প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover) #পর্ব-21(বাজিমাত😎) #Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

0
599

#প্রেমময়নেশা (The story of a psycho lover)
#পর্ব-21(বাজিমাত😎)
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

পায়েল এইসব দেখে নিজেকে সামলাতে পারছেনা।অয়ন আর রিমি এতো কাছাকাছি।অয়ন রিমিকে এতো ভালোবাসে তার থেকেও বেশি?অয়ন কি তাকে তাহলে কোনোদিনও ভালোবাসেনি।সব উত্তর তাকে আজ দিতেই হবে। ফারহান ও সুমাইয়ার দিকে তাঁকিয়ে গাইতে লাগলো💕
Kyea tune abbhi rakhe prem ke O sandhes?
patthar banke chadpar teri detha tha jo pek 🥀
yaaad mujhe rakhta hae aptu abhi unko dekh 🥀
kya tere hoto ko patha hae abhi mere nam 💕
kya tere hoto ko patha hae abhi mere nam?

(সুমাইয়া মুগ্ধ হয়ে দেখছে ফারহানকে)
একটা মেয়ে সুমাইয়ার হাতে মেহেদী পড়াচ্ছিলো সে বলে উঠে-
ম্যাম আপনার কি কোনো মনের মানুষ আছে যার নাম আপনার হাতে লিখবো?
সুমাইয়া নিজের অজান্তেই বলে উঠে-
ফারহান। মেয়েটিও মুচকি হেঁসে সুমাইয়া হাতে ফারহান লিখে দেয়। সুমাইয়ার সেদিকে খেয়াল নেই সে তো ফারহানকে দেখতে ব্যস্ত।)
🥀Yaad bohat ayte ho mujko tu or apna ghaanv 🥀
mehedi wale hath wooh tere payeel wale pannav 🥀
mehedi wale hath wooh tere payeel wale pannav 💕
yaad bohat ayte ho mujko tu or apna ghaanv 🥀
(ফারহান নিজের চোখ মুছে ফেলে এই গানের মাধ্যমে সে যেনো অনেক কথায় সুমাইয়াকে বলেছে যা শুধুই নিজের মনের কথা আচ্ছা সুমাইয়া কি তা বুঝেছে?)

এদিকে অয়ন আমাকে অনেক সুন্দর করে মেহেদি পড়িয়ে দিলেন। সত্যি অনেক সুন্দর লাগছে। উনি কত সুন্দর গান গাইতে পারে। উনার দেখি গুনের শেষ নেই। ফারহান অবাক হয়ে বলে উঠে- বাহ দোস্ত তুই দেখি কত সুন্দর করে পড়িয়ে দিতে পারিস।
অয়ন বাঁকা হেঁসে বলে উঠে- দেখিছিস অয়ন চৌধুরী পারেনা এমন কাজ খুবই কম-ই আছে।
সুমু আমার কাছে এসে বলে উঠে- সত্যি তুই অনেক লাকিরে।
ফারহানঃ আমার দোস্ত তোমার হবু জামাই তাই।
রিমিঃ শুধু কি আমিই লাকি। আপনার স্ত্রীও অনেক
লাকি হবে ফারহান ভাইয়া। আপনি কত সুন্দর গান
গাইতে পারেন।

রিমির কথার শুনে

ফারহান সুমাইয়া এর দিকে তাকায়। সুমাইয়া অপ্রস্তুত হয়ে উঠে।
আমি বুঝলাম নাহ আমার কথা শুনে সুমু আর ফারহান ভাইয়া একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে কেন?তারা কি একে অপরকে আগে থেকে চিনে?তাদের হাবভাব দেখে তো তাই মনে হচ্ছে। কিন্তু তা হলে সুমু আমাকে বলতো কি জানি?
আচ্ছা উনি কোথায়?

অয়ন হসপিটাল এর বিষয় নিয়ে ফোনে কিছু আর্জেন্ট কথা বলছিলো বাগানে। বাগানে এখানে তেমন কেউ নেই। সবাই স্টেজের এর দিকে।
পায়েল অয়ন এর পিছনে এসে দাঁড়ায়। অয়ন ফোনে কথা শেষ করে পিছনে তাঁকিয়ে দেখে পায়েল।
অয়নঃ পায়েল তুমি? অসুস্থ শরীরে এখানে আসলে গেলে কেন( হাত ভাজ করে)

পায়েলঃ যাক তাও তোমার মনে আছে? আমি অসুস্হ। আচ্ছা অয়ন একটা কথা বলি?
তুমি কি আমাকে কোনোদিন ভালোবাসো নি?

অয়ন সোজাসোজি উত্তর দেয়–
ভালোবাসতাম। কিন্তু সেটা শুধুই অতীত!

পায়েলঃ কিন্তু প্রথম ভালোবাসা কি এতো সহজেই ভুলা যায়? আর তুমি যদি সেটাই করে থাকো তার মানে বুঝে যেতে হবে তোমার ভালোবাসায় খাত ছিলো!
তাই এতো সহজে আমাকে ভুলে গিয়ে তুমি রিমিকে ভালোবাসতে পারছো।

অয়ন যেনো মুহুর্তেই রেগে যায় –
সে বলে উঠে-
খাত তাও আমার ভালোবাসায়? নাহ পায়েল যার প্রতি একবার গভীর থেকে একেবারে ভিতর থেকে ঘৃণা চলো আসে না তাকে অন্তত আর ভালোবাসা যায়না। তখন ঘৃণার কাছে ভালোবাসা ফিকে হয়ে যায়।

পায়েল অবাক হয়ে বলে উঠে-
ঘৃণা মানে?

অয়নঃ এতোটা ভালোবাসতাম তোমাকে। তুমি কি করলে অন্য একজন এর হাত ধরে চলে গেলে আমাকে একা করে। কিসের কম ছিলো আমার মধ্যে? বলতে পারো তুমি? তুমি ছলনাময়ী আমার সাথে শুধু শুধু ছলনাই করে গেলে তুমি এখানো করে যাচ্ছো!( বলতে বলতে এক ফোটা জল গড়িয়ে পড়ে অয়নের চোখ থেকে)
ভালোই হয়েছে তুমি না চলে গেলে আমার রিমিপরীকে আমি পেতাম নাহ।

পায়েলঃ মানে(অবাক হয়ে)

অয়ন এবার নিজের চোখমুখ শক্ত করে বলে উঠে-তুৃমি কি সত্যি অসু্স্হ? পায়েল?

পায়েল এইবার কাঁপাকাঁপা কন্ঠে বলে উঠে-
এইসব কি বলছো? অয়ন তুমিও আমার রিপোর্ট দেখেছ? আমার ডক্টর এর সাথেও তুমি কথা বলেছো।

অয়নঃ আর কত মিথ্যে বলেবে তুমি পায়েল। এতোটা নাটক কীভাবে করতে পারো তুমি?তোমার তো নাটকের মঞ্চে নাম দেওয়া উচিৎ।(তাচ্ছিল্যের সুরে)

পায়েল অসহায় কন্ঠে বলে উঠে-
অয়ন!

অয়ন আবারো রেগে বলে উঠে-
ভুলে যেওনা আমি অয়ন চৌধুরী। আমিও ডক্টর।
অয়ন চৌধুরীকে বোকা বানানো এতোই সহজ হাহ। তোমার সো কল্ড ডক্টরের জালিয়াতি আর তোমার নাটক আমি ধরে ফেলেছিলাম।প্রথম দিনই। তাও তোমাকে এই বাড়িতে নিয়ে এসেছি আমার একটি কার্যসিদ্বি করতে।

পায়েলঃ কার্যসিদ্ধি মানে?

অয়নঃ তোমাকে আমার সাথে দেখলে রিমিপরী জেলাস ফিল করবে আর বুঝবে সে আমাকে কতটা ভালোবাসে। আর সেই রেজাল্ট তুমি আজ নিজ চোখেই দেখতে পারছো আমাদের বিয়ে। তাই আমাদের বিয়েতে তোমার একটা বড় ক্রেডিট পাওনা।

পায়েল এর পায়ের তলা থেকে যেনো মাটি সরে গিয়েছে। এতোদিন অয়ন তার সাথে গেম খেলছিলো।

অয়ন আবারোও বলে উঠে-
তুমি কেন করেছো কিসের জন্য করেছো। সেইটা আপতত বাকি থাক। তুমি আমার বাড়িতে এসেছো।বিয়েটা ইঞ্জয় করো। বিয়েটা শেষ হোক।
পায়েল চুপ হয়ে থাকে

অয়নঃ তারপর তোমাকে দেকে নিবো পায়েল।( মনে মনে)

অয়ন গটগট করে চলে যায়। এদিকে পায়েল কি করবে কিচ্ছু বুঝতে পারছেনা। তার পুরো মাথা যেনো ঘুড়ছো। অয়ন যেনো পুরো খেলায় #বাজিমাত করে দিলো

এদিকে সুমাইয়া যেতে লাগলে ফারহান তার পথ, আটকে দাঁড়ায়।

অয়ন আমার কাছে ফিসফিস করে বলে উঠে-
রিমিপরী!
উনার কন্ঠে আমি কেঁপে উঠলাম
উনি আমার বন্ধ চোখ জোড়ায় শব্দ করে চুমু খায়।

ফারহান সুমাইয়া হাত দুটো নিজের হাতে পুড়ে নেয়।

সুমাইয়া ঃ কি হচ্ছে? কি?ছাড়ুন কেউ দেখে ফেল্লে খারাপ ভাবতে পারে।

ফারহানঃ আমি আর পারছিনা সুমু! প্লিয ফিরে এসোনাহ ( ছলছলে চোখে)

সুমাইয়াঃ কল মি.সুমাইয়া। সুমু বলার অধিকার টাও আপনি হারিয়েছেন।

ফারহান সুমাইয়া হাত টুকু ধরে আস্তে করে চুমু খায়।

ফারহানঃ তাহলে তোমার হাতে আমার নাম লিখা কেন? যদি অধিকার -ই না থাকে তাহলে তোমার মেহেংদী রাজ্ঞা হাতে আমার নাম টি কেন?

সুমাইয়া মুখ ঘুড়িয়ে নেয়।

ফারহান ঃ আর কত অভিমান করবে?

( সুমাইয়া আর ফারহান এর কাহিনী শুরু হয়েছিলো ৩ বছর আগে)
অফিস যাওয়ার দিন ফারহান একদিন সুমাইয়া কে দেখে । খোলা চুলে শাড়ি পড়া হলুদ পাখি লাগছিলো।
তাকে। সেদিনই ফারহান সুমাইয়া কে পছন্দ করে ফেলে।
সুমাইয়া কে প্রপোজও করেছিলো কিন্তু সুমাইয়া রিজেক্ট করে দেয় ফারহানকে। ফারহান হাল ছাড়েনা। কিন্তু একদিন সুমাইয়া ফারহানকে না করতে পারেনা। সুমাইয়া ফারহানকে ভালোবেসে ফেলেছিলো। কিন্তু যেদিন সুমাইয়া ফারহানকে প্রপোজ করবে সেদিনই সে জানতে পারে ফারহান এর গার্লফ্রেন্ড ছিলো সে শুধু সুমাইয়ার সাথে টাইম পাস করেছিলো। সুমাইয়া একেবারে ভেজ্ঞে পড়ে। কিন্তু একদিন ফারহান বুঝতে পারে সে সত্যি সুমাইয়া কে ভালোবাসে কিন্তু
ততদিনে সুমাইয়ার মনে অভিমানের বীজ বপন হয়ে গিয়েছে)

সুমাইয়া ঃ বললাম তো আপনি আমার আপন নন!
তো অভিমান কিসের

ফারহানঃ আমার মা বলছিলো আমার জন্য নাকি মেয়ে দেখছে

কথাটা শুনেই সুমাইয়ার বুকের ভিতর মুচর করে উঠে-কি বলছে কি ফারহানের বিয়ে
সে কীভাবে অন্য কারো সাথে তাকে দেখবে?
সুমাইয়া চলে যায়।। ফারহান তার চলে যাওয়ার পানে তাঁকিয়ে থাকে।

অনুস্ঠান খুব সুন্দর করে কেটেই যায়।

রিমি আজ চলে যাচ্ছে রুশনি ছাড়া সবারই মন খারাপ। অয়নের দম-বন্ধ হয়ে যাচ্ছে । সে কীভাবে থাকবে তার রিমিপরীকে ছাড়া? একদিন ও যে তার জন্য ১ যুগ এর সমান।

মিসেস কলিঃ আমার রিমি মা কালকে তুই আমার ছেলের হাত ধরে চৌধুরী বাড়ির বউ হয়ে আসবি।

আমি কিছু না বলে ভালোমাকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরলাম।
কেন যেনো আমার কিচ্ছু ভালো লাগছেনা

আমি তাঁকিয়ে দেখলাম উনি অসহায় চোখে আমার দিকে তাঁকিয়ে আছেন।

আমি গাড়িতে উঠে পড়লাম। বাবা-মা ও সুমুও উঠে পড়ে উনাকে কোথাও দেখছিনা।

গাড়ি চলতে শুরু করে। আমার কেন যেনো অনেক কস্ট হচ্ছে। কালকেও তো চলে আসবো কিন্তু তাও!!

এদিকে
অয়ন কিছু একটা ভেবে বাঁকা হাঁসি দেয়।

চলবে কি?

22 part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122122554494106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here