স্নিগ্ধ_প্রিয়া #সাদিয়া_শওকত_বাবলি #পর্ব_১০

0
334

#স্নিগ্ধ_প্রিয়া
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_১০

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

এখানকার কিছুই তো চিনে না সে। চারদিকে কাউকে দেখতেও পাচ্ছে না যে তাকে তার ফিরে কলেজে যাওয়ার পথ জিজ্ঞেস করবে। এ কোথায় এসে পড়লো সে? পূর্বাশা বেশ বুঝতে পারছে সে হারিয়ে গেছে। এখন হোস্টেলে ফিরবে সে কিভাবে? পূর্বাশার কান্না পাচ্ছে ভীষণ। কেন যে অতিরিক্ত ভাবতে গিয়ে একা একা বেরিয়ে পড়েছিল সকালে কে জানে? যেহেতু সে এদেশে নতুন চিনে না কিছু তাকে সেরকমই থাকা উচিৎ ছিল অন্তত কিছু দিন। কিন্তু না সে একটু বেশি বুঝতে গিয়েছে যার ফল ভুগতে হচ্ছে এখন। পূর্বাশা এদিক ওদিক ছুটে বোঝার চেষ্টা করলো কোন রাস্তা থেকে এসেছে কিন্তু বুঝতে পারলো না সে। তিনটা রাস্তাই এক রকম মনে হচ্ছে। চোখ বুলিয়ে আশেপাশে পর্যবেক্ষণ করলো যদি কাউকে খুঁজে পাওয়া যায় তবে তাকে জিজ্ঞেস করা যাবে কলেজের পথ। কিন্তু এই সকালে এই দিকে কাউকেই খুঁজে পেল না পূর্বাশা। অস্থির হয়ে উঠলো মেয়েটার নরম হৃদয়। বিচলিত ভঙ্গিতে এদিক ওদিক খুঁজতে লাগলো কাউকে। হঠাৎ তার খেয়াল এলো হাতের মোবাইলটার কথা। এতক্ষন অস্থিরতায় মোবাইলের কথা তো সে ভুলেই বসেছিল। তৃষামকে কল করলেই তো হয় এখন। সে এসে নিয়ে যাবে তাকে। পূর্বাশার হৃদয়ে আশার সঞ্চার হলো। দ্রুত তৃষামের নাম্বার বের করে কল লাগালো তাকে।

তৃষাম পড়ে পড়ে ঘুমাচ্ছিলো। এত সকালে ঘুম থেকে ওঠা অন্তত তার ধাতে নেই। সে বরাবরই ঘুম কাতুরে মানুষ। আর একবার ঘুমালে তাকে ঘুম থেকে তোলাও দায়। এই যে বারংবার মোবাইলটা বেজে যচ্ছে তার অথচ তার কোনো হুশ নেই। তৃষামের মোবাইলে আসা কলের রিংটোনে এই ভোরে তার তিনজন রুমমেট জায়ান, চ্যাং আর মিং ফাও ঘুম থেকে উঠে বসেছে আর সে এখনও বেঘোরে ঘুমাচ্ছে। কলট ধরছে না সে। মরার মতো ঘুমিয়ে আছে। তার মোবাইলের শব্দ শুনে জায়ান এবং চ্যাং দুজনই ঘুম থেকে উঠে বসেছে অথচ তৃষামের খবর নেই আর মোবাইলের রিংটোন বন্ধ হওয়ারও খবর নেই। ক্ষানিক সময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও যখন তৃষাম উঠলো না কলটা ধরলোও না তখন বিরক্ত হলো জায়ান, নিজের বিছানা ছেড়ে নেমে এলো সে। গিয়ে দাঁড়ালো তৃষামের বিছানার পাশে। ডাকলো তৃষামকে। সাড়া শব্দ পেল না কোনো। ভ্রু কুঁচকে এলো জায়ানের। এটা কি ঘুমাচ্ছে নাকি ম’রে’ছে কোনটা? এবার জায়ান মৃদু ধাক্কা দিল তৃষামকে, বলল – তৃষাম তোর ফোন বাজছে।

তৃষাম উঠলো না একটু নড়েচড়ে উঠে আবার উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লো সে। মেজাজ বিগড়ে গেল জায়ানের। তাদের সবাইকে নিজের মোবাইলের বদৌলতে ঘুম থেকে তুলে সে নাক ডেকে ঘুমাচ্ছে এখন। জায়ান নিজের হাত উঁচু করে ঠাস করে একটা থাপ্পর বসিয়ে দিল তৃষামের পশ্চাৎ দেশের উপরে। ধরফরিয়ে উঠে বসলো তৃষাম। চকিত কন্ঠে বলল – কে ? কে ? কে?

জায়ান তাকালো তৃষামের পানে, বলল – তোর বাপ। ফোন বাজছে ধরছিস না কেন?

ফোনের কথা শুনে যেন বিরক্ত হলো তৃষাম। আবারও উপুড় হয়ে শুয়ে পড়লো সে। জায়ানের কন্ঠস্বর গম্ভীর হলো, গম্ভীর কন্ঠে সে বলল – তৃষাম কলটা ধর। অনেকক্ষণ ধরে কেউ কল করছে তোকে।

তৃষাম বিরক্ত হলো। ঘুম জড়ানো কন্ঠে বলল – করতে দে।

– তোর মোবাইলের শব্দে আমরা ঘুমাতে পারছি না।

– তাহলে কেটে দে।

তপ্ত নিঃশ্বাস ফেললো জায়ান। একে কিছু বলে লাভ হবে না কোনো। হাত বাড়িয়ে তৃষামের মোবাইলটা হাতে নিল জায়ান ভাবলো কলটা কেটে দিবে কিন্তু মোবাইলের স্ক্রীনে পূর্বাশার নামট দেখে থমকালো সে, ভ্রু কুঁচকে এলো আপনা আপনিই। এই মেয়েটা আবার এত সকালে কল করেছে কেন? তাও এতবার। একবার কল কেটে দিবে ভেবেও কাটলো না জায়ান। হয়তো কোনো প্রয়োজনে কল করেছে। নয়তো এত সকালে তো কল করার কথা নয় মেয়েটার। কলটা কাটার বদলে রিসিভ করলো জায়ান, মোবাইলটা ধরলো কানের কাছে। প্রায় সাথে সাথেই ওপাশ থেকে ভেসে এলো পূর্বাশার অস্থির কন্ঠস্বর, প্রায় কাঁদো কাঁদো কন্ঠে সে বলল – তৃষাম ভাই আমি না হারিয়ে গেছি। কোথায় আছি হোস্টেলে কিভাবে ফিরবো কিছুই বুঝতে পারছি না। আমাকে এসে একটু নিয়ে যাবেন?

জায়ান শুনলো পূর্বাশার কথাগুলো। কুঁচকানো ভ্রুদ্বয় আরও কুঁচকে এলো তার। এত সকালে মেয়েটা হারালো কিভাবে? তার তো এখন হোস্টেলে থাকার কথা। পুরো বিষয়টি বুঝতেই সে থমথমে কন্ঠে প্রশ্ন করলো – কিভাবে হারিয়েছেন?

তৃষামের মোবাইলে হঠাৎ জায়ানের কন্ঠ পেয়ে ভরকে গেল পূর্বাশা। সে তো তৃষামকে কল করেছিল তাহলে জায়ান এলো কোথা থেকে ? কলটা তাহলে কি জায়ান ধরেছে? ধরতেই পারে, এক রুমেই তো থাকে তারা। কিন্তু এই নাক উঁচু ছেলে কি তাকে সাহায্য করবে? নিশ্চই করবে না। এ তো সবসময় আরও তাকে অপমান করার ধান্দায় বসে থাকে। এখন এর সাথে কথা বলে লাভ কি? তার দরকার তৃষামকে, যে তাকে সাহায্য করবে। জ্বীহ্বা দিয়ে নিজের শুষ্ক দুই ঠোঁট ভেজালো পূর্বাশা, অস্থির কন্ঠে বলল – তৃষাম ভাই কোথায়? উনাকে একটু দিবেন? উনার সাথে জরুরী কথা আছে আমার।

জায়ান তাকালো তৃষামের পানে, উল্টো হয়ে বেঘোরে ঘুমাচ্ছে ছেলেট। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল জায়ান, বলল – তৃষাম ঘুমাচ্ছে। আপনাকে আমি যে প্রশ্ন করেছি তার উত্তর দিন আপনি। এই সাজ সকালে আপনি হারিয়েছেন কিভাবে?

পূর্বাশা আর উপায় পেল না। এখন যা বলার একেই বলতে হবে। যদি কোনো ক্রমে এই নাক উঁচু ছেলেটার তার প্রতি একটু দয়া হয়। মৃদু কন্ঠে পূর্বাশা বলতে শুরু করল – আসলে কাল রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর ফলে সকালে ঘুমটা তাড়াতাড়ি ভেঙে গিয়েছিল। খুব ক্ষুধাও পেয়েছিল। রুমমেট ওরা ঘুমাচ্ছিলো তাই আর ডাকিনি তাদের কাউকে। একা একাই বেরিয়েছিলাম খেতে। কিন্তু হাঁটতে হাঁটতে এখন কোথায় চলে এসেছি জানি না আমি। চারদিকের কিছু চিনতেও পারছি না। হোস্টেলের ফিরতে পারছি না।

পূর্বাশার কথা শুনে কিছুটা রাগ হলো জায়ানের।‌ দাঁতে দাঁত চাপলো সে। এই মেয়েটাকে দিয়ে কিছু হয় না। সে যখন জানে সে পারবে না তাহলে সে কাজ সে করতে যায় কেন। কিছুটা ক্রোধিত কন্ঠেই সে বলল – যা পারেন না তা করতে যান কেন?

পূর্বাশা কাঁদো কাঁদো হয়েই বলল – আমি আসলে বুঝতে পারিনি।

তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল জায়ান, বলল – যেখানে আছেন তার আশেপাশের পরিবেশের বিবরণ দিন।

পূর্বাশা তাকালো আশেপাশে, বলল – একটা পার্কের মতো। গাছপালায় ঘেড়া, একটা দিঘিও আছে এখানে।

চারদিকে এমন পরিবেশ অনেকটাই আছে। এখন এই মেয়েটা ঠিক কোথায় গিয়েছে ঠিক বোধগম্য হলো না জায়ানের। আর একটু ভালোভাবে বুঝতে সে বলল – আশেপাশে কোনো সাইনবোর্ড আছে? যেখানে কিছু লেখা দেখছেন আপনি।

পূর্বাশা আবারও তাকালো আশেপাশে। চোখে ছোট বড় দুই তিনটা সাইনবোর্ডই চোখে পড়লো তার। জায়ানের প্রশ্নের জবাবে সে বলল – হ্যা হ্যা আছে কিন্তু সেখানে চাইনিজ অক্ষরে কি কি যেন লেখা আমি বুঝতে পারছি না।

– আপনাকে বুঝতে হবে না। সাইনবোর্ডগুলোর ছবি তুলেসেন্ড করুন আমাকে।

– কোথায় সেন্ড করবো? আমি তো আপনার নাম্বার, আইডি কিছুই জানি না।

– তৃষামকে সেন্ড করুন তাহলেই হবে।

কথাটুকু বলেই কলটা কেটে দিল জায়ান। পূর্বাশা দ্রুত সাইনবোর্ডগুলোর ছবি তুলে পাঠিয়ে দিল তৃষামের নাম্বারে। তৃষামের ফোনের লক আগে থেকেই জায়ানের জানা থাকায় খুলতে বেশি অসুবিধা হলো না জায়ানের। সে দেখলো পূর্বাশার পাঠানো ছবিগুলো, বুঝলো কোথায় আছে মেয়েটা। দেরী করলো না আর জায়ান, যেভাবে ঘুম থেকে উঠেছিল সেভাবেই উসকোখুসকো চুল, টিশার্ট আর থ্রী কোয়ার্টার প্যান্টেই ছুটলো পূর্বাশাকে খুঁজতে। একটু যেতেই এসে পড়লো সে পূর্বাশার কাছে। মেয়েটা হাঁটু মুড়ে বসে আছে একটা বেঞ্চির উপর। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলল জায়ান, দৌড়ে গেল তার কাছে, বলল – চলুন।

জায়ানের কন্ঠস্বর শুনে মাথা তুলে তাকালো পূর্বাশা। থমকে গেল যেন সে। ঘুম জড়ানো উসকোখুসকো চুলে এই নাক উঁচু ছেলেটাকে দেখে হৃদ স্পন্দন যেন থেমে যাওয়ার উপক্রম তার। বক্ষস্থল জুড়ে যেন হানা দিতে শুরু করলো অদ্ভুত এক ভালো লাগার অনুভূতি। পরক্ষনেই আবার জায়ানের দিক থেকে নিজের দৃষ্টি সরিয়ে নিল পূর্বাশা। নিজের ভাবনার উপর নিজেই তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলো সে। এই ভালো লাগার অনুভূতি যে তার জন্য নয়। এ অনুভূতি এই সমাজের সুন্দর মানুষদের জন্য। তাদের মতো কুৎসিত অসুন্দর মানুষদের জন্য নয়।

বেশ অনেক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পরও পূর্বাশাকে বসা থেকে উঠতে না দেখে জায়ান আবার বলল – কি হলো চলুন।

তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল পূর্বাশা। যাক অবশেষে নাক উঁচু ছেলেটার মায়া হলো তার প্রতি। তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে সে। বেঞ্চ ছেড়ে উঠে দাঁড়ালো পূর্বাশা। তাকে উঠে দাঁড়াতে দেখে হাঁটা ধরলো জায়ান, পূর্বাশাও হাঁটা ধরলো তার পিছু পিছু। কিছুটা দূরে এসেই জায়ান থমকে দাঁড়ালো হঠাৎ। পূর্বাশা মাথা নিচু করে হাঁটতে থাকায় খেয়াল করেনি অতটা। জায়ান থমকে দাঁড়াতেই সে ধাক্কা খেল ছেলেটার পিঠে বরাবর।। দু কদম পিছিয়ে গেল সে, নাকটা যেন চ্যাপ্টা বনে গেছে এই টুকুতেই। কি শক্ত পিঠরে বাবা। পূর্বাশা নাক মুখ কুঁচকেই হাত দিয়ে ধরলো তার সদ্য টাক খেয়ে আহত নাকটার ডগায়। জায়ান ফিরে তাকালো পূর্বাশার কে, তার সদ্য আহত হওয়া নাকটার পানে একবার দৃষ্টি নিক্ষেপ করে লম্বা লম্বা পা ফেলে গেল পাশে একটা ছোট খাটো দোকানে। দোকান থেকে গরম গরম ডাম্পিলিং আর পানি নিয়ে এলো কিনে, সেগুলো বারিয়ে দিল পূর্বাশার দিকে, বলল – খেয়ে নিন, হারিয়ে গিয়ে যতটুকু খেয়েছিলেন ততটুকুও বোধহয় হজম হয়ে ক্ষিদে পেয়েছে আবার।

পূর্বাশা অবাক হলো কিছুটা। সত্যিই তার ক্ষুধা লেগেছিল। যতটুকু খেয়েছিল তা তখন হারিয়ে গিয়ে কোথায় যেন উবে গেল। কিন্তু এই ছেলেট তার পেটের খবর জানালো কিভাব? জায়ান বোধহয় বুঝলো পূর্বাশার চোখের ভাষা, হুট করেই সে বলল – আপনার পেট ক্ষুধায় সম্ভবত গোড় গোড় আওয়াজ করছে। সেখান থেকেই বুঝেছি।

পূর্বশার যেন লজ্জা পেল যেন। তার পেটের আওয়াজ জায়ানের কান পর্যন্ত পৌঁছে গেল। তার পেট কি এতটা জোরেই আওয়াজ করছিলো? লজ্জালু ভঙ্গিতেই ডাম্পিলিং গুলো খাওয়া শুরু করলো পূর্বাশা আর হাঁটতে শুরু করলো জায়ানের পিছু পিছু। দুটো ডাম্পিলিং শেষ করতেই পূর্বাশার খেয়ালে এলো জায়ানের কথা। ছেলেটা তাকে সাহায্য করলো খুঁজে হোস্টেলে ফিরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে আবার খাবার এনে দিয়েছে অথচ সে কিনা একা একাই খেয়ে যাচ্ছে। তাকে একবার সাধলোও না। নিশ্চই ছেলেটা তাকে পেটুক ভেবেছে। পূর্বাশা মৃদু কন্ঠে ডাকলো জায়ানকে, বলল – শুনেছেন?

জায়ান হাঁটতে হাঁটতেই জবাব দিল – বলুন।

– আপনি খাবেন না?

– আমি মুখ ধুইনি এখনও।

পূর্বাশার খারাপ লাগলো। ছেলেটা ঘুমাচ্ছিল সেখান থেকে উঠে মুখ হাত না ধুয়েই ছুটে আসতে হয়েছে তাকে। সব হয়েছে তার জন্য, তার বোকামির জন্য। সে যদি সকাল সকাল এই বোকামিটা না করতো তাহলে ছেলেটাকে এখন ঝামেলায় পড়তে হতো না। পূর্বাশা অপরাধীর মতো কন্ঠেই বলল – মাফ করবেন এই সকাল সকাল আপনাকে ঝামেলায় ফেলার জন্য। আমার জন্যই আপনার এই ভোর বেলা এত ঝামেলা পোহাতে হলো।

পূর্বাশার কথায় থমকে দাঁড়ালো জায়ান, বলল – একদম ঠিক বলেছেন। সকাল সকাল আপনি এত সুন্দর একটা পদক্ষেপ না নিলে আমি এবং আমার রুমমেটরা একটু শান্তিতে ঘুমাতে পারতাম। না নিজে ঘুমালেন আর না আমাদের ঘুমাতে দিলেন। এরপর থেকে আর এমন কোনো কাজ করবেন না যাতে অন্যদের ঝামেলায় পড়তে হয়‌।

চলবে……

ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি লিংক –
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090661336698&mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

গ্রুপ লিংক –
https://www.facebook.com/groups/233071369558690/?ref=share_group_link

[ আহরাব ইশতিয়াদ এবং নিশিতা জুটির উপর লেখা আমার প্রথম উপন্যাস “স্নিগ্ধ প্রেয়শী” পড়ে নিন বইটই অ্যাপে, মাত্র ৪০ টাকা। বইয়ের লিংক এবং কিভাবে কিনবেন পেয়ে যাবেন কমেন্ট বক্সে ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here