#ডুবেছি_আমি_তোমাতে
#লেখিকা_Aiza_islam_Hayati
#পর্ব_০২
“আগে বল তুই এইখানে এখন কেনো?তোর তো অফিস থেকে সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার কথা।আর তুই দেখলি কি করে আমি ওই ব্ল্যাক ফরমাল ড্রেস পরা ছেলের দিকে তাকিয়ে হেসেছি।”
“আরেহ ব্রেক!বলতেছি বলতেছি।আমার জার সাথে মিটিং ছিল বেচারার ডাইরেক হয়ে গেসে সে এখন তার নিজস্ব ওয়াশরুমে বসে আছে তাই মিটিং ক্যানসেল।এই কারণে গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলাম।এই রাস্তা দিয়েই যাবো দেখলাম তুই দাড়িয়ে ওই ছেলেটার দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসছিস আবার কি ভুবন ভুলানো হাসি।তাই গাড়ি থামিয়ে ঐখানে দাড়িয়ে দেখছিলাম ঘটনা কী! হাসারই কথা ওই ছেলে দুটো যা করছিল আমি দেখেছি।কিন্তু তোর ব্লাসিং এর কারণ কী সামথিং সামথিং নাকি! কে ওই ছেলেটা?”
“দেখসস যখন জিজ্ঞেস করিস কেন?তুইও তো হাসছিস আমিও হাসছি হাসারি কথা যা করছিল তারা।”বলেই আবার হেসে দিল মুগ্ধতা।
“ওয়ান মিনিট,এইভাবে রাস্তায় না দাড়িয়ে গাড়িতে গিয়ে বস চল।যেতে যেতে নাহয় বাকি কথা বলবো।”
মুগ্ধতার ঠিক পিছনে কিছুটা দূরেই গাড়িটা ছিল।দুজনেই গিয়ে গাড়িতে বসে পড়লো।মুগ্ধতা ড্রাইভিং সিটের পাশের সিটে বসেছে।লায়ানা ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে বলে,”এইবার আসল টপিকে আসি আমার আর তোর মধ্যে পার্থক্য আছে তুই ব্লাস করছিলি আমি দেখেছি।”
মুগ্ধতা আবার হেসে দিল হাসতে হাসতে বলে, “দিস ইজ নট ব্লাসিং মাই সিস্টার।দিস ওয়াস ভেটকি।”
লায়ানা সামনে তাকিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে ফিক করে হেসে দেয়।লায়ানা মুচকি হেসে বলে,”আমার বিশ্বাস হচ্ছে না আমি কিন্তু দেখেছি।জানিস বনু আমার না ওই ব্ল্যাক ফরমাল ড্রেসআপ এর পাশের হোয়াইট ড্রেসআপ করা ওই হোয়াইট টার রাগী লুক দেখে তো আমি ফিদা প্রায়।”
মুগ্ধতা লায়ানার কাঁধে তার কাঁধ দিয়ে মৃদু ধাক্কা দিয়ে বলে,”আরেহহহ মানে তোর মনে লাড্ডু ফুটে গিয়েছে! ওয়াহ বেহনা ওয়াহ,তু তো মুজসে ভি ফাস্ট নিকলী।”
“তোমার বোন বলে কথা, সত্যি এমন ভালো লাগা এই প্রথম হচ্ছে তাও আবার কারো রাগ দেখে।আমার প্রথম ক্রাশ সে।আমার তো ওই হোয়াইট ডায়মন্ড টাকেই চাই।”
“ওয়াহ্ এমন ভাবে বলছিস যেনো লু’টনেকা মাল হে কইভি আকে লু’টলো।”
“তুই এমন ভাবে বলছিস যেন ওই হোয়াট ডায়মন্ড টা তোর ভাই আর তোর ভাইয়ের দিকে নজর দিয়ে আমি তার মান ইজ্জত হ’র’ণ করে তাকে একেবারে লু’টে নিয়েছি।”
“আরেহ ভাই না হোক একটা ছেলে তো একটা ছেলের দিকে এভাবে বাজে শ’কু’নি মামার মত নজর দিতে নেই।হাহ আর সে ভাই না হোক মনে হয় এইবার হয়েই যাবে কারণ যেভাবে তুই বলছিস ভাই না বানালেও আমার দুলাভাই ঠিকই বানিয়ে দিবি।”
লায়ানা ঠোঁটের কোণে হাসি ঝুলিয়ে বলে,”ইউ আর রাইট মাই বেহেনা ওই হোয়াইট ডায়মন্ডকে তোমার দুলাভাই বানিয়ে ফেলি,কেমন হয়?উফ ভাবতেই শরম লাগছে।”
মুগ্ধতা হেসে বলে,”তোর আবার শরম এমন কথা বলার সময় শরম কি ঘাস খেতে গিয়েছিল।”
“হয়তো, শরমেরও তো খুদা লাগে বল।নাহয় সে ঘাস খেতে গেল ক্ষতি কি,শরম থাকলে ওই হোয়াইট ডায়মন্ড এর উপর ক্রাশ কিভাবে খেতাম।”
“এজন্যই বলি যে তোর আক্কলের শরম মাঝে মাঝে ঘাস খেতে যায়।”
“তুমি এত বুঝো যখন তো ওই হোয়াইট ডায়মন্ড তাকে আমার করে দাও তাড়াতাড়ি।”
“সে ভাই কোন সম্পদ না যে তোমার করে দিব তাকে রাজি করাতে হবে কথাও বলতে হবে বন্ডিং বানাতে হবে চিনতে হবে জানতে হবে তারপর ইনশাআল্লাহ এভাবেই হয়ে যাবে। আগে সে কে সেটা জানি তারপর পরের মিটিংটা ভাববো।”
লায়ানা চুপ করে গেল,কিছু একটা ফেবে ঠোঁটের কোণে আবারও এক ফালি হাঁসি ঝুলিয়ে বলে,”ওকে ডান।”
কথা বলতে বলতেই বাড়ি পৌঁছে যায় মুগ্ধতা ও লায়ানা।দুইজন গাড়ি থেকে নেমে বাড়িতে প্রবেশ করতেই রান্না ঘর থেকে মুগ্ধতার মা ইয়াশা বলে উঠলো,” কীরে মাইয়াটা আসছে নাকি।”
লায়ানা দৌড়ে রান্না ঘরের দিকে গিয়ে মিষ্টি করে হেসে বলে,”খালামণি তোমার মাইয়ার সাথে এই মাইয়াও আজ তাড়াতাড়ি এসে পড়েছে।”
ইয়াশা কিঞ্চিৎ অবাক হয়ে আবার হেসে দেয়,সালাতের জন্য টমেটো কাটতে কাটতে বলে,”ভালো করেছিস তারাতারি এসে,গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নে তাড়াতাড়ি।আমি খাবার দিছি।”
লায়ানা মাথা নেড়ে মুগ্ধতার সঙ্গে নিজেদের রুমে চলে যায়।ঘণ্টা খানেক বাদে দুজনে নিচে নেমে আসে ফ্রেশ হয়ে।দুইজন মিলে বসার ঘরে চলে যায়,সেখানে মুগ্ধতার পরিবারের সবাই বসে গল্প করছে।শুধু পরিবারের ছোট সদস্যরা বাড়িয়ে নেই তারা এই সময়ে একজন স্কুল বাকিরা কলেজে আছে।
দুইজন সামনে গিয়ে দারাইতেই মুগ্ধতার ভাই ইজাজ চেঁচিয়ে বলে,”কীরে দুই শয়তান আজকে এত্ত তাড়াতাড়ি চলে আসলি!কখন এলি দুইটায়?”
মুগ্ধতা ভ্রু কুচকে বলে,”কিছুক্ষন আগেই এসেছি। আজকে ভাবলাম ভাইয়ের ঘাড়টা ভালো করে মটকে দেই তাই তাড়াতাড়ি চলে আসলাম।”
বড় নানু তসবি পড়তে পড়তে বলে,”তোরা এত্ত তাড়াতাড়ি এলি যে শরীর ঠিক আছে তোদের? নাকি অন্য কিছু?”
লায়ানা নানুর পাশে বসে আশ্বাসের স্বরে বলে,”তুমি চিন্তা করো না আমাদের শরীর ঠিকই আছে।শুধু আজ আমার মিটিং যার সাথে ছিল তার হঠাৎ শরীর খারাপ করায় মিটিং ক্যান্সেল করে দিয়েছে।মিটিং ক্যান্সেল এর খবরটা রাফি দিয়ে গেলে আমিও বের হয়ে যাই সাথে সাথে।”
“ভালই করেছিস।”বড় নানু থামতেই বরাবর সোফায় বসে থাকা ছোট নানুর পাশে মুগ্ধতা বসে পড়লে ছোট নানু রসালো স্বরে বলে,”তো আমাদের দুই নাতনিদের তো বিয়ের বয়স হয়ে গেলো তারা কী এইবার বিয়ে করবে না?নিজেদের পছন্দ থাকলে আমাদের বলে দিতে পারো তোমরা।”
লায়ানা নানুর মত রসালো স্বরেই বলে উঠে,”নানু সময় হলে বিয়ে কী দরকার পড়লে ছেলেকে তুলে এনে বিয়ে করে ফেলবো।”
লায়ানার কথা শুনে বসার ঘরে বসে থাকা মামারা সহ সবাই হেসে উঠলো।বড় নানু লায়ানাকে বাহবা দিয়ে বলে,”হুম দেখা যাচ্ছে আমার পর তুই আমার সম্মানটা রাখবি,আমার মত প্রেম করে বিয়ে করবি।আর মুগ্ধতা এইটা তো ছোট থেকেই কিছু করতে পারে না আর আমি ওর বয়সে থাকতে এগারো টা সন্তানের জননী ছিলাম।”
“কাউকে তো তোমার সম্মান রাখতে হবে নাহয় আমি সম্মান টা ধরে রাখলাম।”,বলেই মুচকি হাসছে লায়ানা।
মুগ্ধতা বলে,”হইসে হইসে বড় নানু তোমার মত এই বয়সে বিয়ে করে এগারো সন্তানের জননী হলে পড়ালেখা শেষ করে এইখানে আশা লাগতো না সেইগুলোর সামলাতে গিয়ে যেমন ওই বসে গুনে গুনে এগারো সন্তানের ডাইপার চেঞ্জ করা লাগতো তুলু তুলু করে তাদের পিছনে পাকড়াম পাকড়াই করতে করতেই চুল পেকে তাড়াতাড়ি বুড়ি নানু হয়ে যেতাম।”
ইজাজ লায়ানার দিকে তাকিয়ে হেসে বলে,”লায়ানা তুই বরং সেই সম্মানটাই রাখ তোর দ্বারা তো আর কোনো সম্মান রাখা পসিবাল না।”ইজাজ বলে থেমে গেলে
লায়ানা ইজাজের দিকে ছোট ছোট চোখ করে তাকিয়ে চট করে বলে ফেলে,”কে বলছে দেখ!আমি তো সবাইকে জানিয়ে করবো কিন্তু তুমি তো লুকিয়ে লুকিয়ে টেম্পো চালাচ্ছো তার কি।”
মুগ্ধতা সুর টেনে বলে,”তলে তলে টেম্পো চালাও তুমি আর আমরা করলেই হরতাল!”
ইজাজ এক হাত আরেক হাত দিয়ে ডলতে ডলতে বলে,”তোদের পছন্দ ফিক্স থাকলে বল আমারও তো কিছু খাতির দাড়ি করার মত দায়িত্ব আছে নাকি।”
“শুরু হয়ে গিয়েছে তার ভাইয়া গিরি।” মুগ্ধতাকে থামিয়ে লায়ানা এক লাফ দিয়ে দাড়িয়ে বলে,”এই আমি মনে হয় তোমাকে খাতির দাড়ি করতে দিবো ।আমার টার থেকে একশো গজ দূরে থেকো বলে দিলাম।”
“আসলেই তুই একটা বেশরম।”
লায়ানা তেতে উঠে বলে,”উফ আমার থেকে বড় বেশরম তুমি,তুমি তো লুকিয়ে লুকিয়ে তোমার প্রণয়িনী উপস না তোমার শেরনিকে নিয়ে ঘুরে বেড়াও।”
ইজাজ কিছু বলার জন্য মুখ খুলবে ইয়াশা চেঁচিয়ে বলে,”এই তোরা ঝগড়া থামবি নাকি আমি আসবো।আর চুপচাপ খেতে আয় সবাই।”ইজাজ লায়ানার দিকে আড় চোখে তাকিয়ে বলে,”তোকে পরে দেখে নিচ্ছি দারা।”বলেই চলে যায়,পিছনে পিছনে চট জলদি সবাই টেবিলে গিয়ে বসে পড়ে খাবার পর্ব দ্রুত শেষ করে গল্পের আসর বসে।এইবার গল্পের আসরে যোগ দিয়েছে মুগ্ধতার বড় খালামনির দুই ছেলে আয়মান ও রাইয়ান,দুইজন সবে মাত্র কলেজ থেকে এসেই খাবার খেয়ে গল্পের আসরে যোগ দিয়েছে।
মুগ্ধতা ও লায়ানা সন্ধ্যায় নিজেদের ঘরে চলে গেলে আয়মান এসে দুজনকে বলে যায়,”বড় মামা আমাদের পুরো ফ্যামিলি কে কাল ডিনারে নিয়ে যাবে সেইখানে তার এক বিজনেস পার্টনার এর
ফ্যামিলিও আসবে।তাই বড় মামা বলেছে তোমাদের কাল সন্ধ্যার আগেই বাড়ি ফিরে আসতে।”
লায়ানা ও মুগ্ধতা দুজনেই সম্মতি জানালে আয়মান ছুটে চলে যায় তার ঘরে।তার কাজই হচ্ছে রেডিওর মতো বার্তা পৌঁছে দেয়া।
.
“আহির এই আহির , শ’য়’তা’ন এর কারখানা কইরে তুই!বদমাইশ ছেলে নিচে নাম তুই দেখ তোকে কী করি।”
বাবার এমন আহাজারি ডাক শুনে আহির বিছানা থেকে নেমে নিজের ঘর থেকে বেরিয়ে বসার ঘরের দিকে দৌড়।একবারে বাবার সামনে এসে দাড়িয়ে ভ্রু কুচকে কিঞ্চিৎ স্বরে বলে,”এইভাবে ভাঙ্গা রেডিও বাজিয়ে ডাকছো কেন আমাকে?”
আহিরের বাবা সাদেক আবরাহার কোমরে দুই হাত দিয়ে সটান হয়ে দাড়িয়ে বলে,”এই বদমাইশ তুই আজকে আহনাভ বাবার সাথে কী করেছিস রে?”
আহির ঘাড় বাঁকিয়ে এক ভ্রু উচু করে সাদেক আবরাহার এর পিছনে দাড়িয়ে থাকা আহনাভ এর দিকে তাকালো।আহনাভ সোফার সাথে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে মুখ টিপে হাসছে।আহিরের বুঝতে সময় লাগেনি এই আহনাভ বলে দিয়েছে সব তার বাবার কাছে।আহির আশে পাশে তাকিয়ে কিছু একটা দেখতে পেরে এক বিজয়ী হাসি দিল।আহির ছুটে গিয়ে অভ্রো আবরাহার এর পাশে দাড়িয়ে বলে,”দেখো বড় বাবা তোমার গুনোধর ছেলে আমার নামে বাবার কাছে কী সব নালিশ করেছে।”
আহনাভ সটান হয়ে দাড়িয়ে গেলো,অভ্রো আবরাহার আহনাভের সামনে এসে কান মুলো দিয়ে বলে,”এই তুই আমার ভদ্র ছেলের নামে কী নালিশ দিয়েছিস?”
আহনাভ চরম বিস্ময় নিয়ে বলে,”আরেহ বাবা তুমি কী আমার বাপ নাকি ওর।কান ছাড়ো লাগছে আর তোমার এই আদরের ভাইয়ের ছেলে আজ আমার জংলিদের মত অবস্থা করে দিয়েছিল।”
সাদেক আবরাহার আহিরের কাছে এসে আহিরের কান মুলো দিয়ে বলে,”তুই যে কত বড় ব’দ’মা’ইশ আমি জানি।আবার বড় বাবার কাছে নলিশ দিয়ে আমার আদরের আহনাভকে মার খাওয়ানো হচ্ছে।”
অভ্রো আবরাহার সাদেক এর দিকে গরম চোখে তাকিয়ে বলে,”আমার ভোলা ভালা ছেলের কান ছার সাদেক।”
রান্না ঘর থেকে জেরিন অনামিকা তাদের সকলের কথা শুনতে পেয়ে ছুটে এসে নিজেদের ছেলেদেরকে স্বামীর হাত থেকে ছাড়িয়ে নেয়।আহনাভ জেরিনের দিকে তাকিয়ে আদূরে কণ্ঠে বলে,” মা দেখো ঐ শ’য়’তা’নের কা’র’খা’না আমাকে নাকানি চুবানি খাইয়ে আমাকেই মা’র খাওয়াচ্ছে বাবার হাতে।”
আহির অনামিকার পিছনে দাড়িয়ে বলে,”মা আমি তোমার কত ভদ্র ছেলে তুমি তো জানোই দেখো আমার ভুল বশত হয়ে যাওয়া বাবা সাদেক আবরাহার আমাকে কিভাবে কান মোলা দিচ্ছে।”
সাদেক আবরাহার গরম চোখে আহিরের দিকে তাকালে অনামিকা উল্টো সাদেক আবরাহারের দিকে গরম চোখে তাকিয়ে শাশানোর স্বরে বলে,”তুমি আমার ছেলের পিছনে লেগে থাকলে দেখে নিও তোমাকে কী করি এই বুড়ো বয়সে মাথায় যা চুল আছে তাও টেনে ছিঁড়ে দিবো।”সবাই অনামিকার এহেন কথা শুনে মুখ টিপে হাসছে।অনামিকা একবার সকলের দিকে তাকিয়ে দেখে নিল,নাহ এইখানে সবার সামনে শাসানো টা ঠিক হবে না ভেবে কথা ঘুড়িয়ে বলে,”তুমি আর অভ্রো ভাই যান খাবার টেবিলে যান রাতের খাবার রেডি টেবিলে সাজিয়ে রেখে এসেছি।”
সাদেক ও অভ্রো আবরাহার এক সাথে বলে,”ঠিক আছে যাচ্ছি।” অভ্রো আবরাহার যেতে নিয়েও থেমে গিয়ে পিছনে ফিরে বলে,”কিন্তু একটা কথা কাল তোমরা দুজন সন্ধ্যার আগে বাড়ি ফিরে আসবে রাতে আমরা বাহিরে ডিনারে যাবো আমার এক বিজনেস ক্লায়েন্টএর ফ্যামিলিও আসবে।”অহনাভ আহির এর দিকে তাকিয়ে কথাটি বলে খাবার টেবিলের দিকে হেঁটে চলে যায় অভ্রো আবরাহার।
আহনাভ আহিরের পাশে গিয়ে দাড়িয়ে কাঁধে হাত রেখে বিরবির করে বলে,”বিয়ে দেয়ার জন্য মেয়ের ফ্যামিলি কে আনবে নাকি?বাবার দ্বারা ভরসা নেই ঐবার বিজনেস ক্লায়েন্ট এর কথা বলে পুরো মেয়ের গুষ্টি শুদ্ধ তুলে এনেছিল।এইবার এমন হলে আমি নেই।”
আহির ফিক করে হেসে বলে,”কিন্তু ওইবার নাহয় সমস্যা ছিল এইবার আমার কোনো সমস্যা নেই।” বলে আহিরর খাবার টেবিলের দিকে চলে যায়।আহনাভ বোকার মত দাড়িয়ে ভাবছে আদও কাল বাবা উল্টাপাল্টা কিছু করবে কিনা সে এখন বিয়ে করতে ইচ্ছুক নয়।তার বিজনেস এর পাশাপশি অ্যাক্টিং ক্যারিয়ার নিয়ে সে আরো দূর যেতে চায়।
#চলবে।
ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আশা করি ক্ষমার দৃষ্টিতে নিবেন সকলে।প্রিয় পাঠক পাঠিকারা,প্রথম কয়েকটা পর্ব পরেই গল্পটাকে বিবেচনা করবেন না আশা করি।আমি এই গল্পটাকে অনেকটা আলাদা ভাবেই সাজাতে চাই,আপনারা আমার সাথে থাকলে ইনশাআল্লাহ নিজের সব টুকু দিয়ে ভালো লেখার চেষ্টা করবো।আপনাদের কেমন লাগলো সেই মূল্যবান মতামত কমেন্ট এর মাধ্যমে অবশ্যই জানাবেন।