কথা দিলাম 🌸❤️ ||পর্ব ~ ২|| @কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

0
581

কথা দিলাম 🌸❤️
||পর্ব ~ ২||
@কোয়েল ব্যানার্জী আয়েশা

“আধভিক রায় চৌধুরী,” নামটার মতো মানুষটাও বড্ড অদ্ভুত। শুটিং স্পটে এসে নিজের ব্লেজারটা বাঁ হাতের আঙুল দ্বারা ধরে বাঁ কাঁধে ঝুলিয়ে রেখে আরেক হাতে ফোন দেখছে। শুটিং স্পটে থাকা প্রত্যেকটা মানুষ তাঁর দিকে অবাক ভাবে তাকিয়ে আছে, আর মনে মনে উপরোক্ত কথাগুলো ভাবছে। ডিরেক্টর তো বলেই ফেললেন,

“স্যার আপনি? আপনি এসেছেন শুটিং স্পটে?”

কথাটা বলেই একটা শুকনো ঢোঁক গিলে নিলেন ডিরেক্টর। উত্তরের অপেক্ষায় আধভিকের দিকে চেয়ে রইলে ওনার প্রশ্নের কোনো উত্তর আসে না। বরং পাল্টা প্রশ্ন আসে,

“আপনি যেই প্রোডাকশন হাউজের হয়ে কাজ করছেন সেই প্রোডাকশন হাউজের মালিককে ডাকুন। আমার কথা আছে তাঁর সাথে।”

“ডাকতে হবে না। আমি চলে এসেছি।”

সুধাংশু বাবু এসে উপস্থিতি হলেন আধভিকের সম্মুখে। আধভিক ফোন থেকে এইবার মাথা না তুলে চোখটা তুলে সুধাংশু বাবুকে দেখলেন। সেই মুহুর্তেই ওনার পাশে এসে দাঁড়ালেন ওনার ছেলে দেবাংশু। চোখ নামিয়ে নিলো আধভিক। ঠোঁটের কোণে বাঁকা হাসি ফুটে উঠলো। সুধাংশু বাবু জিজ্ঞেস করলেন,

“তুমি এসেছো কেন? তোমার বাবার আসার কথা বলে আমি জানি।”

আধভিক না তাকিয়েই বললো,

“সেটা আমারও প্রশ্ন, কেন ড্যাড নিজে না এসে আমাকে পাঠালো? মে বি সলিড কোনো রিজন আছে তাই জন্যেই। আমি আবার অযথা প্রশ্ন করিনা। আপনি কি ফ্রি হয়েছেন? মানে কথা বলা যাবে?”

সুধাংশু বাবু মাথা নামিয়ে নেন আধভিকের কথা শুনে। দেবাংশু বেশ রেগে যাচ্ছে আধভিকের ব্যবহারে কিন্তু কিছু বলছে না। বলা যেতে পারে বলতে পারছে না।

“আমি সবার সামনে একটা কথা বলতে চাই। আমি সুধাংশু গাঙ্গুলি ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে আমার প্রোডাকশন হাউজ “এস.জি. ক্রিয়েশন” নিজ ইচ্ছায় “এ.আর.সি প্রোডাকশনস” এর হাতে তুলে দিচ্ছি আজ থেকে।”

“এসব তুমি কি বলছো সুধাংশুদা? হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার মানেটা কি?”

সমরেশ বাবু বেশ উত্তেজিত হয়ে কথাটা জিজ্ঞেস করলেন। অবশ্য এটা স্বাভাবিক কারণ উনি যে ডিরেক্টর, এই প্রোডাকশন হাউজের আন্ডারে থাকা ধারাবাহিকের। সুধাংশু বাবু কিছু বলবেন তাঁর আগেই কিছু একটা পরে যাওয়ার আওয়াজ পেলো উপস্থিত সবাই। আওয়াজ অনুসারে পিছনে তাকিয়ে দেখলেন সিয়ারা টেবিল ধরে দাঁড়িয়ে আছে বিস্ময় নিয়ে। সুধাংশু বাবু মাথা নত করে নিলেন সিয়ারাকে দেখে। এদিকে, আধভিক সমরেশ বাবুর প্রশ্ন শুনে, সুধাংশু বাবু কি উত্তর দেয় তাঁর অপেক্ষা করছিলো। সেই সময় আওয়াজ ভেসে আসাতে তাঁর চোখ সুধাংশু বাবুর পিছন দিকে চলে যায়।

সিয়ারা নিজের জায়গায় স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলেও আধভিক স্তব্ধ নেই। ধীরে ধীরে ওর বাঁ হাতটা কাঁধ থেকে নামতে শুরু করেছে। নামতে নামতে ব্লেজারটা একবারে মেঝেতে গিয়ে ঠেঁকেছে কিন্তু সেদিকে আধভিকের হুঁশ নেই। সে পলকহীন ভাবে সামনের দিকে তাকিয়ে আছে। চোখের পলকের সাথে সাথে হৃদস্পন্দন বন্ধ হওয়ার যোগান। সুধাংশু বাবু সিয়ারাকে গিয়ে ডাকতেই দুজন স্তব্ধতা কাটিয়ে উঠলো কিন্তু বিস্ময়তা হয়তো কাটিয়ে উঠতে পারেনি এখনও।

“সিয়া মা, তুই উঠে এলি কেন? তুই রেস্ট নে তোর এখন রেস্টের প্রয়োজন।”

সিয়ারা কোনো উত্তর না দিয়ে আবারও সামনে তাকালো। নিজের অজান্তেই এক পা এগিয়ে এলো। এদিকে আধভিক সিয়ারাকে এগোতে দেখে নিজের ব্লেজারটা পাশে দাঁড়িয়ে থাকা ওর অ্যাসিস্টেন্ট সোহমকে দিলো নজর সামনের দিকে স্থির রেখেই। তারপর এগোতে শুরু করলো সিয়ারার দিকে। সিয়ারা এক জায়গায় দাঁড়িয়ে আধভিককে একমনে দেখে চলেছে। আধভিক এসে সিয়ারার সামনে দাঁড়াতেই সিয়ারার চোখের সামনে আধভিকের মুখটা ঝাপসা হয়ে এলো। আধভিক সিয়ারার চোখ বুঁজে আসছে বুঝতে পারার পর যখন দেখলো সিয়ারা পরে যাচ্ছে, তখনই এক নিমিষে সিয়ারাকে নিজের কাছে টেনে নিলো। সিয়ারার কোমর এক হাতে জড়িয়ে সিয়ারার সাথে ঝুঁকে পরতে লাগলো নীচের দিকে। ঠিক যখন সিয়ারা পুরোপুরি চোখ বুঁজে নিলে আধভিক ওকে টেনে তুলে নেয়। সিয়ারার মাথাটা আধভিকের বুকের উপর এসে পরলে আধভিক চোখ বুঁজে নেয়।

“সিয়া? তোকে বলেছিলাম বাইরে আসতে না।”

দেবাংশু একপ্রকার জোর করেই সিয়ারাকে টেনে নেয় নিজের বুকে। আধভিক চোখ খুলে দেবাংশুর দিকে তাকিয়ে দাঁতে দাঁত চাপতেই ঘাড়ের শিরাগুলো ফুটে ওঠে ওর। চোখ বন্ধ করে একটা বড়ো নিশ্বাস ছেড়ে, পিছিয়ে যায় সে। ব্লেজারটা ভাঁজ করে নিজের বাঁ বাহুতে নিয়ে বলে,

“আগামীকাল সকাল দশটায় আমাদের প্লেসে দেখা করবেন। আই মিন, এ.আর.সি প্রোডাকশনের হাউজে। ওখানে একটা মিটিং হবে, আপনাদের জন্যেই!”

শেষের কথাটা জোর দিয়ে বলে সমরেশ বাবুর দিকে তাকালো আধভিক। বেরিয়ে যাওয়ার জন্য এক পা এগিয়েও থেমে গেলো। পিছন ফিরে দেবাংশুর বাহুবন্ধনে আবদ্ধ সিয়ারাকে দেখে নিয়ে সুধাংশু বাবুকে বললো,

“যেই ধারাবাহিকের শুটিং চলছিলো, সেই ধারাবাহিকের ডিরেক্টরের সাথে নায়ক, নায়িকা জানো সশরীরে সঠিকভাবে উপস্থিত থাকে আপনার সাথে।”

সানগ্লাসটা পরে নিয়ে বেরিয়ে গেলো আধভিক। আধভিকের পিছু পিছু সোহমও বেরিয়ে গেলো। গাড়িতে ওঠার আগে শুধু শুধু জিজ্ঞেস করলো,

“আপনি তো সরাসরি ম্যাডামের খেয়াল রাখার কথা বলতে পারতেন স্যার? এভাবে ঘুরিয়ে বললেন কেন?”

“সরাসরি কাজ তো সবাই করে, আমি ঘুরিয়ে করি কারণ লোকে যা করে তা এভিআর করে না। তুমি এটা জানো নিশ্চই? কাকে ম্যাডাম বলতে হবে সেটা যখন জেনে গেছো এটাও জানার কথা তোমার।”

“ইয়ে মানে..স্যার তাহলে সরাসরি অফিস যাবো নাকি ঘুরে ঘুরে?”

আধভিক দু ঠোঁট চেপে হাসির ভান করে সোহমের দিকে তাকিয়ে বললো,

“ফায়ার কি এই মুহুর্তে সরাসরি বলে করবো নাকি অফিসে গিয়ে লেটার দিয়ে ঘুরিয়ে করবো?”

“স্যার, অনেক রোদ। আপনি গাড়িতে বসুন তাড়াতাড়ি যেতে হবে আমাদের দেরী হয়ে যাচ্ছে। একবারে সোজা পথ ধরে যাবো।”

সোহম তাড়াতাড়ি গাড়ির দরজা খুলে দিলে আধভিক পিছন ফিরে একবার তাকায়। সানগ্লাসটা খুলে নিয়ে গাড়িতে বসে পরে। ড্রাইভার গাড়ি স্টার্ট করলে সামনে থাকা সোহমকে বলে,

“একদিন নিশ্চয় সোজা পথে না গিয়ে ঘুরে যাবো। শুধু সেদিন আমার পাশে তুমি না, অন্যকেউ থাকবে।”

“কিন্তু স্যার আমি তো আপনার পাশে না, সামনে আছি।”

“ভাগ্যিস আমার মাথার উপর আছো বলোনি।”

আধভিকের চাঁপা কণ্ঠ শুনে সোহম একবারে ভয়ে চুপসে গিয়ে হাতে থাকা ফাইল খুলে বসলো। আধভিক গাড়ির সিটে হেলান দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলো। গাড়ি ছুটে চলেছে আপন গতিতে, ধীরে ধীরে আধভিকের চোখটা বুজে এলো।

অন্যদিকে,

সিয়ারা নিজের ঘরে বসে আছে, বালিশ বুকে জড়িয়ে। দরজায় টোকা পরলে সিয়ারা পা গুটিয়ে বসে বললো,

“খোলা আছে দরজা।”

দরজা খুলে দেবাংশু ঘরে এলো। এসে সিয়ারার পাশে বসে জিজ্ঞেস করলো,

“কেমন আছিস এখন?”

“ঠিক আছি।”

“সত্যি?”

চুপ করে রইলো সিয়ারা। দেবাংশুও কিছুক্ষণ চুপ করে রইলো তারপর জিজ্ঞেস করলো,

“স্ক্রিপ্ট পড়ার পরেও কেন রাজি হলি শট দিতে? ডিরেক্টর আঙ্কেলকে বললেই উনি একটু চেঞ্জ করে দিতো সিনটা।”

তাচ্ছিল্য হাসলো সিয়ারা নীচের দিকে তাকিয়ে। একটা ছোট্টো নিশ্বাস ছেড়ে নীচের দিকে তাকিয়েই বললো,

“বাস্তবতার মুখোমুখি একদিন না একদিন তো হতেই হতো আমায়। কতদিন আর পালিয়ে পালিয়ে বেড়াবো? তাছাড়া সিনে যা ছিলো তা বাস্তবতার থেকে একটু হলেও ভিন্ন।”

“ছাড় না এসব কথা। আমি দু-বছর ধরে এভাবে তোকে আর মেনে নিতে পারছি না। আমি তোকে এসবের থেকে বার করে আনতে চাই সিয়া! একটা সুযোগ দে আমায়?”

দেবাংশু সিয়ারার হাতটা নিজের হাতের মাঝে নিয়ে কথা শেষ করতেই সিয়ারা হাত ছাড়িয়ে নিলো। কথা ঘুরিয়ে বললো,

“আমি বেরিয়ে এসেছি। তুই আগে আমাকে বল, আঙ্কেল এটা কি করলো? আমাদের প্রোডাকশন হাউজ বিক্রি কেন করে দিলো?”

“ড্যাড বিক্রি করেনি।”

“তাহলে? তাহলে কে করেছে? কি বলছিস এসব?”

“কেউ বিশ্বাসঘাতকতা করেছে পাপার সাথে। মানে পাপা যখন পেপার সাইন করছিলো সেই পেপারের নীচে আমাদের প্রোডাকশন হাউজ বিক্রি করার কনট্র্যাক্ট পেপার রেখে দিয়েছিলো বাবা বুঝতেও পারেনি। বুঝবেই বা কীভাবে ওখানে আমরা যেসব বই আর সিরিয়াল প্রডিউস করবো বলে রাজি হয়েছিলাম সেসবের পেপার ছিলো। পাপা ভাবতেও পারেনি এমন কিছু হবে।”

“এই কেউ’টা কে দেব?”

সিয়ারা কিছুক্ষণ চুপ করে থাকার পর প্রশ্নটা করে। দেবাংশু উঠে দাঁড়িয়ে ঘর থেকে বেরিয়ে যেতে যেতে বলে,

“জানি না। রাইভ্যাল কোম্পানির কেউ পাপার অ্যাসিস্টেন্টকে কিনে নিয়েছিল।”

দেবাংশুর কথাটা প্রথমে হালকা ভাবে নিলেও নিজের চোখটা বন্ধ করতেই যখন আজকে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোর কথা মনে পরে গেলো। তৎক্ষণাৎ চোখ খুলে সিয়ারা অস্ফুট স্বরে বলে উঠলো,

“আধভিক?”

সিয়ারার মুখে আতঙ্কের ছাঁপ ধীরে ধীরে গভীর ভাবে পড়তে শুরু করলো। বাজে ভাবে ঘামছে সে, কারণ সে যেটা ভাবছে সেটাই যদি সত্যি হয় তাহলে কি হতে চলেছে সেটা ধারণাও করতে পারছে না তবে এটা বুঝতে পারছে খুব সাংঘাতিক কিছু হতে চলেছে।

পরেরদিন সকালে,

দেবাংশু গাড়ি থামাতেই সিয়ারা গাড়ির কাঁচটা নামালো। দেখলো বড়ো বড়ো করে লেখা এ.ভি.আর. প্রোডাকশনস। চোখ বন্ধ করে একটা বড়ো নিশ্বাস নিয়ে গাড়ি থেকে নামলো। ভিতরে প্রবেশ করতেই সোহম এসে নিজের ঘড়িটা একবার দেখে হাসিমুখে ওদের বললো,

“আপনারা এসে পরেছেন? গুড, স্যার ভীষণ টাইম নিয়ে পাঞ্চুয়াল। আসুন আমার সাথে।”

সোহমের কথা মতো ওদের পিছু পিছু হাঁটা শুরু করলেও সিয়ারা চাইছে না যেতে তবুও যেতে হচ্ছে। ওর মন চাইছে এখান থেকে পালিয়ে যেতে কিন্তু না, কিছুতেই পারছে না সে। পরিস্থিতির শিকার সবসময় তাকেই যে কেন হতে হয় সে জানে না।

“স্যার? ওনারা এসে পড়েছেন।”

আধভিক সাথে সাথে নিজের রাউন্ড চেয়ারটা ঘুরিয়ে নিলো। হাতে থাকা ক্রিস্টাল বলটা দেখতে দেখতে বললো,

“আপনাদের অপেক্ষাই করছিলাম। খুব খুশি হলাম সঠিক সময়ে আপনাদের দেখে।”

ক্রিস্টাল বলটার থেকে চোখ সরিয়ে সুধাংশু বাবুদের দিকে তাকালো আধভিক। বাঁকা হেসে হাত থেকে ক্রিস্টাল বলটা রেখে উঠে দাঁড়ালো।

“সোহম, তুমি সুধাংশু স্যার আর ওনার ছেলেকে নিয়ে মিটিং রুমে যাও। আমি আসছি, মিস সিয়ারাকে নিয়ে।”

আধভিকের কথা শুনে সুধাংশু বাবু কিঞ্চিৎ হাসলেন। কিন্তু দেবাংশু সিয়ারার হাতটা শক্ত ধরলে সিয়ারা ওর হাতের উপর নিজের আরেকটা হাত রাখে। দেবাংশু সিয়ারার চোখের দিকে তাকালে সিয়ারা চোখের ইশারায় ভরসা দেয়।

“আসুন, আপনারা।”

দেবাংশু একবার আধভিকের দিকে তাকায়। আধভিক পকেটে হাত গুঁজে স্থির দৃষ্টিতে ওর দিকেই তাকিয়ে আছে। চোয়াল শক্ত হয়ে গেছে তাঁর। দেবাংশু কিছু আন্দাজ করতে পারলেও সিয়ারার দিকে তাকিয়ে চলে গেলো। আধভিক সাথে সাথে নিজের জায়গা ছেড়ে এসে সিয়ারার দিকে এগানো শুরু করলে সিয়ারা নিজেকে প্রস্তুত করতে থাকে। সিয়ারার একদম সামনে এসে ওর থেকে সামান্য দূরত্ব বজায় রেখে দাঁড়ালেও সিয়ারা তাকায় না আধভিকের দিকে। নীচের দিকে তাকিয়ে ঘন ঘন নিশ্বাস নেওয়া শুরু করে। আধভিক আরেকটু এগোলেই সিয়ারা চোখ বুজে ফেলে কিন্তু আধভিকের উপস্থিতি আর টের পায় না। চোখ খুলে দেখে আধভিক সামনে নেই। এদিক ওদিক তাকিয়ে পিছনে ফিরতেই দেখে, আধভিক দরজা বন্ধ করে দরজায় হেলান দিয়ে, পকেটে দু হাত গুঁজে, মাথাটা একটু হেলিয়ে, একদৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে সিয়ারার দিকে। সিয়ারা দমে যায় আধভিকের এমন চাহুনিতে। কোমল কণ্ঠে বলে,

“আধভিক!”

চোখ বুজে ফেলে আধভিক। কথাটা কান দিয়ে প্রবেশ করে বুকের ভিতরে থাকা জ্বলন্ত আগুনে জল ঢেলে দিয়েছে আধভিকের। এমনই অনুভূতি হচ্ছে তাঁর। বহু কাঙ্ক্ষিত গলার স্বর শুনে আধভিকের কি বলার ছিলো সেটাই ভুলে বসেছে।

“আপনি কিছু বলবেন আমাকে?”

খুবই ধীরে নিজের চোখ খুলে সিয়ারার দিকে তাকায় আধভিক। এইবার সিয়ারার বুকের ভিতরটা মোচড় দিয়ে ওঠে। আধভিকের আগুন নিবারণ হলে, সিয়ারার বুকে আগুন জ্বলে ওঠে। আধভিকের এমন দৃষ্টির সম্মুখীন হতেই তো সে চায়নি। কিছুতেই এই দৃষ্টির মুখোমুখি হওয়ার ক্ষমতা নেই তাঁর চোখ বুজে পিছন ফিরে গেলো সে।

[#ফিরে_আসবো_আগামী_পর্বে 🥀]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here