ফ্লুজি #অনুপ্রভা_মেহেরিন [পর্ব ১৩বাকি অংশ]

0
260

#ফ্লুজি
#অনুপ্রভা_মেহেরিন
[পর্ব ১৩বাকি অংশ]

” আরশাদ ভাইয়া ফিশ ফ্রাই নেবে না?”

” না। ”

” একটু মাংস নাও।”

” লাগবে না।”

” তুমি তো কিছুই নিলে না।শুধু ডাল দিয়ে কেউ খায় নাকি।মামীর বাড়িতে এলে তবেই তো ভিন্ন ভিন্ন খাবার হয় ভেবেছিলাম সবাই আড্ডা দিতে দিতে জমিয়ে ডিনার করবো।তোমার কী হয়েছে বলতো?”

আরশাদ পূর্ণ দৃষ্টি রাখলো এলিনার চোখে।ছেলেটার ভাব ভঙ্গিমা যে বুঝিয়ে দিচ্ছে সে কতটা রেগে।আক্রমণাত্মক হওয়ার আগে আরিব আড়ালে আরশাদের পায়ে ধাক্কা দিল।চোখ ইশারায় বুঝিয়ে দিল এলিনার সাথে কোন রাগ দেখানো যাবে না।আরশাদ দমে গেল গ্লাস ভরতি পানি খেয়ে নিজের রাগটা সংবরন করলো।পরিস্থিতি পাল্টাতে আরিব এলিনাকে বলে,

” আমাকে ফিশ ফ্রাইটা দাও এলিনা।”

খাবার টেবিলে আবারো হইচই আড্ডা।আফরোজা ইমরান বুঝতে পারলেন ছেলের কিছুতো হয়েছে।ফ্লুজির সাথে আবার কোন ঝামেলা হয়নি তো?আর যদি কোন ঝামেলা হয়ও এসব মানতে পারবেন না তারা।সুস্থ সবল ছেলেটাকে কেমন উন্মাদ বানিয়ে ছেড়েছে।আফরোজার মনে জেদ ঢুকল এই মেয়েকে একবার হাতের কাছে পেলে ইচ্ছা মতো শাসিয়ে ছাড়বে।
.
খাবার আর খাওয়া হলো না আরশাদের।নিজের ভিলায় ফিরে নিচতলায় কিছুটা গোছগাছ করে দোতলায় গেল।দোতলার একটি কক্ষে বিশাল তিনটে বুকশেল্ফ।সেই কক্ষটা লাইব্রেরী হিসেবে সাজিয়েছে আরশাদ।মন মেজাজ ঠিক রাখতে বই খুলে বসলো সে।কিন্তু অস্থির মন এসব কি মানে?মূলত মানতে চায় না।আচমকা তার ফোন বেজে উঠলো ইতালিয়ান বন্ধু ডিলান ফোন করেছে।
আরশাদ আর ডিলানের অনেকক্ষণ কথা চললো এর মাঝে ডিলান বলে,

” তুমি জানো অ্যাডেন লিভ ইনে আছে ”

” কি!কবে কখন হলো এসব।”

” তুমি যাওয়ার পর থেকেই।আমাদের মাঝে তুমি ফাস্ট যে আগে নিজেকে ভার্জিনিটি হারিয়েছে।”

চট করে আরশাদের মুখভঙ্গি পালটে গেল।সে যেন একটা মজার কথা শুনেছে।আরশার হলো বিবাহিত ব্যাচেলর এসব কথা যদি ডিলান জানে ছেলেটা নিশ্চয়ই হাসবে।তার বিবাহিত স্ত্রীকে কাছে পাওয়ার স্বীকৃতি সে আদৌ পায়নি অথচ তার বন্ধু গালফ্রেন্ডের সহিত….পালটা মেজাজ খিঁচে গেল আরশাদের ভেতটায় জমলো রাগ জেদ।ফ্লুজির জন্য মনটা কেমন কেমন করছে।ডিলান তাড়া দিয়ে বলল,

” আরশাদ নাইট ক্লাবে চল অনেকদিন হই হুল্লোড় করা হয় না।”

” শরীর ভালো লাগছে না ডিলান এখন ফোন রাখছি পরে কথা হবে।”

আরশার অস্থির হলো কোলের বইটা রেখে নিজের কক্ষে ফিরলো।ইতালি সময় অনুযায়ী রাত এখন বারোটা।বাংলাদেশে নিশ্চিয়ই চারটা বাজে।আরশাদ অনলাইনে ঢুকতে দেখতে পেল ফ্লুজি এক্টিভ।চট করে তার মেজাজটা আবার পালটে গেল।এই অসুস্থ মেয়েটা কেন জেগে আছে?দেরি না করে ফ্লুজিকে ফোন করলো সে,ভেবেছিল রাগের মাথায় মেয়েটা ফোন রিসিভ করবে না কিন্তু আরশাদকে অবাক করে দিয়ে ফ্লুজি ফোনটা ধরলো।আরশাদ নিজের অনুভূতি লুকিয়ে রাগান্বিত স্বরে বলল,

” এত রাত অনলাইনে কেন?”

” এই কেন’র কোন উত্তর নেই।”

” কি করছো?”

” ক্যান্টিনে বসে গরম গরম সিঙারা খাচ্ছি।”

“মজা নাও আমার সাথে?এই রাতে… ”

” তো?আপনি অদ্ভুত প্রশ্ন করলে আমিও অদ্ভুত জবাব দিব।এই রাতে বিছানায় থাকা ছাড়া আর কোথায় থাকব?”

আরশাদ দমে গেল।

” জ্বর কমেছে?”

” হুম।”

” রাগ দেখাও আমাকে?এই রাগের ফল কিন্তু ভালো হবে না জান।”

” এমনিতেও কোন কিছু ভালো হচ্ছে না।ফোন করেছেন কেন?”

” আমার বউ আমি খোঁজ নিব না?”

” কে আপনার বউ?”

” বাংলাদেশের এক কোণে বসে থাকা এক ঝগড়াটে মহিলা যে পারে আমার দূত্বে ঝগড়া করতে।কাছে গেলে দম ফুসস।”

আরশাদের সহিত খুশবু ন্যাকা রাগ দেখালো দ্রুত সে ফোন কেটে অফ লাইনে চলে গেল।
.

ছয়দিন পর হসপিটাল থেকে গ্র‍্যানিকে বাসায় আনা হলো।গ্র‍্যানির ফিরে আসা নিয়ে ঘরে চললো ক্যান্ডেল লাইট ডিনানের আয়োজন।ডাইনিং স্পেচ টাকে সুন্দর করে সাজালো এলিনা।মেয়েটা ভেনিস থেকে প্রতিবার আসার সময় প্রস্তুত হয়ে থাকে যতটা পারা যায় আনন্দ করে যাবে।আরিব আড় চোখে বার বার নজর ঘুরালো এলিনার দিকে।বাদামি চুলের গোছায় খোঁপা করে কেমন তাড়া দিয়ে কাজ করছে মেয়েটা।একটা শাড়ি পড়ে কোমড়ে আঁচল গুজলে এই মেয়েকে নির্ঘাত বউ বউ লাগবে।সবার আড়ালে চুপিসারে বাইরে গেল আরিব।হাতে করে নিয়ে এলো কয়েকটা ডেইজি ফুল।

আরিব সবার আড়ালে এলিনার খোপায় গুঁজে দিল একটি ডেইজি ফুল।এলিনা অবাক হয়ে হাসলো।আরিব সেই হাসিতে মুগ্ধ হয়ে বলে,

” এলিনা মাই প্রিন্সেস।”

” আমি প্রিন্সেস!”

” তুমি কবে বড় হবে বলতো?”

এলিনা বুঝলো না আরিবের বাংলা কথা মেয়েটা শুধু আগ্রহ নিয়ে হা হয়ে তাকিয়ে রইল।

” ভাইয়া কি বলছো আমি তো বাংলা কথা বুঝিনা।”

” বুঝতে হবে না।”

আরিব মাছি তাড়ানো ভঙিমায় চলে গেল।আরশাদ এসে বসলো গ্র‍্যানির পাশে।গ্র‍্যানি আদেশ সুরে বলেন,

” ফ্লুজিকে ফোন করো আমি তার সাথে কথা বলতে চাই।”

” বাংলাদেশে এখন গভীর রাত গ্র‍্যানি।ফোন করলে মেয়েটার ঘুম ভেঙে যাবে তো।”

” তুমি যাবে কবে?আরিবকে রেস্টুরেন্টের দায়িত্ব দিয়ে তুমি চলে যাও।”

” ওর পড়াশোনা আছে শুধু শুধু ওঁকে ঝামেলায় ফেলবো কেন?”

” হঠাৎ এত বুঝদার হলে যে?ফ্লুজির সাথে দেখা করার ইচ্ছে নেই নাকি?”

” সেই ইচ্ছা আমার কোন দিন ফুরাবে না।’

গ্লোরিয়া তখন গরম গরম মাংসের বাটি নিয়ে এলো।গরম বাটি টেবিলে রাখতে তাতে আঙুল পুরে দিল এলিনা।মাংস খাওয়ার তাড়ায় বেচারির চিরল দু’আঙুলে আচমকা ছ্যাকা লেগ গেল।এলিনা এসবে অভ্যস্ত নয় অল্পতে চেচিয়ে উঠলো সে আরিব পাশেই ছিল।এলিনার দুই আঙুল তৎক্ষনাৎ নিজের মুখে পুরলো।গ্লোরিয়া দৌড়ে গেলেন পানি আনতে।আরিব অধৈর্য হয়ে বলে,

” এলিনা জ্বালা কমেছে?”

” জ্বলছে তো।”

গ্লোরিয়া আসতে পানির বাটিটায় হাত চুবালো এলিনা।গ্লোরিয়া,গ্র‍্যানি আরিবের কর্মকান্ড স্বাভাবিক ভাবে নিলেও আরশাদ কিন্তু ঠিকি সরু চোখে তাকিয়ে আছে ভাইয়ের দিকে।আরিবের অস্থিরতা সে জহুরি চোখে পর্যবেক্ষণ করলো।এলিনা সরে যেতে, আরিবের সহিত চোখাচোখি হয় আরশাদের।ব্যস আরিবের সব দম যেন ফুরিয়ে গেল।ইতস্তত বোধ কাটাতে ক্যাবলাকান্ত রূপে হাসলো আরিব।আরশাদ উঠে এলো আরিবের কাধে হাত দিয়ে চাপা স্বরে বলে,

” আমি পুরুষ,আমি প্রেমিক তাই তোর অস্থির দু’চোখের ভাষা আমি সহজে বুঝতে পারি।”

” না তুমি কিছুই বুঝ না ব্রো।”

” পড়াশোনায় লেগে আছো পড়াশোনায় থাকো একবার এসবে ফেসে গেলে শরীর মন দু’টোকে সামলাতে হিমশিমে পড়বে।”

আরিব প্রত্যুত্তর করলো না।এলিনার ভীতি মুখখানি দেখে শুধু দীর্ঘশ্বাস ছাড়লো।

.
আরশাদের রেস্টুরেন্টে আজ বাঙালিদের ঢল নেমেছে।যেহেতু আজ শুক্রবার অফডে সেই হিসেবে ইতালিতে থাকা প্রত্যেক প্রবাসী তাদের দিনটিকে আনন্দ উপভোগে কাটানোর জন্য রেস্টুরেন্টে এসেছে।কেউ এসেছে পরিবার নিয়ে কেউ বা এসেছে বন্ধুদের সঙ্গে।আরশাদ সবার কার্যক্রম পরখ করছিল, হাসি মুখে সবটা দেখে বেরিয়ে গেল রেস্টুরেন্ট থেকে।এই রেস্টুরেন্ট থেকে যে তার ভালো পরিমানে আয় আসবে সে স্বপ্নেও ভাবেনি।মূলত শখের দরুনে রেস্টুরেন্ট শুরু করেছিল সে।
আরশাদ সরু রাস্তায় গান গাইতে গাইতে হাটছিল তার সাথে সঙ্গ দিয়ে নাম না জানা এক পাখি ক্রমশ ডেকে চলছে।রাস্তার ধারে বিক্রি করা লিলি দেখে থেমে গেল সে।দোকানির কাছে গিয়ে জানতে চাইলো দাম কত।আরশাদ দামাদামি করে মুঠ ভরতি লিলি কিনলো।ইতালির জাতীয় ফুল লিলি।সাদা লিলি ইতালির একটি জাতীয় প্রতিক।সাধারণত ধর্মীয় প্রসঙ্গে ভার্জিন মেরি এবং পবিত্র পরিবারের সাথে যুক্ত।

নিজ ভিলায় ফিরে লিলিফুল গুলো একটি টবে রেখে সটান হয়ে শুয়ে পড়লো আরশাদ।মন শরীর দুটোই ক্লান্ত। ফ্লুজি তাকে ইদানীং একটু বেশি এড়িয়ে চলছে ঠিক আগের বারের মতো।
আগের বার যেমন একেরপর এক এড়িয়ে যাওয়া আরশাদকে বিক্ষিপ্ত,রাগান্বিত করেছিল ঠিক তেমনটাই হচ্ছে।কিন্তু আরশাদ হাল ছাড়ার পাত্র নয় এখন আর পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ তো নেই।এই মেয়েটা বিবাহিত যতই এড়িয়ে যাক আর আড়াল হোক তার শেষ গন্তব্য আরশাদের বুকে।মুখ লুকালে আরশাদের বুকেই লুকাবে।

ফোন হাতে তুলে খুশবুর ছবি দেখছিল আরশাদ।ছেলেটা নিজের দাম্ভিকতা বজায় রেখে বলে,

” যেদিন তুমি বলবে আমি সেদিন ফিরবো তোমার কাছে।আমাকে এড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যেকটা জবাব আমি নিয়েই ছাড়বো।”

আচমকা বাতাসে উড়ে গেল জানলার সব পর্দা।সফেদ পর্দা গুলোর এলোমেলো উড়াউড়ি দেখে আরশাদ উঠে দাঁড়ালো দ্রুত হাতে জানলা বন্ধ করে বসলো কাউচে।এখন টিভি দেখলে মন্দ হয় না কিন্তু মনের সায় না পেয়ে রিমোট রেখে ফোন হাতে নিয়ে বসলো সে।

আরশাদ প্রতিদিনের ন্যায় ডু মারলো খুশবুর বন্ধু মায়া এবং রিয়ার আইডিতে।এই দুইজনের আইডি পাবলিক বলে আরশাদ খুব সহজে আপডেট পেয়ে যায়।খুশবুর বন্ধু বলেই এরাই আছে তাই খুশবুর সাথে সাথে এদের উপরেও গভীর পর্যবেক্ষণ চলে আরশাদের।কিন্তু আরশাদের সাথে আজ ঘটলো ভিন্ন পরিস্থিতি।মায়ার আইডিতে তার জন্মদিন উপলক্ষ্যে পোস্ট করা কিছু ছবিতে চোখ আটকে গেল তার।

খুশবু আজ শাড়ি পরেছে।বেগুনি পাড়ের সাদা শাড়িতে মেয়েটাকে শুভ্র শীতল লাগছে।আরশাদের নজর আটকে গেল একদিকে।এমন সাজে ঢঙে রূপে ফ্লুজি কখনো ধরা দেয়নি তার কাছে।এত সুন্দর লাগছে কেন মেয়েটাকে?নাকি আরশাদের চোখে সে সুন্দর।

শেষ ছবিটায় তারা তিন বান্ধবী মিলে দাঁড়িয়ে আছে।খুশবুর হাত মায়ার কাঁধে তোলা মেয়েটা খিলখিলিয়ে হাসছে।হাত উপরে তোলার দরুনে শাড়ি সরে সাদৃশ্য হয়েছে মেদহীন পেটের কিছুটা অংশ।ছেলেটা অস্থির হলো দ্রুত হাতে শার্টের উপরের দুটো বোতাল খুলে গা ছাড়া দিয়ে বসলো।আরশাদ উষ্কখুষ্ক চুলগুলো চুলকে বলে,

” আমার একটাই মাথা তাও আবার নষ্ট করে দিল এই মেয়েটা।উফফ আরশাদ কন্ট্রোল কন্ট্রোল।”

আরশাদ ফোন করলো তার ফ্লুজিকে।কয়েকবার ফোন কাটার পর ফোন ধরলো সে।অবশ্য ফোন ধরে ঝাঁঝালো গলায় বলে,

” কী সমস্যা আপনার?দেখছেন তো ফোন কাটলাম।কি চাই?”

” তোমাকে জান।”

” সুর দেখি উলটো দিকে ঘুরছে বুঝলাম না।”

” আগে বলো শাড়ি যে পরলে আমাকে ভিডিও কল দিলে না কেন?”

“আপনি কি করে জানলেন আমি শাড়ি পরেছি আজ।”

” কখন কি করছো সবটা খরব রাখি।শাড়ি পরেছো ভালো কথা কিন্তু সামলে রাখনি কেন?যেটা আমার দেখার কথা সেটা সবাইকে দেখানো কি খুব জরুরি ছিল?”

” মানে?”

” শাড়ির আড়ালে যে আমার সুখ শান্তি উকি দিচ্ছিলো এটা আমার দেখার কথা কিন্তু অসংখ্য লোক দেখে ফেলেছে।আমি এসব মানতে পারবো না।তোমার ফ্রেন্ডকে বলে দিও এই ছবি যদি রিমুভ না করেছে তবে তার আইডির সাথে সাথে তাকেও গায়েব করে দেব।প্রমিস।”

খুশবু ঢোক গিললো।আরশাদের সাথে যতই রাগ জেদ দেখায় না কেন এই ছেলেটার হুমকিতে সে মারাত্মক ভয় পায়।খুশবু স্বল্প সরে বলে,

” আরশাদ।”

” বলো জান।”

” সব কাগজ পত্র তৈরি।ভিসার ঝামেলা শেষ।”

আরশাদ চমকে গেল।চমকের মাঝেই হাসলো চমৎকার।

“তুমি বললেই আমি দেশে আসবো।কি আসবো?”

খুশবু রেগে গেল।রাগের দরুনে কান্না পাচ্ছে তার।মেয়েটা ধরা গলায় বলে,

” কেন আসবেন আপনি?আপনি নিজে বলেছেন আপনি আসবেন না তাহলে আপনার আসা যাওয়ায় মতামত আমি কেন দেব?”

” ফ্লুজি আমাকে তুমি আবার রাগ দেখাচ্ছো?”

” কি করবেন আপনি?কিছুই করতে পারবেন না।দূরে বসে বসে শুধু নাটক করুন।আমি আপনার ধারাবাহিক নাটকের দর্শক।”

” ওকে যা খুশি তাই করো।”

” ঠিক আছে খুশি মতোই সবটা করবো।”

খুশবু চট করে ফোন কাটলো।রেগে মেগে আগুন হয়ে গেল আরশাদ।হঠাৎ ফ্লুজি তাকে একটি ছবি পাঠালো মেয়েটা শাড়ি পরে দাঁড়িয়ে।আরশাদের আগুনে যেন জল পড়লো।রাগ দেখাতে গিয়েও অনুভূতি কাছে ব্যর্থ সে।
আরশাদ দাঁতের সাহায্যে ঠোঁট চেপে ধরলো।আফসোস সুরে বলে,

” কাকে বকবো আমি?কাকে রাগ দেখাবো?এই মেয়েকে বকলে যে নিজেকে নিজে খু ন করতে মন চায়।”

চলেবে….
আসসালামু আলাইকুম পাঠক।গল্পের ছোট্ট গ্রুপে আপনাদের সবাইকে আমন্ত্রণ..
🔺গ্রুপ লিংক-https://facebook.com/groups/764407025608497/
🔺আইডির লিংক-https://www.facebook.com/profile.php?id=61555546431041

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here