মন_বাড়িয়ে_ছুঁই ❤ #পর্বসংখ্যা_৩৭. #ফাবিয়াহ্_মমো . ( ব্রাউজার ঘটিত সমস্যার জন্য পুনরায় পোস্ট করা হলো।) অংশ সংখ্যা ০৩.

0
65

#মন_বাড়িয়ে_ছুঁই ❤
#পর্বসংখ্যা_৩৭.
#ফাবিয়াহ্_মমো .

( ব্রাউজার ঘটিত সমস্যার জন্য পুনরায় পোস্ট করা হলো।)

অংশ সংখ্যা ০৩.

চোখের সামনেই নতুন ফোনটা বাজতে-বাজতে কেটে গেলো। মেহনূর কান্না আঁটকানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে পরলে এদিকে আর ফোন ধরতে পারলো না। কল কেটে গেলে মূঢ় দৃষ্টিতে ফোনের দিকে তাকিয়ে রইলো মেহনূর, এবার সবকিছু ভেঙ্গেচুরে কান্না ঠেলে আসছে তার। ফোনের ওপাশে থাকা মানুষটা এমনেই অভিমান-অপমান নিয়ে রেগে ছিলো, এখন যদি কল না ধরাকে একধাপ বেশি ভাবে তখন? মেহনূর আর ভাবতে পারলো না, ফোনটা কোলে ছেড়ে দিয়ে অশ্রুমাখা মুখটা দুহাতে ঢেকে ফেললো। হাতের শুকনো তালু দুটো আবারও সিক্তজলে ভিজে উঠলো। এবার মাহতিম জীবনেও ওকে কল করবেনা। ও যে ভুলবশত কলটা ধরতে পারেনি, কলটা যে আপনা-আপনি কেটে গেছে সেটা না জেনেই মাহতিম তিনগুণ বেশি ক্ষেপবে। এই ঘটনার পর থেকে আদৌ সে কল করবে? মেহনূর অসহ্য চিন্তা-ভাবনার ভেতর অস্থির হয়ে উঠলে কোলের উপর আলো জ্বেলে পুনরায় বস্তুটা বাজতে লাগলো, টিকটিক করা ঘড়ির আওয়াজকে টেক্কা দিয়ে পুরো রুমে তখন ফোনের রিংটোনটা ছড়িয়ে পরলো। মেহনূর হতবাক হয়ে মুখ থেকে হাতদুটো নামাতে লাগলো, দৃষ্টিনত করে কোলের দিকে চোখ পরতেই এবার ডানেবামে তাকালো না। খপ করে ফোনটা হাতে তুলে রিসিভ অপশনে বৃদ্ধাঙ্গুল রেখে আলতো চাপ দিলো, এবার কলটা রিসিভ! মেহনূর ভেজা-ভেজা দৃষ্টিতে স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে ফোনটা তখন কানে ঠেকালো, নির্বাক ভঙ্গিতে কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে হালকা সুরে বললো,

– হ্যালো,

উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো মেহনূর, বুকটা প্রচুর ঢিপঢিপ করে শব্দ করছে। শুকিয়ে আসা গলাটা ছোট্ট ঢোক গিলে খানিকটা ভিজিয়ে নিলো, অপেক্ষায় থাকা উৎকন্ঠিত মনটা মাহতিমের কথা শোনার জন্য ছটফট করে চন্ঞ্চল হচ্ছে, আচঁলের নরম কাপড়টা বাঁহাতের তালুতে দলা পাকিয়ে মুচড়ে যাচ্ছে। আচ্ছা মাহতিম কি প্রচুর রাগারাগী করবে? ধমক দিবে? কড়া কথা শোনাবে? অসংখ্য-অসংখ্য প্রশ্ন যখন মেহনূরের চিন্তাকে হুরহুর করে বাড়িয়ে দিচ্ছিলো, তখনই কিলবিল করা প্রশ্নের মধ্যে দাঁড়ি বসিয়ে ওপাশ থেকে বলতে লাগলো মানুষটা। আজ তার কথার মধ্যে ঝাঁঝ ছিলো, তেজ ছিলো, প্রচণ্ড রাগের আভাস বোঝা যাচ্ছিলো।

– খুব খারাপ লাগছে? হাড়ে-হাড়ে টের পাওয়ার কথা। সেদিন তোমার সামনে দাঁড়িয়েছিলাম, গাড়ি ব্যাক ঘুরিয়ে কত বড় রিষ্ক নিয়েছিলাম তোমার ধারণাও বাইরে। আমার পজিশনের পাওয়ারটা কোনোদিন খাটাইনি, সেদিন ফ্লাইট মিস করবো জেনে এ্যাজেন্সীর মালিককে শ্যাডিউল পিছাতে বলি। তোমার জন্য ওই ফ্লাইটের সত্তর জন যাত্রীর ভোগান্তি সহ্য করা লাগে। বাড়ি থেকে যখন বেরিয়ে এলাম, তখন ইচ্ছা করছিলো সৌভিককে বলে তোমাকে গ্রামে পাঠিয়ে দেই। পুরোটা রাস্তা তোমার ওইসব কথাগুলো কানে বিধেঁছে। তোমার উপর কি পরিমাণ ক্ষোভ কাজ করছিলো, সেটা যদি এককোণা পরিমাণ প্রকাশ করি তুমি আমাকে সহ্য করতে পারবেনা মেহনূর। আমাকে মনের খুশীমতো কথা শোনাবে, ইচ্ছামতো এটা-ওটা করে ফেলবে, এদিকে আমিও চুপচাপ শুনে তোমাকে আদর করতে আসবো, তোমার কথা ভুলে পিছনে-পিছনে ঘুরঘুর করবো, এই চিন্তা মাথা থেকে সম্পূর্ণ ঝেড়ে ফেলো। আমাকে অন্যদের মতো ভাবতে যেও না। এই ভুলটা যদি না করো তাহলে তোমার জন্যই ভালো। তুমি আমার হাসিখুশি রূপ দেখে অভ্যস্ত মেহনূর, সেটা নিয়েই থাকার চেষ্টা করো। আমার আড়ালে থাকা রূপটা টেনে-হিঁচড়ে বের করার চেষ্টা করো না, জাস্ট এটুকুই সতর্ক করবো, তুমি আমাকে সহ্য করতে পারবে না।

কাট-কাট গলায় তেজালো সুর শুনে স্তব্ধ হয়ে গেলো মেহনূর। মুখের ভাষা হারিয়ে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে রইলো। মাহতিমের সহজাত রূপটা পলকে-পলকে যেনো অন্যরূপে বদলে যাচ্ছে। যাকে চেনা যায় না, বুঝা যায় না, জানাও যায়না এমনই স্থিতিতে গুলিয়ে যাচ্ছে। মেহনূর স্থির দৃষ্টিতে বুক ফুলিয়ে দম নিলো, নিশ্বাসটা ছাড়তে-ছাড়তে আটদিন আগের ক্ষত হাতটা চোখের সামনে তুললো। এখনো ঘা-টা শুকোয়নি, চাপ লাগলে এখনো ভীষণ ব্যথা করে। ক্ষতটার দিকে নির্মল দৃষ্টি রেখে স্বচ্ছ গলায় বললো মেহনূর,
– আপনার হাত ভালো হয়েছে?

বিছানার হেডসাইডে পিঠ ঠেকিয়ে স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বসে আছে মাহতিম। রুমের লাইট নেভানো বলে জানালা দিয়ে বাইরের আলো এসে চর্তুদিকে আবছা অন্ধকার করে দিচ্ছে। ঠান্ডা-ঠান্ডা বাতাস তখন খোলা জানালা দিয়ে পর্দা উড়িয়ে ঢুকছে। মাহতিম উড়ন্ত পর্দার দিকে দৃষ্টি রেখে তাচ্ছিল্যের হাসিতে বললো,

– মনের খোঁজ নেওয়াটা জরুরী। হাতের জন্য ডাক্তার আছে।

উত্তর শুনে ফিক করে হেসে দিলো মেহনূর। হাতটা চোখের সামনে থেকে নামিয়ে বাঁ-পাশ থেকে মাহতিমের বালিশটা টেনে নিলো। বিছানার হেডসাইডে সেও পিঠ ঠেকিয়ে কোলে বালিশ রেখে বসলো। এদিকে মাহতিমের মাথায় অতিথিদের নিয়ে টেনশন কাজ করছে। সবচেয়ে বেশি টেনশন হচ্ছে মেহনূরকে নিয়ে। এই মূহুর্তে যদি ওর কিছু হয়ে যায় তাহলে কিভাবে সবকিছু সামাল দিবে? মাহদিকে একা পেয়ে গাল চেপে ধরেছে, যদি মেহনূরকে সুযোগ মতো কিছু করে ফেলে? কোনোকিছুই ঠিকঠাক মতো ভাবতে পারছেনা মাহতিম। বাড়ি ফিরার জন্য মন ও মস্তিষ্ক ব্যকুলভাবে আনচান করছে। বিছানার ডানপাশ থেকে চারকোণা বস্তুটা হাতে তুলে নিলো মাহতিম। আবছা অন্ধকারের ভেতর সেই বস্তুটার দিকে একাগ্রমনে তাকিয়ে রইলো। কালো রঙের ফটো-ফ্রেমটা আজ সকালেই ডেলিভারি ম্যান দিয়ে গেছে। গোলাপি শাড়ি পড়ুয়া মানবী হাতে উপন্যাস নিয়ে ডুবে আছে, তার দীর্ঘকেশগুলো পিঠ ছাড়িয়ে মাটিতে পরে আছে। আনমনে নিজের ভুবনে থাকা নারীমূর্তির ছবিটা রেসোর্টে থাকার সময় মাহদি তুলেছিলো। ভাগ্যিস ফোনটা মাহতিমের ছিলো বলে আজ একটুকরো ভালোবাসা নিজের কাছে রাখতে পেরেছে। মাহতিম ছবিটার দিকে দৃষ্টি রেখে মেহনূরের উদ্দেশ্যে বললো,

– তোমার বইগুলো যেই ভাগ্য নিয়ে এসেছে, আমার নসিবে সেই ভাগ্যটুকু নেই। তোমার বইগুলো যখন-তখন তোমার কোমল-কোমল আঙ্গুলগুলোর ছোঁয়া পাচ্ছে, তোমার কোলটায় নিজেদের গুঁজে নিয়েছে, তোমার কাছে থাকার সুযোগ তারাই বেশি পায়। আমি ঠিক এতোটাই দূরে আছি যে, যদি তোমার কিছু হয়েও যায় তাও আমি আসতে পারবো না। নিজের দিকে খেয়াল রেখো মেহনূর। এবার ফিল্ড থেকে ফিরলে আমাকে একটু ……

চোখদুটো বন্ধ করে গভীরভাবে নিশ্বাস ছাড়লো মাহতিম। কান থেকে ফোন সরিয়ে কলটা কেটে দিলো। ফটোফ্রেমটা বিছানায় ফেলে ফ্লোরে পা রেখে দাঁড়ালো। খোলা জানালার দিকে উদাস দৃষ্টি রেখে ধীরপায়ে সেখানে গেলো। ট্রাউজারের দু’পকেটে হাত গুঁজে জানালা দিয়ে নিচে তাকালো মাহতিম। সুইমিংপুলের টলমল পানিতে আকাশের ছাপ পরে আছে এখন। বাতাসের জন্য পানির উপর মৃদ্যু স্রোত দেখা যাচ্ছে, স্রোতের প্রবাহে আকাশের প্রতিচ্ছবিটা নড়েচড়ে উঠছে। ডানপকেট থেকে হাত বের করলো মাহতিম। মুঠোবন্দি হাতটা কাছে এনে আঙ্গুলগুলো আলগা করে ফেললো, ওমনেই মুঠোয় থাকা পাসপোর্ট সাইজের ছোট্ট ছবিটার দিকে দৃষ্টি রাখলো। কিছু সময় নিরব থেকে একাকী রুমের ভেতর বলতে লাগলো মাহতিম,

– তোমার মিষ্টি মুখটায় অসংখ্য চুমু মেহনূর। যতো দূরেই থাকিনা কেনো তোমার কিচ্ছু হতে দিবো না। চাইলে এখুনি তোমার কাছে ফিরতে পারি, কিন্তু কাজ ফাঁকি দেওয়াটা আমার দ্বারা কোনোকালেই সম্ভব না।

.

আকস্মিকভাবে ফোন কেটে দেওয়াতে কিছুটা আশ্চর্য হয় মেহনূর। তাঁর রাগ কি এখনো কমেনি নাকি ক্ষোভটা এখনো দেখিয়ে যাচ্ছে? মেহনূর ফোন হাতে নিয়ে দশ মিনিটের মতো অপেক্ষা করলো, কিন্তু কল এলো না। এবার আর মন খারাপ হলো না, মনে-মনে ভেবে নিলো হয়তো কাজে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। এখন আর রাতের সময়টুকু ঘুমায় না মেহনূর, গ্রামে যেভাবে বই নিয়ে সময় কাটাতো সেভাবেই বই নিয়ে বিছানায় শুয়ে পরলো। হাতে এখন ‘ সমুদ্রবিলাস ‘ নিয়ে মগ্ন হয়েছে, সময়ের প্রহর বাড়তে-বাড়তে রাতটা গভীরভাবে তলিয়ে যাচ্ছে। রাত্রি যখন দ্বিপ্রহরের ঘন্টা বেজে উঠলো তার কিছু মিনিট পরপরই রুমের দরজায় ঠকঠক করে উঠলো। মেহনূর বই থেকে দৃষ্টি সরিয়ে ঘড়ির দিকে তাকালো, এতো রাতে এই রুমে কে নক করছে? মেহনূর বইটা বন্ধ করে পাশে রেখে শোয়া থেকে উঠে বসলো। দরজার দিকে দৃষ্টি রেখে প্রশ্নাত্মক গলায় জিজ্ঞেস করলো,

– কে?

‘ ক্যাচ ‘ করে শব্দ তুলে দরজা খুলতে লাগলো, দরজা একটু ফাঁক হয়ে গেলে রুমের ভেতরে পা রাখলো মাহদি। মেহনূরের দিকে চিলতেখানি হাসি দিয়ে দরজা চাপিয়ে কাছে এলো। বিছানার কাছে এসে পাশে বসতেই হাসি-হাসি গলায় বললো,
– আমার শত্রু ফোন দিয়েছিলো তাইনা? তোমাকে কাঁদালে আমার কাছে বিচার দিবে ঠিক আছে? আমি একেবারে ফাল্টি-ফাল্টি করে সাইজ করে দিবো।

মাহদির দুঃসাহসিক আচরণ দেখে খিলখিল করে হেসে উঠলো মেহনূর। মাহদিকে কাছে কোলে বসিয়ে নিলো, গালদুটো দুহাতে ধরে কপালে ছোট্ট চুমু দিতেই হাসিসূচকে বললো,
– তোমার কিচ্ছু করতে হবে না পুচকে দেবর। তুমি যে এতো রাতে না ঘুমিয়ে এখানে এসেছো, এটা কি ঠিক হলো? ঘুমাওনি কেনো? কিছু লাগবে?

মাহদি কোনোপ্রকার উত্তর না দিয়ে মেহনূরের গলা জড়িয়ে ধরলো। মেহনূরের কাধে গাল ঠেকিয়ে নিচু স্বরে বললো,
– আমি তোমার কাছে ঘুমাবো বউ। ভাইয়া তো এখন নেই, আমি তোমার কাছে একটু ঘুমাই?

মাহদির আকুতিসম্পণ্ণ কন্ঠ শুনে ‘ না ‘ করলো না মেহনূর। প্রসন্ন গলায় হাসি দিয়ে মাহদির পিঠ বুলিয়ে বললো,
– আমি কি কখনো না করেছি? করিনি তো। যখন ইচ্ছে তখন চলে এসো।

মাহদি দুপাটি দাঁত বের করে প্রফুল্ল হাসিতে মেতে উঠলো, মেহনূরকে ছেড়ে দিয়ে পাশে বালিশ টেনে শুলো। মেহনূর রুমের জানালায় পর্দা টেনে দিয়ে কম্বল বের করলো। কম্বলের ভাঁজটা খুলে দিয়ে মাহদির গা ঢেকে দিতেই নিজেও কম্বলের নিচে ঢুকে পরলো। ঘুমানোর জন্য মাহদির মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে থাকলে অন্যদিকে পকেট থেকে ফোন বের করলো মাহদি। মিচকি-মিচকি হাসিটা অনেক কষ্টে ভেতরে চেপে ছোট্ট একটা ম্যাসেজ টাইপ করলো,

– তোমার বিছানায় আমার বউ নিয়ে ঘুমাচ্ছি ভাইয়া। আমার বউ আমাকে ঘুম পাড়িয়ে দিচ্ছে, ইয়াহু, ইয়াহু।

ম্যাসেজটা পাঠিয়ে বিশ্বজয়ীর হাসি দিয়ে মেহনূরের দিকে একপলক তাকালো। মেহনূরের দৃষ্টি তখন দেয়ালে আটঁকে থাকা বন্দুকটার দিকে স্থির হয়ে আছে। মাহদি সেটা দেখতে পেয়ে মেহনূরকে কিছু বললো না, চুপচাপ ঘুমের জন্য চোখ বন্ধ করে ফেললো।

.

রাতের আধার চিড়ে ধীরে-ধীরে ভোরের আলো ফুটে উঠলো। পূবদিকটা অরুণপ্রভায় রাঙা হয়ে দিনের আর্বতনে পরিবর্তন হলো। ভোরের আলো পেয়ে জাগ্রত হলো পাখিরা, মসজিদে-মসজিদে আযানের সুর শেষ হয়ে জামাতের সালাত শুরু হলো। পাখিরা কিচিরমিচির করতে-করতে জাগিয়ে দিলো গাছের সতেজতা। মৃদ্যু হাওয়ায় পর্দা উড়ে স্থানচ্যূত হলো, তখনই পূবের সোনালী আলো এসে মেহনূরের চোখদুটোতে ভর দিলো। আলোর তীব্রতায় ঘুমের ঘোরেই চোখ কুঁচকালো মেহনূর, সাথে-সাথে একটা হাত এনে চোখের উপর আড়াল করে ধরলো। চোখের পল্লবজোড়া আস্তে-আস্তে খুলে সকালের প্রথম প্রহরটা দেখতে পেলো, ওমনেই দেখতে পেলো মাহদি গুটিশুটি পাকিয়ে মাথা পযর্ন্ত কম্বল দিয়ে মুড়ে রেখেছে। মেহনূর ঈষৎ ভঙ্গিতে হেসে দিয়ে আস্তে করে মাহদির মাথা থেকে কম্বল সরিয়ে দিলো। যেটা ভেবেছিলো তাই দেখলো, মাথাটা ঘেমে উঠেছে। মেহনূর আচঁলটা টেনে মাহদির মাথা মুছে দিলো, এরপর শোয়া থেকে উঠে বসলো মেহনূর। ঘুমের আড়মোড়া ভাঙ্গার জন্য শরীরটা একটু টানা দিয়ে নিলো। চোখটা ডলতে-ডলতে বালিশের তলা থেকে ফোন বের করলো, সেটা অন করে অভ্যেস মতো দেখলো, আজও কি মানুষটা স্মরণ করেছে কিনা। ফোনের স্ক্রিনটা আজও খালি, না স্মরণ করেনি। মেহনূর ভারী একটা নিশ্বাস ছেড়ে বিছানা থেকে নেমে গেলো, হাত-মুখ ধুয়ে এসে দরজা খুলে বাইরে বেরুলো। উদ্দেশ্য এখন ছাদের রুমটার দিকে খেয়াল রেখে আসা। মেহনূর সিড়ি ধরে উপরে উঠে নিজের আসল রুমটার দরজা ঠেলে দিলো, হাই তুলে ভেতরে ঢুকতেই হাইটা সেখানেই ওইভঙ্গিতে আটঁকে গেলো। আশ্চর্য হয়ে রুমের ভেতরে ঢুকে আশে-পাশে তাকাতেই বুকটা নিংড়ে এলো মেহনূরের!

– চলমান .

#FABIYAH_MOMO .

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here