রণরঙ্গিণী_প্রেমরঙ্গা |৩| #ঊর্মি_আক্তার_ঊষা

0
1006

#রণরঙ্গিণী_প্রেমরঙ্গা |৩|
#ঊর্মি_আক্তার_ঊষা

রিকশা হসপিটালের সামনে থামল। ভাড়া মিটাল মৃত্তিকা৷ গুটিয়ে রাখা শাড়ির আঁচলটা ছেড়ে দিয়ে— হাত বাড়িয়ে দিল তনুজার দিকে৷ মেয়ের হাত ধরে রিকশা থেকে নামলেন তিনি৷ সকাল থেকে বুকে চিনচিন ব্যথা অনুভূত হচ্ছিল৷ এ কথাটা বলতেই মৃত্তিকা উনাকে জোড় করে হসপিটালে ধরে এনেছে৷ এর আগে ডক্টরের সঙ্গে কনসাল্ট করে এসেছে৷ কয়েকটা সিঁড়ি ভেঙে দ্বিতীয় ফ্লোরে এসেই হাঁপিয়ে উঠলেন তনুজা। কিছু একটা সমস্যার জন্য আজ লিফট চলছে না। সিঁড়ি ভেঙে উঠতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে উনাকে। ইদানীং শরীরটা খারাপ যাচ্ছে৷ লাগাতার নিশ্বাস নিলেন তিনি। করিডরে বিছিয়ে রাখা সিটে তনুজাকে বসাল মৃত্তিকা। ব্যস্ত হয়ে জিজ্ঞেস করল‚

“মামনি তোমার কী খারাপ লাগছে?”

দূর্বল স্বরে তনুজা বললেন‚ “আমি ঠিক আছি রে মা।”

ব্যাগ থেকে বোতল বের করে— পানি পান করতে দিল। কয়েক ঢোক পানি পান করলেন তনুজা। কিছুটা ভালো লাগছে৷

“মামনি তুমি একটু বোস। আমি রিসেপশনিস্টের সঙ্গে কথা বলে আসছি।”

তনুজা চোখের ইশারায় আশ্বাস দিয়ে বললেন‚ “হুম!”

এবড়োখেবড়ো ভাঙা রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলছে উদ্যম গতিতে। সাঁই বেগে বাতাস বইছে। দৈবাৎ এ বাতাসে সূক্ষ্ম ও মসৃণ চুল উড়ে যাচ্ছে৷ প্রলয় এক হাতে ড্রাইভ করছে তো অন্য হাত দ্বারা মসৃণ চুল ঠিক করছে। অর্পণ ফোনে কারো সঙ্গে কথা বলছে৷ প্রলয়ের মনে পড়ল‚ ‘কাল ওভাবে একটা অচেনা মেয়েকে জড়িয়ে ধরা তার মোটেই উচিত হয়নি। শুধু শুধু একটা মেয়ের কাছে ফেইস লস হলো। পরক্ষণেই ভাবল‚ যা ইচ্ছে ভাবুক। মেয়েটার ভাবনা মাথা ঝেড়ে ফেলে ড্রাইভিং এ মনোযোগ দিল। এদিকে অর্পণ ফোনটাকে হাতে নিয়ে প্রলয়কে জিজ্ঞেস করল‚

“ভাই এখন কী পার্টি অফিসে যাবে?”

“আমার শ্বশুর বাড়ি যাচ্ছি।”

এ মুহূর্তে তামাশা একদম পছন্দ হলো না অর্পণের৷ ‘আল্লাহ ভাইকে এবার একটু গাম্ভীর্য অর্পণ করো।’ অর্পণকে এভাবে তাকিয়ে থাকতে দেখে প্রলয় ভুরু যুগল উঁচিয়ে ইশারা জিজ্ঞেস করল ‘কী হয়েছে?’ অর্পণ ডানে বামে মাথা ঝাকাল অর্থাৎ ‘কিছু না!’ গাড়ি এখনো ছুটছে৷ আজ নির্ঘাত কোনো অঘটন ঘটেই যেত। ভাগ্যিস তখন প্রলয়ের রাগ কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই গতিবেগ কমিয়েছিল। নীরবতা ভেঙে অর্পণ বলল‚

“ভাই একটা খবর দেওয়ার আছে।”

সামনের দিকে তাকিয়েই প্রলয় বলল‚ “বল আমি শুনছি।”

“জাতীয় পার্টি একটা সমাবেশ আয়োজন করেছে।”

অর্পণের দিকে পূর্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রলয় জিজ্ঞেস করল‚ “কবে?”

“পহেলা জুন।”

“এই নিয়ে একটা জবরদস্ত হ্যাপি নিউ ইয়ার পার্টি তো হতেই হবে।”

অর্পণ বোকা বনে জিজ্ঞেস করল‚ “আমরা কেন পার্টি করব ভাই?”

“ভবিষ্যৎ মন্ত্রী আমি— দেশের নাগরিকদের আনন্দে যদি পাশেই না থাকি তাহলে কী হয়?”

কিছুই বুঝল না অর্পণ। তবুও মেকি হাসল। প্রলয়ের কথায় সায় জানাল। এর সঙ্গে থাকতে থাকতে সেও একদিন পাগল হয়ে যাবে। কোন কুক্ষণে যে সে প্রলয়ের সঙ্গ দিয়েছিল৷ রাজনীতি তার কোনো কালেই পছন্দ ছিল না৷ সে তো সাধারণ মানুষের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চেয়েছিল৷ শুধুমাত্র কাউকে দেওয়া কথা রাখতে— আজ সে রাজনীতির পথে।

“আমাকে একবার হসপিটালে যেতে হবে৷”

“হসপিটালের সামনে নামিয়ে দিই?”

“না ভাই। একবার পার্টি অফসে যাব তারপর হসপিটাল।”

প্রলয় কিছু বলল না। নেমে এলো অবাক নীরবতা। কালো রঙা গাড়িটা ছুটে চলছে হসপিটালের দিকে৷ সেই দিকে খেয়াল নেই অর্পণের। সে তো গভীর চিন্তায় মগ্ন হয়ে রয়েছে৷ মিনিট দশেকের মাঝেই হসপিটালের সামনে এসে দাঁড়াল গাড়িটা। অর্পণ অবাক হয়ে বলল‚

“আগে পার্টি অফিসে যাবার কথা ছিল ভাই।”

“আগে মানুষের জীবন তারপর অন্যকিছু।”

অর্পণে অধর কোণে কিঞ্চিৎ হাসি ফুটে উঠল। তার ভাই যে এমনই। সে জানে তার ভাই মানুষ হিসেবে কতটা বেস্ট! তবুও কোথাও একটা কিন্তু থেকেই যায়! দায়িত্ববান এই মানুষটাকে ঘৃণা করে কেউ একজন পৃথিবীর বুক থেকে হারিয়ে গিয়েছে৷ ভাবতেই দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এলো। কিছুটা ঝুঁকে প্রলয়কে বলল‚

“ভাই সাবধানে গাড়ি চালাবে।”

চোখের চশমাটা ঠিক করে বলল‚ “চিন্তা করিস না৷”

অর্পণ ভেতরে চলে গেল৷ প্রলয় একটিবার দেখে নিল পুরো হসপিটাল চত্বর। দৃষ্টিতে ছেয়ে গেল গাম্ভীর্যতা। গভীর কিছু একটা ভাবাচ্ছে তাকে। গাড়ি ঘুরিয়ে নিল সে। তার যে আরেকটা কাজ পেন্ডিং এ রয়েছে। সেই কাজটা খুব প্রয়োজন। গাড়ি নিয়ে চলে গেল তার কাঙ্ক্ষিত স্থানে। বেঁটেখাটো ধরনের দেখতে একটা ছেলে দাঁড়িয়ে রয়েছে৷ প্রলয়ের গাড়িটা দেখা মাত্রই ছেলেটা এগিয়ে এলো। গাড়ি থেকে নামল না প্রলয়। জানালার কাঁচ নামিয়ে দিয়ে ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করল‚

“যা বলেছিলাম— কাজ হয়েছে?”

“হ্যাঁ ভাই।”

“আপডেট কী?”

“উনি এডভোকেট মাহেদ্র রায়চৌধুরী মেয়ে৷”

জাহিদের কথা বিশ্বাস হলো না প্রলয়ের৷ মন আর মস্তিষ্ক যে আলাদা আলাদা কথা বলে। এতটা মিল সত্যিই সম্ভব? পরক্ষণেই মনে হলো‚ শুধু একই চেহারা হলেই হবে না। ভূমির সঙ্গে এই মেয়ের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য আকাশ পাতাল তফাত।

পকেট থেকে হাজার দুয়েক টাকা ছেলেটার হাতে তুলে দিয়ে গাড়ির জানালা তুলে বসল। মনে মনে দু তিনটে কথা আওড়াল‚

“আমার পাওয়ার সম্পর্কে এখনো কোনো ধারণা জন্মায়নি মিস মৃত্তিকা৷ ভবিষ্যৎ মন্ত্রী আমি৷ ভালো বুদ্ধির সঙ্গে কুটিল বুদ্ধি আমারও আছে৷ কিছু প্রমাণ আমার হাতে হাতে প্রয়োজন।”

প্রলয় বাঁকা হাসল। গাড়ি নিয়ে চলল পার্টি অফিসের দিকে৷ এবার বাকি কাজগুলো করা যাক। আধ ঘণ্টার মাঝেই কাঙ্ক্ষিত স্থানে পৌঁছে গেল প্রলয়৷ চশমাটা ঠিক করে গাড়ি থেকে নামল। বাহিরে দাঁড়িয়ে থাকা দুজন গার্ড সালাম জানাল। প্রলয় সোজা চলে গেল ভেতরে৷ তিনজন লোক সেখানে বসে রয়েছে৷ দুজন দাঁড়িয়ে রয়েছে। হয়তো তাদেরই অনুচর হবে। একজন এগিয়ে এসে প্রলয়কে বসলে দিল। প্রলয় পায়ের ওপর পা তুলে বসল। চোখমুখে গম্ভীর ভাব। এখানে আসার আগে রবিন আর শিহাবকে কল করে আসতে বলেছে। ওরা এলো বলে৷ প্রলয় কাউন্সিলরের দিকে তাকিয়ে জিজ্ঞেস করল‚

“পরপর তিনবার বৃদ্ধ ভাতা কাঙ্ক্ষিত ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছায়নি কেন?”

কাউন্সিলর শামসুদ্দিন শুকনো ঢোক গিললেন৷ ভাতা পৌছাবে কী করে— সব তো তার পকেটে ঢুকেছে৷ কোনো উত্তর দিতে পারলেন না তিনি৷ এমন নীরবতায় গম্ভীরতার মাত্রা তড়তড় করে বাড়তে শুরু করল প্রলয়ের৷ দাঁত চিবিয়ে আবারও জিজ্ঞেস করল‚

“কেন পৌছায়নি?”

এবার মুখ খুলল শামসুদ্দিন‚ “ইয়ে মানে আসলে স্যার…”

“স্টপ! আপনার ইয়ে মানে আসলে শুনতে আসিনি আমি। আগামীকালের মধ্যেই তিনগুণ করে দেবেন নয়তো বাকিটা আমি দেখছি।”

নিজের পকেট থেকে টাকা খোয়াতে হবে ভাবতে বুকটা ভারী হতে শুরু করল৷ শামসুদ্দিন মুখটাকে আঁধার করে রাখলেন। উনার অবস্থা বুঝতে পেরে প্রলয়ের হাসি পেল তবুও নিজেকে গাম্ভীর্যের আবরণে ঢেকে রাখল৷ এরই মাঝে রবিন আর শিহাব এসে পৌঁছেছে৷ একজনের হাতে ব্যান্ডেজ করা তো আরেকজনের কপালে৷ প্রলয় দেখল দুজনকে৷

“একা মা’র খেয়ে কুপোকাত হয়েছিস নাকি দু চার ঘা ওদেরও দিয়েছিস?”

মাথা নিচু করে শিহাব বলল‚ “সমান সমান ভাই।”

শামসুদ্দিন সহ বাকিরাও প্রলয়ের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। এখানে যে আরও তিনজন মান্যগণ্য লোক বসে রয়েছে তাদেরকে পাত্তাই দিচ্ছে না প্রলয়। মনে হচ্ছে যেন তাদের কোনো অস্তিত্বই নেই এখানে। রবিন আর শিহাবকে উদ্দেশ্য করে বলল‚

“এই না হলে আমার অনুচর।”

কথাটা বলে প্রলয় থামল। বাকিদের দিকে তাকিয়ে বলল‚

“এভাবে হা করে তাকিয়ে থাকার কিছু হয়নি। আমি জানি— আমি যথেষ্ট সুন্দর। অযথা নজর লাগাবেন না।”

উপস্থিত সকলে বোকা বনে একে অপরের দিকে চাওয়াচাওয়ি করল৷ প্রলয় উঠে দাঁড়িয়ে আবারও বলল‚

“শামসুদ্দিন সাহেব— যা বলেছি মনে থাকে যেন।”

“জি স্যার মনে থাকবে।”

প্রলয় হনহন করে বেরিয়ে গেল। তার পেছন পেছন রবিন আর শিহাবও বেরিয়ে গেল৷ টেবিলের উপির রাখা পানি ঢকঢক করে পান করলেন শামসুদ্দিন। গলা শুকিয়ে কাট হয়ে ছিল। সাহস হয়ে উঠছিল না পানি খাওয়ার৷

ব্যস্ত শহর। এ শহরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে নানান ধর্মের মানুষ। জীবিকা নির্বাহের জন্য না চাইতেও তাদেরকে কাজের পিছু ছুটতে হচ্ছে। বাস স্টপেজে বসে এদিক সেদিক তাকিয়ে দেখছে মৃত্তিকা। সবার মতো ব্যস্ততায় ঘেরা জীবন তো তারও। আজ একটা ইন্টারভিউ দিতে গিয়েছিল৷ ইন্টারভিউ বেশ ভালোই হয়েছে তবে তিনদিন পর কলে জানিয়ে দেবেন কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলছে৷ হুট করে কোত্থেকে এক গাড়ি এসে শব্দ করে থামল বাস স্টপেজে। এতক্ষণ মাথাটা নিচু করে বসেছিল মৃত্তিকা। এবার মুখ তুলে তাকাতেই কালকের সেই বেহায়া লোকটাকে দেখতে পেল। গাড়ির কাচ নামানো বিধায় প্রলয়ের মুখটা স্পষ্ট দেখতে পেল মৃত্তিকা। দৃষ্টি ফিরিয়ে নিল সে। কিছুটা অপমানিত বোধ করল প্রলয়। সূক্ষ্ম রাগ উঁকি দিল মস্তিষ্কে। গাড়ি থেকে নেমে চাবিটা পকেটে ঢুকাল৷ মৃত্তিকার সামনে এসে দাঁড়ালেও কোনো গুরুত্ব পেল না৷ রাগে শিরশির করে উঠল সর্বাঙ্গ। মৃত্তিকার ডান হাতের কনুই বেশ জোরে ধরল। মুখ থেকে আহ্! শব্দ বেরিয়ে এলো। রণমুর্তি ধারন করল রমণী। কর্কশ গলায় বলল‚

“এ কী ধরনের অসভ্যতা?”

একটা নির্জন জায়গায় এনে হাত ছাড়ল প্রলয়। মৃত্তিকার হাতটা কিছুটা রুক্ষ ভাবে ধরেছিল সে৷ চিনচিন ব্যথা অনুভূত হচ্ছে কনুইয়ের অংশে। মৃত্তিকার সত্যি জানার জন্য প্রলয় অধৈর্য হয়ে উঠল। প্যান্টের পকেট থেকে রিভলবার বের করে মৃত্তিকার মাথায় ঠেকাল।

“হু দ্যা হেল আর ইউ? আপনার সাহস কী করে হয় আমার উপর রিভলবার তাক করার।”

প্রলয় বাঁকা হেসে বলল‚ “এমপি সেহরিশ আরশান প্রলয়কে সাহসের কথা জিজ্ঞেস করছ! আমার সাহসের দেখেছ কী? একটা ট্রিগার চাপলেই তোমার খেল খতম৷ সত্যি করে বল— তোমার নাম কী?”

অকপটেই পাল্টা জবাব এলো‚ “মৃত্তিকা রায়চৌধুরী।”

একটু থেমে মৃত্তিকা আবারও বলল‚ “ডটার অফ এডভোকেট মাহেন্দ্র রায়চৌধুরী এণ্ড তনুজা রায়চৌধুরী।”

প্রলয়ের বিশ্বাস হলো না। একই ভঙ্গিতে মৃত্তিকার মাথায় রিভলবার ঠেকিয়ে দাঁড়িয়ে রইল৷ অন্যকেউ হলে ভয়েই জ্ঞান হারাত। অথচ এই মেয়ে অত্যন্ত তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে৷ এত সাহস পাচ্ছে কোথায়? প্রলয়ের মনে পড়ল— ‘একজন তো রিভলবার দেখলে ভীষণ ভয় পেত। একবার তো এমনও হয়েছে ড্রেসিং টেবিলের উপর রিভলবার দেখে ভূমি খুব ভয় পেয়েছিল আর সারাদিনে একবারও প্রলয়ের মুখদর্শন পর্যন্ত করেনি। পাছেই না প্রলয় রাগে রিভলবারের নল গুলো তার মাথাতেই ঠুকে দেয়।’

কথাগুলো মনে পড়তেই আনমনে হেসে উঠল প্রলয়। কত ভীতুই না ছিল তার ভূমি। তবে এই মেয়ে পরিপূর্ণ আলাদা। দুজনের চেহারায় এত মিল কী করে হতে পারে? তবে স্বভাব? স্বভাব তো মিলছে না? ভূমি যদি পানি হয় এই মেয়ে তো আগুন। অনেক কিছু বলতে চেয়েও কিছু বলা হয়ে উঠল না প্রলয়ের। রিভলবার নামিয়ে নিল। মৃত্তিকার মুখভঙ্গি রুক্ষমূর্তি ধারণ করল। সে বিদ্রুপের স্বরে বলল‚

“কী ভেবেছেন— সামান্য এই রিভলবার দেখে আমি মৃত্তিকা ভয় পাব?”

চলবে?…..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here