#স্নিগ্ধ_প্রিয়া
#সাদিয়া_শওকত_বাবলি
#পর্ব_৫
( অনুমতি ব্যতীত কপি করা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ )
পূর্বাশার এই মুহূর্তে কান্না পাচ্ছে ভীষণ। একটু শান্তি পেতে সে এসেছিল এই দেশে, এখানে এসে কিনা শেষ পর্যন্ত ছেলে ধরার হাতে পড়লো। সম্মুখে দাঁড়ানো ছেলেটা হয়তো বুঝলো পূর্বাশার মনোভাব। তপ্ত নিঃশ্বাস ফেলতে দেখা গেল তাকে। পকেট হাতরে নিজের স্মার্টফোনটা বের করে সম্ভবত কল করলো কাউকে। ওপাশ থেকে কল ধরলো লোকটা। নিজের মুখের সম্মুখে ছেলেটা মোবাইলটা ধরেই বাংলা ভাষাতেই বলল – তোর সাথে তোর বোন কথা বলতে চাইছে।
বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে বিদেশি চেহারার একজন পুরুষের মুখে এমন শুদ্ধ খাঁটি বাংলা শুনে চমকালো পূর্বশা। গোল গোল চোখে সে তাকালো ছেলেটার পানে। না কোনো দিক দিয়েই তো একে বাঙালি মনে হচ্ছে না, এ চাইনিজ। তাহলে এ ব্যাটা এত সুন্দর বাংলা কিভাবে জানলো? পূর্বাশার ভাবনার মধ্যেই শোনা গেল তৃষামের কন্ঠস্বর, নিজের ভাবনা থেকে বেরিয়ে এলো পূর্বাশা। কিছুটা হকচকালো সে। তৃষাম এখানে এলো কোথা থেকে? চকিত দৃষ্টিতে সম্মুখে তাকাতেই ছেলেটার মোবাইলের স্ক্রীনে দেখা গেল তৃষামের মুখশ্রী, সে কিছুটা অপরাধীর কন্ঠেই বলল – বোন মাফ কর আমাকে। হঠাৎ কাজ পড়ে যাওয়ায় আসতে পারিনি আমি, তাই জায়ানকে পাঠিয়েছি। ওর সাথে চলে আয় প্লীজ।
তৃষামের কথা শুনে পূর্বাশা বাঁকা দৃষ্টিতে তাকালো ছেলেটার পানে। এই ছেলেটার নাম তাহলে জায়ান। পরিচয় না দিয়ে কিংবা কিছু না বলে হুট করে এসে বলল – লেটস গো।
মাথায় কোনো গন্ডোগোল আছে নাকি এর? তবে তৃষামের ঐ টুকু কথা শেষ হতেই জায়ান নামক ছেলেটা ধপ করে কেটে দিল কলটা। আর কিছু বলার সুযোগ দিল না তৃষামকে। সটান হয়ে দাঁড়িয়ে পূর্বাশার পানে তাকিয়ে জায়ান বলল – এবার আপনার আসতে ইচ্ছে হলে আসুন নয়তো আপনার ভাইয়ের জন্য এয়ারপোর্টে দাঁড়িয়ে থাকুন। চয়েস ইজ ইউর।
কথাটা বলেই হনহন করে হাঁটা শুরু করলো জায়ান। পূর্বাশারও তো না গিয়ে আর উপায় নেই কোনো। এভাবে অচেনা, অজানা স্থানে, অপরিচিত মানুষের ভীড়ে এয়ারপোর্টে বসে থাকাও তো সম্ভব নয়। পাশে দাঁড় করানো ব্যাগ লাগেজগুলো নিয়েই পূর্বাশা ছুট লাগালো জায়ানের পিছু পিছু। এই ব্যাগ লাগেজ নিয়ে এয়ারপোর্টের বাইরে এইটুকু পথ আসতেই যেন নাজেহাল অবস্থা মেয়েটার। একা একটা মেয়ে এতগুলো ব্যাগ বয়ে আনছে তার মধ্যে ছেলেটা একটু ধরলোও না? ফিরেও তাকালো না পূর্বাশার পানে। মনে মনে ভীষন জায়ানের প্রতি ভীষন ক্ষোভ জন্মালো পূর্বাশার। তবে মুখে প্রকাশ করলো না কিছুই। এমনি সমাজ, মানুষের চাপে চাপে মেয়েটা ভীষন চাপা স্বভাবে পরিণত হয়েছে। মুখ ফুটে কখনও নিজের ক্ষোভ, ভালোবাসা, রাগ , অভিমান প্রকাশ করতে পারে না সে। তার উপর এই অচেনা দেশে এখন এই ছেলেটাই তো তার ভরসা। তৃষাম তো আসেনি, তাকে এখন এই ছেলেটাকে সহ্য করে এর সাথেই নিজের কলেজ হোস্টেল পর্যন্ত যেতে হবে। সেখানেই থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে পূর্বাশার। ফোঁস করে একটা নিঃশ্বাস ফেললো মেয়েটা। আশেপাশে তাকিয়ে খোঁজার চেষ্টা করলো জায়ানকে। ছেলেটা গেল কোথায়? চারদিকে চোখ বুলাতে বুলাতে হঠাৎ জায়ানকে চোখে পড়লো পূর্বাশার। ট্যাক্সির দরজা খুলে ট্যাক্সির ভিতরে বসছে সে। নিশ্চই ঐ ট্যাক্সিটা তাদের জন্যই ঠিক করা হয়েছে। যাক এই টুকু উপকার তো ছেলেটা তাকে করলো, তাকে আর দৌড়ে ঝাঁপিয়ে ট্যাক্সি ঠিক করতে হয়নি। পূর্বাশা আর দেরী করলো না। ব্যাগ লাগেজগুলো নিয়ে দ্রুত পায়ে গিয়ে দাঁড়ালো ট্যাক্সির সম্মুখে। কিন্তু ব্যাগগুলো এখন ট্যাক্সির ভিতরে ঢুকাবে কিভাবে? অন্তত ট্যাক্সির দরজাটা খুলে দিলে একটু সহায়তা হতো তার। পূর্বাশা ভেবেছিল জায়ান ট্যাক্সির দরজাটা তাকে খুলে দিবে। কিন্তু তাও দিল না, সে ড্রাইভারের পাশের সিটে বসে রইলো মুর্তির মতো। এদিকে কি হচ্ছে সেদিকে তার যেন খেয়াল নেই বিন্দু পরিমাণ। মনে মনে জায়ানকে বাংলা কিছু গা’লি দিল পূর্বাশা। অতঃপর নিজেই এক হাতে ট্যাক্সির দরজা খুলে অন্য হাতে ব্যাগ লাগেজগুলো ভিতরে ঢুকানোর চেষ্টায় লেগে পড়লো। পূর্বাশার এমন নাজেহাল অবস্থা দেখে ট্যাক্সির দরজা খুলে বেরিয়ে এলো তার ড্রাইভার। ভীষন আন্তরিকতার সাথে স্বাগতম জানালো পূর্বাশাকে। ট্যাক্সির দরজা খুলে তার ভিতরে একে একে ব্যাগগুলো সব ভরে দিল। ট্যাক্সি ড্রাইভারের আন্তরিকতা দেখে ভীষন অবাক হলো পূর্বাশা। জায়ানকে দেখে সে তো ভেবেই নিয়েছিল যে এ দেশের মানুষ বোধহয় এমনই হয়। কিন্তু না এদেশের মানুষ মোটেই এমন নয় বরং এই ছেলেটা নিতান্তই অভদ্র। মেয়েদের সম্মান করতে পরে না একদম।
কিছুটা সময় অতিবাহিত হলো। জায়িন এবং পূর্বাশা গিয়ে পৌঁছালো তাদের কলেজের সম্মুখে। ট্যাক্সি ড্রাইভার বেশ আন্তরিকতার সাথেই পূর্বাশারা ব্যাগগুলো নামিয়ে দিল ট্যাক্সি থেকে। পূর্বাশা ট্যাক্সি থেকে নেমে ধন্যবাদ জানালো ড্রাইভারকে, চায়নিজ ভাষায় বলল – সিসি।
এমন ছোটখাটো কিছু চাইনিজ শব্দ পূর্বাশা শিখেছিল এ দেশে আসার আগে। আজ এখানে এসে সেই শিক্ষার প্রয়োগ করতে পেরে গর্বে বুকটা ফুলে উঠলো পূর্বাশার। তাছাড়া সে তার সাহায্যকারীকে তার ভাষাতেই ধন্যবাদ জানাতে পেরেছে এটাই বা কম কিসের। কিন্তু পূর্বাশার এই গর্বিত ভঙ্গি সম্ভবত সহ্য হলো না জায়ানের, ট্যাক্সি থেকে নেমে মোবাইল ঘাটতে ঘাটতেই সে বলল – ওটা “সিসি” হবে না ওটা “সিস্যা” হবে।
পূর্বাশার মুখটা থমথমে হলো। ভীষন লজ্জিত হলো সে। এভাবে তার ভুলটা না ধরিয়ে দিলেও তো পারতো। সে কি জানে নাকি এই ভাষা? একটু আধটু শিখেছে তাও উচ্চারনে কি কঠিন। তবে ড্রাইভার পূর্বাশা এবং জায়ানের কথাপকথন শুনে বুঝে নিয়েছে যে পূর্বাশা কি বলতে চাইছে। ট্যাক্সি ড্রাইভার পূর্বাশার পানে তাকিয়ে হাসি মুখেই বলল – মেই গোয়ান শী। যা শী ওয়াদা গোন জোও। ( ঠিক আছে। এটা আমার কাজ। )
পূর্বাশা বুঝলো না তেমন কিছুই। ঠোঁট টেনে একটু হাসার চেষ্টা করে সে তাকালো জায়ানের পানে। একটু আগে যেমন তার ভুলটা ধরিয়ে দিয়েছিল হয়তো সেভাবেই এই ড্রাইভারের কথাও বুঝিয়ে দিবে তাকে সেই আশায়। কিন্তু তার আশায় এক বালতি ঠান্ডা পানি ঢেলে দিল জায়ান, মোবাইলের পানে দৃষ্টি রেখে সে বাংলায় বলল – এখান থেকে ডান দিকে গিয়ে আপনার হোস্টেল বিল্ডিং। ঐ বিল্ডিং এর ৩০২ নাম্বার রুম আপনার।
কথাটা বলে একটু থামলো জায়ান, মোবাইলটা পকেটে পুরে বলল – আমার কাজ ছিল আপনাকে হোস্টেল পর্যন্ত পৌঁছে দেওয়া। আমার কাজ শেষ এখন যাচ্ছি আমি।
কথাটা বলেই সামনের দিকে হাঁটা ধরলো জায়ান। দুই কদম এগোতেই তাকে পিছু ডাকলো পূর্বাশা, বলল – শুনুন।
জায়ান দাঁড়ালো। যদিও এমন এক অভদ্র ছেলের কাছে কোনো অনুরোধের একদম ইচ্ছে নেই পূর্বাশার কিন্তু উপায়ও তো নেই। সে এই দেশে নতুন। ডানে গিয়ে তার হোস্টেল ঠিক আছে কিন্তু ৩০২ নাম্বার রুম কোথায় জানা নেই তার। এ দেশের ভাষাটাও সম্পূর্ণ আয়ত্তে নেই তার তবে ইংরেজিটা বেশ ভালো পারে তবুও এতগুলো ব্যাগ লাগেজ নিয়ে একা একটা মেয়ে কিভাবে নিজের রুম খুঁজে বের করবে? তাই লাজ লজ্জা সব ঝেড়ে ফেলেই অনুরোধের সুরে সে জায়ানকে বলল – যদি আপনি একটু রুম পর্যন্ত পৌঁছে দিয়ে যেতেন তবে উপকার হতো খুব।
জায়ান ছেলেটা বোধহয় বিরক্ত হলো বেশ। তার মুখশ্রীতেই স্পষ্ট ফুটে উঠলো বিরক্তিভাব। তবে মুখে না বলল কিছুই, পূর্বাশার পাশ কাটিয়ে ডান দিকে যেতে যেতেই বলল – আমার সাথে আসুন।
পূর্বাশা আর দেরী করলো না। ব্যাগ লাগেজগুলো নিয়ে হাঁটা ধরলো জায়ানের পিছু পিছু। হোস্টেলের বিল্ডিংটা বেশ বড়সড়, সাদা রঙের বিল্ডিং। অসংখ্য মেয়েদের ভিতরে যেতে আসতে দেখা যাচ্ছে কিন্তু কাউকেই চিনে না পূর্বাশা। সে হোস্টেলর সম্মুখে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গুনতে শুরু করলো কত তালা বিল্ডিং এটা। কিন্তু সম্পূর্ণ গোনা আর হলো না। জায়ান তার আগেই হোস্টেলে দায়িত্বরত এক মহিলার থেকে জেনে এলো পূর্বাশার রুমটা কত তালায়। তার রুমটা পড়েছে তিন তালায়। জায়ান ঐ দায়িত্বরত মহিলার থেকে ফিরে এসে পূর্বাশার সম্মুখে দাঁড়িয়ে বলল – তিন তালায় ৩০২ নাম্বার রুম। আমার কাজ শেষ আসছি আমি।
কথাটা বলেই উল্টো ঘুরে হাঁটা ধরলো জায়ান। পূর্বাশাও আর বাঁধা দিল না তাকে। যে চুলোয় যায় যাক তার কি? অভদ্র, অসভ্য ছেলে একটা। এদেশে আসতে না আসতেই তাকে এমন একটা বদমাইশ ছেলের পাল্লায় পড়তে হলো? আসলে তার ভাগ্যটাই খারাপ। পূর্বাশা তার সেই ব্যাগ লাগেজগুলো একা হাতে টেনেটুনে উঠলো তিন তালায় অতঃপর খুঁজতে শুরু করলো ৩০২ নাম্বার রুম। খুঁজেও পেয়ে গেল তাড়াতাড়িই। ক্লান্ত ভঙ্গিতেই সে ৩০২ নাম্বার রুমের দরজা খুলে ভিতরে ঢুকলো। রুমের ভিতরে পা রেখেই চমকে উঠলো যেন। ঠাস করে একটা শব্দ হলো, লাফিয়ে উঠলো যেন পূর্বাশার কলিজাটা। মুহুর্তেই তার দিকে ধেয়ে আসতে শুরু করলো ঝিকঝিকে জন্মদিনে ব্যবহৃত ছোট ছোট জরি। পূর্বাশার অবাকত্বের মাঝেই কেউ একজন চিৎকার করে বলে উঠে বলল – সারপ্রাইজ!
অন্য আরেকজন হাস্যজ্জ্বৌল মুখে বলল – ওয়েলকাম আওয়ার লিটেল ফ্যারি। ( স্বাগতম, আমাদের ছোট্ট পরী )
পূর্বাশা আশ্চর্যন্যিত না হয়ে আর পারলো না। এভাবে তাকে কেউ কখনও স্বাগতম জানাবে কোনোদিন কল্পনাও করেনি সে। বরাবরই তার রূপগুনের জন্য অবহেলা করে দূরে থেকেছে সবাই। এর জন্য কখনও তার একটা ভালো বন্ধুও হয়নি। স্কুলের তার থেকে একটু দূরত্ব বজায় রেখেই সবাই চলেছে। যদি কেউ তার সহচার্যে এসেছে তাও স্বার্থের জন্য এমনি নয়। তারপর এই মেয়েগুলো তাকে কি বলে ডাকলো? লিটেল ফ্যারি মানে পরী? সে পরী? জীবনে কারো কাছ থেকে কালি, কয়লার ড্রাম, কালিতারা নাম ছাড়া তো শোনেনি সে। কৃতজ্ঞতায় চোখ জোড়া ছলছল করে উঠলো পূর্বাশার। কিছু বলার ভাষা যেন এই মুহূর্তে হারিয়ে ফেলেছে সে। গলার মধ্যে যেন আনন্দগুলো কুন্ডলীগুলো পাকিয়ে যাচ্ছে। পূর্বাশার আবেগী সময়ের মধ্যেই তার দিকে এগিয়ে এলো তিনটা মেয়ে। পূর্বাশা তাকালো তাদের দিকে। তিনজনই ধপধবে ফর্সা, লম্বা, নাক ছোট এবং ছোট ছোট চোখের অধিকারী। শারীরিক কাঠামো তার মতোই হ্যাংলা পাতলা। এরা যে এ দেশীয় তা এদের চেহারা দেখেই বোঝা যাচ্ছে। মেয়ে তিনটা তাদের হাস্যজ্জ্বৌল মুখশ্রী নিয়েই একে একে পরিচয় দেওয়া শুরু করলো নিজেদের। প্রথম মেয়েটা নিজের পরিচয় দিতে বলল – নী হাও, ও শী সেনজেই ( হাই, আমি সেনজেই )
দ্বিতীয় মেয়েটি ধমক দিল প্রথম মেয়েটিকে, চায়নিজ ভাষায় বলল – নী ইয়োং ইংয়েন শোওহা। তা বু দং জং ওয়েন। ( তুমি ইংরেজিতে বলো। সে চাইনিজ জানে না। )
মেয়ে দুটোর কথা শুনে অপ্রস্তুত ভঙ্গিতে হাসলো পূর্বাশা। কারন এই দুই জন কি বলছে তার কিছুই সে বোঝেনি। এদের কথাপকথন শুনে তার ঝগড়া ছাড়া আর কিছুই মনে হয়নি। দ্বিতীয় মেয়েটির কথা শুনে প্রথম মেয়েটি আবার তাকালো পূর্বাশার পানে, ঠোঁট টেনে হেসে বলল – আ’ম স্যরি। আই ফরগট দ্যাট, ইউ আর এ ফরেইনার। মাই নেম ইজ শী সেনজেই। নাইস টু মিট ইউ। ( আমি দুঃখিত। আমি ভুলে গিয়েছিলাম যে তুমি একজন বিদেশী। আমার নাম শী সেনজেই। তোমার সাথে সাক্ষাৎ হয়ে ভালো লাগলো )
চলবে……
____
[ Note : ১। এরপর আর কোনো পর্বে আমি চাইনিজ কিংবা ইংরেজি ভাষা লিখবো না। গল্পের চরিত্রগুলো ইংরেজি কিংবা চায়নিজ ভাষায় কথা বললেও আমি বাংলাতেই লিখবো কারন এটা চায়নিজ থিমের গল্প।এখানে বেশিরভাগ কথাপকথনই হবে চাইনিজ কিংবা ইংরেজি ভাষায় আর এত চায়নিজ, ইংরেজি লিখতে গেলে সেগুলো আপনাদেরও পড়তে সমস্যা হবে আর এই চায়নিজ ভাষার পাল্লায় পড়ে আমার জীবন তামাতামা হবে।
২। চায়নিজ জনগোষ্ঠীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমার গল্পের এই পর্বে যত চায়নিজ ভাষার প্রয়োগ করেছি তাতে যদি কোনো ভুল ত্রুটি থাকে আল্লাহ রাস্তে মাফ করবেন। এই টুকু উচ্চারন করে লিখতেই আমার কোমায় চলে যাওয়ার উপক্রম।
ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি লিংক –
https://www.facebook.com/profile.php?id=100090661336698&mibextid=rS40aB7S9Ucbxw6v
গ্রুপ লিংক –
https://www.facebook.com/groups/233071369558690/?ref=share_group_link
[ আহরাব ইশতিয়াদ এবং নিশিতা জুটির উপর লেখা আমার প্রথম উপন্যাস “স্নিগ্ধ প্রেয়শী” পড়ে নিন বইটই অ্যাপে, মাত্র ৪০ টাকা। বইয়ের লিংক এবং কিভাবে কিনবেন পেয়ে যাবেন কমেন্ট বক্সে ]