‘ কথা দিলাম ‘ 🌸❤️
||পর্ব ~ ২৭||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা
আধভিককে সিঁড়ি দিয়ে নামতে দেখে আভাস বাবু ওর কাছে এগিয়ে যান। কিন্তু আধভিক নীচে নেমে এসে কোনো কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ওখান থেকে চলে যায়। আভাস বাবু চিন্তায় পরে যান আধভিককে এভাবে বেরিয়ে যেতে দেখে তাই তিনি সঙ্গে সঙ্গে সোহমকে ফোন করে সবটা জানিয়ে দেন। যাতে সোহম আধভিকের পিছনে যেতে পারে। কিন্তু এতক্ষণ ত সব ঠিকই ছিলো তাহলে হঠাৎ কি হলো এটাই ভেবে পাচ্ছেন না আভাস বাবু।
অভ্র: থ্যাংক ইউ মিস রিনা। এই যে, আপনার লিপস্টিক। এইটা না থাকলে আজকে আমি যেই প্ল্যানটা করেছিলাম সেটা সাকসেসফুল হতো না। (বাঁকা হেসে)
রিনা অভ্রের হাত থেকে নিজের লিপস্টিকটা নিয়ে মিষ্টি হেসে বলে,
রিনা: প্রসঙ্গ যখন সিয়ারাকে ভিকির থেকে দূরে সরানোর তখন আমি যেকোনো রকম হেল্প করতে রাজি। এটা তো খুবই সামান্য একটা বিষয়।
অভ্র: যাক, আমি তাহলে একটা পার্টনার পেয়ে গেলাম আমার। যে কি না আমাকে হেল্প করতে পারবে অলয়েজ।
অভ্র আর রিনা হাসতে থাকে। অন্যদিকে দিয়ারা ওদের দুজনকে এভাবে একসাথে হাসাহাসি করতে দেখে একটু অবাকই হয়। কিন্তু এই মুহুর্তে এইসব নিয়ে ভাবার সময় ওর নেই, ও এখন নিজের দিদিকে খুঁজতে ব্যস্ত। আধভিক কেন এভাবে বেরিয়ে গেলো তা সিয়ারাকে জিজ্ঞেস করতে হবে। ও’ই পারবে উত্তর দিতে। দিয়ারা সেই ঘরের দিকে পা বাড়ায় যেই ঘরে আধভিককে সে পাঠিয়েছিল সিয়ারার কথায়। কিন্তু ঘরে প্রবেশ করার আগেই সিয়ারাকে বেরোতে দেখে সে।
দিয়ারা: দি? কি হয়েছে?
সিয়ারা: আমি বাড়ি যাবো দিয়া।
দিয়ারা: তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন? কিছুক্ষণ আগে ভিকিদা ওরকম রেগে বেরিয়ে গেলো। এখন তুই বলছিস বাড়ি যাবি? আবার কি কিছু হয়েছে? সবটা বলিসনি তুই ভিকিদাকে?
সিয়ারা: (তাচ্ছিল্য হেসে) কাকে সব বলতে বলছিস দিয়া? যে কি না কখনও আমাকে বিশ্বাসই করেনি? তাঁকে যে আজ এক নিমিষে আমাকে চরিত্রহীনের তকমা দিয়ে দিলো? এই মানুষটার জন্য নাকি আমি এতগুলো দিন ধরে গুমরে গুমরে মরছিলাম। আজ এক মুহুর্তে ও আমাকে পুরোপুরি শেষ করে দিয়ে চলে গেলো। আমি এসব নিয়ে কথা বাড়াতে চাই না। আমি আসছি।
সিয়ারা আর অপেক্ষা না করে বেরিয়ে গেলো ওখান থেকে দিয়ারা কিছুই বুঝতে পারছে না কি বলবে। অন্যমনস্ক হয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে গেলে ওর গাউনটা পেয়ে বেজে যায় আর ও পরে যেতে নেয়। কিন্তু সেই মুহুর্তে সামনে থেকে ওর কোমর জড়িয়ে ধরে দেবাংশু।
দেবাংশু: (রেগে) আপনি কি সবসময় অন্যমনস্ক হয়ে চলেন? এক্ষুনি তো পরে গিয়ে একটা দুর্ঘটনা ঘটে যেত।
দিয়ারা: (সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে) হ্যাঁ আসলে আমি…
দেবাংশু: কি এতো ভাবতে থাকেন বলুন তো সারাক্ষণ? বয়ফ্রেন্ডের কথা মাথা থেকে বেরোয় না নাকি?
দিয়ারা: (ভ্রু কুঁচকে) এক্সকিউজ মী? আমার কোনো বয়ফ্রেন্ড নেই।
দেবাংশু: (মনে মনে — রাস্তা ক্লিয়ার তার মানে।) তো কি নিয়ে ভাবছিলেন এতো?
দিয়ারা: দি’কে নিয়ে। আপনি, আপনি প্লিজ একটু আসবেন আমার সাথে?
দেবাংশু সিয়ারার নাম শুনতেই সিরিয়াস হয়ে গেলো। সে সিয়ারাকেই খুঁজছিল কিছুক্ষণ ধরে তবে মাঝ পথে দিয়ারা এসে যাওয়ায় মাথা থেকেই বেরিয়ে গেছিলো বিষয়টা।
দেবাংশু: কি হয়েছে সিয়ার? ঠিক আছে তো ও?
দিয়ারা: আমার মনে হচ্ছে সাংঘাতিক কোনো ঝামেলা হয়ে গেছে আবার ভিকিদা আর দিয়ের মধ্যে। কিছুক্ষণ আগেই ভিকিদা উদ্ভ্রান্তের মতো রেগে বেরিয়ে গেলো। তারপরে আমি দি’কে জিজ্ঞেস করলাম, কয়েকটা কথা বলে বেরিয়ে গেলো।
দেবাংশু: কি কথা বলেছে সিয়া?
দিয়ারা সবটা বলতেই দেবাংশু একপ্রকার ছুটলো। তবে সিঁড়ি দিয়ে নেমে যাওয়ার আগে দিয়ারার দিকে তাকিয়ে বললো,
দেবাংশু: আপনি আস্তে আসবেন। আমি দেখছি সিয়া কোথায়। পেয়ে গেলে পার্কিংয়ের সামনে দাঁড়াবো। আপনি ওখানে গিয়ে অপেক্ষা করুন।
দেবাংশু চলে গেলো ঠিকই কিন্তু দিয়ারার নজর ওর উপর থেকে সরলো না। অবাক হয়ে ও চেয়ে রয়েছে দেবাংশুর যাওয়ার পথে। ছেলেটা যেতে যেতে ওকে সাবধান করে গেলো? সিরিয়াসলি? দেবাংশু ওর কেয়ার করছে? কিছুক্ষণ আগের এবং এখনের ঘটনা ভেবে কথাটা মাথায় আসলে দিয়ারা ব্লাশ করতে শুরু করে। তবে সিয়ারার কথা মাথাতে আসতেই ও দেবাংশুর কথা মতো পার্কিং সাইটে চলে যায় ধীরে সুস্থে।
পার্কিং সাইটে যেতেই দেখে দেবাংশুকে জড়িয়ে ধরে আছে সিয়ারা। হঠাৎ করেই কেন জানো খারাপ লাগে দিয়ারার। ও ঠিক করে উঠতে পারে না এখন ওইদিকে যাওয়াটা ঠিক হবে কি না। ও পিছিয়ে চলে আসবে সেই সময় দেবাংশুর সাথে আই কন্টাক্ট হয়ে যায় দিয়ারার। সে চোখের ইশারায় ওকে আসতে বলে এদিকে। দিয়ারা আর কিছু না ভেবে এগিয়ে গেলে দেখে সিয়ারা গাড়ির সিটে বসে আছে আর দেবাংশু ওকে গার্ড করে দাঁড়িয়ে আছে।
দিয়ারা বুঝতে পারে সিয়ারা দেবাংশুর জ্যাকেট ধরে ছিলো বলেই পিছন থেকে ওর মনে হয়েছে সিয়ারা দেবাংশুকে জড়িয়ে ধরে আছে। ভাগ্যিস দেবাংশু পিছন ফিরে চেয়েছিলো নাহলে ত দিয়ারা চলেই যাচ্ছিলো।
দেবাংশু: একটু সামলান ওকে। আমি, আমি পারছি না। আমার ভীষণ রাগ হচ্ছে।
দেবাংশু গাড়ির মধ্যে একটা ঘুষি মেরে ওখান থেকে দূরে সরে গেলে দিয়ারা বুঝতে পারে যে ওর ধারণাই সঠিক। ধীরে ধীরে নিজের দিদির কাছে গিয়ে দিদির কাঁধে হাতে রাখে ও। এইভাবে দিদিকে অঝোরে কাঁদতে দেখে একদম ভালো লাগছে না দিয়ারার।
দিয়ারা: দি, এই দি? এইভাবে ভেঙে পরলে হবে বল তো? তোকে তো শক্ত থাকতে হবে তাই না?
সিয়ারা: আ..আর কত দিয়া? আর কত? আর কত শক্ত হবো আমি? আমাকে, আমাকে সবার পাথর মনে করে। ভ..ভাবে আমার কোনো ক..কষ্ট হয় না। আমি আ..আর এসব নিতে প..পারছি না বিশ্বাস কর। ম..মরে যেতে মন চাইছে এবার। ভীষণ, ভীষণ ক্লান্ত লাগছে নিজেকে।
দিয়ারা জড়িয়ে ধরে সিয়ারাকে। ওর নিজেরও রাগ হয় আধভিকের উপর। ঠিক করে এইবার কথা বলতে হবে আধভিকের সাথে। বোঝাই যাচ্ছে সিয়ারার কথা আধভিক তো শোনেইনি বরং ওকেই কথা শুনিয়ে দিয়েছে। তাই এইবার শুনতে না চাইলেও আধভিককে সবটা শুনতে হবে।
দিয়ারা: (চোখ মুছিয়ে) এমন করিস না তুই। দেখ, আমি আছি তোর সাথে। এতদিন পর তোকে ফিরে পেয়েছি আমি আর তুই কি না একবারও আমার কথা ভাবলি না? এতো সহজে মরে যাওয়ার কথা বলে দিলি? শুধু ভিকিদাকে নিয়ে পরে আছিস, কই আমার কথা তো ভাবছিস না একবারও? আমার অভিমান হয় না বল? নাকি সেটা ভাঙানোর প্রয়োজন নেই?
সিয়ারা কান্নার মধ্যেও হেসে ফেলে দিয়ারার হিংসুটে স্বভাব দেখে। মনে মনে হাসে দিয়ারা। যাক, একটু হলেও মনটা ঘুরানো গেছে তাহলে।
সিয়ারা: তোর হিংসুটে স্বভাব যায়নি দেখছি। এদিকে আয়। (দিয়ারাকে জড়িয়ে ধরে) বোন!
দিয়ারা হাসলো সিয়ারার মুখ থেকে “বোন” শব্দটা শুনে। আজ অনেকদিন পর শুনলো। “হম” বলে ছোট্ট উত্তর দিতেই সিয়ারা আবদার করে বললো,
সিয়ারা: আজ যাবি আমার সাথে আমাদের বাড়ি? থাকবি আমার সাথে?
দিয়ারা: অবশ্যই থাকবো। আমার দির আমাকে দরকার আর আমি থাকবো না এটা হতে পারে?
দেবাংশু: তাহলে আর দেরি কিসের? এবার যাওয়া যাক?
দেবাংশু ড্রাইভিং সিটে উঠে বসলে সিয়ারা ভিতরের দিকে সরে যায় আর দিয়ারা উঠে পরে গাড়িতে। গাড়ি স্টার্ট করার কিছুক্ষণ বাদে হঠাৎ করেই সিয়ারা দিয়ারাকে জিজ্ঞেস করে,
সিয়ারা: বোন তুই দেবকে চিনতে পারিসনি?
দিয়ারা: ম..মানে? (থতমত খেয়ে)
সিয়ারা: মানে এটাই যে দেব সুধাংশু আংকেলের ছেলে। আমি যখন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে ছিলাম তখন ভাগ্যবশত সুধাংশু আংকেলের সাথে আমার দেখা হয়। আংকেল আমার বিয়েতেই আসছিলো। সেদিন আংকেল না থাকলে না জানি কি হতো আমার।
দিয়ারা: এক মিনিট সুধাংশু আংকেল মানে তো বাবার বন্ধু যে সে না?
সিয়ারা: হ্যাঁ। ছোটোবেলায় আমাদের বাড়ি আসতো যে সে’ই।
দিয়ারা: ওনার ছেলে? মানে বিলাতি চাম্পু? যে কি না ছোটোবেলায় একগাদা মাথায় তেল দিয়ে রাখতো? তারপর তো বিলেত চলে গেছিল শুনেছিলাম। (হাসতে হাসতে)
দেবাংশু: হোয়াট দ্যা…
দিয়ারা দেবাংশুর গর্জন শুনে মুখ দু হাত দিয়ে ঢেকে ফেলে। ও ভুলেই গেছিলো ও যাঁর নামে বদনাম করছে সে গাড়িতেই উপস্থিত আছে। দিয়ারা দেবাংশুর দিকে তাকালে দেখে দেবাংশু লুকিং গ্লাস দিয়ে ওর দিকেই তাকিয়ে রাগী লুক দিচ্ছে। দিয়ারা বোকা বোকা হেসে স্যরি বললে দেবাংশু মুখ ফিরিয়ে নেয়। এদিকে সিয়ারা জোরে জোরে হেসে ফেলে এসব দেখে। সিয়ারাকে হাসতে দেখে দেবাংশু আর দিয়ারা আবারও একে অপরের দিকে তাকায় তবে এইবার দুজনেই মিষ্টি হাসি উপহার দেয় একে অপরকে।
পরেরদিন,
দিয়ারা ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে নিয়ে বিছানায় এসে বসতেই কেউ ওদের ঘরের দরজায় নক করে। ও ভিতরে আসতে বললে দেখে, দেবাংশু এসেছে।
দেবাংশু: সিয়া ওঠেনি তাই না? কখন ঘুমিয়েছে কালকে রাতে?
দিয়ারা: বেশ দেরীতে। তবে আমরা আমাদের ছোটবেলা নিয়ে গল্প করছিলাম। ভিকিদা সম্পর্কিত কোনো কিছু মনে করতে দিইনি ওকে। (সিয়ারার দিকে তাকিয়ে) আপনি…
দেবাংশু: এখনও কি আপনি বলাটা খুব দরকারি নেকী সুন্দরী? (মুখ টিপে হেসে)
দিয়ারা: (চিৎকার করে) কি বল…(সিয়ারার দিকে একবার তাকিয়ে) আর একবার এই নামে ডাকলে খারাপ হয়ে যাবে বলে দিলাম।
দেবাংশু: সেই রে। তুই আমাকে অজে বাজে নামে ডাকতে পারিস আমি ডাকলেই দোষ। আগে তুই বন্ধ করবি তারপর আমি বন্ধ করবো। বল রাজি?
দিয়ারা: (ভেংচি কেটে) হুহ! ঠিক আছে। এখন বলো, কি বলতে এসেছো?
দেবাংশু: ইয়াহ, আমি বলতে এসেছিলাম যে আজকে বিকালে আমাদের দার্জিলিংয়ের জন্য রওনা দিতে হবে শুটিংয়ের জন্য। বাগডোগরার ফ্লাইট, তারপর সেখান থেকে রাতের মধ্যে দার্জিলিং। রাতটা রেস্ট নিয়ে সকালে মিরিখের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে হবে। সিরিয়ালটার প্রোমো শুট মিরিখে হবে।
দিয়ারা: ওহ হ্যাঁ। আমিও তাই শুনেছিলাম। ঠিক আছে দি উঠলে আমি জানিয়ে দিচ্ছি ওকে। আমাকেও বেরোতে হবে, শুট আছে আজকে।
দেবাংশু: বাহ তো আমাদের নেকী সুন্দরী মডেল হয়েই দম নিয়েছে তাহলে?
দিয়ারা: আবার? এটা কিন্তু কথা ছিলো না। তুমি অলওয়েজ চিটিং করো। (গাল ফুলিয়ে)
দেবাংশু: তোর সাথে চিটিং করার মজাই আলাদা। (হেসে)
দিয়ারা: কথাই বলবো না ধুর!
দিয়ারা চলে যেতে নিলেই হঠাৎ করে দেবাংশু দিয়ারাকে হাত ধরে টেনে নিজের কাছে নিয়ে আসে। দিয়ারার চোখে চোখ রেখে ধীর কণ্ঠে বলে,
দেবাংশু: আগের থেকেও অনেক বেশি সুন্দর হয়ে গেছিস দিয়ু! অনেক বদলে গেছিস। চোখ ফেরাতে পারছি না আমি তোর থেকে।
দিয়ারা দেবাংশুর কথা শুনে একটা ঘোরের মধ্যে চলে যায়। দিয়ারার মধ্যে দিয়ে একটা আলাদাই অনুভূতি সৃষ্টি হয় যখন দিয়ু নামটা সে দেবাংশুর মুখে শোনে। নিজের অজান্তেই বলে ওঠে,
দিয়ারা: শুধু আমি বদলে গেছি? তুমি বদলাওনি? এতোটাই বদলে গেছো যে চিনতেই পারিনি আমি তোমায় দেব দা।
দেবাংশু: দা বলাটা কি খুব জরুরী? না বললেই নয়!
দিয়ারা এর উত্তরে মুচকি হাসলে দেবাংশুর বুকে ঝড় উঠে যায় একপ্রকার। ছোটো থেকেই এই মেয়েটার হাসি মুখ সে বার বার দেখতে চায়। ভীষণ ভালো লাগে দেবাংশুর দিয়ারাকে হাসতে দেখলে আর সবথেকে বিরক্তির জিনিস যখন এই মেয়েটা কাঁদে। সহ্যই হয় না জানো সেই দৃশ্যটা ওর। আজ এতগুলো দিন বাদে সেই হাসিমুখটা দেখে দেবাংশুর চোখ ফেরানো সম্ভব হয়ে পরেছে।
দিয়ারা: কি দেখছো এভাবে?
দেবাংশু কি উত্তর দেবে বুঝতে পারে না। তবে এখনও দিয়ারাকে ছাড়েনি, না চোখ সরিয়েছে। কিন্তু দিয়ারা বুঝতে পারে সিয়ারার ঘুম ভেঙে গেছে তাই সরে আসে।
সিয়ারা: কি ব্যাপার দেব? তুই এখানে?
দিয়ারা সরে গেলে দেবাংশু প্রথমে বিরক্ত হলেও পরে সিয়ারার প্রশ্ন শুনে বুঝতে পারে দিয়ারার সরে যাওয়ার কারণ।
দেবাংশু: আব হ্যাঁ। আসলে আমাদের আজকে দুপুরে বাগডোগরার ফ্লাইট। রাতের মধ্যে দার্জিলিং পৌঁছে যাবো। আগামীকাল সকালে মিরিখে আমাদের প্রোমো শুট করতে হবে। তাই রেডি হয়েনে ঝটপট।
সিয়ারার বিষয়টা মনে পরতেই ও উঠে ফ্রেশ হতে চলে যায়। সেটা দেখে দিয়ারা নিজের ব্যাগ নিয়ে গেলে দেবাংশু জিজ্ঞেস করে,
দেবাংশু: (হতাশ হয়ে) তুই যাবি না আমাদের সাথে?
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]