রাগে_অনুরাগে #কলমে সৌমিতা #পর্ব- ২

0
198

#রাগে_অনুরাগে
#কলমে সৌমিতা
#পর্ব- ২

-অভ্রকে আর দেখেনি বাড়ি আসার পর থেকে অনুপমা,,, দুপুরে ভাত -কাপরের অনুষ্ঠানের সময় অভ্রের দেখা মেলে,,,এতক্ষণ কেন সে বাড়ি ছিল না সেটার কারণ পিসি ঠাম্মা জিজ্ঞাসা করতেই অভ্র অকপটে বলে ওঠে বিয়ের এইসব নিয়ম-কাননের থেকে আমার অফিসের মিটিং আর কাজ টা গুরুত্বপূর্ণ ছিল পিসি ঠাম্মাম,, আর সত‍্যি বলতে এইসব রিচুয়াল আমার দ্বারা হবে না,,,(বলেই সিঁড়ি দিয়ে গট গট করে উপরে উঠে গেল)

– অভ্রের এইরকম খাপছাড়া ব‍্যবহারে সবার সামনে সুনীল বাবু বেশ অপ্রস্তুত হয়ে পড়ে,,,আত্মীয় স্বজন রা তো অবাক হয়ে দেখছে,,,কিন্তু এসবের মধ্যে একটা চমৎকার বিষয় হলো অভ্রের এই ব‍্যবহারে অনুপমা একদম অবাক হয়নি বরং ও এটা স্বাভাবিক ভাবেই নিয়েছে,,যেন এটা হওয়ার কথায় ছিল,,,,

– বিকেলে পার্লারের মেয়েরা এসে অনুপমাকে সাজিয়ে দিয়ে যায়,,, অনুষ্টানের সময় বাড়ি ভর্তি লোকের মধ‍্যেও অনুপমার মনে হচ্ছে কেউ নেই,,, ও এই পৃথিবীতে বড্ড একা,,,যাকে ভালোবাসলো সে হঠাৎ করে একদিন চলে গেল,,, আর যার সাথে বিয়ে হলো,,সে এই বিয়েটাতে খুশি নয়,,,ওর মতো সোনা দিয়ে বাঁধানো কপাল আর কার আছে,,,,এইসব চিন্তা করতে করতে বেরিয়ে আসে একটা দীর্ঘশ্বাস,,,,
_______________________________________
-বৌভাতের কাজ সব ভালো ভাবেই মিটে গেছে ,,,আশা অনুপমাকে আবিরের ঘরে নিয়ে যায়,,

-অনু মা প্রত‍্যেক মেয়ে জীবনে এই দিন টা নিয়ে অনেক স্বপ্ন দেখে,, আমি জানি তুইও দেখেছিস,,,আমার ছেলেটা খুব ভালো রে,,,দেখবি ও তোকে খুব ভালো রাখবে,,,

-…….(নিশ্চুপ)

-কি হল লজ্জা পাচ্ছিস,,আমি না তোর মা,,, মার কাছে কিসের লজ্জা পাগলী মেয়ে,,,আচ্ছা তুই বস এখানে আমি অভ্রকে পাঠিয়ে দিচ্ছি,,সে মনে হয় বন্ধুদের সাথেই আছে,(বলেই আশা চলে গেল)

-আশা চলে যাওয়ার পর থেকেই অনুর মনে ভীষণ ভয়ের সৃষ্টি হল,,,না জানি অভ্র এসে ওকে কি বলবে,,,আর কিছুক্ষন পর কি ঘটবে এই সবের চিন্তায় অনুপমা অস্থির হয়ে আছে,,,

– আর এইদিকে অভ্রের বন্ধুরা ধরে রেখেছে ওকে,,এত সহজে অনুপমার কাছে যেতে দেবে না,,,বাধ্য হয়ে নগদ কুড়ি হাজার টাকা দিয়ে তাই ওদের হাত থেকে ছাড়া পেয়েছে,,,,

– এই দিকে অনুপমা বিছানার একটা জায়গায় চুপচুপে বসে আছে,,আর ভীষণ টেনশন করছে কি হবে ভেবে,,,এমন সময় দরজা খোলার আওয়াজ শুনে অনু পিছন ফিরে দেখে অভ্র ঘরে ঢুকে দরজা লক করছে,,,সাথে সাথে ওর ভয়টা দ্বিগুণ বেড়ে যায়,,,অভ্রকে আসতে দেখে তক্ষনাৎ বিছানা থেকে উঠে অনুপমা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে,,,

-অনুপমাকে একবার দেখে অভ্র কিছু না বলেই ওয়াশরুমে চলে যায়,,, কিছুক্ষন পরে ওয়াশরুম থেকে বেরিয়ে ব‍্যালকনিতে চলে যায়,, তারপর নিকোটিনের বিষাক্ত ধোঁয়া উড়িয়ে চারপাশের পরিবেশ দূষিত করতে উদ্দত হয়,,, এতক্ষন যাবৎ অভ্রের সব কিছু অনুপমা লক্ষ্য করছিল,,,হঠাৎ অভ্র সিগারেটের শেষাংশ টা ফ্লোরে ফেলে সেটাকে ঘরে পড়ার জুতো দিয়ে পিষে ফেলে, তারপর রুমের ভিতরে প্রবেশ করে,,, অনুপমাকে সেই একই ভাবে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে অভ্র বলে ওঠে,,,

-আমি ভেবেছিলাম তুমি খুব ভদ্র মেয়ে,,but I was wrong (তাচ্ছিল্যের হাসি দিয়ে),,তোমার সাহস কি করে হয় বিয়েটা করার??? বলো ( জোড়ে চিৎকার করে)

-অভ্রের এমন চিৎকার শুনে অনুপমা কেঁপে ওঠে, তবুও নিজেকে সামলে চুপ করে দাঁড়িয়ে থাকে,,

-যেখানে আমি তোমাকে ফোন করে সব জানিয়েছি,,, জানানোর পরেও তুমি এই বিয়েটা করলে,,,কি হল answer দাও,,,???

-…….(নিশ্চুপ)

-কোনো answer নেই তাই তো,,,,i know i know তুমি এই বিয়ে টা কেন করেছো?? টাকা আর আমার সম্পত্তির জন‍্য right??ok fine ,,,তবে তাই হোক but one second wait করো,,(বলেই একটা কাগজ বার করলো আলমারি থেকে)এটাই একটা সাইন করে দাও,,,

-কি এটা?(কাঁপা কাঁপা গলায়)

-ছয় মাসের কনট্রাক্ট পেপার আর তার সাথে ডিভোর্স পেপার,,,কি চমকে গেলে?? চমকাবে,,,এরপরে প্রতিটা পদে পদে তুমি চমকাবে,,, মাত্র ছয় মাস তুমি এই বাড়িতে বৌ হিসাবে থাকতে পারবে ,,,তার পর বাবা মা বিদেশে চলে গেলে তুমি তোমার জায়গায় আর আমি আমার জায়গায়,,, আর হ‍্যাঁ এই ছয় মাসে ভুলেও আমার কাছে স্ত্রীর অধিকার চাইতে এসো না,,,আমি তোমাকে কোনো দিন আমার স্ত্রীর মর্যাদা দিতে পারবো না,, আশা করি মনে থাকবে,,,আর হ‍্যাঁ টাকার অভাব তোমার কোনো দিনও হবে না,,,, যার জন‍্য বিয়ে করেছো সেটা তুমি time মতো পেয়েই যাবে,,,এখন সইটা করে দাও,,,

– অভ্রের কথা শুনে অনুপমা একটা তাচ্ছিল্যের হাসি দেয়,,তারপর অভ্রের উদ্দেশ্যে বলে,,সইটা আমি করে দিচ্ছি কিন্তু আমার একটা কথা বলার ছিল আপনাকে,,,

-কি কথা??

-আমিও এই বিয়েটা করতে চাইনি কিন্তু বিশ্বাস করুন বাবা আর পিসির কথা ভেবে না করতে পারিনি,,(চোখের জল টা মুছে ম্লান হেসে সইটা করে দেয় অনুপমা,,সংসার জীবন শুরু হওয়ার আগেই শেষ হয়ে গেল সামান্য একটা সিগনেচারের ভিত্তিতে,,, তারপর অভ্রের হাতে কাগজটা ধরিয়ে দিয়ে ওয়াশরুমে চলে যায়)

– অনুপমার চলে যাওয়ার দিকে একবার তাকিয়ে তারপর হাতে থাকা কাগজপত্র গুলোকে ভালো করে চেক করতে লাগলো অভ্র। যখন দেখলো সব ঠিক আছে, তখন সেটা নিজের ওয়ারড্রবে রেখে বিছানায় শুয়ে পড়ল,,,
_________________________________________

-কিছু ক্ষন পরে ওয়াশরুম থেকে একটা লাল শাড়ি পড়ে বেরিয়ে আসে অনুপমা ,,,, ওয়াশরুম থেকে এসে দেখে অভ্র বিছানায় শুয়ে আছে আর দেখে মনে হচ্ছে ঘুমিয়ে পড়েছে লোকটা,,, আর এইদিকে একটা বালিস আর বেডসিট সোফায় রাখা আছে,,,অনুপমার বুঝতে বেশি সময় লাগলো না যে এটা তার জন্য রাখা হয়েছে আর তার জায়গা বিছানায় নয় বরং আজ থেকে সোফায়,,,, ফুলসজ্জা রাতে এই রকম উপহার স্বামীর কাছে থেকে কজনই বা পায়,,,
________________________________________

পিসি-অনু তোর ফোন এসেছে,,,

-হ‍্যাঁ পিসি যাচ্ছি,,

-হ‍্যালো কে??

-আমি অভ্র চৌধুরী,,,( অভ্র চৌধুরী নামটা শুনতেই অনুপমা কেঁপে উঠলো,,তারপর নিজেকে স্বাভাবিক করে বলে)

-বলুন,,

-আমার পক্ষে এই বিয়েটা করা সম্ভব নয়,,, আমি আপনাকে কখনোই আমার স্ত্রী রুপে গ্ৰহণ করতে পারবো না,,,,সুতরাং বুঝতেই পারছেন ফোনটা কেন করেছি,,,আপনি এই বিয়েটা ভেঙে দিন,,,,(বলেই অনুপমার কোন কথা না শুনেই ফোনটা কেটে দিলো)

-আজব লোক তো,,,আমার কথা না শুনেই ফোনটা কেটে দিলো,,,তবে যাই হোক এবার আমি এই বিয়েটা ভাঙতে পারবো,,,পিসি ও পিসি,,,

-বল কি হয়েছে,,( এমন সময় কলিংবেল বেজে উঠলো,, এবং সেটা বিরামহীন ভাবে বাজতেই থাকলো)

-বলছি দাঁড়ায় আগে দেখি কে এসেছে,,,আরে যায়,,,এত বার করে বেল দিচ্ছেন কেন?(বলেই দরজা খুলে বাবা বলে চিৎকার করে ওঠে অনু,,,অনুর চিৎকার শুনে বেরিয়ে আসে ওর পিসি,,আর এসে দেখে প্রতাপকে কয়েকজন মিলে ধরে আনছে,,)

-কি হয়েছে বাবার কাকু??

-তোর বাবা বাজারে গিয়ে মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিল,,, আমরা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়,,,(তারপর ওরা প্রতাপ বাবুকে সোভায় বসিয়ে দেয়)

-ডাক্তার কি বলেছেন??(উত্তেজিত হয়ে জিজ্ঞেস করে)

-ডাক্তার বলেছে যে তোর বাবার হার্ট খুবই দুর্বল,,, একটু রেস্ট নিতে হবে আর বেশি টেনশন করতে বারণ করেছে,,,আমরা তো বার বার করে বলছি যে তোর বিয়ে নিয়ে এত চিন্তা করতে হবে না,,, আমরা তো সবাই আছি নাকি,,,এখন তোর বাবাকে কোনো রকম মানসিক চাপ দেওয়া যাবে না বুঝেছিস,,,

-হ‍্যাঁ বলেই অনু আর ওর বিয়ে ভাঙার কথা বলতে পারিনি আর যার ফলস্বরূপ এত গুলো কথা আজ অভ্রের কাছ থেকে শুনতে হলো ওকে,,,,
________________________________________

-পরের দিন সকালে অনু তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠে যায়,,তারপর স্নান করে নীচে চলে যায়,,, নীচে গিয়ে দেখে কাজের মেয়েটি রান্নাঘরে কি যেন করছে,,ও একটু কাছে গিয়ে দেখে সকালের ব্রেকফাস্ট রেডি করছে,,

– অনুপমা একটু গলা খাকাড়ি দিয়ে বলে,,শোনো তোমার নাম টা যেন কি???

– ও বৌমনি আমার নাম তুমি এখনো শুনোনি,,,আমার নাম হল মুন্নী,,,

– ওওও তা মুন্নী তুমি কি রান্না করছো??

– এই তো লুচি আর ফুলকপি ,আলু দিয়ে তরকারি,,,

– আচ্ছা তুমি সরে এসো,,আমি করছি আজকের ব্রেকফাস্ট,,,

– না না বৌমনি তোমাকে করতে হবে না,, কর্তামা জানলে আমাকে খুব বকবে,,,

– কেউ জানবে না,, তুমি ভয় পেয়ো না,,,আচ্ছা ঠিক আছে তুমি না হয় আমাকে হাতে হাতে সাহায্য করবে,,,

– ঠিক আছে বৌমনি,,,

প্রায় অল্পকিছু সময়ের মধ্যে সবার জন‍্য ব্রেকফাস্ট আর চা বানিয়ে ফেলল অনুপমা,,,,

আশা-তোকে আবার এ সব করতে কে বলেছে অনু??মুন্নী তুই কোথায়??

-এই তো মা যায়,,,(বলেই ছুটে এল)

আশা-বৌমনিকে রান্নাঘরে ঢুকতে দিয়েছিস কেন??

-মা বিশ্বাস করো আমি অনেক বার বারণ করেছিলাম বৌমনিকে,,

অনু-মা মুন্নী অনেক বার বলেছে কিন্তু আমি শুনিনি,,,

সুনীল-ও তা বেশ ভালোই হলো আশা তোমার মেয়ের হাতের এক কাপ চা সকালে উঠে পাওয়া গেল,,,(হাসতে হাসতে)

আশা-অনু যা এবার অভ্রকে চা টা দিয়ে আয়,,,আমি এই দিক টা দেখছি,,,,,পিসিমা চলে আসেন চা ঠান্ডা হয়ে যাবে,,,

অনু-ঠিক আছে মা,,(এক কাপ চা নিয়ে উপরে চলে যায়,,,ঘরে গিয়ে দেখে অভ্র অফিসের জন‍্য রেডি হচ্ছে)

অনু-আপনার চা,,,,(বলেই সেন্টার টেবিলের উপর রাখলো চায়ের কাপটা,,অভ্র তখন ড্রেসিং টেবিলের সামনে দাঁড়িয়ে ওয়াচ পড়ছিলো,,,আয়না দিয়ে অনুকে দেখে বলে ওঠে,,)

-দেখো এই সব আদিখ্যেতা আমার একদম ভালো লাগে না,,, কালকে রাতের কথা গুলো কি ভুলে গেছো??আশা করি ভুলে যাও নি??

-দেখুন কাল রাতের কোনো কথায় আমি ভুলিনি,,,আর আমি এটাও নিশ্চিত যে ভুলে গেলেও আপনি আমাকে ভুলতে দেবেন না,,, মা বললো বলে তাই নিয়ে আসলাম চা,,,সবার সামনে তো আমাদের মধ্যে কার সম্পর্ক সামনে আনতে পারি না,,,

-এত কথা তোমাকে কে বলতে বলেছে,,,আর কোনো দিন চা নিয়ে আসবে না,,,আমি চা খায় না(বলেই বেড়িয়ে যায় অভ্র ঘর থেকে,,, আর অনুপমা ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে ফুঁপিয়ে ওঠে,,)

-হৃদয় তুমি কোথায় চলে গেলে আমাকে একা করে??কেন করলে এমনটা আমার সাথে??,কি করেছিলাম আমি??ভালোই তো বেসে ছিলাম তোমাকে,,,,,আর তার প্রতিদান এই ছিল???(কথা গুলো বলছে আর ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদছে)
_________________________________________

নয়ন-কেন করছিস মেয়েটার সাথে এমন?? তুই কিন্তু অন‍্যায় করছিস অনুপমার সাথে,,,

-উফফ তুই চুপ করবি,,, ও একটা লোভী মেয়ে,,,নাহলে তুই ভাব কোনো মেয়ে যদি জানতে পারে যে তার সাথে যার বিয়ে হচ্ছে সে তাকে কোনো দিনই স্ত্রী রুপে গ্ৰহণ করতে পারবে না,,, তাহলে সে কি বিয়ে করবে???আর ও কি করলো বিয়ে করলো,,,আমি সব বুঝি আমার এই নাম,খ‍্যাতি আর টাকার জন্য বিয়ে করেছে ওই মেয়েটা,,,(অভ্র)

নয়ন-এর পিছনে হয়তো কোনো কারণ আছে,, অভ্র তুই সম্পূর্ণ বিষয় না জেনে এইভাবে বলতে পারিস না,,,

-তুই চুপ কর,,,আমার এখন এসব নিয়ে আলোচনা করতে একদম ভালো লাগছে না,,, নয়ন অনেক কাজ কাজ আছে এখন তুই আসতে পারিস,,,আর হ‍্যাঁ ফাইল গুলো একবার চেক করে আমাকে পাঠিয়ে দিস,,,

– অভ্রের কথা শুনে মুখ ফুলিয়ে একটা শ্বাস ছাড়লো নয়ন,,তারপর ঠিক আছে বলে বেরিয়ে যায়,,,

চলবে,,,,,

( আজকের পর্ব পড়ে অবশ্যই রিয়‍্যাক্ট ও গঠনমূলক মন্তব্য করবেন,,আর কপি পেস্ট করবেন না)

বিঃদ্রঃ- গল্পটিতে নাম চেঞ্জ করা হয়েছে কারণ অনেকের সমস্যা হচ্ছে তাই দেখে,,,আর হ‍্যাঁ ১৮+ বলতে আমি বলেছি হয়তো কিছু কিছু পর্বে আমাকে এমন কিছু লিখতে হবে গল্পের জন্যে সেটা ছোটরা + বড়োরা ভালোভাবে নাও নিতে পারে,, তাই তাদের এই গল্পটা পড়া থেকে বিরত থাকতে বলেছি,,,যদি কারোর সমস্যা না হয় then সে পড়তেই পাড়ে,,রিচেক করা হয়নি। ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here