#স্নিগ্ধ_প্রিয়া
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_২০
( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )
তৃষাম গোল গোল দৃষ্টিতে তাকালো জায়ানের পানে, চকিত কন্ঠে বলল – তুই! তুই নিজে থেকে কথা বলছিস আমার সাথে?
জায়ান যেন বিরক্ত হলো। নিজের ইগো ভেঙে সে প্রথম কারো সাথে কথা বলছে আর এই ব্যাটা কিনা সকাল সকাল নাটক শুরু করছে? বিরক্তিতে নাক মুখ কুঁচকে ফেললো জায়ান। রুক্ষ কন্ঠে বলল – না আমার ভুতে কথা বলছে। উঠবি নাকি এই ঠান্ডায় ঠান্ডা পানি এনে ঢেলে দেব তোর গায়ে?
তৃষাম ধাতস্থ হলো। না সে স্বপ্ন দেখছে না কোনো। জায়ান সত্যিই তার উঁচু নাকটা একটু নুইয়ে কথা বলছে তার সাথে। মেকি হাসলো তৃষ্ণায়, বলল – না না ঠিক আছে।
– ওঠ তাড়াতাড়ি। কাজ আছে।
– কি কাজ?
তপ্ত নিঃশ্বাস ছাড়লো জায়ান। চেয়ার টেনে বসতে বসতে বলল – তোর বোনের সাথে দেখা করতে যাব।
তৃষাম অবাক হলো। তাকে এই ছেলে সহ্য করতে পারে না তার সাথে নাকি এই সকাল সকাল দেখা করতে যাবে? কেন যাবে? আবার অপমান করতে? শেষে কিনা এই ছিল এর পেটে। এর জন্য কিনা নিজের উঁচু নাক কেটে তার সাথে এসে কথা বলেছে? না না এই ছেলেকে কিছুতেই পূর্বাশার কাছে নেওয়া যাবে না। তৃষামের মুখটা থমথমে হলো, বলল – না তোর যেতে হবে না ওখানে। আমি চাই না ওর আর কোনো অপমান হোক। ওর সাথে তোর দেখা করারই কোনো প্রয়োজন নেই।
জায়ান শীতল দৃষ্টিতে তাকালো তৃষামের পানে, শান্ত কন্ঠেই বলল – তোর বোনকে স্যরি বলতে যাব আমি।
তৃষাম যেন এবার অবাকের চড়ম পর্যায়ে পৌঁছে গেল মুহুর্তে। জায়ান স্যরি বলবে কাউকে? তাও কিনা তাকে নিজের কানে শুনতে হবে? যে ছেলে জীবনে স্যরির স ও উচ্চারণ করেননি সে কিনা স্যরি বলতে চাইছে? বিষয়টা কোনোভাবেই বিশ্বাস হচ্ছে না তৃষামের কিন্তু নিজের কৌতুহলও দমাতে পারছে না। সত্যিই কি পূর্বাশাকে স্যরি বলতে যাবে জায়ান? নিজের কৌতুহল বশবর্তী হয়ে তাই সে রাজি হয়ে গেল জায়ানের কথায়। বিছানা ছেড়ে উঠে কোনো রকমে হাত মুখ ধুয়ে মোটা শীত বস্ত্র জড়ালো শরীরে অতঃপর নেমে পড়লো বাইরে।
ক্ষানিক বাদেই জায়ান আর তৃষাম পৌঁছালো পূর্বাশার হোস্টেলের নিচে। হোস্টেলের পানে একবার তাকিয়ে সে পাশ ফিরে তাকালো তৃষামের, বলল – তোর বোনকে কল লাগা। নিচে আসতে বল তাকে।
জায়ানের কথামতো তৃষাম কল লাগালো পুর্বাশাকে। মূলত মেয়েটাকে কল করে নিচে আনার জন্যই তৃষামকে সাথে করে নিয়ে এসেছে জায়ান। কালকে রাতের ঘটনার পর হয়তো জায়ানের কল পূর্বাশা ধরবেই না আর তো এখানে আসা। নয়তো এই তৃষাম নামক গর্দভটাকে কে আনতো? তৃষামের কল পেয়েই শীত বস্ত্র জড়িয়ে হোস্টেলের বাইরে এলো পূর্বাশা। জায়ানকে চোখে পড়তেই কাল রাতের ঘটনা মস্তিষ্কে হানা দিল মেয়েটার। কলিজাটা কেঁপে উঠলো তার। এই ছেলে আবার এখানে কেন? কাল রাতের থাপ্পরটা কি ফেরত দিতে এসেছে? হতেও পারে। যেখানে শুধু শুধু পথে ঘাটে হাঁটতে বসতে এই লোক অপমান করতে ছাড়ে না তাকে সেখানে কাল রাতে অত বড় একটা থাপ্পর খেয়ে হজম করবে কিভাবে? আনমনেই নিজের গালে হাত চলে গেল পূর্বাশার। এই শীতে ঐ শক্তপোক্ত হাতের দাবাং মার্কা থাপ্পর যদি পূর্বাশার গালে পড়ে মেয়েটা নিশ্চিত জ্ঞান হারাবে। ভয়ে ঢোক গিলল পূর্বাশা। পিছন ঘুরে উল্টো পথে হাঁটা ধরলো সে। জায়ান দেখলো মেয়েটা চলে যাচ্ছে। দৌড়ে তার কাছে গেল জায়ান। গুরুগম্ভীর কন্ঠে বলল – দাঁড়ান।
জায়ানের গম্ভীর কন্ঠের এই আদেশ উপেক্ষা করার সাহস হলো না পূর্বাশার। থমকে দাঁড়ালো সে। জায়ান এগিয়ে গেল তার পানে। নিজের হাতে থাকা খাবারের প্যাকেটটা ঠেলে ধরিয়ে দিল পূর্বাশার হাতে। হকচকালো মেয়েটা। খাবারগুলো পড়তে পড়তে বাঁচিয়ে নিল সে। চোখ তুলে জায়ানের পানে তাকানোর আগেই ছেলেটার থমথমে কন্ঠস্বর আবার এসে বারি খেল পূর্বাশার কর্নে। ছোট বাক্যে সে বলল – স্যরি।
কথাটুকু বলেই আর একদন্ড দাঁড়ালো না জায়ান। পিছন ঘুরে হাঁটা শুরু করলো সে। তৃষাম আর পূর্বাশা অবাক চোখে তাকিয়ে রইলো ছেলেটার পানে। জায়ন স্যরি বলেছে কাউকে? কিন্তু স্যরিটা কেন বলল? কারন কি? ভাবনায় বিভোর হলো পূর্বাশা। তৃষাম বোধহয় বুঝলো বোনের মনের কথা। নিজের অবাকতার রেশটা একটু কাটিয়ে উঠে সে এগিয়ে এলো পূর্বাশার পানে, গলা খাঁকারি দিয়ে বলল – সেদিনের করা ব্যবহারের জন্য স্যরি বলেছে।
বলেই মেয়েটার হাতে খাবারের প্যাকেটটা ধরিয়ে দিল অতঃপর উল্টো পথে হনহন করে হাঁটা ধরলো আবার।
– সেদিনের ব্যবহারের জন্য স্যরি বলেছে।
কথাটা বলেই তৃষাম দৌড় লাগালো করলো জায়ানের পিছু পিছু। তার পাশে গিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে বলল – তোর আর আমার এত দিনের বন্ধুত্ব কই আমাকে তো কখনও স্যরি বলিসনি। আগেরবার তোর জন্য একটা মেয়ে গার্লফ্রেন্ড হতে হতে আমার চলে গেল, চব্বিশ দিন আগে ক্যান্টিন এ দুপুরের খাবারে আমার প্লেটের মাংস সব তুই খেয়ে নিয়েছিলি, তোর এংরি বার্ড আন্ডা* ওয়্যা*টা একদিনের জন্য একটু চু’রি করে পড়েছিলাম তাই পড়নে থাকা অবস্থায়ই আমার আন্ডা* ওয়্যা* আগুন লাগিয়ে দিয়েছিলি। সেই আগুনের ছ্যাকায় লাল হয়ে গিয়েছিল আমার পা স্যরি বাম। নষ্ট হয়ে যেতে শুরু করেছিল আমার ভবিষ্যৎ তাই বলে কখনও তো আমাকে স্যরি বলিসনি আমাকে। সেখানে কিনা দুই দিনের পরিচিয় হওয়া একটা মেয়েকে এত সহজে স্যরি বলে দিলি?
জায়ানের দৃষ্টি তীক্ষ্ম হলো। পায়ের একটা জুতো খুলে হাতে নিল সে। শীতল কন্ঠে ভলল – স্যরি লাগবে তোর? আয় বলছি।
মেকি হাসলো তৃষাম। জায়ানের থেকে দূরে সরে গিয়ে বলল – না না ভাই আমার কোনো স্যরি লাগবে না। তুই জুতো নিচে নামা ভাই।
_____________________________________
দিনের শেষভাগ। সন্ধ্যা নেমেছে ধরনীতে। দিনের সূর্যটা ধীরে ধীরে অস্তমিত হয়ে আঁধারে ঢেকে যাচ্ছে চারপাশটা। সোডিয়ামের কৃত্রিম আলোয় ভরে উঠেছে শহরের বুকটা। জায়ান আর তৃষাম আবার এসে দাঁড়িয়েছে পূর্বাশার হোস্টেলের নিচে। মেয়েরা হেসে খেলে কেউ ভিতরে প্রবেশ করছে আবার কেউ বাইরে বেরিয়ে আসছে তবে দেখা নেই পূর্বাশার। মেয়েটা হয়তো এই শীতে ঘাপটি মেরে বসে রয়েছে নিজের কক্ষে। জায়ান ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালো তৃষামের পানে, বলল – তোর বোনকে কল করে নিচে আসতে বল। আর আসলে যা যা বলতে শিখিয়ে দিয়েছি একদম তাই তাই বলবি। একটুও যেন এদিক ওদিক না হয় নয়তো তোর না’ই’টি পড়া ভিডিও পড়া ভিডিও ভাইরাল করে দেব।
তৃষাম মুখশ্রী রক্তিম হলো। বড় লজ্জাজনক পরিস্থিতির স্বীকার সে। শখ করে রাস্তার পাশ থেকে কেমন ছোট খাটো টিশার্ট সিস্টেমের একটা জামা কিনেছিল। কে জানতো ঐটা নাইটি? মেয়েদের মতো ধরনের নাইটি সে এ পর্যন্ত দেখেছে তার চেয়ে ভিন্নধর্মী ছিল এটা। তাই তো চিনতে পারেনি। কিন্তু হোস্টেলে ফিরে যখন পড়লো তখন জায়ান আর চ্যাং এক বাক্যে বলে দিল এটা নাকি না’ই’টি। ইন্টারনেটে খুঁজেও তেমন কিছুই পেয়েছিল সে। শেষ পর্যন্ত কিনা না’ই’টি পড়েছে। লজ্জায় মাথা কাটা যাচ্ছিলো তৃষামের। আর এই ব’জ্জা’ত গুলো কিনা তার সেই মুহুর্তের ভিডিও করে রেখেছিল আর এখন তা নিয়েই প্রতি কথায় কথায় ব্ল্যাকমেইল করে মারছে তাকে। তৃষাম থমথমে মুখ করেই কল লাগালো পূর্বাশাকে, বলল নিচে আসতে।
একটু সময় পরই পূর্বাশা এলো নিচে। তৃষাম আর জায়ানের সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল – ডেকেছো কেন?
তৃষাম একবার তাকালো জায়ানের পানে অতঃপর পূর্বাশার পানে তাকিয়ে বলল – চল সিনেমা দেখে আসি আমরা।
পূর্বাশা যেন অবাক হলো জায়ানের কথায়। অবাক সুরেই বলল – এখন এভাবে?
– আসলে আমি আর জায়ান যাচ্ছিলাম তো। ভাবলাম তোকেও নিয়ে যাই। এদেশে আসার পর তুইও তো তেমন একটা ঘুরিসনি বা সিনেমা দেখিসনি।
– তা ঠিক। কিন্তু আমি তো তৈরী হয়ে আসিনি।
– আর তৈরি হতে হবে না। শীতকাল শীত পোশাক আছে তাতেই হবে। নিচের জামা কেউ দেখবে না। চল আমাদের সাথে।
পূর্বাশা আর বারন করলো না। জায়ান আর তৃষামের সাথে কিছু সময়ের ব্যবধানেই এসে পৌঁছালো তারা সিনেমা হলে। কলেজ থেকে সিনেমা হল খুব বেশি দূরে না হওয়ায় তাড়াতাড়িই পৌঁছালো তারা। জায়ান তৃষাম আর পূর্বাশাকে দাঁড় করিয়ে রেখে গেল টিকিট কাটতে। সিনেমা হলের কতৃপক্ষ নিকট থেকে জানতে পারলো আজ তিনটা সিনেমা চলছে এই হলে। একটা রোমান্টিক, একটা মোটিভেশনাল আর একটা হরর। এখন সময় হলো কোন সিনেমাটা দেখবে তারা। জায়ান মহা চিন্তায় পড়ে গেল। এখন পর্যন্ত তাদের প্রেমের প ও তো শুরু হয়নি। তাছাড়া মেয়েটাও খুব একটা পছন্দ করে না তাকে। এই মুহূর্তে রোমান্টিক মুভি সিলেক্ট করা মানে নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারা। তাছাড়া চীনের রোমান্টিক মুভির তো আর বাংলাদেশী মুভির মতো নয়। এখানকার এসব মুভিতে একটু বেশিই রোমান্টিকতার মাত্রা রাখা হয়। মুভি জুড়ে থাকে অসংখ্য লিপ কিসের দৃশ্য। এসব দেখে নিশ্চই মেয়েটা তাকে ভালো ভাববে না। ভাববে জায়ান ইচ্ছে করেই তাকে এসব আজেবাজে মুভি দেখাচ্ছে। পূর্বাশার মনে জায়ানের জন্য ইতিবাচক ভাবনার চেয়ে নেতিবাচক ভাবনার সৃষ্টি হবে বেশি। তার থেকে এই রোমান্টিক মুভি বাদ। তাহলে কি মোটিভেশনাল মুভি দেখবে? না তাহলে হয়তো মেয়েটা তাকে আন রোমান্টিক ভাববে। পরে দেখা যাবে প্রেমের আগেই পালিয়ে যাবে। তাহলে কি হরর মুভি দেখবে? হ্যা এটাই ভালো হবে। অনেক চিন্তা ভাবনা করে ছেলেটা হরর মুভিটাই সিলেক্ট করলো। এর মধ্যে অল্প স্বল্প রোম্যান্স, ভয় এবং অল্প মাত্রায় মোটিভেশনাল তথ্যও পাওয়া যাবে। জায়ান হরর মুভিটাই সিলেক্ট করলো। তিনটা টিকেট কেটে সে তৃষাম আর পূর্বাশাকে নিয়ে গেল সিনেমা দেখার জন্য বরাদ্দকৃত কক্ষ। সাথে আবার পপকর্ন আর পানীয়ও নিয়েছে তিনজনের জন্য।
সিনেমা হলের সিটে বসলো জায়ান, তৃষাম আর পূর্বাশা। দুই পাশের দুই সিটে বসেছে জায়ান আর তৃষাম আর মধ্যখানে পূর্বাশা। মেয়েটা বড় বড় চোখে পর্যবেক্ষণ করছে চারদিকে। এর আগে তার সিনেমা হলে গিয়ে সিনেমা দেখা হয়নি কখনও। দুই চারটা যা ছবি দেখেছে তা নিজের ঘরে টিভি, মোবাইল কিংবা ল্যাপটপেই দেখেছে। তবে শুনেছিল সিনেমা হলে নাকি মানুষ হয় অনেক। কিন্তু এখানে মানুষ নেই তেমন। তারা এবং আর দুই চারজন ছাড়া সিনেমাহল পুরো ফাঁকা। আশেপাশে দেখতে দেখতেই হঠাৎ একটা ভুতুড়ে আওয়াজ এসে পৌঁছালো পূর্বাশার কর্নে। কেঁপে উঠলো মেয়েটা। তড়িৎ গতিতে ফিরে তাকালো সম্মুখের দিকে। স্ক্রীনে ভেসে উঠলো আধো আধো ভয়ংকর একটা মুখ। কলিজাটা কেঁপে উঠলো পূর্বাশার। ভয়ে জড়সড় হয়ে পড়লো মেয়েটা হৃদস্পন্দনও বেড়ে গেছে অনেকটা। চোখ মুখ খিচে হাত বাড়িয়ে খামচে ধরলো নিজ সিটের হাতলটা। তবে ওটা হাতল ছিল না ছিল জায়ানের হাত। কেঁপে উঠলো জায়ান। কোনো নারীর প্রথম স্পর্শ তার শরীরে তাও যদি হয় প্রিয় নারীর। হৃদস্পন্দন বেড়ে গেল ছেলেটার। সুখকর অনুভূতিরা যেন ঘিরে ধরলো তাকে। তবে এই সুখকর অনুভূতি খুব একটা দীর্ঘস্থায়ী হলো না। পূর্বাশার আরও জোরে খামচে ধরলো জায়ানের হাতটা। নখগুলো গেথে গেল ছেলেটার হাতে। জ্বলে উঠলো জায়ানের হাতের পিষ্ঠ। তবুও দাঁতে দাঁত চেপে সহ্য করে নিল ব্যথাটা। কিঞ্চিৎ সময় অতিবাহিত হলো। হুট করেই স্ক্রীনে ভেসে উঠলো বিদঘুটে ভয়ংকর চেহারাধারী এক নারী। চোখ বড় বড় হয়ে গেল পূর্বাশার। অন্তরাত্মা কেঁপে উঠলো মেয়েটার। জোরে চিৎকার করে দাঁড়িয়ে গেল সে, বলল – এ সিনেমা আমি দেখবো না। আমি হোস্টেলে যাব।
চলবে…….
ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি লিংক –
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090661336698&mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
গ্রুপ লিংক –
https://www.facebook.com/groups/233071369558690/?ref=share_group_link
[ আহরাব ইশতিয়াদ এবং নিশিতা জুটির উপর লেখা আমার প্রথম উপন্যাস “স্নিগ্ধ প্রেয়শী” পড়ে নিন বইটই অ্যাপে, মাত্র ৪০ টাকা। বইয়ের লিংক এবং কিভাবে কিনবেন পেয়ে যাবেন কমেন্ট বক্সে ]