##কাননে_এত_ফুল (পর্ব-৪)
লেখক— ইনশিয়াহ্ ইসলাম।
৬.
ফুরফুরে মন নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে সোজা নিচে চলে এলাম। এসে দেখি মাও আছেন। আমাকে দেখে বললেন,
-“এত ঘুমাস কেন তুই? মৃদুলটা নিজের রুম কখনোই ছাড়েনা কারো জন্য। আর তুই কাল সেটা দখল করে নিলি।”
-“ডাকতে পারলা না? ডাকলেই তো হতো। আর তুমি বাসায় যাওনি?”
-“অনেক ডেকেছিলাম তুই উঠিসনি। পরে মিফতা মৃদুলকে বুঝিয়ে নিজের রুমে নিয়ে গেছে।”
-“আচ্ছা! তুমি এখানে এখনো কেন? বাসায় যাওনি?”
-“তোর বাবা চট্টগ্রাম গেছে কালকে বেশি রাত হওয়ায় আর ফিরেনি। তুই উপরে যখন গিয়েছিলি তখনই জানালো যে আসবেনা।”
-“বাসায় যাবেনা?”
-“বিকেলে যাব। তোর খালামণি যেতে দিচ্ছনা। মৈত্রী আর বহ্নিও আসবে ঘন্টা দু’য়েক বাদে।”
-“সত্যি! আপারা আসবে? কতদিন দেখা হয়না! আচ্ছা ঠিক আছে। আমি তাহলে যাই এক্কেবারে গোসল সেরে আসি।”
-“যা। তবে ঠান্ডা পানি বেশি ব্যবহার করিস না। হিটার টা চালু করে দিস।”
-“আচ্ছা।”
আমি চলেই আসছিলাম তখন রান্নাঘর থেকে খালামণির গলার আওয়াজ পেলাম। মা চোখ দিয়ে ইশারা করে বললেন খালামণির কাছে যেতে। আমি খালামণির কাছে গেলে খালামণি বললেন,
-“অর্নি? মিফতা এখনো উঠেনাই? একটু ডেকে দে না মা!”
-“ভাইয়া তো সেই কখন উঠেছে। আমরা ছাদে ছিলাম, ভাইয়া চা বানিয়েছিল চা ও খেলাম। এখন ভাইয়া আর পাশের বাড়ির ঐ ডাক্তারটা ছাদেই আছে।”
-“পাশের বাড়ির ডাক্তার বলতে! অভ্রর কথা বলছিস?”
-“হুম।”
-“ও কখন এলো? দেখলাম না তো!”
-“এসেছে পনেরো বিশ মিনিট হবে। তোমরা হয়তো রুমে ছিলে তখন।”
-“হ্যাঁ আমি মাত্রই রান্নাঘরে এলাম। আচ্ছা শোন, সবাইকে ডেকে বলে দে বিশ মিনিটের মধ্যে রেডী হয়ে নিচে আসতে। নাস্তা তৈরি হয়ে এসেছে প্রায়।”
-“হুম।”
আমি গুনগুন করতে করতেই উপরে চলে এলাম। কাউকেই ডাকিনাই। ঠেকা পড়ছে নাকি? হুহ! রুমে এসে মৈত্রী আপুর কাবার্ড থেকে আমার জামাগুলো বের করে নিলাম। আমার নতুন সাদা থ্রী পিস টা গতবার এখানেই রেখে গিয়েছিলাম। এখন সেটা পরলে ফুরফুরে একটা মুড আসবে। গোসল করলাম ঠান্ডা পানি দিয়েই। হিটার দিতে ভুলে গেছিলাম। প্রতিবারই এমন হয়।
—————————————
চুল মুছে পানি ঝরিয়ে নিলাম। একটু পর রোদে গিয়ে দাঁড়ালে এমনিই চুল শুকিয়ে যাবে। মুখে একটু ক্রিম মেখে, লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে, মৈত্রী আপুর স্পেইন থেকে আনা সেই দারুন ঘ্রাণের পারফিউমটা একটু স্প্রে করলাম। আহ! রিফ্রেশিং!
হেলিয়া দুলিয়া নিচে নামিয়া তব্দা খাইতে দেরি হইল না। মানে, খুশমেজাজে নিচে এসে দেখলাম মিফতা ভাই, মৃদুল ভাই আর রেসলার মার্কা ডাক্তারটা টেবিলে বসে আছে। সবাই সিঁড়ির দিকে মুখ করে বসাতেই আমার উপর তিন জোড়া চোখ পড়ল। আমি একটু ভ্যবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। এমন করে তাঁকিয়ে আছে আমার প্রচন্ড লজ্জা লাগা শুরু করেছে। না পারছি নিচে নামতে না পারছি ফিরে যেতে। কেমন অসহ্যকর পরিস্থিতি। এরা এমন তাঁকিয়ে আছে কেন? মিফতা ভাইকে নিয়ে আমি কখনো এত আনইজি ফিল করিনি। আজ করছি। করতে হচ্ছে। চুপচাপ উপরে চলে যেতে নিলেই খালামণি তার বাজখাই গলায় চেচিয়ি উঠলেন,
-“এই অর্নি? উপরে যাস কেন আবার! তাড়াতাড়ি নিচে আয়। সবাই তোর জন্য বসে আছে।”
এবার আর দোনামনা না করে টুস টুস করে নিচে নেমে এলাম। মা আর খালামণি পাশাপাশি বসেছেন। তো আমাকে বসতে হলো মিফতা ভাইয়ের বিপরীতে। আমি বসতেই সে একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিল। ডাক্তারটাও কেমন করে তাঁকিয়ে আছে। মিফতা ভাই আমার দিকে রুটির প্লেট টা এগিয়ে দিল। মা গরুর কালাভুনাটা আমার প্লেটে বেড়ে দিলেন। তখন মৃদুল ভাই রসকষহীন গলায় বলল,
-“আর কত দিবে খালামণি? দেখছ না কত মুটকি হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। কমিয়ে দাও।”
-“যাহ সবসময় দুষ্টুমি করিস। বেশি কথা বলিস না দেখা যাবে রাগ করে না খেয়েই চলে যাবে।”
মায়ের কথাটাও কেমন আমাকে টিপ্পনী কেটে বলেছে বলে মনে হলো। মৃদুল ভাইকে দেখলাম মিটিমিটি হাসছেন। আমি রাগ সামলাতে না পেরে টেবিলে রাখা নুনের পট থেকে সব নুন তার প্লেটে ঢেলে দিলাম। মিফতা ভাই বললেন,
-“খাবার সময় তোদের ঝগড়াঝাটি না করলেই হয়না? এই মৃদুল! চুপচাপ খা খেয়ে উঠে যা। বাজারে যেতে হবে আবার।”
মৃদুল ভাইকে দেখলাম আমার ঢেলে দেওয়া সেই নুনে ভরা গোশত টা রুটি ছিড়ে খাচ্ছেন। সবাই হা করে তাঁকিয়ে আছে সাথে আমিও চোখ কোটর থেকে বের করে ফেলেছি। ডাক্তারটা বলল,
-“মৃদুল! পাগল হলে নাকি? কি করছ? রাখো রাখো!”
ডাক্তারটা প্লেট টা টেনে সামনে থেকে সরিয়ে দিলেন। খালামণিও তাড়াতাড়ি নতুন প্লেটে খাবার বেড়ে দিলেন। কিন্তু মৃদুল ভাই না খেয়েই চলে গেলেন। আজব! সে রাগ করেছে কেন? আমি তো নিজে থেকে তাকে রাগাইনি। সে নিজেই তো আমাকে জ্বালায়।
মা আমাকে বললেন, -“যা তোর প্লেটটা আর মৃদুলের প্লেটটা নিয়ে উপরে যা। আর বদমাইশি কম কর। ছেলেটা ঠিকমত খেতেও পারেনি।”
আমি কিছু বলব তার আগেই মায়ের গরম চোখ দেখে চুপ হয়ে গেলাম। যার অর্থ, -“চুপচাপ যা বলছি কর, নইলে তোর খবর আছে।”
প্লেট নিয়ে যাওয়ার আগে আমি অসহায় চোখে মিফতা ভাইয়ের দিকে তাঁকালাম। ভাবলাম কি মিফতা ভাইটা আমাকে তুফানের সম্মূখীন হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিবেন। কিন্তু তিনি আর ঐ রেসলার মার্কা ডাক্তারটা তো গপাগপ খেয়েই চলেছেন। আমি সোজা মৃদুল ভাইয়ের রুমে চলে আসলাম প্লেট নিয়ে। দেখি সে বিছানা ঠিক করছে। ইশ! আমি লজ্জা পেলাম। আমি এইখানে শুয়েছিলাম, তারপর আমি মেয়ে হয়েও গুছালাম না আর তিনি ঠিকই ছেলে হয়ে সব ফিটফাট করে ফেললেন।
আমি রুমে ঢুকার পর তার মধ্যে কোনো রাগী প্রতিক্রিয়া দেখলাম না। বরং বিরক্ত হয়ে বললেন,
-“এই তুই এত অগোছালো কেন? বিছানা টা গুছিয়ে নিতে পারলিনা? বিয়ের পর কী করবি! সব কি তোর স্বামী করবে!”
আমি চুপচাপ প্লেট গুলো টেবিলে রেখে বললাম,
-“স্বামী করলে কী এমন ক্ষতি হবে! স্ত্রী করতে পারলে স্বামীরা কেন পারবেনা?”
মৃদুল ভাই কেমন করে তাঁকিয়ে হাসলেন। বললেন,
-“পারব তো!”
#চলবে।
৬.
ফুরফুরে মন নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে সোজা নিচে চলে এলাম। এসে দেখি মাও আছেন। আমাকে দেখে বললেন,
-“এত ঘুমাস কেন তুই? মৃদুলটা নিজের রুম কখনোই ছাড়েনা কারো জন্য। আর তুই কাল সেটা দখল করে নিলি।”
-“ডাকতে পারলা না? ডাকলেই তো হতো। আর তুমি বাসায় যাওনি?”
-“অনেক ডেকেছিলাম তুই উঠিসনি। পরে মিফতা মৃদুলকে বুঝিয়ে নিজের রুমে নিয়ে গেছে।”
-“আচ্ছা! তুমি এখানে এখনো কেন? বাসায় যাওনি?”
-“তোর বাবা চট্টগ্রাম গেছে কালকে বেশি রাত হওয়ায় আর ফিরেনি। তুই উপরে যখন গিয়েছিলি তখনই জানালো যে আসবেনা।”
-“বাসায় যাবেনা?”
-“বিকেলে যাব। তোর খালামণি যেতে দিচ্ছনা। মৈত্রী আর বহ্নিও আসবে ঘন্টা দু’য়েক বাদে।”
-“সত্যি! আপারা আসবে? কতদিন দেখা হয়না! আচ্ছা ঠিক আছে। আমি তাহলে যাই এক্কেবারে গোসল সেরে আসি।”
-“যা। তবে ঠান্ডা পানি বেশি ব্যবহার করিস না। হিটার টা চালু করে দিস।”
-“আচ্ছা।”
আমি চলেই আসছিলাম তখন রান্নাঘর থেকে খালামণির গলার আওয়াজ পেলাম। মা চোখ দিয়ে ইশারা করে বললেন খালামণির কাছে যেতে। আমি খালামণির কাছে গেলে খালামণি বললেন,
-“অর্নি? মিফতা এখনো উঠেনাই? একটু ডেকে দে না মা!”
-“ভাইয়া তো সেই কখন উঠেছে। আমরা ছাদে ছিলাম, ভাইয়া চা বানিয়েছিল চা ও খেলাম। এখন ভাইয়া আর পাশের বাড়ির ঐ ডাক্তারটা ছাদেই আছে।”
-“পাশের বাড়ির ডাক্তার বলতে! অভ্রর কথা বলছিস?”
-“হুম।”
-“ও কখন এলো? দেখলাম না তো!”
-“এসেছে পনেরো বিশ মিনিট হবে। তোমরা হয়তো রুমে ছিলে তখন।”
-“হ্যাঁ আমি মাত্রই রান্নাঘরে এলাম। আচ্ছা শোন, সবাইকে ডেকে বলে দে বিশ মিনিটের মধ্যে রেডী হয়ে নিচে আসতে। নাস্তা তৈরি হয়ে এসেছে প্রায়।”
-“হুম।”
আমি গুনগুন করতে করতেই উপরে চলে এলাম। কাউকেই ডাকিনাই। ঠেকা পড়ছে নাকি? হুহ! রুমে এসে মৈত্রী আপুর কাবার্ড থেকে আমার জামাগুলো বের করে নিলাম। আমার নতুন সাদা থ্রী পিস টা গতবার এখানেই রেখে গিয়েছিলাম। এখন সেটা পরলে ফুরফুরে একটা মুড আসবে। গোসল করলাম ঠান্ডা পানি দিয়েই। হিটার দিতে ভুলে গেছিলাম। প্রতিবারই এমন হয়।
—————————————
চুল মুছে পানি ঝরিয়ে নিলাম। একটু পর রোদে গিয়ে দাঁড়ালে এমনিই চুল শুকিয়ে যাবে। মুখে একটু ক্রিম মেখে, লিপবাম ঠোঁটে লাগিয়ে, মৈত্রী আপুর স্পেইন থেকে আনা সেই দারুন ঘ্রাণের পারফিউমটা একটু স্প্রে করলাম। আহ! রিফ্রেশিং!
হেলিয়া দুলিয়া নিচে নামিয়া তব্দা খাইতে দেরি হইল না। মানে, খুশমেজাজে নিচে এসে দেখলাম মিফতা ভাই, মৃদুল ভাই আর রেসলার মার্কা ডাক্তারটা টেবিলে বসে আছে। সবাই সিঁড়ির দিকে মুখ করে বসাতেই আমার উপর তিন জোড়া চোখ পড়ল। আমি একটু ভ্যবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম। এমন করে তাঁকিয়ে আছে আমার প্রচন্ড লজ্জা লাগা শুরু করেছে। না পারছি নিচে নামতে না পারছি ফিরে যেতে। কেমন অসহ্যকর পরিস্থিতি। এরা এমন তাঁকিয়ে আছে কেন? মিফতা ভাইকে নিয়ে আমি কখনো এত আনইজি ফিল করিনি। আজ করছি। করতে হচ্ছে। চুপচাপ উপরে চলে যেতে নিলেই খালামণি তার বাজখাই গলায় চেচিয়ি উঠলেন,
-“এই অর্নি? উপরে যাস কেন আবার! তাড়াতাড়ি নিচে আয়। সবাই তোর জন্য বসে আছে।”
এবার আর দোনামনা না করে টুস টুস করে নিচে নেমে এলাম। মা আর খালামণি পাশাপাশি বসেছেন। তো আমাকে বসতে হলো মিফতা ভাইয়ের বিপরীতে। আমি বসতেই সে একটা মিষ্টি হাসি উপহার দিল। ডাক্তারটাও কেমন করে তাঁকিয়ে আছে। মিফতা ভাই আমার দিকে রুটির প্লেট টা এগিয়ে দিল। মা গরুর কালাভুনাটা আমার প্লেটে বেড়ে দিলেন। তখন মৃদুল ভাই রসকষহীন গলায় বলল,
-“আর কত দিবে খালামণি? দেখছ না কত মুটকি হয়ে যাচ্ছে দিনদিন। কমিয়ে দাও।”
-“যাহ সবসময় দুষ্টুমি করিস। বেশি কথা বলিস না দেখা যাবে রাগ করে না খেয়েই চলে যাবে।”
মায়ের কথাটাও কেমন আমাকে টিপ্পনী কেটে বলেছে বলে মনে হলো। মৃদুল ভাইকে দেখলাম মিটিমিটি হাসছেন। আমি রাগ সামলাতে না পেরে টেবিলে রাখা নুনের পট থেকে সব নুন তার প্লেটে ঢেলে দিলাম। মিফতা ভাই বললেন,
-“খাবার সময় তোদের ঝগড়াঝাটি না করলেই হয়না? এই মৃদুল! চুপচাপ খা খেয়ে উঠে যা। বাজারে যেতে হবে আবার।”
মৃদুল ভাইকে দেখলাম আমার ঢেলে দেওয়া সেই নুনে ভরা গোশত টা রুটি ছিড়ে খাচ্ছেন। সবাই হা করে তাঁকিয়ে আছে সাথে আমিও চোখ কোটর থেকে বের করে ফেলেছি। ডাক্তারটা বলল,
-“মৃদুল! পাগল হলে নাকি? কি করছ? রাখো রাখো!”
ডাক্তারটা প্লেট টা টেনে সামনে থেকে সরিয়ে দিলেন। খালামণিও তাড়াতাড়ি নতুন প্লেটে খাবার বেড়ে দিলেন। কিন্তু মৃদুল ভাই না খেয়েই চলে গেলেন। আজব! সে রাগ করেছে কেন? আমি তো নিজে থেকে তাকে রাগাইনি। সে নিজেই তো আমাকে জ্বালায়।
মা আমাকে বললেন, -“যা তোর প্লেটটা আর মৃদুলের প্লেটটা নিয়ে উপরে যা। আর বদমাইশি কম কর। ছেলেটা ঠিকমত খেতেও পারেনি।”
আমি কিছু বলব তার আগেই মায়ের গরম চোখ দেখে চুপ হয়ে গেলাম। যার অর্থ, -“চুপচাপ যা বলছি কর, নইলে তোর খবর আছে।”
প্লেট নিয়ে যাওয়ার আগে আমি অসহায় চোখে মিফতা ভাইয়ের দিকে তাঁকালাম। ভাবলাম কি মিফতা ভাইটা আমাকে তুফানের সম্মূখীন হওয়া থেকে বাঁচিয়ে দিবেন। কিন্তু তিনি আর ঐ রেসলার মার্কা ডাক্তারটা তো গপাগপ খেয়েই চলেছেন। আমি সোজা মৃদুল ভাইয়ের রুমে চলে আসলাম প্লেট নিয়ে। দেখি সে বিছানা ঠিক করছে। ইশ! আমি লজ্জা পেলাম। আমি এইখানে শুয়েছিলাম, তারপর আমি মেয়ে হয়েও গুছালাম না আর তিনি ঠিকই ছেলে হয়ে সব ফিটফাট করে ফেললেন।
আমি রুমে ঢুকার পর তার মধ্যে কোনো রাগী প্রতিক্রিয়া দেখলাম না। বরং বিরক্ত হয়ে বললেন,
-“এই তুই এত অগোছালো কেন? বিছানা টা গুছিয়ে নিতে পারলিনা? বিয়ের পর কী করবি! সব কি তোর স্বামী করবে!”
আমি চুপচাপ প্লেট গুলো টেবিলে রেখে বললাম,
-“স্বামী করলে কী এমন ক্ষতি হবে! স্ত্রী করতে পারলে স্বামীরা কেন পারবেনা?”
মৃদুল ভাই কেমন করে তাঁকিয়ে হাসলেন। বললেন,
-“পারব তো!”
#চলবে।