স্নিগ্ধ_প্রিয়া #সাদিয়া_শওকত_বাবলি #পর্ব_২৩

0
338

#স্নিগ্ধ_প্রিয়া
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_২৩

( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )

চারদিকে এখনও আবছা অন্ধকার বিদ্যমান। সকালের সময়টা বেশ গড়ালেও কুয়াশার দাপটে এখনও সূর্যটা আকশে দৃশ্যমান নয়। চারদিকে একটা হিম হিম ভাব। জায়ান খুব সকালেই ঘুম থেকে উঠেছে আজ। ফ্রেশ হয়ে বসেছে জামা কাপড় নির্বাচনের যু’দ্ধে। প্রথম বার আজ সে পূর্বাশার সাথে ঘুরতে যাচ্ছে এভাবে সাধারনভাবে গেলে চলবে নাকি? মেয়েটার চোখ ধাঁধিয়ে দিতে হবে না? ছোটখাটো দেহী মেয়েটার সম্মুখে নিজেকে উজ্জ্বল, সুদর্শন রূপে প্রদর্শন করতে হবে তো। যাতে মেয়েটা দেখেই কাবু হয়ে তার প্রতি। ভিতরে ভিতরে জায়ান বেশ উত্তেজিত হলেও মুখাবয়ব তার খুব সাধারন। প্রতিদিনের ন্যায়ে গম্ভীর, মেজাজী। বেশ অনেক্ষণ সময় নিয়ে জায়ান তার সকল শার্টের মধ্যভাগ থেকে হালকা আকাশি রঙা একটা শার্ট নির্বাচন করলো। নিজের শক্তপোক্ত দেহে আঁটসাঁট বেঁধে থাকা ধূসর রঙা টিশার্টটা খুলে ফেললো এক টানে। ফর্সা নগ্ন দেহটা দৃশ্যমান হলো মুহুর্তেই। শার্টটা হাতে নিয়ে নগ্ন দেহটা টেনে দাঁড়ালো সে আয়নার সম্মুখে। মেদহীন কোমড়ের দিকটায় ভাঁজ পড়েছে দুই একটা। জায়ান নিজেকে দেখে নিল একবার। অতঃপর নগ্ন ফর্সা দেহাটাকে ঢেকে নিল হালকা আকাশি রঙা শার্টের আবরনে। পারফিউম হাতে নিয়ে কড়া করে গায়ে মাখলো তা। চুলগুলো ভালোভাবে তৈরী করে। আবারও একবার নিজেকে দেখে নিল আয়নায়। অতঃপর নিজের ছোট বিছানার উপরে রাখা মোটা শীতবস্ত্রটা তুলে জড়ালো শরীরে। একটা ছোট খাটো কান টুপি চড়িয়ে দিল মাথায়। তৃষাম আর চ্যাং এবার অবাক না হয়ে পারলো না। এতক্ষন শরীরে চাদর জড়িয়ে দুজন বসে বসে দেখছিলো জায়ানের কার্যকলাপ যদিও টা টু কোনো শব্দ করেনি তারা। কিন্তু শেষে এটা কি হলো? এত মোটা শীতবস্ত্রই যখন শরীরে জড়াবে তাহলে এত খুঁজে সুন্দর শার্টটা পড়ার কি দরকার ছিল? আর মাথায় যখন টুপিই চড়াবে তাহলে এত কষ্ট করে চুল তৈরী করার মানে কি হলো? হাতে পায়ে আবার মুজাও পড়ছে। পুরো প্যাকেট হয়ে তৈরী হচ্ছে সে। অবশ্য এই সময়ে চীনে যা শীত তাতে প্যাকেট না হয়েও লাভ নেই। স্টাইল মেরে বাইরে গেলে নির্ঘাত আইসক্রিম হয়ে আবার ঘরে ফিরতে হবে। কিন্তু সে কথা আমরা যখন জানিই তাহলে প্রথমে এত সাজগোজের মানে কি? বোধগম্য হলো না তৃষাম আর চ্যাং এর। কিছুটা সময় নিয়ে একদম ফিটফাট হয়ে নিজের হোস্টেল থেকে বেরিয়ে গেলো জায়ান, দাঁড়ালো পূর্বাশার হোস্টেলের সম্মুখে। পকেট থেকে মোবাইল বের করে কল লাগালো পূর্বাশাকে। মিনিট পাঁচেক অতিবাহিত হতেই নিজের হোস্টেল থেকে বেরিয়ে এলো পূর্বাশা। পুরো প্যাকেট যেন মেয়েটা। সারা শরীর শীত বস্ত্র, টুপি, হাত মোজা, পা মোজা দিয়ে ঢাকা। শুধু মুখ টুকুই তার বাইরে দৃশ্যমান। গুটি গুটি পায়ে মেয়েটা এসে দাঁড়ালো জায়ানের সম্মুখে। আশেপাশে উঁকি ঝুঁকি মেরে বলল – তৃষাম ভাইয়া কোথায়? সে যাবে না?

জায়ানের কন্ঠ গম্ভীর শোনালো। গাম্ভীর্যপূর্ণ কন্ঠে বলল – না ওর জরুরী কাজ আছে একটা। তাই আসেনি, যাবে না আমাদের সাথে।

পূর্বাশার অস্বস্তি বাড়লো। অপরিচিত কারো সাথে এভাবে ঘোরাঘুরি তার পছন্দ নয়, অস্বস্তি হয়। জায়ান তো এক প্রকার অপরিচিতই তার। যে কটা দিন এখানে এসেছে জায়ানের সাথে কথা হয়েছে কখনও দু দন্ড ভালো কথা হয়নি তো তাদের। ছেলেটা যখনই তাকে পেয়েছে অপমান করেছে, কটু বাক্য শুনিয়েছে। শুধু এই দুদিন ধরে যা একটু ভালো ব্যবহার করেছে। তাও দুদিন যাও সাথে তৃষাম ছিল। তাই একটু সাহস পেয়েছিল। আজ তো সেও নেই। জায়ানের সাথে কোথাও যেতে ইচ্ছে হলো না পূর্বাশার। কিন্তু যাবে না যে তাও তো বলতে পারছে না এখন। কাল রাতে সে তো এক প্রকার কথা দিয়েছিল জায়ানকে যে সাথে সে যাবে। এখন যদি না যায়, লোকটা কি ভাববে তাহলে? ভাববে মেয়েটা কথা দিয়ে কথা রাখতে জানে না। মনে ওঠা ইতস্ততবোধকে সেখানেই অগোচরে দমন করলো পূর্বাশা। অতঃপর নম্র কন্ঠে বলল – ঠিক আছে।

জায়ান আর কথা বাড়ালো না। পা চালিয়ে হাঁটা ধরলো সম্মুখের পানে। পূর্বাশাও দেরী করলো না খুব। সেও হাঁটা লাগালো জায়ানের জায়ানের পিছু পিছু।

***

কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত হতেই জায়ান আর পূর্বাশা এসে পৌঁছালো একটা পার্কের সম্মুখে। সম্ভবত অ্যামিউসমেন্ট পার্কের এটা। অবশ্য এসব দিক থেকে এই শহরটা বেশ ভালো। শহরের মধ্যেই আশেপাশে অ্যামিউসমেন্ট পার্ক, একাকী সময় কাটানোর স্থান, মন খারাপ থাকলে নিজের মতো করে সময় কাটানোর মতো স্থান পাওয়া যায় খুব সহজে। যা বাংলাদেশে খুব একটা দেখা যায় না। এখানে অলিতে গলিতে হোটেল রেস্টুরেন্ট ছোট ছোট লাল নীল আলোয় সজ্জিত কক্ষ পাওয়া যায় যেখানে বন্ধু বান্ধবদের নিয়ে গিয়ে অনায়াসেই নেচে কুদে সময় কাটানো পার্টি করা যায়। আবার মন খারাপ থাকলে একা একাও গিয়ে বসে থাকা যায়। পূর্বাশা গোল গোল চোখে বাইরে থেকেই তাকালো অ্যামিসমেন্ট পার্কের ভিতরের দিকটায়। শিশু পার্ক ছাড়া অন্য কিছু মনে হলো না তার। সেই কবে বাবার হাত ধরে একবার শিশু পার্কে গিয়েছিল সে। তখন আর বয়স কত হবে? এই ১১ কিংবা ১২। খুব মজা করেছিল সে। সেই দিনটা তার জীবনে হাতে গোনা কয়েকটা ভালো দিনের মধ্যে একটা। কিন্তু সেদিন বাড়িতে পৌঁছতেই সে দেখা পেয়েছিল বড় ফুফুর। মুখ বাঁকিয়ে বলেছিল – এত বড় ধিংগি মেয়েকে নিয়ে আবার গিয়েছিলি শিশু পার্কে? ঢং যত তোদের।

সেদিন তার ফুফুর কথাগুলো বেশ প্রভাব ফেলেছিল পূর্বাশার ছোট্ট মনে। তারপর কখনও মুখ ফুটে বাবাকে বলেনি কোথাও নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার বাবা অবশ্য নিয়ে যেতে চেয়েছিল তাকে কিন্তু সে যায়নি। একে তো নিজের আপনজনদের তীরস্কার। তার উপর কোথাও গেলে আশেপাশের মানুষগুলো কেমন একটা দৃষ্টিতে তাকাতো তার পানে। হয়তো সে কুৎসিত তাই। মানুষের ঐ দৃষ্টিটা বড্ড বেদনা দিত তাকে। তাই কোথায় যাওয়া কিংবা মানুষের মধ্যে যাওয়াটা বন্ধ করে দিয়েছিল সে। চীনে এসে এখন যাই একটু একটু করে নিজের খোলস ছেড়ে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে মেয়েটা, নিজের মতো করে বাঁচতে শিখছে প্রতিনিয়ত। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল পূর্বাশা। তার পাশে এসে দাঁড়ালো জায়ান। হাতে তার দুটো টিকিট। টিকিট দুটো ঝাকরাতে ঝাকরতে বলল – চলুন ভিতরে চলুন।

পূর্বাশা অবাক হলো। তারা এই শিশু পার্কের ভিতরে যাবে নাকি? তারা কি এখনও শিশু নাকি? অবাক কন্ঠেই সে শুধালো – আমরা এর ভিতরে যাব?

– হ্যা চলুন। দেখবেন আনন্দ পাবেন খুব।

জায়ানের সোজাসাপ্টা জবাব। পূর্বাশা আর প্রশ্ন করলো না বেশি। ভিতরে গিয়েই দেখা যাক না ভিতরটা কেমন। বাইরে থেকে তো আর ভিতরটা বোঝা যায় না ততটা। পূর্বাশা ভিতরে এলো। অবাক দৃষ্টিতে নজর ঘুরালো চারদিকে। দেখলো বড় বড় মেয়ে ছেলেরাও কেমন বাচ্চাদের মতো ঘুরন্ত ঘোরার পিঠে উঠেছে, কেউ কেউ আবার দোলনায় চড়েছে। পূর্বাশা ঘাড় বাঁকিয়ে তাকালো সম্মুখের দিকে। দেখলো কেমন উঁচু নিচু ঢেউ খেলানো ট্রেন লাইন। তা থেকে আবার ছোট খাটো একটা ট্রেনও চলছে এঁকেবেঁকে। জায়ান হাত উঠিয়ে ইশারা করলো ট্রেনটার পানে, বলল – উঠবেন?

পূর্বাশার ভয় হলো। কেমন উঁচু নিচু একে বেঁকে রয়েছে ট্রেন লাইনটা। ঐ নিচু থেকে উপরে ওঠার সময়ে যদি পড়ে যায় সে তখন কি হবে? সোজা আসমানে উঠে যেতে হবে। পূর্বাশা সরল কন্ঠেই জবাব দিলো – না।

– উঠুন না। ভালো লাগবে।

পূর্বাশা কন্ঠ নিচু করলো। মিনমিনে কন্ঠে বলল – না, আমার ভয় লাগে।

জায়ান আর জোর করলো না। এমনিই সে যা করতে যায় তার উল্টো হয়। তার থেকে মেয়েটা যখন উঠতে চাইছে না তাই মেনে নেওয়া উচিৎ তার। জায়ান আশেপাশে তাকালো অতঃপর বলল – চলুন তাহলে অন্য রাইডে উঠি আমরা।

কথাটা বলেই অন্যদিকে পা বাড়ালো জায়ান। পূর্বাশা তার পিছু পিছু যেতে গিয়েও থেমে গেল। ফিরে তাকালো আবার ট্রেনটার পানে। ট্রেনে বসা সকল যাত্রীরা কেমন চিৎকার করছে আবার হাসছে। নিশ্চই তারা উপভোগ করছে ভীষণ। পূর্বাশার মনের ভিতরকার ভয় সরে গিয়ে ঐ ট্রেনটায় ওঠার স্বাদ জাগলো ভীষণ। ভালোভাবে তাকিয়ে দেখলো সবাইকে। বেল্ট দ্বারা বেঁধে রাখা হয়েছে সবাইকে। কেউ তো নিচু থেকে উপরে উঠতে গিয়ে বা উঁচু থেকে নিচে নামতে গিয়ে পড়ছে না। এর মানে সেও পড়বে না। নিজের ভিতরকার ভয় দমন করলো পূর্বাশা। গলা উঁচিয়ে ডাক পড়লো জায়ানকে, বলল – শুনুন।

জায়ান থমকে দাঁড়ালো, বলল – হুম বলুন।

পূর্বাশা আঙ্গুল তুলে দেখালো ট্রেনটা, মিনমিনে গলায় বলল – এটায় উঠবো।

ভ্রু কুঁচকালো জায়ান, বলল – একটু আগে না বললেন এটায় উঠতে ভয় লাগে আপনার?

দৃষ্টি নত করলো পূর্বাশা‌। নরম কন্ঠে বলল – এখন উঠতে ইচ্ছে করছে।

জায়ান আর দ্বিরুক্তি করলো না। পূর্বাশাকে নিয়ে গেল সে ট্রেনের কাছে। পাশাপাশি বসলো দুজন। নিজের বেল্টটা নিয়ে নিজের শরীরে বেঁধে নিল জায়ান। পাশ ফিরে দেখলো পূর্বাশা এখনও বেল্টটা নিয়ে টানা হেচড়া করছে। বাঁধতে পারছে না কিছুতেই। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলল জায়ান, বলল – আমি সাহায্য করতে পারি?

পূর্বাশা চোখ তুলে তাকালো জায়ানের পানে। ভিতরে অস্বস্তি হওয়া সত্ত্বেও সে বলল – বেল্টটা বাঁধতে পারছি না।

জায়ান হাত বাড়ালো। অভিজ্ঞ হাতে বেঁধে দিল পূর্বাশার বেল্টটা। একে একে সকলের বেল্ট বাঁধা হলে ট্রেন স্টার্ট হলো। প্রথমে সবটা ঠিকই ছিল। কিন্তু ট্রেনটা যেই উঁচু থেকে নিচে নামতে গেল ভয়ে কলিজা কেঁপে উঠলো পূর্বাশার। প্রানটা যেন বেরিয়ে যাবে এক্ষুনি। ভয়ে চোখ মুখ খিচে বন্ধ করে নিল সে। চিৎকার করে জড়িয়ে ধরলো জায়ানকে। জায়ান স্তব্ধ, বিমূঢ়। পাথর বনে গেল যেন। এই প্রথম তার অঙ্গে কোনো নারীর ছোঁয়া। বিদ্যুৎ খেলে গেল যেন পুরো শরীর জুড়ে। অনুভূতিরা যেন ছড়িয়ে পড়লো রন্ধ্রে রন্ধ্রে। হৃদস্পন্দনও বেড়ে গেল অস্বাভাবিক গতিতে। পূর্বাশাকে নিজের থেকে ছাড়াতে গিয়েও সাহস হলো না। থাকুক না মেয়েটা এভাবে। তার একটু কাছে, একটু মিশে। মেয়েটাও ছাড়লো না তাকে। ট্রেন থামার আগ পর্যন্ত কম্পিত দুই হাতে জড়িয়ে রাখলো জায়ানকে। কিঞ্চিৎ সময় নিয়ে থামলো ট্রেনটা। পূর্বাশার সৎবিৎ ফিরে এলো। নিজের অবস্থান অনুভব করে লজ্জায় মিইয়ে গেল মেয়েটা। তড়িৎ গতিতে জায়ানকে ছেড়ে দিল সে। লজ্জালু কন্ঠে বলল – স্যরি। আসলে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম তো তাই।

জায়ান জবাব দিল না কোনো। নিঃশব্দে হাত বাড়িয়ে খুলে দিল পূর্বাশার বেল্টটা। অতঃপর দু’জনে নেমে এলো রাইড থেকে। নেমে মাটিতে দাঁড়াতেই যেন চমকে উঠলো দুজন। ভরকে গেল তৎক্ষণাৎ। তাদের সম্মুখে তৃষাম আর চ্যাং দাঁড়ানো। দুই বন্ধু গালাগালি বেঁধে সরু দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তাদের পানেই। দাঁতে দাঁত চাপলো জায়ান। এই বদ দুটো ওর গন্ধ শুঁকতে শুঁকতে এখানেও চলে এসেছে। এরা কি শান্তি দিবে না একটুও তাকে? জায়ানের তীক্ষ্ম দৃষ্টিতে চোখ পড়তেই থতমত খেল তৃষাম আর চ্যাং। জায়ানকে সকাল সকাল ওভাবে নায়কের মতো তৈরী হতে দেখে সন্দেহ জেগেছিল দুজনের মনেই। নিজেদের সন্দেহ দূর করতে ছেলেটার পিছু নিয়েছিল দুজন। কিন্তু এখানে এসে অবিশ্বাস্য সব কাহিনী দেখে পুরোই থমকে গিয়েছিল দুজন। এ তো কোনো ছোটখাটো রোমান্টিক সিনেমার দৃশ্য। আর তার নায়ক হলো এত দিনকার ভিলেন চরিত্রে থাকা জায়ান। এটাও সম্ভব?

চলবে…….

ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি লিংক –
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090661336698&mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v

গ্রুপ লিংক –
https://www.facebook.com/groups/233071369558690/?ref=share_group_link

[ আহরাব ইশতিয়াদ এবং নিশিতা জুটির উপর লেখা আমার প্রথম উপন্যাস “স্নিগ্ধ প্রেয়শী” পড়ে নিন বইটই অ্যাপে, মাত্র ৪০ টাকা। বইয়ের লিংক এবং কিভাবে কিনবেন পেয়ে যাবেন কমেন্ট বক্সে ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here