#নিশীভাতি
#৫ম_পর্ব
একপর্যায়ে মার সহ্য না করতে পেরে নিজের পিতাকে সজোরে ধাক্কা দিল কাওছার। ছিটকে পড়লো শামসু মিঞা। তাড়াতাড়ি রাশাদ তাকে ধরলো। বৃদ্ধ শরীর উত্তেজনায় কাঁপছে। বুকে ব্যাথা করছে। বড় বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বলতে লাগলেন,
“এই শয়তানডারে বের কর। এক্ষন বের কর”
বলতে বলতেই নিস্তেজ হয়ে পড়লেন তিনি। একটা সময় অতিরিক্ত উত্তেজনায় জ্ঞান হারালেন শামসু মিঞা। রাশাদ মুহূর্তেই বিচলিত হয়ে গেলো। আতিয়া খাতুন ভীত স্বরে শুধালেন,
“উনার কি হইছে?”
“মতি ডাক্তারকে খবর দিতে হবে দাদী”
*****
তিন বাড়ি পর গ্রামের হাতুড়ে ডাক্তার মতিন থাকেন। সবাই তাকে “মতি ডাক্তার” নামেই ডাকে। তার ডাক্তারি বিদ্যা সম্পর্কিত ধারণা কারোর ই নেই, তবে সে বেশ ভালোই প্রেসার মাপতে পারেন। টুকটাক ঔষধপত্র ও দিতে পারেন। তাকেই রাত বিরাতে প্রায় কাঁধে করে নিয়ে এলো রাশাদ। শামসু মিঞা তখন ও অচেতন। আতিয়া খাতুন কাঁদছেন। কাওছার এক কোনায় চোরের মত দাঁড়িয়ে আছে। তার মধ্যে খুব একটা বিচলিত ভাব লক্ষ্য হলো না হুমায়রার। মাঝে মাঝে নিজের বাবা নামক এই অপদার্থ, অকালকুষ্মান্ড ব্যক্তিটির প্রতি অনুভূতিশুন্য হয়ে যায় হুমায়রা। রাগও তখন বৃথা লাগে। তবে মানুষটির দেখা এত তাড়াতাড়ি পাবে আশা করে নি। আজ প্রায় পনেরো দিন পর সে বাড়ি এসেছে। হয়তো আবার টাকা শেষ, বা জুয়া মদে উড়িয়ে দিয়েছে। তাই চোরের মত গহীন রাতে এসেছে ঠাঁই এর আশায়। মতি ডাক্তার অনেক পরীক্ষা টরীক্ষা করে বললেন,
“রাশাদ সদর নিয়ে যাও। অবস্থা ভালা লাগতাছে না”
*******
সদরে পৌছালো ভোর পাঁচটার দিকে। অশ্বথ গাছের পাখিরা তখন কলরবে ব্যাস্ত। ভোরের শিশির জমেছে হাসপাতালের কচি ঘাসে। কিন্তু এতো মনোরম সকালের সৌন্দর্য্য গায়ে লাগছে না। অগ্রহায়ণ মাসের এই হালকা ঠান্ডায় বুড়ো মানুষটিকে নসীবনে করে হাসপাতাল নিয়ে এসেছে রাশাদ, তার বন্ধু বল্টু এবং দোকানের মিঠু। রাশাদ যাবার আগে কাওছারকে কড়া স্বরে বলে এসেছে,
“এখানে হাজার খানেক টাকা আছে, যেখানে ছিলেন ওখানে চলে যান। আমি যেনো এসে আপনাকে না দেখি। সময় সময় টাকা চলে যাবে”
কাওছার এই প্রথম নিজ পুত্রের চোখের দিকে তাকাতেও ভয় পেলো। অন্যসময় হলে তার হুমড়ি তুমড়ি, লম্ফজম্পের কমতি থাকতো না। কিন্তু আজ অন্তরে একটা ভয় ছিলো। যতই হোক সে বৃদ্ধ হয়েছে, আঠাশ বছরের তাগড়া যুবক যদি হাত তুলে তবে হয়তো রেহাই থাকবে না। তবে রাশাদ চলে যাবার পর থুথু ফেলে নিজেকে জাহির করে বললো,
“ভাব বাইড়া গেছে খুব, সব যাইবো গা। কি ভাবে নিজেরে? আমার বাড়ি, আমার বাড়ি আমি ছাড়বো?”
আতিয়া খাতুন চোখ মুখ খিঁচিয়ে উঠলেন। নিজের অবাধ্য সন্তানটিকে দেখেই ঘৃণা হলো নিজের প্রতি। এমন সন্তান যেন কারোর পেটে না হয়! মুখ খিঁচিয়ে বললেন,
“মাইর খাওনের আগে সিধা হ, রাশাদ যা কইছে তাই করবি। ভুইল্লা যাইস না ঘরডা তোর না”
হুমায়রা দাদীকে শান্ত হতে বললো। আর বাবার দিকে চেয়ে কঠিন দৃষ্টিতে তাকালো। খুব শীতল স্বরে বলল,
“ভাইজান টাকা দিছে আপনারে, এর পর কিন্তু ওইটাও পাইবেন না”
“খুব বুলি হইছে তোর”
“হ, হইছে। কি করবেন? ভুলে যাইয়েন না, আপনার সব অকামের মাশুল আমার ভাইজান দিচ্ছে। আপনার লজ্জা লাগে না কথা বলতে? মানুষের তো একটু ঘিনপিত থাকে। ভালোয় ভালোয় যান গা, নয়তো শফি ভাইয়ের ঐ টাকা আপনার দিতে হবে”
হুমায়রার শান্ত আঁখি ধিকধিক করে জ্বলছে। তার কণ্ঠ অবিচল, জড়তাহীন। শান্ত, ক্ষুদে অবলাকে এমন তেজস্বী রুপে দেখে অবাক হলো কাওছার হলো। কিঞ্চিত নড়ে চড়েও উঠলো। বুঝলো এবার ঠাঁই হবে না এই ঘরে। সমস্যা নেই, বুড়া তো মরবেই। তখন আবার সব নেওয়া যাবে।
*******
উপজেলায় বড় ডাক্তাররা নেই। তাই সদরে নিয়ে আসা। শামসু মিঞার জন্য বেড পাওয়া যায় নি। তাকে বারান্দায় রাখা হয়েছে। ডিউটিরত নার্সকে বলায় সে প্রেসার চেক করলো। প্রেসার বেশি, পালস ও বেশি। হার্ট এট্যাক করার সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু শামসু মিঞাকে স্যালাইন দিয়ে সেই নার্স ও চলে গেলো। সময়ের কাটা চলছে নিজ গতিতে। সেই সাথে রাশাদের চিন্তাও বাড়ছে। আশেপাশে সব অচেতন, অসুস্থ রোগী। কয়েকজন তো মুমূর্ষু প্রায়। একজন এগিয়ে এসে বললো,
“কি হয়েছে উনার?”
“জানি না”
“বয়স তো মেলা। শ্বাস নিচ্ছে?”
“হ্যা নিচ্ছে”
“তাইলে মরে নাই বলেন”
রাশাদের উত্তর দিতে ইচ্ছে হলো না। পাশ থেকে যেই বয় বা নার্সকে পাচ্ছে তাকেই শুধায় ডাক্তার কখন আসবে। কিন্তু ডাক্তার আর আসে না। একপর্যায়ে রাশাদের ধৈর্য্যশক্তি লোপ পেলো। নার্স যখন এবার ও বললো,
“ম্যাডাম আসতেছে”
তখন সে চেঁচিয়ে উঠল,
“রোগী মারা গেলে আপনার ডাক্তার আসবে?”
“আপনি এখানে চেঁচাচ্ছেন কেনো?”
পেছন থেকে মিহি স্বর শুনেই পেছনে তাকালো রাশাদ। সাদা এপ্রোন, গলায় স্টেথেস্কোপ। একটি মেয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে চশমা। এলোমেলো খোঁপায় বাঁধা চুল। চোখে রাজ্যের ক্লান্তি। রাশাদের মুখোমুখি হয়েই সে তেজী স্বরে বলল,
“কি সমস্যা আপনার। এখানে চেঁচাচ্ছেন কেনো?”
“আমার রোগী অচেতন হয়ে পরে আছে, এক ঘন্টা ধরে শুনছি ডাক্তার আসবে আসবে, কখন আসবে ডাক্তার।“
“কোথায় আপনার রোগী? দেখি সরুন”
বলেই সরিয়ে দিলো রাশাদকে। মেয়েটি রাশাদের বুক অবধিও আসে না। অথচ এই মেয়েটি ডাক্তার। বেশ কিছুক্ষণ পর্যবেক্ষণ করে সে নার্সকে কিছু লিখে দিলো। নার্স ছুটলো তার মতো। কিছুক্ষণ পর কিছু ঔষধ নিয়ে এলো সে। মেয়ে ডাক্তারটি রুক্ষ্ণ স্বরে বলল,
“উনি তো অচেতন, ক্যানোলা করুন। নয়তো ইঞ্জেকশন পুশ কিভাবে করবেন?”
নার্স তার ধমকে সাথে সাথে কাজ করলেন। মেয়েটি এবার রাশাদের দিকে তাকিয়ে বললেন,
“উনি কি কিছু নিয়ে হাইপার হয়েছেন?”
“জি, আসলে”
“কারণ শুনতে চাইছি না, আমার সময় নেই। উনার মাইল্ড হার্ট এট্যাক হয়েছে, এখন সেন্সলেস। আমি ঔষধ দিয়েছি। এখন ঘুমোবেন। একটু খেয়াল রাখবেন। আর কিছু টেস্ট করাতে হবে। এখানেই হবে। সামনে যেয়ে রিসিট কেটে আনেন। আমি নার্সকে লিখে দিয়েছি।“
“আচ্ছা”
“রোগীর কে হন আপনি?”
“নাতী”
“একটা কথা বলি নাতীসাহেব, এই যে এখানে যত রোগী আছে, সেটা হাসপাতালের দশ ভাগের এক ভাগ ও নয়। এটা সরকারী হাসপাতাল তাই ডাক্তার এখানে আমার মতো কিছু ইন্টার্ণ। বড় ডাক্তাররা নিশচয়ই ভোর পাঁচটায় আসবেন না। তাই এই কিছু ইন্টার্ণদের সারা হাসপাতালের রোগীদের দেখতে হয়। তাই আসতে সময় লাগে। আর এখানে সবাই ই গুরুত্বপূর্ণ, কাউকে কম গুরুত্ব বা বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তাই অহেতুক চিৎকার চেঁচামেচি করবেন না”
মেয়েটির কণ্ঠে আলাদাই তেজ। অথচ মুখে রাগের কোনো ছিটে নেই। ক্লান্ত চোখগুলোর মধ্যেও দীপ্তিময়ী দৃষ্টি লোপ পায় নি। রাশাদ কিছুটা লজ্জিত হলো। আসলে তখন নিয়ন্ত্রণ হারা হওয়া ঠিক হয় নি। লজ্জিত, বিব্রত স্বরে বললো,
“আমি দুঃখিত, ওভাবে ব্যবহারের জন্য”
“আমাকে বলে লাভ নেই, ওই কাজরী আপাকে বলুন। বেচারা সারা রাত নির্ঘুম ছিলেন। তবুও আপনার ঝামটি খেয়েছেন। সেও তো মানুষ। আর রোগীর চিন্তা আপনার হবে স্বাভাবিক। কিন্তু আমাদের দিকটাও দেখবেন আশাকরি। আপনি রিসিট কেটে আনুন”
“আচ্ছা, ওয়ার্ডের বন্দোবস্ত হবে না।“
“সেটা বলতে পারছি না, দেখছেন ই তো অবস্থা। এটা সরকারী হাসপাতাল নাতী সাহেব। এখানে পঞ্চাশ টাকায় ডাক্তার দেখানোর লোভ কেউ ছাড়েন না। তবে নেতাগোতা কেউ থাকলে সুপারিশ করাতে পারেন”
স্মিত হেসে কথাটা বললো মেয়েটি। মেয়েটির হাসিটি খুব ই স্নিগ্ধ। কি চমৎকার কথা বলার ভঙ্গি। ছোটখাট, জীর্ণশীর্ণ শরীরের মেয়েটির মাঝে খুব নজরকারা ব্যক্তিত্ব লুকায়িত। রাশাদ মাথা চুলকে শুধালো,
“আপনার নাম?”
“কেনো?”
“রিসিট কাটতে গেলে লাগবে যে”
“ওহ, হ্যা। ইলহা, ইলহা শাহরিয়ার”
রাশাদ মনে মনে আওড়ালো একবার নামটি, “ই—ল—হা”। তারপর সে সময় নষ্ট না করেই ছুটে গেলো রিসিট কাটতে। ইলহাও তার কাজ সম্পন্ন করলো। এর মাঝেই তার ডাক পড়লো অন্যখানে। সে সেখানেই ছুটলো। রাশাদ যখন এলো, তখন সেখানে নার্স সেলাইন ঠিক করছেন। রাশাদ তাকে শুধালো,
“ডাক্তার কোথায়?”
“তার কি সময় আছে নি, সে তো ডাক পড়ছে গেছে গা”
সত্যি ই তো সে এখানের ডাক্তার, তার কি এতো সময় আছে। রাশাদ রিসিট নার্সের হাতে দিলে সে রিসিট দেখে রক্ত বের করে নিলো শামসু মিঞার। বললো,
“রিপোর্ট দু দিন পর আসবে”
********
শামসু মিঞার শরীর এখন অনেকটাই ভালো, উত্তেজনার জন্য হার্ট এট্যাক এসেছিলো। বিকালে বড় ডাক্তার দেখে গিয়েছিল। তিনি বলেছেন,
“কয়েকদিন থাকুক হাসপাতালে”
তাই আজ চারদিন সে হাসপাতালে। প্রতিদিন তার জন্য বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাবার দায়িত্ব হুমায়রা এবং আতিয়া খাতুনের। হুমায়রা দাদী আর খাবারকে পৌছে চলে যায় কলেজে। রাশাদ সন্ধ্যের পর থাকেন। আর সকাল থেকে আতিয়া খাতুন ওখানে থাকেন। হুমায়রার পড়ালেখা যেন বন্ধ না হয় সেদিকেও খেয়াল রাশাদের। তাই সে বাসায় ই থাকছে। সকালে উঠে সে দাদীর সাথে সব কাজ শেষ করে। তারপর হাসপাতালের উদ্দেশ্যে বের হয়ে তারা। রাশাদ এই কদিন সকাল সকাল দোকান খুলে আর সন্ধ্যের সময় বন্ধ করে দেয়। ভাইজানের উপর ধকল সর্বাধিক যাচ্ছে। হুমায়রার চিন্তা হয়, কিন্তু ভাইজানকে বললে সে শুনে না। হাসিমুখে উত্তর দেয়,
“পাকা বুড়ি হইছিস, একেবারে যেনো দাদীর ফটোকপি”
তাই আজ নিজ বুদ্ধিতেই হুমায়রা চললো চেয়ারম্যানবাড়ি। ওদের খুব বড় নারকেলের বাগান। দেলওয়ার সাহেবকে বললে সে বিনা পয়সায় ডাব পারতে দেয়। গ্রামের সবাই তাই ডাব বেঁচা বা কেনা বন্ধ করে দিয়েছে। সেখানে বিনা পয়সায় পাওয়া যাচ্ছে সেখানে টাকা খরচ করবে কেনো। রাস্তায় মিঠুকে পেলো, তাকেই ধরে বেঁধে নিয়ে গেলো হুমায়রা। চেয়ারম্যানের বাগানে ঢুকে ডাব পারলো মিঠু ছয়টা। তারপর সে হাঁপিয়ে গেছে। হুমায়রা ঠোঁট উলটে বললো,
“আরোও কয়টা পেরে দেও না মিঠু ভাই, রোজ রোজ কি আসবো নাকি?”
মিঠু নারাজ। ঠিক তখন ই কোথা থেকে একটা ছেলে এসে হুমায়রাকে বলল,
“আপা, আপনে বাড়িত যান। নারকল বাড়ি চলি যাবে”
ছেলেটিকে হুমায়রা চিনে। তার নাম রহমত। ছেলেটি চেয়ারম্যান পুত্র আমানের সাগরেট। সাথে সাথেই চোখ কুঁচকালো হুমায়রা। দীর্ঘশ্বাস ফেলে শুধালো,
“কোথায় আপনার ভাই?”
*******
আমানের সামনে দাঁড়িয়ে আছে হুমায়রা। লোকটি তারদিকে একরাশ মুগ্ধতা এবং না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে তাকিয়ে আছে। তার মাঝে কোনো অনুশোচনা লক্ষ হলো না। পকেটে হাতদিয়ে দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। লোকটি হুমায়রাকে পছন্দ করার দাবি জানায়। এক বার নয় প্রায় বিশোর্ধ্ববার। এবার বিরক্তি লাগছে হুমায়রার। তাই বিনাভনীতায় বলে উঠলো,
“আপনি এভাবে আমার পেছনে ঘুরেন, লুকিয়ে চুরিয়ে আমাকে দেখেন, আমাকে নানাভাবে প্রেমের কথা বলেন— এই কাজগুলো আমার ভালো লাগে না”
“তোমার তো আমাকেই ভালো লাগে না হুমায়রা। আচ্ছা তোমার আমাকে কেন ভালো লাগে না? আমি কি মানুষটি খুব খারাপ?”
কাতর স্বরে কথাটা বললো আমান। হুমায়রা কিছুসময় চুপ করে রইলো। কিছু প্রশ্নের উত্তর এতোটা সহজ হয় না। সে হ্যা বা না তে উত্তর দিতে পারবে না। আমান আবার শুধালো,
“তোমার আমার প্রতি এতো অনীহা কেনো হুমায়রা?”
“আমি আপনার মধ্যে আমার বাবার প্রতিচ্ছবি দেখি আমান ভাই। মেয়েরা চায় তার জীবনসঙ্গী যেনো তার বাবার মতো হয়, কিন্তু আমি চাই না। আমার ভয় হয়”…………
চলবে
[মুসলিম পাড়ার দুটি বাড়ি, নাম শান্তিকানন এবং সুখনীড়। কিন্তু সেখানে অশান্তির বাস আর সুখের ছিটেফুটেও নেই। আছে শুধু ঝগড়া কলহ, বিদ্বেষ। বড়রা তো বড়রা, ছোটরাও এই কোন্দলে ঝাঝড়া। সকালবেলায় বল এসে ভেঙ্গে ফেললো আয়াতের শখের চুড়ি। ক্রোধ বর্ষণ হলো এই পাশ থেকে। কিন্তু ওপাশের সৌম্য পুরুষ, সাফওয়ান কেবল ই হাসলো। ফলে আরেকদফা ঝগড়া লাগলোই। আর দর্শক হলো মুসলিম পাড়া। এই বিদ্বেষ, কলহের বাতাসে প্রেমপুষ্প ফোটাবার দুঃসাহস পোষন করেছে এক জোড়া কপোত-কপোতী, প্রভা-ইশতিয়াক। আঠারো বছর ধরে সঞ্চিত প্রণয় পরিণয়ে পৌছাবে তো? নাকি তার পূর্বেই দু-বাড়ির কোন্দল পিষিয়ে দিবে প্রেম? সাফওয়ান-আয়াতের ঝগড়া কি কখনো শেষ হবে? নাকি চাঁদ কখনো বলবে হাতটি ধরতে?
ই-বই : চাঁদ বলে হাতটি ধরো (অংশ বিশেষ)
পুরো গল্পটা পাবেন শুধুমাত্র বইটই এপে। দাম মাত্র ৬০ টাকা!বইটি পড়তে হলে অবশ্যই গুগল প্লে স্টোর থেকে বইটই এপ ডাউনলোড করে নিজের একাউন্ট রেজিস্টার করতে হবে]
মুশফিকা রহমান মৈথি