যার_কথা_ভাসে_মেঘলা_বাতাসে #পর্ব_৩ #তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া

0
112

#যার_কথা_ভাসে_মেঘলা_বাতাসে
#পর্ব_৩
#তাসমিয়া_তাসনিন_প্রিয়া

(প্রাপ্ত বয়স্কদের ও মুক্তমনাদের জন্য উন্মুক্ত)

আশিকের কথায় কোনো প্রতুত্তর করলোনা প্রহর। মাসের শেষ সপ্তাহ আজ। কাজের ভীষণ চাপ প্রহরের। সারাদিন এই জায়গা থেকে ওই জায়গায় বাসে করে ঘুরতে হয় তাকে। তারমধ্যে কন্ঠর ছেলেমানুষী বিরক্ত লাগে তার।
আজ শুক্রবার। সবাই আজকে বাসায় আছে। সেদিন ভদ্রতার খাতিরে নয়নাকে বাড়ি আসতে বলে কী ভুলটাই যে কন্ঠ করেছিল সেটা আজকে হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। সকাল হতেই নয়না এসে হাজির হয়েছে কন্ঠদের বাসায়। সেটা সমস্যা নয়,সমস্যা হচ্ছে এখন ইফতির সাথে দেখা করিয়ে দিতে হবে তাকে। এমনিতেই ইফতি সব সময় কেমন রাগী মুখে থাকে নয়নাকে সাথে নিয়ে গেলে হয়তো গাট্টা মারতেও পারে কন্ঠকে। কিন্তু নয়নাকে তো আর সেই আশংকার কথা বলা যাবে না। মানসম্মান বলতে একটা ব্যাপার আছে তো!
” তা নয়না তোমার বিয়ে-শাদির খবর কী? গ্রাজুয়েশন শেষ হলে?”
বসার ঘরে সোফায় বসে আছে নয়না। টি-টেবিলে নাস্তা ভর্তি ট্রে রেখে উপরোক্ত কথাটি বললেন কন্ঠর মা শারমিন সুলতানা।
” জি আন্টি পরীক্ষা শেষ হলে হয়তো। তবে বাড়িতে এখনও বিয়ের কোনো আলোচনা হয়নি। ”
” ভালো। কন্ঠকে ভাবছি গ্রাজুয়েশন শেষ হওয়ার আগেই বিয়ে দিবো ভাবছি। আজকাল ভালো ভালো সম্মন্ধ আসছে।”
নয়নার পাশের সোফায় বসে ছিলো কন্ঠ। মায়ের এ ধরনের কথায় পিলে চমকে উঠেছে তার।
” মা! তুমি বিয়ে করো লাগলে আরেকবার কিন্তু আমি বিয়ে করবোনা এখন।”
” সেটা দেখা যাবে পরে। নয়না চা নাও সাথে টোস্ট খাও।”
” না আন্টি আমি খেয়ে এসেছি। কন্ঠ মনে হয় এখনো কিছু খায়নি, ও বরং খাক।”
কন্ঠর বুকের ভেতর কেমন একটা করছে। সত্যি সত্যি তার বাবা-মা বিয়ের কথা ভাবছেন না তো? শারমিন সুলতানা নয়নাকে পছন্দ করেন। আর ইফতির জন্য যে নয়না দূর্বল সেটাও বোঝেন। ইফতির মা শায়লাকে নয়নার কথা বলবেন বলে ভাবছে কন্ঠর মা। এমনিতেই ইফতির বিয়ে নিয়ে শায়লা মল্লিক ভীষণ চিন্তিত। ইফতি ছোটো থেকেই এমন গম্ভীর প্রকৃতির হওয়ায় নারীঘটিত কেলেঙ্কারির থেকে বহুদূরে তার অবস্থান। নয়না কন্ঠর দিকে তাকিয়ে আছে। শারমিন সুলতানা অন্য রুমে যেতেই নয়না বললো,
” কন্ঠ এবার একটু ইফতি ভাইয়ার কাছে নিয়ে চল না!”
” যাবে? চলো।”
কন্ঠ নীরস গলায় বললো। নয়নার তো খুশিতে নাচতে ইচ্ছে করছে। কন্ঠ নিজের রুমে গিয়ে টপস খুলে কামিজ আর ওড়না পরে নয়নাকে নিয়ে ইফতির কাছে যায়।
ইফতি খবরের কাগজ পড়ছে। সকালের নাস্তা এখনো খাওয়া হয়নি তার। এরমধ্যেই দরজায় ঠকঠক শব্দে মাথা তুলে তাকালো ইফতি। কন্ঠকে দেখেই বিরক্তিতে চোখমুখ কুঁচকে ফেললো ইফতি। নয়নাকে তো খেয়াল করেনি এখনো। কন্ঠর লিপস্টিক সেন্স ভীষণ খারাপ। বাসায় বসেও কেউ লাল টকটকে লিপস্টিক পরে? ইফতি এই প্রশ্নের উত্তর পায় না।
” কিছু বলবি? দরজায় দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?”
” ভেতরে আসবো বলেই তো কড়া নাড়লাম। ”
কন্ঠ নয়নাকে নিয়ে ভেতরে ঢুকেছে এরমধ্যেই। নয়না মিষ্টি করে হেসে ইফতিকে বললো,
” আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন স্যার? ”
” হ্যাঁ ভালো। কিন্তু আমি এখন কলেজে না আর না তো তুমি আমার কলেজের ছাত্রী। তাই অহেতুক সম্মান দেখাতে হবে না। কন্ঠ নয়না কেনো এসেছে? ”
ইফতির কড়া কথায় মন খারাপ হয়ে গেলো নয়নার। কন্ঠর থেকে ইফতির পছন্দের রঙের বিষয় জেনেছিল নয়না। তাই সেই মতো ছাই রঙা শাড়ি পরে এসেছে আজ। কিন্তু কিচ্ছু তো হচ্ছে না! ভালো করে একবার তাকিয়ে পর্যন্ত দেখলো না ইফতি। কন্ঠর মেজাজ বিগড়ে গেছে তার ইফতি ভাইয়ের কথায়। এতো ভাব দেখানোর কী আছে?
” এমনি আমাদের বাসায় এসেছিল। কোথায় যেনো যাচ্ছিল তাই। কথায় কথায় শুনলাম আপুর হিসাববিজ্ঞানে সমস্যা। তুমি তো ভালো পড়াও এজন্য আরকি বলছিলাম…. ”
” সোজা কথায় বললেই হয় আমার কাছে প্রাইভেট পড়তে চায় নয়না। ”
” হুম ভাইয়া।”
” তোর আক্কেল কেমন? তুই জানিস না আমি বাসায় কাউকে প্রাইভেট পড়াই না? তোকে পর্যন্ত পড়াই না সেখানে তুই নয়নাকে নিয়ে এসেছিস!”
এই ভয়টাই পাচ্ছিল কন্ঠ। নয়নার সামনে এরকম অপমানিত হওয়াই বাকি ছিলো। কপাল ভালো এই লোকটা কন্ঠর আপন ভাই না। কন্ঠর কথাই বলতে ইচ্ছে করছে না এখন। ইফতি আবারও খবরের কাগজের দিকে মনোযোগ দিয়েছে। নয়নার বেশ খারাপ লাগছে। সব কথা কি মুখে বলতে হয়? ইফতি সরাসরি না বললেও আচরণে বুঝিয়ে দিলো, “তোমরা এখন আসতে পারো।”
কন্ঠ আরকিছুই না বলে নয়নাকে নিয়ে বেরিয়ে এলো ইফতির ঘর থেকে। শায়লা মল্লিক নাস্তা পরিবেশন করছিলেন ডাইনিং টেবিলে। কন্ঠকে ইফতির রুম থেকে হনহনিয়ে বের হতে দেখে বললেন,
” কন্ঠ ইফতি কি আবারও তোকে বকাবকি করলো? আর তোর সাথে কে?”
” বকেনি হালকা করে অপমান করে দিলো। উনি নয়না আপু,আমার সিনিয়র। ভাইয়ের কাছে পড়তে চাচ্ছিলো তাই আরকি।”
” হ্যাঁ এবার আর বুঝতে সমস্যা হচ্ছে না আমার। ওর তো সময় হয় না, তাছাড়া ও যে রগচটা মানুষ। যাইহোক তোমরা বরং নাস্তা করে যাও। ”
জাহাঙ্গীর মল্লিক চা খেতে খেতে কন্ঠর গলার আওয়াজ শুনে কন্ঠকে ডাক দিলেন। কন্ঠ নয়নাকে নিয়ে ডাইনিং টেবিলের দিকে চাচার কাছে এসে দাঁড়িয়েছে। শায়লা মল্লিকও পেছন পেছন এসেছে ওদের।
” কেমন আছেন চাচ্চু?”
” আলহামদুলিল্লাহ মা। তোর খবর কি? আগে বস খেতে খেতে কথা হবে। ”
” আমি খাবো না চাচ্চু। আর নয়না আপু খেয়ে এসেছে আমাদের বাসা থেকে।”
নয়নার মেজাজটা বিগড়ে গেছে কন্ঠর কথায়। খেয়েছে তো মোটে এক পিস টোস্ট আর চা! তাতে কি পেটে জায়গা নেই না-কি আর? এমনিতে কেউ একবার সাধলে “না” বলে নয়না। কিন্তু সেটা স্রেফ ভদ্রতার খাতিরেই। দ্বিতীয়বার বললেই সবকিছু খাওয়াদাওয়া সেড়ে ফেলে সে। জাহাঙ্গীর মল্লিক নাছোরবান্দা মানুষ। শেষমেশ কন্ঠকে খেতে বসতেই হলো সাথে নয়নাকেও। ক্রাশের বাড়ির সবকিছুই সুন্দর। খাবার তো মধু! আর ক্রাশের বাবা-মা তো শ্বশুর শাশুড়ী। নয়না যখন এসব ভাবতে ভাবতে মুচকি মুচকি হাসছিল তখনই কন্ঠ তার হাতে চিমটি কেটে দেয় সহসাই ভাবনার ছেদ ঘটে নয়নার।
” কী হয়েছে কন্ঠ? চিমটি কাটলে কেনো?”
” তুমি কি খাবা কিছু না-কি আসমানের দিকে তাকিয়ে মুচকি হেসে যাবা? ”
তাই তো! ভাবনার অতলে হারিয়ে তো খাওয়াতে মনোযোগ ছিলো না তার। নয়না খাওয়া শুরু করলো। এরমধ্যে ইফতিও এসে বসেছে খেতে। শায়লা মল্লিক সবাইকে খাবার দিয়ে নিজেও বসেছেন এবার।
” মা সমুদ্র কোথায়? ”
খেতে খেতে ইফতি প্রশ্ন করলো মা’কে।
” সমুদ্র বন্ধুদের সাথে ঘুরতে গেছে। ফিরবে তিনদিন পরে। ”
” এই বয়সে কীসের এতো ঘোরাঘুরি বুঝি না আমি। এজন্যই লেখাপড়ার অবস্থা খারাপ তোমার ছোটো ছেলের। ”
শায়লা মল্লিক নিশ্চুপ। ছেলের সাথে কথা বলে কোনো লাভ নেই তার। কন্ঠর ইচ্ছে করছে দুয়েকটা কথা শুনিয়ে দিতে ইফতিকে। কিন্তু সাহসেরও তো একটা ব্যাপার থাকে? কন্ঠ ইফতির দিক থেকে মনোযোগ সরিয়ে দ্রুত চা শেষ করে উঠে দাঁড়ালো। নয়নারও ততক্ষণে খাওয়া শেষ। আজকে যেহেতু শুক্রবার, বিকেলে প্রহরের সাথে ঘুরতে যাবে কন্ঠ। তাই এইবেলায় সবকিছু গুছিয়ে রাখতে হবে কাজকর্ম। শুক্রবার মানেই এতগুলো জামাকাপড় ধোয়া!

পার্বত্য আঁকাবাকা রাস্তা দিয়ে চলছে বাস। পনেরোজন বন্ধুদের নিয়ে বান্দরবন ঘুরতে যাচ্ছে সমুদ্র। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিলো পাহাড়ের কাছাকাছি ঘুরতে যাওয়ার। অবশেষে সেটা পূর্ণ হলো এবার।
” পারভেজ একটা গান ধর তো। এভাবে বসে থাকতে বোরিং লাগছে রে।”
” হ্যাঁ হ্যাঁ একটা গান শুরু কর।”
সমুদ্রর সাথে শাওনও পারভেজকে গান গাইতে বললো। আর একইসাথে বাসে থাকা প্রায় সকলে এক কথাই বলতে লাগলো। অগত্যা পারভেজ গান গাইতে শুরু করলো।
” জোস হইছে মামা। আরেকটা শোনা গান।”
আরিয়ান বললো পারভেজকে। এরমধ্যেই ড্রাইভার মামা হঠাৎ করে ব্রেক কষাতে প্রায় সবাই নড়েচড়ে উঠলো। মুহুর্তেই সবাই উৎসুক দৃষ্টিতে গাড়ির সামনে তাকিয়ে দেখলো একদল পাহাড়ি চাকমা মেয়েরা রাস্তা পার হওয়ার জন্য এগোচ্ছিল। হয়তো তাদের অসাবধানতার জন্যই এভাবে ব্রেক কষতে হলো।
” মামা কী হলো? উনারা কি কেউ সামনে এসে পড়ছিল? ”
সমুদ্র সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকিয়ে প্রশ্ন করে সিদ্দিককে।
” হ মামা। আরেকটু হইলে দূর্ঘটনাটা ঘইটা যাইতো।”
” ওকে আমি গিয়ে কথা বলে আসছি।”
সমুদ্র গাড়ি থেকে নামে। মেয়েগুলো তখনও আতংকিত চোখে বাসের দিকে তাকিয়ে আছে। আরেকটু হলে তাদের মধ্যে একজন বাসের চাকার নিচে পড়তো।
” সাবধানে চলাফেরা করা উচিত আপুরা। আরেকটু হলে তো এক্সিডেন্ট হয়ে যেতো।”
” আসলে ওদের কোনো দোষ নেই। আমিই তাড়াহুড়ো করে এগোতে গিয়ে আরকি।”
পাহাড়ি অঞ্চলে এরকম শুদ্ধ ভাষায় কথা বলা মানুষজন কম। কেবল যারা শিক্ষিত তারাই বলে। কিন্তু তবুও তাদের কথার মধ্যে একটা আঞ্চলিক ভাষার টান থেকেই যায়। তবে এই মেয়েটির কথা একেবারে শহুরে কায়দায়।
” ইট’স ওকে। আপনি কি স্থানীয়? ”
সমুদ্র কৌতূহল সংবরণ না করতে পেরে জিজ্ঞাসা করলো। অষ্টাদশী মেয়েটি হেসে বললো,
” না ভাইয়া,আমি টুরিস্ট। ঘুরতে এসেছি। একটা বান্ধবী আছে এখানেই। ওদের বাসায় উঠেছি।”
” ও আচ্ছা। আমিও বান্দরবন ঘুরতে যাচ্ছি। ”
” বেশ তো ঘুরে আসুন।”
” ঠিক আছে। সাবধানে চলাফেরা করবেন আসছি।”
সমুদ্র গাড়িতে এসে বসতেই পারভেজ বললো,
” ব্যাপার কী? নম্বর দেওয়া নেওয়া হলো নাকি?”
” ধুরর! নামটাই তো জিজ্ঞেস করিনি সেখানে নম্বর? আমি মোটেও তোর মতো মেয়েবাজ নই।”
বাস চলতে শুরু করেছে আবারও তার আপন গতিতে।
কফিশপে বসে আছে কন্ঠ। পরনে কালো রঙের থ্রিপিস, কপালে ছোটো কালো টিপ আর ঠোঁটে অবশ্যই লিপস্টিক। প্রায় পনেরো মিনিট হবে এভাবে বসে আছে কন্ঠ। এরমধ্যে একবার কলও করেছে প্রহরকে। কিন্তু কল রিসিভ করেনি সে। সব সময় ছেলেটা এমন করে। মনটা খারাপ হয়ে গেছে কন্ঠর। সপ্তাহে দু’বার কলে কথা হয়েছিল। তা-ও মিনিট পাঁচেকের বেশি না।
” হাই।”
পিছন থেকে এসে কন্ঠর ঘাড়ে থুতনি রেখে প্রহর বললো। কন্ঠ চমকালো একটু।
” এতক্ষণ লেইট!”
প্রহর সামনাসামনি বসে কন্ঠর হাত ধরে চোখে চোখ রেখে তাকিয়েছে।
” রাস্তায় জ্যাম থাকলে আমি কী করবো বলো তো? কেমন আছো বলো।”
” দেখে কেমন মনে হচ্ছে তোমার? ”
” আমি সামনে থাকলে তো তুমি নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হিসেবে ভাবো। তাই তুমি দিব্যি ভালো আছো।”
” এতকিছু বোঝো তবে এটা কেনো বোঝো না, তোমার ব্যস্ততা কতটা ভাবায় আমায়!”
” কন্ঠ একসাথে সংসার করতে গেলে কি সারাদিন একসাথে থাকা যায়? তখন কি সব সময় আমি তোমার কাছে বসে থাকবো? কথা না হলে কি ভালোবাসা থাকে না? ”
” থাকে তবে সম্পর্কে যোগাযোগ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ”
” এখন কি এসব বলবে? ”
” তুমি অর্ডার করো কিছু খেলে। আমি কিছু খাবো না।”
প্রহর মেনু কার্ড থেকে দুই কাপ কফি অর্ডার করলো শুধু। কন্ঠ ফাস্টফুড পছন্দ করে না। তার স্ট্রিট ফুড বেটার। তাই কফি শেষ করে রাস্তায় ঘোরাঘুরির সময় চটপটি, ফুচকা খাওয়াবে ভেবে আর অন্য কিছু অর্ডার করলোনা প্রহর।
” কফি অর্ডার করলাম শুধু। তা তোমার লেখাপড়ার খবর কি? পরীক্ষা কবে?”
” পরীক্ষার সময়সূচি দিয়েছে। সামনের মাসের বাইশ তারিখ শুরু হবে। ”
” তাহলে তো লেখাপড়ার খুব চাপ তোমার। তুমি বরং অফলাইনে থাকো এখন। মন দিয়ে পড়াশোনা করো। ”

চলবে,

রিচেক করা হয়নি। টাইপিং মিসটিক হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। আর সবাই রেসপন্স করবেন প্লিজ। ❤️
আগের পর্বের লিংক https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=385947600752858&id=100080128645410&mibextid=Nif5oz
পরের পর্বের লিংক https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=387188253962126&id=100080128645410&mibextid=Nif5oz

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here