পারবোনা আমি ছাড়তে তোকে ❤❤ #লেখিকাঃ লামিয়া ইসলাম তন্নি ❤ #পর্বঃ ১৩❤ .

0
833

#পারবোনা আমি ছাড়তে তোকে ❤❤
#লেখিকাঃ লামিয়া ইসলাম তন্নি ❤
#পর্বঃ ১৩❤
.
.
🍁
.
চোখ খুলে চারদিকে চোখ বুলাতেই বা পাশে ভাইয়াকে দেখতে পেলাম। ভাইয়া মাথা নিচু করে মাথা ধরে বসে আছে। আমার শীতল কন্ঠে ফিরে তাকালো….
.
—- ভাইয়া!
.
—- বনু! এখন কেমন আছিস তুই? আমি এতো করে বললাম এমন করিস না। তাও শুনলি না।
.
—- ভাইয়া এবার প্লিজ বলো উনার কি হইছে? কিভাবে হইছে? প্লিজ! ( টলমল চোখে)
.
আমার কাকুতি মিনতি শুনে ভাইয়া একহাতে আমার জড়িয়ে নিলেন। শান্ত স্বরে বলতে শুরু করলেন…..
.
—- সেদিন তোর এক্সিডেন্টের পর কিছুক্ষণের জন্য আমি থমকে গিয়েছিলাম। বুঝে উঠতে পারছিলাম না আমার কি করা উচিত! খুবই একা লাগছিল নিজেকে। বেশকিছুক্ষণ পর আমি হুশে আসি,, আমি তোকে নিয়ে ওখানকার হসপিটালে যাই। তোকে অপারেশন থিয়েটারে ঢুকিয়ে দিয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েছিলাম। কি করব বুঝতে পারছিলাম না। প্রায় ঘন্টাখানেক পর ডক্টর ওটি থেকে বেড়িয়ে আসেন। ডাক্তারকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন তোর অবস্থা খুবই ক্রিটিকাল। অনেক বেশি ব্লেডিং হয়েছে। ইমিডিয়েটলি ২/৩ ব্যাগ রক্ত লাগবে। নয়তো তোকে বাঁচানো অসম্ভব। কথাটা শুনে আমার পায়ের নিচের মাটি সরে গিয়েছল। সেদিন বড্ড অসহায় লাগছিল রে বনু। ভেবেছিলাম তোকে হারিয়ে ফেলব। আর হয়তো তোর মুখে বুড়ো ডাকটা শুনতে পারব না। তোর আবদার পূরণ করতে পারব না।
.
ভাইয়া এইটুকু বলে থেমে আবারও শ্বাস টেনে নিয়ে বলতে শুরু করে….
.
—- আমি সাথে সাথে সূর্যকে ফোন করে ব্যাপারটা জানাই। সূর্য সেদিন কথাটা শুনে পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল। জানিনা তা কেন? তোর জন্য কি ওর মনে কোনো ফিলিংস ছিল নাকি জাস্ট কাজিন বলে। সেই উত্তরটা আমার আজও অজানা। সূর্য সাথে সাথে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে আসে। প্রায় ঘন্টাখানেক পর সূর্যের দেখা মিলে। তোকে এডমিট করা হয় আইসিউ তে। সেদিন হসপিটালে সূর্য আমাকে অনেক কথা শুনিয়েছে। কেন আমি ওর কথা না শুনে তোকে নিয়ে এলাম। অনেক! কান্নাও করেছে। তবে আমি তার কারণ জানার চেষ্টাও করেছিলাম। বাট পারিনি।
.
এইটুকু বলে থামে ভাইয়া। আমি কাঁদছি। ভীষণ কাঁদছি! কেন কাঁদছি জানিনা। তবে ভীষণ কান্না পাচ্ছে। ভাঙা গলায় ভাইয়াকে বললাম….
.
—- তারপর কি ভাইয়া? আপুর কি করে এক্সিডেন্ট হয়েছে?
.
ভাইয়া আমার চোখের পানি মুছে আবার বলতে শুরু করে…..
.
—- সূর্যর পাগলামোর কথাগুলো আমি চাঁদের চিঠিতে পড়েছিলাম।
.
—- আপুর চিঠি মানে?
.
—- হ্যাঁ,,, চাঁদের চিঠি। আমি যখন সূর্যকে ফোন করি তখন আমার আর সূর্যের সব কথা চাঁদ শুনে ফেলে। ও এনগেজমেন্টের দিন তোর আর আমাদের কথাগুলোও শুনে ফেলে। কিন্তু চাঁদ কাউকে কিছু বলে না। ও চেয়েছিল বিয়ের দিন ওর জায়গায় বউ সাজিয়ে তোকে বসাবে। বাট সেদিন আমরা সিলেটে চলে আসার সময় ও বাড়িতে ছিল না। তাই আটকাতে পারেনি। আর তাই আমরা যাওয়ার পরে বিয়ের তারিখ পিছিয়ে দেওয়া হয়। কিন্তু আমারা এসব কিছুই জানতাম না। আর সেদিন যখন সূর্য পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল তা দেখে চাঁদের ধারণা ছিল যে সূর্যের মনে তোর জন্য বিন্দুমাত্র ফিলিংস হলেও আছে। তাই চাঁদ মালেশিয়া ফুপির কাছে চলে যাওয়ার ডিসিশন নেয়। কারণ ও জানতো ও থাকতে সূর্য তোকে মেনে নিবে না। আর না তুই রাজি থাকতি। বাট চাঁদ যে তোকে ভীষণ ভালোবাসে৷ বোনের কষ্টটা ও সহ্য করতে পারত না। আর ও এটাও জানতো তুই কখনো ওকে যেতে দিবি না। কারণ সেদিন রাতের সব কথা ও শুনে ফেলে। তাই সূর্য হসপিটালের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে এলে চাঁদ ব্যাগ প্যাক করে মালেশিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। কিন্তু…
.
এইটুকু বলে ফুপিয়ে উঠে ভাইয়া।
.
—- কিন্ত! কিন্তু কি ভাইয়া? বলো না প্লিজ! বলো…
.
ভাইয়া কিছুক্ষণ স্তব্ধ হয়ে বসে থেকে আবার বলতে শুরু করে….
.
—- এয়াপোর্ট যাওয়ার পথে একটি ট্রাকের সাথে আলোর গাড়ির ধাক্কা লাগে। ড্রাইভার ওখানেই মারা যায়। ট্রাক ড্রাইভার আহত হয়৷ চাঁদের অনেক ক্ষতি হয়।
.
ভাইয়া আর কিছু বলছে না। কাঁদছে! চুপচাপ চোখের পানি ফেলে চলেছে।
কিন্তু আমি তো অতিষ্ঠ হযে পড়লাম পরেরটুকু শোনার জন্য।
.
—- ভাইয়া তারপর কি প্লিজ বলো!
.
ভাইয়া আবারও বলতে শুরু করে…..
.
—- চাঁদকে হসপিটাল নিয়ে যাওয়া হয়। ওকে আইসিইউ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। ডক্টর ওকে নিয়ে নিশ্চিত ছিল না। বলেছিল ৭২ ঘন্টার ভিতর জ্ঞান না ফিরলে তাদের কিছুই করার নেই। তখন সূর্য সবচেয়ে বেশি ভেঙে পড়েছিল। চাঁদের কথা শুনেই ও ঢাকা ফিরে যায়। জানিনা ও কেন এতোটা ভেঙে পড়েছিল শুধু চাঁদের জন্য নাকি তোরও জন্য? দুইদিন পর তৃতীয় দিন বিকেলে চাঁদের জ্ঞান ফিরে। তখন সবার মুখে খুশির ঝিলিক ছিল। সবাই ভেবেছিল হয়তো সব ঠিক হয়ে যাবে। তখনও বাড়ির কেউ তোর কথা জানতো না। কিন্তু চাঁদের জ্ঞান ফিরেছিল মাত্র কিছুক্ষণের জন্য প্রায় ৫/১০ মিনিট পরেই চাঁদ আমাদের সবাইকে ছেড়ে চলে যায়। চাঁদ মৃত্যুর আগে সূর্যকে প্রমিজ করায় যেন ও তোকে বিয়ে করে। আর তোকে নিয়ে সুখে থাকে। মৃত্যুর আগে চাঁদ সব বলে যায়। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে রে বনু। খুব! জানিস কেন? কারণ আমি তোর কাছে ছিলাম। মৃত্যুর আগে আমি চাঁদের সাথে একটিবার কথা বলতে পারিনি রে। লাস্ট বারের জন্যও ওর মুখে ভাইয়া ডাকটি শুনতে পারিনি রে বনু।
.
ভাইয়া কাঁদছে। খুব কাঁদছে! আমিও কাঁদছি। বেশকিছুক্ষণ নীরবতা কাটিয়ে হেঁচকি তুলতে তুলতে ভাইয়াকে বললাম….
.
—- তারপর কি হয়েছে ভাইয়া?
.
ভাইয়া পাশে থাকা পানির গ্লাসটা হাতে নিয়ে এক ঢোকে পুরো পানিটা শেষ করে। শ্বাস টেনে নিয়ে বলতে শুরু করে…..
.
—- চাঁদের মৃত্যুর পর সূর্য একা হয়ে গিয়েছিল। কারো সাথে কথা বলতো না। ঠিক মতো খেতো না,ঘুমাতো না। মরার মতো বেঁচে ছিল। কিন্তু কেউ ওর এই অবস্থা দেখতে পারেনি। আর এতোদিনে সবাই তোর ব্যাপারটাও জেনে গিয়েছিল৷ তাই সবাই চাইতো তুই যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠিস। তুই ছাড়া সূর্যকে কেউ ঠিক করতে পারবেনা৷ তাই ওকে বিজি রাখার জন্য রোহান,সিয়াম ওদের সাথে সূর্যকে কক্সবাজার পাঠানো হয় কিছুদিনের জন্য। সূর্য যেতে রাজি ছিল না। একপ্রকার জোড় করে ওকে পাঠানো হয়। কিন্তু বিপত্তি ঘটে ওখানে গিয়ে। সূর্যরা যেদিন কক্সবাজার যায় তার দু’দিন পরেই সূর্য ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সূর্য কাউকে না জানিয়েই ওখান থেকে চলে আসে। ঢাকায় আসার পথে সূর্য গাড়ির ব্রেক ফেল করে একটি গাছে ধাক্কা খায়। ঘটনাটি কুমিল্লার আশেপাশে ঘটেছিল। সেখানকার লোকজন ওকে কুমিল্লার সদর হসপিটালে নিয়ে যায় হসপিটাল থেকে বাড়িতে ফোন দেওয়া হয়৷ বড় আব্বু আর আব্বু কুমিল্লার উদ্দেশ্যে বেড়িয়ে পড়ে। মা আর বড় আম্মুকে কিছুই জানান না। বড় আম্মুর তো হার্টের প্রবলেম আছে। হয়তো এতো ধাক্কা নিতে পারবেন না। গাড়ির গ্লাস সূর্যের মাথায় ঢুকে গিয়েছিল। অনেকগুলে সেলাইও লেগেছিল। প্রচুর ব্লেডিং হয়েছিল শুনেছি। ডক্টর বলেছিল ওকে বাঁচানো সম্ভব না। আরো বলেছিল হয়তো কয়েকঘন্টার জন্য ওর জ্ঞান ফিরতে পারে। ডক্টরের লাস্ট সময়সীমা ছিল ৭২ ঘন্টা। কিন্তু এই ৭২ ঘন্টায় সূর্যের জ্ঞান ফিরে নি। সবাই ভেবেছিল ও হয়তো মারা গিয়েছে। কিন্তু সবার ধারণা পাল্টে দিয়ে সূর্য চলে যায় কোমাতে। ও আমাদের মাঝে বেঁচে থাকে জীবিত লাশ হয়ে। ওকে যখন বাড়িতে শিফট করা হয় তখন বড় আম্মু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। চাঁদকে হারিয়ে পুরো বাড়ি হয়ে গিয়েছিল মৃত প্রায়। তারপরে তোর কথা জানার পরে তারা আরও মারা যায়। তুই সুস্থ না হতেই সূর্যর এই অবস্থা হয়। আমরা কেউ ভালো ছিলাম না বনু। কেউ না। আমি সিলেটে তোর কাছে পড়ে ছিলাম। কিন্তু বাড়ির সব খবর আমার কাছে ছিল। শ্রেয়া প্রতিদিন রাতে ফোনে আমায় সব জানাতো আর খুব কান্না করতো। স্বামী হয়েও ওর পাশে থাকতে পারছিলাম না। ভরসার হাত ওর কাঁধে রেখে বলতে পারিনি-” আমি আছি তো! দেখবে সব ঠিক হয়ে গেছে।আল্লাহ সব ঠিক করে দেবে”। খুব কষ্ট হচ্ছিল তখন বনু। কেউ ঠিক মতো খাওয়া দাওয়া করতো না। ঘুমোতো না। সবাই একা একা থাকতো। কেউ কারো সাথে কথাটা পর্যন্ত বলতো না। বড় আম্মু আর মা তে সারাদিনই সূর্যের কাছে বসে থাকতো। মায়ের সাথে কয়েকবার কথা হয়েছিল এর মাঝে আমার। তখন মাকে বলেছিলাম তুই ঠিক আছিস। আমরা কিছুদিন পর চলে আসবো। কি করতাম বল বনু? মিথ্যে বলা ছাড়া উপায় ছিল না তো। এতোকিছু কি কেউ সহ্য করার ক্ষমতা রাখে? একসাথে কতোটা ঝড় গিয়েছে আমাদের উপর দিয়ে। এভাবে কি বেঁচে থাকা যায় বল? আমার তো ইচ্ছে করতো মরে যাই। একদম মরে যাই! এভাবে কাছের মানুষগুলোকে হারিয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়া ভালো।
.
এইপর্যন্ত বলে থামল ভাইয়া। আমি একের পর এক হেঁচকি তুলেই যাচ্ছি। এতোটা কষ্ট কি করে সহ্য করেছে সবাই? আমি হলে তো ওখানেই মারা যেতাম। পারতাম না বেঁচে থাকতে। একমুহূর্তও পারতাম না! এখনই ইচ্ছে করছে নিজেকে শেষ করে দিতে। একদম শেষ করে দিতে! আমার জন্য আপু আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। আমার জন্য উনি কোমাতে। আমার জন্য আমি আজ এ অবস্হায়। সব কিছুর মুলেই আমি। শুধু আর শুধুই আমি!
.
——–
.
কাঁধে কারো স্পর্শে ঘোর কাটলো আমার। মাথা তুলে তাকালাম। ভেবেছিলাম হয়তো সূর্য এসেছে। কিন্তু আমার ধারণা বরাবরের মতো এবারও মিথ্যে প্রমানিত করলেন উনি। না উনি আসেন নি। আর হয়ত ভবিষ্যতেও আসবেন না। আমি মরে যাই না তাতে উনার কি? উনি তো মুক্তি পাবে আমার কিছু হলে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতেই চোখ থেকে দু’ফোটা পানি গড়িয়ে পড়ল। ভাবী আমাকে উদ্দেশ্য করে বলল….
.
—– আলো! তুমি কখন ছাঁদে এসেছো? সেই কখন থেকে তোমায় খুঁজে চলেছি কোনো ধারণা আছে তোমার? ভাইয়াকে ডাকতে গেলাম দেখলাম দরজা বন্ধ। এতোবার ডাকার পরেও কোনো সাড়াশব্দ পেলাম না। সব খুঁজে এখানে এলাম। সবাই কতটা টেনশন করছে জানো? ভাইয়ার সাথে কিছু হয়েছে তোমার?
.
—- না আপু কি হবে?
.
—- তাহলে এখানে একা বসে আছো কেন? চলো নিচে চলো…
কথাটা বলে আমার হাত ধরে তোলার সময় কাটা জায়গায় ভাবীর হাত লাগতেই আমি ব্যাথায় কুঁকড়ে উঠি। না চাইতেও মুখ থেকে বেড়িয়ে এলো ” আহ্”। সাথে সাথে ভাবী পেছন ফিরে তাকালো। ফোনের টর্চটা অন করে আমার হাতে ধরল। ধমকের সুরে বলল….
.
—– হোয়াট দ্যা হেল আলো? হাত এতটা কি করে কাটলো? আর হাতে কিছু লাগাওনি কেন? কাটা হাত নিয়ে ছাঁদে বসে আছো এটা কেমন পাগলামো আলো? ( রেগে)
.
—- আসলে আপু…
.
—- কি আসলে? এক্ষুনি তুমি আমার সাথে নিচে যাবে।
.
আমাকে কিছু না বলে একপ্রকার টেনেহিঁচড়ে নিচে নিয়ে গেলো ভাবী। সোজা নিয়ে ড্রইং রুমে সবার সামনে দাঁড়ালো। মাকে উদ্দেশ্য করে বলল….
.
—- ছোট মা! এসব কি হচ্ছে বাড়িতে আমাকে প্লিজ বলবে? এসবের কি কোনো মানে হয়?
.
কেউ হয়তো ভাবীর কথার মানে বুঝতে পারছে না৷ আম্মু বসা থেকে উঠে ভাবীর সামনে দাঁড়িয়ে মাথায় হাত রেখে বললেন….
.
—- কি হয়েছে মা আমাকে বল?
.
—- তোমার মেয়েটা কি এখনো বাচ্চা ছোট মা? ও কি ভালো খারাপ বোঝে না? দেখো তো ওর হাতটা একটু তাকিয়ে দেখো!
.
ভাবীর কথা শুনে আম্মু আর বড় আম্মু দৌড়ে এলেন আমার কাছে। আমার বা হাতটা তুলে দেখে সাথে সাথে বসে পড়ল বড় আম্মু। আর আম্মু সাথে সাথেই জোরে একটা চড় লাগালেন আমার বা গালে। আমার চোখ থেকে গড়িয়ে পড়ল দুফোঁটা নোনা জল। আড়চোখে সিঁড়িতে তাকাতেই সূর্যকে দেখতে পেলাম। আম্মু চেঁচিয়ে উঠলো….
.
—- এসব কি আলো? তুই ছোট বলে ভাবিস না যে যা ইচ্ছে করবি আর সবাই তোকে মাথায় তুলে নাচাবে। সবার আহ্লাদে আজ তোর এই অবস্থা। একবার মরার পথ থেকে ফিরে তোর শান্তি হয়নি। আর কি চাস? তোর জন্য চাঁদ আমাদের ছেড়ে চলে গেছে। বারবার আমাদের না ভেঙে কষ্ট না দিয়ে একেবারে মরে যেতে পারিস না? তাতেও শান্তি পেতাম। তোর এতো জ্বালা আর সহ্য করতে পারছিনা।
.
কথাগুলো বলে আম্মু কেঁদে ফেলল। সূর্য ভাইয়া এতোক্ষণে মুখ খুললেন। কিন্তু কি বললেন তা শোনার আগেই আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লাম……

#চলবে……

[#বিঃদ্রঃ সরি গাইস লেইট করে দেওয়ার জন্য। কয়েকদিন যাবৎ ফোন ধরলেই অনেক বকা শুনতে হয়😫। আর তাছাড়া মনটাও খুব খারাপ যার জন্য মাথা কাজ করে না😥। জানিনা কি লিখেছি কেমন হয়েছে। তবে একটু মানিয়ে নেবেন প্লিজ😥! সবাই ভালো থাকবেন। শুভ রাত্রি। ধন্যবাদ ❤]

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here