ডুবেছি_আমি_তোমাতে #Aiza_islam_Hayati #পর্ব_১৯

0
165

#ডুবেছি_আমি_তোমাতে
#Aiza_islam_Hayati
#পর্ব_১৯

আহনাভ সকালের নাস্তা শেষ করে বসার ঘর থেকে এসে এই যে ঘরে ঢুকেছে তৈরি হওয়ার জন্য,তার যে বের হওয়ার নাম নেই।আয়নার সামনে দাড়িয়ে আছে আহনাভ তার ঠোঁটের কোণে এক হাঁসির রেখা ফুটে আছে।আহনাভ হাতে লেদারের ঘড়ি পড়তে পড়তে বলে,”আজ দেখি হায়া পাখি কিভাবে পালাও তুমি।এতদিন নাহয় তুমি আমায় জ্বা’লি’য়ে’ছি:লে আজ থেকে নাহয় আমি জ্বা’লা’বো।”

দরজায় বাইরে থেকে দুই থেকে তিনবার আহিরের ডাকাডাকির শব্দ এলো ,দরজার ঐপাশ থেকে আহির আবার দরজার কড়া নেড়ে বলে উঠলো,”আর কত রেডি হবি আহনাভ?বিয়ে করতে যাচ্ছিস নাকি যে,এই এক ঘন্টা লাগিয়ে রেডি হচ্ছিস?আমরা তো শপিংয়ে যাচ্ছি ভাই।তাও আমার আকদ এর শপিং।”

আহনাভ শার্টের ডান হাতা ফোল্ড করতে করতে দরজার দিকে এগিয়ে যায় অতঃপর ওপর হাতা ফোল্ড করে দরজা খুলে দেয়।

দরজা খুলতেই আহির ধপ করে ভিতরে এসে পড়তে পড়তে নিজেকে সামলে নিয়ে দাড়িয়ে যায়।আহনাভ ভ্রু কুঁচকে বলে,”কীরে তুই কি দরজার সাথে চিপকে ছিলি নাকি?দরজা খুলতেই ভিতরে হুড়মুড়িয়ে এসে পড়ে গেলি?”

আহির গলা খাকারি দিয়ে বলে,” যাইহোক যেটাই হোক যেভাবেই পড়ি না কেনো তোকে বলে লাভ নেই।এতক্ষণ লাগিয়ে কী রেডি হচ্ছিস তুই?”বলেই আহনাভকে উপর থেকে নিচ অব্দি দেখে নিল আহির।(আহনাভ এর পরনে ডেনিম শার্ট আর কালো প্যান্ট।ঝাঁকড়া চুল গুলো জেল দিয়ে সেট করা) আহির শুর টেনে বলে উঠে,”এমন ভাবে রেডি হয়ে যাচ্ছিস যেনো কোনো ডেটে যাচ্ছিস।যাইহোক মাস্ক পড়ে নিস আমরা শপিং মলে যাচ্ছি নাহয় তুই ভালো করে শপিং করতে পারবি না ,দেখা যাবে তোকে দেখলেই ঐখানে তোর ফ্যানরা তোকে চেপে ধরবে।”

আহনাভ ড্রেসিং টেবিলের সামনে গিয়ে মাস্ক নিয়ে পকেটে ঢুকিয়ে নেয়।আহিরের দিকে তাকিয়ে বলে,”আজকের দিন ডেটের থেকে কম না ব্রো।

“তাই নাকি।আমার শালিকাকে আবার কোনো কষ্ট দিলে এইবার আমি তোকে নিয়ে ড্রেনে ফেলে দিবো,তোর ওই নায়কের মত খোমাটা মে’রে তার মানচিত্র পাল্টে দিবো বলে দিলাম।”

আহনাভ অবাক হয়ে বলে,”ওরে রেহ তুই আমার মুখের মানচিত্র পাল্টে দিবি আর আমি বসে বসে দেখবো?”

নিচ থেকে আহিরের বাবা চেঁচিয়ে বলে উঠে,”কীরে আহির আহনাভ বাবাকে ডাকতে গিয়ে কী নিজেই ঘুমিয়ে পড়লি নাকি।”

আহির বিরক্তিতে বলে উঠে,” দিলো বাবা ঝগড়ার মাঝে তার ফাডা মাইকটা ঢুকিয়ে।কী একটু সিরিয়াস হয়ে ঝগড়া করছিলাম।”

আহনাভ আড় চোখে তাকিয়ে বলে,”তুই আমার সামনে দাড়িয়ে আমার ছোট বাবার গলা কে ফাডা মাইক বলিস তোর সাহস দেখে আমি শিহরিত।”

নিচ থেকে আবার দুজনের ডাক পড়লে ছোট জলদি দুজন নিচে নেমে গেলো।দুজন নিচে নেমে আসলে বেরিয়ে পড়লো সবাই শপিং মলের উদ্দেশ্যে।মুগ্ধতার মা ইয়াশা বলে দিয়েছে তারা বাড়ি থেকে *** এই শপিং মলের সামনে চলে আসবে তারাও যেনো চলে আসে
।আহনাভরা সবাই আধ ঘণ্টা পর শপিং মলের সামনে এসে পৌঁছায়।

.
সকলে গাড়ি থেকে বেড়িয়ে আসে।আহনাভ গাড়ি থেকে নামতেই তার চোখে পড়লো লায়ানার দিকে,লায়ানা গাড়ির সাথে ঠেস দিয়ে দাড়িয়ে ফোন স্ক্রল করছে আর তার দুই পাশে দাড়িয়ে মুগ্ধতা আহান আর তাদের কিছুটা দূরে দাড়িয়ে মুগ্ধতার পরিবারের বাকি সদস্যরা।

আহনাভ এক দৃষ্টিতে লায়ানার দিকে তাকিয়ে থাকলে আলিযার নজরে পড়ে যায়।আলিযা মিটি মিটি হেঁসে আহনাভের কাছে এসে দাঁড়ায়। আহনাভকে কাঁধ দিয়ে কাঁধে ধাক্কা দিয়ে বলে,” কী ভাই কী দেখছো?”

আহনাভ ঘাড় বাঁকিয়ে ভ্রু কুঁচকে আলিযার দিকে তাকিয়ে বলে,” তোকে কেনো বলবো আমি কী দেখছি না দেখছি।”

আলিযা শুর টেনে বলে উঠে,” আমার তো মনে হচ্ছে অ্যাক্টর আহনাভের বিয়ের দিনটা খুব কাছে।”

আহনাভ আলিযার মাথায় গাট্টা মেরে বলে,”তোর যা ভাবতে মন চায় ভাব।দেখিস তোকে আমার বিয়ের দিন সবচেয়ে কুখ্যাত কাজটা তোকে করতে দিবো।”

আলিযা মাথায় হাত বুলাতে বুলাতে বলে উঠে,” আহ বাবাই।”

আহনাভ হেঁসে বলে,”এইখানে নেই বাবা।বাবা গাড়িতে বসে আছে যা।”

আলিযা আহনাভের দিকে আড় চোখে তাকিয়ে মুখ ভেংচে দেয়।

সাহিরাহ মুগ্ধতাকে দেখতে পেয়েই মুগ্ধতাকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠে,”মুগ্ধতা।”

মুগ্ধতা সহ সবাই সাহিরাহর দিকে তাকায়।মুগ্ধতা ঠোঁটের কোণে এক ফালি হাঁসি ঝুলিয়ে এগিয়ে আসে সাহিরাহ কাছে।সাহিরাহ বলে,”সরি গো একটু দেরি হলো।”সাহিরাহ থেমে গিয়ে আহনাভ এর দিকে তাকিয়ে বলে,” সব হয়েছে এই আহনাভ আর তার এই আদরের ভাগ্নি ওয়ার্দির জন্য।এই দুটোয় এত দেরি করে না রেডি হতে।”

মুগ্ধতা বলে উঠে,”আরেহ কী বলছো আপু এতে সরি বলার কী আছে।”

ইয়াশা বলে,”যা হয়েছে হয়েছে,এইবার চলো আমরা ভিতরে যাই।”

.
একে একে সবাই শপিং মলের ভিতরে যেতে থাকে। লায়ানা ফোন পকেটে ঢুকিয়ে সবার পিছন পিছন হাঁটা ধরে হুট করে লায়ানার পাশে আহনাভ এসে হাঁটা শুরু করে।লায়ানা আড় চোখে আহনাভকে দেখে নেয়।লায়ানা মনে মনে বলে উঠে,”কী হ্যান্ডসাম লাগছে আবার খোমার মধ্যে এই মাস্ক কেন লাগিয়েছে?”

আহনাভ আরেকটু পাশ ঘেঁষে হাঁটতে লাগলে লায়ানা এক দৌড়ে সামনে ইয়াশার কাছে চলে যায়।লায়ানার এমন দৌড় দেখে আহনাভের পেট ফেটে হাঁসি পাচ্ছে।

.
আহিরের শেরওয়ানি কেনার জন্য সবাই একটা শেরওয়ানির দোকানে এসেছে।আহির এক সাথে অনেক গুলো শেরওয়ানি নিয়ে গিয়েছে চেঞ্জিং রুমে।একটু পর পর একেকটা পড়ে পড়ে বেরিয়ে আসছে আর সবাই দেখে নিচ্ছে কোনটায় আহির কে ভালো লাগে।
.
এইবার শেষ শেরওয়ানিটি পড়ে বেরিয়ে আসলো আহির।মুগ্ধতা আহিরের দিকে তাকিয়ে হুট করে দৃষ্টি অন্য দিকে ফিরিয়ে নেয়।

ইয়াশা বলে,”আরেহ আহির বাবা তোমাকে তো এই সাদা শেরওয়ানিতে খুব মানিয়েছে।”
.
আহির চেঞ্জিং রুমে গিয়ে শেরওয়ানিটি পাল্টে বেরিয়ে আসে।সকলে আলোচনা করে সাদা শেরওয়ানিটি রিসেপশনে পেক করতে দিয়ে দেয়।অতঃপর মুগ্ধতা ও আহির বাদে সবাই বেরিয়ে অন্য দোকানে চলে যায়।

আহির ধীর পায়ে হেঁটে মুগ্ধতার পাশে দাড়িয়ে বলে,”কী মেডাম পছন্দ হয়েছে নাকি অন্যটা নিবো?”

“নেয়া তো শেষ এখন কিছু বলে লাভ আছে?”

আহির রিসেপশনিস্টকে বলে উঠে,” মিস্টার ঐটা প্যাক করার দরকার নেই পছন্দ হয়নি ঐটা।”

মুগ্ধতা আহিরের শার্টের এক কোণা টেনে ধরে বলে,”আরেহ আরেহ পছন্দ হয়েছে।নাহলে আপনি ওই শেরওয়ানিটা পড়ে বেরিয়ে আসার পর আমার দৃষ্টি কেনো ফিরিয়ে নিলাম আপনার থেকে।”মুগ্ধতা থেমে রিসেপশনিস্টকে বলে,” সরি ঐটাই প্যাক করুন।”

আহির ঠোঁট টিপে হেসে বলে,” ওহ মুগ্ধ রানি চোখের দৃষ্টি ফিরিয়ে নিয়েছিল।তাহলে আকদ এর দিন এই শেরওয়ানি পরলে আমার দিকে তাকাবেই না।”

আহিরের কথায় পাত্তা না দিয়ে মুগ্ধতা রিসেপশন এর কাছে চলে আসে।শেরওয়ানির ব্যাগ রিসেপশনিস্ট এর কাছ নিয়ে,মুগ্ধতা শেরওয়ানির বিল দিয়ে দোকান থেকে বেরিয়ে হাঁটা ধরে।

আহির পিছন থেকে বলে উঠে,”আরেহ মুগ্ধ রানি কী হলো দাড়াও আমার জন্য।আর আকদ এর দিন তুমি আমার দিকে না তাকালে এইটা পরে আমি কী করবো বলো তো।”বলেই বড় বড় পায়ে হেঁটে এসে মুগ্ধতার পাশা পাশি হাঁটতে লাগে।

মুগ্ধতা সামনে তাকিয়ে হাঁটতে হাঁটতে বলে,” তখন দেখাই যায়।আর তখন নিজের ফিলিংস যদি নিজেকেই কাতুকুতু দেয় তাহলে তো জানি না।”

“মুগ্ধ রানির এই ফিলিংস হুট হাট জেগে উঠলে আহির নিজেকে কিভাবে সামলাবে বলো তো।”

“আমার ফিলিংস জেগে উঠলে আপনি নিজেকে কিভাবে সামলাবেন এই প্রশ্ন আসলো কেনো?”

“আমার সামলানো নিয়ে কথা,নাহ থাক এখন না বিয়ের পর বুঝাবো নে।”

“এই আহির বেশি উল্টো পাল্টা ভাববেন না ঠিক আছে।লাইনে থাকুন ট্রেক থেকে সরে যান কেনো?”

“আমার নাম ধরে ডাকলে তুমি।আরেকবার বলবে প্লিজ।আর দেখো আমি ঠিক লাইনেই আছি তোমার আর আমার মাঝে এক হাত দূরত্ব।”

“ঐটা ভুলে বলে ফেলেছি।আর দেখতেই পারছি আল্লাহ একটা শয়তান ইনোসেন্ট ছেলে তো না একটা বুড়ো জুটিয়েছে কপালে।”

“এমন ভুল বার বার করতে পারো।আর রইলো বুড়োর কথা আমি একদম বুড়ো না।”

“হ্যা আপনি আমার থেকে গুনে গুনে এক বছর তিন মাস বারো দিনের বড় তো হলেন বুড়ো।”

আহির মুখে বিস্ময় ভাব এনে বলে,” এক বছরের বড় হলে বুঝি মানুষ বুড়ো হয়ে যায়।”থেমে গিয়ে আবার আফসোসের সাথে বলে,” এইবার বাবার কষ্টটা বুঝতে পারছি মা যখন তাকে বুড়ো বলে তখন তার কেমন লাগে।”

“হম বুঝে নিন। সামনে আরো বুঝবেন হাসব্যান্ড হওয়ার মজা কী।বিয়ে তো নাচতে নাচতে করছেন তখন বুঝবেন মজা কাকে বলে।”

“এইটুকু সামলে নিতে পারবে এই আহির।”

“দেখা যাক।আর আহির সাহেব এই মুগ্ধতাকে সামলানো বরাবরের মত কঠিন।”

আহির থেমে যায় বুকে হাত রেখে বলে,” হায় মুগ্ধ রানি তুমি এইভাবে আহির সাহেব বললে কী যে লাগে।”

মুগ্ধতা অবাক হয়ে বলে,” মানে কী ভাই।”

আহিরের মুখ মুহূর্তের মাঝে বিরক্তিতে ছেয়ে যায়। আহির সামনে দিকে হাঁটা ধরে বলে,”রোম্যান্টিক মুডটাই নষ্ট করে দিলে।আর শুনো এই ভাই ওয়ার্ড টা আমাকে আর বলবে না অন্তত।এই ভাই বলে দিলে রোম্যান্টিক মোমেন্টটাই ফুস করে।”

মুগ্ধতা ফিক করে হেসে উঠে।

.
আহির,মুগ্ধতা দুজনের আকদ এর জামা কেনা হলে যে যার মত একেক দোকানে চলে যায়।কেউ গিয়েছে শাড়ির দোকানে তো কেউ গিয়েছে অর্নামেন্টস এর দোকানে।লায়ানা একা হাঁটতে হাঁটতে এক খেলনার দোকানের সামনে এসে থেমে যায়।

দোকানের শেষ প্রান্তে ঝুলিয়ে রাখা এক টেডি দেখা যাচ্ছে তা লায়ানার চোখে পরায় দোকানের সামনে থেমে যাওয়া।

লায়ানা ভাবলো,” আচ্ছা ওয়ার্দিকে ওই টেডি টা গিফ্ট করলে কেমন হয়?” যেমন ভাবনা তেমন কাজ লায়ানা দোকানের দরজা ঠেলে ভিতরে চলে যায়।

ভিতরে যেতেই ঝুলিয়ে রাখা টেডিটি ছাড়া আরও টেডি দেখতে পেলো।লায়ানার চোখ মুখ খুশিতে চিকচিক করে উঠলো।এক এক করে টেডি দেখতে লাগলো।সব গুলো দেখে শেষ প্রান্তে এসে দাঁড়াতেই আচমকা এক শক্ত পোক্ত হাত লায়ানাকে এক পাশে নিয়ে দেয়ালের সাথে চেপে ধরে পিন করে ফেলল।লায়ানা চোখ বড় বড় করে তাকিয়ে আছে সামনের মানুষটির দিকে।

লায়ানার সামনের মানুষটি ঠোঁট টিপে হেসে বলে,”এখন কোথায় পালাবে হায়া পাখি।একদম শক্ত করে ধরে ফেলেছি।”

লায়ানা ভ্রু কুঁচকে বলে,” সমস্যা কী তোমার?আমি যখন তোমার পিছে টো টো করতাম তখন তো খুব বিরক্ত হতে।এখন কেনো আমার সামনে আসছো।”

“মন চাইলো এইবার আমি নাহয় জ্বা’লা’ই হায়া পাখিকে।”

লায়ানা চোখ বন্ধ করে ফেলে বড় এক শ্বাস নিয়ে বলে,”একদম এইভাবে ডাকবে না।”

আহনাভ ঝুঁকে যায়,লায়ানার কানের দিকে মুখ নিয়ে ধীরে ধীরে বলে,”কেনো?আমার তো ভালোই লাগে এইভাবে ডাকতে হায়া পাখি।”

লায়ানা কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে বলে উঠে,” আহনাভ সরো বলছি।”

আহনাভ ফিক করে হেঁসে উঠে। লায়ানা চোখ খুলে আহনাভের পানে তাকায়।আহনাভ হাঁসি থামিয়ে বলে,” আই এম সরি হায়া পাখি।আমাকে মাফ করে দাও।আমি আসলে তোমাকে ভুল বুঝেছিলাম।ভেবেছিলাম আশ্রমের দিন আহানকে তুমি ভালোবাসার কথাগুলো বলেছিলে কিন্তু কাল আহানের সাথে কথা বলে জানলাম তুমি আমাকে ঈঙ্গিত করে ওই কথা গুলো বলেছো আহানকে না।হায়া পাখি প্লিজ আমাকে মাফ করে দাও।”

লায়ানা মৃদু স্বরে বলে,” ইটস ওকে।”

আহনাভ ঠিক হয়ে দাড়িয়ে লায়ানাকে চট করে জড়িয়ে ধরে বলে,” হায়া পাখি আমি তোমার সব পাগলামো নিজের করে নিতে চাই।তুমি যেই সুযোগটা এতদিন চেয়েছিলে সেই সুযোগটা তোমাকে দিতে চাই।”

লায়ানা থমকে দাড়িয়ে আছে।আহনাভ লায়ানাকে ছেড়ে দিয়ে লায়ানার মুখ নিজের হাতে আগলে নিয়ে বলে,” কী হয়েছে কথা বলছো না কেনো?”

লায়ানা মুখ তুলে তাকায়।চুপ করে কিছুক্ষন তাকিয়ে থেকে হুট করে লায়ানা লাফিয়ে উঠলো।লাফাতে লাফাতে বলে উঠলো,” আহ আমি কী স্বপ্ন দেখছি নাকি।”

#copyrightalert
#চলবে।

ভুল ত্রুটি হয়ে থাকলে আশা করি ক্ষমার সুন্দর দৃষ্টান্তে নিবেন সকলে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here