুর নেই । তাই সে আগে থেকে মনে মনে ঠিক করে রেখেছে যে প্রথম বেতন পেলে বৃষ্টির জন্য একজোড়া নুপুর বানাবে । তারপর একটা সুন্দর মুহূর্ত থেকে বৃষ্টি কে উপহার দেবে সেই নুপুর আর সাথে কিছু কাঁচের চুড়ি । তাই দোকানে বসে অনেক গুলো ডিজাইন দেখে দেখে একটা ডিজাইন পছন্দ করলো । মজুরি সহ রুপার দাম এসেছে চার হাজার সাতশো টাকা । দোকানের কাজ শেষ করে সজীব রশিদ সংগ্রহ করে দোকান থেকে বেরিয়ে পরলাে । হাঁটছে আর ভাবছে এখন কোথায় যাওয়া যায় ? কোন যায়গা গেলে একান্ত নিরিবিলি কিছু সময় কাটানো যায় সেটা ভাবছে আর হাঁটছে ।

★★
★★

সজীব এর চাকরি চলে গেছে সে কথা রকির কাছে পৌঁছে গেল , রকির কাছে বলেছে কোয়ালিটি ইনচার্জ । রকি কথাটা শুনে নিজের কাজের চাপ কমিয়ে সময় নিয়ে বৃষ্টির কাছে এলো । বৃষ্টি তখন নিজের চেয়ারে ছিল না তাই রকি অপেক্ষা করতে লাগলো । একটু পরে বৃষ্টি ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে লাইনে নিজের কাজের স্থানে গিয়ে দেখলো রকি দাঁড়িয়ে আছে ।

” রকি বললো , কি হইছে বৃষ্টি আপা ? সজীব কে বের করে দেয়া হয়েছে ? ”

” বৃষ্টি বললো , আমিও শুনেছি কিন্তু সঠিক জানিনা কারণ সজীব জিএম স্যারের চেম্বার থেকে আর ফিরে আসেনি । আর আমি বারবার কল দিচ্ছি কিন্তু তার মোবাইল বন্ধ করে রেখেছে । ”

” হঠাৎ করে কি এমন হলো যে জিএম স্যারের কাছে বিচার চলে গেল ? ”

” আমার লাইনের সুপারভাইজার সজীব আর আমার কথা স্যারকে বলে দিয়েছে । তারপর স্যার সবকিছু শুনে আমাকে বললেন লাইনে আসতে । তারপর আমি চলে আসলাম কিন্তু পরে শুনি সজীব কে নাকি বের করে দিয়েছে । ”

” সুপারভাইজার বললো কেন ? তার সমস্যা কি ? ”

” সে আমাকে প্রপোজ করেছে অনেক আগেই কিন্তু সজীব আসার পরে সে হিংসায় জর্জরিত হয়ে গেছে তাই বলে দিয়েছে । কিন্তু আমার একটা মারাত্মক অন্যায় হয়ে গেছে যেটা এখন হাড়ে হাড়ে বুঝতে পারছি । ”

” কি হইছে ? ”

” আমি যদি তখন জিএম স্যারকে সবকিছু খুলে বলতাম তাহলে হয়তো ন্যায্য বিচারটা হতো কিন্তু আমি কেমন যেন নার্ভাস হয়ে সজীব আমাকে বিরক্ত করে এমন কথা বলে দিছি । আর তাই জিএম স্যার আরও বেশি রাগ করে উল্টোপাল্টা কথা বলে । ”

” এমন ভুল কেউ করে ? ধুর…! ”

” আপনার মামা তো অপজিট ফ্লোরের পিএম স্যার তাহলে তাকে বলে অনুরোধ করা যায় না ? ”

” দেখো আপা তারা হচ্ছে বড় বড় পোস্টের চাকরি করে তাই এসব তুচ্ছ বিষয় একজন আরেকজনকে বলে ছোট হতে চায় না । অফিসের মধ্যে তোমার আমার মতো শ্রমিকদের যেটা স্বপ্ন সেটা তাদের কাছে শুধু একটা কলমের সাইন । আচ্ছা বাদ দাও এসব কথা এখন সজীব কোথায় গেল সেটাই বুঝতে পারছি না । ”

” আপনি একটু চেষ্টা করবেন রকি ভাই ? আপনি ছাড়া আর তো পথ নেই । ”

” আচ্ছা ঠিক আছে চেষ্টা করবো , বাসায় গেছে মনে হয় তাই বাসায় গিয়ে কথা হবে । ”

” আমি যদি আপনার সাথে বাসায় যাই তাহলে কি আপনার সমস্যা আছে ? ”

” নাহহ সমস্যা নেই কিন্তু গিয়ে কি হবে ? ”

” বেচারা অনেক কষ্ট পেয়েছে আমি বুঝতে পারিনাই যে ঘটনা এমন ভাবে ঘটবে । তাই সামনে গিয়ে কথা বলে সবকিছুর জড়তা দুর করতে চাই । ”

” আচ্ছা ঠিক আছে তোমার ছুটি কখন ? ”

” সাতটা বাজে । ”

” ঠিক আছে তুমি ছুটির পরে কার্ড পাঞ্চ করে এই চেয়ারে বসে থেকো আর আমি এসে তোমাকে নিয়ে বের হবো সাতটার পরে । ”

” ঠিক আছে । ”

★★
★★

ছুটির পরে বৃষ্টি রকির সাথে বাসায় গিয়ে দেখলো সজীব বাসায় যায় নাই বাসা ফাঁকা পরে আছে ৷ বৃষ্টি মুখ কালো করে সিঁড়ির উপর বসে পরলো , তার চারিদিকে মনে হয় যেন অন্ধকার হয়ে গেছে । রকি পাশের রুমে গিয়ে জিজ্ঞেস করে জানলো যে সজীব রুমেই আসে নাই । মোবাইলে কল দিয়ে বারবার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হচ্ছে তারা । রকি পরলো একটা বিপদে কারণ ব্যাচেলর বাসায় একটা মেয়ে যদি আসে তাহলে বিনা নোটিশে বাড়ি ছাড়তে হবে ।

” তাই সে বৃষ্টির কাছে বললো , বৃষ্টি তুমি বরং বাসায় চলে যাও আর আমি রাস্তায় গিয়ে কিছুক্ষণ খুঁজে আসি ৷ আর তাছাড়া ওর খালার বাসায়ও তো যেতে পারে তাই না ? তুমি বরং বাসায় গিয়ে রান্নাবারা করো আর সজীব আসলে তােমাকে কল দিয়ে আমি জানিয়ে দেবো , চিন্তা করো না । ”

” বৃষ্টি বললো , আপনি সজীব এর খালার বাসা চিনেন নাকি ? যদি চিনেন তাহলে চলুন না দুজনেই একসাথে যাই । ”

” দেখো তুমি একটা মেয়ে মানুষ , সারাদিন কাজ করে এখন ক্লান্ত তাই বেশি ঘোরাঘুরি না করে বাসায় গিয়ে বিশ্রাম করো । আমি যদি সন্ধান পাই তাহলে সাথে সাথে তোমাকে জানাতে ভুলবো না । আর আমি সজীব এর খালার বাসা চিনি না , কখনো যাই নাই আমি নাহলে চিনতে পারতাম । ”

” আমার যে বাসায় যেতে মন চায় না । ”

” তুমি থেকে তো কিছু করতে পারবে না তাই শুধু শুধু থেকে কোন লাভ নেই । ”

” ঠিক আছে ভাই কিন্তু আপনি একটু ভালো করে খুঁজে দেখবেন কিন্তু আর পেলে সাথে সাথে আমাকে জানাবেন । আমি কিন্তু আপনার বা সজীব এর কাছ থেকে একটা কলের অপেক্ষায় থাকবো । ”

” ঠিক আছে তুমি চলো তোমাকে নিচে গিয়ে একটা রিক্সায় তুলে দেই । ”

|
|

বাসায় গিয়ে বৃষ্টি আজ অনেক দিন পরে তার বাবার পাশে খাটের উপর সুয়ে পারলো । বৃষ্টি মা বিকেলে এসে রান্না করে রেখেছেন , তিনি এখন টিভিতে স্টার জলসা চ্যানেলে অরণ্য আর পাখির ” বোঝেনা সে বোঝেনা ” নাটক দেখছেন । এই নাটকটা বৃষ্টি কাছে ও খুব ভালো লাগে কারণ অরণ্য আর পাখির এই অভিনয় ভালবাসা দিয়ে ভরপুর । তাই যেকোনো মেয়ে এটা দেখে নেশায় পরতে বাধ্য হবে । কিন্তু আজ সজীব এর জন্য বৃষ্টির মনটা ভিষণ খারাপ তাই মনোযোগ দিয়ে দেখতে ইচ্ছে করে না । তবুও খাটের ওপর সুয়ে টিভির দিকে তাকিয়ে আছে আর সামনে অরণ্য আর পাখি নিজেদের রুমের মধ্যে বসে তর্কাতর্কি করছে ।

বৃষ্টি একটু পর পর মোবাইলে তাকিয়ে দেখে সজীব বা রকির নাম্বার থেকে কল বা মেসেজ আসে কিনা । কিন্তু অরণ্য আর পাখির নাটক শেষ হয়ে আবার নতুন নাটক শুরু হলো , সেই নাটক শেষ হয়ে আবার নতুন নাটক শুরু হলো কিন্তু বৃষ্টির অপেক্ষার অবসান ঘটে না । সে বারবার সজীব এর নাম্বারে কল দিয়ে চেষ্টা করছে কিন্তু নাম্বার বন্ধ । তবে রাত দশটার একটু আগে বৃষ্টি রকির কাছে কল দিল কারণ এতক্ষণ সে তাকে কল দিয়ে বিরক্ত করতে চায় নাই ।

” বৃষ্টি বললো , হ্যালো রকি ভাই সজীব এর কোন খবর পাওয়া গেছে ? ”

” না বৃষ্টি , এখনো পাইনি । আমি ওর ব্যাগের ভেতর থেকে ডায়েরি বের করে ওর খালার নাম্বার বের করে কল দিয়ে জিজ্ঞেস করেছি । কিন্তু সজীব তো তার খালার বাসায় যায় নাই , আর তাই আরো বেশি করে চিন্তা হচ্ছে । কিছু একটা করে বসবে না তো ? ”

” বৃষ্টি বললো, এমন করে বলবেন না ভাই এমন কিছু হবে ভাই । আমার বিশ্বাস সজীব সুস্থ শরীরে আবার ফিরে আসবে আমার কাছে । ”

” আমিও সেটাই চাই বৃষ্টি , কিন্তু এই শহরের মাঝে কোথায় যে খুঁজবো ? ”

” আচ্ছা ঠিক আছে ভাই , আপনি যদি একটা কিছু জানতে পারেন তাহলে সাথে সাথে জানাবেন । ”

” হ্যাঁ অবশ্যই জানবো । ”

★★
★★

মানুষ তখন বদলে যায় যখন সে তার রাগ ভালবাসা অভিমানের মূল্য পায় না । প্রতিবার নিজেই নিজের রাগ অভিমান ভাঙাতে হয় কিংবা সরি বলে সম্পর্ক ঠিক করতে হয় । তখন সে ধীরে ধীরে রাগ অভিমান ভালবাসা ভুলে যায় , আর সেই মানুষটা ভিতর থেকে তখন একটু একটু করে মরে যায় । মনের মধ্যে স্বপ্ন গুলো সব গলে পঁচে নিঃশ্বেস হয়ে যায় কিন্তু তবুও মাঝে মাঝে মনে পরে প্রিয় মুখটা । সুপ্ত কষ্ট গুলো সব তখন জাগ্রত হয়ে নিজের উপস্থিতি জানান দেয় যে সে চলে যায় নাই ।

সজীব এখন বসে আছে বন্দরের পাশে রেললাইনের উপর । সামনে বিশাল রাস্তা আর রাস্তা দিয়ে একটু পর পর বড় বড় ট্রাক কভারভ্যান পণ্য বোঝাই করে নিয়ে চলে যাচ্ছে । রাত বারোটা পেরিয়ে গেছে কিন্তু তার আজকে বাসায় যেতে ইচ্ছে করছে না । আজ বারবার শুধু সজীব এর মনে হয় কেন এমন হলো ? তার সাথে কি সবসময় এমন অদ্ভুত পরিস্থিতি ঘটবে ? সে কি সবসময় শুধু এগুলোর যোগ্য ? সুখ নামের সেই ছোট্ট সাগরের মাঝে সে কি নৌকা নিয়ে যেতে পারবে না কখনো ?

অনেকক্ষণ ধরে বসে থাকতে ভালো লাগে না তাই সজীব রেললাইন ধরে হাঁটতে লাগলো । সল্টগোলা রেল ক্রসিং পার হয়ে কাস্টমস এর আগ পর্যন্ত রাস্তা টা মোটামুটি পাশে কোন দোকান নেই । আর এর মধ্যবর্তী স্থানে বন্দরের ভিতর থেকে ট্রেন লাইন বের হয়েছে তাই একটা ছোট কালভার্ট করা হয়েছে ট্রেন লাইনের উপর দিয়ে । কালভার্টের সাথে মেশানোর জন্য রাস্তা অনেক উঁচু করা হয়েছে । আবার রাস্তার ডানা পাশে বন্দরের বিশাল এরিয়া প্রাচীর । রাস্তা আর প্রাচীরের মাঝখানে ফাঁকা যায়গার মধ্যে ছোট বড় গাছের একটা ঝোপঝাড় সৃষ্টি হয়েছে । সজীব রাস্তার পাশ দিয়ে গভীর রাতের বন্দর আর রাস্তায় হুস করে চলে যাওয়া গাড়ি দেখতে দেখতে হাঁটছে ।

হঠাৎ করে সে দেখলে ঝোপের ভেতর দুই তিনজন মানুষ নড়াচড়া করে । ভালো করে লক্ষ্য করার জন্য সে দাঁড়িয়ে গেল এবং উঁকিঝুঁকি মেরে দেখার চেষ্টা করতে লাগলো । হঠাৎ করে তার মনে হলো যে তাদের মধ্যে একজন সজীব কে হাতের ইশারায় ডাকছে । সজীব ডানে বামে তাকিয়ে দেখে কেউ নাই তারপর সামনে তাকিয়ে দেখে আবারও ডাকছে । ভালো মন্দ কিছু চিন্তা না করে সজীব আস্তে আস্তে ঝোপের ভেতর চলে গেল । নিচে নেমে সজীব দেখলো সেখানে দুজন পুরুষ ও একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে ৷ আর তার পাশেই আবছা দেখতে পাচ্ছে যে একটা পুরুষ আরেকটা মেয়ের সাথে যৌন কর্মে লিপ্ত আছে ।

” সজীব কাছে যেতেই একটা পুরুষ বললো , মিয়া ভাই আন্নে এডে মাগি কইরতাম আই আবার উঁকি মারোন কিল্লাই ? আন্নে জানেননো ফুলিশ এগুন খুঁজি বেড়ায় ? এমন আর কইরবেন নুহহ এহন টেকা দিয়ে এইডারে নিয়ে পিছেদদি ঝোপের মধ্যি হান্দি হরেন । তাড়াতাড়ি কাম হাইরবেন নইলে রেড বেশি দেওন লাইগবো । ”

” সজীব বললো , সরি মাফ করবেন আসলে আমি এসব কিছু করতে আসিনি এখানে । আমি যাই । ”

” পাশের মেয়েটা বললো , কাম না করলেও ট্যাকা দিয়ে তারপর যাইতে অইবো । দরকার হইলে একটু ব্লাউজ খুলে দেহাই দিমুনে তবুও ট্যাকা দিয়ে যাইতে অইবো । ”

সজীব দেখলো এখানে বিপদের সম্মুখীন হতে হবে তাই কিছু না বলে পিছনে ফিরে হাঁটা শুরু করলো । কিন্তু ততক্ষণে পিছন থেকে মেয়েটা হাত ধরে ফেললো আর বললো ” ট্যাকা দিয়ে তারপর সামনে পা বাড়াবে ।”

সজীব মেয়েটির হাত ছিটকা মেরে দিল এক দৌড় কিন্তু রাস্তার দিক যেহেতু উচু তাই নিচে দৌড়াতে লাগলো । আর পিছনে পিছনে সেই পুরুষ দুজন দৌড়ে আসতেছে । সজীব পকেট থেকে মোবাইল বের করে হাতে নিয়ে দৌড়াচ্ছে আর তার পিছন পিছন তারাও দৌড়াচ্ছে । মনে হয় যেন অলিম্পিকে দৌড়ের প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে ।

★★
★★

মায়ের জোড়াজুড়িতে বৃষ্টি রাতে সামান্য কিছু খেয়ে নিচে বিছানা বিছিয়ে ছোটবোনকে নিয়ে সুয়ে আছে কিন্তু চোখ বন্ধ করতে পারে না । এখনো বারবার সজীব এর নাম্বারে কল দিচ্ছে কিন্তু নাম্বার বন্ধ । রকির কাছে কল দিয়ে বিরক্ত করার ইচ্ছে নেই কিন্তু তবুও সে এর আগে আরো তিনবার কল করেছে । আর রকি শেষ বারে বলছে , ” সজীব এর সন্ধান পেলে সে নিজেই কল দেবে এবং বৃষ্টি যেন চিন্তা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পরে । ” কিন্তু বৃষ্টি ঘুমাতে পারে নাই তবুও কলও দেয় নাই তাই নীরবে চোখের পানি বের হচ্ছে ফোঁটা ফোঁটা ।

রাত দেড়টার দিকে বৃষ্টি মোবাইলে রকির নাম্বার থেকে কল আসলো । বৃষ্টি বিদ্যুৎ গতিতে রিসিভ করে বললো , ” সজীব এসেছে ভাই ? ”

” রকি বললো , না সজীব বাসায় ফেরেনি কিন্তু ওর একটা খবর পাওয়া গেছে । আর যেই খবর পাওয়া গেছে সেটা আমার বা তোমার কারো জন্যই ভালো খবর না বৃষ্টি । ঘটনা এমন হবে জানা ছিল না ।

” বৃষ্টি কাঁদো কাঁদো গলায় বললো , কি হইছে রকি ভাই ? ”

চলবে….

আগামীকাল আমার সেই জন নাজমা আক্তার বৃষ্টি এর জন্মদিন । দোয়া করবেন সবাই ।

বিঃদ্রঃ– গল্প টা কেমন হয়েছে ? সবাই গঠনমূলক কমেন্ট করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন । আপনাদের একটা অনুপ্রেরণার মন্তব্য এগিয়ে নেবে আমার লেখনী শক্তি ।

ভালবাসা অবিরাম অন্তহীন ।

লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here