প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover) #পর্ব-28 #Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

0
316

#প্রেমময়নেশা(The story of a psycho lover)
#পর্ব-28
#Jannatul_ferdosi_rimi(লেখিকা)

আয়ুশ ইশাকে দেখে থেমে গেলো। আদি ও অন্যান্য ফ্রেন্ডসরাও থেমে গেলো। ইশা বলে উঠলো- আয়ুশ তোমার সাথে আলাদা কথা আছে তাই প্লিয।
আদি বলে উঠলো- আয়ু্শ তুই বরং ইশার সাথে যা আমরা আছি এখানে। আয়ু্শও সম্মতি দিলো।আয়ুশ কোট এর কলার ঠিক করতে করতে বলে উঠলো- হ্যা বলো কী বলবে?
ইশা বলে উঠে- তুমি ফোন চেক করেছো? কতবার কল করেছি
আয়শের সোজাসোজি উত্তর-বাস্কেট বল খেলছিলাম।
ইশা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে উঠে-
আয়ুশ কেন করছো আমার সাথে এইরকম। কয়দিন পরে আমাদের বিয়ে।
আয়ুশ পকেটে হাত রেখে বলে উঠে- আমি আবার কি করলাম।
ইশা খানিক্টা অভিমান এর সুরে বলে উঠে- তুমি আমাকে ইগনোর করছো আয়ু্শ।
ইশা আয়ুশকে জড়িয়ে ধরে বলে উঠে-
আগে তুমি এমন ছিলেনা, অনেক ভালোবাসতে আমাকে।
ইশাকে কেন যেনো জড়িয়ে ধরতে কোথাও বাঁধা দিচ্ছে আয়ুশের। মনে হচ্ছে এখানে অন্য কারো থাকার কথা।
আয়ুশঃ আমি নিজেও জানি ইশা। আমার অনেক হিসাব মিলছেনা। কেন হচ্ছে আমার সাথে এইরকম(মনে মনে)
।।।।।।।।
এদিকে,,
আমান একটি ডাইরিতে রিমির একটি ছবি রেখছিলো সেইটা দেখে যাচ্ছে। মোটা ফ্রেমের
আমানঃ ( সেদিন আমি তোমাকে এইভাবেই দেখিছিলাম রিমিপাখি)

।।।।
অতীত,,,
সেদিন রাস্তায় সকলের সামনে রিমি বিয়ের বেনারশি পড়ে রাস্তায় ধপ করে বসে পড়ে,,তার শরীর দুর্বল লাগছে প্রচন্ড। সে আর পারছেনা।
ফারহান সুমু ও রিমির বাবা-মা রিমির দিকে ছুটে যায়।

রিমি অজ্ঞান হয়ে গিয়েছিলো।
সুমুঃ ফারহান তাড়াতাড়ি এম্বুলেন্স ডাকুন।
ফারহান ফোন করে দেয়।

তখনি একটি গাড়ি এসে থামে।
আমান আজ ভেবেছিলো অয়নকে এসে একেবারে চমকে দিবে। তার প্রেক্টিস আজ শেষ হয়ে গিয়েছিলো সে রাতের ফ্লাইট ধরে যত দ্রুত সম্ভব
এসেছিলো অয়নের বিয়ে এসে একেবারে চমকে দিবে বেস্টফ্রেন্ড বলে কথা। কিন্তু মাঝপথে নবুবধুকে এই অবস্হায় দেখে সে তাড়াতাড়ি গাড়ি থেকে নেমে আসে।

আমানঃ কি হয়েছে উনার??

সুমুঃ আমার বোন অজ্ঞান হয়ে গিয়ছে

আমামঃ আমি ডক্টর।

রিমির মাঃ তাহলে দেখুন না

ফারহান ও ফারহান এর বাবা গাড়ি আনতে গিয়েছিলো।

আমান ঝুকে রিমির দিকে সাথে সাথে থমকে যায়। কাজল লেপ্টে একেবারে লেপ্টে গিয়েছি মুখের মায়াবী বর্ন একেবারে ফুটেছে। আমানের হার্টব্রিট ফাস্ট হয়ে গিয়েছিলো। তাও আমান নিজেকে সামলিয়ে রিমিকে কোলে তুলে নিজের গাড়িতে নিয়ে যায় সাথে সাথে সুমু ও রিমির মা ও যায়।

হসপিটালে,,
আমান রিমিকে চেকাপ করে যাচ্ছে। সুমু ফারহান ও আশরাফ সাহেবকে ফোন করে এসে পড়তে বলেছে।
তারা মাত্র চলে এসেছে।

রিমির বাবাঃ আমার মেয়ে কোথায়??

সুমুঃ ডক্টর দেখছে।

ফারহানের মনের অবস্হা একেবারে খারাপ নিজেকে কোনোরকম সামলিয়েছে সে।

আমান কেবিন থেকে বের হয়ে আসতে আসতে বলে উঠলো-
উনার আসলে কি হয়েছে?

ফারহানকে দেখে আমান অবাক।

ফারহান ও অবাক!

আমানঃ ফারহান তুই??

ফারহানঃ আমান তুই? দেশে এসেছিস?

(অয়ন ফারহান ও আমান তিনজন এ ছোটবেলা থেকে একই স্কুলে পড়তো। একে অপরের বেস্ট ফ্রেন্ড ছিলো ওরা)

আমানঃ আজকে তো অয়নের বিয়ে তাই ওকে সারপ্রাইজ দিতে এসেছি কিন্তু উনার (রিমিকে উদ্দেশ্য করে)এই অবস্হা কেন উনার হাজবেন্ড কোথায়?

আমানের কথা শুনে রিমির মা জোড়ে কেঁদে দেয়। ফারহানও নিজেকে সামলাতে পারেনা সেও কেঁদে দেয়।

আমানঃ আরে তুই কাঁদছিস কেন??

ফারহানঃ আমাদের জানের জিগার আমাদের দোস্ত আর বেঁচে নেই রে।

আমান যেনো এক মুহুর্তের জন্য থমকে যায়।

ফারহান কাঁদতে কাঁদতে আমানকে সব খুলে বলে।

প্রতিউত্তরে আমান নিশ্চুপ থাকে।

সে ধপ করে চেয়ারে বসে কাঁদতে থাকে। বন্ধুর বিয়ের সারপ্রাইজ দিতে এসে তার মৃত্যুর খবর আমান আশা করেনি।

তখনি কেবিন থেকে জোড়ে ভাজ্ঞচুড় এর শব্দ আসে।

নার্স এসে বলে উঠে-
ডক্টর আমান পেশেন্ট কেমন যেনো করছে
সব কিছু ভেজ্ঞে ফেলছে।

সবাই তাড়াতাড়ি দৌড়ে রিমির কাছে যায়।

আমি সবকিছু ভেজ্ঞে ফেলছি আর বলে উঠছি
আমার সাইকো কোথায়??

আমার হাতের ক্যানেলও আমি জোড়ে টান দিয়ে খুলে ফেলায় আমার হাত দিয়ে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে সেদিকে আমার খেয়াল নেই।

সবাই এসে আমাকে আটকানোর চেস্টা করছে।
এক পর্যায়ে আমি চিৎকার করে কেঁদে উঠি।

আমান শুধু রিমিকে দেখেই যাচ্ছে। আজ মেয়েটার বিয়ে ছিলো কতই স্বপ্ন ছিলো তার ।
আমান তার বেস্ট ফ্রেন্ড হারিয়ে কতটা কস্ট পাচ্ছে এই মেয়েটা তো নিজের ভালোবাসার মানুষকে হারিয়েছে।।।
আমানের এক অন্যরকম মায়া কাজ করেছিলো সেদিন।

দি যায় মাস যায় বছর যায়। এখন রিমি আমানের হসপিটালের স্টুডেন্ট। আমান রিমির প্রফেসার এই
এই প্রফেসার-স্টুডেন্ট সম্পর্কের থেকেও বড় দিকটি হচ্ছে আমান এখন ভালোবাসে তার রিমিপাখি প্রচন্ড পরিমানে। যে ভালোবাসায় নেই কোনো চাওয়া-পাওয়া আছে শুধুই ভালোবাসা।

।।।।।

আজ টকোপিকে নিয়ে ভালোমার বাড়ি যাবো। ভালোমাকে দেখাতে। টকোপি আমার সাথে একেবারে মিশে রয়েছে। এক দিনেই বেশ ভালো বন্ধুত্ব হয়েছে আমাদের।

আমাকে দেখে দাঁড়োয়ান চাচা বলে উঠলো-
রিমি মা তুমি আইছো?

আমি বলে উঠলাম- হুম চাচা

এই বলে আমি টকোপিকে নিয়ে সদর দরজা দিয়ে প্রবেশ করলাম যতবারই এই বাড়িতে আসি ততবারই উনাকে অনুভব করি
উনার সাথে আমার কত স্মৃতি রয়েছে।

রুশনি তার ফ্রেন্ডসদের সাথে ব্রেকফাস্ট করছিলো রিমিকে দেখে রুশনি বলে উঠে-।তুমি এখানে?

আমি বলে উঠলাম- ভালোমার সাথে দেখা করতে এসেছি।

রুশনি বিরক্তির সুরে বলে উঠে- কলি আপু ঘুমাচ্ছে এখন দেখা হবেনা আর এইভাবে তুমি আমার বাড়িতে আসবেনা

রিমিঃ এইটা ভালোমার বাড়ি।

রুশনিঃ কিন্তু এখন এই বাড়ির কর্তি আমি বুঝেছো?
এই বাড়িতে বেশি আসবেনা

আমি হাত ভাজ করে বলে উঠলাম- অয়নেরও ভালোমার জন্য আমি এই বাড়িতে আসবো।
উনি যদি এই বাড়িতে আসেন আর আমাকে যদি না পায় তখন??

রুশনি হু হা করে হেঁসে উঠলো।
তার বান্ধুবিরাও হেঁসে দিলো।

রুশনিঃ শুনো শুনো বোঁকা মেয়েটার কথা শুনো অয়ন নাকি ফিরবে মরা মানুষ ফিরেছে কখনো?

আমি বলে উঠলাম- আমার অয়ন মারা যায়নি বেঁচে আছে। উনি

রুশনিঃ তুমি নিজেই ওকে মেরেছো বুঝেছো

রিমিঃ মানে?

রুশনিঃ তোমার মতো অলক্ষিকে বিয়ে করতে গিয়েই আমাদের হিরে টুকরা ছেলের এতো বড় এক্সিডেন্ট হলো এখন ও আমাদের মাঝেও নেই।

আমি চিৎকার করে বলে উঠলাম- নাহ উনি বেঁচে আছে।

এই বলো আমি টকোপি কে নিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বেড়িয়ে গেলাম।

।।।।।।।।।
আয়ুশ স্মোকিং করে যাচ্ছে একের পর এক।
আদি আয়ুশ এর কাছে এসে বলে উঠে-
ইশা কস্ট পাচ্ছেরে আয়ুশ মেয়েটা তোকে অনেক ভালোবাসে।

আয়ুশ পকেটে হাত রেখে বলে উঠে- আমি নিজেও জানিনা রে। কেমন যেনো আমার সাথে হয়।

আদিঃ ঠিক হয়ে যাবে তুই অনেক বড় ট্রমা থেকে ফিরেছিস তো তাই। বিয়েটা হয়ে গেলেই দেখবি সব ঠিক হয়ে যাবে

আয়ুশঃ আই হোপ সো ইয়ার।

এদিকে,,
আমি দৌড়াতে দৌড়াতে লেকের পাড়ে চলে আসলাম। টকোপি আমাকে আদর করে যাচ্ছে যাতে আমি না কাঁদি। আমি কাঁদতে কাঁদতেই বলে উঠলাম- টকোপি সবাই কেমন যেনো। কেউ বিশ্বাস করেনা রে। আমি জানি আমার সাইকো আমার অয়ন ফিরবে। আমি যতই মানুষের সামনে শক্ত হয়ে থাকিনা কেন দিনশেষে আমিও মানুষ তখন নিজেকে আর সামলাতে পারিনা। মন চায় সবকিছু ছেড়ে অনেক দূরে চলে যাই। আমি আর পারছিনা রে।। আমি টকোপিকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরি।
।।।।।।
#দ্বিতীয়_অধ্যায়
চলবে কি??

29 part
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=122122561340106573&id=61553197202722&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here