প্রিয়_প্রাণ #সাইয়্যারা_খান #পর্বঃ১৯

0
347

#প্রিয়_প্রাণ
#সাইয়্যারা_খান
#পর্বঃ১৯

ফ্লোরে বইগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে অবহেলায় গড়াগড়ি খাচ্ছে যেন। কয়েকটা’র আবার পাতা নড়ছে কৃত্রিম পাখা’র বাতাসে। তোঁষা এক দৃষ্টিতে দেখে যাচ্ছে সেই পাতার নড়চড়। নজর যেন টলতে চাইছে না। টলমলে লাল চোখদুটো ছিটকে পানি বের হওয়ার পালা এখন অথচ কি আশ্চর্য তোঁষা’র চোখে পানি নেই। কিছু সময় গড়াতেই তোঁষা দুই এক পা করে এগিয়ে এলো। ঝুঁকে হাতে তুলে নিলো ফিজিক্স প্রথম পত্র বইটা। বইটা’র দুটো পৃষ্ঠা ছিঁড়ে গিয়েছে। তোঁষা সেটা নিয়েই বসে পরলো ফ্লোরে। দুই হাত দিয়ে ঘোচানো পৃষ্ঠাগুলো সোজা করার চেষ্টা চালালো। লাল চক্ষুদ্বয় আর নিজেকে আটকে রাখতে পারলো না। স্বেচ্ছায় টপটপ করে ঝড়তে লাগলো। একে একে বইগুলো নিজের কাছে নিয়ে গোছগাছ করার চেষ্টা করছে তোঁষা তবে সবটা নীরবে শুধু মাঝে মধ্যে নাক টানার শব্দ শুনা যাচ্ছে আর একটু পর পর চোখ ডলছে বাহুতে।

আরহামের ঘুম ভাঙলো মাত্রই। বিকেলে তোঁষা’র সাথে এই রুমে ঘুমিয়ে গিয়েছিলো। চোখ বন্ধ অথচ ভ্রু কুঁচকে গেলো ওর আশেপাশে তোঁষা’র উপস্থিতি টের পাচ্ছে না বলে। চোখ খুলে ঢুলুঢুলু উঠে বসে আরহাম। এদিক ওদিক তাকালেও তোঁষা’কে দেখা গেলো না। বিছানা থেকে নেমে চপ্পল পায়ে এগিয়ে যায় আরহাম। নিজেদের বেডরুমে’র সামনে যেতেই থমকে গেলো আরহাম। ঘুমের রেশ না কাটা চেহারাটায় ভীত একটা আলোড়নের দেখা মিললো। গলাটা হঠাৎ ই যেন পিপাসিত অনুভব করছে। শুকনো ঢোক গিলে আরহাম। এদিক ওদিক নজর ঘোরায় একবার।
তোঁষা নিজের বইগুলো একত্রে করছে। আরহাম ভেবেছিলো এসব গুছিয়ে নিবে তবে তোঁষা’র কাছে যেতেই কখন জানি ঘুমিয়ে গেলো। সুন্দর পুরুষ’টার ওষ্ঠাধর হঠাৎ ই কাঁপছে যেন। তোঁষা’কে কি বলবে এখন? তোঁষা যদি প্রশ্ন করে? আচমকাই যেন আজ ভয় পাচ্ছে আরহাম। এত তারাতাড়ি তোঁষা’কে আয়ত্ত্বে আনা যাবে না।
ঠোঁট দিয়ে ঠোঁট চেপে ধরে এগিয়ে এসে আরহাম হাত লাগালো তোঁষা’র বইতে। তোঁষা শব্দ করলো না। নিজের মতো বইগুলো সব একত্রে করে ফ্লোরেই সাইড করে রাখলো।
তোঁষা যেই না উঠে যাবে ওমনিই ওর হাত টেনে নিলো আরহাম। তোঁষা মাথা নিচু করে বসে রইলো। সামনা সামনি দুজন বসে অথচ রা করছে না কেউ।
একটা ফাঁকা ঢোক গিলে আরহাম ক্ষুদ্র থেকেও ক্ষুদ্র শ্বাস ফেললো অতি গোপনে। এক হাতে যদিও তোঁষা’র ধরা তবুও সে আরেকহাত দিয়ে তোঁষা’র হাতটা মুঠোয় পুরে নিলো। কৈফিয়ত দেয়ার মতো বলতে চাইলেও কিছুটা অস্থিরতা কাজ করলো আরহামে’র মাঝে,

— তঁ…তুঁষ, আমি তখন টিশার্ট.. হ্যাঁ টিশার্ট খুঁজছিলাম। বইগুলো ছড়ানো ছিলো আলমারি’তে। শুন… শুন তাকা আমার দিকে। এদিকে আয়! তুঁষ, প্রাণ আমার, মাথা তুল। হ্যাঁ তাকা আমার দিকে।
তো টিশার্ট না পেয়ে যখন খুঁজছিলাম তখন এলোমেলো থাকায় বই কয়েকটা পরে যায়। আমার কথা বুঝছিস তুই? আমি বুঝাতে চাইছি…

— বইগুলো ছড়ালো কিভাবে?

আরহামে’র কথার মাঝেই প্রশ্ন করলো তোঁষা। আরহাম সত্যিটা স্বীকার করলো,

— রা…রাগ উঠেছিলো আমার। সত্যি বলছি আমিই গুছাতাম কিন্তু তোর কাছে যেতেই ঘুমিয়ে গেলাম। বিশ্বাস কর না প্রাণ। মিথ্যা বলছি না।

কথাগুলো বলার সময় অসম্ভব ভাবে ধ্বক ধ্বক করে যাচ্ছে আরহামে’র বুক। তোঁষা’র মনোভাব ঠিক ঠাওর করা যাচ্ছে না। আরহাম ব্যাস্ত হলো। তোঁষা’র মুখটা ধরলো আজলায় তুলে। চোখ চোখ রাখতেই তোঁষা’র চোখে দেখা মিললো এক অসহায় চোখের। তোঁষা শান্ত স্বরে জানালো,

— ফিজিক্স বইয়ের দুটো পাতা ছিঁড়ে গিয়েছে।

— আমি আঠা লাগিয়ে দিব।

একদম সাথে সাথেই বলে উঠলো আরহাম। তোঁষা কথা বাড়ালো না শুধু পলকহীন ভাবে পর্যবেক্ষণ করলো আরহাম’কে। আরহাম উঠে দাঁড়িয়ে তোঁষা’কেও তুললো। ব্যাগ থেকে একটা কাগজ বের করে তোঁষা’র হাতে দিতেই তোঁষা মুখ তুলে তাকায়। এডমিট কার্ড সাথে পিন করা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। গত পনেরো দিন ধরে আরহামে’র কাছে তোঁষা বলেই যাচ্ছিলো এডমিট তোলার জন্য কিন্তু আরহাম পাত্তা দেয় নি। আজ নিয়ে আসাতে তোঁষা’র খুশি লাগছে তবে সে প্রকাশ করতে পারছে না। শুধু মুখ তুলে আরহামে’র পানে তাকাতেই চোখ গলিয়ে পানি পরে। আরহাম হাত বাড়িয়ে তা মুছে দিলো। তোঁষা’র মাথাটা বুকে চেপে ধরে বললো,

— মাফ করে দে প্রাণ।

— দিলাম।

_________________

ঘোর আমানিশা’য় আছন্ন চারিপাশ। বুনো কোন কিছু একটা ডেকে যাচ্ছে তীক্ষ্ণস্বরে। ঝিঁঝি পোকা’র শব্দ এমন না। নাম না জানা প্রাণী’টাকে দেখার বড্ড ইচ্ছে জাগ্রত হলো তথ্য’র মনে। টেবিলে এতক্ষণ কিছু কাজ করে মাত্রই মায়ের সাথে কথা বলছিলো ও। সেই পুরানো প্যাঁচাল ভালো লাগলো না তথ্য’র। বিয়ে বিয়ে করে মাথা খারাপ করে দিচ্ছে। ফোনটা মাত্র ই কেটেছিলো তথ্য। ইচ্ছে ছিলো বাইরে বের হবে অথচ তখনই পুণরায় ফোনটা বেজে উঠে। ছোট একটা শ্বাস ফেলে ফোন তুললো তথ্য। অপর পাশ থেকে পুরুষনালী এক কণ্ঠস্বর শুনে মুহুর্তেই নিজের ভেতর থাকা গোছালো শব্দগুচ্ছ’কে অগোছালো করে দিলো। তথ্য’কে কথা বলতে না শুনেই পুণরায় ওর বাবা বললেন,

— আছো? তথ্য কথা শুনছো তুমি।

— জ্বি আব্বু।

— তো কি সিদ্ধান্ত নিয়েছো?

— এখনও কিছু ভাবি নি এ বিষয়ে।

— তোমাকে ভাবার জন্য যথেষ্ট সময় দেয়া হয়েছে তথ্য। লাইফে যা চেয়েছো দিয়েছি এজ এ ফাদার। তোমার মা না করা সত্বেও তোমাকে আর্মিতে দিয়েছি। এখন যখন বিয়ের জন্য সময় চেয়েছো তা ও দিলাম। প্রায় তিন বছর। কি দেই নি?

— জ্বি আব্বু।

— তোমার নিজের পছন্দ থাকলে ও ফ্রী ভাবে বলার অধিকার দেয়া হয়েছিলো অথচ ইউ মিসড ইট তথ্য। নাও আই ওয়ান্ট ইউ টু কাম ব্যাক হোম এন্ড গেট ম্যারিড তথ্য।

— আ..

— নো মোর ওয়ার্ড তথ্য। আমি মেজর’ ইসহাক’কে কল দিচ্ছি।

বলেই বাবা কল কেটে দেন। তথ্য টলমল হওয়া চোখ মেলে নিজেকে দেখলো আয়নায়। খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে একদম গভীর ভাবে পর্যবেক্ষণ করলো নিজেকে। সে কি সুন্দর নয়? চুলগুলো কাঁধ সমান, একটু কি লম্বা হওয়া উচিত ছিলো নাকি খাড়া নাকটা বোঁচা হওয়া উচিত ছিলো। চেহারার উজ্জ্বলতা যতটুকু কম দেখায় তা পুরোটায় রোদের কারণে। তাহলে কেন তুষা’র তাকে পছন্দ করছে না?
বাবা যে কিছুতেই আর দমবার পাত্র নয় তা জানা আছে তথ্য’র। বাবা’কে সবসময় ইউনিফর্ম এ দেখে তথ্য’র সখ জেগেছিলো সেই ছোট্ট বেলায় যে সেও আর্মি হবে। হয়তো বাবার মতো অতবড় পদ নয় তার তবুও তথ্য চেষ্টা করছে। এরমধ্যে কিভাবে যে মনটা তুষা’র নামক পাষাণ্ড’তে আটকে গেলো ভেবে পায় না তথ্য। বাসায় চাইলেও কিছু বলা যাচ্ছে না তুষা’র সম্পর্কে। দেখা গেলো তথ্য’র বাসায় রাজি এদিকে রুঠে হুয়ে মেহবুব সেজে বসে থাকত তুষা’র। বড়ই অপমানের বিষয়। মেয়ে রাজি বিয়েতে এক ঠ্যাং তুলে অথচ ছেলে দুই ঠ্যাং তুলে দায়সারা ভাব দেখায়।
কোথায় যাবে এখন তথ্য? ভাবতেই অসহায় লাগলো ওর নিজেকে। জোরে শ্বাস টেনে নিজেকে শান্ত করে তথ্য। ভাবলো আগামী কাল কথা বলবে তুষারে’র সাথে। সে কি আদৌ তথ্য’কে পছন্দ করে কি না। যদিও তুষা’র কোনদিন তাকে বলে নি সে পছন্দ করে।

টুং শব্দ শুনতেই তথ্য ফোনটা হাতে তুললো। হাসোজ্জ্বল একজন পুরুষের ছবি। ড্রেস কোর্ড পাইলটদের। ফাঁকা ঢোক গিললো তথ্য। বাবা কি এবার তাহলে কোমড় বেঁধে নামলো তথ্য’র বিয়ে দিতে?

_______________

তোঁষা সারাদিন পড়ে পড়ে সব শেষ করছে। আরহাম যতক্ষণ বাসায় থাকে ততক্ষণ তোঁষা বই ধরার সুযোগ পায় না তাই তো একা একা থাকাকালীন সময়টাকে কাজে লাগায়। আজ আরহাম বাসায় ই আছে। বাইরে যায় নি একবারও। তোঁষা আরহামে’র গালে হাত রাখলো। হালকা গরম গালটা। খোঁচা খোঁচা দাড়িতে হাত বুলাতে বেশ ভালো লাগলো তোঁষা’র। আরহাম ঘুমের মাঝেই যেন শান্তি পাচ্ছে, মুখভঙ্গি দেখে বুঝলো তোঁষা। মুখ এগিয়ে নিয়ে চুমু খেলো ওর কপালে। কপালটাও গরম তবে অল্প। তাহলে কি অসুস্থ তোঁষা’র আরহাম ভাই?
কথাটা ভাবতেই তোঁষা’র খারাপ লাগলো। আরহামে’র হাতটা নিজের দুই হাতের মুঠোয় পুরে চুমু খেলো আঙুলে আঙুলে। ঘুমের মাঝেই নড়লো আরহাম। তোঁষা চোরের মতো চুপ করে সরে গেলো। আরহাম ভাই’কে বুঝতে দেয়া যাবে না তোঁষা এখন রেগে নেই। প্রিয় পুরুষের তখনকার মলিন চেহারা দেখেই তোঁষা’র সকল রাগ, অভিমান পালিয়েছে।
উঠে কিচেনে এলো তোঁষা। ভাবলো নিজে আজ কিছু আরহামে’র জন্য বানাবে। আরহামে’র জন্য কি বানাবে ভাবতে ভাবতে তোঁষা ফ্রীজ ঘুটে সব এলোমেলো করলো। সবজি বাদে ভালো কিছু নেই তাতে। তোঁষা খেয়াল করলো আরহাম ওকে সবজি খাওয়ায় অনেক যা বাসায় কারো সাধ্য ছিলো না। বাসার কথা ভাবতেই মন খারাপ হয় তোঁষা’র। কতগুলো গাজর বের করে গ্রিন্ড করা শুরু করে। হালুয়া বানাবে আজ আরহাম ভাই এর জন্য। যদিও তোঁষা রান্নাবান্না পারে না কিন্তু আরহামে’র জন্য টুকটাক সে শিখেছে চাচি থেকে। গাজরের হালুয়া পছন্দ ওর আরহাম ভাই এর। অথচ তোঁষা’র একটুও পছন্দ না এই হালুয়া কিন্তু এখন তোঁষা শিখে গিয়েছে এটা খাওয়া।
আরহাম যখন দেশের বাইরে গেলো তখন ই তো চাচি থেকে টুকটাক রান্না শিখে একা একাই খেতো তোঁষা। ভালোবাসা মানুষ’কে ঠিক যতটা অসহায় করে তুলে তোঁষা’র অসহায়ত্ব ছিলো তার বহুগুণ।
অপছন্দের খাবার গুলো কতটাই না স্বাচ্ছন্দ্যে পছন্দের তালিকায় তুলেছে ও।
ঘি দিতেই কিছুটা অসাবধানতার জন্য তোঁষা’র হাতে ছিঁটে পরে। ট্যাবের নিচে হাত ধরে পরপরই মনোযোগী হয় হালুয়াতে।

আরহামে’র চোখ খুললো মাত্র। শরীর আজ ম্যাচম্যাচ করছে ওর। টুংটাং শব্দ কানে আসতেই ভ্রু কুঁচকায় আপনাআপনি। উঠে হাঁটা দিলো শব্দের উৎসের দিকে। তোঁষা’কে রান্না করে দেখেই যেন চোয়াল ফাঁক হলো আরহামে’র। এই তুঁষ রান্না শিখলো কবে? হালুয়ার ঘ্রাণটা যেন একদম নাসারন্ধ্র বারি খাচ্ছে। আরহাম ধীর পায়ে এগিয়ে এসে দাঁড়ালো তোঁষা’র পিছনে। পেছন থেকেই তোঁষা’র হাতের উপর হাত দিয়ে খুন্তিটা ধরে। চমকায় না তোঁষা। ওর প্রাণে’র অস্তিত্ব ও টের পেয়েছে আরো আগে তবে প্রতিক্রিয়া দেখায় নি এমনকি এখনো দেখাচ্ছে না। আরহাম তোঁষা’র কাঁধে মুখ ঘঁষে ডাকলো,

— তুঁষ?

…………

তোঁষা’র উত্তর মেলে না দেখে আরহাম ওকে নিজের দিকে ঘুরালো। কপালে চুমু খেয়ে পরপর নরম গাল দুটোতে দাবিয়ে চুমু খেলো। তোঁষা চুপ করে দাঁড়িয়ে। আরহাম ও থামলো না বরং থুতনি এবং চোখে চুমু খেতে খেতে বললো,

— কিচেনে আসতে না করেছিলাম না। কথা কেন শুনিস না?

— কথা শুনেছি। বলেছিলেন আপনি বাসায় না থাকলে এখানে না আসতে।

আরহাম হেসে ফেলে গাল টেনে দিলো তোঁষা’র। তোঁষা ও হেসে দিলো। কপালে হাত দিয়ে বললো,

— মনে হচ্ছে জ্বর।

— তোর উত্তাপে আমি ইদানীং উষ্ণ থাকি প্রাণ।

— পঁচা লোক।

বলে তোঁষা গ্যাস অফ করে। আরহাম নিজেই বাটিতে বেড়ে নিলো। তোঁষা আবদার জানালো,

— চা খাব।

— এখনই বানাচ্ছি।

আরহাম চুলায় পানি বসিয়ে চামচ দিয়ে মুখে হালুয়া পুরে নিলো। নিমিষেই চোখ বন্ধ হয়ে এলো ওর। ঠিক যেন মায়ের হাতের হালুয়া। একই স্বাদ। আরহাম তৃপ্তি সহকারে একবাটি খেয়ে জিজ্ঞেস করলো,

— কবে শিখলি?

— যখন আমার দেহে প্রাণ ছিলো না।

আরহাম তোঁষা’র মুখের দিকে তাকিয়ে রইলো। আজ মায়ের কথা বেশিই মনে পরছে।
চা নিয়ে দুজন বসেছে বারান্দায়। ফুরফুরে বাতাসে মিশতে মন চায় তোঁষা’র। চায়ে চুমুক দিতে দিতে বললো,

— আর কতদিন থাকব এখানে?

— কেন? ভালো লাগে না আমার সাথে?

— এটা বলিনি তো।

— এটাই তো বললি।

— বলেছি বাসায় যাব না?

— না।

— কেন?

আরহাম উত্তর করলো না। তোঁষা’কে টেনে নিলো নিজের কাছে। তোঁষা ওর বুকে মুখ গুজতেই আরহাম বললো,

— ওরা ছিনিয়ে নিবে তোকে আমার কাছ থেকে। কিভাবে বাঁচব তোকে ছাড়া প্রাণ। তুই চাস আমি ম’রে যাই? বল চাস? কথা বল প্রাণ।

কথাগুলো বলতে বলতেই ওর নজর গেলো তোঁষা’র লাল হওয়া হাতে।

#চলবে……

[ লেট হওয়ার জন্য দুঃখীত। বিগত দুই দিন যাবৎ আমার এই আইডিতে লগইন করা যাচ্ছিলো না ]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here