_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি । #_পর্ব = ২৪

0
157

#_ল্যাম্পপোস্টের_ঘোলাটে_বাতি ।
#_পর্ব = ২৪

মাত্র কয়েক মিনিটের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটে গেল যে কেউ সেটা প্রত্যাশা করে নাই । বৃষ্টি তার মেশিনের সুইচ বন্ধ করে জিএম স্যারের চেম্বারে যাবার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে । লাইনের সকলের কাজের গতি কমে গেছে কারণ সবাই একটা রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি আজ উপলব্ধি করেছে ৷ আর সেই পরিস্থিতির সমাপ্তি কোথায় গিয়ে ঘটে সেটা জানার জন্য সবাই নিজেরা আলোচনা করতে লাগলো । বৃষ্টি তৃতীয় তলায় জিএম স্যারের চেম্বারে চলে গেল সুপারভাইজার ও চলে এসেছে । লাইন চিফ স্টাফ , সালমা আক্তার ও কোয়ালিটি ইনচার্জকেও ডাকা হয়েছে । কাচের গ্লাস দিয়ে চারিদিকে আবদ্ধ করা জিএম স্যারের চেম্বারটা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত । রুমের মধ্যে সবাই উপস্থিত হয়ে নিশ্বঃব্দে দাঁড়িয়ে আছে মনে হয় যেন একটু পরে ঝড় আরম্ভ হবে । আকাশে মেঘের সৃষ্টি হলে ঝড়ের পূর্বে কিছুক্ষণ সবকিছু নিশ্চুপ দেখা যায় ।

লাইনের মধ্যে আরেক সিনিয়র অপারেটর মমতাজ বেগম সজীব এর কাছে এসে বললো , সজীব ভাই আমরা জানি আপনি আর বৃষ্টি একে অপরকে ভালোবাসেন । সেই ভালবাসার গভীরতা কতটুকু হয়তো জানিনা কিন্তু আমরা সবসময় চাইতাম যে আপনাদের মিল হোক ৷ কারণ আপনারা দুজনেই দেখতে শুনতে একদম সুন্দর একটা জুটি । লাইনের বেশিরভাগ মানুষ আপনাদের কথা জানে ঠিকই কিন্তু সবাই আপনাদের সুখ কামনা করে । ”

” সজীব বললো , দেখুন আপা আসলে আমি বৃষ্টিকে ভালবাসি সেটা সত্য কথা কিন্তু বৃষ্টি আজও আমার ভালবাসা গ্রহণ করে নাই । আর ভবিষ্যতে হয়তো করবেও না কখনো , যেহেতু আমাকে কেন্দ্র করে নতুন একটা ঝামেলা আরম্ভ হয়ে গেল । সুতরাং হয়তো আমাকেই চলে যেতে হবে কারণ আমার জন্য বৃষ্টির কোন ক্ষতি হোক সেটা কামনা করি না । ”

” না না ভাই , তুমি কোথাও যাবে না , হয়তো একটু গালাগালি করতে পারে জিএম স্যার কিন্তু তাই বলে কি চলে যেতে হবে ? তুমি চাকরি করো মাত্র মাস খানিক ধরে , সেই অল্প কিছু দিনের মধ্যেই কিন্তু সবাই তোমাকে খুব সম্মান আর শ্রদ্ধা করে । তোমার মাঝে কাজের আগ্রহ বেশি আছে । ”

” আচ্ছা ঠিক আছে আপা অপেক্ষা করি আর দেখি নিচ থেকে তারা কি করে ? যদি অপ্রত্যাশিত ঘটনা না সম্মুখীন হই তাহলে তো সমস্যা নেই । ”

” আচ্ছা ঠিক আছে , মনে রাখবে গার্মেন্টস জগতে গালাগালি হচ্ছে পানি পান করার মতো । গার্মেন্টসে চাকরি করতে হলে গালাগালি সহ্য করার ক্ষমতা থাকতে হয় কারণ এটা শুরু থেকে এভাবে চলে এসেছে যেটা চাইলেও পরিবর্তন করা সম্ভব না । ”

” সেটা আমি জানি । ”

” আচ্ছা ঠিক আছে থাকো তাহলে , আর কেউ কিছু বললে মন খারাপ করো না । ”

” চেষ্টা করবো । ”

|
|

” জিএম স্যার বললো , কি ব্যাপার শাকিল ? বলো তোমার কি সমস্যা ? লাইনের মধ্যে এত চিৎকার চেচামেচি কেন ? আর আজকে তোমার টার্গেট কমে গেছে কেন ? ”

” সুপারভাইজার এর নাম শাকিল , সে বললো স্যার এই অপারেটর কাজের মধ্যে প্রচুর অবহেলা করে । কিছু বললে মুখে মুখে তর্ক করে তাই টার্গেট নিয়ে একটু জোরে কথা বলে ফেলেছি । ”

” স্যার বললো , আগে তো তাকে নিয়ে সমস্যা ছিল না তাহলে হঠাৎ করে কি হইছে ? বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বললো , তোমার কি হইছে ? ”

” বৃষ্টি বললো , স্যার লান্সের পর থেকে আমার মেশিন টা সমস্যা দিচ্ছে । ঠিকমতো কাজ করতে পারি না তাই একটু সমস্যা হয়ে গেছে এছাড়া বলার মতো আর কিছু নেই । ”

” তাহলে মেকানিক ফ্লোরে ছিল তাদের দিয়ে সারিয়ে নিলেই তো হতো , তোমার জন্য সম্পুর্ন সামনে কাজ বন্ধ হয়ে গেছে । ”

” বৃষ্টি বললো , মেকানিক কাজ করছে তাই তো একটু দেরি হয়ে গেছে কিন্তু সেটা আমি শাকিল ভাইকে বোঝাতে পারিনি । তিনি শুধু শুধু আমার সাথে উত্তেজিত হয়ে খারাপ ব্যবহার করেছেন । ”

” সুপারভাইজার বললো , স্যার আগে সবকিছু ঠিক ছিল কিন্তু লাইনে সজীব নামের নতুন কোয়ালিটি আসার পর থেকে বৃষ্টি পরিবর্তন হয়ে গেছে । সে সারাক্ষণ কাজের চেয়ে বেশি ওই ছেলের দিকে তাকিয়ে থাকে , আমি বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছি যে ব্যাক্তিগত সম্পর্ক অফিসের বাইরে । কিন্তু সে আমার কথা কানে নিচ্ছে না উল্টো আমাকে জ্ঞান দিয়ে কথা বলে । ”

” বৃষ্টি বললো , বাজে কথা কম বলবেন শাকিল ভাই কারণ তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই । ”

” শাকিল বললো , আমি বাজে কথা বলি ? তুমি তো বললে যে তোমরা গার্মেন্টসে চাকরি নেবার আগে থেকে পরিচিত ৷ তোমার জন্য তো ওই ছেলে এখন এই গার্মেন্টসে চাকরি করে । ”

” জিএম স্যার বললো , বৃষ্টি যা সত্যি তাই বলো নাহলে তোমার চাকরি থাকবে কিনা জানিনা । ”

” চাকরির কথা শুনে বৃষ্টি ভয় পেল । বৃষ্টি বললো , সত্যি বলছি স্যার তার সাথে আমার কোন সম্পর্ক নেই । সে আমাকে পছন্দ করে অনেক আগে থেকে আর সেই সুবাদে আমার পিছনে পিছনে এই অফিসে এসেছে । কিন্তু এতে আমার অন্যায় কোথায় স্যার ? আমি তো কিছু করিনি । ”

” সেই ছেলে তোমাকে বিরক্ত করে ? ”

” নাহহ কখনো লাইনে কিছু বলে না । ”

” জিএম স্যার কোয়ালিটি ইনচার্জ কে বললো , তা আপনার কোয়ালিটি কে ডাকার ব্যবস্থা করেন । সে কি এটা পার্ক পেয়েছে নাকি ? আর শাকিল তুমি লাইনে যাও তাড়াতাড়ি , আজকের টার্গেট পুরাণ করে তারপর তোমার ছুটি । ”

রুমের মধ্যে আবারও সুনসান নীরবতা বিরাজ করে আর এসির ঠান্ডাতেও কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে যাচ্ছে দু একজনের । সালমা আক্তার গিয়ে সজীব কে ডেকে নিয়ে আসলো , সজীব তার পিছনে পিছনে রুমের মধ্যে প্রবেশ করলো ।

” সজীব বললো , আসসালামু আলাইকুম স্যার । ”

” জিএম স্যার বললো , ওয়া আলাইকুম আসসালাম তোমার নাম কি সজীব ? ”

” জ্বি স্যার , মোঃ সাইফুল ইসলাম সজীব । ”

” বৃষ্টিকে দেখিয়ে বললেন , এই মেয়েকে চেনো তুমি ? ”

” জ্বি স্যার । ”

” কিভাবে চেনো ? ”

” প্রথমত সে লাইনের অপারেটর , দ্বিতীয়ত তার বাবা আমার কলেজ শিক্ষক ছিলেন । ”

” স্যার বললো , তুমি তাকে বিরক্ত করো ? মানে সে তোমাকে পছন্দ করে না তবুও তুমি বারবার তার আশেপাশে থাকার চেষ্টা করো ? তুমি কি জানো যে সে যেহেতু তোমাকে পছন্দ করে না সেহেতু তোমাকে দেখতে পেলে সে বিরক্ত হবে বা অস্বস্তি বোধ করে ।”

” এমন অভিযোগ কি সে করেছে ? ”

” অভিযোগ করেছে বলেই তোমাকে ডাকা হয়েছে , নাহলে তো তোমাকে ডাকতাম না । ”

” জ্বি স্যার তা তো অবশ্যই । ”

” এটা কলেজ ভার্সিটি কিংবা পার্ক নয় যে তুমি এখানে মেয়ে পছন্দ করে পটানোর চেষ্টা করবে । এটা হচ্ছে কাজের স্থান তাই এখানে কাজ ছাড়া আর কিছু চলে না । ”

” জ্বি স্যার জানি আমি ।”

” তুমি সেই পরিবেশ নষ্ট করেছ , ফ্লোরে এসব নিয়ে আলোচনা হবে । আজকে তুমি এমন করছো কাল আবার আরেকজন করবে আস্তে আস্তে বিষয় টা বড় আকার ধারণ করবে । তাই আমি চাই যে কোন ক্যান্সার জন্ম নেবার সাথে সাথে ধ্বংস করে দিতে ।”

” আপনি যা বিবেচনা করেন তাই হবে , তবে আমি বৃষ্টিকে ভালবাসি তাই তার বিষয় নিয়ে কথা বলার আলাদা কিছু নেই । ”

” এবার জিএম স্যার রেগে গিয়ে বললেন , তোর প্রেম ভালবাসা করার জন্য কি মালিক গার্মেন্টস চালু করেছে ? কতবড় সাহস তুই লাইনের মধ্যে বসে অপারেটরকে বিরক্ত করো । ”

সজীব দেখলো জিএম স্যার তুমি থেকে তুই শব্দ ব্যবহার করছে এর মানে পরিস্থিতি ভালো না । কিন্তু বৃষ্টি সম্পুর্ণ নিশ্চুপ কারণ এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে সেটা সে বুঝতে পারেনি । এখন এই পরিস্থিতি কোন যায়গা গিয়ে শেষ হবে কিছুই বোঝা যাচ্ছে না ।

” জিএম স্যার বৃষ্টির দিকে তাকিয়ে বললো , এই মেয়ে তুমি লাইনে যাও আর মনোযোগ দিয়ে কাজ করো । এরপর যদি এমন কোন কিছু জানতে পারি তাহলে সাথে সাথে আইডি কার্ড নিয়ে বেতন দিয়ে বের করে দেবো । প্রতিদিন তোমার মতো অসংখ্য অপারেটর গেটের সামনেই দাঁড়িয়ে থাকে চাকরি পাবার আশায় । ”

বৃষ্টি রুম থেকে বেরিয়ে গেল , সজীব নিচের দিকে তাকিয়ে আছে । বাইরে এসে বৃষ্টি রুমের দিকে তাকালো , গ্লাস দিয়ে ঘেরা তাই ভিতরে কি হচ্ছে দেখা যাচ্ছে ৷ বাইরে এসে বৃষ্টি রুমের দিকে তাকিয়ে দেখে কোয়ালিটি ইনচার্জ সজীব এর বাম গালে একটা চড় মেরে দিয়েছে । মুখ থেকে কি যেন বলছে কিন্তু গ্লাসের জন্য বোঝা যাচ্ছে না । সজীব আগের মতো নিচের দিকে তাকিয়ে আছে দুহাত বুকের উপর বেধে দাঁড়িয়ে আছে । বৃষ্টি চুপচাপ মাথা নিচু করে সিড়ির সামনে গিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠে গেল ।

কোয়ালিটি ইনচার্জ সজীব কে চড় মারার কারণ হচ্ছে নিজের সম্মান রক্ষা করা । কারণ জিএম স্যার যদি এখন তাকে জিজ্ঞেস করে যে তার ডিপার্টমেন্ট এর লোক কিভাবে এমন করে । তাই সেই প্রশ্ন করার আগেই সে সজীব কে শাসন করার উপলক্ষে একটা গালি দিয়ে চড় মেরে দিয়েছে ।

” জিএম স্যার বললো , এই ছেলেকে এডমিন রুমে নিয়ে তার বেতন দিয়ে বের করে দাও । এমন ছেলে রেখে অফিসের পরিবেশ খারাপ করার কোন দরকার নেই । তাছাড়া পুরনো লোক হলেও একটা বিবেচনা থাকতো তাই এসব ছোট বিষয় নিয়ে কথা না বাড়িয়ে অল্পতেই সমস্যা সমাধান করে দেও । ”

” ইনচার্জ বললো , ঠিক আছে স্যার আপনার যেমন বিবেচনা হয় তেমনই করেন । সালমা আক্তার এর দিকে তাকিয়ে বললেন , সালমা তুমি সজীব কে নিয়ে HR বিভাগে গিয়ে এডমিনের সাথে কথা বল ।

★★
★★

এডমিন রুমে গিয়ে সজীব এর আইডি কার্ড জমা নিয়ে ২৮ দিনের বেতন + ওভারটাইমের টাকা সব দিয়ে দিল । ঘড়িতে তখন বিকেল পাঁচটা বেজে গেছে অনেকের ছুটি হয়ে গেছে তাই সজীব ও তাদের সাথে বের হতে চাইলো । তাই সে সালমা আক্তার কে বললো ,

” ভালো থাকবেন মেডাম আর ইচ্ছায় অনিচ্ছায় যদি বেয়াদবি করে থাকি ছোট ভাই হিসেবে মাফ করবেন প্লিজ । এ জীবনে আর কখনো দেখা হবে কিনা জানিনা না , যদি চলার পথে হঠাৎ করে কোনদিন দেখা হয়ে যায় তাহলে কথা হবে । ”

” সালমা আক্তার বললো , তোমার জন্য খুব খারাপ লাগছে সজীব কারণ তুমি অনেক ভালো একটা ছেলে । চাইলেই সবসময় নিজের মনমতো কাজ করার মানুষ পাওয়া যায় না । আমি আশা করি তুমি অন্য অফিসে চাকরি করে একদিন অনেক বড় হতে পারবে । মোবাইল নাম্বার রেখে দিও মাঝে মাঝে কল দিয়ে কথা হবে , আর বাসায় গেলে বেশি খুশি হবো ।

” ঠিক আছে মেডাম চেষ্টা করবো যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য , আল্লাহ হাফেজ । ”

” আল্লাহ হাফেজ সজীব । ”

|
|
|

এদিকে বৃষ্টি লাইনে আসার সাথে সাথে অনেকে অনেক কথা জিজ্ঞেস করা শুরু করলো । কিন্তু বৃষ্টি সম্পুর্ন চুপচাপ সে তার মেশিনে বসে একমনে কাজ করতে লাগলো । কেউ এসে কিছু জিজ্ঞেস করলে সাথে সাথে বলে ” আমি কিছু জানিনা , যা সত্যি তাই বলে দিয়ে আসছি এখন কি হচ্ছে জানিনা । ”

কিন্তু নিজের মনের মধ্যে এক মহাপ্লাবন আরম্ভ হয়ে গেল যেটা দেখা যায় না ঠিকই কিন্তু অনুভব করা যায় । চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পরে ঝাপসা হয়ে ওঠে ধুসর গোধূলীর মতো । কল্পনায় সজীব তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে , বৃষ্টির কাছে মনে হয় যেন সজীব তার কানের কাছে বলছে ” তোমার মনের শুভ্রতা আমায় তৃপ্ত করবে আর মিষ্টি ঠোঁটের হাসি আমায় পাগল করবে । তোমায় নিয়ে কিছু স্বপ্ন আছে বুকের গহীনে , যদি চাও শুনতে ! প্রাণ খুলে দেব তোমার সমীপে । ভালবাসার অনুভূতি দিয়ে মেপে নিও যেন তোমার গভীরতা আমার হৃদয়ে ।

মরিয়ম এসে বৃষ্টির কাছে দাঁড়িয়ে রইলো কিন্তু কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস হচ্ছে না । ঠিক এমন সময় পিছন থেকে সালমা আক্তার হাঁটতে হাঁটতে এলো । মরিয়ম বৃষ্টির সামনে দাঁড়িয়ে আছে যখন বৃষ্টি আর মরিয়ম এর কাছাকাছি সালমা আক্তার এলো তখন মরিয়ম জিজ্ঞেস করলাে , ” মেডাম সজীব ভাই কোথায় ? আপনি একা আসলেন কেন ? ”

” সালমা আক্তার বললো , সজীবকে বেতন দিয়ে বের করে দেয়া হয়েছে তাই চলে গেছে । ”

বৃষ্টির কানে এই কথা পৌঁছে গেল । কাজ বন্ধ করে সালমা আক্তারের মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো । মরিয়ম বললো ” কেন ? সজীব ভাইকে বের করে দেবে কেন ? তার অপরাধ কি ? ”

” সালমা আক্তার বললো , তোমাদের কে কাজের মধ্যে বিরক্ত করে তাই তোমরা নাকি ঠিকমত কাজ করতে পারো না । তাই জিএম স্যার সজীব এর মতো ক্যান্সারকে বিদায় করে দিল । ”

” এতক্ষণ পরে বৃষ্টি অস্ফুটে বললো , মেডাম সত্যি সত্যি কি সজীব চলে গেছে ? ”

সালমা আক্তার এই প্রশ্নের জবাব না দিয়ে সামনের দিকে চলে গেল । বৃষ্টি কিছুক্ষণ তার দিকে তাকিয়ে থেকে তারপর মোবাইল বের করে সজীব এর নাম্বার বের করে কল দিলো কিন্তু নাম্বার বন্ধ ।

চলবে….

বিঃদ্রঃ– গল্প টা কেমন হয়েছে ? সবাই গঠনমূলক কমেন্ট করে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করুন । আপনাদের একটা অনুপ্রেরণার মন্তব্য এগিয়ে নেবে আমার লেখনী শক্তি ।

ভালবাসা অবিরাম অন্তহীন ।

লেখাঃ-
মোঃ সাইফুল ইসলাম (সজীব)

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here