‘ কথা দিলাম ‘ 🌸❤️
||পর্ব ~ ৪৩||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা
অন্যদিকে,
দিয়ারা নিজের মনে কিছু ভাবতে ভাবতে হাউজে ঢুকছে। দিয়ারাকে দেখে মনে হচ্ছে ও গভীর চিন্তায় মগ্ন। হাঁটতে হাঁটতে হঠাৎই ও কাওর সাথে ধাক্কা খায়।
দিয়ারা: আ’ম স্যরি আমি বুঝতে…
__না না দিয়া দি ঠিক আছে। আমিও খেয়াল করিনি।
দিয়ারা: আরে রুহি, কেমন আছো? (হেসে)
রুহি: আমি ভালো আছি। তোমার কোথাও লাগেনি তো?
দিয়ারা: না না আমি ঠিক আছি একদম। তোমার সাথে আরও একজন যে কাজ করে সে কোথায়? ওকে তো দেখছি না?
রুহি: তুমি কি রিনার কথা বলছো? আসলে ও আজকের দিনটার জন্য একটু ছুটি নিয়েছে।
দিয়ারা: ওহ আচ্ছা। আমি আসছি হ্যাঁ?
দিয়ারা চলে যাচ্ছিলো কিন্তু ওর হঠাৎ কিছু একটা মনে পড়তেই আবার ফিরে এলো ও রুহির কাছে। ওর কাছে এসে এদিক ওদিক তাকিয়ে একটু হেসে ওকে জিজ্ঞেস করলো,
দিয়ারা: আব রুহি! তোমার বান্ধবী, মানে রিনা। ও নতুন কাজ করছে না এখানে?
রুহি: হ্যাঁ। কয়েক মাস হলো জয়েন করেছে।
দিয়ারা: ওর কাজটা ঠিক কি? ও কি ডিজাইনার?
রুহি চুপ করে গেলো দিয়ারার প্রশ্ন শুনে। রুহি আঁচ করতে পারছে দিয়ারা কেন এতগুলো প্রশ্ন করছে। রুহি কিছুক্ষণ চুপ থেকে হাসিমুখে দিয়ারার হাতের উপর হাত রেখে বললো,
রুহি: দিয়া দি তুমি চিন্তা করো না। তুমি ঠিক যেমন ডিজাইনের ড্রেস চাইছো আমি চেষ্টা করবো তেমন ডিজাইন তৈরি করার।
রুহির এমন উত্তরে দিয়ারা অবাক হয়ে কিছু জিজ্ঞেস করবে তার আগেই দেখলো ওর পাশ দিয়ে অভ্র চলে গেলো। দিয়ারার মাথায় সাথে সাথে বিষয়টা খেলে গেলো, রুহি অভ্রকে দেখেই প্রসঙ্গ বদলে ফেললো কেন?
রুহি: রিনা ভিকি স্যার কে পছন্দ করে দিয়া দি। ভিকি স্যার সম্পর্কে সমস্ত খোঁজ ও রেখেছে। দিন যত যাচ্ছে ওর মাথায় ভিকি স্যারকে পাওয়ার ভুতটা চেপে বসছে। এতে ওর ভালো হবে না তাই আমি জানিয়ে দিলাম তোমায় কারণ আমি ওর ভালো চাই বন্ধু হিসেবে।
দিয়ারা: তোমার সাথে পরে আমি কথা বলে নেবো। (হেসে)
দিয়ারা হাসিমুখে ওখান থেকে সরে এলো কারণ ওর মনে হচ্ছে কেউ ওকে চোখে চোখে রাখছে। এসব ভাবতে ভাবতে আধভিকের কেবিনে যাওয়ার পথে হঠাৎই দিয়ারা দেখলো একটি মেয়েকে বসে থাকতে। এই মেয়েটিকে সে আগে তো কখনও দেখেনি এইখানে। তাহলে কি নতুন কোনো ক্লাইন্ট?
দিয়ারা: ম্যাডাম, আপনি কি কাওর জন্য অপেক্ষা করছেন?
__হ্যাঁ। আমি আসলে…দেব!!
দিয়ারা মেয়েটিকে উঠে দাঁড়িয়ে কিছু বলার মাঝ পথেই ওর পিছনে দিকে তাকাতে দেখলো। মেয়েটির মুখে নামটা শুনে ও নিজে পিছন ফিরতেই দেখলো দেবাংশু দাঁড়িয়ে আছে। দেবাংশুকে দেখে মনে হচ্ছে সে ভীষণ পরিমাণে বিস্মিত। অস্ফুট স্বরে দেবাংশু বলে ওঠে,
দেবাংশু: তানি!!
তানিশা: দেব, দেব আই মিসড ইউ সো মাচ!
তানিশা এসে দেবাংশুকে জড়িয়ে ধরতেই দেবাংশু একটু পিছিয়ে যায়। সে একটু বুঝতে সময় নেয় বিষয়টাকে এবং বুঝে নেওয়ার পর সামনে তাকাতেই দেখে দিয়ারা করুন ভাবে ওদের দিকে তাকিয়ে আছে। দেবাংশু আর দিয়ারার আই কনট্যাক্ট হয়ে গেলে দিয়ারা চোখ সরিয়ে নিয়ে মাথা নীচু করে ফেলে। দেবাংশু চটজলদি তানিশাকে সরিয়ে দেয় নিজের থেকে কারণ দিয়ারার এভাবে মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় তাঁর একটা মিশ্র অনুভূতি হচ্ছে। প্রথমত সে আতঙ্কিত, যদি দিয়ারা তাঁর থেকে দূরে সরে যায়? দ্বিতীয়ত সে রাগান্বিত, দিয়ারা দূরে সরে যাওয়ার কারণ এই মেয়েটা।
দেবাংশু: হোয়াট দ্যা হেল তানি! তুই এখানে কি করছিস? (অতিরিক্ত রেগে)
তানিশা: প্লিজ দেব, আমি তোর গার্লফ্রেন্ড। তুই এভাবে আমার সাথে বিহেভ করিস না। আমি মানছি আমি ভুল করেছি তাই বলে…
দেবাংশু: দিয়া! দিয়া কোথায় যাচ্ছিস তুই? শোন একবার আমার কথাটা।
তানিশার কথা বলার মাঝেই দিয়ারা চলে যায় অন্যদিকে আর দেবাংশু উদ্যত হয় ওকে আটকানোর জন্য। দেবাংশু একটু এগোতেই তানিশা দেবাংশুর হাত ধরে বাঁধা দেয়। যার ফলে দেবাংশু আরও রেগে যায়। হাতটা ঝাড়া মেরে ছাড়িয়ে নিয়ে বলে,
দেবাংশু: তোর প্রবলেমটা কি তানি? কি প্রমাণ করতে চাইছিস তুই এত বছর পরে ফিরে এসে?
তানিশা: এটাই যে আমি তোকে এখনও ভালোবাসি। আমি সবসময় তোকে ভালোবাসতাম। বিশ্বাস কর একবার আমায়। (অনুরোধ করে)
দেবাংশু: এখানকার খোঁজ কীভাবে পেলি তুই? ভিকির সাথে কনট্যাক্ট ছিলো তোর? (দাঁতে দাঁত চেপে)
তানিশা: (ঘাবড়ে গিয়ে) ন..না। আমি এখানে এসে ওর খোঁজ করেছি। ওর নাম ডাক থাকায় প্রবলেম হয়নি খুঁজে পেতে। ওই আমাকে বললো সবটা মিটমাট করে নিতে। দেব তুই…
তানিশার কথা শেষ হওয়ার আগেই দেবাংশু আধভিকের কেবিনের দিকে পা বাড়ালো। মাথায় একপ্রকার আগুন জ্বলছে দেবাংশুর। আধভিকের কেবিনে গিয়ে নক করতেই যেই উত্তর এলো সঙ্গে সঙ্গে দেবাংশু ভিতরে ঢুকে গেলো। হনহন করে আধভিকের ডেস্কের দিকে এগিয়ে গিয়ে বললো,
দেবাংশু: (ডেস্কে বারি মেরে) তানিশা এখানে কি করছে ভিকি? তুই ওকে আমার সাথে দেখা করার সুযোগ করে দিয়েছিস? লাইক সিরিয়াসলি? (প্রচণ্ড রেগে)
আধভিক: (শান্ত ভাবে) ও আমার সাথে দেখা করতে এসেছিলো। বললো তোর সাথে দেখা করাটা খুব দরকার তাই…
দেবাংশু: তাই তুই ওকে আমার সাথে দেখা করার সুযোগ করে দিলি? তুই কি ভুলে গেছিস তানিশা আমার এক্স গার্লফ্রেন্ড? নাকি এটা ভুলে গেছিস ওর জন্যে তোর আমার আমার মধ্যে ঝামেলা হয়েছিলো?
আধভিক: কাম ডাউন দেব। আমি কিছুই ভুলিনি। (উঠে দাঁড়িয়ে)
দেবাংশু: তাহলে কেন ওকে আমার কাছে পাঠিয়েছিস সব মিটমাট করতে বলে? আর ইউ ক্রেজি? আমি ওর সাথে মিটমাট করবো যাঁর সাথে কি না আমার কোনো অ্যাটাচমেন্টই নেই? কখনো ভালোইবাসিনি আমি ওকে, মানিনি নিজের গার্লফ্রেন্ড বলে।
আধভিক: তোর কার সাথে তোর অ্যাটাচমেন্ট আছে? কাকে ভালোবাসিস তুই? (দেবাংশুর দিকে এগিয়ে)
দেবাংশু কিছু বলতে গিয়েও থেমে যায় আধভিকের প্রশ্নর উত্তর দিতে গিয়ে। মাথা নীচে নামিয়ে নিলেই হঠাৎ দিয়ারার করুন চাহুনি আর চলে যাওয়ার দৃশ্যটা ভেসে ওঠে ওর চোখের সামনে।
দেবাংশু: দিয়া ওভাবে চলে গেলো, আমি কিছু বলার সুযোগ পেলাম না। ভুল বুঝলো আমাকে। (আনমনে)
আধভিক: হ্যাঁ? কি বললি? শুনতে পেলাম না।
দেবাংশু: আব, না..না। কিছু না। তুই তানিকে চলে যেতে বল ভিকি। আমার ওকে মোটেও পছন্দ নয়। ওর জন্যেই আমাদের মধ্যে ঝামেলা হয়েছিলো আর ও আবারও একই কাজ করবে। আজকে আমাকে বললো তুই নাকি ওকে মিটমাট করে নিতে বলেছিস। সবসময় সব কথা বাড়িয়ে বলা ওর অভ্যেস।
দেবাংশু অন্যদিকে তাকিয়ে নিজেকে শান্ত করার চেষ্টা করছে। আধভিক দেবাংশুর কাঁধে হাত দিল একটা নিশ্বাস নিয়ে।
আধভিক: তুই স্টুডিওতে যা, আমি দেখছি বিষয়টা। আমি তানিশাকে বুঝিয়ে বলবো যাতে ও তোর পিছু ছেড়ে দেয়। কিন্তু ও এত সহজে ছাড়বে বলে মনে হয় না। যদি তোর জীবনে এমন কেউ থাকতো যাকে তুই ভালোবাসিস তাহলে হয়তো ও সরে যেতো। বাট ইটস ওকে, আই উইল ট্রাই মাই বেস্ট।
দেবাংশু: খুব সাবধান ভিকি। তুই জানিস ও ঠিক কেমন। আমি আগেও তোকে বারণ করেছিলাম, এখন আবার তোকে বারণ করছি।
দেবাংশু চলে গেলে আধভিক দেবাংশুর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে থাকে। চোখের সামনে এক ঝলকে নিজের ফ্ল্যাশব্যাকটা ফিরে আসে আধভিকের। বাস্তবে ফিরে আসে ওর জীবনের সবথেকে কাছের মানুষের হাতের স্পর্শে।
আধভিক: সিয়ু তুমি অর্জুন চ্যাটার্জীর ফ্যাশন হাউজে চলে যাও দিয়ারার সাথে। আমি তোমার নাম সাজেস্ট করেছিলাম ওনাকে অ্যাস আ ডিজাইনার। উনি তোমার ডিজাইন দেখে খুব খুশি হয়েছেন আর পছন্দও করেছেন।
সিয়ারা: তুমি আমাকে জিজ্ঞেস না করে আমার নাম সাজেস্ট করে দিলে? (বিরক্ত হয়ে)
আধভিক একটু ঘাবড়ে গেলো। সত্যিই তো, সে একবারও পারমিশন নেয়নি সিয়ারার। আধভিক ক্ষমা চাওয়ার সুরে বলল,
আধভিক: আব, আই অ্যাম সরি সিয়ু। আসলে আমি ভেবেছি তুমি কাজ করতে চাও। তাই জন্যই আমি…
সিয়ারা: আমি তোমার সাথে থেকে কাজ করতে চাই আভি। (অসহায় মুখ করে)
আধভিক কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো অবাক হয়ে সিয়ারার মুখের দিকে তারপর হালকা হেসে ফেললো। সিয়ারাকে বুকে টেনে নিয়ে বললো,
আধভিক: তুমি আমার সাথেই কাজ করবে জান। এই প্রথম বাইরের কোনো ফ্যাশন হাউজ তোমাদের দুই বোনকে চুজ করেছে তাই একসাথে কাজ করার সুযোগ পাবে তোমরা। আর যথেষ্ট বিশ্বাসযোগ্য উনি তাই জন্যেই আমি রাজি হয়েছি। এরপর থেকে তো আমার ফ্যাশন হাউজের মেইন ডিজাইনার তুমিই হবে, দিয়াকেও আমার হাউজের জন্যেই কাজ করতে হবে।
সিয়ারা: দিয়াকে কেন তোমার ফ্যাশন হাউজের হয়ে কাজ করতে হবে? ও তো অন্য যেকোনো ফ্যাশন হাউজের হয়ে কাজ করতেই পারে। যেমনটা ও এখন করছে।
আধভিক: (হেসে) অন্য ফ্যাশন হাউজের হয়ে কাজ করা মানে তাঁদের ঠিক করা ফটোগ্রাফার দিয়ে ফটোশুট করা। সেটা দেব হতে দেবে বলে মনে হয় না। আমার ফ্যাশন হাউজের হয়ে কাজ করলে দেব ফটোশুটের দায়িত্বে থাকবে।
সিয়ারা: সত্যি, তখন দেব দিয়াকে নিয়ে ভাবছিলো। মে বি দিয়া ওকে আর তানিশাকে একসাথে দেখেছে।
আধভিক: ডেফিনেটলি দিয়া ওদেরকে একসাথে দেখেছে আর ও ওখান থেকে চলে গেছে। আহ! এইবার জমবে মজা। (হাতে হাত ঘষে হেসে)
সিয়ারা: (ভ্রূ কুঁচকে) তোমার প্ল্যানটা কি বলো তো?
আধভিক: কি আবার? ওদের দুজনকে রিয়েলাইজ করানো যে ওরা দুজন দুজনকে ভালোবাসে। দেবের তো রাগ হচ্ছে খারাপ লাগছে অন্য ছেলের সাথে দিয়ারাকে দেখে এইবার দেখতে হবে দিয়ারারও এক অবস্থা কি না দেবকে অন্য মেয়ের সাথে দেখে। এদিকে দিয়ারার যদি খারাপ লাগে, দিয়ারা দূরে সরে যেতে পারে ওর থেকে এটা নিয়ে দেব ভাবছে কি না সেটাও বোঝা যাবে। (ভ্রু নাচিয়ে)
সিয়ারা: (হেসে) হ্যাঁ, অনেক কিছুই ক্লিয়ার হয়ে যাবে এই বিষয়টার থেকে। দেবকে তো দেখেই মনে হলো ও দিয়ার জন্য টেন্সড। কিন্তু আভি, তোমার আর ওর মধ্যে তানিশাকে নিয়ে কি ঝামেলা হয়েছিলো?
আধভিক: সেসব আমি তোমাকে পরে বলবো। এখন তুমি দেখো দিয়া কোথায় গেছে। ওর সাথে তোমাকে যেতে হবে।
সিয়ারা: হ্যাঁ আমি যাচ্ছি। টেক কেয়ার ইউরসেলফ। (আধভিকের গালে ঠোঁট ছুঁয়ে)
সিয়ারা বেরিয়ে গেলে আধভিক সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের চেয়ারে গিয়ে ল্যাপটপ খুলে বসে। কিছুক্ষণ পর একজন ক্লায়েন্টের ফোন এলে তাঁর সাথে কথা বলতে শুরু করে আধভিক। কথা বলার মাঝেই ও নিজের কেবিনে দরজা খোলার আওয়াজ পায়। চেয়ারটা সেদিকে ঘুরিয়ে নিতেই দেখে অভ্র দাঁড়িয়ে আছে। আধভিকের ঠোঁটের কোণে একটা বাঁকা হাসি খেলে যায়।
এদিকে,
সিয়ারা বোনকে খুঁজতে খুঁজতে পার্কিং সাইটে চলে আসে। এদিক ওদিক একটু দেখে নিতেই ওর নজর আটকে যায় নিজের বোনের উপর। যে কি না চুপচাপ গাড়িতে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। সিয়ারা ধীরে ধীরে দিয়ারার পিছনে গিয়ে দাঁড়ায়। দিয়ারাকে ডাকতে যাবে তার আগেই দিয়ারার ফোন বেজে ওঠে আর ও সেটা মুখের সামনে ধরে। সিয়ারা পিছন থেকে স্ক্রিনে নামটা দেখতে পায়, “দেবদা”। দিয়ারা ফোনটা কেটে দেয়।
সিয়ারা: বোন, তুই এখানে এভাবে দাঁড়িয়ে আছিস কেন?
দিয়ারা একটু চমকে ওঠে তবে সঙ্গে সঙ্গে নিজের চোখের জল মুছে নিয়ে সিয়ারার দিকে ফেরে। নিজেকে স্বাভাবিক রেখে বলে,
দিয়ারা: আসলে অর্জুন চ্যাটার্জীর ফ্যাশন হাউজে যাওয়ার কথা আজকে আমাদের তাই জন্যেই তোর অপেক্ষা করছিলাম আমি। চল। (মিথ্যে হেসে)
সিয়ারা: দাঁড়া।
দিয়ারা চলে যেতে নিলে সিয়ারা ওকে বাঁধা দিয়ে নিজের দিকে ফেরায়। ওর মুখটা দেখে নিয়ে, দু গালে হাত রেখে বলে,
সিয়ারা: কি লুকাচ্ছিস আমার থেকে? মন খারাপ কিছু নিয়ে?
দিয়ারা: ন..না তো কি লুকাতে যাবো আমি তোর থেকে আর আমার আবার কি নিয়ে মন খারাপ হবে?
সিয়ারা: আমার তো মনে হচ্ছে তুই লুকাচ্ছিস আমার থেকে কিছু একটা।
দিয়ারা: না দি, তেমন কিছুই না। তুই বেশি ভাবছিস, আমি একদম ঠিক আছি। (আশ্বস্ত করে)
সিয়ারা: ঠিক আছে তাহলে চল। এক মিনিট, আমি তো আমার ফোনটা ফেলে এসেছি আভির কেবিনে।
দিয়ারা: আচ্ছা তুই নিয়ে আয় আমি ওয়েট করছি।
সিয়ারা: হ্যাঁ আর বলছি যে, যেটা বলেছিলাম সেটা হয়েছে?
দিয়ারা: হ্যাঁ, না চাইতেই জেনে গেছি।
সিয়ারা: ফাইন, আমি এসে শুনবো। আসছি আমি।
[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]