কথা দিলাম ‘ 🌸❤️ ||পর্ব ~ ৪৪|| @কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

0
266

‘ কথা দিলাম ‘ 🌸❤️
||পর্ব ~ ৪৪||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

সিয়ারা বেরিয়ে গেলে আধভিক সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের চেয়ারে গিয়ে ল্যাপটপ খুলে বসে। কিছুক্ষণ পর একজন ক্লায়েন্টের ফোন এলে তাঁর সাথে কথা বলতে শুরু করে আধভিক। কথা বলার মাঝেই ও নিজের কেবিনে দরজা খোলার আওয়াজ পায়। চেয়ারটা সেদিকে ঘুরিয়ে নিতেই দেখে অভ্র দাঁড়িয়ে আছে। আধভিকের ঠোঁটের কোণে একটা বাঁকা হাসি খেলে যায়।

আধভিক: মিস্টার সিংহানিয়া, আই উইল কল ইউ ব্যাক লেটার। (ফোন রেখে) কি ব্যাপার অভ্র? কিছু বলবি?

অভ্র চুপ করে থাকে। আধভিক বুঝতে পারছে অভ্র নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে, নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে। আধভিক মনে মনে বাঁকা হেসে উঠে দাঁড়িয়ে অভ্রর কাছে যায় এবং ওর কাঁধে হাত রেখে বলে,

আধভিক: কি হয়েছে ভাই? কোনো সমস্যা হয়েছে তোর? বলতে পারিস আমাকে। আমি তো তোর দাদা বল? এতদিন তুই আমাকে এত সাহায্য করেছিস, এখন তুই সমস্যায় পরলে আমারও তো সাহায্য করা দরকার।

অভ্র: আমি, আমি ঠিক আছি। আমার যে সাহায্যের দরকার সেটা তুই আমাকে করতে পারবি না। (জোর করে হেসে)

আধভিক: ওয়েল কে বলতে পারে সেই রকম সাহায্য হয়তো আমি করতেও চাই না। (হালকা হেসে)

অভ্র আধভিকের এমন কথা শুনে ভ্রু কুঁচকে ফেললে আধভিক আবার স্বাভাবিক হয়ে ওকে বলে,

আধভিক: আই মিন সত্যি হয়তো সেই সাহায্য আমি করতে পারবো না তাই তুই বলছিস না বাট আমি চেষ্টা করতে পারি।

অভ্র: দরকার নেই।…তুই বল, তুই কেমন আছিস?

আধভিক: খুব ভালো আছি। ঠিক যেমনটা চেয়ে এসেছিলি তুই, ড্যাড, সোহম একদম তেমন আছি। (হেসে) আর ওই দেখ, আমার ভালো থাকার কারণও এসে গেছে। (দরজার দিকে ইশারা করে)

আধভিকের ইশারা অনুযায়ী তাকাতেই অভ্র দেখলো সিয়ারা দাঁড়িয়ে আছে। সিয়ারা যে অভ্রকে দেখ বেশ বিরক্ত সেটা ওর মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে। অভ্রর কাঁধে হাত দিয়ে আধভিক ওকে ডেকে নিজের দিকে তাকাতে বাধ্য করে এবং অভ্র তাকাতেই নিজে এগিয়ে গিয়ে সিয়ারার সামনে চলে যায়। সেটা দেখে অভ্র আবার ওদের দিকে তাকাতেই দেখে আধভিক সিয়ারার কাছে গিয়ে প্রথমে সিয়ারার কপালে এবং পরে ওর গালে কিস করলো। অভ্রর হাত মুঠো ও চোয়াল শক্ত হয়ে যায় এই দৃশ্য দেখে।

আধভিক: তোর বৌদি আবার আমার জীবনে ফিরে এসেছে অভ্র। (সিয়ারাকে নিজের সাথে জড়িয়ে) এখন আর আমার খারাপ থাকার কোনো কারণ নেই। (হেসে)

অভ্র: ওয়াও, দ্যাটস গ্রেট! (দাঁতে দাঁত চিপে, জোর করে হেসে)

সিয়ারা: আভি, আমি আমার ফোনটা ফেলে গেছি। ওটাই নিতে এসেছিলাম।

আধভিক: (নিজের পকেট থেকে ফোন বের করে) নাও।

সিয়ারা: তুমি এটা নিজের কাছে রেখেছিলে? (ফোনটা নিয়ে)

আধভিক: হ্যাঁ কারণ আমি জানতাম তুমি এটা নিতে ফিরে আসবে। ঠিক যেমন আমার জীবনে ফিরে এসেছো। তোমার জিনিসপত্র সহ তোমাকেই এবার থেকে নিজের কাছে রাখবো ভেবেছি। (মুচকি হেসে)

সিয়ারা: (লাজুক ভাবে) আ..আমি আসছি।

আধভিক: (হাসি বজায় রেখে) সাবধানে। আব, আমার পাওনাটা তো দিয়ে যাও?

সিয়ারা প্রতি উত্তরে চোখ রাঙালো আধভিককে আর দ্রুত ওর থেকে সরে গেলো। সিয়ারা কেবিন থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে সেই সময় আধভিক বললো,

আধভিক: ঠিক আছে এটা তোলা রইলো। পরে সুদে আসলে মিটিয়ে নেবো।

আধভিকের কথা শেষ হতেই ধরাম করে একটা আওয়াজ হলো দরজা বন্ধ হওয়ার। তাতে আধভিক নিজের ঘাড়ে ডান হাত রেখে ঠোঁট কামড়ে হাসলো।

অভ্র: তুমি কিন্তু আবার একই ভুল করছো দা।

আধভিক: (অভ্রের দিকে ফিরে) যেমন?

অভ্র: তুমি কি ভুলে যাচ্ছো এই মেয়েটা কীভাবে বিয়ের দিন তোমাকে প্রত্যাখ্যান করে চলে গেছিলো? বদলে তোমাকে বলেছিল ওর বোনকে বিয়ে করে নিতে। ভালোবাসাটা কে ছেলে খেলা মনে করে এসব ধরনের মেয়ে।

আধভিক: মাইন্ড ইউর ল্যাঙ্গুয়েজ অভ্র! হোয়াট ডু ইউ মিন বাই “এসব ধরনের মেয়ে”? তোর জায়গায় অন্য কেউ হলে সে আমার সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারতো না। ভাই মনে করি তাই ছেড়ে দিলাম, দ্বিতীয় বার কোনো কার্টেসি করবো না। সিয়ুকে নিয়ে কিছু বলার আগে হাজার বার ভাববি। মাইন্ড ইট!

আধভিক রেগে নিজের ডেস্কের দিকে চলে গেলো। অভ্র নাটকীয় সুরে বললো,

অভ্র: আমি তোমার ভালো চাই দা। আমি তো দেখেছি যে গত দুই বছর তুমি ঠিক কি যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে গেছো। কতবার নিজেকে শেষ করার চেষ্টা করেছো। তুমি যেভাবে বেঁচে ছিলে সেটাকে বেঁচে থাকা বলে না। এই সব কিছু যে বা যাঁর কারণে ঘটেছে আমি শুধু তাঁর থেকে তোমাকে দূরে থাকার জন্য সতর্ক করছিলাম। যাতে তুমি আর কষ্ট না পাও কিন্তু তুমি তো…

আধভিক: আমি বুঝেছি ভাই। তুই আমার ভালোর জন্যই বলেছিস। আসলে কি বল তো, তুই তো জানিস আমি সিয়ারাকে কতোটা ভালোবাসি। ও ছাড়া নিজের জীবনে অন্য কাওকে গ্রহণ করার মতো ক্ষমতা আমার নেই। যদি থাকতো তাহলে হয়তো গত দুই বছরেই আমি সেটা পারতাম। ও আমার কাছে অনেকবার করে ক্ষমা চেয়েছে নিজের কৃতকর্মের জন্য আর আমিও এতকিছুর পর পারিনি মুখ ফিরিয়ে থাকতে। আমার মনে হয় ও সত্যি শুধরে গেছে তাই ওকে নিয়ে খারাপ কথা বলায় একটু উল্টো সিধে বলে ফেলেছি, তুই প্লিজ কিছু মনে করিস না।

অভ্র: না না ঠিক আছে। আলটিমেটলি তুমি খুশি থাকলেই আমি খুশি। আমি আসছি দা।

আধভিক: হ্যাঁ।

অভ্র যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ওখান থেকে বেরিয়ে গেলো। ও বেরিয়ে যেতেই আধভিক তাচ্ছিল্য হাসলো আর মনে মনে নিজেকে বললো,

আধভিক: কে বলেছে ভিকি তোর দ্বারা অভিনয় হবে না? অবশ্য এতদিন এদের অভিনয় দেখে দেখেই তুই অভিনয় শিখে গেছিস। ড্যাডকে এই সুখবরটা দেওয়া উচিত, “ড্যাড তোমার ছেলে অভিনয় শিখে গেছে”। এখন তো সিনেমা করতে বললেও প্রবলেম নেই, নায়িকা তো ফিরে এসেছেই।

আধভিক নিজের ডেস্কে বসে আজকের যা যা কাজ আছে সেগুলো জানার জন্য সোহমকে ডেকে পাঠালো।

এদিকে,

দিয়ারা: দি, কি করবি এখন? রিনাকে গিয়ে কি আমাদের চার্জ করা উচিত?

সিয়ারা: একদমই না দিয়া। আমাদের কাছে কোনো উপযুক্ত প্রমাণ নেই রিনার বিরুদ্ধে। এর জন্য আভির অফিসের ক্ষতি হবে, ওর বদনাম হবে।

দিয়ারা: আচ্ছা তুই তো ওই ডিজাইনারটাকে চিনিস যে আমাদের অফিসের হয়ে কাজ করে। তাঁকে ধরতে পারলেই তো হয়ে যাবে।

সিয়ারা: আমিও এসে সেটার খোঁজই করেছি। আমাদের ফ্যাশন হাউজের হয়ে যত জন ডিজাইনার হিসেবে কাজ করে তাঁদের ইনফরমেশন ফাইল চেক করছিলাম আমি। কিছুই পাইনি।

দিয়ারা: মাই গড, তার মানে একদম প্ল্যানিং প্লটিং করেই নেমেছে এই অভ্র রায় চৌধুরী।

সিয়ারা: তা আর বলতে। আজকে রুহির অভ্রকে দেখে প্রসঙ্গ পাল্টে ফেলার বিষয়টাই সেটার প্রমাণ।

দিয়ারা: আচ্ছা তোর কাছে ওই শাড়িটা তো আছে তাই না? আমরা সেটা দিয়ে খোঁজ করতে পারি না?

সিয়ারা: অভ্র জেনে যাবে তাতে যে আমরা সন্দেহ করা শুরু করেছি। ও যদি টের পেয়ে যায় তাহলে হুঁশিয়ার হয়ে যাবে আর সব প্রমাণ মুছে ফেলার চেষ্টা করবে। শাড়িটা দেখিয়ে কোনো লাভ নেই কারণ যে ডিজাইন করেছে সে’ই তো হাউজে নেই, সেটার খোঁজ তো আমি নিয়েই নিলাম।

দিয়ারা: উফ দি, ইউ আর সো ট্যালেন্টেড! আমি তো শাড়িটা দিয়েই খোঁজ করবো ভেবেছিলাম। (অসহায় মুখ করে)

সিয়ারা: যখন আসল অপরাধীকে ধরতে পারবো তখন তারিফ করিস তার আগে নয়। বুঝলি? এইবার চল এসে গেছি আমরা।

সিয়ারা গাড়ি দাঁড় করালো চ্যাটার্জী ফ্যাশন হাউজের সামনে। গাড়ির চাবিটা সিকিউরিটির হাতে দিয়ে ওরা দুজন ভিতরে চলে গেলো। ভিতরে যেতেই ওদের দেখা হলো অর্জুন চ্যাটার্জীর পি.এ. সাথে। উনি ওদের সাহায্য করলেন অর্জুন চ্যাটার্জীর কেবিনে যাওয়া অবধি।

অর্জুন: আপনারা এসে গেছেন। প্লিজ বসুন। আমি আপনাদের অপেক্ষাতেই ছিলাম। কোনো অসুবিধা হয়নি তো আসতে?

দিয়ারা: না না। কোনো অসুবিধা হয়নি। আব, মিস্টার চ্যাটার্জী মিট মাই দি, সিয়ারা সান্যাল।

অর্জুন: হাই! নাইস টু মিট ইউ।

সিয়ারা: হ্যালো! নাইস টু মিট ইউ টু স্যার!

অর্জুন: স্যার? তাও আমাকে? মাই গড! আধভিক রায় চৌধুরীর লেডি লাভ বলা ভালো লাইফ পার্টনার আমাকে স্যার বলবে, এটা মানা যায় না। দিয়ারা আপনার এই পরিচয়টা না দিলেও আধভিক আমাকে আগেই এই বিষয়ে অবগত করেছে। (হেসে)

সিয়ারা: (লাজুক ভাবে হেসে) আপনি বলার প্রয়োজন নেই। আপনি আমাকে তুমি বলতেই পারেন।

অর্জুন: তাহলে এই একই জিনিসটা আমিও তোমার তরফ থেকে আশা করবো।

দিয়ারা: আর আমি? আমি কোথায় যাবো? (গাল ফুলিয়ে)

অর্জুন: আপাতত তুমি স্টুডিওতে যাবে ট্রায়ালের জন্য। (হেসে ফেলে)

সিয়ারাও হেসে উঠলে দিয়ারা দিদির দিকে সরু চোখ করে তাকায় এবং বলে,

দিয়ারা: তুই একদম ভালো না দি!

অর্জুন: সত্যি বলতে গেলে আমি ভীষণ একসাইটেড দিয়ারার সাথে কাজ করার জন্য।

অর্জুনের মুখে প্রশংসা শুনে দিয়ারা হালকা হেসে মুখ নামিয়ে নেয়। সে ব্লাশ করছে। আর সেটাই স্বাভাবিক নয় কি? শহরের নাম করা ফ্যাশন ডিজাইনার এবং ফ্যাশন হাউজের মালিক তাঁর তারিফ করছে, তাঁর সাথে কাজ করার জন্য একসাইটেড এটা ভাবতেই দিয়ারার মনে হচ্ছে সে স্বপ্ন দেখছে।

দিয়ারা: একসাইটেড তো আমি মিস্টার চ্যাটার্জী। আপনার সাথে কাজ করার সৌভাগ্য কি সবার হয়?

অর্জুন: যাঁরা ট্যালেন্টেড তাঁদেরই হয়। তুমি আর তোমার দিদি দুজনেই ভীষণ ট্যালেন্টেড। সিরিয়াসলি সিয়ারা, তোমার ডিজাইন আমি দেখেছি। সত্যি সেগুলো ভীষণ সুন্দর।

সিয়ারা: থ্যাংক ইউ। (হেসে)

অর্জুন: আব দিয়ারা আমি তোমাকে আমাদের স্টুডিওতে নিয়ে যাচ্ছি। ওখানে তোমার যেই ড্রেসটা পছন্দ হবে তুমি সেটা পরেই একটা ট্রায়াল দিয়ে নাও। কারণ ড্রেস ডিজাইন তো সিয়ারা করবে তারপরেই তুমি সেগুলো পাবে।

দিয়ারা: ঠিক আছে। আমি দেখে নিচ্ছি।

অর্জুন: আসো।

অর্জুনের সাথে সিয়ারা এবং দিয়ারা ওনার স্টুডিওতে চলে যায়। দিয়ারা ওখানে ড্রেস চেঞ্জ করতে গেলে অর্জুন কয়েকটা ড্রেস নিয়ে সিয়ারাকে দেখাতে লাগে যে কেমন ডিজাইন তাঁদের দরকার।

অর্জুন: ফিরে গিয়ে আমরা একটা কনট্র্যাক্ট পেপারে সাইন করবো সিয়ারা। সেখানে বলা আছে, আমার আপকামিং যে ফ্যাশন শো আছে সেটাতে তুমি আমার মডেলদের ড্রেস ডিজাইন করবে।

সিয়ারা: আচ্ছা ঠিক আছে। এইগুলো তো অফিসিয়াল ফর্মালিটিজ, করতে তো হবেই।

অর্জুন: অ্যাকচুয়ালি আমি চেয়েছিলাম আমার ফ্যাশন শোয়ের পর যে ফ্যাশন কম্পিটিশন আসছে সেটাতেও তুমি আর দিয়ারা আমার ফ্যাশন হাউজের হয়েই কাজ করো। কিন্তু সেটা তো হবে না কারণ সেই কম্পিটিশনে আধভিকের ফ্যাশন হাউজও পার্টিসিপেট করছে। এটার মানে তো তুমি বুঝতেই পারছো??

সিয়ারা: (হাসিমুখে) তার মানে খুব শীঘ্রই আমরা বন্ধু থেকে শত্রু হয়ে যাবো বলছো?

অর্জুন: আর কি করা যাবে বলো? তবে সেটা কিন্তু শুধু এই প্রফেশন ফিল্ডে!

সিয়ারা: অবশ্যই। ওই তো, দিয়া এসে গেছে।

সিয়ারার কথা শুনে দিয়ারার দিকে পিছন ফিরে তাকায় অর্জুন। পিছন ফিরতেই অর্জুনের চোখ একপ্রকার আটকে যায় দিয়ারার উপর। রয়্যাল ব্লু কালারের লং মারমেইড গাউনটা বেশ মানিয়েছে দিয়ারাকে। মুখে কোনো মেক আপ করেনি সে, শুধু চুলটা ছাড়া রয়েছে। অর্জুনের সাথে সাথে ফটোগ্রাফারও দিয়ারার দিকে তাকিয়ে থাকলে অর্জুন সেটা খেয়াল করে এবং এটাও বুঝতে পারে ফটোগ্রাফারটি ভালো ভাবে তাকাচ্ছে না দিয়ারার দিকে। দিয়ারাও সেটা বুঝতে পেরে একটু অস্বস্তি বোধ করছে।

অর্জুন হঠাৎ করেই দিয়ারার সামনে গিয়ে ওকে গার্ড করে দাঁড়ায়। দিয়ারা সেটা দেখে অর্জুনের দিকে তাকাতেই ওদের দুজনের চোখ একে অপরের উপর আটকে যায়। অর্জুন নিজের অজান্তেই বলে ওঠে,

অর্জুন: ইউ আর লুকিং সো বিউটিফুল!

দিয়ারা: (চোখ সরিয়ে নিয়ে) আব, থ্যাংক ইউ!

অর্জুন: আজকে এখানে কোনো শুট হবে না। রুহান, লিভ!

রুহান: কিন্তু স্যার…

অর্জুন: আই সেইড লিভ!! (জোরে)

রুহান ওখান থেকে দ্রুত বেরিয়ে যায়। রুহান বেরিয়ে গেলে দিয়ারা একটু স্বস্তির নিশ্বাস ফেলে। এই ফটোগ্রাফারটাকে সে চেনে, মোটেই ভালো লাগে না ওর এই রুহান কে। অনেক অভিযোগ আছে ওর বিরুদ্ধে মডেলদের হ্যারাস করার কিন্তু প্রমাণ না থাকায় ওর ক্ষতি করা যায়নি। এর সাথে কাজ করতে হবে ভেবেই বিরক্ত হয়ে গেছিলো দিয়ারা তাই ঠিক করেছিল ফিরেই আধভিককে জানাবে বিষয়টা কারণ আধভিক কখনও এই রুহানকে ধারে কাছেও ঘেঁষতে দেয়নি দিয়ারার।

অর্জুন: চিন্তা করো না। রুহানের সাথে কাজ করতে হবে না। ফটোগ্রাফি অন্য কেউ করবে।

দিয়ারা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললো অর্জুনের কথায়। ও হেসে কিছু বলবে তার আগেই একজনের গলার স্বর পেলো সবাই।

__আমি কি ফটোশুটের দায়িত্বে থাকতে পারি মিস্টার চ্যাটার্জী??

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে🥀]

বিঃদ্রঃ কে আবার ফটোশুটের দায়িত্ব নিতে চাইছে? আর অর্জুনকে কেমন মানাবে দিয়ারার নায়ক হিসেবে?🤔

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here