#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব- 27 দ্বিতীয় অধ্যায়
#Jannatul_ferdosi_rimi (লেখিকা)
বিড়াল ছানা টা একেবারে কাহিল হয়ে পড়েছে। আমি তাকে তুলে নিলাম। কত্ত কিউট বাচ্ছা টা।মানুষ কি করে একে এইভাবে ছেড়ে যেতে আরে।বাসায় ফিরতে হবে। বাসায় ফিরে ছানাটার চিকিৎসা করবো। যেহুতু আমি মেডিকেল স্টুডেন্ট টুকিটাকি চিকিৎসা পারি। ওহ আপনাদের বলায় হয়নি। আমি এখন মেডিকাল এর স্টুডেন্ট। আমি তো সেই কলেজ লাইফ থেকে স্বপ্ন উনার মতো ডক্টর হবো। উনি ছিলেন আমার আইডল। আমিও উনার মতো একজন বড় ডক্টর হবো।উনি যখন ফিরবেন কত্ত খুশি হবে তার রিমিপরীও ডক্টর হয়ে গিয়েছে। আচ্ছা উনার মুখের রিয়েকশন কীকরম হবে? জানি না আমি। আমার ভাবনার মাঝে ছেদ পড়লো যখন আমার সামনে একটি গাড়ি এসে থামলো। আমি খানিক্টা দূরে সরে আসি।
গাড়ি থেকে একজ সুদর্শন সাদা এপ্রোন হাতে একজন নামলো। চোখে তার মোটা ফ্রেম এর চশমা।
সে রিমির কাছে এসে দাঁড়ালো। আমি তাকে দেখেই বলে উঠলাম- আমান স্যার আপনি?
আমান মৃদ্যু হেঁসে বলে উঠলো- বাড়ি ফিরছিলাম রিমিপাখি তোমাকে দেখে আসলাম কি করছো?
আমি বিরক্তিভাব নিয়ে বলে উঠলাম-
আমি কি পাখির মতো উড়ি যে আপনি আমাকে রিমিপাখি বলেন?
আমানঃ তুমি তো পরীর মতোও উড়োও না তাহলে অয়ন যখন রিমিপরী বলতো তখন তো বিরক্ত হতে না?
রিমিঃ উনি আর আপনি সম্পুর্ন আলাদা
আমানঃ আমি জানি রিমিপাখি। অয়ন যেমন তোমার কাছে স্পেশাল তেমন আমার কাছেও বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো আমার।
আমি বলে উঠলাম- ছিলো নাহ উনি এখনো আছেন।
( আমান শিকদার রিমির হসপিটালের প্রফেসার।
হ্যা ভাই অয়নের সেই আমেরিকার ডক্টর বন্ধু।অয়নের বেস্ট ফ্রেন্ড আমান)
আমান মুচকি হেঁসে দিলো।নিজের চশমা ঠিক করে বলে উঠলো- তোমার কথা যেনো সত্যি হয়
সেসব কথা না হয় বাদ দাও। এই বিড়াল ছানাটার সাথে কি করছো?
আমি বলে উঠলাম-
ও কতটা কাহিল হয়ে পড়েছে তাই বাসায় নিয়ে যাচ্ছি।
আমান বলে উঠলো-
ওহ এই ব্যাপার। এই বলে আমান নিজের গাড়ি থেকে একটা বক্স বের করলো।
আমি বুঝতে পারছিনা কি করতে চাইছেন উনি।
আমান বিড়াল টাকে ডাকার সাথে সাথে আমার কোল থেকে বিড়াল ছানাটি আমানের কাছে চলে গেলো।
আমান তাকে বক্স থেকে খাবার দাওয়ার সাথে সাথেই ছানাটি অনেক আনন্দের সাথে খাওয়া শুরু করলো।
আমান বলে উঠলো-
আমার গাড়িতে সবসময় কেট ফুড থাকেই।
বিড়াল আমার খুব পছন্দের।
ছানাটি ক্ষুধার্ত ছিলো তাই একটু কাহিল হয়ে পড়েছিলো।
দেখবে এখনি ঠিক হয়ে যাবে।
সত্যি বিড়াল ছানাটিকে আগের থেকে অনেকটায় ভালো লাগছে।
আমি তাড়াতাড়ি বিড়াল টি কে কোলে তুলে নিলাম
রিমিঃ এখন থেকে টকোপি আমার।
আমান বলে উঠলো-
টকোপি টা কে আবার।(ভ্রু কুচকে)
আমি বলে উঠলাম- আমার বিড়াল ছানার নাম টকোপি
আমান মুচকি হেঁসে বলে উঠলো-
ওয়াও ইউনিক নেম।
আচ্ছা চলো তোমাকে বাড়িতে পৌছে দিয়ে আসি।
আমি বলে উঠলাম- দরকার নেই। আমি যেতে পারবো এন্ড থ্যাংকস ফর ফুড
এই বলে আমি গটগট করে চলে এলাম।
আমানও মুচকি হেঁসে গাড়িতে চলে আসে।
এদিকে,,
বজ্জাত লোক একটা কোথায় উনি আর কোথায় এইটা। আমার সাইকো ফিরলে যখন শুনবে না তখব একেবারে ডিশুম ডিশুম দিয়ে দিবে হুহ।
কিন্তু কবে ফিরবেন আপনি??
আমি টকোপিকে বলে উঠলাম-
তোর কি মনে হয়? উনি ফিরবেন??আমি জানি ফিরবেন।
।।।।
In London,,
(পর্ব-২৬ এ একটা মিস্টেক হয়েছে যে নিদ্র খানের একমাত্র ছেলে আয়ুশ খান। কিন্তু না নিদ্র খানের বড় ছেলে আয়ুশ খান ছোট ছেলে ইশান খান)
আয়ুশ বিরক্ত সুরে বলে উঠে-
অই ইশা বার বার কল করছিলো।বিরক্ত লাগে আমার।
আদি বলে উঠে- তোর কি হয়েছে আয়ুশ?তুই তো ওকে ভালোবাসতি
আয়ুশ ঃ আমি নিজেও জানিনা।অইসব বাদ দে ইয়ার এখন
(আমি সত্যি কি ওকে ভালোবাসতাম?)
আয়ুশ ফু দিয়ে নিজের চুল্গুলো সরিয়ে মেয়েদের কাছে গিয়ে বলে উঠলো-
গার্লস লেটস গো ফোর বাস্কেট বল।
মেয়েরাঃ ইয়াপ্প আয়ুশ।
আদি আয়ুশ ও তার ফ্রেন্ডস রা আজকে বাস্কেট বল খেলবে তাই ভার্সিটির মেয়েরা আয়ুশকে চিয়ার করবে। আয়ুশ বলতে পাগল তারা।
আয়ুশ নিজের বাস্কেট ইউমিফর্ম পড়ে।
বাস্কেট বল টা লাফাতে লাফাতে কোর্টে নিয়ে যায়।
সব মেয়েরা হা হয়ে আয়ুশ এর দিকে তাঁকিয়ে আছে।
সবাই আয়ুশ আয়ুশ করে যাচ্ছে।
আয়ুশ বাঁকা হেঁসে সব ইঞ্জয় করে যাচ্ছে।
আয়ুশ এর বিপক্ষের টিম লিডার জনি রাগে ফুশছে।
জনিঃ আয়ুশ নিজেকে কি ভাবে??কি?
আজকে ওকে হারিয়েই ছাড়বো।
।।।।।।।🥀🥀🥀
Abhi toh party suru huyeee haaaa
abhi toh party suru hyyeee haaaaa!!!
ইশান ড্রিংক গ্লাস নিয়ে ক্লাব এ উড়াধুরা ডান্স করে যাচ্ছে মেয়েদের নিয়ে।
(নিত্য নতুন মেয়েদের সাথে রিলেশন করা যেনো তার কাছে টাইম পাস ছাড়া কিছুই না ইশান যথেষ্ট হ্যান্ডসাম তাই মেয়েদের পটানো তার কাছে তেমন কিছুই নাহ)
তখনি ইশানের কলে একটা কল আসে।
ইশান ফোনটি রিসিভ করে বলে উঠে-।
ইয়াপ মম বলো-
মল্লিকাঃ কোথায় তুমি? বেবি?
ইশানঃ মম আসলে মানে হয়েছি কি। আমার কিছু ক্যাশ লাগবে।
মল্লিকাঃ হয়েছে আর বলতে হবেনা আমার বাচ্ছাটা পেয়ে যাবে তুমি। ওকে?
ইশানঃ মেনি মেনি থ্যাংকস মম।
।।।।।।
গাড়ি থেকে হন্তদন্ত হয়ে বের হয় ইশা। আজকে আয়ুশ অনেককিছুর উত্তর দিতেই হবে।
জনি নিজের টিমের ছেলেদের নিয়ে আয়ুশকে ঘিরে ফেলে যাতে আয়ুশ বলটা বাস্কেটে না ফেলতে পারে।
আয়ুশের টিমের বাকিদের জনির বাকি ছেলেরা আটকে ফেলেছে।
যাতে কেউ আয়ুশকে হেল্প না করতে পারে।
আয়ুশ বাকি হেঁসে বড় জাম্প দিয়ে বলটা বাস্কেটে ফেলে।
সবাই অবাক!
মেয়েরা তো সেই খুশি।
আয়ুশ বাঁকা হেঁসে বলে উঠে-
এখুনি এই অবস্হা? ফাইনাল তো এখনি বাকিরে।
এতোজন মিলেও আমাকে হারাতে পারিসনা।
জনিঃ আমি এইটাই বুঝতে পারিনা। তুই আগে বাস্কেট এ হেরে যেতি এখন কীভাবে পারিস আয়ুশ(মনে মনে)
জনি দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে।
আয়ুশ নিজের কোট টা গাঁয়ে জড়িয়ে মেয়েদের দিকে ফ্লাইং কিস ছুড়ে দেয়।
মেয়েরা তো শেষ।
আয়ুশ বাইরে আসতেই ইশা কে দেখে।
বাসায় আসার সাথে সাথে আমার উপর কম ঝড় যায়নি বাবা। মার এক কথা বিড়াল সে রাখবেনা অনেক কস্টে সে সামলিয়েছি।
টকোপি আমার কোলে নিশ্চিন্তে ঘুমাচ্ছে। যাক একটা সংজ্ঞী তো পেলাম।
চোখ টা অটোমেটিক বন্ধ করে ফেললাম।
।।।।।।।।🤐🤐🤐
আমান চোখের চশমাটা টেবিলের কাছে রেখে বই নিয়ে পড়তে বসে। কিছু ক্রিটিকাল ওটি আছে তাই কিছু রিচার্স করতে হবে।
কিন্ত অয়নের কাছে এইসব কোনো ব্যাপারই ছিলোনা। আমানের যেকোনো বিষয় সহজেই অয়ন হেল্প করে দিতো।
আমানঃ কোথায় তুই?? অয়ন। রিমিপাখি তোর জন্য কস্ট পাচ্ছে রে।
( ভালোবাসার মানুষ যখন কস্ট পায় তখন নিজেরেও সব থেকে বেশি কস্ট লাগে)
(আমার আজও মনে পড়ে যেদিন প্রথম আমি রিমিপাখিকে দেখেছিলাম।)
।
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে