চৈত্রের_রাঙায়_রচিত_প্রণয় #মিমি_মুসকান #পর্ব_২

0
298

#চৈত্রের_রাঙায়_রচিত_প্রণয়
#মিমি_মুসকান
#পর্ব_২

অর্নিলা কাঁদতে কাঁদতে আরিফ হাসানের সামনে এসে থামল। তাকে দেখতে পেয়েই অস্ফুট স্বরে বলল, “মামা, ভাইয়া আমাকে ছুঁয়েছে!”
আরিফ হাসান থমকে দাঁড়ালেন। কি বলল অর্নিলা? ছুঁয়েছে মানে? কেমন ছোঁয়া? অর্নিলার মুখের দিকে তাকিয়ে দেখে বেশ বুঝতে পারলেন কোন ধরণের ছোঁয়ার কথা বলছে। মেয়েটা কাঁদতে কাঁদতে অস্থির হয়ে উঠল। তার চোখ, মুখ লাল হয়ে উঠছে ক্রমশ। থেমে থেমে কাঁদতে সে? অর্নিলা আবারো বলল, “মামা জানো, আমি খুব বারণ করলাম। কিন্তু ভাইয়া শুনলো না। আমার জামা ধরে টানাটানি করছিলো!” বলেই চিৎকার করে কাঁদতে লাগল। অর্নিলা কখনো নিঃশব্দে কাঁদতে পারে না। সবসময় চিৎকার করে কাঁদবে। আরিফ হাসান হত’ভম্ব। আচমকা বজ্র’পাত‌ যেন তার মাথার উপর পড়ল। মনে হচ্ছে তার বুকের ভেতর থেকে কেউ ক’লিজা ছিঁ’ড়ে টেনে বের করে ফেলছে। তিনি অর্নিলা কে জড়িয়ে ধরলেন। ভ/য়ে মেয়েটা কাঁপছে। কে ছুঁয়েছে? ভাই? কোন ভাই? কার এতো সাহস হলো? ইঙ্গিত কোনদিকে যাচ্ছে সে বেশ বুঝতে পারছে? সারফারাজ বাড়িতে নেই, সে থাকলেও এমন কাজ কখনো করবে না। তাহলে কে? আরাফাত! অসম্ভব। এমন শিক্ষা তার ছেলেকে সে দেয় নি। তবুও কঠিন গলায় জিজ্ঞেস করল, “কে? আরাফাত?” অর্নিলা কান্না থামালো। মাথা দুলিয়ে না করল।

আরিফ হাসানের উধাল/পাতাল মন তবুও শান্ত হয়নি। তিনি হাঁটু গেড়ে বসলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে বললেন, “মা, কান্না করে না। তুমি আমায় বলো, এমন বাজে কাজ কে করেছে তোমার সাথে? আমি তাকে শা/স্তি দিবো। বলো মা? কে করেছে?”

অর্নিলা কান্না থামালো। সে হাপাচ্ছে। এখন আর ভয় লাগছে না। মামার কাছে থাকলে তার কখনো ভয় লাগে না। দুই হাতে চোখের পানি মুছল। একটু শান্ত হয়ে বলল, ”নিয়াজ ভাইয়া!” আরিফ হাসান চমকে উঠলেন। নিয়াজ! ওই বখাটে ছেলেটা। এদিকে অর্নিলার কান্নার শব্দে শাহিনুর বেগম আর আরাফাত শেহদাত ছুটে এলো। আরিফ হাসান অর্নিলা কে শাহিনুর বেগমের হাতে দিয়ে বেরিয়ে এলেন। কি ভ’য়ং’কর ঘটনা! কি সাংঘা/তিক! কি কু/ৎসিত। নিয়াজ শিকদার! অর্নিলার চাচাত ভাই। এক নাম্বারের বখাটে ছেলে। দিনরাত রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবে, নেশা/পানি করবে আর এভাবে মেয়েদের সাথে অসভ্যতামি করবে। না, এ কখনো হয় না। এর একটা সমাধা করাই উচিত।

কিছুদিন আগেই অর্নিলার বাবা মা/রা গেছেন। আজ তার চল্লিশ দিন পার হয়েছে। এ কারণে অর্নিলার চাচা বিশাল এক মিলাদের আয়োজন করেছিলেন। সেখানে আরিফ হাসানের পুরো পরিবারের সাথে অর্নিলাও উপস্থিত। অর্নিলা তার নিজের রক্তের নয়। আদরের একমাত্র বোনের একমাত্র মেয়ে। মা, বাবা মরা এই মেয়েটার জন্য তার খুব মায়া হয়। তাই তাকে আগলে রাখতে চান। কিন্তু অর্নিলার আপন চাচা ও তাকে নিজের কাছে রাখতে চান। তার আরও দুই ফুফু আছে, একজন সবার বড় আরেকজন সবার ছোট। তারা এখন অবধি কিছু বলে নি। অর্নিলা থাকতে চায় তার মামার সাথে। গোলমাল এদিকেই বেঁধেছে। আজ সবাই যখন চাচা ইয়াতিম শিকদারের বাড়িতে মিলাদে ব্যস্ত ছিলো তখনই ওই শয়/তান নিয়াজ অর্নিলার সাথে এমন ঘৃ/ণ্য আচরণ করার সুযোগ পেয়েছে এমনটাই আরিফ হাসানের ধারণা। কিন্তু এভাবে ছাড় দেওয়া যায় না, এর একটা বিহিত না করলেই নয়।

পুরো নাম অর্নিলা অথৈ! মা বাবার একমাত্র সন্তান সে। মা মা/রা গেছে প্রায় ৭ বছর হতে চলল। বাবা মা/রা গেছে এই তো মাস পেরিয়ে গেল। বাবা শামসের শিকদার মারা যাবার আগে মেয়ের কোন কমতি রাখেন নি। বলতে গেলে ভালোই সম্পত্তি আছে তার। নিজের দুটো বাড়ি আছে, যেগুলো ভাড়ায় চলে। ঢাকায় নিজের তিনটে ফ্লাট। ভালো ব্যবসা ছিল। মারা যাবার পর সেসব এখন চাচার হাতে। সেখানেই থাক, ওসব নিয়ে অর্নিলার কোন মাথাব্যাথা নেই। ওসব ছাড়া যা আছে তা ঢের কম নয়। জমিজমা আছে নিশ্চয়। এছাড়া মামা আছে, বড় ফুপু আছে যিনি বিদেশে থাকেন। ছোট ফুফু থাকেন একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে। চাচার অবস্থাও কম ভালো নয়। তবুও, যার থাকে বেশি তার চাইও বেশি। তাই তো, অর্নিলার ভাগের ওতোটুকুর উপর নজরও তার। ইচ্ছে আছে তার ছোট ছেলের সাথে বিয়েটা দিয়ে দিতে পারলেই অর্নিলার ভাগের সম্পত্তি তার সন্তান পাবে। কিন্তু মাঝখানে বাঁধ সাধছে ওই আরিফ হাসান।
.
ফরহাত সবকিছু বলে একটা সিগারেট ধরাল। সারফারাজ ভ্রু কুঁচকে গম্ভীর মুখে বলল,‌”সিগারেট খাওয়া ভালো না। এর জন্য শরীরে..

”এই‌ থাম তো। আমি তোর কাছে ডাক্তারি শিখতে আসি নি। যা বলছি তা শোন।”

“সবই শুনলাম। কিন্তু আমার সাথে অর্নিলার বিয়ের কাহিনী টা বুঝলাম না। গোয়ালে গরু কি আমি একটাই ছিলাম!”

“গোয়ালের গুরু তুমি হতে যাবে কেন? তুমি হচ্ছো সাত রাজার ধন। নিয়াজ যা করেছে এসব জানাজানি হয়েছে। অর্নিলার বড় ফুফু আছে না? ওই যে বিদেশী মেমসাহেব। তিন ইঞ্চি উঁচু জুতা পড়ে সাজগোজ করে যে ঘোরাঘুরি করে সে,‌ ঠোঁটে লিপস্টিক দিবে না কিন্তু ঠোঁটের চারদিক আর্ট করে রাখবে!”

“অদ্ভুত! আমি এসব জেনে কি করব? ওই মহিলা ঠোঁট লিপস্টিক করে না আর্ট করে তা আমার জেনে কি কাজ? আর তাছাড়া তুই আর কিছু না দেখে মহিলার ঠোঁটের লিপস্টিকের রঙ দেখতে গেলি। এতো
ক্যারেক্টার/লেস তুই!”

”আরে বাবা, আমি তো তোকে তার বর্ণনা দিচ্ছি। আর তাছাড়া তার ঠোঁটের লিপস্টিক নিয়ে আমার কোন কাজ নেই। ঠোঁটে লিপস্টিক লাগিয়ে দেবার লোক আমার আছে। তার রাঙা ঠোঁট ন/ষ্ট করার অধিকার ও আছে।” বলেই সিগারেটের ধোঁয়া শূন্যে ছাড়ল। সারফারাজ বলে উঠল, “সেই‌ মেয়ে তোর এই সিগারেট খাওয়া ঠোঁটে চুমু খেতে চাইবে?”

“পাগল হয়ে আছে!” বলেই অট্টহাসি হাসল। ”আচ্ছা যাক, এসব আলোচনা পরে করা যাবে। শোন তবে,‌ সব জানাজানির পর ইয়াতিম শিকদার তো বেজায় রাগ। শুনলাম সবার সামনেই নাকি নিয়াজ কে চ/ড় মেরেছে।‌লাথি মে/রে বাড়ি ছাড়া করেছে!”

“যাক, যতোটা খারাপ ভেবেছিলাম ততোটাই খারাপ নয় দেখছি!”

“তার চেয়েও দশগুণ। সবার সামনে মেরে ঘর থেকে বের করার পর রাতে এসে তোমার বাবা কে বলছে তার ছেলের সাথে অর্নিলার বিয়ে পড়িয়ে দিতে। এখন সবাই জানে, আরিফ হাসান নিজের জী/বন দিয়ে দিবে, তবু অর্নিলার সাথে ওই বখাটে নিয়াজের বিয়ে দিয়ে তার জীবন ন/ষ্ট করবে না।”

“ওহ, তাই এর জন্য এবার আমাকেই বর সাজিয়ে বিয়েতে বসতে হবে তাই তো!”

ফরহাত দাঁত কেলিয়ে হাসল। সিগারেট নিভিয়ে নিচে ফেলে দিয়ে বলল, “তা বটে। কিন্তু জানিস, প্রথমে বর সাজানোর জন্য কাকে বলির বক/রা বানিয়েছিলো?”

“কাকে?”

“আমাকে! আর কাকে? ভাই আমি তো বলেই দিয়েছি।‌ চাচা দেখো, আমার নায়িকা রেডি, বাসর ও রেডি। তাই অন্য রমনীর গলায় ফুলের মালা দিতে আমি পারব না। রক্ষা করো!”

”তুই এভাবে বাবা কে বলেছিস!”

“সেম টু সেম। সেজন্যই তো তোর সাথে বিয়ে ফাইনাল। যদিও এসব ওই বিদেশী মেমসাহেব এর কারবার। তারই বুদ্ধি!”

সারফারাজ মাথা দুলিয়ে বলল, “ওহ আচ্ছা!” অতঃপর খানিকক্ষণের জন্য নিশ্চুপ হয়ে কিছু একটা ভাবতে লাগল।‌ ফরহাত তার ঘাড়ে হাত রেখে বলল,‌ “আসছি আমি! বিয়ে বাড়িতে অনেক কাজ আছে?”

“আচ্ছা যা, কিন্তু ফরহাত?

”হ্যাঁ!

“তোর মনে হয় না? অর্নিলার কোন সমস্যা আছে। মানে এই বয়সে পুরোপুরি ম্যাচুরিটি না এলেও খানিকটা থাকা দরকার। কিন্তু এরকম কিছুই ওর মধ্যে নেই।”

“সবার ম্যাচুরিটি একসাথে আসে না। কারো কারো আসতে সময় লাগে। দেখবি, বিয়ের পর হয়তো ম্যাচুরিটি চলে এসেছে। তাই না! এসব নিয়ে তোর মাঝে দ্বিধা থাকার কথা নয়। তুই তো ভালোই জানিস।”

সারফারাজ নিচু স্বরে বলল, “হ্যাঁ, তা বটে।‌ তবুও মেয়েটাকে আমার বাচ্চা বাচ্চা লাগে।”

“তা তো লাগবেই। তোর চেয়ে সাত বছরের ছোট। আর যা উড়নচণ্ডী!”

“সাত বছর!“

“হ্যাঁ, আচ্ছা তোর ইন্টার্নশিপ কবে?”

“সে তো খুব দেরী। এখনো প্রায় ২ বছর বাকি। আর ইন্টার্নশিপ এর কথা বলছিস আগে পাশ করে বের হতে দে!

“তুই আবার কবে থেকে পাশ ফেল এর চিন্তা করিস? ভুলে যাস না আমাদের সব ভাইবোনদের মধ্যে তুই বেস্ট। আমি লিখি দিতে পারি তুই একদিন খুব বড় ডাক্তার হবি।‌ যাক তৈরি হয়ে নিস।”

সারফারাজ বেলকনি থেকে ঘরের দিকে এগিয়ে এসে বিছানায় বসে বলল, “হ্যাঁ, ব্যাগ গোছাতে হবে।”

“ব্যাগ গোছাবি মানে? তুই কি আজই চলে যাবি?”

”হ্যাঁ, রাতের ট্রেনে ঢাকা ফিরব। অনেকদিন পড়া ছাঁটাই হয়েছে আর না!”

“আজই তোর বিয়ে আর আজই তুই চলে যাবি?”

“ওটা‌ বিয়ে না কাবিন! আর মা বাবা আমায় বিয়ে করাতে চাইছে যাতে অনি কে তাদের কাছে রাখতে পারে।‌অনি আমাকে চায় না কিংবা আমি অনিকে। ওই অবুঝ মেয়েকে নিয়ে এখন সংসারের চিন্তা করা বিলাসিতা ছাড়া আর কিছু নয়। গিয়ে দেখ, বিয়ের কথা শুনে সে নাচছে কারণ কেউ তাকে বলেছে বিয়ের পর সে এই বাড়িতে পার্মানেন্ট থাকতে পারবে। এছাড়া আর কি চাই তার!”

ফরহাত কিঞ্চিত পরিমাণ হাসল।‌ তার হাসির কারণে গালে দুটো টোল পড়ল।‌বাহ চমৎকার হাসি তার। বলে উঠল, “আর কেউ না। আমার জোড়া বোন আছে কি করতে!” সারফারাজ তার মুখের দিকে তাকিয়ে হেসে দিল।‌ মনের ভার এখন অনেকটাই কমেছে তার।‌‌ এতোক্ষণ কি কারণে তার মনে এতো ভার ছিল সে জানতো না। এখন বোধহয় বুঝতে পারছে। একটা অবুঝ মেয়েকে বিয়ে করার মতো বোকা সিদ্ধান্ত।‌ সবাই অনি কে বাঁচানোর চেষ্টা করছে। অথচ কেউ তার কথা ভাবছে না।‌কি অদ্ভুত! তার অস্তিত্ব সকলে বিলীন করে দিল এক নিমিষেই।
.

অর্নিলার বড় ফুফু দাঁড়িয়ে আরিফ হাসানের ঘরের বাইরে। বিয়ের সময় গড়িয়ে পড়ছে। দরজায় কড়া নাড়তে স্বয়ং আরিফ হাসান দরজা খুলে দাঁড়ালেন। বিনীত ভঙ্গিতে বললেন, “আপা! আসেন ঘরে আসেন!”

ষাটোর্ধ্ব মহিলা। আরিফ হাসানের চেয়ে বড় না। তবুও তিনি অনেক মান্য করেন তাকে। সে আজ থেকে না অনেক বছর আগে থেকেই। বড় ফুফু বললেন, “না ঘরে বসব না। বিয়ে শুরু হয়ে যাবে। এই তো কাজী আনতে সিধু কে পাঠিয়েছি। বলছি বিয়ের পড়ানোর পরই তো খাওয়া-দাওয়া হবে তাই না!”

“হ্যাঁ, আপা। সেই ব্যবস্থা। আপনি রান্না বান্না দেখে এসেছেন।‌ শিকদার সাহেব পরিবার নিয়ে আসবেন। এছাড়া তো আপনার ছোট বোন, তার পরিবার ও আসবে। একটু দেখে নিতেন যদি।”

“এসবের দরকার না। শাহিনুরের চেয়ে খাবার দাবারের ব্যবস্থা ভালো কেউ সামলাতে পারবে না। কিন্তু আরিফ, একটা ব্যাপার নিয়ে আমি তোমার সাথে নারাজ। তুমি ওই ই/তর ইয়াতিম আর ইত/রের ছেলে ইত/র নিয়াজ কে বিয়েতে আসতে বললে কেন? কি দরকার ছিল নিকুঞ্জ নিবাসে এসে বাড়ি নোংরা করার।”

আরিফ হাসান হাসলেন। বিনয় ভঙ্গিতে বললেন, “আপা! নোং/রা মানুষের মন কলু/ষিত করে শরীর নয়। কিন্তু আপনি নিশ্চিত থাকুন, তাদের পায়ের ধুলো এই বাড়িকে অপবিত্র করতে পারবে না। আমার এই বাড়ি আগে যেমন পবিত্র ছিল এখনো তাই থাকবে।”

“হুম, সারফারাজ রাজী বিয়েতে।”

“হ্যাঁ রাজি। তবে বিয়ে পড়ানোর পরই সে ঢাকায় রওনা দিবে। তাকে যেতেই হবে।‌”

“সে জানি আরিফ। তোমার দুটো ছেলেই বড় ভালো। আমার ছোট দুই ভাইয়ের মতো কুলা/ঙ্গার না।‌ তারা যেমন তাদের ছেলেগুলো ও তেমন। শুধু একটি মাত্র রত্ন অর্নিলা। সে সোনায় বাঁধানো। তাকে কোন সেকরার হাতে আমি দিবো না। যোগ্য হাতেই দিবো।”

দুই ছেলের প্রশংসা শুনে গর্ববোধ করলেন আরিফ হাসান। তার চোখে মুখে এক ধরণের উচ্ছাস দেখা গেল। এর মধেই গাড়ির শব্দ। “নিকুঞ্জ নিবাসে” সদর দরজায় শিকদারদের গাড়ি হাজির। নির্বিঘ্নে বিয়েটা দিতে পারলেই হয়। বড় ফুফু কর্কশ গলায় আবারো বলে উঠলেন, ”এসেছে কুলা/ঙ্গারের দল!” অতঃপর তার উঁচু উঁচু জুতোর ঠকঠক আওয়াজে সামনে এগিয়ে গিয়ে বললেন, “শোন আরিফ! তুমি আজ যা করছো এ জন্যে আমি সারাজীবন তোমার কাছে কৃতজ্ঞ থাকব!”

“আমি আপনার জন্য কিছু করছি না আপা। যা করছি আমার ছোট বোনের জন্য। তার একমাত্র স্মৃতি আমার মা অর্নিলা। তাকে দেখা রাখাই আমার দায়িত্ব!” স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললেন বড় ফুফু।‌আবারো ঠকঠক শব্দ। তিনি এগিয়ে যাচ্ছেন!
#চলবে….

গল্পটি সম্পর্কে রিভিউ, আলোচনা, সমালোচনা করুন আমাদের গ্রুপে। গ্রুপ লিংক নিচে দেওয়া হলোঃ
https://facebook.com/groups/holde.khamer.valobasa/

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here