#অষ্টপ্রহরে_পেয়েছি_তোমায়🥀
#ইশা_আহমেদ
#পর্ব_২২(শেষ)
“আপনি এতো দিন কোথায় ছিলেন আয়াজ আর কিভাবে এক্সিডেন্টই বা হয়েছিলো!আর আপনি যখন বেঁচে আছেন তাহলে কেনো আসেননি”
“বলবো বউ সব বলবো।আর একটু ধৈর্য্য ধরো।শুধু একজনকে আনার পালা সে আজকে রাতেই আমার হাতে চলে আসবে।আজকে রাতেই সব বলবো তোমায়।”
“হুম কত কষ্ট হয়েছে জানেন আপনাকে ছাড়া থাকতে আমার”
“তাই জান”
“হুম আপনি তো আমাকে ভালোইবাসেন না।যদি ভালোবাসতেন তাহলে কি আমাকে ছাড়া থাকতে পারতেন?”
আয়াজ আমায় জড়িয়ে ধরে বলেন,,,,
“কে বলেছে আমি তোমাকে ছাড়া থাকতাম আমি তো প্রায় আমার বউয়ের কাছে এসে থাকতাম তাকে দেখে ও যেতাম”
আমি অবাক হয়ে বললাম,,,,,”কি কবে!কখন?”
আয়াজ বললেন,,,,,”তুমি যে মরার মতো মাঝে মাঝে ঘুমাতে তখন আর কিছু কিছু দিন তো তোমাকে দেখে চলে যেতে হতো।তুমি সারারাত কেনো জেগে থাকতে!”
শেষের কথাটা ধমক দিয়েই বললেন।মলিন হেসে বললাম,,,,”আপনি ছাড়া যে ঘুম আসতো না।”
উনি আমায় আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললেন,,,”ভালোবাসি বউ কখনো যাবো না তোমাকে ছেড়ে”
“আমিও বাসি”
“যাও রেডি হয়ে নেও আজকে সারাদিন ঘুরবো আমার পিচ্চি বউটা এখন বড় হয়ে গিয়েছে মনে হয় এখন আর তেমন করে আবদার করবে না”
আমি কিছু না বলে রেডি হতে গেলাম।বাইরে বের হয়ে দেখি আয়াজও রেডি।উনি আমাকে বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড় করিয়ে চলে গেলেন।কিছু সময় পর বাইক নিয়ে আসলেন।
আমার সামনে বাইক থামিয়ে বললেন,,,”তাড়াতাড়ি উঠো”
বাইকে উঠে বসতেই আয়াজ গাড়ি জোড়ে টান মারলেন।আমি আয়াজকে শক্ত করে ধরে বসলাম।আমরা শহরের বাইরে চলে এসেছি।ছোট একটা গ্রাম।অসম্ভব সুন্দর গ্রামটা মনে হচ্ছে আমি কোনো রং তুলিতে আঁকা গ্রামের ভিতরে ঢুকে পরেছি।
আয়াজ আর আমি সারাদিন গ্রামটা ঘুরলাম।আয়াজ আমার পাগলামিতে আজকে আরো বেশি অতিষ্ঠ হয়েছেন।অনেক জ্বালিয়েছি আজ।
আমাদের বাড়ি ফিরতে ফিরতে ৮টা বেজে গেলো।আমি ফ্রেশ হয়ে নিলাম।আয়াজও ফ্রেশ হয়ে আসলেন।আমাকে নিয়ে আয়াজ একটা বাংলো বাড়িতে আসলেন।একটা রুমি নিয়ে গেলেন আমাকে।
রুমে ঢুকে দেখলাম একটা লোককে উল্টো করে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মনে হচ্ছে অনেক সময় ধরে মারা হয়েছে।আমি আয়াজের হাত শক্ত করে ধরে আছি।
“এই লোকটা কে আয়াজ”
“এটাই আসল কালপিট এ হলো আমার বিপরীত কোম্পানি মালিক অমি হাসান।অনেক অবৈধ ব্যাবসার সাথে এর হাত ছিল।আমাকে অফার করেছিল আমি মানিনি বলেছিলাম আমি সব পুলিশকে জানিয়ে দিবো।তারপর ও আমাকে বিভিন্ন ভাবে মারার চেষ্টা করে।আমার কাছে কিছুটা প্রমানও ছিল।ও নশিনকে খুঁজে বের করে ওর সাথে হাত মিলায়।ওরা আমার দুর্বলতা খুঁজতে ছিল।নশিন বলেও দিলো আমার দূর্বলতা তুমি।তোমাকেও এই পাঁচ বছরে অনেকবার তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।কিন্তু আমার বিশস্ত গার্ড তোমাকে সব সময় বাঁচিয়ে নিয়েছে।ওরা জানতো না আমি বেঁচে আছি।তোমাকে অমির প্রথম দেখায়ই ভালো লেগে যায়।তাই তো তোমাকে বিয়েও করতে চাই।মনে আছে তুমি বাড়ি ছেড়ে কেনো এই খানে এসেছিলে।বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বাবা তাই না।ওই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল।ও বাবার ব্রেন ওয়াশ করেছিল তাই তোমাকে বিয়ে দিতে চেয়েছিল।”
“আপনি সেদিন বাড়ি থেকে কেনো বের হয়েছিলেন আয়াজ”
“বাসর রাতে বউকে কিছু দিতে হয় কিন্তু আমি কিছুই কিনি।আসলে এতো কাজের চাপে ভুলেই গিয়েছিলাম।রাদ বলার সাথে সাথেই আমি গাড়ি নিয়ে বের হয়ে যাই।রিং কিনে বাড়ি ফেরার পথে বুঝতে পারলাম আমাকে মারার চেষ্টা করা হবে।তাই আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম।গেইট খুলে রেখেছিলাম।ওরা নদীর সামনেই আমার গাড়িটাকে ধাক্কা দিলো।আমি বের হয়ে সাতরে পারে আসি।এরপর প্লান করলাম যতসময় পর্যন্ত না এদের সব কিছু ফাঁস করছি ততসময় সামনে আসবো না।আর হ্যাঁ ওই লাশটাও আমিই পাঠিয়েছিলাম যাতে ওরা শিয়র হতে পারে আমি মারা গিয়েছি।ওদের বৈধ কাজের ব্যাপারে আরো তথ্য পেলাম।অমির বাচ্চা পাচার কারীদের সাথেও হাত আছে।এরপর সব প্রমান জোগাড় করতে এতো সময় লাগলো।এর জন্য অবশ্য আমাকে ইটালিও যেতে হয়েছে।”
“এগুলো তো আপনি আমার কাছে থাকলেও করতে পারতেন”
“না বউ পারতাম না।আমি যদি যদি সবার সামনে চলে আসতাম তাহলে ওরা সতর্ক হয়ে যেতো।আর আমাকে মারার চেষ্টা করতো।আর ওদের হাত থেকে কতোবার বাঁচতে পারতাম বলো।”
“আপনি জানেন এতগুলো বছর আমার কিভাবে কেটেছে দমবন্ধ হয়ে এসেছে প্রতিটা সময়।”
“আয়াজ আমায় শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললেন,,,এখন তো আমি তোমার কাছে জান।কখনো আর তোমাকে ছেড়ে যাবো না।”
“হুম”
“চলো নশিনের কাছে যাই”
নশিনের কাছে আসতেই দেখলাম নশিনকে চেয়ারের সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে।আমি গার্ডকে ইশারা করলাম দড়ি খুলে দিতে।
আয়াজ বললেন,,,”খুলতে বলছো কেনো?”
“উফ দাড়ান না দেখাচ্ছি”
পানির ছিটা দিতেই নশিন চোখ খুললো।আমি ওর চুলের মুঠি ধরে মুখ উঁচু করলাম।
“এই তোকে বলেছিলাম না আমি আমার জিনিসে হাত দিবি না তুই তারপরও অমির সাথে মিলে ওনাকে সরিয়ে দিতে চেয়েছিলো।তোর এতো সাহস কোথা থেকে হলো”
ইচ্ছামতো থাপ্পড় মেরে যাচ্ছি।আয়াজ এসে আমাকে ছাড়ান।
“ওই তুই আমাকে থামালি কেনো হ্যাঁ দরদ লাগছে যখন আমাকে বিয়ে না করে ওকেই করতে পারতি”
রাগে ফোসফাস করে কথাগুলো বললাম।আয়াজ আমার দিকে হা করে তাকিয়ে আছেন।আমি ওনাকে আবার বললাম,,,
“বাড়ি যাবো আমি নিয়ে চলেন”
ইশা দাঁড়াও
চলে যাচ্ছিলাম নশিনের কথায় পিছনে ফিরলাম।
“আমি জানতাম না সেদিন আয়াাজকে মারার চেষ্টা করা হয়েছে।অমি আমায় বলেছিলো ওর নাকি তোমাকে অনেক পছন্দ হয়েছে।বিয়ে করতে চায় তোমাকে।আমিও ভাবলাম তোমাকে যদি ও বিয়ে করে তাহলে তো আয়াজ আমার আমিও ওকে বিয়ে করতে পারবো।এজন্যই ওদের কাজে হেল্প করেছিলাম।এটাও জানতাম না ওদের শত্রুটা অন্যকিছু নিয়ে।”
নশিন মলিন হেসে বলল,,,,”আমি আমার ভুল বুঝতে পেরেছি।ভালোবাসা কখনোই জোর করে হয় না।ভালো থেকো তোমরা”
আমি চলে আসলাম ওখান থেকে আয়াজও আমার পিছনে পিছনে চলে আসলেন।বাসায় এসে শুয়ে পড়লাম।আয়াজের সাথে কথাবলিনি এখনো।
“ও বউ রাগ করেছো সরি সোনা বউ রাগ করে না”
আমি আয়াজের কথাগুলো শুনেও ঘুমানোর ভান করে পরে রইলাম।আয়াজ আমায় একটান মেরে উঠালেন।আমি অন্যদিকে তাকিয়ে আছি।
“এতো রাগ কেনো তোমার বলো তো”
আমি তাও কথা বললাম না।আয়াজ আমার কোমড় জড়িয়ে ধরে নিজের কাছে আনলেন।আয়াজের নিশ্বাস আমার মুখের উপর পরছে।আয়াজ আমার মুখটা হাতদিয়ে উপরে তুললেন।
“সরুন ঘুমাবো”
“উহু এখন আমি তোামকে আদর করবো”
“আপনার আদর আপনার কাছেই রাখুন আর নশিনকে আদর করুননন”
আয়াজ আমার ঠোঁট জোড়া দখল করে নিলেন।আমি ছাড়ানোর চেষ্টা করলাম না জানি করেও লাভ নেই।ছেড়ে দিয়ে আমায় বুকের ভিতরে নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
|
|
সকালে রেডি হয়ে দু’জনে অফিসে চলে আসলাম।আমি আর আয়াজ এখন কেভিনে বসে আছি।
“আয়াজ আপনি এই কোম্পনির এমডি কিভাবে হলেন?”
“এটা আমার ফ্রেন্ডের কোম্পানি ওকে বলেই হয়েছি।”
“স্যার আসতে পারি”
“হ্যাঁ আসুন”
“স্যার পুলিশ এসেছে ভিতরে আসতে বলো”
“ওকে স্যার”
আয়াজ পুলিশদেরকে সব প্রমান আর ওদের তুলে দিলো। আমরা এখন ফ্রি আয়াজ এখন থেকে উনার আগের কোম্পানিতেই কাজ করবেন।সবাই অবাক হয়েছে আমি উনার ওয়াইফ শুনে।তাতে আমার কি!
|
|
আজকে আমরা আয়াজের বাড়ি যাচ্ছি।অনেকদিন পর যাচ্ছি।আমি ফোন করে সবাইকে আসতে বলেছি।সবাই অনেক অবাক হয়েছে অবশ্য।
আমরা এখন দাঁড়িয়ে আছি বাড়ির সামনে।কলিংবেল বাজাতেই রেশমি দরজা খুলে দিলো।আমাকে দেখে চিল্লিয়ে বাড়ির সবাইকে ডাকছে আয়াজ এখনো ভিতরে আসেনি।মামনি আর আম্মু আমায় দেখে ছুটে আসলেন আমার কাছে।
দুজনকে জড়িয়ে ধরে বললাম,,,,”কেমন আছো আম্মু মামনি আর সবাই?”
“আমরা ভালো আছি মা কতোদিন পরে দেখছি তোকে তুই ভালো আছিস”
আমি হেসে বললাম,,,,”আমি তো প্রচুর ভালোআছি”
সবাই এসে কেমন আছি কেমন জিজ্ঞেস করছে।এর মধ্যেই দাদু বললেন,,,”আমাদের সবাইকে এইভাবে ডাকলি কেনো দাদুভাই”
“ওহো দাদু তোমাদের সারপ্রাইজ দিবো তাই”
আব্বু বলল,,,”কি হয়েছে ইশা তাড়াতাড়ি বলো”
“আমি বিয়ে করেছি আব্বু”
সবাই একসাথে বলে,,,
“কিহহহহহ”
আমি কানে হাত দিয়ে বলি,,,,”তোমরা কি কানে কম শুনো নাকি বলেছি আমি আবারও বিয়ে করেছি”
আব্বু গম্ভীর কন্ঠে বললল,,,”কাকে বিয়ে করেছো?”
“দাড়াও আব্বু ডাকছি।কোথায় আপনি ভেতরে আসছেন না কেনো?”
“আরে আর বলো না ব্যাগগুলো বের করে আনতে আনতে দেরি হয়ে গিয়েছে।”
আয়াজ ভিতরে ঢুকে দেখেন সবাই উনার দিকে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে আছেন।
আয়াজ ভ্রু কুচকে বললেন,,,,”কি হয়েছে এভাবে তাকিয়ে আছো কেনো সবাই”
“তুই বেঁচে আছিস”
আয়াজকে পেয়ে সবাই আমার একটু আগের বলা কথাটা ভুলে গিয়েছে।সবাই আয়াজকে জিজ্ঞেস করতে লাগলো কিভাবে বেঁচে তেলো আয়াজ সম্পূর্ণ ঘটনা বললেন। কিছু সময় পর দাদু বললল,,,,
“এখন কি হবে রে আয়াজ ইশা তো বিয়ে করে নিয়েছে”
আমি আয়াজের দিকে তাকিয়ে চোখ মারলাম।আয়াজ বুঝতে পারলেন আমার সয়তানি।উনিও বাঁকা হেসে বললেন,,,,”আমিও বিয়ে করবো মেয়ে দেখো”
আয়াজের কথাশুনে আমি চিল্লিয়ে বলে উঠলাম,,,,,”খবরদার আর বিয়ের কথা মুখে আনলে পা ভেঙে ঘরে বসিয়ে রাখবো।”
হুস এলো আমি সবার সামনে কি বলে ফেলেছি।আমি দৌড়ে রুমে চলে আসলাম।পিছন থেকে হাসির শব্দ শুনতে পেয়েছি।
|
|
“ভালোবাসি জানপাখি খুব বেশি”
আয়াজ আমায় পিছন থেকে জড়িয়ে ধরে কথাটা বললেন।আমিও আকাশের দিকে তাকিয়ে বললাম,,,,”আমিও আপনাকে খুব ভালোবাসি প্রিয়”
আয়াজ আমার চুলে মুখ ডুবিয়ে দিলেন।আমি আবার বললাম,,,”প্লিজ আমায় ছেড়ে আর যাবেন এবার হয়তো মরেই যাবো”
আয়াজ আমার ঠোঁট জোড়া দখল করে নিলেন।কিছুসময় পর ছেড়ে দিয়ে আমার গালে হাত দিয়ে বললেন,,,,”মরে যাওয়ার কথা মাথায়ও এনো না জানপাখি খুব ভালোবাসি তোমায় আমি তুমি ছাড়া বেঁচে থাকা যে মৃত্যুর সমান।”
“আপনি কিন্তু এখনো বলেননি কিভাবে আমাকে চিনেন আর আগে থেকে ভালোবাসতেন”
আমি ভার্সিটি লাইফে কম প্রপোজাল পায়নি।কিন্তু কাউকেই আমাট ভালোলাগিনি।নশিন অনেক পাগলামি করেছে কিন্তু আমার সেসব বিরক্ত লাগতো।কাজের জন্য একদিন তোমাদের গ্রামে যাই আমি।সেই ভর দুপুরে একটা পিচ্চি মেয়ে দু’পাশে বেনি ধরে লাফাতে লাফাতে স্কুল থেকে বাড়ি যাচ্ছে।তাকে দেখেই আমার হার্টবিট জোড়ে জোড়ে লাফাতে শুরু করে দিয়েছিল।আমি তাকে ফলো করতে থাকি তার বাড়ি চিনে এসেছিলাম।সদিন বাড়ি ফেরারপর আমার শুধু সেই পিচ্চি মেয়ের মুখটাই শুধু চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো।ছটফট করতে লাগলাম তাকে আরেকবার দেখার জন্য।আবারো দেখে আসি তাকে।বুঝলাম ভালোবেসে ফেলেছি পিচ্চি মেয়েটাকে।সবাই হেসেছিলো যখন ওদের বলেছিলাম আমি পিচ্চি মেয়ের প্রেমে পড়েছি।
আয়াজ আমায় জড়িয়ে ধরে বললেন,,,
“#অষ্টপ্রহরে_পেয়েছি_তোমায় জানপাখি ছাড়ি কিভাবে বলো।তুমি ছাড়া যে এই আয়াজ অচল।খুব ভালোবাসি বউজান”
আমিও আয়াজকে শক্ত করে জড়িয়ে ধরে বললাম,,,,
“ভালেবাসি আপনায় আমার ঘোমড়ামুখো”
“সমাপ্ত”
[অনেক সমস্যায় পরতে হয়েছে গল্পটা নিয়ে তাও আলহামদুলিল্লাহ ভালোভাবে শেষ করতে পেরেছি আমি।
অনেক ভুল হয়েছে আমার লিখতে অনেক আপু ভাইয়া তা ধরিয়ে দিয়েছেন ধন্যবাদ সবাইকে।
আমি এক জায়গায় ভুল করেছি সেইটা হলো আয়াজের নকল নাম হলো ইফাজ খান ফায়াজ কিন্তু আমি প্রথমে ফায়াজ লিখতে ভুলে গিয়েছিলাম তার জন্য দুঃখিত।
গল্পটায় আপনারা অনেক ভালোবাসা দিয়েছেন।ভাবিনি কখনো এতো ভালোবাসা পাবো।শেষবারের মতো “ইশা-আয়াজ” জুটির জন্য সবাই গন্তব্যমূলক কিছু বলে যাবেন।
আবার আপনাদের মাঝে ফিরে আসবো নতুন কোনো গল্প নিয়ে।ধন্যবাদ সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন সবাই।আসসালামু আলাইকুম🖤]