#ফ্লুজি
#অনুপ্রভা_মেহেরিন
[পর্ব ১১ প্রাপ্তমনস্কদের জন্য]
” ফ্লুজি রাস্তায় সাবধানে হাটবে।”
” হুম।”
” চোখ সামলাবে।”
” কেন চোখ সামলাবো?চোখ সামলে হাটলে তো উষ্টা খেয়ে পড়বো।”
” পড়লে আমি ধরে ফেলবো। ”
” যত বাজে কথা।”
” চোখ আমার দিকে থাকবে শুধু আমার দিকে।”
” আপনি যেহেতু নেই সেহেতু অন্য দিকে তাকাতেই পারি।”
আরশাদ টুশব্দ করলো না তবে ছেলেটার দীর্ঘশ্বাসের চাপা শব্দটা ঠিকি কানে এলো খুশবুর।
” ক্লাস কয়টায় জান?”
” একটুপরে শুরু হবে।”
” শেষ হবে কয়টায়?”
” দুইটায় বের হবো।”
আরশাদ ফোন রাখলো।খুশবুর পাসপোর্ট ভিসার কাজে ইদানী সে একটু বেশি ব্যস্ত।অপরদিকে খুশবু ভার্সিটি এসেছে।পড়াশোনায় খুশবু খুব বেশি ভালো নয় মূলত ভালো খারাপের প্রসঙ্গ আসে চেষ্টায়।পড়াশোনা নিয়ে কে কতটা চেষ্টা চালিয়েছে সেই এগিয়ে যার চেষ্টায় ক্রুটি ছিল না।চেষ্টার প্রসঙ্গ আসলে খুশবু ঝুড়িতে শূন্য ছাড়া কিছুই নেই।পড়াশোনা মোটেও ভালো লাগে না তার।পরিক্ষার আগে একটু আধটু পড়ে যতটা মার্ক পাওয়া যায়।অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ম্যানেজমেন্ট ডিপার্টমেন্টে পড়ছে খুশবু।দ্বিতীয় বর্ষে এডমিট হওয়ার পর থেকে একদিনো ক্লাস করা হয়নি তার।তাই কত তলার কোন রুমে ক্লাস হয় মেয়েটা তাও জানে না।
ভার্সিটির অলিতে গলিতে প্রতিটা বন্ধু দলের আড্ডা চলে কিন্তু খুশবুর কাছের বন্ধু বলে তেমন কেউ নেই।সহজে মানুষের সাথে মিশতে পারে না সে।যে দুজন বান্ধবী আছে তাদের সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়।
” খুশবু চরকির মতো ঘুরছিস কেন?”
রিয়ার কথায় ঘুরে তাকায় খুশবু।এইতো তার বান্ধবী রিয়া এসেছে এবার তবে নিঃসঙ্গতা কমবে।
” আমাদের ক্লাস কোনটা?”
” তুই ক্লাস না পেলে আমাকে ফোন করবি তো।”
” ফোনে টাকা নেই।”
” আয় আমার সাথে।কখন থেকে তোর জন্য অপেক্ষা করছি আমরা।”
খুশবু রিয়ার পিছু পিছু গেল।ক্লাসে তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল মায়া।তিন বান্ধবী একসাথে বসে আড্ডা দেওয়ার জন্য যখনি প্রস্তুত হলো তখনি ক্লাসে স্যার এসে উপস্থিত।স্যারের উপস্থিতিকে পাত্তা দিল না তিন বান্ধবী তারা তাদের কথাতে ব্যস্ত।রিয়া খুশবুকে উদ্দেশ্যে বলে,
” তোর বিয়ে খেতে গেলাম আর তুই নেই তুই গায়েব।সত্যি করে বল কোথায় ছিলি তুই?”
” এসব কথা আমার এখন বলতে ভালো লাগছে নারে।পরে একদিন বলবো।”
” না, পরে টরে না এখনি বলবি।তুই যে ফাঁকি বাজ আজকের পর ঠিক কবে আসবি তাও জানি না।পার্লার থেকে তুই কোথায় গায়েব হয়েছিলি?”
খুশবু সত্যটা চেপে গেল।সে জানে তাকে কি বলতে হবে।শুধু বন্ধুদের নয় প্রত্যেক মানুষকে সে একই মিথ্যা বলেছে।
” পার্লার থেকে ফেরার পথে আমাকে কিডন্যাপ করেছিল রোহানের প্রেমিকা।তারপর আমাকে একটা গুদামে আটকে রাখে।”
” সে কি এসব বিয়ে ভাঙতে করেছিল?”
” তা নয়তো আর কী?এরপর আমি দুই দিন ছিলাম সেখানে একদিন সুযোগ মতো পালিয়ে গেলাম।কিন্তু বেশি দূর যেতে পারিনি তার আগেই ধরা পড়লাম।আমি নিজেকে বাঁচাতে যখন ছুটছিলাম তখন পড়লাম একটা গাড়ির সামনে।সেই গাড়িতে ছিল আরশাদ।”
” আরশাদটা আবার কে?”
” তোদের দুলাভাই।”
” মানে কি তোর বিয়ে হয়ে গেছে?”
” হুম।”
মায়া এবং রিয়ার চোখ কোটর থেকে বেরিয়ে আসার উপক্রম হয়েছে তারা তো জানতো না খুশবুর বিয়ে হয়েছে।এই মেয়ে এত চাপা কেন?সবটা আড়াল করে কী মজা পায়।
” তুই বিয়ে করেছিস একবার বললিও না।দেখি দুলাভাইর ছবি দেখা।”
খুশবু তাদের বিয়ের ছবি দেখালো।মায়া আর রিয়ার স্তম্ভিত নয়নে চোখাচোখি করলো।
” এটা কেরে ভাই।সেই মাল কোথা থেকে পেলি কি করে পেলি!কোন কোম্পানির মাল।”
খুশবু রেগে গেল দ্রুত হাতে ছিনিয়ে নিল তার ফোন।
” তোদের দুলাভাই আর তোরা মাল বলছিস ছিহ!”
” চুপ কর।এবার বল দুলাভাই কোথায় থাকে?”
” আমার মনে।”
” তা তো থাকবে এবার বল এটা কোন দেশের?”
” ইতালির।”
” তোকে কি নিয়ে যাবে?”
” হ্যাঁ।”
” তোর ভাগ্য তো সোনায় মুড়ানো।”
খুশবু চুপচাপ রইলো ক্লাসে স্যার তাদের দিকে তাকিয়ে আছে গম্ভীর চোখে।কিছুক্ষণ বাদে তাদের শুরু হলো ক্লাস টেস্ট।সারাটা সময় মুখে কলম নিয়ে বসে রইল খুশবু।আজ কোন অধ্যায়ের পরিক্ষা চলছে সে তো তাও জানে না।
.
” শুনছেন,তাবাসসুম আরা খুশবু।”
পুরুষালী কণ্ঠে নিজের নাম শুনে চমকে পেছনে তাকালো খুশবু।গরম গরম সিঙারা মাত্র মুখের সামনে ধরেছে মায়া রোহানকে দেখে আনমনে কামড় বসাতে ছ্যাকা লেগে চুপসে যায় সে।
” আমাকে দেখে চমকে যাচ্ছ কেন খুশবু?”
” আপনি এখানে কী করছেন?”
” তোমার খোঁজে এসেছিলাম।”
” বাবা তো আপনাকে বলেই দিয়েছে আমার সাথে কোন যোগাযোগ আপনি করবেন না।”
” আমি কারো কথার ধারধারি না।শুনলাম এখন যাকে বিয়ে করলে ছেলেটা নাকি বিদেশি।তা বিদেশি দেখেই কি বিয়ে করলে?দেশি চামড়ায় কি মন ভরে না?”
” মুখে লাগাম দিন।”
” লাগাম দেওয়ার মতো কোন কথাই আমি বলছি না।কয়েকদিন পর টিভিতে নিশ্চয়ই নিউজ হবে প্রেমের টানে ইতালি থেকে বাংলাদেশে ছুটে এসেছে এক প্রেমিক।”
খুশবুর দু’চোখ টলমলে ক্রমশ শ্বাস বন্ধ হয়ে আসছে তার।কেউ তাকে আঘাত দিয়ে কথা বলবে এসব মানতে পারে না সে।রোহান তাকে একে একে অনেক কথা শুনিয়ে গেল কিন্তু কোনটার সঠিক জবাব দিতে পারলো না খুশবু।মায়া রিয়া রোহানকে চুপ করতে বললে উলটে তাদের ধমকে চুপ করায় সে।
রোহান তার কাজ হাসিল করে চলে গেল।বন্ধুদের আড্ডা বিষাদে রূপ নিলো মুহূর্তে।খুশবু কাঁদতে কাঁদতে নাজেহাল অবস্থা।অপরদিকে আরশাদ একেরপর এক ফোন করেই যাচ্ছে খুশবু ফোন তোলার নাম নেই।ক্লাস শেষ দুইটায় অথচ খুশবু ভার্সিটির গেট থেকে বের হলো তিনটার কিছুটা আগে।রাস্তার ধারে গাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে আরশাদ।তার আগুন চুল্লির মুখখানি দেখে তেমন ভাবে গায়ে মাখলো না খুশবু।
” কোথায় ছিলে ফ্লুজি?”
আরশাদের গম্ভীর স্বরে পালটা গম্ভীর ভাবে জবাব দিল খুশবু।
” ক্যান্টিনে।”
” এতক্ষণ ক্যান্টিনে কী করছিলে?”
” আড্ডা দিচ্ছিলাম।”
আরশাদ খুশবুর চিবুক তুললো।লালচে নাক,ফোলা রক্তিম চোখ আরশাদকে অতি সহজে জানান দিচ্ছে খুশবু কেঁদেছে কিন্তু কেন?
” তুমি কাঁদছো কেন?”
” ক…কই?”
“আমাদের মুখোমুখি সাক্ষাৎকার নিশ্চয়ই হাসি মুখে হয়নি।প্রতিটা দিন প্রতিটা রাত আমি তোমার কান্না দেখেছি তোমার সবটাই আমার মুখস্থ,কণ্ঠস্থ।
” আরশাদ আমি বাড়ি যাব।”
” আগে বলো কেন কেঁদেছো?”
” প্লিজ আমাকে বিরক্ত করবেন না।”
” আমি তোমায় বিরক্ত করছি?”
আরশাদ রেগে গেল।তাতে খুব বেশি পাত্তা দিল না খুশবু।বরং পালটা রাগ দেখিয়ে সে হাটা শুরু করলো উলটো দিকে।খালি রিক্সা দাঁড় করিয়ে উঠতে নিলে তার হাত টেনে আনে আরশাদ।
” হোয়াট দ্যা হেল..”
“ছাড়ুন হাত আমি একাই যেতে পারবো।”
আরশাদ কোন কথাই শুনলো না।রাগে গজগজ করতে করতে খুশবুকে গাড়িতে তুললো সে।গাড়ির স্প্রিড বাড়িয়ে দিল কয়েক গুন।এত জোরে গাড়ি চালানো দেখে কিছুটা ভয় পেল খুশবু কিন্তু সে কোন প্রতিক্রিয়া জানালো না।যদি এক্সিডেন্ট হয় তবে হোক।
সারাটা রাস্তায় দুজনের মাঝে কোন কথাই হলো না।আরশাদ গাড়ি থামাতে দ্রুত নেমে গেল খুশবু।তার পিছু পিছু এলো আরশাদ।অনিমা তো তাদের অপেক্ষায় ছিল, আরশাদ খুশবুকে নিয়ে আসবে এবং মেয়ে জামাই একসাথে লাঞ্চ করবে।কিন্তু বেজে গেল তিনটা তাদের আসার নাম নেই।ডোর বেল বাজতে অনিমা দরজা খুললো খুশবু দ্রুত পায়ে ঢুকলো তার পিছু পিছু প্রবেশ করলো আরশাদ।অনিমাকে সালাম জানিয়ে সেও ছুটে গেল খুশবুর পেছনে।
সেচ্ছায় রুমের দরজা রুদ্ধ করতে চেয়েছিল খুশবু।সে চায় না আরশাদের সাথে আজ আর দেখা হোক।কিন্তু আরশাদ তার পেছনে এসেই দরজা বন্ধ করলো।
” আপনি কেন এলেন আমার রুমে।”
” এটা আমারো রুম ফ্লুজি।তুমি আমার তোমার রুমটাও আমার।এখন বলো কাঁদছিলে কেন?”
” উফফ আমাকে একা থাকতে দিন।”
” নেভার এভার।”
খুশবু রাগ দেখালো বিছানায় থাকা ব্যাগটা ছুড়ে ফেললো মেঝেতে।আরশাদ পালটা রাগ দেখিয়ে গায়ের ব্লেজার খুলে ছুড়ে ফেললো মেঝেতে।আরশাদ নিজেকে স্থির করলো এক হাতে আগলে ধরলো খুশবুকে।
” আমার সাথে রাগ দেখিয়ে কোন সমাধান হবে না তার থেকে ভালো দুজনে মিলে সমস্যার সমাধান করি।বলো জান, কী হয়েছে?”
” রোহান এসেছিল।আমাকে অনেক বাজে বাজে কথা শুনিয়েছে।আমি এসব বাজে কথা কেন শুনবো?কী অন্যয় করেছিলাম আমি?প্রথমে আপনি এলেন আমার নামে অনেকগুলো অভিযোগ জানালেন। এরপর, এরপর আমার জীবনটা পালটে গেল।আমি কিচ্ছু চাইনি আমি শুধু সবার চোখে আমার জন্য গুরুত্ব দেখতে চেয়েছি।অথচ দেখুন বাবাও আমাকে দূরে ঠেলে দিল,রোহান বাজে কথা শোনালো।এসব আমার ভালো লাগছে না।”
আরশাদের চোয়াল শক্ত হয়ে এলো।খুশবুর মাথায় হাত বুলিয়ে নিরবে রাগটা দমন করলো।
” ফ্লুজি আমার জান,তোমার বিশ্বাস হয় আঙ্কেল তোমার উপর রেগে আছে?দুঃখ পেও না আঙ্কেল যা করছেন মন থেকে করছেন না জেদ থেকে করছেন।শান্ত হও এত কাঁদে না।যা হওয়ার হয়েছে রোহানের মুখোমুখি তুমি হবে তোমার পাশে আমি থাকবো।তুমি দেখিয়ে দেবে যোগ্য কাউকে তুমি পেয়েছো।”
” আচ্ছা আপনি যদি আমাকে ঠকান তখন?সবাই আমাকে নিয়ে হাসবে উপহাস করবে।”
খুশবু মাথা চেপে ধরলো তার মনে একটাই ভয় আরশাদ যদি তাকে ঠকায় তবে কি করে লড়াই করবে সে।সে তো মুখ থুবড়ে পড়বে।আরশাদ কিঞ্চিৎ হাসলো মেয়েটার অশ্রু ভেজা চোখে উষ্ম ওষ্ঠ ছুঁইয়ে বলে,
” আমি যদি তোমাকে ঠকাই তবে তোমার প্রতিটি মোনাজাতে আমার ধ্বংস চেও।”
খুশবু কিছুই বললো না।চুপচাপ কাঁদলো সে।অপরদিকে আরশাদ মেয়েটার মনোযোগ ভঙ্গ করতে উঠে পড়ে লেগেছে, খুশবুর ফোঁপানো ঠোঁটে স্লাইড করতে করতে শ্লেষ হাসলো আরশাদ।আচমকা খুশবু কেঁপে উঠলো আরশাদের চোখে চোখ রেখে মাথা নাড়িয়ে বলে,
” আরশাদ এখন না।”
” এখনি জান।”
” আরশাদ… ”
দু’আঙুলের সাহায্যে খুশবুর ঠোঁট চেপে ধরলো আরশাদ।খুশবু সরে যেতে চাইলে দেয়ালে ঠেসে দাঁড়ায় আরশাদ।দুহাতের বন্ধনীতে আটকে ভীতু চাহনিতে তাকালো মেয়েটা।আরশাদের ভাবাবেগ বুঝতে পারলো খুশবু নিজেকে ছাড়াতে চেয়ে পালটা দৃঢ় বন্ধনীতে আটকে গেল।আরশাদ ঘোর লাগা স্বরে বলে,
” ইউর লিপস মেড মি ড্রাঙ্ক জান।”
খুশবু দু’চোখের পলক ফেললো।আরশাদ উন্মাদনায় ঠোঁটে ঠোঁট ছোঁয়ালো।খুশবুর সাড়া পেয় মেয়েটাকে ক্রমশ গ্রাস করলো সে।আরশাদ তার ফ্লুজির কোমড় জড়িয়ে উপড় করলো নিজের ভার রাখতে আরশাদের গলা জড়িয়ে ধরলো খুশবু।ক্রমশ অবাধ্য হলো দু’ঠোঁটের ছোয়া।অতীতের সব ভুলে আরশাদের কাছে নিজেকে সপে দিয়ে জগৎ ভুললো মেয়েটা।কিন্তু আরশাদের সাথে পেরে উঠে না সে, ওষ্ঠের লড়াইলে হাঁপিয়ে উঠলো শ্বাস আটকে আসার মুহূর্তে দ্রুত মুখ সরালো খুশবু,আরশাদ পূর্ণ দৃষ্টি রাখে প্রেয়সীর ঠোঁটে রক্তিম ফুলে থাকা ঠোঁট জোড়া তাকে যে আরো বেশামাল করে তুলছে।
” আরশাদ প্লিজ…”
” নো।”
” আর…
পুনরায় দু’ওষ্ঠের মিলন ঘটলো।এলোমেলো হলো খুশবুর ছোঁয়া।আরশাদ ক্রমাগত ঘায়েল করলো তার ফ্লুজিকে।ফ্লুজি যখন নিজের আরশাদের ছোঁয়ায় মগ্ন তখন আচমকা ফোন বেজে উঠলো।আরশাদ খুশবুকে ছাড়িয়ে নিল আবেগের দুনিয়ায় ছিন্ন হয়ে বাস্তবতায় ফিরলো সে।নিজের ভুল ভেবে জিভে কামড়ে সরে দাঁড়াতে চাইলো কিন্তু তার শার্টের কলার টেনে ধরলো ফ্লুজি।মেয়েটার চোখে অভিলাষের ঝড় বইছে আরশাদ পুনরায় ঠোঁটে ঠোঁট ছুঁইয়ে স্থির করতে চাইলো মেয়েটাকে।কিন্তু খুশবু জেদ ধরলো সে আরশাদকে ছাড়লো না।
” আরশাদ….
” সেম ফিলিংস জান,সামলে যাও।”
আরশাদকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিল খুশবু।মেয়েটার অভিমানি চাহনি বুঝতে পারলো সে।খুশবুকে পেছন থেকে জড়িয়ে বলে,
“তুমি বেপরোয়া হলে আমাকে সামলাবে কে?”
চলবে___
আসসালামু আলাইকুম পাঠক।গল্পের ছোট্ট গ্রুপে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ- অনুপ্রভার বৈঠকখানা – Onuprova Meherin 🍂
আইডি – Onuprova MeHerin